#চৈত্রের_রাঙায়_রচিত_প্রণয়
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৩
ইয়াতিম শিকদার আর তার বড় ছেলে তারেক শিকদার একসাথে বাড়িতে ঢুকল। তারেক শিকদার বড় ফুফু কে দেখতে পেয়েই কুদুমবসী করলেন। সাথে সাথে তার বউ সায়মা ও। নিয়াজ ফিটফাট সেজে পিছনে এসে দাঁড়াল। বড়ফুফু চোখ রাঙিয়ে প্রশ্ন করলেন, ”ভালোই তো সেজেগুজে এসেছিস। শরম লজ্জা কি নাই তোর।
বে/হায়া হাবলার মতো চলে এলি?” ইয়াতিম শিকদার জবাব দিতে চাইলেন তবু দিলেন না। দাঁত কেলিয়ে হাসলেন। নিয়াজের ভাবভঙ্গি ও তেমন। বড় ফুফুর কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দিলো। ছোট ফুফু এসে বড় ফুফুর কানে কানে বলতে লাগলেন, “আস্তে বলেন আপা। সবার সামনে এসব কি বলেন? আর যতই হোক, ও তো আমাগো নিজের বংশের!”
বড় ফুফু হুং/কার দিয়ে উঠ’লেন। বললেন, ”কি আমাদের বংশের! আমাদের বংশের এমন
জানো/য়ারের মতো কে করেছিলো বল তো? দেখছিস কখনো কেউ আমাদের বাবার দিকে আঙ্গুল তুলতে। আর আজকের দিনটা দেখ একবার!” ছোট ফুফু কথা বাড়ালেন না। তার শশুড়র অনেক লোকজন এখানে। তিনি কিছু বললে বড় ফুফু শান্ত হওয়া তো দূর আর
গ/র্জে উঠবেন। তাই কিছু নাই বলা ভালো। ইয়াতিম শিকদার এবারও হাসলেন। ভাবছেন, “হাতি কাঁদায় পড়লে চামচিকাও লাথি মারে”। কথা শুনে হজম করা ছাড়া আর কিছু করার নেই তার। নিয়াজের ঘাড় চেপে ধমকের সুরে বললেন, “ দাঁড়াইয়া আছোস কেন ব্যাটা? যা! কুদুমবসী কর ফুফুরে। আদব কায়দা সব ভুইলা গেছোস?”
বড় ফুফু আবারো বললেন, “শুধু আদব কায়দা। এর সাথে সবকিছুই ভুলছে। হারাম/জাদা!” বড় ফুফুর আচরণ অত্যন্ত কঠোর। কথায় কথায় গালা/গালি করা তার চাই। শুধু তাই নয়, তার সাথে উচিত কথাও বলবেন। গোলমালের শব্দ শুনেই আরিফ হাসান ছুটে এলেন। তার পিছনে পিছনে ফরহাত, রুদমিলা,শ্রেয়মী সবাই এলো। ফরহাত শ্রেয়মীর কানে ফিসফিস করে বলল, “এই ঠোঁট আর্ট করা লিপস্টিক ছাড়া মহিলা হঠাৎ এমন চেত/ছে ক্যান?”
শ্রেয়মীর ভাইয়ার কানে কানে বলল,”আরে নিয়াজ এসেছে। তাই এমন চেতছে।”
“ভালো কাজ। শুধু বকাবকিতে কি লাভ? ঘাড় ধরে বের করে দিলেই তো হয়!” কথাটা আরিফ হাসানের কানে গেল। তিনি চোখ ঘুরিয়ে ফিরলেন। ফরহাত অন্যদিকে মুখ সরিয়ে বাঁশি বাজাতে লাগল। আরিফ হাসান বড় ফুফু কে শান্ত করিয়ে মেহমানদের ভেতরে বসালেন। যতই হোক এখন তাদের বিয়ানের সম্পর্ক। তারা কুটুম। ভুলে গেলে চলবে না, অর্নিলা তাদের বংশের। কোন দিন যাতে আ/ঙ্গুল তুলে কিছু একটা বলতে না পারে সেসব প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন আরিফ হাসান। শাহিনুর বেগম নিজে ছুটে এসে মেহমানদের ভেতরে নিয়ে গেলেন। ইয়াতিম শিকদার দাঁড়িয়ে গেলেন আরিফ হাসানের সাথে। তাচ্ছিল্যের স্বরে হেসে হেসে বলতে লাগলেন, ”কি বিয়াইন সাব! এখন আমাদের সম্পর্ক তো এটাই তাই না!”
