গল্পের নামঃ- #তার_শহরের_প্রেম😍😍
লেখিকাঃ- konika Islam sanju
part:02
সেই কখন থেকে গোসল করে বাথটাবের পাশে বসে আছে আয়াত,,,, ধূর ভালো লাগে না বেটা আয়রন সেই কখন থেকে আটকে রেখে দিয়েছে ওয়াশরুমে।এখনো খুলে নেই মারা টারা গেলো নাকি আরিফা আপুর দুঃখে,, এই যে শুনছেন??? কোথায় গেলো!! এই,যে । কোন দজ্জালের পাল্লায় পরলাম!!!
নিচে বসে বসে খাবার খাচ্ছে আয়ান ( নায়করে নাম আয়ন থেকে চেন্ঞ্জ করে আয়ান রাখা হলো) তখনই আয়নের মা বলে
—- কিরে আয়ান,, আয়াত ঘুম থেকে উঠেনি?? আয়ান,,,, জুস খেতে খেতে বলে
—- তাই বল নতুন বউ এভাবে পরে পরে ঘুমায়??? আয়ানের দিদুন বলে
—- চুপ কর আয়ান,, মেয়েটার দিক টাও তো বুঝতে হবে,,,, সে কি প্রস্তুত ছিল কালকের জন্য!! সব দোষ তো ঐ আরিফার। আয়ানের বাবা বলে
—- আহহহহহ মা বদা দাও না। আয়ানের কাকি মা বলে
—- হ্যা মা বদাদেন,, আসল কথা হচ্ছে আয়ানের জুটি আমাদের আয়াতের সাথে ছিল,,, । আয়ান খাবার ছেড়ে উঠে বলে
—- আমার খাবার হয়ে গেছে,,, আর উপরে চলে যায়,, দেখে আয়াত দরজা ধাক্কাচ্ছে,,,
—- এই যে দরজাটা একটু খুলুন না,, এই যে শুনেছেন?? ধূর কোথায় গেলো,,, একদম ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। দরজার সাথে লেগে কথাটা যেই না বললো,, তখনই আয়ান দরজা খুলে দেয়,, আর আয়াত সোজা গিয়ে পরে আয়ানের উপর। আয়ান মেঝেতে পরে যায় আর আয়াত তার উপর ভিজা চুলে লেপ্টে আছে আয়াতের মুখ,,, আয়ান চোখ-মোখ খিঁচে বন্ধ করে আছে। আয়ান বলে
—- ঐ লোহার বস্তা উঠ তোর মতো মুটি আমার উপর পরেছে আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। আয়াত রেগে গিয়ে সেভাবেই আয়ানকে বলে
—- কি বললেন?? আমি মুটি?? মাত্র ৫০ কেজি,,, আর পানি?? ৬৫/৭০ কেজি আপনার ওজন তাহলে কালকে আমি কি ভাবে নিয়েছি,,,, আমার উপরে কিভাবে পরেছিলেন কালকে। আয়ান আয়াতকে ছাড়িয়ে সোজা হয়ে উঠে বলে
—- এক মুনের উপরে,,, আবার নিজেকে চিকন বলে,,, এই শুন কথা কম বলবি,,, এত কথা বলিস কেন? আয়াত রেগে উঠে দাড়িয়ে বলে
— দেখুন আমাকে তুই তুই করে বলবেন না,, আমি আপনার বিয়ে করা বউ একটু সম্মান দিয়ে বলবেন।নয়তো। আয়ান এক ভ্রু উচু করে আয়াতের দিকে আগাতে আগাতে বলে
—- নয়তো কি??? আয়ানকে আগাতে দেখে আয়াত পিছাতে লাগে,,,, আয়ান বলে
— নয়তো কি!! বল।। পিছাতে পিছাতে একবারে বেডের কাছে চলে এসেছে,, তখনই আয়ান সামনে আসলে,,আয়াত পরে যেতে চাইলে ,, আয়াত আয়ানের টিশার্ট ধরে আর দুজন সোজা গিয়ে পরে বেডে।। তখনই রুমে আসে আয়ানের বোন আলভিরা,,, আর চাচাতো বোন আরবি, দরজা,,, আয়ান রাগে লক করতে ভুলে যায়, আরবি বলে
—- সরি সরি,,, আমরা কিছু দেখেনি দেখেনি,, আসলে আয়ান ভাইয়া তোমাকে আর ভাবিকে নিচে খেতে যেতে বলেছে,,, বাবা অনেক রাগ করেছে ভাইয়া খাবার ছেড়ে এসেছে তাই,, তোমরা নিচে আস আমরা যাই,,, বলেই চলে যায়। আয়াত অবাক চোখে তাকিয়ে আছে,,, কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতের ঘি,, যা ভাবছে তা কিছুই হয়নি,,, আহাম্মকের দল!!!
__________________
আয়াত তাড়াতাড়ি করে উঠে বলে
— সব দোষ আপনার কি ভাবলো ওরা!! আয়ান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে
—- যা খুশি ভাবুক আমার কি!! আয়াত বলে
— আপনার কি মানে?? আপনার কিছু যায় আসে না? আয়ান উঠে বসে বলে
—- দেখ তুইও ভালো করে জানিস আমাদের মাঝে তেমন কোনো সম্পর্ক নেই আমি আরিফা কে লাইক করি। আয়াত রেগে আয়ানের টিশার্ট ধরে নিজে কাছে নিয়ে এসে বলে
—- দেখুন বাজে বকবেন না,, আমারা বিয়ে নামক এক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ,, আর আরিফা আপু যে আপনাকে মাঝ পথে ফেলে চলে গিয়েছে তাও কেন তার কথা বলছেন,,, আর বিয়ের পর অন্য আরেকজনকে নিয়ে ভাবা মানে পরকিয়া,, বুঝছেন!?? আয়ান রেগে নিজের টিশার্ট ছাড়িয়ে বলে
—- বেশি বুঝিস না,,, ।। আয়াত রেগে ড্রেসিং টেবিলের কাছে গিয়ে চুলগুলো চিরুনি করতে করতে বলে
—– দেখুন আমি অবলা নারী না,, আপনার সাথে আমার বিয়ে হেয়েছে তাই,, বলছি আপনি আমার,, আর এখন আমার খুদা লেগেছে,, নিচে আসুন খেতে,, এই বলে দরজার কাছে যেতেই আয়ান বলে
— এত যে নিজেকে বউ বউ বলে দাবি করছিস তা জানিসনা নতুন বউদের এমন চেটাং চেটাং কথা বলতে নেই, আর তুই একা নিচে যাবি!! মানুষ কি ভাববে? আয়াত বিরক্ত হয়ে বলে
—- তা আপনিও তো হাসবেন্ড তাই না??? তা সেই হাসবেন্ড হয়ে আমার কোন মহৎ কাজটা করেছেন? নিজেতো খেয়ে এসেছেন কম বেশি আর আমি?? সে খবর আছে? থাকবে কি করে!! আয়ান রেগে উঠে বলে
—- নিচে চল আমি দেখব তুই কত খেতে পারিস। আয়াত বলে
—- আপনার মতো হাসবেন্ড যে পাবে তার কপাল পুরা,, এখন আপনি এটাও দেখবেন আমি কেমন খাই??? আয়ান বলে
—- তোর মতো বাচাল আমি দুইটা দেখিনি যা সর। বলেই নিচে যেতে লাগে,, আয়াতও সেম আয়ানের পিছু পিছু যেতে লাগে,, নিচে নেমে চেয়ার টেনে বসে আয়াত,,, তা দেখে আয়ানের দাদিমা বলে
—- কি গো নাত বউ ঘুম হলো!??? আয়াত বলে
—- হুমম দিদুন। আয়ান বলে
—- আম্মু বাবা কাকা কেথায়??!! আয়ানের মা আয়াতকে ব্রেকফাস্ট দিতে দিতে বলে
—- তোর কাজে রেগে আছেন দুজনই,,, তুই বাড়ির ছেলে তা তোর বাবা-কাকাইকে তো জানিসই কেমন তারা। আয়ানের চাচি বলে
—- আহহহহহ ছোট বাদ দে তো,,, আয়াত তোমার কিছু লাগবে?? তখনই আরবি বলে
