তার_ইচ্ছে
পর্ব_৭
#মাসুদ_রানা_তাসিন
আরাভ দৌড়ে এসে বলল কি হয়েছে বোন।
ভাইয়া আমার সাবিত কে এনে দাও ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না। পারব না থাকতে। কেন আমার এমন হচ্ছে। বল না ভাইয়া বল।
আরাভ : কাদিস না বোন। বোঝার চেষ্টা কর। আমি কথা দিচ্ছি তোর সাবিত কে তোর কাছে এনে দেব। ওর ফোন নম্বর দে।
ভাইয়া ওর নম্বর নেই আবির দা ফোন নম্বর আছে। নাও ফোন দাও ০১৭৩৩,,,,,৪৯ তাড়াতাড়ি দাওনা।
আচ্ছা আমি ফোন দিচ্ছি। বলেই ফোন দিল আবির কে।
>> হ্যালো কে বলছেন।
আপনি কি আবির বলছিলেন।
>> জ্বী আপনি কে বলছিলেন। এরমধ্যে আবার সাবিত চিল্লাচিল্লি শুরু করে আলো আলো আলো।
আচ্ছা কার গলা শোনা যাচ্ছে, বলুন আলো বলে যে চিল্লাচ্ছে।
>> আসলে আমার ভাবী চাচাতো বোন দুটোই। আসলে বাবা ভাইকে জোর করে বিয়ে করাচ্ছিল। কিন্তু মাঝপথে ও চলে যায় বিয়েটা আমি করি। বাড়িতে এসে ও আলোকে পায় নি তাই পাগল প্রায়। সারাদিন আলোর নাম জপ করেছে।
ওহ আচ্ছা আপনি ওকে নিয়ে ঢাকা সিটি হাসপাতালে চলে আসুন। আলো আছে সেখানে।
>> কি হয়েছে আলোর বলুন। কি হয়েছে ওর। আচ্ছা আমরা আসছি। বলেই ফোন কেটে দিল।
এই সাবিত ওঠ ভাই আলোর কাছে যাব। রিয়া ও রাইমা তোমরা তৈরি হয়ে নাও। মা তোমার যাওয়ার দরকার নেই।
আমার আলোর কি হয়েছে। ও কি সত্যিই আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। না ও আমাকে ছেড়ে চলে গেলে আমি বাঁচতে পারব না। আলো কোথায় তুমি দেখে যাও এরা কি বলছে। বলেই হাসতে শুরু করলো আবার কান্না।
আবির : চল এভাবেই তোকে নিয়ে যেতে হবে। বলেই ওরা বেরিয়ে পড়ল। উদ্দেশ্যে হাসপাতাল।
*********
আদি আহির দুজন দুপাশে বসে আছে আলোর। ইশা ইলমা আরাভ বসে আছে।
আদি : আচ্ছা ও তো দেখতে পুরো তারার মতো তাই না আহির।
আহির : হ্যাঁ ভাইয়া। পুরোটা কিন্তু বোনটা যে অকালে জান্নাতে পথে পাড়ি দেবে জানতাম না।
আদি : আচ্ছা আলো তুমি, আমি আর আহির তিনজন এক বয়সী হব। এভাবেই চুপ করে থেকো না।
আচ্ছা আমার সাবিত আসবে কতক্ষন। ভাইয়া ও কি বিয়ে করে ফেলেছে। আমায় ভুলে গেছে তাই না।
আরাভ : না বোন। আবির ঐ বিয়ে করেছে। সাবিত সহ ওরা আসছে।
ভাইয়া তুমি আমাকে সান্তনা দিচ্ছ তাই না।
আরাভ : তোর কি তাই মনে হয়। সত্যিই তাই রে বোন।
এর মধ্যেই ডাক্তার এসে পড়ে আলোকে দেখে বলে উঠল ইয়াং লেডি ভাগ্য করে এমন পরিবার পেয়েছ। যারা কাল সারারাত ওটির বাহিরে বসে ছিল। আর স্যালাইন খুলে দিচ্ছি ওকে আধা ঘন্টা পর হালকা গরম পানীয় কিছু খাইয়ে ফল দেবেন।
