ছায়া সঙ্গী(সমাপ্তি পর্ব)
#নাহার
একটু ধাতস্থ হওয়ার পর মোহনা বিবরণ দিলো পৃথিবীর এক বিশাল রহস্যের। ও বলল অই নীল ছায়াটা আমায় মারার পর ওর দিকে এগিয়ে যায়। ও দূরে সরে যায়।
কিন্তু ও যেদিকে যাচ্ছিলো সেদিক থেকেই অই নীল ছায়াটা ওকে ঘিড়ে ধরছিলো। একসময় ও কোনো একটা পাথরে পা বেধে পড়ে যায়। এবং নীল ছায়াটা সেই সুযোগ গ্রহণ করে। মোহনাকে তার সাথে মিলিত করে।
মোহনার অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের অন্য ফ্রেন্ডরাও দেখতে এল। আমি বললাম রাতে কোনো একটা প্রাণি আছড়ে আমাদের এমন অবস্থা করেছে তাই এখানে থাকা আর নিরাপদ নয়। তাড়াতাড়ি ঢাকায় ফিরা ই উচিৎ হবে।
সারাদিনের লঙ জার্নীর পর আমরা বাড়ি ফিরলাম। অই ছায়া গুলো যেহেতু বাচ্চা উৎপাদনের জন্য মানবদেহ ব্যবহার করে তাই আমি কোনো রিস্ক নিতে চাচ্ছিলাম না। একটা অষুধের দোকান থেকে অষুধ কিনে মোহনাকে খাইয়ে দিলাম। ও এখনো ঘোরের মধ্যে আছে। কি হয়েছে কি হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছেনা।
আমিও ওকে তেমন একটা ঘাটাইনি। ওর আব্বুর কাছে ওকে রেখে এসে বলেছি যে ওকে ঠিক মত দেখে রাখতে। কোনো এক অজানা প্রাণি আক্রমণ করেছিল ওকে।
ওর বাসা থেকে আমার বাসায় আসতে আসতে সন্ধা হয়ে যাচ্ছিলো আমি হাটছি। বাসায় মা আছে। তার আলো থাক বা না থাক কোনো ঝামেলা নেই।
কারণ তিনি অন্ধ। আমার মাথায় একটা জিনিস ই কাজ করছিলো। অই ছায়াটা মোহনা কে আক্রমণ করল কিন্তু আমায় ছেড়ে দিল। আমিও তো মেয়ে অইটা চাইলে ত আমায় ও এট্যাক করতে পারত কিন্তু করলনা।আমার মাথা ফাকা ফাকা লাগছিলো। তবুও আমি হাটছি। আজ কেন যেন কোনো গাড়ি ট্যাক্সি কিছুই পাইনি । হঠাৎ আমার মনে হল একটা কিছু আমার পিছন পিছন হাটছে। রাস্তার নেরী কুকুর গুলো দাঁত খিচিয়ে আমার সামনে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।আর সাথে ভীষণ চিৎকার করছে আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। খুব সাহস নিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি অই ছায়াটা আমার এক হাতের মধ্যে দাড়িয়ে আছে। একজন পরিচিত মানুষ আরেকজন পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হলে যেমন ভাবে হাসে আমার মনে হল সেটাও তেমন ভাবে হাসছে। ওই ছায়াটা আমার কাঁধের উপর হাত রাখল। আমার মনে হল রেফ্রিজারেটর থেকে বের করা কোনো মানুষের হাত ছিলো ওটা।
আমি ভয়ে চিৎকার করলেও আমায় বাঁচানোর মত এখানে কেও নেই। তাই চিৎকার করলাম না। অই ছায়াটা কি চাচ্ছে জানার এক অদম্য কৌতুহল হচ্ছে। আমার হাতে আলো আছে। আমি ইচ্ছে করলেই ছায়াটার ভবলীলা সাঙ করে দিতে পারি। কিন্তু মানুষের চরিত্র যে বড় অদ্ভুত তারা সব সময় ই অতিরিক্ত এডভেঞ্চার প্রিয়। আমি আমার সেই নেশা কে দমন করতে পারলাম না। হঠাৎ দেখি ছায়াটা তার হাত আমার ঘাড় থেকে সরিয়ে নিল। দুই হাত নাড়িয়ে চাড়িয়ে সে কিছু বলার চেষ্টা করছে। আমি প্রায় ই বাক প্রতিবন্ধীদের স্কুলে যাই আমার ভাল লাগে। তাই ওদের সাইন ল্যাঙুয়েজ আমার মোটামুটি জানা। এর ভাষাটাও যেন ওরকম। আমি ওর দিকে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে ওর হাত নাড়া দেখছি। ও মানুষের ভাষা বলতে পারেনা কিন্তু সাইন ল্যাঙুয়েজ মুটামুটি ভালই শিখে ফেলেছে।ও যা বলছে তার সার সংক্ষেপ এই। মোহনা ওকে মুগ্ধ করেছে। জীবনে এত রূপবতী মেয়ে সে দ্বিতীয়টা দেখেনি। সে মোহনাকে ভালবাসে। আর সে চায়না এক্ষেত্রে কেও বাধা হোক। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম সে কোথা থেকে এসেছে। তারা আর কেও আছে কিনা?
