তার_ইচ্ছে পর্ব_৮_শেষ

0
1397

তার_ইচ্ছে
পর্ব_৮_শেষ
#মাসুদ_রানা_তাসিন

আলো ও সাবিত কে রেখে সবাই বেরিয়ে গেল। আলো সাবিত বলে কান্না শুরু করলো। তারপর সাবিত দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরল।

উহ লাগছে তো দেখনা তুমি।

>> ওহ সরি আমি তো মনে করেছিলাম তোমাকে হারিয়ে ফেললাম।

কেন বিয়ের সাজে বেরিয়ে ছিলে। তখন তোমার আমার কথা মনে পড়ে নি। আমি নাহয় ওয়াদা বদ্ধ ছিলাম। তুমি তো রাইমা সাথে কেমন ঢলাঢলি করে ঘুরে বেড়িয়েছ।

>> তাও তো তোমার জন্য। যান আমি তো পাগল হয়ে গেছিলাম। আবির কে মাঝ রাস্তায় রেখে আমি নেমে গিয়েছিলাম। আর তুমি তো আমাকে ছেড়ে চলে আসলে। তোর জন্য শুধু তোর জন্য ঐ ভ্যাবলি টার সাথে ঢেং ঢেং করে ঘুরে ছিলাম। তোর উপর রাগ করে। কিন্তু মাঝখানে আমি যে এমন কষ্ট সহ্য করব তা ভাবতেই পারিনি।

হ্যাঁ তুমি তো একাই কষ্ট সহ্য করেছ আমি সহ্য করিনি। এটাই বলতে চাচ্ছ তো তুমি।

একদম নয় আপনি তো এই রাজ্যের রানী। মাফ করবেন আমার সাহেবা।

দুজনের অভিমান মিটে গেল। এর মধ্যেই আসীম চৌধুরী ও রাবেয়া খাতুন চলে আসলেন।

আসীম চৌধুরী সাবিত ও আলোর কাছে ক্ষমা চাইলেন।

আলো বলল মেয়ের কাছে বাবা কোন দিন অন্যায় করতে পারে না। আপনি তো আমার বড় বাবা।

সন্ধ্যা বেলায় সবাই চলে যায় আরাভ দের বাড়িতে। শুধু সাবিত থেকে যায়।

এভাবেই সাত দিন চলে যায়। সাত দিনের পর আলো হাসপাতালে থেকে ছাড়া পায়।

আলোকে আরাভ জোর করে রেখে দেয় ওদের আবার বিয়ে হবে তাই।

দশ দিন পর আবার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। এই দশ দিন সাবিত ও আলোর সাত যুগের মত কাটে।

বিয়ের দিন ইশা গেট আটকায় নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে গেট ছাড়ে।

অবশেষে কাজী বিয়ে পরিয়ে দেয়। আবার বিয়ে টা বৈধ হয়ে যায়। বিয়ের সব কাজ শেষে আলো সহ সবাই গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

যেদিন এসেছিলেম মাথা নিচু করে
সেদিন চলে গিয়েছিলেম লুকিয়ে
তবে আজ আসছি ফের মাথা উঁচিয়ে
নতুন করে বৈধতা নিয়ে।

অবশেষে বাড়ির নিয়ম মিটিয়ে আলোকে দিয়ে আসা হয় বাশরে। আজ যে তার পূর্ণ বাসর।

সাবিত মনে মনে ভাবছে, আজ থেকে আর নয়কো লুকিয়ে যেতে হবে মানসপ্রিয়ার কাছে। আজ তো সবার সামনে পেলাম বৈধতা মোর মানসপ্রিয়ার সনে।

আবির : ভাই যা ভাবি ওয়েট করছে। বিড়াল কিন্তু মেরে দিস।

রাইমা রিয়া দুজন হো হো করে হেসে উঠলো। সাবিত দৌড়ে সেখানে থেকে বাঁচল।

সাবিত ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো। আলোর হাতে টাকা দিয়ে বলল তোমার পাওয়া পাওনা মোহরানা আদায়। আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। তার আগে চল দুই রাকাত নামাজ আদায় করি। আমাদের এক করার জন্য।

নামাজ আদায় করল সাবিতের ইমামতিতে। নামাজ আদায় করে নামাজের পাটিতে। সাবিত আলোকে বলল জীবনের প্রথম ঝড় গেল। আরো অনেক ঝড় আসতে পারে, তবে আর আমার কথা বাইরে যাবে না। বাবা মা কে তাদের প্রাপ্য সম্মান প্রদর্শন করবে। তাদের অসম্মান হবে এমন কোন কাজ যেন না কর। একজন আদর্শ বউমা হবে।

যথার্থ বলেছ প্রিয়। আমি আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টাই নিহিত রব।

আচ্ছা আলো বিড়াল কই আবির যে বলল।

ধ্যাত কি যে বলছ তুমি। বলেই আলো লজ্জায় লাল হয়ে গেল। সাবিতের কানে কানে বলল। তারপর বলল এটা কে বলে। ঐ তোমাদের লেখক মহাশয় কিন্তু জানেনা।

আচ্ছা ঠিক আছে আর আপনারা যান কাল নতুন কোন গল্পে দেখা হবে।

সমাপ্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে