ঝগড়াটে_ভালোবাসা _৭_এবং_শেষ_পর্ব

0
5123

ঝগড়াটে_ভালোবাসা
_৭_এবং_শেষ_পর্ব
Written by Avantika Anh
.
পড়ায় মন বসছে না তবুও পড়তেছি…
শুভ এসে আমার পাশে বসলো, ওর দিকে একবার তাকিয়ে আবার পড়ায় মন দিলাম। শুভ আমার আরো কাছে চলে আসছে…
আমি- এই তোর সমস্যা কি হে? পড়তে না বসলে ঘ্যানঘ্যান করিস আবার এখন পড়তে বসার পরেও শান্তি মতো পড়তে দিচ্ছিস না।
শুভ- হিহিহি…
আমি- ওই কুত্তা একদম হাসবি না, তোর জন্য আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল। কত ইচ্ছা ছিল একটা রোমান্টিক জামাই পামু, আর পাইছি তোর মত একটা খাটাশ জামাই..এ্যাএএএ..(আবেগে কান্না আসতেছে)
শুভ- আমার ও তো একই অবস্থা,কত ইচ্ছা ছিল একটা পরীর মত বউ পামু। কিন্তু আমার কপালে কি জুটলো? তোমার মত একটা পেত্নি ছি ছি ছি.. কি বাজে কপাল আমার।
আমি- হিহিহি, তুই পাবি পরীর মত বউ? আরে তোরে তো এলাকার সবচেয়ে বুড়ি ফকিন্নি টা ও বিয়ে করতে আসবে নাহ..
শুভ- ওই মাইয়া, কথা না বলে পড়তে বসো নয়তো আম্মুর কাছে বিচার দিবো বলে দিলাম।
আমি- যা ভাগ তো এখান থেকে, নয়তো আম্মুর কাছে আমি বিচার দিমু। বলবো তুই আমাকে পড়তে দিচ্ছিস না।
শুভ- এহহহ.. পড় আমি গেলাম।
.
শুভ চলে গেল। আমার ও পড়তে একটু ও ভালো লাগছে না,ঘুম পাচ্ছে খুব। দরজা আটকে দিয়ে শুয়ে পড়লাম ,নয়তো শয়তান টা এসে আবার জালাবে।

উফফফ, রাতে ঘুম টা খুব ভালো হলো কিন্তু চোখ খুলতে মন চাইতেছে না ইচ্ছে করতেছে আরেকটু ঘুমাই। কিন্তু এতো ঠান্ডা লাগতেছে কিনু? হায় হায় আমার বিছানা সহ শরীর ভিজা কিনু? উঠে দেখলাম শুভ ওর মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি- এই তুই আমাকে পানি দিয়ে ভিজালি কেন?
শুভ- এহহহ, আমি ভিজাই নি। হয়তো তুমি বিছানায় হিসু করে দিয়েছো… ছি ছি ছিইইই,, আম্মুউউ তোমার বউমা..(বলে চিৎকার শুরু করে দিল শুভ)
আমি- এই তুই থামবি? বল আমার গায়ে পানি দিলি কেন?
শুভ- কেন আবার? জামাই ঘুম থেকে উঠে গেলে বউদের আর ঘুমাতে নেই তাই পানি দিলাম।
আমি- হুররর,কিসের জামাই আর বউ? এই তুই আমার রুমে কিভাবে আসলি? আমিতো দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়েছি যেন তুই না আসতে পারিস।
শুভ- হেহেহে,রাতেই এসেছিলাম জানালা দিয়ে। আর তোমার সাথে ও একই বিছানায় ছিলাম।
আমি- এ্যাএএএ…
শুভ- এ্যা না হ্যা, যাও গোসল করে নাও।
আমি- আল্লাগো আমার সব শেষ হয়ে গেল গো… আম্মুউউউ
.
মামনি- কি হয়েছে রে আনহা?
আমি- না মামনি কিছুনা।

গোসল করতে চলে আসলাম, শুভ শয়তান টা তো অর্ধেক গোসল খাটেই পানি দিয়ে করিয়ে দিলো। এর প্রতিশোধ আমিও নিমু…
.
নাস্তা করে রুমে এসে বসে আছি, শুভ ও রুমে আসলো…
শুভ- রেডি হয়ে নাও।
আমি- কেন রেডি হমু, আমারে বাড়ি পাঠাই দিবি নাকি?
শুভ- না,এখন ঘুরতে যামু দুজনে।
আমি- উহু, না আমি যামু না।
শুভ- পাচ মিনিট টাইম দিলাম রেডি হতে, নয়তো কিস করমু কিন্তু…
আমি- যা ভাগ তো এখান থেকে।
.
রেডি হয়ে গেলাম অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই, ঘুরতে যেতে যে আমার ও ভালো লাগে..।