আর ইয়াং লেডি তুমি ও তোমার স্বামী আমার চেম্বারে আসবে সুস্থ হলে বুঝেছ।
আর ওর স্বামী কোথায় উনাকে দেখছি না
আরাভ : আসছে ওরা দুরে থাকে । তাই আসছে।
ডাক্তার চলে গেল। আরাভ আদি আহির কে উদ্দেশ্য করে বলল যা হালকা গরম রং চা নিয়ে আয়। আর কয়েক রকমের ফল আনবি।
আদি আহির একসাথে বলে উঠল যাচ্ছি ভাইয়া।
*********
এই তোরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস। আমি আমার আলোকে পাব। এই বোন আবির না খুব পেকে গেছে তুই বল পাব।
রিয়া : ভাইয়া আমরা আলোর কাছে যাচ্ছি।
এই বেয়াদব মেয়ে আলো কি ভাবী বল।
রিয়া : ঠিক আছে ভাইয়া, আমরা ভাবীর কাছে যাচ্ছি।
রাইমা আবির কে বলছে শুনছ আলো আপার কি হয়েছে কিছু কি বলেছে।
আবির : না কিছু বলেনি, তবে যেতে বলেছে। আলো ভর্তি আছে সেখানে।
********
রাবেয়া খাতুন আসীম চৌধুরী কে বলছে আর কত খেলবে। নিজের ছেলের সাথেও এই খেলা খেলতে পারলে। নিজে প্রেমে ব্যর্থ হলে তাই এই ভাবে খেলছ। তবে শুনে রাখ ছেলে মেয়ে ও বৌমারা ফিরলে তাদের সব বলে দিবো।
এই রাবেয়া আমি শুধরে নেবো আমি তো জানতাম না যে সাবিত আলো কে বিয়ে করেছে। না হলে কোন দিন এমন করতাম না। কারণ প্রেমে ব্যর্থ হওয়ায় যন্ত্রণা সহ্য করতে কত কষ্ট তা আমি জানি। আর তোমাকে কিছু বলতে হবে না। চল আমরা যাব হাসপাতালে।
*******
আদি আহির দুজন দুপাশে আলো কে খাইয়ে দিচ্ছে। আলো চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যেই আবির আরাভ কে ফোন করে বলে যে ওরা কোথায় আছে। আরাভ কেবিন নাম্বার বললে। আবির বলে যে ওরা এসে পড়েছে।
আচ্ছা আবির আমাকে হাসপাতালে কেন আনছিস। কোথায় আমার আলো। বল কোথায়।
আবির কিছু না বলে উপরে যাচ্ছে। সাবিত তার পিছুপিছু যাচ্ছে। কেবিনের সামনে এসে দাড়িয়ে পড়লো।
সাবিত সহ ভিতরে ঢুকল। আলো যখন সাবিত কে দেখল, আলোর চোখ থেকে পানি, বের হওয়া শুরু করলো। কারণ সাবিত পাগলের মতো এসেছে। সবসময় হাসিখুশি ছেলে ও কেমন চেহারা হয়েছে। শুধু বলল সাবিত।
আলোকে দেখে সাবিত রেগে গেল। আদি আহির দুজন দুপাশে বসে আছে আলোর। এই তোমরা কে আমার আলোর কাছে বসে আছো কেন। সরে যাও বলছি , সরে যাও।
সাবিত ওরা আমার ভাই। সাবিত বলে উঠল তোর ক্লাস পড়ে নিচ্ছি। এই বজ্জাতের কাঁদি আমার বউয়ের পাশে কি। সর বলছি।
সাবিত দা তোমার স্বভাব বদলে যায় নি। ও আমার একমাত্র ফুফাতো বোন। এখন তো বুঝবে। “”শালার কত জ্বালা””।
চুপ
“”আদি আদি আদি বজ্জাতের কাঁদি আদির নাই ঘর আমার বউয়ের পাশে থেকে সর””
আলো ও সাবিত কে রেখে সবাই বেরিয়ে গেল। আলো সাবিত বলে কান্না শুরু করলো। তারপর
চলবে,,,,,,,,,