চাহিদা পর্ব: ৪
সাদিক রুমে বসে অপেক্ষা করছে।
লিজা সামিরাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে রুমে আসলো।
।
লিজা রুমে আসতেই সাদিক একটু নরেচরে বসলো।
লিজাও এসে বসে পড়লো
কেউ কিছু বলছে
দুজনেই চুপ
এভাবে ২০ মিনিট চলে গেলো
হঠাৎ লিজা উঠে এক গ্লাস পানি পান করলো আর বললো
তুমি পানি খাবে?
।
নাহ থাক,, আমার পিপাশা পায়নি।
।
ওকে,,,৷
।
হুমমম
এবার বলো
.
আচ্ছা সাদিক ছেলেরা তার বউয়ের থেকে কি চায় বলো তো
।
কেন জানো নাহ?
।
প্রশ্ন করো কেন? যা জানতে চাচ্ছি তাই বলো।
।
একটা ছেলে তার বউয়ের থেকে সব চেয়ে বেশি যেটা আশা করে সেটা হলো অধিক বিশ্বাস আর ভালোবাসা।
।
হুমমম আর মেয়েরা? মেয়েরা কি চায় তার স্বামীর থেকে?
।
মেয়েরাও সেটাই চায়,, ট্রাসটিং,কেয়ারিং,সেয়ারিং এই সব।
।
হুমমম কিন্তু মেয়েরা যে এসবের থেকেও আর একটা জিনিস বেশি চায় সেটা কি জানো?
।
নাহ,,,কি চায় বলো তো?
।
সেটা হলো একটা বাচ্ছা,,, তুমি দুনিয়ায় এমন কোন মেয়ে পাবে নাহ,, যে মেয়ে মা হতে চায় না।
সব মেয়েই চায় তার একটা বাচ্ছা হোক,, সেটা যে কোন মূল্যই,,মা হবার ইচ্ছাটা একটা অদ্ভুদ দেখো না খবরের কাগজে বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে কতো মেয়ে মারা যায়,, তবুও কোন দিন কোন মেয়ের মুখে শুনছো যে সে বলে আমি মা হবো না?
।
সাদিক কিছুটা থ হয়ে গেলো। মনে মনে ভাবছে লিজা সত্যি কথাই বলছে।
এতো কিছুর পরেও মেয়েদের মা হবার আকাংক্ষা, কমে না।
।
আবার দুজনে কিছুক্ষনের জন্য চুপ,,,, কেউ কিছু বলছে না,,,,,
।।
১০ মিনিট পর,,,
নিরোবতা ভেঙ্গে লিজা বললো,,,
আচ্ছা সাদিক তুমি কি জানো সামিরা কার মেয়ে?
।
কার আবার আমাদের মেয়ে। মানে তোমার আর আমার মেয়ে।
।
নাহ সাদিক লিজা আমার মেয়ে সেটা ঠিক।
কিন্তু তোমার নাহ।
।
মানে?
।
হুমম সামিরার বাবা তুমি নও। ওর বাবা অন্য কেউ
।
What…!!! তো কে ওর বাবা বলো আমায়
।
সামিরা আমার আর শাওনের মেয়ে। কিন্তু শাওন সোটা জানে নাহ।
।
এবার সাদিক আর বসে থাকতে পারলো না উঠে দারিয়ে বললো।
তুমি কি ইয়ার্কি করছো আমার সাথে?
।
নাহ সাদিক আমি একদম ইয়ার্ক করছি। সামিরা সত্যিই শাওনের মেয়ে।
।
কিন্তু কিভাবে?
।
তুমি মানো আর না মানো সত্যি তো সত্যিই।
আর তুমি বাবা হবে কেমন করে।
তুমি তো কোন দিন বাবা হতেই পারবা না।
।
এবার সাদিক লিজা কথা শুনে থমকে গেলো প্রচন্ড রেগে গিয়ে বললো,৷৷ what!!! just stop tolking like this লিজা,,, তুমি তোমার পাপ ঢাকার জন্য আমাকে এভাবে দোষ দিতে পারো না।
।
আমি সত্যিটা বলছি। আর এটাই সত্যি।
।
ওকে….. বলো তুমি জানলে কিভাবে যে আমি বাবা হতে পারবো না?
।
কিভাবে জানলাম?
।
হুমমম
।
তাহলে শুনো,,
আমাদের বিয়ের ২ বছর পার হয়ে গেলেও যখন আমার গর্বে সন্তান আসলো না
তখন আমি তোমাকে বলেছিলাম কিন্তু তুমি বলেছিলে
ধর্য ধরতে।
এভাবে আরো ৬ মাস চলে যায় কিন্তু কোন সারা পাচ্ছিলাম না আমি। অনেক বার বেবি স্টিক দিয়ে টেষ্ট ও করেছি। কিন্তু আমি বার বার হতাশ হই।
তাই তোমার মনে আছে তোমাকে নিয়ে একদিন ডক্টরের কাছে গেছিলাম?? তোমার আর আমার ব্লাড সেম্পল দিয়ে আসি ডক্টরের কাছে,,, আরো অনেক টেস্ট করাই আমরা, মনে আছে?