সারাদিন অনেক ঘুরলাম,খুব ভালো ও লাগছে কিন্তু এই শুভ শয়তান টা আমার দিকে বারবার তাকিয়ে থাকে। নিজেরে কেমন জানি ভূতনি মনে হইতেছে নয়তো এভাবে কেউ তাকায় থাকে?
আমি- এই তুই ওই দিকে তাকা,আমার দিকে একদম তাকাবি না।
শুভ- তোমার মত পেত্নির দিকে আমি তাকাবো? হাসালি হা হাহা..
আমি- কিইইই.. থাকুম না আর তোদের বাড়িতে,আজই আমাদের বাড়ি চলে যাবো।
শুভ- হুম আজই তোমাকে তোমাদের বাড়ি দিয়ে আসার জন্যই ঘুরতে আসছি,এখন সোজা তোমাদের বাড়ী যাবো বঝলে?
আমি- এ্যাএএ.. না আমি যামু না।
শুভ- সামনে তোমার পরীক্ষা তাই এখন মন দিয়ে পড়তে হবে বুঝলে? তাই এখনি তোমাকে যেতে হবে।
আমি- হুহ, কিন্তু আমার বই?
শুভ- সেগুলো আমিই দিয়ে যাবো।
.
বাড়ি চলে আসলাম, শুভ নিজেই আমাকে নিয়ে এসেছে….
আমি- বাড়ি আসার সময় তো আমার সামনেই আসতি না আর আজ বাসায় দিয়ে যাচ্ছিস?
শুভ- হিহি, বউ বলে কথা।
আমি- হইছে, যা ভাগ তো…

পরেরদিন শুভ আমার বইগুলো ও দিয়ে গেল। আমিও মন দিয়ে পড়ছি কারন এক্সামের আর বেশিদিন নেই। শুভ ও আমাদের বাড়িতে আসে না, আমার পড়ায় সমস্যা হবে তাই হয়তো। না আসুক তাতে আমার কি হুহ… কিন্তু আমি যে ওই ভুত টাকে মিস করতেছি, ধুররর মিস করতাম কেন? শুভ আবার কেডা?

পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কিভাবে যে দিনগুলো কেটে গেল নিজেও বুঝতে পারিনি। কাল থেকে এক্সাম শুরু,সবার থেকে দোয়া চেয়ে নিলাম।
পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হতেই দেখলাম শুভ বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমিও কিছু না বলে দাঁড়িয়ে আছি….
শুভ- কি উঠবে না নাকি?
আমি- হুম।
আজ দুজন এর কেউ ই কথা বলছি না,আমার মাথায় এক্সামের টেনশন কাজ করছে কিন্তু শুভ কথা বলছে না কেন? হুররর কি জানি? বললে বলুক না বললে নাই,আমার কি!
মিমি- কি রে আনহা, ছেলেটা কে রে? খুব হ্যান্ডসাম তো.. তোর বফ নাকি?
আমি- ধুররর, আমার খালাতো ভাই।
মিমি- খুব ভালো লাগছে রে, আমাকে ওর সাথে প্রেম করাই দে না।
আমি- হুসসস, একদম চুপ। আমার জামাই ও, বিয়ে হয়ে গেছে আমাদের।
তারপর আর সায়মা কিছু বলেনি।
.
ঠিক এভাবেই কেটে যাচ্ছে আমার পরীক্ষার দিনগুলো। শুভ ও আমাকে সবকিছুতেই হেল্প করছে। এভাবে এক এক করে সব পরীক্ষা ই শেষ হয়ে গেল।
পরীক্ষা শেষ এ আবার শুভদের বাসায় চলে আসলাম। রুমে বসে আছি,কিছু ভালো লাগছে না। শুভ আমার রুমে আসলো….
শুভ- আসো কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি।
আমি- না আমি তোর সাথে যামু না।
শুভ- পাচ মিনিট টাইম দিলাম,নয়তো…
আমি- হইছে হইছে থাম এবার,রেডি হচ্ছি..(শুভকে থামিয়ে বললাম)
.
অনেক্ষন ধরে আমি পার্কে একা বসে আছি, সাথে শুভ ও এসেছে কিন্তু একটা মেয়ের সাথে কি যেন বলেই যাচ্ছে। খুব রাগ হচ্ছে আমার, মন চাইতেছে শুভ টারে আমি কাচাই চিবাইয়া খাই।
– মেয়েটা কে?(শুভ আসতেই আমি বললাম)
শুভ- আমার বান্ধবী, অনেক দিন পর দেখা।
আমি- ওহহহ..(চুপ করে বসে রইলাম)
শুভ- কি মন খারাপ?
আমি- নাহহহ…
শুভ- আসলে আমি না ওই মেয়েটার সাথে আগে প্রেম করতাম।
আমি- কিইইইই?
শুভ- আরে মিছা কথা,তোমাকে রাগানোর জন্যই বলছি। আসলে এতক্ষন ইচ্ছা করেই আমি কথা বলছিলাম ওর সাথে।
আমি- যা তুই তোর ওই মেয়ের কাছেই যা। এখানে কি হুহ…
শুভ- এখানে ঘুরতে আসছি কেন জানো?
আমি- হুম, ওই মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য…
শুভ- না, কাল আমি বিদেশ চলে যাচ্ছি।
.
শুভর কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল, বাইরে চলে যাবে ও। আর কিছু না বলে দুজন বাড়িতে চলে আসলাম।

শুভ ও বিদেশ চলে গেল। এখন আমি শুভদের বাসাতেই থাকি মামনির সাথে। সব কাজে প্রায় হেল্প করি মামনি কে…
.
শুভ বিদেশ গেছে কয়েকমাস হয়ে গেল, মাঝেমধ্যে কথা হয় ওর সাথে। আমার পরীক্ষার রেজাল্ট দিলো, খুব ভালো ই মার্কস পেয়েছি শুভর হেল্প করার জন্য। শুভ আমার রেজাল্ট শুনে খুবই খুশি হয়।

শুভ বিদেশ গেছে প্রায় অনেকদিন ই হয়ে যাচ্ছে। বছর পূর্ণ হতে আর বেশি দেরী নেই।
ছাদে বসে আছি, তখনি শুভর কল….
আমি- কি রে কেমন আছিস?
শুভ- ভালো,তুমি কেমন আছো?
আমি- ভালো, কি করিস? (নিজে থেকেই প্রশ্ন করে যাচ্ছি)
শুভ- আমার যে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওই হবু বউ এর সাথে কথা বলছিলাম এতক্ষন, তুমি কি করো?
আমি- আমি জাহান্নামে নাচতেছি,তুমি ফোন রাখ। থাক তোর ওই মেয়েকে নিয়ে….
বলেই কল কেটে ফোন অফ করে দিলাম। ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলা! কত সাহস ওর….
কয়েকদিন ধরে কথা হচ্ছে না শুভর সাথে। হবে কি করে আমার ফোন তো অফ করে রাখছি, না আর কথা কমু না ওর সাথে। কিন্তু যত ভাবছি ওর সাথে কথা বলবো না কেন জানি ততই মিস করতেছি ওকে। হিহি হয়তো ভালোবেসে ফেলেছি ওই ভূতটাকে।
.
মন খারাপ তাই রুমে বসে আছি তখন মামনি ও রুমে আসলো….
মামনি- আনহা,পরশু শুভ দেশে ফিরবে।
আমি- সত্যিইইই? (খুশিতে লাফিয়ে উঠলাম)
মামনি- খুব খুশি হলে বুঝি?
আমি- নাহ, তোমার ছেলে আসবে তাতে আমার কি হুহ…
মামনি- তাই নাকি
আমি- হুম আমাকে তো ভুলেই গেছে । ওখানে সুন্দর সুন্দর মেয়ে দের দেখে । আমার কথা মনে পড়ে নাকি ওই বান্দরের ?
শুভ- তাই নাকি
আমি- হুম তাই তাই {এ্যা ছেলের ভয়েস মামনির ভয়েস বদলে গেলো কেমনে । বাবাও (শুভর বাবা) তো বাড়িতে নাই । তাইলে কি শুভ }
.
পিছনে ঘুরে দেখি শুভ ই….
.
শুভ- তা মা তোমার বউমা দেখছি আজকাল রাগী হয়ে গেছে ।
মামনি- হুম হবে না কেনো ? বউমা কার ?
শুভ- এতোদিন পর আসলাম কই একটু পানি দিবে তোমার বউমা তো হা করে আছে ।
মামনি- আনহা ওই আনহা
.
(আমি শকড । কারণ এতোদিন পর আসছে আর দিন দিন হ্যান্ডসামও হইছে )
আমি- হুম বলো
মামনি- ওকে খাবার দে
আমি- ওকে
.
রাতে খাবার টেবিলে….
শুভ- বউ একটু খাওয়ায় দেও
আমি- এ্যা
মামনি- হুমম দে খাওয়ায়
শুভ- এইতো আম্মুও বলছে দে
.
কি আর করার খাওয়ায় দিচ্ছিলাম । হঠাৎ কামড় দিলো ।
আমি- আম্মুউউউউউ
মামনি- কি হইছে ?
আমি- কামড় দিছে এই হালা
মামনি- শুভ এটা কি
শুভ- সরি ওর হাতে সব এতো ভালো লাগে ভুলে দিয়ে ফেলছি
আমি- ওই তোমার শরীর ঠিক আছে ? এইরাম করছো কেন ?
শুভ- হেহে সব ঠিক
.
খাওয়া শেষে….
