#তান্ডবে_ছাড়খার
#পর্ব_১০
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর
আফিয়া বেগম বেশ চিন্তিত্ব।তাহসানের ছটফট উনার চোখ এড়ায়নি। মাস ছয়েক পরে ছেলেটার বিসিএস পরিক্ষা,যেই পড়ার জন্য এতো ভালো চাকরি ছেড়ে দিলো এখন সেই পড়া ছেড়ে কি এমন চিন্তায় তাহসান এমন ছটফট করছে এটাই উনার বোধগম্য হচ্ছে না।কিছু দিন ধরেই এমন হচ্ছে,তাহসান কেমন অন্যমনস্ক হয়ে গেছে,কিছু বললেই রেগে যাচ্ছে।আফিয়া তরকারির কড়াইয়ে কাঠি নাড়তে নাড়তে ভাবে যে’না আর এভাবে চলতে দেয়া যাবে না ছেলের অমঙ্গলের এই কালো ছাঁয়া তাড়ায়ে হবে খুঁজে বের করতে হবে কিসের জন্য তাহসান চিন্তিত্ব’ভাবলেন আজকে থেকে ছেলেকে চোখে চোখে রাখবেন এতে যদি সমস্যাটা সামনে আসে।
তাহসান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী পড়ার চেষ্টা করছে কিন্তু পড়া হচ্ছে না।লাইন টু লাইন পড়ছে কিন্তু মাথায় কিছুই থাকছেনা। আসলে কোনো বিষয় পড়ার সময় কল্পনা করতে হয় যে স্বয়ং নিজেই বইয়ের মাঝে প্রবেশ করেছে,মনের দ্বারপ্রান্ত শুধু তখন বইয়ের মাজেই থাকতে হয় তাহলেই পড়া মনে থাকে,বুঝতে সহয হয় কিন্তু তার মনের দ্বারপ্রান্তে যে আরেকজনের উঁকিঝুঁকি!এইজন্যই তো পড়ায় মন নেই, পড়ার মাঝে বারংবার অমনোযোগী হচ্ছে,বিরক্তিতে মাথার চুল টেনে ধরে টেবিলে মাথা ঠেকায়।সে ছাড়া আর কেউ জানবে না কি অসহ্য যন্ত্রণায় সে দিন কাটাচ্ছে।ইচ্ছে করছে কোথাও চলে যেতে।সে টেবিল থেকে উঠে বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে পড়ে।তার মনে হলো সিলিংয়ে বন্যার হাসিমুখটা ভেসে উঠেছে।তাহসানের বুকটা কেমনতর ব্যাথায় ভরে উঠে সে চোখ বন্ধ করে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বন্ধ চোখের পাতায়ও বন্যার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে।তাহসান চোখ বন্ধ করেই বিরবির করে বললো,
“একবার ভালোবেসেই দেখতে!আমি ভালোবেসে সব কলঙ্গক ধুয়ে মুছে দিতাম।”
তাহসান জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলে বুকে হাত রেখে বললো,
“আমার শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়,বুকে যন্ত্রণা হয়,সারা শরীর কেমন অসাড় হয়ে আসে,এসব অসুখের কথা কাউকে বলা যাচ্ছে না,এতো বড়ো ছেলের থেকে এমন অসুখের বিবরণ শুনতে পাওয়া সঠিক না।আমি একটুও ভালো নেই বন্যা একটুও না।”
রেনু বেগম বন্যার দিকে খেয়াল রাখছিলো।এমনিতেই তার মেয়েটা সব মেয়েদের থেকে আলাদা।এখন আরো নিশ্চুপ হয়ে গেছে।সেদিন তাহসানকে বলা কথাগুলো পুরোপুরি শুনতে না পেলেও এটা বুঝতে পেরেছে বন্যা আর তাহসানের মাঝে রাগারাগি হচ্ছিলো।আগ বাড়িয়ে উনি বন্যাকে একটু জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলো কিন্তু বন্যা বলেছে সে এসব ব্যাপারে কথা বলতে চায় না।রেনু বেগম আর জোড় করেনি কিন্তু স্বামীর কাছে গিয়ে বন্যার জন্য পাত্র দেখার তাড়া দেয়।মেয়েদের সঠিক বয়সে বিয়ে না হলে মন মেজাজ ঠিক থাকেনা তাই উনি সিদ্ধান্ত নেয় বন্যাকে অতী দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেবেন।