—- হেহে,, ভাইয়াই তো আছে,,, তাই না ভাইইইইইয়া!!! আয়ান আয়াত আর আরবির দিকে রাগী চোখে তাকায় তা দেখে আলভির গান গায়
—- Nazar Thi Paini Hui Bechaini
Aankhon Aankhon Mein Shaitani Ho Gayi
Saiyaan Ne Dekha Aise
Main Pani Pani Ho Gayi,,,,, আলভিরার গান শুনে আয়ানের গলায় খাবার আটকে যাওয়ার অবস্থা । আর অন্য দিকে আয়াত আয়নের কান্ড দেখে মনে মনে বলে
—– তোর ভাই একটা খচ্চর,, আমাকে বাথরুমে আটকে রাখে,,, আর তোর এই ভাইয়ের জন্য বিশুদ্ধ পানিতেও আয়রন জমে যাবে,,,কি খবিশ মার্কা হাসবেন্ড,, তখনই আয়াতের পায়ে কেউ খুব জুড়ে পা রাখে,,, হঠাৎ এই কাজে আয়াত ভয় পেয়ে যায়। ভয়ে লাফিয়ে ওঠে,,,, সে তা দেখে সবাই বলে
—– কি হয়েছে!! কি হয়েছে??? আয়াত খেয়াল করে দেখে আয়ান ঠোঁট চেপে চেপে হাসছে। তা দেখে আয়াত বলে
—- আর বল না,, একটা বিশাল বড় দত্য আমার পায়ে পা রেখেছে,,।। আলভিড়া বলে
—- সেই দত্য টার নামি কি আয়ান রাহমান নাকি ভাবি?? আয়াত হেহে করে হাসি দিয়ে বলে
—- তুমি দেখি খুব বুদ্ধি মান। আয়ান পানি খাচ্ছিল আয়াত আর আলভিরার কথা শুনে মুখ ফসকে পানি বেড়িয়ে আসে আর সেটা গিয়ে পরে আরবির উপর,, সবাই মুখ চেপে হাসছে,,, আয়ান বেশ লজ্জা পাচ্ছে। তা দেখে আয়াত মনে মনে বলে
—- ভাবটা এমন করছে যে সে নতুন বউ,,, আরে আমি নতুন বউ তোর বউ তুই লজ্জা পাবি কেন? পাবো তো আমি,,, কিন্তু আমার তো লজ্জা লগছে না,, আমার তো তাকে দেখে সেই শান্তি লাগছে। আয়ানের মা বলে
—– আয়াত রুমে যা,, রিসিপশনের জন্য তোকে পার্লার থেকে লোক আসবে সাজাতে,, আর আয়ান তুইও যা,,, ।। আয়ান বলে
—- আমি কি করব!! আয়ানের দিদুন বলে
—- একটু টাইম দে,,, দুজন দু’জন কে বুজ। আয়ান বলে
—- অকে কি বুঝব,,, আয়ানের মা বলে
—- তোরা এখন থেকে একে অন্যর সাথে থাকবি তো,, আয়ান বলে
— বুজছি,, আয়াত উপরে আয়। আয়াত রাগে ফুসছে রুমে তুই বলে আলাদা হিসাব সবার সামনে তুই বলার কি আছে??! রুমে প্রবেশ করতেই আয়তা আয়ানকে বলে
—- দেখুন আমাকে আপনি সবার সামনে তুই তুই করে বলবেন না নয়তো আমিও,, আপনাকে তুই তুই করে বলবো। আয়ান আয়াতের মাথায় গাট্টা মেরে বলে
—- ছোট ছোটর মতো থাকবি। আয়াত বলে
—- আমি এখন কলেজে পরি,, কিছু দিন পর ১৮+ হয়ে যাবো,, বুজছেন। আয়ান আয়াতকে বেঙ্গ করে বলে
—- ১৮+ হয়ে যাবো,,, হাপ যাহ ভাগ,,
চলবে??