ডায়েরির শেষ পৃষ্ঠা পর্ব-০৮

0
23

#ডায়েরির_শেষ_পৃষ্ঠা
#পর্ব_৮
#সমৃদ্ধি_রিধী

অহমির ইচ্ছে হলো মাহিদের মাথায় একটা বাড়ি মারতে। তাও শান্ত দৃষ্টিতে মাহিদের দিকে তাকিয়ে ওদের গ্রুপটার পিপল ওপশানে গিয়ে সাতজনের গ্রুপটার সকলের নাম বের করলো। তারপর মাহিদের দিকে মোবাইল তাক করে বলে, “এইযে এখানে আমার নাম অহমিকা তাজরীন, আর আমার আরেকটা ফ্রেন্ডের নাম তাজরীন আহমেদ। সাবিহা সেই তাজরীনকে ট্যাগ দিয়েছে। আমাকে ওরা অহম বলেই ডাকে।”

মাহিদ হা করে রয়। হুদাই চোটপাট করলো নাকি? ছোট করে বলে, “সরি!”

অহমি একবার ভাবলো এমন মাতব্বরির জন্য আর খাবারের অফার দিবে না। তাও শান্ত স্বরে বললো, “টেবিলে খাবার দিচ্ছি। ভদ্র ছেলের মতো খেতে আসেন।”

মাহিদও অহমির পিছন পিছন ডাইনিং টেবিলে গেলো। অহমি দুটো প্লেটে খাবার বাড়ছে। মাহিদ হাত ধুঁয়ে নিজের জায়গায় বসতে বসতে বলে, “নয়টা বা দশটা বাজলে খেয়ে ফেলতে পারো না? আমার জন্য লেট করার মানে হয় না।”

সব হচ্ছে কথা বলার অযুহাত। বিয়ের নবম দিনের মাথায় মাহিদ বলেছিলো- লাঞ্চ তো একসাথে করা হয় না তবে অহমি যে ওর জন্য বসে থাকে, তারপর একসাথে ডিনার করে মাহিদের ওইটা খুবই ভালো লাগে। অহমি মুখে খাবার তুলতে তুলতে ধীমে কণ্ঠে বলে, “আচ্ছা কালকে থেকে আম্মির সাথে খেয়ে ফেলবো।”

ফিরোজা বেগম সবসময় নয়টা থেকে দশটার ভিতর ডিনার সেরে ফেলেন। আগে মাহিদের জন্য ঘুমে ঝুঁড়তে ঝুঁড়তে এগারোটা বা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ওয়েট করে তারপর ঘুমাতে যেতেন। এখন আর ঘুমে ঝুঁড়তে হয় না ওনাকে। উনি খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অহমিই এখন রাতের রান্নাঘরের বিষয়ে সবটা সমলায়।

মাহিদ মাত্রই মুখে খাবার তুলতে যাচ্ছিলো। অহমির এমন কথা শুনে থতমত খেয়ে যায়।

“সত্যিই খেয়ে ফেলবে?”

“হুম।”

“আমি কি তাহলে একা ডিনার করবো?”

“তা তো করতেই হবে। আম্মির সাথে খেয়ে ফেললে আমি তো আবার আপনার সাথে ডিনার করতে পারি না।”

“আমি একা খেতে পছন্দ করি না, জানো না?”

“ওমাহ আপনিই না বললেন লেট করার দরকার নেই?”

“ওইটা তো কথা বলার জন্য বলেছিলাম।”

অহমির হাসি এলেও টুপ করে তা গিলে ফেলে। মাহিদ বাম হাতে মাথা চুলকে বলে, “আচ্ছা সরি আর ভুলভাল বকবো না।”

অহমি চুপচাপ খেতে থাকে। মাহিদ কাচুমাচু করে বলে, “কিছু তো বলো?”

“চুপচাপ খাবার খান। অহেতুক ঝামেলা করা লোকদের আমার ভালো লাগে না।”

“আচ্ছা তাহলে পরেরবার ঝামেলা করার সময় তোমার থেকে খোঁজখবর নিয়ে ঝামেলা করবো।”

কিসব কথাবার্তা! অহমির সব হাসি যেন মুখে একসাথে আসছে। অনেক বর মুচকি হাসি দিয়েও তা গিলে ফেলে। তবে এখন আর থাকতে না পেরে খুব জোরেই হেসে ফেলে। মাহিদ ছোট ছোট চোখ করে বলে, “মজা করছিলে?”

অহমি মাথা উপর নিচে করে হ্যাঁ বুঝায়। বলে, “প্রথমে ভেবেছিলাম রাগ করবো।পরে ভাবলাম আমার জন্য কেউ জেলাসিতে কয়লা হয়ে গেলে খারাপ কি? ভালেবাসার বহিঃপ্রকাশই তো।”

অহমি একটু থেমে বলে, “ওহ ভালো কথা। আপনি কখনো ভালোবাসার কথা বলেননি।”

“এইসব কথা বলতে হয় না। অনুভব করাই যথেষ্ট।”

“বললে সম্পর্ক মজবুত থাকে।”

“উহু বললে নজর লাগে। একে অপরের যত্ন নিলেই তো হয়। এতো বলতে হবে কেনো? যা মুখে মুখে বেশি ভালোবাসি-ভালোবাসি করে তারাদের ভিতর ফাঁপা থাকে।”

“বাবাহ! ভালোবাসার উপর পিএইচডি করেছেন মনে হচ্ছে।”

“অবশ্যই। যে ভালোবাসাকে ভালোবেসে আগলে রাখে, সেই ভালোবেসে তার ভালোবাসাকে সরাসরি প্রকাশ করে না। অনুভব করাতে সাহায্য করে।”

“এইসব কি ভালোবাসা আর ভালোবাসা!!”

মাহিদ হেসে আবারো বলে, ” ভালোবাসা ভালোবেসে তাকে ভালোবাসায় ভালোবাসাকে বেঁধে রাখে যে।”

“আমি আর ভালোবাসার কথা শুনতে চাইবো না। প্লিজ থামুন।”

মাহিদ হেসে আবারও বলে, “ভালোবাসা ভালোবাসাকে ভালোবাসতে ভালোবাসে।”

অহমি হাসতে হাসতে বলে, “আর নিতে পারছি না। প্লিজ। কিন্তু পয়েন্ট হচ্ছে সাইক্রিয়াটিস্ট এমন কবি হলো কি করে?”

মাহিদও হালকা হাসে তবে তার ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়। রাতের খাবার খেতে খেতে টুকটাক কথাবার্তা বলে। সময়টা ওদের ভালোই কাটে।

_______________________________________

তার পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে মুগ্ধ না বলে হুট করে বাসায় আসে।ওর নাকি বাসার খাবার খেতে মন চাচ্ছিলো। ছেলেটা মাত্রই দুই মাসের মতো হোস্টেলে থাকছে। খাবারের সাথে এডজাস্ট হতে পারছে না। তাই অহমি, ফিরোজা বেগম বিভিন্ন ধরনের ইটেম রান্না করেছে। আবার বিকালের দিকে অহমি রান্নাঘরে পিজ্জার ডে তৈরি করছিলো। এমন সময় কলিংবেলটা বেজে উঠলো। মাহিদ, মুগ্ধ টিভি দেখছিলো। মুগ্ধ দিয়ে দরজা খুলে। আফরোজা বেগম আর আহির এসেছে। মুগ্ধ চেঁচিয়ে ভাবিকে ডেকে পাঠায়। অহমি হাত ধুঁয়ে জামার ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে বের হয়। মা- ভাইকে দেখেই অবাক হয়।

ধীর পায়ে এগিয়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে। ফিরানিতে গিয়েছিল। মাত্র একদিন থেকে চলে এসেছে। মাঝের বারো-তেরো দিন পর মা ভাইকে দেখে মনে হলো কতদিন পর এসেছে। আহিরের বিয়ের ডেট ফিক্সড করা হয়েছে। পরের শুক্রবারে। ওনারা মাহিদদের দাওয়াত দিতে এসেছেন। একই সাথে একটা আর্জি নিয়ে হাজির হয়েছেন। ওনারা আজকে সাথে করে অহমিকে বাসায় নিয়ে যেতে চান। আফরোজা বেগম ফিরোজা বেগমের থেকে অনুমতির আাশায় চেয়ে আছেন। ফিরোজা বেগম একবার মাহিদের দিকে তাকিয়ে বলে, “আমার সমস্যা নেই। ভাইয়ের বিয়েতে বোনের থাকাটা উচিত। মাহিদ তোমার কি মতামত?”

মাহিদ আড়চোখে একবার অহমির দিকে তাকায়। মাথা নাড়িয়ে বলে, “আমার সমস্যা নেই। অহমিকা যেতে চাইলে অবশ্যই যাবে।”

আহির অহমির দিকে তাকিয়ে বলে, “যাবি আজকে আমাদের সাথে বাসায়? কোনো সমস্যা হবে?”

অহমি মাথা নিচু করে মাথা ডানে-বামে নাড়ে। অর্থাৎ, সমস্যা নেই। মাহিদ তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকে। ভেবেছিলো ওর দিকে তাকালে ইশারা দিয়ে বোঝাবে এতো তাড়াতাড়ি যওয়ার দরকার নেই। কিন্তু মেয়েটা তো তাকালোই না।

ফিরোজা বেগম অহমির দিকে তাকিয়ে বলে, “তাহলে গোছগাছ করে ফেলো। ঘুরেও এসো, আনন্দ করো। ভালো লাগবে।”

আফরোজা বেগম ফিরোজা বেগনের উদ্দেশ্যে বলেন, “ভাবি আপনারা যাবেন না? মুগ্ধ আর আপনিও..”

অহমি আর ওখানে দাঁড়ালো না। মাথা নিচু করে রুমে এসে আলমারি থেকে কয়েকটা নতুন শাড়ি আর জামা বের করে। ওই বাসায় তো ওর সব জামা কাপড় আছেই। খুব বেশি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।একটু পরই মাহিদ রুমে আসে। দরজাটা বন্ধ করে না, তবে হালকা করে চাপিয়ে রাখে। অহমি মাত্র ব্যাগ গুছিয়ে চেন মারছিলো। মাহিদ ওর হাত থেকে ব্যাগটা কেড়ে নেয়।

“চলে যাচ্ছো যে?”

“আপনি বললেন না কেনো কিছু? তাহলেই তো যেতে হতো না।”

“আমি কি বলতাম গুরুজনের সামনে? আমি আমার বউ ছাড়া থাকতে পারবো না? তাও বিয়ের সতেরোদিনের মাথায়?”

অহমি মাহিদের হাত থেকে ব্যাগটা কেড়ে নেয়। বলতে মন চাইলো, “কেনো বিয়ের সতেরোদিনের মাথায়ই বউ ছাড়া থাকতে পারবেন না এটা মানতে খারাপ লাগবে?”

কিন্তু দায়সারাভাবে বললো, “আমি কি জানি?”

“আমি এতটা নিলজ্জ নাহ। তাছাড়া বড়দের সামনে বেফাঁস কথাবর্তা বলা আমার পছন্দ না। এইসব থাকাথাকির কথা বলা বড্ড বেমানান।”

“হুম,, যেতে হবে আমাকে।”

” তাই বলে এতো তাড়াতাড়ি যাওয়ার কি দরকার?”

“ভাইয়াকে নিষেধ করতাম?”

মাহিদ উত্তর দেয় না। ভাইয়ের বিয়েতে বোনের এক সপ্তাহ আগে যাওয়াটা অযৌক্তিক না। অহমির গালে হাত দিয়ে বলে,

“সাবধানে থাকবে। কেউ কিছু বললে গায়ে মাখবার দরকার নেই।”

অহমি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়। মাহিদ সময় নিয়ে একটা বড় বক্সের মধ্যে অহমির যাবতীয় ঔষধগুলো গুছিয়ে রাখে। তারপর ঔষধের বক্সটা অহমির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে,

” ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখো। প্রতিদিন সকালে আর রাতে মনে করে খাবে। তুমি তো জানোই কোনটা কখন খেতে হয়। ওহহো তোমার তো আবার ঔষধ খাওয়ার কথা মনে থাকে না।”

অহমি ঔষধের বক্সটা ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে। গাদা গাদা ঔষধ খেতে ভালো লাগে না ওর। তারচেয়ে বড় কথা ঔষধ খাওয়ার কথা মনে থাকে না। তাই ঔষধের প্রসঙ্গ এড়াতে বলে,

“আপনি কবে যাবেন?”

” বুধবারে নাহলে বৃহস্পতিবারে চেম্বার থেকে একেবারে যাবো।”

“এতো দেরীতে?”

“শ্বশুরবাড়িতে ছেলেদের এতোদিন থাকতে নেই।”

“বলেছে আপনাকে!” অহমি ব্যঙ্গ করে বলে।

“তোমার ভাইয়া তো আম্মি আর মুগ্ধকেও দাওয়াত দিয়েছেন। আমি আম্মি আর মুগ্ধকে নিয়ে একেবারে বুধবার রাতেই আসবো। ঠিক আছে?”

অহমি মাহিদকে জড়িয়ে ধরে। “মিস করবো।”

“রাতে কল দিলে রিসিভ করো। একবার রিং হতেই যেন রিসিভ করা হয়। তোমার তো আবার কেউ কল দিলে কাকে কি বলবে তা ভাবতে ভাবতেই সময় পার হয়ে যায়।”

একটু থেকে বলে, “তবে পিজ্জাটা খাইয়ে প্লিজ যেও।”

______________________________________

অহমি বাড়ি এসেছে আজ তিনদিন। বাসায় আবার বিয়ের আগেকার সময়ের মতো ছিল। রুম গুছানোর কোনো ঝামেলা ছিল না। যখন ইচ্ছে খেয়েছে, ঘুমিয়েছে। মাহিদ হাসবেন্ড হিসেবে চমৎকার, তবে সিঙ্গেল লাইফটাই দারুণ। নিজের মতো খাও-দাও, ঘুমাও। কেউ অসময়ে ঘুমানোর জন্য চেঁচামেচি করে না। মেডিসিন নিলে নাও, না নিলে নেই। রাতে দেরীতে ঘুমাও, সকালে বারোটায় ঘুম থেকে উঠো, হু কেয়াস!
যদিও মাহিদ ফ্রি হলেই কল করে। আবার রাতে অনেকক্ষণ কথা তো বলেই।

অহমি বিছানায় আধশোয়া হয়ে একটা বই পড়েছিল।
এমন সময় দরজায় আহির নক করে। অহমি উঠে বসে। আহির ধীর পায়ে এসে বিছানায় অহমির পাশে বসে। চোখ-মুখে দারুণ হতাশা, আত্মগ্লানি। আফরোজা বেগমও গত পরশু মেয়ের কাছে অনেক কান্নাকাটি করেন। অহমি প্রতিবারের মতোই নির্বিকার ছিলো। মাকে শান্ত মুখে কেবল সাত্ত্বনা দিয়ে গেছে। তা ছাড়া আর কি-ই বা করার আছে। যাক গে সেসব কথা।

“কিছু বলবে ভাইয়া?”

“ভালো আছিস?”

অহমি অবাক হয়। কি ধরনের প্রশ্ন এগুলো? ক্ষীণ কণ্ঠে বলে, “হুম ভালো আছি।”

আহির হঠাৎ ফ্লোরে বসে অহমির হাত দুটো আগলে ধরে, “তোর সাথে খুব অন্যায় করেছি না?”

অহমি কিছু বলতে পারে না। নিরবে তাকিয়ে থাকে।

“আম সরি অহম। সরি ফর এভরিথিং। তোর ছোটবেলাটা এভাবে নষ্ট না করলেও পারতাম৷ আমি জানি না কেন, আমার মাথায় তখন কাজ করেনি তোর সাথে এমন ব্যবহার করা উচিত নয়। ভাবতাম দাদি যা বলতো তাই ঠিক। কখনো মাথায় আসেনি এতটুকু মেয়েও একটা সুস্থ পরিবেশ ডিজার্ভ করে।”

আহির থেমে যায়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, “আমি বাবাকে অনেক ভালোবাসতাম। সবার স্কুলে বাবা যেতো, সেইসব দেখে আমার সত্যি কষ্ট হতো।দাদি যখন বলতো তোর জন্য বাবাকে হারিয়েছি, তোর জন্য সবার মতো আমারও বাবা নেই। তখন আমার খুব কষ্ট হতো। আমার মধ্যে একধরনের জেদ কাজ করতো তোকে কিভাবে কষ্ট দেওয়া যায়।”

অহমির চোখের কার্নিশ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। কণ্ঠস্বর আটকে যায়। তবুও যেন অনেক কষ্টে বলে, “বাবা তো আমারও ছিল না। মাকে থেকেও পায়নি।”

আহির এবার অহমির হাতে মাথা ঠেকিয়ে কেঁদেই ফেলে। “আমার কোনো অধিকার ছিলো না তোর লাইফটা নষ্ট করার। আমাকে মাফ করে দে। আমি এই দুইদিন কি করে ছিলাম কেবল আমিই জানি। আমার..”

অহমি ভাইয়ের মুখটা উপর তুলে চোখ মুছে দেয়। “তোমাকে এভাবে মানায় না ভাইয়া।”

অহমি আহিরের এইসব কথাতে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। আহির আর অহমির মধ্যে অনেক দূরত্ব। আহির এতোদিন না বুঝলেও এখন বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে। কম্পিত কণ্ঠে বলে, “তুই আমাকে মাফ করবি না?”

“এইসব ভুলে যাও ভাইয়া। আমিও মনে রাখবো না। তবে ক্ষমা করতে পারবো কিনা জানি না। আমাকে এগুলো আর মনে করিয়ো না। আমার অস্বস্তি হয়।”

আহির আরো কিছুক্ষণ ওইভাবে থেকে চলে যায়। খুব আফসোস হচ্ছে। অন্যান্য ভাই-বোনের মতো কেনো নয় তারা! অহমি দরজাটা বন্ধ করে দরজায় হেলান দিয়ে বসে পড়ে। বিড়বিড় করতে থাকে, ” সরি সবকিছুর সমাধান হয় না ভাই। যদি হতো সরি দিয়েই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যেতো তাহলে সমস্যা, অভিযোগ নামে কোনো ওয়ার্ডই থাকতো না। কি হবে তোমার সরি দিয়ে?তোমার সরিতে আমি আমার শৈশব আবার ফিরে পাবো?”

অহমির ফোনে একবার কল এসে কেটে যায়। তবুও ও এভাবেই দরজার সাথে লেগে থাকলো। কেনো ওকে বারবার ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়? ও যে এইসব ভালো লাগে না!

চলমান…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে