চাহিদা.পর্ব-2
সাদিক লিজাকে হ্যাসকা একটা টান দিয়ে বিছানায় চেপে ধরে। লিজার ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়।
এভাবে কিছুক্ষন চলার পর হঠাৎ লিজার মোবাইলে ম্যাসেস টোন বেজে ওঠে।
টোন বেজে উঠতেই দুজনের নজর সেদিকে যায়,,,,,
সাদিক কিছু বুঝে উঠার আগেই লিজা ওকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে।
আবার ওর ঠোট ডুবিয়ে দেয় সাদিকের ঠোটে। সদিকও সেদিকে খেয়াল না করে নিজের স্ত্রীর ভালবাসায় ঢুবে গেলো।
এভাবেই চলতে থাকে স্বামী স্ত্রীর পবিত্র ভালোবাসা,,,
।
গভীর রাতে ঘুম ভাঙ্গে লিজার,,,
সাদিকের দিকে তাকিয়ে দেখে সাদিক ঘুমাচ্ছে,,,,
লিজা উঠে ফোনটা নিয়ে দেখে শাওনের ম্যাসেস
মনে মনে ১০১ টা গালি দিলো ওকে।
দিয়ে এসে আবার ঘুমিয়ে পড়লো লিজা,,,
।
সকাল ৮ বাজে ঘুমা ভাঙ্গে সাদিকের,,, লিজা এখনো ঘুমাচ্ছে। লিজার দিকে তাকিয়ে আছে সাদিক।
ঘুমের মধ্যে লিজাকে নিষ্পাপ শিশুর মতো লাগেছে। লিজার কপালে একটা আলতো করে একটা কিস করে
বিছানা থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে চলে যায়,,,,
তারপর শাওয়ার নিয়ে
ফ্রেস হয়ে বাইরে বের হয়।
।
লিজা এখনো ঘুমাচ্ছে দেখে
সিমাকে ডেকে চা দিতে বলে নিউস পেপারটা নিয়ে বেলকনিতে বসে পেপার পড়তে শুরু করলো সাদিক।
সিমা চা দিয়ে গেলো
সাদিক
সাদিক চায়ের কাপে চুমুক দিচ্চে আর খবর পড়ছে
।
এদিকে লিজাও ঘুমথেকে উঠে গোসল সেরে আয়নার সামনে বসে সাজু গুজু করছে।
সাদিক পেপার পড়া শেষে রুমে চলে আসে
এসে দেখে লিজা একটা নীল শাড়ি পরে আয়নার সামনে বসে আছে।
।
লিজাকে নীল শারীতে নীল পরীর মতো লাগছে যা দেখে সাদিক নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।
লিজাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে ওর পিটে নাক ঘষতে লাগলো, সাদিজ ,,,
।
সদিকের স্পর্শে লিজা একটু কেপে উঠলো,, লিজার রং পরিবর্তন হতে লাগলো
।
সাদিক বললো,,,লিজা তুমি এতো সুন্দর কেন? তোমাকে যতো দেখি ততই তোমার রুপে মুগ্ধ হয়ে যাই।
।
তাই বুঝি,,,, কেন আগে কি সুন্দর লাগতো নাহ??
।
সেটা,না ,, কিন্তু তুমি যেন দিনদিন আরো বেশি সুন্দর হয়ে উঠছো সেটা কি জানো।
।
কয়টা বাজে মিস্টার??
।
কেন?
।
অফিসে যাবা না?
।
হুমমম যাবো তো,,,,
।
তো আমাকে ছারেন আর অফিসে চলে যান,,,,,,
।
ধুর,,,,, অফিস আর অফি ভালো লাগে নাহ
এই বলে সাদিক রেডি হয়ে অফিসের জন্য বেড়িয়ে গেলো
।
সকাল এগারোটা,,,,,,,
লিজা সোফায় বসে টিভি দেখছে এমন সময় নিলয়ের (লিজার ভার্সিটির ফ্রেন্ড) ফোন করলো
।
লিজা ফোনটা হাতে নিয়ে অবাক,,,,
নিলয় আমাকে কল করেছে?
।
তারাহুরো করে রিসিভ করলো লিজা,,
।
কেমন আছো নিলয়?
।
ভালো তুমি?
।
আমি ভালো কি না সেটা তো জানই।
।
হুমমম,,, এসব এখন ভেবে আর লাভ কি?
।
হুম,,, বাদ দাওনা ওসব,,,, তুমিতো বিয়ে করেছো তাই না?
।
হুমমম,,, একটা ছেলে সন্তান ও আছে। ৬ মাস বয়স
।
বাহহহ,,তাহলে তো সুখেই আছো,,,,,
।
হুমম আচ্ছা রাখছি,,,, এখন অফিসে আছি,,,
।
আচ্ছা,,,,,ভালো থেকো,,,
টুটু কলটা কেটে গেলো,,,
।
৭ দিন পর,,,,,,,
।
লিজা প্রতিদিনের মতো সোফায় বসে টিভি দেখছে কিন্তু লিজার যেন কিছুই ভালো লাগছে না,,,,
সে সিমাকে ডাক দিলো একটু গল্প করার জন্য।
।
সিমা বলল সে ব্যাস্তু,,,,
।
বোরিং হয়ে বসে আছে লিজা,,,,,
তাই মনে মনে ভাবলো একটু শপিং করলে কেমন হয়? শপিং করাও হবে মনটাও ভালো হয়ে যাবে,,,
যেই ভাবা সেই কাজ
রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লো শপিং করতে।
যাবার আগে সিমাকে বলে গেলো
যে সাদিক আসলে যেন তারাতারি নাস্তা রেডি করে ওকে খেতে দেয়।
।
টানা ৩ ঘন্টা ঘুরাঘুরি করে শপিং করার পড় মার্কেট থেকে বের হয় লিজা।
বের হয়েই দেখে শিপন সামনে
পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলো কিন্তু তার পরেও শিপন লিজাকে দেখে ফেললো
।
কি খবর ভাবি শপিং করলে?
।
হুমমম
।
তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে।
।
লিজা লজ্জায় মাথা নিচু করে দ্বারিয়ে আছে।
।
চলো না,,,, পাশেই একটা হোটেল আছে
একটু…..
।
আজ পারবো না,,,, তোর ভাইয়া বাসা এসে পরেছে মনে হয়।
।
আরে কিছু হবে না চলো,,,
।
নাহ,,, আজ আমি পারবো না,, বলেই চলে যেতে লাগলো লিজা তখনি শিপন বলে উঠলো
।
,,কি বললে পারবে না?? তাহলে কি ভিডিও??
।
লিজা থেমে গেলো
।
শিপন ও গ্রিন সিগনাল পেয়ে লিজাকে নিয়ে হোটেলে চলে যায়।
।
এদিকে সাদিক বাসা এসে বাসায় এসে বসে আছে।
কিন্তু লিজার কোন খবর নাই।
কয়েক বার ফোন করলেও রিসিভ হয় নি।
তাই একটু টেনশন হচ্ছে।
সিমাকে বার বার প্রশ্ন করলেও সে বলে শিপং এ গেছে।
আসলে সিমা এটা জানে যে লিজার দেরি হওয়ার কারণ কি।
।
তাই সিমা টেনশন না করতে বলে নিজের কাজ করছে।
।
সন্ধার কিছুক্ষন পর বাসায় ফিরলো লিজা,,,,
।
দাড়াও লিজা,,, কোথায় ছিলে এতোক্ষন?
।
এই তো শপিয়ে গেছিলাম,,, পানসে একটা হাসি দিয়ে।
।
৫ ঘন্টা লাগে শপিং করতে??
।
লিজা চুপচাপ কোন কথা না বলে উপরে যাচ্ছে।
।
সাদিক লিজার পিছনে পিছনে উপরে গেলো।
।
লিজা রুমে পিয়ে ফ্রেস হয়ে
রুমে ঢুকতেই সাদিক আবার প্রশ্ন করলো
কি হলো আমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছো না কেন??
।
কি উত্তর দিবো?
।
কি উত্তর দিবা মানে? তুমি এতোক্ষন এতোক্ষন কি এমন কাজ করলে যে তোমার এতো দেরি হলো বাসায় ফিরতে?
।
চিল্লাবা না,,,,সামিরা পাশের রুমে পরছে।
।
হঠাৎ লিজার ফোন বেজে উঠলো,,,
লিজা ফোনটা নেয়ার আগে সাদিক ফোনটা নিয়ে রিসিভ করে কোন কথা না বলে কানে ধরেই অবাক হয়ে যায় সাদিক।।ওপাশ থেকে শাওন বলছে।
।
কি ব্যাপার ভাবি,,,, আজ নাকি তুমি শিপনকে টাইম দিয়েছো।
তো আমাকে কি ভুলে গেছো?।
।
এপাশে সাদিক চুপ,,,,
।
লিজা ফোনটা নেয়ার কোন চেষ্টাও করলো নাহ,,
শুধু নিচের দিকে মাথা করে দ্বারিয়ে আছে।
কারণ সে সাদিকের মুখ দেখে বুঝে গেছে যে কলটা কে করেছে।
।
কি ব্যাপার ভাবি কথা বলছো না কেন?
ভাইয়া কি পাশে আছে??
।
সাদিক চুপ করে সব শুনছে আর রেগে ফুলে উঠছে,,
।
লিজা মাথা করে দারিয়ে আছে ঠিকি কিন্তু মুখে কোন অনুসোচনা বা ভয়ের ছিটেফোটাও নেই।
।
ও বুঝছি রাতে ম্যাসেস দিও এখন রাখি
বলেই লাইন টা কেটে দিলো শাওন।
।
এসব কি লিজা?
কতোদিন থেকে চলছে এসব?
।
লিজা সোজা জবাব দিলো তোমার আর সিমার সম্পর্ক যতো দিন থেকে চলছে আমার টাও ততো দুন থেকে চলছে।
।
সাদিক লিজার কথা শুনে রিতি মতো অবাক.
সিমা আর আমার সম্পর্কে লিজা সব জানে?
।
অবাক হচ্ছো তো? অবাক হবার কিছু নেই। কারণ সিমা আমার কথাতেই সব করছে। সব আমার প্লান
কিন্তু আমি আমি এসব কেন করেছি জানতে চাও?
।
চলবে…