সে উত্তর দিল সেও সঠিক জানেনা কোথা থেকে এসেছে। কিন্তু সে সমুদ্রের কাছেই থাকত। অনেক অনেক বছর ধরে। আর সে তাদের মত আর কাওকে দেখেনি। আকৃতির দিক থেকে মানুষ অনেকটা তাদের মতই। তাই সে মানুষকেই নিজের পরিবার ভাবে।
আমি তাকে বললাম মানুষের ক্ষতি করার ববা মানুষের সাথে জোড়াজুড়ি করার অধিকার তার নেই। কিন্তু সে এসব পৃথিবীর নিয়ম মানেনা। আমাকে সে ঋতিমত ধমকালো। আমি যেনো তার রাস্তায় না আসি। আমি তাকে অনুরোধ করলাম সে যেন মোহনার জীবন থেকে সরে যায়। কিন্তু সে আমার কথা শুনতে নারাজ।
আমি বুঝতে পারছিলাম না এই প্রাণিটার ধ্বংস কোথায়? ধ্বংস নিশ্চই আছে। যেটার সৃষ্টি আছে তার ধ্বংস ও আছে। আমি ভাবলাম আমি ওটার সাথে বন্ধুত্ব করব। কারণ শত্রুকে শেষ করতে হলে আগে তার দূর্বলতা গুলো জানতে হয় একজন বন্ধুর থেকে ভাল এই জিনিসটা অন্য কেও জানেনা। আমি ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে চাইলাম। ও প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে রাজি হল। আমি ওর নাম দিলাম অনীল। এটা ত আমি জানি যে ও আলো সহ্য করতে পারেনা। তবে দিনের বেলায় ও থাকে কোথায়। ও আমায় জানালো ও প্রয়োজনে খুব ছোট অথবা বড় আকৃতি ধরতে পারে। বায়ু মাধ্যমে ও চলাচল করে ধুয়ার মত। ও যেকোনো জিনিসের নিচে লুকিয়ে যেতে পারে।
ওর বিষয়ে জানার জন্য আমি রেগুলার মোহনার বাড়িতে যেতে থাকলাম। আস্তে আস্তে ওর দূর্বলতা গুলো আমার জানা হতে থাকল। হঠাৎ আলোয় ও ভীষণ ছোট হয়ে গাছের ফাঁকফোকর এ আশ্রয় নিত। আর শহরে এসে ওর আলোর আড়াল খুজার তেমন কোনো সমস্যা ই হয়না। কারণ খাটের চিপা, বই এর চিপা, ওয়ারড্রব এর পিছন ইত্যাদি বিভিন্ন যায়গায় ও লুকিয়ে যেত। মানুষের গায়ে এসিড পড়লে যেমন শরীর ঝলসে যায় ওর গায়ে আলো পড়লেও ওর ঠিক এরকম টাই হয়।আমার সাথে অনীলের বন্ধুত্ব টা খুব গাঢ় হয়ে উঠছিল। ও মোহনাকে প্রচণ্ড ভালবাসত। মোহনার সাথে কোনো ছেলেকে দেখলেও সহ্য করতে পারত না। ইভেন আমি যখন জানতে পারলাম মোহনা প্রেগন্যান্ট আমি একটুও অবাক হলাম না।
আমি আমার সব কাজ গুছিয়ে নিয়েছি। আমার পক্ষে একা সব করা সম্ভব ছিল না কারণ এত টাকা একসাথে কোথায় পাব? তাই মোহনার বাবার হেল্প নিতে হল। আমার প্লেন মত সব কিছু করে অনীল কে আমি আমার নতুন ফ্লেটে আসতে বললাম। ও যেহেতু আমার বন্ধু তাই আমায় বিশ্বাস করত খুব। তারপর ওকে একটা বিশেষ ঘরে বসিয়ে আমি অন্য ঘরে গেলাম বাইরে থেকে ঘরের দরজা মেরে দিলাম। ঘরটা একদম এয়ারপ্রুফ ভিতরে কোনো আসবাব নেই। সিসি টিভি তে আমি আর মোহনার আব্বু ওকে দেখতেছি। অনীল হয়ত কিছুটা আন্দাজ করেছিল। সব কিছু অদ্ভুত ভাবে দেখছিল কিন্তু তখন আর ওর কিছু করার ছিল না। কিছুক্ষণ পরেই আমি ঘরে আলো জালিয়ে দিলাম। ঘরের দেওয়াল এও আলো জলছে। এই প্রথম অনীলের মুখের কিছু অদ্ভুত উচ্চারণ শুনলাম যার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
হঠাৎ সব নিশ্চুপ হয়ে গেল। মোহনার আব্বু একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বাসায় চলে গেলেন। আমি দেখতে চাচ্ছিলাম ওই জিনিসটার কোনো ধ্বংসাবশেষ আছে কিনা। তাই আমি অই ঘরের দরজা খুলে ওখানে গেলাম। কিন্তু কিছুই পেলাম না। আমি যখন ওখান থেকে বের হই এবং ঘরের সব লাইট অফ করে দেই কারণ।আমি ফ্লেটের বাইরে যাব তখন আমার সামনে অনীল দাড়িয়ে ছিল।
ও খুব হেসে হেসে বলল প্লেন ভাল ছিল। কিন্তু cc টিভি ক্যামেরার নিচে অন্ধকার ছিলো। তারপর সেখান থেকে চলে গেল অনীল।
এরপর থেকে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করল অনীল।অন্য জগতের প্রাণির অত্যাচার ও অন্যরকম যার ব্যাখ্যা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি আর এসব সহ্য করতে পারছিনা।
এডভেঞ্চার এর নেশা মাঝেমাঝে মানুষের মৃত্যু ঘটিয়ে ফেলে আমি জিনিসটি খুব ভালভাবে বুঝে গেছি।
ইশিতার ডায়েরীতে এর পর আর কিছু লেখা নেই। সম্ভবত সে তারপর সুইসাইড করেছিল। আমি বুঝে গেছিলাম আমার কি করতে হবে। ঠিক ইশিতার কাজটাই আমি আবার করব কিন্তু এইবার সব করবে মোহনা। সরি করব আমি মোহনাকে শুধুই ব্যবহার করব ওকে মারার জন্য।
অনীল একটা ছোট অন্ধকার কাঁচের বোতলে আটকে পড়ে আছে। নীল আলো সেখান থেকে ঠিকরে বের হচ্ছে। আমি সেটা নিয়ে সাগরে ফেলে দিলাম।
সেদিন ইশিতার ডায়েরী পরার পর আমি আবার ঠিক অইরকমই একটা মৃত্যুকূপ বানাই। সারা ঘরে ছিল আয়না। আর সব কয়টি আসবাবপত্র সাদা কাপড়ের। আসবাবপত্র না দিলে যদি অনীল সন্দেহ করে তাই এই ব্যবস্থা। প্লেন মত মোহনা জানে আমি ওকে একটা সারপ্রাইজ গিফট দিব তাই শহরের নামী একটা হোটেলে ওকে নিয়ে যাচ্ছি। আমি জানি আমাদের সাথে অনীল অবশ্যই যাবে। তারপর হোটেলের রুমে মোহনাকে ঢুকিয়ে আমি বের হলাম। দীর্ঘ রাস্তা অতিক্রম করে মোহনা ক্লান্ত ও বাথরুমে চলে গেল।
বাথরুম এ তীব্র আলো ছিল। তাই অনীলের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব না। সয়ংক্রীয়ভাবে ঘরের দেওয়ালের আয়নার উপর রাখা সব পর্দা জড় হতে থাকল তখনই আর পর্দা দেওয়াল সব কিছুই আলোর উৎসে পরিণত হল। অনীলের বাঁচার একমাত্র রাস্তা তখন সেখানে রাখা কালো কাচের বোতল। অনীল সেটায় ঢুকে গেল। আর বিখ্যাত বিজ্ঞানীর কাছ থেকে কিনা বোতল সদৃশ যন্ত্রটা তখনই ছিপি আটকে ফেলল। একদম এয়ার টাইট।
আজ মোহনার ডেলিভারী কোনোভাবেই বাচ্চাটাকে মেরে ফেলা যায়নি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাচ্চা হওয়ার পর মারব যেভাবে ওর বাবাকে মেরেছিলাম।
কিন্তু বাবু হওয়ার পর আমি অবাক হয়ে গেলাম এ যে ফুটফুটে এক মানব শিশু।
মোহনার মেয়ে হয়েছে। আমাদের মানবতা বোধ ওকে মারতে দেয়নি। ওর নাম দিয়েছি মিলা। মিলার সব কিছুই ঠিক আছে শুধু তীব্র আলোয় ওর শরীরে ফোসকা পড়ে।
সমাপ্ত
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি আমাদের (গল্প পোকা ডট কম ) ওয়েব সাইটের অ্যাপ্লিকেশনটি এখনো ডাউনলোড না করে থাকেন তাহলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে এখনি গল্প পোকা মোবাইল অ্যাপসটি ডাউনলোড করুন => ??????
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.golpopoka.android
Apu that’s jin and they can sex with us because they also like us but we cant see them because they are make dua to all mighty god Allah .that they want we can not see them but they can see us and they are also leaves in this world or there world but what ever it is they have some power but that is limited but in the Quran Allah tells about the jinn. And if we look up in the Quran then we will find the things that jinn are creat
by fire and it like thumar moton and all of the things prof brother and sister that Quran what ever tells all is by from all mighty god Allah.and there are many sings and many many sings are proved and we can see them ower own eyes now on. Sense Islam any want if know about Quran and prof about that this is from the all mighty god Allah. then checked on that Chanel and they gives you many sicntific prof and also many sings they shows you what have Allah give us on for bellivers and diabellivers and if still any questions you can see your own eyes .