চাহিদা পর্ব: ৩
কি অবাক হচ্চো?
অবাক হবার কিছু নাই কারণ সিমা আমার কথায় সব করেছে। সব প্লান আমার,,,
।
সাদিক পুরা থ হয়ে গেলো
কি বলছে এসব লিজা।?
ওর কথা তেই সব করছে সিমা?
।
নিশ্চুপ হয়ে বিছানায় বসে পরে সাদিক।
বসে বসে ভাবছে আমি জানতাম একজন স্ত্রী তার সব কিছু ভাগ অন্য কাউকে দিতে পারে কিন্তু তার স্বামীর ভাগ কাউকে দিতে চায় না, এমন কি দেয় ও না। কিন্তু লিজা নিজে থেকে সিমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে???
সাদিক কিছুতেই যেন ভুঝতে পারছে না
লিজা এসব করলো কেন?
।
কিছুক্ষনের জন্য সাদিক যেন ভুলেই গেছে যে একটু আগে সে তার বউ লিজার পরোকিয়া সম্পর্কে জানতে পারলো।
কারণ সাদিকের মাথায় শুধু একটা প্রশ্ন ঘুরছে লিজা আসলে কেন সিমাকে আমার কাছে পাঠালো।
সাদিকের মনে পড়তে থাকে সিমার সাথে কাটানো প্রথম সেই দিনের কথা। যেদিন সিমা নিজেই এসেছিলো সাদিকের কাছে। আজ সাদিক কিছুটা বুঝতে পারছে সিমা কেন সেদিন নিজে থেকে সাদিকের সাথে ওসব করতে চায়।
।
(((চলুন সর্ট কার্ট এ সে ঘটনা যেনে নেয়া যাক)))
।
যখন সাদিক ও লিজার বিয়ের ৩ বছর চলছিলো। তখনো সামিরার জন্ম হয়নি ,,
লিজা একটু কাজের জন্য বাইরে যায়,,,
।
বাসায় শুধু সাদিক আর সিমা ছিলো।
।
সাদিক রুমে বসে কাজ করছিলো আর সিমা বার বার রুমে আসা যাওয়া করছিলো।
কিন্তু সাদিকের সে দিকে কোন মনোযোগ ছিলো না।
সে তার মতো কাজ করছিলো।
কিছুক্ষন পর লিজা সাদিকের সামনে এসে বসে এমনি এমনি কিছু প্রশ্ন করতে লাগলো এই যেমন,, কি করছেন, কেন করছেন, এখন আপনার মুড কেমন,এইসব,, আর সাদিকের দিকে তাকিয়ে মিটমিটিয়ে হাসছিলো।
ওর হাসির মধ্যে একটা চাহনি ছিলো যেটা সাদিক কেন যে কোন পুরুষ ই বুঝতে পারতো।
সাদিকও বুঝতে পারে।
কিন্তু কোন রিয়েক্ট করে নাই ।
কারণ ওর এসবের মধ্যে কোন ইন্টেরেস্ট ছিলো না।
।
এভাবে অনেক্ষন চলতে থাকে
কিন্তু লিজা এমন কিছু কাজ করছিলো যা হতে দেখে কোন পুরুষ ঠিক থাকতে পারতো না।
সাদিক তাহলে কিভাবে পারবে?
সেও পারলো না। সারা দিলো সিমার ইশারায়। তবে এক শর্তে যে ও যেন কাউকে কিছু না বলে।
সেই থেকে প্রায়ই তারা লিজাকে লুকিয়ে দেখা করতো।
।
কিন্তু ওসব যে লিজার প্লান ছিলো ভুলোক্ষনেও সাদিক বুঝতে পারে নি।
।
কি হলো সাদিক বসে আছো কেনো? লিজার কথায় বাস্তবে ফিরলো সাদিক
।
হুমম হা বলো,,,,,
।
আমি বলবো নাকি তুমি বলবে?
।
আমি আর কি বলবো? তুমিতো সব জানো। আর আমি এই গল্পের মাস্টার মাইন্ড না, আমিও তোমার হাতের পুতুল এই গল্পে। তাই তুমিই বলো।
।
হুমম কিন্তু এটা কেন করেছি সেটা জানো?
।
নাহ,,,, সেটাই জানতে চাচ্ছি। সাথে তুমি শাওন,শিপন এদের সাথে সম্পর্ক রাখছো কেন সেটাও।
।
তোমার দুইটা প্রশ্নের একটাই উত্তর আমার কাছে।
আমি এগুলো করেছি তার কারণ অনেকটা তুমি,,অনেক টা আমার ভাগ্য,, আর সবচেয়ে বউ করণ হলো হলো একটা মেয়ের চাহিদা,আকাংক্ষা,ইচ্ছা,সখ,,স্বপ
্ন,সাধনা, সব কিছু পূরনের জন্য।
আর একটা কথা কি জানো?
আমি আসলে এসব করতে চাই নি।
কিন্তু করতে বাধ্য হয়েছি।
অনেক ভেবেছি তার পর পা বাড়িয়েছি।
।
সাদিক লিজার কথা যতই শুনছে ততই যেন অবাক হচ্ছে।
কি বলছো এসব লিজা,, তুমি বাধ্য হয়ে করেছে? আমি কি অপুর্ন রেখেছি?
।
কি অপুর্ণ রাখছো জানতে চাও?
।
হুমম প্লিজ লিজা বলো আমি জানতে চাই।
।
লিজা কোন কথা না নলে সাদিকের হাত ধরে টেনে পাশের রুমের দরজার কাছে নিয়ে জায়।
নিয়ে গিয়ে বসে পড়তে থাকা সামিরার দিকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়ে বলে ওই মেয়েটাকে দেখছো?
।
হুমমম ও তো আমাদের মেয়ে সামিরা।
।
হুম আমার এসব করার পিছনে আর একটা কারণ হচ্ছে ওই পিচ্ছি মেয়ে টা।
।
what…!!!
।
হুম সাদিক,,,,
।
কিন্তু……….
।
প্লিজ সাদিক এখান থেকে চলো সামিরা এখন অনেকটা বড় হয়ে গেছে ৪ বছর ওর। তাই আমি চাই না ও এসব শুনুক। আমি চাই না তোমার আমার কোন কিছু ওর জীবনকে প্রভাবিতো করুক। চলো রুমে চলো।
আর ডিনারের টাইম তো হয়ে এসেছে তাই চলো সবাই আগে ডিনার করে নেই তার পর তোমাকে সব বলবো।
আজ আমি সব বললবো তোমাকে।
।
সবাই যে যার মতো ডিনার সেরে নিলো,,,লিজা,সাদিক,সামিরা,সিমা সবাই।
।
ডিনার সেরে সামিরাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে লিজা রুমে চলে আসলো
সাদিক আগে থেকেই বসে ছিলো।
।
চলবে…??