#চৈত্রের_প্রেম
#লেখিকা_আলো_ইসলাম
(৫)
❝ ধানমণ্ডির একটা ফ্ল্যাটে পুলিশ এবং সে ফ্ল্যাটের প্রতিবেশী যারা আছে সবাই মিলে একটা ভীড় জমিয়ে রেখেছে সেখানে। যেখানে লাশ পড়ে আছে সেখানে ফ্লোরের চারিপাশে রক্তের দাগ। মৃত শরীরের সব রক্ত বেরিয়ে টাইলসের এক পাশে জমা হয়ে আছে। সেখানে মাছি ভনভন করছে অসংখ্য।
চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন রুমানা এবং আফজাল হোসেন নামের দুজন ব্যক্তি। রুমানা হাউজ ওয়াইফ এবং আফজাল হোসেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। কাজের সূত্রে আফজাল হোসেনকে প্রায় বাইরে থাকতে হয়। রুমানা এবং তার একজন গৃহ পরিচারিকা থাকতেন এখানে। গত দুদিন হলো রুমানার কাজের মানুষ ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যায়। রুমানা বর্তমানে একাই ছিলো ফ্ল্যাটে। রুমানার স্বামী আফজাল হোসেন এখন জার্মানি অবস্থান করছেন। তাকে খবর দেওয়া হয়েছে সে দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে আসবেন জানিয়েছেন।
মামুনুর সাহেব এবং হারুন রশীদ নাকে একটা রুমাল চেপে ধরে লাশের দিকে তাকিয়ে আছে। বিভৎস সে অবস্থা। বাকি ৯ টা খুনের ন্যায় এটাও একই ভাবে খুন করা হয়েছে। শরীরে রাতের পোশাক রক্তে রঙিন হয়ে উঠেছে।
মামুনুর সাহেব ঝুকে লাশকে পর্যবেক্ষণ করে।
স্যার এটাও সেম কেস। আগে মাথায় আঘাত করা হয়, এরপর ধারালো কিছু দিয়ে ইচ্ছে মতো শরীরে জখম করা হয়েছে। মনে হচ্ছে মধ্যরাতের দিকে মারা হয়েছে ইনাকে। শরীর থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে।
ফরেনসিকে খবর দিয়েছো? কোথায় তারা? হারুন রশীদ লাশ থেকে দূরে সরে আসেন৷ সহ্য হচ্ছে না তার আর এইসব। পুলিশে জয়েন করার পর থেকে বিভিন্ন কিছুর সাক্ষী হয়েছেন তিনি৷ কিন্তু বর্তমানে যেভাবে খুন করা হচ্ছে এটা তার কাছে নতুন। কেউ কাউকে এমন জঘন্য ভাবে মারতে পারে কিভাবে হারুন রশীদের মাথায় আসেনা। একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে এমন করা সম্ভব না যদি না সে সাইকো প্রকৃতির কেউ হয়।
জ্বি স্যার তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। রাস্তার মধ্যে আছে কিছুক্ষণের মধ্যে পৌছে যাবেন এখানে। মামুনুর সাহেব বলেন।
এই সাদ্দাম সব সময় লেট করে। ও না আসলে তো লাশ সরাতেও পারবো না৷ না জানি কতখন এই দৃশ্য চোখের সামনে দেখতে হবে। হারুন রশীদ বিরক্ত নিয়ে বলেন।
ফরেনসিক অফিসার সাদ্দাম। যিনি এই কেসের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে আছেন৷ প্রখর মেধাশক্তি সম্পন্ন একজন ব্যক্তি।
স্যার আমারে খবর দিছেন আইবার জন্যে! হঠাৎ এমন কথায় হারুন রশীদ এবং মামুনুর সাহেব পিছু ফিরে তাকায়। ধুসর ময়লা একটা শাড়ি পরিহিতা মহিলা মাথায় অর্ধেক ঘোমটা টানা, পায়ে সস্তার স্যান্ডেল। গায়ের রং কিছুটা ময়লা ধরনের।
মহিলা ভেতরে আসতে চাইলে পুলিশ কন্সটেবল বাধা দেয়। তাই দেখে হারুন রশীদ বলেন উনাকে ভেতরে আসতে দাও।
ইনি কে স্যার? মামুনুর সাহেব কৌতুহল নিয়ে বলেন।
হারুন রশীদ গলা পরিষ্কার করে বলেন ইনি এই বাসার কাজের মহিলা। ছুটিতে ছিলো, ফোন দিয়ে ডাকা হয়েছে তাই এসেছে।
উনি না গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলো। এত দ্রুত চলেও আসলো? মামুনুর সাহেব ভ্রু কুচকে বলে।
আসলে স্যার অইছে কি, আমার তো কাল রাতরে আহনের কতা ছিলো কিন্তু আইতে পারিনাই। তাই আমি সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে পড়ি আইবার জন্যে। পথের মধ্যে স্যারের ফোন পাইয়া আরও জলদি আইছি মহিলা বলেন।
যাকগে স্যার আমারে কেন ডাকছেন? ম্যাডামের কি কিছু অইচে? মহিলার কথায় হারুন রশীদ বলেন আপনার ম্যাডামকে কেউ খুন করেছে।
ইয়া আল্লাহ কিতা কন। কেমনে কি অইলো এইসব। দেকি দেকি বলে মহিলা লাশের সামনে এসে চোখ ছানাবড়া। প্রায় বমি উঠে আসার জো। নাকে কাপড় ধরে বলে একি অবস্থা ম্যাডামের। কেডাই মারছে এইভাবে।
এই আপনি সরুন, লাশের কাছে যাবেন না এখন৷ ফরেনসিক টিম না আসা পর্যন্ত লাশের কাছে কেউ যেতে পারেনা৷ কারণ আমাদের রিপোর্ট করতে হবে সব কিছু বুঝেছেন৷ মামুনুর সাহেবের কথায় হারুন রশীদ বলেন উনি থাক সমস্যা নেই।
এই যে আপনি কোনো কিছু হাত দেবেন না কিন্তু। আপনি তো এই বাড়িতে কাজ করেন৷ একটু দেখবেন কিছু খোয়া গেছে নাকি বাসা থেকে। হারুন রশীদের কথায় মহিলা বলে আমি অহনি দেখতাছি স্যার৷ এই বাড়ির সব কিছু আমার অক্ষরে অক্ষরে মুখস্থ আছে। কথাটা বলে মহিলা লাশের কাছে থেকে উঠে আসতে গিয়ে একটা জিনিসে চোখ আটকে যায়। সেদিকে হাত বাড়ালেই মামুনুর সাহেব আবারও ধমকে বলেন আপনাকে না হাত দিতে বারণ করেছি।
স্যার, দেহেন না ম্যাডামের চুলের নিচে কি যেন একটা আছে। মহিলার কথায় হারুন রশীদ বলেন কি আছে দেখি বলে ঝুকে বসেন৷ রক্তের জন্য চুল সব দলা পাকিয়ে শক্ত হয়ে উঠেছে৷ তারই ভাজে সোনালী রঙের একটা বস্তু। হারুন রশীদ সেটা হাতে তুলে নিয়ে দেখে বলেন এটা তো মনে হচ্ছে ঘড়ির একটা অংশ। যেটাই চেইন আটকানো হয়।
দেখুন তো এটা আপনার ম্যাডামের কি-না হারুন রশীদ মহিলার হাতে দেয় সেটা দেখার জন্য। মহিলা ভালো দেখে বলে না স্যার এইটা আমার ম্যাডামের না।
কিন্তু তার মুখটা থমথমে হয়ে যায় ঘড়ির টুকরো টা দেখে। পরিচিত ঘড়ির টুকরো বলে মনে হচ্ছে তার।
এর মধ্যে ফরেনসিক টিম চলে আসে। হারুন রশীদ ওদের কাজ করতে দিয়ে মহিলাকে নিয়ে একটা রুমে আসেন সব কিছু দেখার বাহানায়।
এতো দেরি হলো কেনো আসতে? ফরেনসিক টিম চলে আসলে তো আমরা আর লাশটা রাখতে পারতাম না। হারুন রশীদ বলেন মহিলাকে উদ্দেশ্য করে।
রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো। ঢাকা শহরের রাস্তার পরিবেশ কেমন এটা আর নতুন করে বলতে হবে না নিশ্চয় তোমাকে। এ্যানি ওয়ে, এই মহিলাকেও একই ভাবে খুন করা হয়েছে। খুনি যে একজনই এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে এবার খুনি তার ক্লু রেখে গেছে। আমার মনে হয় ঘড়ির অংশ টা খুনির হবে। ওইটার ভালো ভাবে ফরেনসিক টেস্ট করাও। এই মহিলা নিশ্চয় স্বামী বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে পরোকিয়ায় আসক্ত ছিলো। যার জন্য একেও খুন করা হয়েছে। আপাতত আমার এখানে কাজ নেই। আমি এখন যাচ্ছি আর হ্যাঁ ওই একটা ক্লু ছাড়া আমাদের কাছে কিছু নেই৷ বাকিটা ময়নাতদন্ত করার পর জানা যাবে। তবে হ্যাঁ! আমরা খুব শীগ্রই খুনি পর্যন্ত পৌছাতে পারবো এটা নিশ্চিত থেকো। যদি বইয়ের সাথে মিল রেখে সব কিছু হয় তাহলে খুনির সময় এসে গেছে সামনে আসার। অলরেডি ১০টা শেষ এবার টার্গেট ১১ নাম্বার আর এতেই খুনি তার ঠিকানা পেয়ে যাবে। মহিলা কথাগুলো বলে চলে আসে হারুন রশীদের সাহায্যে।
দুদিন পর আবারও পুলিশ এসে উপস্থিত হয় শ্রাবণ শারিয়ারের বাড়িতে। এবং এবার তারা শ্রাবণ শারিয়ারকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। মূলত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হবে।
আপনারা আমাকে কোন ভিত্তিতে থানায় নেওয়ার কথা বলছেন? শ্রাবণ ক্ষিপ্ত স্বরে বলেন।
দেখুন মিস্টার শারিয়ার আপনি যদি আমাদের সাথে কো-অপারেট না করেন তবে জোর করে নিয়ে যেতে বাধ্য হবো। আমরা আপনাকে এমনি এমনি থানায় যাওয়ার কথা বলছি না। উপর থেকে আমাদের কাছে অর্ডার এসেছে এবং কেনো থানায় যাবেন, কোন ভিত্তিতে নিয়ে যাচ্ছি সব কিছুই আপনি থানায় গেলে জানতে পারবেন।
সাঁঝি শ্রাবণ শারিয়ারের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। তার মধ্যে বেশ চিন্তার উদ্ভাস। শ্রাবণ শারিয়ার সাঁঝির দিকে অসহায় চোখে তাকায়। সাঁঝিকেও আজ নিরুপায় দেখাচ্ছে। এই ব্যাপারটায় যে শক সেটা তার চোখ মুখের রিয়াকশনই জানিয়ে দিচ্ছেন। এরপর সাঁঝিকে সান্ত্বনা স্বরুপ বলেন একদম চিন্তা করবে না আমি খুব শীগ্রই ফিরে আসবো। আমার কিছু হবে না।
অফিসার চলুন, শ্রাবণ শারিয়ার আগে আগে আসে পেছনে আসেন মামুনুর সাহেব।
আমার আগেই সন্দেহ ছিলো মিস্টার শারিয়ারের উপর। এখন সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে সাঁঝিকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে হারুন রশীদ বেরিয়ে আসেন।
এবার কি হবে সাঁঝিমা। জামাই বাবাজিকে তো নিয়ে গেলেন। রাশেদা বেগম বলেন হতাশা নিয়ে।
চিন্তা করো না! কিছু হবেনা উনার৷ আমি বিশ্বাস করিনা উনি এইসব করতে পারেন৷ গভীর রহস্য আছে এখানে আর সেটার সমাধান আগে করতে হবে। উনার উকিলের ব্যবস্থা করতে হবে আগে এরপর বাকি কাজ। সাঁঝি কথাগুলো বলে ঘরে আসেন কিছু কাজ সম্পন্ন করতে।
শ্রাবণ শারিয়ারকে একটা রুমের মধ্যে বসানো হয়৷ দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা আসামিদের জিজ্ঞাবাদের জন্য বরাদ্দ। শ্রাবণ শারিয়ারের সামনে একটা ছোট টেবিল আর মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে একটা একশো ওয়াটের বাল্ব। মাথার উপর ফ্যান ঘুরছে ঠিকই কিন্তু তার হাওয়া শ্রাবণ শারিয়ারের শরীর পর্যন্ত আসতে আসতে ক্ষীণ হয়ে পড়ছেন৷ যার কারণে তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের রেখা ফুটে উঠেছে।
একটু পরে হারুন রশীদ আর মামুনুর সাহেব উপস্থিত হয় সেখানে। শ্রাবণ শারিয়ারের বিপরীত পাশে চেয়ার নিয়ে বসেন হারুন রশীদ। তার পাশে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন মামুনুর সাহেব।
কিছুদিন আগে আরেকটা খুন হয়েছে শুনেছেন নিশ্চয়? হারুন রশীদ ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলে শ্রাবণ শারিয়ার বলেন নিউজে দেখেছি। কিন্তু এর সাথে আমার কি সম্পর্ক?
মিস্টার শারিয়ার, এই কেসের সাথে তো আপনারই সম্পর্ক তাই তো বারবার আপনার কাছে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের। আমরা এতদিন সন্দেহের বশে ছিলাম বলে আপনাকে কিছু বলতে পারিনি কিন্তু এখন আমাদের হাতে শক্ত প্রমাণ আছে যার জন্য আপনাকে আমরা থানায় নিয়ে আসি।
প্রমাণ? কিসের প্রমাণ? শ্রাবণ শারিয়ারের কপালে যেনো চিন্তার ভাঁজ।
হারুন রশীদ, মামুনুর সাহেবের দিকে ইশারা করলে তিনি পকেট থেকে একটা প্যাকেট বের করে টেবিলে রাখেন। শ্রাবণ শারিয়ার কৌতুহলী চোখে সেদিকে তাকায়।
হারুন রশীদ প্যাকেট থেকে সেই ঘড়ির কাটা অংশটা বের করে বলেন এটা দেখুন তো চিনতে পারেন কি-না?
শ্রাবণ ঘড়ির টুকরো টা হাতে নিয়ে ভালো করে দেখে বলেন এটা তো আমার ঘড়ির অংশ মনে হচ্ছে। এই ব্যান্ডের ঘড়ি একটা আমার ছিলেন।
ছিলেন কেনো? এখন কি নেই? সেটা কোথায়? মামুনুর সাহেব বলেন।
শ্রাবণ হতাশ হয়ে বলে বিশ্বাস করুন অফিসার ঘড়িটা আমি এক সপ্তাহ আগে হারিয়ে ফেলি। কিভাবে কখন হারিয়েছে যদি জানতে চান তাহলে বলবো এর কোনো উত্তর আমার কাছে নেই। কারণ আমি নিজেও জানিনা ঘড়িটা কখন আমার হাত থেকে পড়েছে বা এটা কেউ কি প্ল্যান করে নিয়েছে কি-না এখন এটাও সন্দেহ হচ্ছে।
বাহ! আপনার ঘড়ি আপনার হাত আর আপনি কিছু জানেন না। তাছাড়া এটা তো কোনো নরমাল ঘড়ি না৷ বেশ ভালো ব্যান্ডের দামি ঘড়ি। আর এতো দামি একটা জিনিস হারিয়ে গেলো তাতে আপনার কোনো কিছু মনে হলো না।
আচ্ছা আপনারা হঠাৎ আমার ঘড়ি নিয়ে পড়লেন কেনো? শ্রাবণ শারিয়ার উৎসুক চাহনি রেখে বলে।
কারণ আপনার ঘড়ির এই টুকরোটা আমরা লাশের চুল থেকে পেয়েছি।
হোয়াট? দাঁড়িয়ে যায় শ্রাবণ।
বসুন মিস্টার শারিয়ার। এমন ভাব করছেন আপনি মাত্র ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন৷ হারুন রশীদ তীক্ষ্ণ সুরে বলেন।
বিশ্বাস করুন অফিসার আমি এর কিছুই জানিনা৷ কিভাবে সেখানে গেলো আমি বুঝতে পারছি না৷ তাছাড়া যিনি বা যারা খুন হয়েছে আমি তাদের কাউকেই চিনি না৷ আর যাদের চিনিনা জানিনা তাদের কেনো খুন করবো আমি?
এটা তো আমাদেরও প্রশ্ন মিস্টার শারিয়ার। কেনো করছেন এমন? আমার তো মনে হচ্ছে আপনার মানসিক সমস্যা আছে। মামুনুর সাহেবের কথায় শ্রাবণ রেগে বলে মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ মিস্টার মামুনুর। আমি একদম ঠিক আছি এবং সত্যি বলছি এইসবের কিছুই আমি জানিনা। আমি কোনো খুন করিনি।
আওয়াজ নিচে করুন মিস্টার শারিয়ার। এখনো পর্যন্ত আপনার সাথে ভদ্র আচরণ করছি আমরা, অন্য কেউ হলে এতখন সুস্থ হয়ে এইভাবে বসে থাকতে পারতো না এখানে৷ এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করার কোনো অধিকার আপনার নেই। হারুন রশীদ উত্তেজিত হয়ে বলেন তখনই একজন কনস্টেবল এসে বলে বাইরে একটা মেয়ে এসেছে সাথে উকিল নিয়ে। হারুন রশীদের বুঝতে বাকি নেই কে এসেছে শ্রাবণও জানে সাঁঝি এসেছে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
চলবে…