”যা বলে আপনার শান্তি।”
“কিন্তু বিয়াইন সাব, আপনি কিন্তু ভালো খেলোয়াড়। যখন বিয়ার প্রস্তাব আমি দিলাম তখন কইলেন মাইয়ার বয়স কম, ছোট মানুষ! আর এখন মাইয়া কি ডাঙ্গ/র হইয়া গেলো। একদম বিয়ার লাক!”
”ছিঃ ছিঃ ভাই! এমন বলবেন না। মেয়ে আমার বড় হই নাই,ছোটই আছে। কিন্তু ওর তো একটা মত আছে।নিয়াজ ওর সাথে যা করছে এরপর সেই বিয়েতে তার কোন মত ছিল না। তবে সারফারাজ এর সাথে বিয়েতে তার অমত নেই। আপনি চাইলে জিজ্ঞেস..
কথা শেষ করতে দেয়নি ইয়াতিম শিকদার। অট্টহাসি হেসে বললেন,“ঠিক কইছেন। কিছু বছর পর আপনার পোলা হইবো বড় ডাক্তার। আর আমার পোলা ভাই
জা/ত অশিক্ষিত। থাক থাক,অসুবিধা নাই। মানুষের থাকে দুই হাত ডান হাত আর বাম হাত। এর সাথে থাকে অজুহাত!”
বলেই হাসতে হাসতে ভেতরে চলে গেলেন। আরিফ হাসান অস্বস্তিতে ভুগতে লাগলেন। জলদি জলদি এই বিয়ে মিটে গেলে বেঁচে যায়। নাহলে এই লোক একটা হুল/স্থুল কাণ্ড করে ছাড়বে।
.
কাজী এসে বসে আছে। ডয়িং রুম ভর্তি মানুষ। বিয়ে বাড়িতে গ্যা/ঞ্জাম বেশি। দশজনের দশ মত। সারফারাজ তার লাল খয়েরী রঙের পাঞ্জাবি পরে সোফার এক কোনে আড়ষ্ট হয়ে বসে আছে। ফরহাত এসে তার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল, ”কি ব্রাদার! অনেক টেনস লাগছে মনে হচ্ছে। ব্যাপার না! চিল! আজ তো তোমার বাসর রাত ও না।“
সারফারাজ চাপা স্বরে জবাব দিল, “টেনশন হচ্ছে না। রাগ হচ্ছে। রাগ কমানোর চেষ্টা করছি তো নার্ভ কাজ করছে না। না/র্ভাস হয়ে যাচ্ছি।”
”কারণ কি?”
সারফারাজ চোখের ইশারা করল। ফরহাত সামনে তাকিয়ে দেখল নিয়াজ কে। সে ফোনের মধ্যেই ঢুকে আছে। সারফারাজ দাঁতে দাঁত চেপে বলল,“একে বাড়িতে ঢুকতে দিলো কে?”
”তোমার আব্বাজান। বরণ করে ঢুকাইসে।”
”অনি দেখলে কি হবে? ওর উপর মানসিক চাপ পড়বে না?”
“না না, অর্নিলার এতোকিছু মনে থাকে না।আর এভাবেও এখন ও বিয়েতে মশগুল এসব দিকে নজর দিবে না। আর আংকেল যখন আনছে নিশ্চিত কোন চিন্তা ভাবনা আছে।”
সারফারাজ মাথা দুলাল। ফরহাত যতই বলুক ব্যাপার না তবুও তার টেনশন হচ্ছে। মনে হচ্ছে অনি ওকে দেখে শান্ত থাকতে পারবে না। এখন বাচ্চামি যতই থাকুক তার মধ্যে। অর্নিলা কে সাজিয়ে নিয়ে আসা হলো। নিজের মায়ের শাড়িতে অর্নিলা কে প্রথমবার দেখে খানিকটা হকচকিয়ে গেল সারফারাজ। মনে হলো,অনি কে সে প্রথমবার দেখছে। এর আগে কখনো এমনভাবে দেখে নি। মায়ের লাল রঙের বেনারসীতে অনি কে বেশ মানিয়েছে। কিন্তু বেচারি শাড়ি সামলাতে পারছে না। শাহিনুর বেগম নিজে এসে তাকে বসিয়ে দিলেন সারফারাজের পাশে। সারফারাজ খানিকটা দূরত্ব রেখে বসলো। আরাফাত ছুটে এসে দাঁড়াল সোফার পিছনে। সে আর অনি দুজনেই সমবয়সী। তাকে পিছন থেকে খোঁচা মেরে বলল, “বুড়ি , তোর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে হি হি!” শ্রেয়মী আর রুদমিলা এসে দাঁড়াল তার পাশে। এরা দু’জনেই এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে। সামনে এইচএসসি দিবে। আরাফাতের কথার জবাবে অর্নিলা কিছু বলতে চাইল ওমনি শ্রেয়মী তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “চুপ চুপ! নতুন বউ কথা বলে না!” বড় ফুফু এসে দাঁড়ালেন তার পাশে।
অর্নিলা কে দেখে নিয়াজের ভাবি সায়মা শিকদার, হাসতে হাসতে বলে ফেললেন, ”আরে, অর্নিলার তো এখনো আঠারো বছর হয়নি। তা রিটেয়ার বিচারপতি সেই কথা ভুলে গেছেন নাকি? বাল্য/বিবাহ হচ্ছে দেখি?”
আরিফ হাসান সবেমাত্র এক মেহমান কে সোফায় বসিয়ে বললেন, ”সবদিকেই আমার নজর থাকে বউমা। ওদের রেজিস্টার হচ্ছে না। শুধু কাবিনামা!”
ইয়াতিম শিকদার খোঁচা মেরে বললেন, ”তাই তো বউ মা! তোমার এতো চিন্তা ভাবনা কিসের। তুমি কি তার থেকে আইন বেশি জানো নাকি? দেখছো না, ওসি সাহেব নিজে বিয়েতে উপস্থিত! মনে হচ্ছে তিনি সাক্ষী দিবেন!” বলেই তার বিশ্রী দাঁত বের করে বিখ্যাত হাসি দিলেন। এই হাসি দেন মানুষ কে ছোট করার পর। আগত নতুন মেহমান ছিলেন ওসি সাহেব! তিনি হাসলেন। বলে উঠ’লেন, “সে যা বলেছেন। যেখান আমি স্বয়ং উপস্থিত সেখানে আইনি ঝা/মেলা মুক্ত থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক!” কথাটা ইয়াতিম শিকদার হজম করতে পারলেন না। ওসি সাহেব যে তার কথার পিঠে জবাব দিয়ে দিবেন এটা তার ধারণায় ছিলো না। আরিফ হাসান মুচকি হাসলেন।
বিয়েতে ঝামেলা থাকবে না, এমনটা হতেই পারে না। কাবিন নিয়েও একটা ঝামেলা দেখা গেল। ইয়াতিম শিকদার অর্নিলার বর্তমান অভিভাবক। ১০ লক্ষ টাকা ছাড়া তিনি কাবিন করবেন না, বস্তুত আরিফ হাসান চাইছিলেন ৫ লক্ষ টাকা কাবিন করতে। তাও তিনি ইয়াতিম শিকদারের কথায় রাজি হয়ে গেলেন। ঝামেলা তার পছন্দ না। এর মধ্যে টাকা ওসুলের কথাও চলে এলো। আরিফ হাসান বললেন, “সেই নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আল্লাহর রহমতে আমার কম নেই।“
সারফারাজ তটস্থ হয়ে গেল। আচমকা সে বলে উঠল, ”তা কি করে হয়? আমার কাবিনের টাকা তুমি কেন দিবে? আমি দিবো। সেটা আমার হক। সব দিতে পারব না তবু যত পারি ততোটুকুই দিবো।” বড় ফুফু খুশি হলেন। বলে উঠলেন, “আলহামদুলিল্লাহ! মন খুশি করে দিলে বাবা!”
অর্নিলা চুপচাপ বসে টাকার হিসেব দেখছিলো। সে বুঝতে পারছিলো এতো টাকা কে কাকে দিবে? তাকে! ফস করে বড় ফুফু কে জিজ্ঞেস করল, “টাকা কাকে দিবে বড় ফুফু?”
“কেন? তোকে দিবে। এখন সব না অল্প কিছু দিবে।এটা তোর হক বুঝলি মেয়ে। বিয়ের সময় কাবিনের এই টাকা তুই পাবি।”
অর্নিলা মাথা দুলালো। ফস করে বলে উঠলো, “তাহলে বাকি টাকা কখন দিবে? ডির্ভোসের পর?” উপস্থিত সকলে হত’ভম্ব! কেউ কেউ উচ্চস্বরে হেসে উঠল। সারফারাজ শেহদাতের বিষম লেগে গেলো। এই মেয়ে তো জোড়া হবার আগেই আলাদা হবার চিন্তা ভাবনায় আছে।বড় ফুফু জিহ্ব কামড়ে বলল, ”এসব কি কথা? তওবা পর মাইয়া!”
অর্নিলা উঁচু গলায় বলতে লাগল,“তওবা তওবা!“ উপস্থিত সকলে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবার অবস্থা। ফরহাত হেসে হেসে সারফারাজের মুখ দেখছে। সে রাগী চোখে দেখছে অর্নিলা কে। ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে কসিয়ে একটা দিতে। কাজী সাহেব বহু কষ্টে হাসি থামিয়ে বিয়ে পড়ানো শুরু করলেন!
সারফারাজ একটু বাদে বাদে অর্নিলা কে দেখছে। তার মন খচখচ করছে কোন কারণে। সে বার বার সামনে তাকিয়ে মাথা নিচু করে ফেলছে। সারফারাজ সামনে ফিরল। অ/ভদ্র হাসি হেসে নিয়াজ এদিকেই তাকিয়ে আছে। এই ছেলেটার শিক্ষা এখনো হয়নি। সারফারাজ এবার একটু গা ঘেঁষেই বসল অর্নিলার। অর্নিলা কপাল কুঁচকে ফেলল। ফারাজ ভাইয়ের দিকে মুখ করে ফিসফিস করে বলল, “আর কতো এদিক বসবেন? আমার কোলে বসে পড়বেন নাকি ফারাজ ভাই!”
“চুপ গাধি! কবুল বল! সময় চলে যাচ্ছে।”
অর্নিলা জোরে জোরে বলল, “কবুল কবুল!” কাজী সাহেব শুকনো মুখে অর্নিলার দিকে তাকিয়ে বললেন, “মা এখন না তো। আমি কথা শেষ করে নিই। তোমার তো দেখছি তর সইছে না!”
অর্নিলা বোকার মত সবার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। সবাই হাসি থামানোর চেষ্টা করছে। এমনকি ফারাজ ভাই ও মুখ টিপে হাসছে। লজ্জায় সে মাথা নিচু করে ফেলল। এবার আর কারো কথা কানে যাচ্ছে না তার। ফারাজ ভাই তার সাথে এমন করল। হুঁ সবাই হাসছে তাকে দেখে। আর কথা বলবে না সে ভাইয়ের সাথে। কাজী সাহেব এবার ধীর স্বরে বললেন, “মা, এবার কবুল বলো!”
.
খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বাড়ির ছাদে। বিশাল বড় এই বাড়ির ছাদ ও বিশাল। আয়োজনে কোন ত্রুটি নেই। ছোট ফুফু এসে বড় ফুফুর কানে কানে বলছে, “আপা,রান্না নাকি খুব ভালো হয়েছে। আমার শাশুড়ি বলছিলো গরুর গোশত নাকি ভালো রান্না করেছে। কিন্তু মাছ নাকি ভালো না। রুই মাছে কেমন গন্ধ গন্ধ নাকি পাচ্ছিল। রিয়াদের বাপ বলল, মুরগির রোস্ট ভালো ছিল কিন্তু পোলাও গরম আছিলো না। এটা কোন কথা বলো তো? আমরা কুটুম না! আমাদের এমন আথিতীয়তা করলে হয়?”
বড় ফুফুর ইচ্ছে করল একটা ধমক দিয়ে বলতে,
“গাধী/রে গা/ধী! রান্না ভালোই আছে, তোর মুখ নষ্ট। তাই এসে এখানে এমন কথা বলছিস!” কিন্তু বহু কষ্টে নিজেকে সংযত করলেন। তার বোনের স্বভাব ভালো না। খুব ছোট কারণেই কেঁদে ফেদে একাকার। দেখ যাবে বিয়ে বাড়ি পরে ম/রা বাড়ি হয়ে উঠবে। শান্ত স্বরে বললেন, “থাক,তুই একদিন ওদের দাওয়াত করে খাইয়ে দিস। তখন বুঝে যাবে, আথিতীয়তা কাকে বলে?”
ছোট ফুফুর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তার চোখ চকচক করছিলো। আগ্রহ নিয়ে বলল, ”ঠিক বলেছো আপা। কিন্তু আপা, খাবার কিন্তু আমার কাছে ভালোই লাগছে। ওই বোরহানী টা আছে না, ওইটা খেতে একদম দারুণ!”
সবার খাবার দাবার উপরে ব্যবস্থা করা হলেও অর্নিলা আর তার ভাইবোনদের ঘরেই খাবার দেওয়া হলো। ছাদের চারদিকে রেলিং দেওয়া নেই। সেখানে বাচ্চাদের যাওয়া নিষেধ। সদ্য বিয়ে হওয়া অর্নিলার ক্ষেত্রেও তাই। সবচেয়ে উড়নচণ্ডী সে একাই।
এদিকে সারফারাজ দাঁড়িয়ে ফরহাতের সাথে কথা বলছে। হঠাৎ করেই কান্নার আওয়াজ। এর মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ। দুজন ফিরে পিছনে তাকিয়ে দেখল অর্নিলা ছুটছে। ছুটতে ছুটতে তার শাড়ি খুলে যাচ্ছে ওদিকে তার নজর নেই। আরাফাত তার রোস্ট নিয়ে ভেগেছে। রোস্ট উদ্ধারের অভিযানে সে ব্যস্ত। শ্রেয়মী এসে তাকে জাপটে ধরতেই রোস্টের জন্য সে মরা কান্না কাঁদছে। সারফারাজ কপাল চাপড়ে বিড়বিড় করে বলতে লাগল, “অন্য বউরা টেনশনে খাওয়ার কথা ভুলে যায় এদিকে আমার বউ মুরগির রোস্ট নিয়ে ঝগড়া করছে। বাহ্, কি ভাগ্য আমার!”
ফরহাত তাল মিলিয়ে বলল, “একদম ফ্রেম বানিয়ে ঘরে সাজিয়ে রাখার মতো!”
#চলবে….