।
হুমম আছে,,, কিন্তু তুমিতো তখন বলছিলে অন্য কথা।
।
হুম বলেছিলাম,, কারণ আমি আগে সিওর হতে চেয়েছি যে সমস্যাটা তোমার নাকি আমার।
।
তো তারপর কি হলো,,ডাক্টার কি বলছে?
।
৭ দিন পর রিপোর্ট আসে। ডক্টর রিপোর্ট দেখে বলে আমার কোন সমস্য নাই। কিন্তু ওনি তোমার ব্যাপারে কনফিউসনে ছিলেন। আর ওনি আমাকে আমাদের দাম্পত্ত জীবন নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেন, এই যেমন আমরা একসাথে থাকি কিনা, প্রইভেট প্রশ্নই বলতে পারো। আমি সব বলে দেই যে তুমি কোন কমতী রাখো না আমার। তুমি ফিজিকালি অনেক স্ট্রং আমাকে সুখেই রেখেছো।। এসব শুনে ওনি কিছুটা অবাক হন। কারণ ওনি রিপোর্ট দেখে বললেন তোমার তেমন কোন সমস্যা নাই। যা আছে তা সামান্য। তাহলে বাচ্ছা আসতেছে না কেেন? তারপর কিছুক্ষন ভেবে বলেন আপনি আরো কিছু দিন ধর্য ধরুন। হয়তো সমস্যাটা এমনি এমনি সেরে যেতে পারে।
।
তারপর??
।
তারপর আমি আবার ৬ মাস অপেক্ষা করি।
কিন্তু কোন সারা পাচ্ছিলাম না। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। কিছু বন্ধু দের কল করে বলি কিন্তু ওরা বলে ডিভোর্স নিতে।
কিন্তু তোমার সাথে ডিভোর্স নিতে হলে তো তোমায় কোন কারণ দেখাতে হতো। যদি এমনি ডিভোর্স নিতাম তাহলে তুমি আবার কোন মেয়েকে বিয়ে করতে। আর না হলে তোমাকে সব বলে দিতে হতো যে তুমি বাবা হতে পারবে না। এতোদিন থেকে সংসার করে বুঝেছি তোমার মতো স্বামী সবার কপালে জুটে না,, তুমি আমার সব চাহিদা মিটিয়েছো। সব চাওয়া পূরন করছো। আর আমি তোমাকে ভালো ভাবেই চিনি তুমি এসব জানার পর অফিস কাজ কর্ম সব ছেড়ে দিতে। তোমার প্রতি এতোটা মায়া পড়ে গেছে যে তোমাকে এভাবে ছারতে ইচ্ছে করছিলো না। আবার আমার ইচ্ছার ও কোরবানি দিতে পারবো না।
।
এমন সময়
একদিন সিমা আসে আমার রুমে চা দিতে।
এসে কিছুক্ষন দারিয়ে থাকার পর মাথা ঘুরে পরে যায়।
তখন তুমি অফিসে ছিলে
আমি তারাতারি করে উঠে ওকে ধরি।
তারপর লক্ষ করলাম সিমা ভয়ে কেমন যেন গুটিয়ে যাচ্ছে আমি বুঝতে পারলাম কোন গন্ডগোল তো আছেই।
তাই সিমাকে বললাম কি হয়েছে।
ও প্রথমে না বললেও পরে বলে ও অন্তসত্তা।
আমি শুনে অবাক। কিন্তু ওর বাচ্চার বাবা কে সেটা বলতে চাচ্ছিলো না ভয়ে।
প্রথমে আমি তোমাকে সন্দেহ করি কিন্তু পরে মনে পড়ে তোমার সমস্যার কথা। তাই ওকে এটা সেটা ভয় ভিতি দেখিয়ে জানতে পারলাম ওর সন্তানের বাবা শাওন।
শুনে আমি পুরো থ হয়ে যাই।
এরা আমার বাসায় এসব করছে আর আমি জানি না।
যাই হোক সেদিন রাতে আর ঘুমতে পারলাম না কি করবো এই টেনশেনে।
হঠাৎ মাথা একটা বুদ্ধি আসলো
মনে মনে ভাবলাম আমাকে যে করেই হোক মা হতে হবে। যেহেতু তুমি সেটা পারবে না। আর আমিও তোমাকে ছারতে পারবো না। তাই ভাবলাম সিমা এবং শাওন কে ব্যাবহার করবো।
।
পরের দিন শাওনকে ফোন দিতে যাবো তখনি শাওন নিজে থেকো আমাকে ফোন করে।
আর একটা সমস্যায় পরেছে বলে আমার হেল্প চায়।
আমার আর বোঝার বাকি ছিলো না সমস্যাটা আসলে কি তাই ওকে বাসায় আসতে বলি।
।
কিছুক্ষন পর শাওন চলে আসে।
তারপর ও বলার আগে আমি ওকে সব বলি আর এ ও বলি যে আমি ওকে হেল্প করব।
কিন্তু একটা শর্তে…..
…
চলবে