এই পনেরো দিন বন্যা না কেঁদে একদিনও ঘুমাতে যায়নি আর ঘুম থেকে উঠেছে বুকের মাঝে অজানা চিনচিন ব্যাথা নিয়ে।সে চায়না তাহসান তার সাথে জড়িয়ে যাক কিংবা ভালোবাসুক তাইতো সেদিন মায়ের সামনেই কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু তাহসানের কথা না বলা একবারও দেখা না করাটা বন্যা মানতে পারছেনা।মনের আকুলিবিকুলি সে বেশ টের পায় মন চাইছে তাহসান আসুক জোড় করে হলেও পাশে বসুক,ভালোবাসা আদায় করে নিক কিন্তু সে আসছেনা, ভুল করেও বন্যাকে ডাকছে না।বন্যার দুঃখী মনটা হঠাৎ করে অভিমানী হয়ে গেলো,ঠিক তো ভুলে গেলো তাহলে এতো ভালোবাসা দেখাতে কে বলেছিলো?বন্যা হাসে তাচ্ছিল্য ভরা হাসি;হেসে ভাবে সে ধর্ষিতা এটা জানার পরে কোন ছেলে তাকে ভালোবাসবে এটা আশা করা বোকামী ছাড়া কিছুই না।বন্যা আসলেই বোকা।তখন দুপুর।শুক্রবার হওয়াতে সবাই বাসায় আর এখন সবাই ভাতঘুমে বিভোর।বন্যা ছাদে উঠে যায়,প্রায় পনেরো দিন পরে আজকে ছাদে গেলো,তাহসানের সাথে দেখা হওয়ার ভয়ে ছাদে অবধি আসেনি।আজকে সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে।আকাশের মেঘরাও বুঝি বন্যার আকাশের কালো মেঘের অস্তিত্ব টের পেয়েছে তাইতো বন্যাকে সঙ্গ দিতে সকাল থেকে এই আয়োজন।তাইতো বন্যা বাসায় থাকতে পারেনি বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দ যেনো তাকে কানে কানে ডাকছে।সে আস্তে করে সিড়ির দরজা খুলে ছাদে প্রবেশ করে।ছাদের ফ্লোরে পানি জমেছে বন্যা তার ট্রাউজার গুটিয়ে পা ফেলে।হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি গা স্পর্শ করতেই সারা শরীরের পশম মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যায়,জানান দেয় শীত লাগছে।বন্যা অবশ্য এসব তোয়াক্কা করে না,পা ফেলে সামনে যায় বৃষ্টির পানি চিরে চিরে তার গা ছুঁয়ে যাচ্ছে।সে ভাবে কেমন হতো যদি বৃষ্টির পানির সাথে মানুষের সব কষ্ট ধুয়েমুছে চলে যেতো!যদি এমনটা হতো তাহলে এই মূহুর্তে বন্যা হতো সবচেয়ে সুখী মানুষ।বন্যা দু’হাত দু’দিকে ছড়িয়ে দেয়;তারপর আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়ায়।হঠাৎ মনে পড়ে সেদিন বৃষ্টিতে ভিজার সময় তাহসান পাশে ছিলো আর তাকে পাখির মতো ঘুরিয়েছে।আর সেদিনই বৃষ্টি ভেজা রাতে তাহসান তার এলোমেলো আবদার তার সামনে উপস্থাপন করেছে,এসব ভাবতে ভাবতেই বন্যা হু হু করে কেঁদে দেয়।বৃষ্টির শব্দে অন্যকেউ কান্না শোনার ভয় নেই বিধায় যে জোড়ে জোড়ে কাঁদে।অনেক বছর পরে বন্যা এমন গলা ছেড়ে কাঁদছে।সেই ঘটনার পর থেকেই তো বন্যা পালটে গেলো।সেই ঘটনাটা মনে করেও মনকে বুঝানো যাচ্ছে না যে তাহসানকে ভালোবাসার আশকারা দেয়া যাবেনা বরং প্রথম বারের মতো তাহসানকে নিয়ে তার ভয়ংকর সব ইচ্ছা হচ্ছে।এই যে এখন ইচ্ছা করছে ছেলেটার বুকে মাথা রেখে কাঁদতে,ঠোঁট উলটে আহ্লাদী হয়ে অভিমানী বাক্যবাণ ছুড়ে দিতে কিন্তু সব ইচ্ছা তো পূরণ হয় না বন্যার এই ইচ্ছাও হবে না।বন্যা কখনো সে আশার বীজ বুকে পুষতেও পারবেনা কারন সে ধর্ষিতা।ঠিক তখনি বন্যা আবিষ্কার করে তার পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।সে মাথা ঘুরিয়ে তাকানোর আগেই বুঝে যায় এটা তাহসান ;তাই আর তাকায় না,কান্না তখন বন্ধ,সে হাত দিয়ে মুখ রগরে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে।
তাহসানের কেনো যেনো মনে হচ্ছিলো বন্যা আজকে ছাদে যাবেই তাইতো সেও ছুটে এসেছে।প্রেমে পড়লে নাকি মানুষ বেহায়া,বেশরম হয়ে যায় এই কথাটা সে এতোদিন লোকমুখে শুনে এসেছিলো বর্তমানে নিজেকে দিয়েই কথাটার সত্যতা প্রমাণিত হয়।হ্যাঁ;তার অনুমান ঠিক ছিলো সিড়ির শেষ পর্যায়ে এসে দেখলো দরজা খোলা;ধীর পায়ে সামনে এগিয়ে যায় কানে আসে মেয়েলী কান্নার শব্দ।চোখ মেলে ছাদের বাম পাশে তাকায়।বন্যা!অঝোর ধারায় কাঁদছে।সে নিঃশব্দে পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।মনের কুঠরিতে বাস করা রমনীকে এমন কান্নারত অবস্থায় দেখে তাহসানের ভালো লাগে না।বন্যা বোধহয় টের পায় তার উপস্থিতি তাইতো কান্না থামিয়ে কেমন শক্ত হয়ে দাঁড়ায়।তাহসান আস্তে করে বললো,
“কাঁদছো কেনো?”
বন্যা সজোরে মাথা নাড়ায় কিন্তু কথা বলে না।কিছুক্ষণ পরে বললো,
“কাঁদছি না।”
“আমি দেখলাম কাঁদছো।”
বন্যা তাহসানের দিকে তাকায় না;না তাকিয়েই বললো,
“আপনি ভুল দেখেছেন।”
তাহসান ঘুরে বন্যার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
“তাহলে চোখজোড়া এমন লাল কেনো?হুহ?”
“বৃষ্টিতে ভিজেছি তাই।”
তাহসান হাসে।আত্মবিশ্বাসের সাথে বন্যার চোখের দিকে অপলক তাকিয়ে বললো,
“মিথ্যা বললেই আমি বিশ্বাস করবো কেনো?আমি জানি তুমি আমার জন্য কাঁদছিলে।”
বন্যা চোখ ফেরাতে পারে না;তাহসানের দিকে তাকিয়েই বললো,
“আপনার জন্য কাঁদবো কেনো?”
“আমাকে ভালোবাসো তাই।”
বন্যা রাগতে চাইছে কিন্তু এই মূহুর্তে রাগতে পারছে না।তাহসানের সামনে না চাইতেও কোমল হয়ে যায়,নারীসুলভ ব্যবহার মাথা নাড়া দিয়ে উঠে।তাহসানের কথা শুনে বন্যার মনটা বলে হ্যাঁ আমি ভালোবাসি কিন্তু মুখে বলে,
“কেনো ভালোবাসবো?ধর্ষিতাদের ভালোবাসা কিংবা কারো ভালোবাসার মানুষ হওয়া বারণ।”
ধর্ষিতা!তাহসানের মাথা ঝি ঝি করে উঠে।এই মেয়েটা ইচ্ছে করে এই শব্দটা বারবার ব্যবহার করে নিজেকে ছোট করতে চায়।সে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে তারপর বললো,
“নিজেকে এতোটা ছোট ভাবো কেনো বলোতো?”
বন্যার বুকের চিনচিনে ব্যথা যেনো তাহসানকে দেখে আরো বেড়ে যায়।মাথা নেড়ে বললো,
“ছোট ভাবিনা কিন্তু সবাই আমাকে তাই ভাবে।”
“কোন সবাই?”
“সবার মাঝে আপনিও আছেন।”
তাহসান অবাক হয়ে বললো,
“আমি!আমি কখন এসব বললাম?”
বন্যা অন্যপাশে ফিরে বললো,
“বাদ দেন তো।”
তাহসান বাদ দেয় না।নাছোড়বান্দার মতো বললো,
“আমাকে নিয়ে এই মনোভাব?”
বন্যা কথা বলেনা।তাহসান বললো,
“আমাকে নিয়ে এসবই ভাবো বুঝি?”
বন্যা তাহসানের চোখের দিকে তাকায় তারপর ফিসফিস গলায় বললো,
“আমার থেকে কেনো দূরে সরে গেলেন?আমি ধর্ষিতা এই কারনেই তো?”
তাহসান অবাক হয়ে বললো,
“তুমি তো এটাই চাইছিলে,।”
বন্যা কন্ঠটা কেমন অভিমানী শোনালো।
“তাই!কিন্তু আপনি তো আর অতীত জেনেই পিছিয়ে গেছেন।”
তাহসানের কন্ঠ কেমন কঠিন শোনায়।
“আমার ভালোবাসা এতোটাও ঠুনকো না,এসব জানার পর পিছানোর মতো মন মানষিকতা আমার নেই।”
বন্যা কোনো কথা বলেনা।তাহসান নিজেই আবার বললো,
“তুমি কাছে আসতে নিষেধ করেছো বলেই আমি কাছে আসিনি আর এটার জন্য ভাবতে হবেনা তোমার কালো অতীত জেনেই কাছে আসছি না।”
বন্যা তাহসানের গভীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,
“আচ্ছা।”
“এসব ভেবেই কাঁদছিলেন?”
বন্যা স্বীকার করে না বরং দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে বললো,
“না না।”
তাহসান কোমল গলায় বললো,
“একবার ভালোবাসো।সারা জীবন আগলে রাখবো।”
বন্যা কিছু না বলেই বৃষ্টির মাঝেই তাহসানের দিকে কেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকে।তাহসান ফিসফিস করে বললো,
“আমি ভালো নেই বন্যা।একটুও ভালো নেই।”
বন্যা যেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে ছিলো তেমন গলায় বললো,
“আমিও তো ভালো নেই।”
তাহসান সাহস পায়।বন্যার কথায় সরাসরি না হলেও সে উষ্ণতার আভাস পাচ্ছে।
“ভালো থাকার দায়িত্বটা নেই?একটুও খারাপ থাকতে দেবো না।প্রমিস।”
তাহসানের বলার ভঙ্গিমা দেখে বন্যা কিছু না বলে হাসে।তাহসান এতোক্ষণে খেয়াল করে বন্যার শরীরের ভাজ।সাদা শার্ট পরিহিতা বন্যা বৃষ্টিতে ভিজার ফলে শরীরের সাথে শার্টটা লেগে গিয়ে গায়ের কালো অন্তবাস স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।সবসময় ঢোলা শার্ট পড়ে বিধায় বন্যার শরীরের গঠন বুঝা যায় না আজকে না চাইতেও তাহসানের সামনে নারী দেহের নমনীয় রূপ ফুটে উঠেছে।তাহসান শুকনো ঢোক গিলে অন্যদিকে তাকায় তারপর আবারো বন্যার দিকে তাকায়।সে অন্য পুরুষদেরমতো নারীদেহ দেখেই চোখের তৃষ্ণা মেটাতে চায় না সে চায় পবিত্রতা;তাদের সবটা জুড়েই যেনো পবিত্রতা থাকে।তার গায়ে গেঞ্জি আছে তাই কোনোকিছু না ভেবেই তার গায়ের কালো শার্ট খুলে বন্যার হাতে দিয়ে বললো,
“এটা পড়ে নাও তো।”
বন্যা তার এমন কাজ দেখে অবাক।
“কেনো?”
তাহসান কিভাবে বলবে বুঝতে পারে না।যদি বন্যা আবার তাকে খারাপ ভাবে?
“মানে তোমার..”
বন্যা মাথা নিচু করে নিজের দিকে তাকিয়ে ছো মেরে তাহসানের হাত থেকে শার্ট নিয়ে অন্যপাশে ফিরে পড়ে নেয়।এই বৃষ্টির মাঝেও তার কান গরম হয়ে গেছে।তাহসান আস্তে করে বললো,
“বৃষ্টিতে ভিজলে ডার্ক কিছু পড়তে হয় তাহল আর এমন হবে না।”
এমন কথায় বন্যা কি উত্তর দেবে খুঁজে পায় না।মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে বললো,
“আচ্ছা।”
তাহসান বন্যার লজ্জামাখা মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,
“তোমাকে লজ্জামাখা চেহারায় ভিষণ মিষ্টি লাগছে।”
বন্যা অন্যদিকে তাকায় তাহসান বন্যার হাত ধরে বললো,
“বন্যা!”
“এই বন্যা!লিখে ফেলি?”
বন্যা কথার মানে বুঝতে না পেরে বললো,
“কি?”
তাহসান খুব ফিসফিস করে বললো,
“আমাদের ভালোবাসার সূচিপত্র।”
দুজনে হাত ধরে যখন চোখের মাঝে হারিয়ে যাবে তখনি তারা শুনতে পেলো আফিয়া বেগমের ছিটকে আসা গলা।উনি বিষ্ময়ে চিৎকার করে বললো,
“তাহসান!এসব কি?”
চলবে……।