#চৈত্রের_প্রেম
#লেখিকা_আলো_ইসলাম
(২)
❝গুপ্তধন খুঁজছো কি? শ্রাবণ শারিয়ারের কথায় সাঁঝি চমকে তাকায় তার দিকে৷ শ্রাবণ দুই হাত ভাজ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চোখ মুখে কৌতুহল মিশ্রিত যেন।
সাঁঝি হাসার চেষ্টা করে বলে, না মানে! আমি দেখছিলাম আমার ড্রেস গুলো এখানে রেখে গেছে কি-না। এই ভারী শাড়ি, ভারী সব গহনা খুব আনইজি লাগছে। সাঁঝি কথাগুলো বলতে বলতে বেডের সাইডে চলে আসে।
তো এতখন চেঞ্জ করোনি কেনো? কে বলেছে এইসব পড়ে থাকতে। তুমি যেটা ক্যারি করতে পারবে না সেটা তোমার উপর চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার তো কারো নেই। শ্রাবণ শারিয়ার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। গায়ে থেকে ব্লেজার খুলতে খুলতে বলে, দেখো ড্রেস এই রুমে আছে নাকি নিয়ে আসতে হবে। অনেক রাতও হয়ে গেছে। সবাই তো দেখলাম ঘুমিয়ে পড়েছে।
থাক আমি কাল চেঞ্জ করে নেবো! সাঁঝি হাসার চেষ্টা করে বলে। শ্রাবণ ভ্রু কুচকে বলে, তাহলে যে ড্রেস খুঁজছিলে। তাছাড়া তোমার অসুবিধা হলে তুমি চেঞ্জ করতো পারো। শ্রাবণ একটা টি-শার্ট আর লুঙ্গি আলমারি থেকে বের করে বাথরুমের দিকে যেতে গিয়েও থেমে যায়। সাঁঝি এতখন শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে ছিলো। হঠাৎ শ্রাবণকে থেমে যেতে দেখে অন্য দিকে চোখ সরিয়ে নেয়।
বাই দ্য ওয়ে! আমি রাতে লুঙ্গি পড়ে ঘুমাই, এতে তোমার সমস্যা নেই তো? কথাটা যেনো একটু গম্ভীর স্বরে বলে শ্রাবণ।
না না আমার একদমই সমস্যা নেই। আপনি যাতে কমফোর্ট ফিল করেন। সাঁঝির কথায় শ্রাবণ ছোট করে ওকে বলে বাথরুমে ঢুকে যায়।
ঘড়ির কাটা একটার ঘর অতিক্রম করতে যাচ্ছে। সাঁঝির চোখও বন্ধ হয়ে আসছে ঘুমে। সারাদিন তো কম ধকল যায়নি। তাছাড়া বিয়ে মানে একটা আলাদা চিন্তা, মেয়েদের কাছে এটা খুব একটা সহজ বিষয় না। শারীরিক এবং মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত থাকে। হয়তো সেটা সময়ের সাথে ঠিক হয়ে যায়। আবার জীবন সঙ্গী যদি মনের মতো হয় তাহলে তো সব ক্লান্তি, চিন্তা নিমিষেই দূর হয়ে যায়।
সাঁঝি গহনা গুলো খুলে রাখে পাশে থাকা সেন্টার টেবিলে। এখন যেনো একটু স্বস্তি লাগছে। মুখ ভর্তি মেকাপের প্রলেপ। সাধারণত সাঁঝি এইসবে অভ্যস্ত না থাকলেও আজ তাকে সাজতে হতো। বিয়ে তো মানুষের জীবনে একবারই আসে। আর এই বিয়েকে ঘিরে কত স্বপ্ন কত আশা থাকে। শুধু যে বর-কনের ইচ্ছে অনিচ্ছার দাম দিতে হয় এমন নয়৷ সাথে আত্মীয় স্বজন, পরিবার তাদেরও মতামতের একটা গুরুত্ব থাকে। সবাই চেয়েছিলো সাঁঝি যেনো আজ সুন্দর করে সাজে। আর সাঁঝি তাই কোনো দ্বিমত করেনি৷ যেখানে বিয়েটা হচ্ছে পছন্দের মানুষের সাথে সেখানে নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করাও তার কর্তব্য।
“শ্রাবণ ফ্রেস হয়ে আসলে সাঁঝি যায় ফ্রেস হতে। সাঁঝি ফ্রেস হয়ে এসে দেখে শ্রাবণ তার পড়ার টেবিলে বসে একটা বইয়ে মনোযোগ দিয়ে আছে। সাঁঝি চুপচাপ এসে শুয়ে পড়ে খাটের একপাশে।
তোমার সাথে কিছু কথা আছে আমার। যদি তুমি শুনতে আগ্রহী থাকো তবে বলতে পারি নয়তো কাল বলবো কোনো এক সময়। জানি তুমি অনেক ক্লান্ত আজ। আর হওয়াটা স্বাভাবিক।
আপনি ঘুমাবেন না? শ্রাবণ শারিয়ারের কথা শেষ হতেই সাঁঝি বলে।
আমার দেরি হবে ঘুমাতে। নতুন একটা বইয়ের কাজ চলছে। আমাকে পান্ডুলিপি জমা দিতে হবে দুদিনের মধ্যে। আজ সারাদিনটা তো বিয়ের ঝামেলায় কেটে গেলো। আর তো সময় নেই হাতে। আমি সময়ের কাজ সময়ে করতে পছন্দ করি। কথাগুলো বলতে বলতে শ্রাবণ শারিয়ার বইটা বন্ধ করে সোফায় এসে বসে। সাঁঝিও ততখনে উঠে বসেছে।
সব কিছু এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো যে তোমার সাথে কথা বলার সময় করে উঠতে পারিনি। যদিও আমার উচিত ছিলো বিয়ের আগে তোমার সাথে কথা বলার৷ তোমার মতামতের গুরুত্ব সবার উপরে। আমাকে বিয়ে করতে চাও কি-না এটা তো জানা আমার দায়িত্ব ছিলো। But sorry to say আমি সেটা করতে পারিনি। তবে হ্যাঁ এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। যদি তোমার কোনো রকম দ্বিমত থাকে এই বিয়ে নিয়ে তো নির্দ্বিধায় বলতে পারো আমাকে। যদিও এখন বিয়েটা হয়ে গেছে। সব কিছু ম্যানেজ করতে একটু ঝামেলা পোহাতে হবে তবে অসম্ভব নয়।
যদি বলি এই বিয়েতে আমার দ্বিমত ছিলো তাহলে কি করবেন? প্রশ্নবিদ্ধ চাহনি সাঁঝির! শ্রাবণ শারিয়ারও যেনো চাহনিকে আটকে রেখেছে সাঁঝির দুটি চোখে। চোখ মুখে বিষ্ময় নেই আছে শান্ত ভাব। সাঁঝি অপেক্ষা করছে শ্রাবণের উত্তরের।
কিন্তু তোমার চোখ মুখ তো অন্য কথা বলছে সাঁঝি! শ্রাবণ শারিয়ারের কথায় সাঁঝি চোখ নামিয়ে দেয়। নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা।
আমার মনে হয়না এই বিয়েতে তোমার আপত্তি ছিলো, থাকলে তুমি আগেই বলতে। কারণ তুমি এতটাও অবলা নারী নও যতটা তুমি দেখাও। কিন্তু, এরপরও যদি থেকে থাকে আপত্তি তো ফাইন, আমি কালই সব ক্লিয়ার করে দেবো সবাইকে। তাছাড়া আমাদের বিয়ের খবরটা তো এখনো পাবলিক হয়নি৷ তবে বেশিদিন হয়তো গোপন থাকবে না। যদি এখনই আমরা একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করি তাহলে হয়তো বিয়েটা পাবলিক হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবো। আমি শিওর নয় তবে চেষ্টা করা যাবে।
থাক আপনাকে এতকিছু করতে হবেনা ভাইজান, এই বিয়েতে আমার কোনো আপত্তি ছিলো না। সাঁঝি একটু অভিমান নিয়ে বলে কথাটা।
তবে সাঁঝির মুখে ভাইজান ডাকটা আজ যেনো ভালো লাগলো না শ্রাবণের। সাঁঝি শ্রাবণকে বরাবরই ভাইজান বলে ডাকে। তবে এখন তো শ্রাবণ তার স্বামী। এখনো যদি শ্রাবণকে ভাইজান ডাক শুনতে হয় তাহলে কেমন দেখায় ব্যাপার টা। এরপরও হজম করে শ্রাবণ কথাটা, সাঁঝিকে কিছু বুঝতে দেয়না বলেও না।
তাহলে তো একটা ঝামেলা মিটে গেলো। আমি তোমাকে যে কথা গুলো বলতে চেয়েছিলাম!!
এই বিয়েতে আমার কিন্তু মত ছিলো না এটা তুমি জানো! কারণ আমি এইসব বিয়ের ঝামেলায় কখনোই জড়াতে চাইনি। কিন্তু মায়ের জন্য আর ভাগ্যে ছিলো তাই হয়ে গেছে এতে আমার আফসোস নেই। তবে আমার সময় লাগবে সব কিছু মানিয়ে নিতে৷ তাছাড়া তুমি আমার থেকে অনেক ছোট, তোমার আর আমার মেন্টালিটি কিন্তু একভাবে যায় না যাওয়ার কথাও না। তারপরও আমাদের সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে হবে, মানিয়ে চলতে হবে। আর এইসব কিছু তো হুট করে হয়না৷ সব কিছুরই একটা সময় প্রয়োজন। আশা করি বুঝতে পারছো আমি কি বলতে চাচ্ছি?
সাঁঝি মাথা ঝাকিয়ে হ্যাঁ বলে শুধু।
যদিও তোমার যে বয়স এখন তাতে পার্টনারকে নিয়ে উচ্চাকাঙ্খা থাকা স্বাভাবিক। হয়তো মনের মধ্যে অনেক কিছু সাজিয়েও রেখেছো৷ কিন্তু আমার দিকটাও তো তোমাকে ভাবতে হবে৷ ৩৩ বছর বয়সে এসেছে এখন আর সে আবেগ কাজ করেনা৷ বয়সের ভাড়ে যেনো সব চাপা পড়ে গেছে।
৩৩ বছর বয়স মোটেও তেমন বেশি না৷ আপনি নিজেকে যতটা বয়স্ক দেখাতে চাচ্ছেন আপনি কিন্তু তেমন নয়। অজান্তেই কথাটা বলে দেয় সাঁঝি। যখন বুঝতে পারে আসলে কোন সত্য বলে ফেলেছে সে সাথে সাথে জিভে কামড় দিয়ে মাথা নুয়ে ফেলে। এদিকে সাঁঝির কথায় শ্রাবণ শারিয়ার ঠোঁট বাকিয়ে হাসে, যে হাসিটা সাঁঝির চক্ষুগোচরের বাইরে রয়ে যায়।
যাই হোক! কাল থেকে তাহলে আবার পড়াশোনা শুরু করে দাও। যেহেতু এক্সামের বেশিদিন বাকি নেই৷ তুমি আগেও যেমন এই বাড়িতে থাকতে, যখন তখন তোমার বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিলো এখনো তাই থাকবে৷ ভেবো না বিয়ে হয়েছে বলে তোমাকে কেউ গন্ডির মধ্যে বেঁধে রাখবে৷ আমি আসলে এইগুলো বিশ্বাস করিনা৷ মেয়েদের স্বাধীনতা খুব দরকার। বিয়ের পর যে স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করবে এটা অন্যায়, তবে হ্যাঁ যদি কেউ সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তখন কিন্তু তার ব্যাপারে আমি ভীষণ কঠিন এটা মাথায় রেখে কাজ করবে আশা করি।
সাঁঝি এবার শুধু মাথা নাড়ায়।
নয়নকে নাকি দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। ওর হাতের অবস্থাও বেশ খারাপ শুনেছি৷ আপাতত ওকে নিয়ে চিন্তা নেই৷ তবে যদি কখনো কোনো বিপদ হয়, কোনো প্রয়োজন লাগে সাথে সাথে আমাকে কল করবে৷ আমি যেখানে থাকি তোমাকে সেভ করার চেষ্টা করবো ক্লিয়ার?