রুমে ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছিলাম ঘুমানোর জন্য । শুভ ফ্রেশ হয়ে এসেই জড়িয়ে ধরলো আমাকে পিছন থেকে ।
আমি- আম্মুউউউউউ ( ভয় পেয়ে চিল্লাতে ধরছি )
.
কিন্তু শুভ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলো ।
কিছু সময় পর মুখ ছেড়ে দিলো ।
.
আমি- এটা কি করিস ?
.
শুভ আঙ্গুল দিয়ে চুপ হতে বললো । আমি চুপ করে গেলাম । শুভ তাকিয়ে আছে ।
আমি- ওই তোমার কি হইছে এমন করছো কেনো ?
শুভ- আই লাভ ইউ
আমি- এ্যা
শুভ- ওই আর ঢং করবি না ।
আমি- আমি কি করলাম ?
শুভ- আমাকে ভালোবাসিস তো বলিস না কেনো‌?
আমি- কে কইলো তোমর মতো বান্দর কে আমি ভালোবাসবো ?
শুভ- বাসিস তো
আমি- প্রমাণ কই ?
শুভ- মেঘ বালক কে বলছিস তুমি
আমি- তুমি কেমনে জানলা ?
শুভ- ওইটা তো আমি
আমি- চিটার
.
বলেই ওরে কিল ঘুষি মারা শুরু করলাম । শুভ ওই থাম নইলে তোরে আমি কিস করুম উঠেই ।
আমি ছেড়ে দিলাম ।
শুভ- তুই এটাকে এতো ভয় পাস কেনো ?
আমি- জানি না বাট এমনেই
শুভ- দ্বারা তোমার ভয় ই আজ আমি দুর করবো
আমি- কেমনে
.
আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই শুভ আমাকে কিস করে বসলো । তারপর
.
আমি- ভ্যা ভ্যা ভ্যা
শুভ- কাঁদিস কেন ?
আমি- তুমি কি করলা এটা কেনো কেনো কেনো ?
শুভ- আমি করুম না তো কে করবে
আমি- তা ঠিক কিন্তু
শুভ- চুপ
আমি- কি হইলো
শুভ- আর লুকালুকি না । শুনো সেই ছোট বেলা থেকে তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু তুমি সিরিয়াস নেও না । এতোটা ভালোবাসি জানো না তুমি । তোমাকেই বউ মেনে গেছি আমি চিরকাল ।
আমি- তো এতো মেয়ের সাথে টাংকি মারো কেনো ?
শুভ- তোমাকে জ্বালাতে
আমি- বিয়ে তো করতে লাফাচ্ছিলা অন্য মেয়ে কে
শুভ- বিয়েটা নাটক ছিলো । আসল বউ তুমি ই ছিলা । আসলে কোনো বউ ই ছিলো না । সব শুধু তোমার সামনে নাটক ছিলো । সবাই জানতো । তোমাকে প্রথমে বললে মানতে না তাই এতোকিছু ।
আমি- এ্যা
শুভ- হুম
আমি- তা বুঝলাম কিন্তু আমার সাথে খারাপ ব্যবহার কেনো‌?
শুভ- একটু রেগে ছিলাম আর একটু নাটক ছিলো ওটা ।
আমি- কিন্তু আমি কি করছি যে রাগ ?
শুভ- তুমি যখন চলে যাও আমার খুব কষ্ট হয় সে বার অনেক কষ্ট হইছিলো তাই রাগ ।
আমি- মেঘ বালিকা কে ?
শুভ- আমার সবকিছুতে শুধু তুমি আই এম সিরিয়াস আই লাভ ইউ
আমি- আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি ।
শুভ- তো বলো না কেন ?
আমি- সাহস ছিলো না
শুভ- বান্দরনি
আমি- তুমিও বান্দর
শুভ- আহা বান্দর ফ্যামিলি
আমি- হুম
শুভ- তা মিনি বান্দর আরো আনা যাক
আমি- ইইই লুইচ্চা
শুভ- হেহে
.
.
.
…………সমাপ্ত…………..
কাল্পনিক গল্প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে