#তিক্ত_প্রতিশোধ
#পর্ব৪
#Raiha_Zubair_Ripte
অহনা বাড়ির ভেতরে ঢুকে চারপাশ টা একবার চেয়ে দেখে নেয়,সিঁড়ির পাশে দেওয়ালে টাঙানো একটা বড় পেইন্টিং দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেলে অহনা,পেইন্টিং টার কাছে গিয়ে দেখে এটা মোনালিসার পেইন্টিং, দূর থেকে বোঝার উপায় নেই, আজকাল কি কেউ বাড়িতে মোনালিসার পেইন্টিং রাখে নাকি! পেইন্টিং এর ব্যাপারে শুভ্র কে কিছু জিজ্ঞেস করতে নিলে পেছন ঘুরে দেখে শুভ্র নেই,সাথে অহনার শশুর আর অভ্র ও নেই,খানিকটা ভয় পেয়ে যায় অহনা কাঁপা কাঁপা পায়ে সিঁড়ির ডান দিকে যায়,সেখানে গিয়ে দেখে একটা ছোট ডাইনিং টেবিল, আশ্চার্য ডাইনিং টেবিল তো সচরাচর মেন দরজার সামনে বা পাশে থাকে এতো ভেতরে থাকে নাকি? এসব ভেবেই অহনা ডাইনিং টেবিলটার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই পেছন থেকে কেউ অহনার কাঁধে হাত দেয়।
আচমকা কাঁধে কারো স্পর্শ পেয়ে চিৎকার করে উঠে অহনা। চিৎকার দিয়ে পেছন ফেরে শুভ্র কে ছুরি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অহনা ভয় পেয়ে যায়,ভয় পেয়ে পেছনে আগাতে নিলে চেয়ারের সাথে বেঁধে পড়ে যায়।
শুভ্র ছুরিটা নিয়ে অহনার দিকে আগাতে গেলে অহনা পড়া অবস্থাতে পেছনে ভর দিয়ে পেছাতে থাকে। শুভ্র যতো এগোচ্ছে ততোই অহনা ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে, শুভ্রর দিকে ভয়ার্তক দৃষ্টি নিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,,
” এ.এই শু.শুভ্র তু.তুমি কি করছো,তোমার হাতে ছু.ছুরি কেনো,আর তুমি ওভাবে এগোচ্ছো কেনো।
শুভ্র কোনো কথা না বলে হাতের ছুরি টা উঁচু করতেই অহনা চিৎকার দিয়ে এক হাত উচু করে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
অহনার এমন ভয়ার্তক চাহনি আর এমন চিৎকার করা দেখে শুভ্র হেঁসে ফেলে। শুভ্রর হাসির শব্দ শুনে অহনা চোখ খুলে দেখে শুভ্র পেটে হাত দিয়ে হাসছে।
শুভ্র হাসি থামিয়ে বলে,,
” এই অহনা তুমি কি ভয় পেয়েছিলে সত্যি, আরে আমি তো তোমায় কিছু করি নি তাহলে ভয় পেলে কেনো।
অহনা একটা ঢোক গিলে বসা থেকে উঠতে নিলে শুভ্র হাত বাড়িয়ে দেয়,শুভ্রর হাত ধরে অহনা বসা থেকে উঠে দাড়ায়,
” আপনি ছুরি নিয়ে ওমন করছিলেন কেনো?
শুভ্র গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলে,,
” ছুরি নিয়ে আমি কি করলাম?
” ওভাবে ভয় দেখালেন কেনো।
” আমি কি ভয় দেখানোর মতো কিছু করছি,তুমিই তো নিজে থেকে ভয়ে এতোসব কান্ড করলে,আমার হাতে ছুরি দেখে তুমি নিজেই ভয়ে পড়ে গেলে।
” তো আপনি ছুরি টা আমার দিকে উঁচু করে তাক করতে গেছিলোন কেনো।
” কোথায় তাক করলাম আমার পিঠ চুলকাচ্ছিলো তাই ছুরি টা দিয়ে চুলকালাম।
” ওহ আর একটু হলেই তো আপনি আমার হার্ট অ্যাটাক করিয়ে ছাড়তেন, তা হাতে ছুড়ি নিয়ে ঘুরছেন কেনো,আর আপনি কোথায়ই বা চলে গেছিলেন,বাবা অভ্রই বা কোথায়।
এর মধ্যেই অভ্র একটা কেক নিয়ে হাজির হয় ওদের সামনে সাথে আমজাদ হোসেন ও আছেন। শুভ্র অভ্র কে দেখে বলে,,
” ঐ যে দেখুন ম্যাম ওটা কাটার জন্যই ছুরি আনতে গিয়েছিলাম। আজ তুমি প্রথম আমার বাড়ি ঢুকলে তোমায় একটু তো মিষ্টি মুখ করাতেই হয়।
অভ্র এগিয়ে এসে কেকটা ডাইনিং টেবিলের উপর রেখে মোমবাতি গুলো জ্বালিয়ে দেয়। শুভ্র অহনার হাত ধরে কেকের সামনে গিয়ে দুজনে মিলে কেক কাটে। শুভ্র কেকের এক টুকরো নিয়ে অহনাকে খাইয়ে দেয়। অহনা ও সেম কাজ করতে গেলে শুভ্র থামিয়ে বলে,,
” আমি কেক টেক খাই না অহনা প্লিজ জোর করো না।
অহনা শুভ্রর মুখের সামনে ধরে বলে,,
” একটু খাও না।
শুভ এক চিমটি উঠিয়ে মুখে নেয়।
কেক কাটাকাটির পর্ব শেষ হলে আমজাদ হোসেন বলে উঠে,,
” শুভ্র ওকে ঘরে নিয়ে যা বাপ অনেক্ষন ধরে একানে রয়েছে।
শুভ্র মাথা নাড়িয়ে অহনাকে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে। সিঁড়ির সাথের সারিতে থাকা চতুর্থ রুমের দরজায় ঢুকে তারা। শুভ আর অহনা ভেতরে ঢুকলে শুভ্র ভেতর থেকে দরজা আটকিয়ে দেয়।
অহনা ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে শরীরে গয়না খুলতে খুলতে শুভ্র কে জিজ্ঞেস করে,,
” আচ্ছা শুভ্র এ বাড়িতে আর কাউকে দেখলাম না কেনো আমরা চারজন ছাড়া।
শুভ্র বিছানায় আয়েশ করে বসে বলে,,
” কারন এ বাসায় আর কোনো লোক নেই তাই।
অহনা শুভ্রর দিকে ঘুরে বলে,,
” কেনো তোমার মা, চাচ,চাচি,দাদা,দাদি এরা কেউ নেই।
” না সবাই মা’রা গেছে।
অহনা আশ্চর্য হয়ে বলে,,
” তাহলে কি এ বাড়িতে আমরা চারজন ই থাকবো।
” হুমম কেনো কোনো সমস্যা নাকি।
” আচ্ছা তোমার মা কিভাবে মা’রা গেছে।
” একদিন স্কুল থেকে এসে দেখি আমাদের ড্রয়িং রুমের সোফায় তিনি পড়ে আছেন,পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানায় বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটেছে।
অহনা বিছানায় ধারাম করে বসে বলে,,
” সে কি তোমার মা কিসের জন্য বিষ খেয়েছিলো জানা যায় নি?
” বাদ দাও সেসব কথা,পুরোনো কথা আর মনে করতে চাই না,তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও,আর রান্না বান্না বা ঘরের কোনো কাজ তোমার করতে হবে না,সন্ধ্যার আগে খাবার এসে পড়বে।
” কোথা থেকে খাবার আসবে।
” রেস্টুরেন্ট থেকে।
” ওহ আচ্ছা। কথাটা বলে অহনা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
শুভ্র ঘরের মধ্যেই জামা কাপড় পাল্টে নিচে নেমে আসে।
____________________
ইন্সপেক্টর সায়েম এসেছে মেহেরপুর এলাকায়,গতকাল এই এলাকা থেকেই মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে,সায়েম গিয়ে নিখোঁজ মেয়েটির পরিবারের সাথে কথা বলে,, পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারে,,
মেয়েটি মুরাদ নামের এক লোকের বাসায় কাজ করতো,মেয়েটির বয়স ২৪, সায়েম মুরাদ নামের লোকটির ঠিকানা নিয়ে সেই ঠিকানায় যায়। মুরাদ নামে র লোকটির সাথে কথা বলে জানে,মেয়েটি কাল তার বাসায় কাজ করতে আসে নি, কিন্তু মেয়েটির বাবা মায়ের কাছে থেকে জানতে পেরেছিলো সায়েম মেয়েটি কাজের জন্যই বাসা থেকে বের হয়েছিলো। মেয়েটির স্বভাব সম্পর্কে আরো কিছু জেনে চলে আসে সায়েম।
সায়েম গাড়িতে উঠে থানায় যাওয়ার জন্য গাড়ি স্টার্ট দিলে মাঝ রাস্তায় এসে একটি ফোন আসে, সায়েম ফোনটা রিসিভ করলে জানায় মেহেরপুর থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি নগ্ন লা’শ রয়েছে জঙ্গলে পড়ে।
সায়েম গাড়ি ঘুরিয়ে সেদিকে চলে যায় গিয়ে দেখে ওখানে এক কনস্টেবল রয়েছে,সে সায়েম কে দেখেই বলে,,
” স্যার লা’শ টা নগ্ন অবস্থায় দেখেছে গ্রাম বাসি,তার মুখ বোঝার উপায় নেই।
” আশেপাশে কি খুঁজে দেখেছো কোনো সূত্র পাওয়া যায় নি?
” হ্যাঁ স্যার দেখেছি,আমরা লা’শ টার থেকে দূরে একটি হ্যান্ড ব্যাগ পেয়েছি সেটাতে কিছু খুচরা টাকা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় নি।
” লা’শ টা প্রথম দেখেছে কে?
কথাটা শুনে এক লোক এগিয়ে এসে বলে,,
” স্যার আমি দেখেছি।
” কি কি দেখেছিলেন বিস্তারিত বলুন,
” স্যার আমি তো ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করি,তো এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম ঐ বড় গাছটার আড়ালে মানুষের হাতের মতো কিছু দেখা যাচ্ছে, তাই কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে এসে দেখি লা’শ, পরে চিৎকার করে লোক ডেকে আনি পরে তারা আপনাদের ফোন দেয়।
” ওহ, আচ্ছা আপনাদের মধ্যে কেউ লা’শ টাকে ছুয়ে দেখেছিলেন।
” না স্যার কেউ ছুঁয়ে দেখেনি পাশে পড়ে থাকা এক নষ্ট কাপড় এনে শুধু ঢেকে দিয়েছে।
সায়েম কথাবার্তা শেষে লা’শের মুখের উপর থেকে কাপড় সরিয়ে দেখে মুখটা একদম থেতলে গেছে,সহজে বোঝার উপায় নেই। মুখটা ঢেকে এক কনস্টেবল কে ডেকে বলে,,
” তামিম লা’শ টা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাও,এটা মামুনের কাছে নয়,আমার সিক্রেট ডক্টরের কাছে পাঠাও,কেউ যেনো তার ব্যাপারে জানতে না পারে।
” ঠিক আছে।
তামিম লা’শটার দিকে চেয়ে বলে,,
” এর শেষ দেখে আমি তবেই ছাড়বো,অপরাধী যদি ডালে চলে আমরাও তাহলে পাতার শিরা দিয়ে চলবো।
____________________
অহনা ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে কাপড় গুলো বেলকনিতে নেড়ে রুমের বাহিরে আসে। পুরো বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছে অহনা,এ বাড়িতে মোট চার টি দরজা ঘরের। একটায় তারা আর বাকি তিনটার মধ্যে দুটোয় আমজাদ আর অভ্র থাকে কিন্তু আর একটায় ইয়া বড় একটি তালা ঝুলানো। আর তালাটাও দেখতে আগের কালে রাজবাড়ী দরজায় যেমন টা তালা থাকতো ঠিক তেমন টা।
অহনা তালা লাগানো ঘরটার সামনে এসে তালাটা স্পর্শ করতেই পেছন থেকে শুভ্র বলে উঠে,,
” কি ব্যাপার তুমি এখানে কেনো?
আচমকা শুভ্রর কথা শুনে চমকে উঠে অহনা,পেছন ঘুরে বলে,,
” আচ্ছা শুভ্র তোমাদের বাড়িটা তো বাহির থেকে বিশাল বড় দেখা গেলো কিন্তু ভেতরটা ততোটাই ছোট কেনো।
” এটা ম্যাজিকাল রহস্যময় বাড়ি বুঝলে চোখের সামনে যা ঘটবে সেটা অবাস্তব ও হতে পারে, তুমি বুঝতে পারবে তোমার পেছন পেছন কেউ হাঁটছে বা তাকিয়ে আছে কিন্তু তুমি যেই পেছন ঘুরে তাকে খুঁজতে যাবে সে ভ্যানিশ হয়ে যাবে,বেশি ঘাটতে যেয়ো না এসব।
অহনার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে কথাটা বলে শুভ্র। শুভ্রর এমন কথা শুনে গায়ের লোম গুলো খাঁড়া হয়ে যায় অহনার। কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে,,
” ম.মানে কি বলছো এগুলো।
শুভ্র মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে,,
” ডোন্ট ওয়ারি আ’ম কিডিং ইয়ার। তুমি সন্ধ্যায় সেজেগুজে থেকো আমাদের রিসেপশনের অনুষ্ঠান আজ।
” ওহ আচ্ছা, আমায় পুরো বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাবে না।
” কয়েকদিন যেতে দাও তোমায় আর দেখাতে হবে না তুমি নিজ থেকেই খুঁজে খুঁজে দেখবে।
অহনা ভ্রু কুঁচকে বলে,,
” কি খুঁজে খুঁজে দেখবো আমি।
” রহস্য। কথাটা বলে অহনার হাত ধরে নিয়ে যেতে যেতে আবার ও বলে,” আর কখনো ঐ ঘরের ওখানে যাবা না একা যদি ফারদার যাও আর তখন যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হও তার দায়ভার কিন্তু আমার নয়।
_____________________
অহনা সেজে গুজে বসে আছে সেই যে হাত ধরে ঘরে নিয়ে বসিয়ে রেখেছিলো আর বের হয় নি ঘর থেকে অহনা। কিছুক্ষণ আগে শুভ্র রেডি হয়ে রুমের বাহিরে গেছে যাওয়ার আগে বলে গেছে,,
” অহনা আমি নিচে যাচ্ছি তুমি একদম রুমের বাহিরে যাবা না,যতোক্ষণ না তুমি দেওয়াল ঘড়ির টংটং শব্দ না পাবে।
” কেনো শব্দের সাথে আমার বের হবার কি সম্পর্ক আছে।
” আমি বলেছি তার মানে নিশ্চয়ই কোনো কারন আছে। কথাটা যেনো মনে থাকে।
অহনা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললে শুভ্র বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।
ঘড়ির টংটং আওয়াজ শুনতে পেলে অহনা একবার আয়নায় নিজে দেখে পরিপাটি হয়ে দরজা খুলে বের হয়। সিঁড়ির কাছে আসতেই অহনা থমকে যায়,পুড়ো নিচতলা টা সাজানো হয়েছে নানান রঙবেরঙের বাতিতে।
অহনা কে সিঁড়ির কাছে দেখে শুভ্র এগিয়ে এসে অহনার হাত ধরে নিচে নামায়। অহনা নিচে নেমে এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু খুঁজে। অহনাকে এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু খুঁজতে দেখে শুভ্র বলে,,
” কি ব্যাপার কি খুঁজো তুৃমি।
” শুভ্র ও বাড়ি থেকে কেউ আসে নি?
” না তারা তো জানে না আমাদের এখানে রিসেপশনের অনুষ্ঠান হচ্ছে।
” মানে তুমি তাদের বলো নি!
” না
” কেনো?
” তোমার বাবা মায়ের শরীর ভালো নয় তারা এখানে আসলে আরো অসুস্থ হয়ে যাবে তোমার মায়ের অবস্থা তো দেখে এলে।
” ওহ।
বেশ কিছু সময় পর অহনা খেয়াল করলো যারা এই রিসিপশনে এসেছে তারা সবাই পুরুষ,কেমন যেনো চাহনি নিয়ে তারা অহনার দিকে তাকিয়ে আছে,এতে অহনা খানিক অস্বস্তিতে পড়ে।
অহনা শুভ্রর হাত ধরে বলে,,
” শুভ্র এ তো দেখছি সব পুরুষ মানুষ, এতো মানুষের মাঝে আমি একাই নাড়ি,আমরা অস্বস্তি হচ্ছে,
” আমি আছি তো। কথাটা বলতেই এক লোক শুভ্র কে ডেকে এক পাশে নিয়ে যায়। অহনা একা দাঁড়িয়ে থাকতে বোর হচ্ছিলো দেখে তখন দেখা সেই ডাইনিং টেবিলটার কাছে যায়, চেয়ারে বসে থাকা কালিন পেছন থেকে এক লোক অহনার কোমড়ে হাত দেয়,অহনা ভয়ে দূরে সরে যায় লাফ দিয়ে পেছনে ঘুরে দেখে পঞ্চাশ বছরের এক লোক, অহনা ভয়ে সেখান থেকে দৌড়ে গিয়ে শুভ্র কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।
শুভ্র কথা বলছিলো হঠাৎ অহনাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে দেখে শুভ্র অহনাকে নিজের থেকে সরিয়ে অহনার গালে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস
“করে কি হয়েছে অহনা কাঁদছো কেনো
” শুভ্র ঐ লোকটা আ আমায়..
আর বলতে পারলো না অহনা কেঁদে দিলো আবার।
” কোন লোকটা, কি হয়েছে বলো আমায়, না বললে বুঝবো কিভাবে কান্না থামাও।
অহনা কান্না থামানোর চেষ্টা করে সব বলে শুভ্র কে,শুভ্র কথা গুলো শুনে অহনার হাত টেনে নিয়ে ডাইনিং টেবিলের সামনে যায়,ওখানে গিয়ে লোকটিকে খুঁজতে গেলে আর পায় না। সেখান থেকে অহনার হাত ধরে টেনে নিয়ে এসে রিসিপশনে উপস্থিতি সব লোকদের দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে এখানকার মধ্যে কেউ নাকি।
অহনা সবার মুখ দেখে বলে এরা কেউ না।
অহনার কথা শুনে শুভ্র হাত মুঠোবন্দি করে ফেলে।
#চলবে