সাঁঝি মুগ্ধ হয়ে শ্রাবণ শারিয়ারের কথা শুনছে৷ এই মানুষটা নিজেকে কঠিন দেখানোর চেষ্টা তো করছে কিন্তু সাঁঝিকে আগলে রাখার আবদারও আছে।
আমার কথা শেষ আপাতত। তুমি এবার ঘুমিয়ে পড়ো, বলে শ্রাবণ উঠে পড়ার টেবিলের দিকে অগ্রসর হতে গেলে সাঁঝি বলে অনেক তো রাত হলো আপনিও ঘুমিয়ে পড়ুন না। কাল থেকে নাহয় সব কাজ করবেন।
আমার ঘুম পেলে ঠিক ঘুমিয়ে যাবো, আমাকে নিয়ে ভেবো না। তুমি ঘুমাও! শ্রাবণ বেশ ভদ্রভাবে কথা টা বলে।
পরের দিন সকাল ৮টা বাজতেই দুজন ব্যক্তি এসে হাজির হয় শ্রাবণ শারিয়ারের খোঁজে। অনেক রাত করে ঘুমানোর ফলে সাঁঝির ঘুম ভাঙেনি৷ শ্রাবণও ভোরের দিকে ঘুমিয়েছে। শিরীন আক্তার শ্রাবণের ঘরে গিয়ে দরজায় টোকা দেয়। বেশ কয়েকবার ডাকার পরে সাঁঝির ঘুম ভাঙে৷ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৮টা পার হয়ে গেছে। সাঁঝি তড়িঘড়ি করে উঠে দরজা খুলে দেয় শ্রাবণের দিকেও তার নজর যায়নি এখনো পর্যন্ত।
অনেক দেরি হয়ে গেলো খালাম্মা। তুমি নাস্তা করেছো? মা কি এসেছে? সাঁঝি ব্যস্ত হয়ে উঠে।
ওইসব ছাড়, তাড়াতাড়ি শ্রাবণকে ডেকে দে। দুজন মানুষ এসেছে৷ শ্রাবণের সাথে কথা বলতে চাইছে। ড্রয়িংরুমে বসে আছে। আমি তোর মাকে চা দিতে বলে এসেছি। শিরীন আক্তারের কথায় সাঁঝি ভ্রু কুচকে বলে এত সকালে আবার কে এলো? আচ্ছা আমি উনাকে ডেকে দিচ্ছি তুমি যাও।
সাঁঝি ঘরে এসে দেখে শ্রাবণ বাচ্চাদের মতো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে৷ ঘুমন্ত মানুষটাকে একদম নিষ্পাপ বাচ্চা লাগছে দেখে। সাঁঝির একদমই ইচ্ছে করছে না শ্রাবণের এতো সুন্দর ঘুমটা নষ্ট করতে৷ কে জানে কখন ঘুমিয়েছে৷ হয়তো এখনো ঘুমটা ঠিক ভাবে হয়ে উঠতে পারেনি৷ এই সাত সকালে আবার কার যে প্রয়োজন পড়লো উনাকে।
সাঁঝি আর সাত পাঁচ না ভেবে শ্রাবণকে ডাকতে থাকে।
ভাইজান, ভাইজান উঠেন! কারা যেনো এসেছে আপনাকে ডাকছে নিচে। শ্রাবণ সাঁঝির ডাকে নড়েচড়ে আবার ঘুমায়।
সাঁঝি ভাবে এইভাবে হবে না। পাশেই গ্লাসে থাকা পানি হাতে নিয়ে শ্রাবণের চোখ মুখে ছিটিয়ে দিলে শ্রাবণ চোখ মুখ কুচকে বিরক্তি প্রকাশ করে।
ভাইজান উঠেন না! সাঁঝির ডাকে শ্রাবণ রেগে উঠে বসে।
কি সমস্যা সাঁঝি এতো ডাকাডাকি করছো কেনো? আর ভাইজান কি হ্যাঁ! আমি তোমার কোন জন্মের ভাইজান লাগি। স্বামীকে কোন মেয়ে ভাইজান ডাকে বলো আমাকে।
একে তো সকালের ঘুমটা নষ্ট করেছে তার উপর আবার ভাইজান ডাকটা আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। শ্রাবণের হুংকারে সাঁঝি ভয় পেয়ে যায়। শ্রাবণের থেকে দূরে গিয়ে মাথা নিচু করে থাকে।
শ্রাবণ নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলে সরি। আসলে প্রোপার্লি ঘুম না হলে মেজাজ ঠিক থাকে না৷ বাই দ্য ওয়ে কি যেনো বলছিলে?
ও ও ওই বাইরে কারা যেনো এসেছে তাই খালাম্মা বললো আপনাকে ডাকতে৷ সাঁঝি কথাটা বলে কেঁদে ফেলে। শ্রাবণ হতবাক হয়ে বলে এই মেয়ে কান্না করছো কেনো৷ বললাম তো সরি।
এতেও কাজ হয়না৷ সাঁঝি ফুপিয়ে কেঁদে যাচ্ছে৷ শ্রাবণ উপায় না পেয়ে সাঁঝির হাত ধরে টেনে কোলের উপর নেয়৷ এতে সাঁঝির কান্না তো গায়েব হয়েছে অবাকের শেষ চুড়ায় পৌছে গেছে সে৷ শ্রাবণ যে এত তাড়াতাড়ি তাকে কাছে টেনে নিবে একদমই ভাবেনি।
বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করা এই একটা ঝামেলা জানো। কিছু একটু বললে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদে৷ শ্রাবণের কথায় সাঁঝি লজ্জায় মুখ লুকোয়। যে কান্না ছিলো তার চোখ মুখে জুড়ে সেটা এখন হাসিতে পরিনতি পেয়েছে৷।
থাক আর হাসতে হবে না৷ কান্না করতে দেরি হয়না আবার হাসতেও সময় লাগে না৷ দেখি কে এলো এতো সকালে জ্বালাতে। তুমি কি আমার জন্য এক কাপ কফি বানিয়ে দিতে পারবে? মাথাটা ব্যথা করছে। যদি ঠিক ভাবে ঘুমটা দিতে পারতাম আড়মোড়া ভেঙে বলে শ্রাবণ।
আমি এখুনি নিয়ে আসছি আপনি যান। সাঁঝি শ্রাবণকে ছাড়িয়ে উঠে দৌড় দেয় ঘরের বাইরে। আপাতত সে শ্রাবণের মুখোমুখি হতে পারবে না লজ্জায়। শ্রাবণ মুচকি হেসে ওয়াশরুমে যায়।
অনেকটা সময় নিয়ে আসলেন মিস্টার শ্রাবণ শারিয়ার। শ্রাবণকে দেখে বলে উঠে একজন ব্যক্তি।
আপনারা? আপনাদের তো ঠিক চিনলাম না? শ্রাবণ শারিয়ার কৌতুহল প্রকাশ করলে দুজন ব্যক্তির মধ্যে থেকে একজন বলে উঠে, আমি এএসপি হারুন রশীদ। আর ইনি সহকারী অফিসার মামুনুর। আমরা ডিবি পুলিশ থেকে এসেছি।
পুলিশের লোক শুনে শ্রাবণ শারিয়ারের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়।
চলবে.