চাহিদা পর্ব:৮

0
5011
চাহিদা পর্ব:৮ সব কিছু ঠিক আছে তো? (শাওন) । হুমমম তোমার ভয় পাবার কারণ নাই। আমি এতো সহজে ধরা পরবো না। (সিমা) । হুমম এখন রাখি। । আরে দাড়াও কথা আছে। । কি বলো…. । তুমি হঠাৎ করে মাঝ পথে আমাকে ছেড়ে যাবে না তো?? । সিমা আসলে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আমি ঠিক করছি না। সাদিক ভাইয়াকে এভাবে হেরেজমেন্ড করা কি ঠিক? আর তুমি আজো বলো নি কেন এমন করছো। । সব বলব শাওন,, আমাকে আর আর কিছু দিন সময় দাও। আর যেভাবে বলেছি সেটা কারলে করবে ওকে?? তারপর তোমার কাজ প্রায় শেষ। ।
শাওন চুপ…….. । হ্যালো শাওন? । শাওন চুপ……. । হ্যালো,,,৷ কথা বলছো না কেন? । হুমম বলো । যা বলছি সেটা কাল করবে ঠিক আছে? । আমি আর পারবো না সিমা । পারবো না বললে হবে না শাওন। তোমার সাথে আমার ডিল হয়েছে। আর তার জন্য তুমি যা বলছো সব করেছি আমি,৷ টাকা,নিজের দেহ সব। এমনকি তোমাকে তোমার ক্রাস লিজাকেও ভোগ করার রাস্তা করে দিয়ে। তোমার জন্য এতো কিছু করেছি আমি আর তুমি কিনা এখন বলছো পারবে না? । প্লিজ সিমা,,,,, । এসব প্লিজ বলে লাভ নাই শাওন, তোমাকে করতেই হনে। যেটা বললাম সেটা কাল করবে। এখন রাখছি…… বলেই কলটা কেটে দিলো সিমা। । পরের দিন সকালে সাদিক প্রতিদিনের মতো অফিস চলে গেলো। । এদিকে সিমার কথা মতো শাওন লিজার বাসায় হাজির। । শাওনকে দেখে লিজা রেগে গিয়ে বললো কেন এসেছিস? । ভাবি তুমি ভালো করেই জানো কেনো এসেছি?. । আমি জানি,, কিন্তু এটা জানি না তুই হঠাৎ করে এসব করছিস কেন? আমি তো তোকে বলছি সামিরা তোর মেয়ে না। । দেখো ভাবি আমি এসব শোনার জন্য আসি নি। সামিরা আমার মেয়ে আর তুমি যদি নিজের ইচ্ছায় না দাও তাহলে আমি পুলিশে কম্পলেইন করব। আর প্রয়জন হলে DNA টেস্ট ও করাব। । কি বললি তুই? তুই পুলিশের ভয় দেখাচ্ছিস?? টেস্টের ভয় দেখাচ্ছি? । হুমমম কারণ তোমরা আমার মেয়ে কে আটকায়ে রাখছো. । ঠিক আছে,,, দেখবো পুলিশ কি করতে পারে। কি করে আমার থেকে সামিরাকে নিয়ে যায়। । তাহলে তুমি সামিরাকে দিবা না? । না……. । ঠিক আছে।। বলেই রাগি মুডে চলে গেলো শাওন। লিজা হতাশ হয়ে বসে পড়লো সোফায়। মনে মনে ভাবছে কি করতে গিয়ে কি করে ফেললাম আমি? নিজের দোহের বিনিময় যাকে পেয়েছি তাকে এখন হাড়াতে হবে বলে মনে হয়। করণ লিজা জানে যে সামিরা শাওনের মেয়ে। । বিকালে সাদিক ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে। সাদিক কে ক্লান্ত দেখে সিমা বললো ভাইয়া ফ্রেস হয়ে আসেন আমি নাস্তা রেডি করছি। সাদিক লিজার দিকে সন্দেহর নজরে তাকালো। কিন্তু কোন প্রমান না থাকায় কিছু বলতে পারলো না। । । রাত ১০ টা…..… প্রতিদিনের মতো যে যার মতো ডিনার সেরে ঘুমিয়ে পড়লো। । সিমা ডিনার করে ঘুমানোর আগে শাওনকে ফোন করলো। । হ্যালো…..(শাওন) । হুমমম গুড শাওন আজ কিন্তু ফাটিয়ে দিয়েছো। আজ চাইলে আসতে পারো। । নাহহ পারবো না। । ওমমমা তাই নাকি,, চাঁদ আজ কোন দিকে উঠেছে হ্যা? যে ছেলে ছুরি থেকে বুড়ি কাউকে ছারে না। সে আজ বলছে পারবে না । সরি সিমা,,,, আজ নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। নিজের শারীরিক চাহিদা মোটানোর নেশায় আমি অনেক নিচে নেমে গেছি। প্লিজ আমাকে মুক্তি দাও। । তুমি চাইলেই এখন আর সেটা হবে না। কারণ তুমি এখন পুরো পুরি ফেসে গেছো শাওন। । ওপাশে শাওন চুপ……… । কি হলো শাওন কথা বলো।
। কেন করছো এমনটা?? । দেখো শাওন এখন কথা ঘুরিয়ে লাভ নাই। কাল সাদিক ভাইয়া বাসায় থাকবে তুমি সকাল সকাল চলে আসবে। হতে পারে কালকেই এই গল্পের ইতি টানবো। । কি ইতি টানবে তুমি?? । এই গল্পে তোমার আসল চাহিদা টা কি একটু বলবে?? । কাল সব জানতে পারবে। এখন রাখছি। । শাওন চুপ………. । সিমা শাওনের চুপ থাকা দেখে লাইটা কেটে দিলো। । এদিকে লিজা সাদিককে শাওন এসে যা যা বলেছে সব বলে দিলো। । সাদিক শুনে রেগে গিয়ে বললো ঠিক আছে তাই হবে। । কি হবে??( লিজা) । আমি DNA টেস্ট ই করাবো। । কিন্তু সাদিক…… । কোন কিন্তু নয় লিজা,,, আমি আর এই টানাপোরণের থাকতে চাই না। তাই আমাকে ও এই বিষয়টা ক্লিয়ার হতে হবে। কারণ তুমি যতই বলো না কেন আমি এটা মানতে পারবো না যে আমি বাবা হতে পারবো না। তাই আমি নিজেই এর টেস্ট করবো। । পরের দিন সকালে শাওন আবার আসলো সাদিকের বাসায়। । শাওনকে দেখেই সাদিক বললো চল তুই যা চাইবি তাই হবে। । কিন্তু ভাইয়া আজ আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। । আর কোন কথা নয় শাওন। আজ আমারও প্রুভ চাই। চল । ভাইয়া একটু দাড়াও,,প্লিজ,,,,, । সিমা দুরে দাড়িয়ে সব দোখছিলো। । সাদিক শাওনের আর কোন কথা না শুনে টানতে টানতে নিয়ে গেলো । লিজাও আর কিছু বললো না। । বাইরে নের হয়ে সাদিক ওর গাড়ি বের করে শাওনকে নিয়ে হসপিটালে চলে গেলো। গিয়ে ডক্টরকে বলে দুজনের সেম্পল দিয়ে দিলো। । কিন্তু সামিরার??? । ডক্টরের এমন প্রশ্নে সাদিক বললো সেটা একটু পর এসে দিয়ে যাবো। । তুই এবার যেতে পারিস শাওন। । কিন্তু ভাইয়া আমার একটা কথা শুনবা তো। । তোর কোন কথা শোনার ইচ্ছা নাই আমার। এখন যা,,, রিপোর্ট আসলে তোকে খবর দিবো। । কিছুক্ষন পড় বাসায় ফিরলো সাদিক। । লিজা সাদিককে দেখে দৌড়ে গেলো ওর কাছে। গিয়ে সাদিকের গায়ে হাত রেখে বললো কি করলে সাদিক?? । লিজার হাতটা ঝটকা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে কোন কথা না বলে উপরে চলে গেলো সাদিক। বিকালে সাদিক সামিরার সেম্পল ও দিয়ে আসলো ডক্টরের কাছে। । তার কিছু দিন পর রাতে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে সাদিক। এমন সময় ওর ফোনের টা বেজে উঠলো। ফোনটা হতে নিয়ে দেখে ডক্টরের কল। । রিসিভ করলো সাদিক। ।
হ্যালো,,,,স্যার বলুন। । আপনার রিপোর্ট চলে এসেছে,,,, কাল যে কোন সময় এসে নিয়ে যাবেন। । সাদিক কলটা কেটে দিলো বুকের ভিতর দুরুদুরু করেছে। কি হবে যদি রিপোর্টে এটা আসে যে সামিরা শাওনের মেয়ে?? কি করে মুখ দেখাবো? তারপর সাদিক নিজেকে শক্ত করে নিয়ে বললো যা হবার হবে কিন্তু এই যন্রনার হাত থেকে তো মুক্তি পাবো। । এদিকে শাওন ও কিছিটা চিন্তায়। মনে মনে ভাবছে সিমার পাল্লায় পড়ে খুব বড় ভুল করে ফেলেছি। এসব ভাবতেই শাওনের মোবাইল টা বেজে উঠলো হাতে নিয়ে দেখে সাদিকের কল। রিসিভ করতেই সাদিক বলল কাল আমার বাসায় চলে আসবি ১০টর দিকে। চলবে.????

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে