চাঁদের_আলোয়_জোছনা_ভাঙ্গে পর্ব ১৮
লেখা আশিকা জামান।
” কি হলো ওভাবে তাকিয়ে আছো কেন? আমি কি ভুল কিছু বললাম।”
অনন্যা বেশ কিছুক্ষন নিশ্চুপ ছিলো। শুধু নিশ্চুপ নয় অঙ্কনের দিকে হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে ছিলো। ব্যাপারটা চোখে পড়ার মত।
তবে হঠাৎ করেই প্রশ্নটা শুনে অনন্যা কিঞ্চিৎ লজ্জা পেয়ে গেলো। শুষ্ক গলা জোর করে পরিষ্কার করে বললো,
” না তুমি খুবই বুদ্ধিদীপ্ত এবং মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণপূর্ণ উত্তর দিয়েছো। আই থিংক তোমার সাইকিয়াট্রিস্ট হওয়াটা অতিব জরুরি ছিলো।”
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
অঙ্কন একটা প্রাণখোলা হাসি দিয়ে বললো,
” আমি আর সাইকিয়াট্রিস্ট!! বেশ মজার কথা বললে তো।”
ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা বহাল থাকতে থাকতে অঙ্কন আবার বললো,
” আমি কিন্তু সবার মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ করি না। এটা, সিচুয়েশন আর ব্যাক্তিসত্ত্বার উপর প্রভাবিত। ”
” ও আচ্ছা। তাহলে আমারটা কেন করলে? আমি কি স্পেশাল!!”
” স্পেশাল কিংবা এরচেয়ে বেশি কিছু এটা এখনি বলতে পারছি না। তবে একদিন নিশ্চয়ই বলবো। ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষ। ” অঙ্কন মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো।
” থাক জোর করে আর শুনতে চাচ্ছিনা। যেভাবে মাথা চুলকাচ্ছো চুলতো সব ছিড়ে যাবে।”
উত্তরে অঙ্কন আবার হাসলো। সেই প্রাণখোলা হাসিটা যে হাসিতে অঙ্কনের ভেতরটা খোলা বই এর মত অনন্যার চোখের সামনে ভাসছে। মনে হয় অনায়াসে একনিমিষেই পড়ে নেয়া যাবে। অনন্যা পড়তে চায়। হ্যাঁ চায় এই মানুষটার মনটা যে সত্যিই পড়ে নিতে চায়। সব কিছু জেনে বুঝে নিতে চায়। অনন্যা দু’চোখ প্রসারিত করে খোলা বই এ মুখ গুজতে চায়। কিন্তু হৃদয়পটে লেখা প্রতিটা বাক্য এতই দূর্ভেদ্য যে অনন্যার বোধগম্য হয়না। চোখ মুখ কুঁচকে আহত দৃষ্টিতে অঙ্কনের দিকে তাকায় সে। এই মানুষটাকে এত দুর্ভেদ্য এতটাই অচেনা কেন লাগে!! সত্যিই কি মানুষটা আজীবনের জন্য ধরা আর অধরার মাঝখানের শুন্যে ভেসে থাকবে।
” অনন্যা কিছু হয়েছে? আমি কি ভুল কিছু বলেছি? এমন লাগছে কেন তোমাকে?” অঙ্কনের সরল ভ্রুযুগল মুহুর্তেই কুচঁকে যায়। কপালের ভাজ জুড়ে চিন্তার রেখা খেলে যায়।
অনন্যার নিজেকে সামলানোর পালা। নিজেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে বললো,
” কিছু না।”
অঙ্কন অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকায়। ফোন বাজছে। অঙ্কনের ফোনটা ধরতে একদমই ইচ্ছে করছে না।
” জরুরি ফোন হতে পারে! প্লিজ ফোনটা ধরো ।”
অঙ্কন মাথা ঝাঁকিয়ে সায় জানিয়ে ফোন কানে তুলে নেয়।
” অঙ্কন, কোথায় তুমি? আমি আর কতক্ষণ ওয়েট করবো।”
” ওহ্ আ’ম রিয়েলি সরি৷ এক্সট্রেমলি সরি। চেলসিয়া আমি…”
অঙ্কনকে থামিয়ে দিয়ে চেলসিয়ে ফুঁসে উঠে বললো, ” কিসের সরি! ”
হঠাৎ কিছু একটা মনে করার ভঙ্গিতে চেলসিয়া আবার বললো, ” ওয়েট,
বাই এনি চান্স তুমি কি আসছো না।”
” আসলে মানে, আমি না তোমার সাথে ডিনারে যাওয়ার ব্যাপারটা একদমই ভুলে গিয়েছিলাম।”
” মানে কি? আমি তোমার জন্য অলমোস্ট হাফ এন আওয়ার ধরে বসে আছি। এতক্ষণ পর তুমি এই কথা বলবে ইট’স নট ফেয়ার। তোমার সাথে কালকে রাতেই কথা হলো ইমার্জেন্সি থাকলে ডেট টা অভিয়াসলি ক্যান্সেল করা যেত। না আমি সত্যিই তোমার থেকে এটা এক্সপেক্ট করিনি।”
” চেলসিয়া এগেইন সরি। প্লিজ শোন..
আরে কথা শোন।”
চেলসিয়া ভারাক্রান্ত মনে রাখছি বলে ফোনটা কেটে দেয়।
” যাক বাবা, ফোনটাই কেটে দিলো।” অনন্যার দিকে তাকাতে তাকাতে অঙ্কন কথাটা বললো।
” ফোনটাইতো তুলছিলে না। দেখলে ইম্পোর্টেন্ট কলটাও মিস করে যাচ্ছিলে।”
” আরে না সেরকম ইম্পোর্টেন্ট কিছু নয়। বাদ দাও।”
” তুমি কিন্তু কাজটা একদমই ঠিক করোনি। মেয়েটা তোমার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছে। আই থিংক আমাকে ড্রপ করে দেয়ার থেকে ডিনারটা তোমার জন্য বেটার হতো। আজকের এই রাতটা তোমার জন্য আরো এনজয়েবল হতে পারতো। আবার বলছি তুমি কাজটা একদমই ঠিক করোনি।”
অঙ্কন ঘাবড়ে যাওয়া ভঙ্গিতে অনন্যার দিকে তাকায়। একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিলো অনন্যা কি চেলসিয়া আর তার কথোপকথন শুনে ফেলেছে। ব্যাপারটা অনন্যাই সমাধান করে দেয়।
” না না তুমি বোধ হয় ভাবছো তোমার আর চেলসিয়ার কথোপকথন আমি শুনে ফেলেছি। ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই তোমার দিকটা শুনেই বিষয়টা বুঝে নিতে আমার একটুও কষ্ট হয়নি।”
ভাবনাটাও মেয়েটা বুঝে ফেললো। অঙ্কন চমকে উঠে হা হয়ে যাওয়া মুখটা সঙ্কোচিত করে পূর্বের রেশ ধরে পুনরায় বললো,
” আমার কোন কাজটা ঠিক হয়েছে নাকি বেঠিক হয়েছে এটাকি তুমি ঠিক করে দিবে। আমার কোন ব্যাপার এনজয় করা উচিৎ নাকি অনুচিত সেটা আমি ঠিক করে নিতে জানি। তোমাকে নাক গলাতে কেউ বলেনি। এনিওয়ে তোমার বাসা আর কতদূর! এত সময় লাগছে কেন।এভাবে অযথা টাইম ওয়েস্ট করতে আমার আর একদমই ইচ্ছে করছে না।”
অনন্যা হতভম্ব হয়ে অঙ্কনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে। কোনরকম ধরা গলায় বললো,
” এত স্লোলি ড্রাইভ করলেতো ১০ মিনিটের যায়গায় পয়তাল্লিশ মিনিট লাগবেই। এটাই স্বাভাবিক। ”
” হ্যাঁ কিছু সময় আগে স্লোলি ড্রাইভ করতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু এখন করছে না। এবার হয়েছে!”
অঙ্কন দ্রুত ড্রাইভ করতে লাগলো। অকারণ রাগ হচ্ছে। চোয়াল কেমন শক্ত হয়ে রাগের ছায়া স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে।
অনন্যাও দ্বিগুন উত্তেজিত গলায় বললো,
” তোমার বুঝি সেকেন্ডে সেকেন্ডে মুড চেঞ্জ হয়!”
” হ্যাঁ তাতে তোমার কোন সমস্যা। ”
” নাহ্। সমস্যা থাকারতো কোন কারণ নেই।” উথলে উঠা কান্নার স্রোত সাবধানে লুকিয়ে অনন্যা সামনে তাকায়। মুহুর্তেই উত্তেজিত গলায় বললো,
” গাড়ি থামাও। আরে বাড়িটাতো পাস করে চলে এলাম।”
অঙ্কন সামনে তাকায়। গাড়িটা ঘুরিয়ে নিয়ে চুপচাপ পেছাতে লাগলো।
অনন্যাদের বাসার সামনের গলিটায় গাড়ি দাড় করিয়ে নিষ্প্রভ দৃষ্টিতে অনন্যার দিকে তাকায়। অনন্যাও তাকায়। কেবলি মনে হচ্ছে কিছু যেন বলার ছিলো বলা হলোনা। কিছু যেন হওয়ার ছিলো হলো না। অনন্যা গাড়ি থেকে নেমে যায়। এই অদ্ভুত আশ্চর্যরকমের একগুঁয়ে জেদি মানুষটার মন বোঝা তার কম্ম নয়। কেনইবা বৃথা চেষ্টা করছে কে জানে!
” তোমাকে বাসায় আসতে বলাটা ভদ্রতা কিন্তু আমি সরি সেই ভদ্রতাটুকু করতে পারছি না বলে। আমি জানি, অহেতুক ফর্মালিটি দেখাতে গিয়ে তোমার মূল্যবান সময় কতোটা অপচয় হয়েছে। তাই আর আটকাচ্ছিনা। তুমি তোমার মুল্যবান সময় তোমার পছন্দের যায়গায় পছন্দেসই মানুষের সাথে কাটাও এই কামনা করছি। বেস্ট অফ লাক।”
অনন্যা কথা না বাড়িয়ে ঘুরে সরাসরি বাসার দিকে হাটতে থাকে।
অঙ্কন আড়ষ্ট ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকলো। অনন্যা কি সব বলে গেলো! সব মাথার উপর দিয়ে গেলো। শুধু মনে হচ্ছে এভাবে চলে না গিয়েও অন্যভাবে যেতে পারতো। এলোমেলো অবিন্যস্ত অনুভূতি একত্র করে কোনরকমে সোচ্চার হয়ে একযোগে বললো,
” অনন্যা……”
***********
” আরমান, তোমার থেকে এটা আমি মোটেও আশা করিনি। ইউ হ্যাভ টু আন্ডারস্টোড মিডিয়ায় তুমি আমার হাত ধরেই এসেছিলে। এরমধ্যে এইসমস্ত কথা পরিচালক সমিতেতে উঠছে৷ আমাকে এরজন্য জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। বুঝতে পারছো!” সুনীল চক্রবর্তী কথাগুলো বলে বিতৃষ্ণা নিয়ে আরমানের দিকে তাকান।
আরমান মাথানিচু করেই বললো,
” সরি, সুনীল দা। হুট করেই মাথাটা,গরম হয়ে গিয়েছিলো। আপনি একটা কথা বলুন অরিত্র দা তো তার নতুন ছবিতে হিরো হিসেবে আমাকেই বেছেছিলেন। হুট করেই নাইন্টি ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘুরে অঙ্কনকে নিয়ে নিলেন এটা আমার জন্য কি যথেষ্ট অপমানজনক নয়?”
” অরিত্র রায় তার ছবিতে কাকে নিবেন না নিবেন এটা একান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তার জন্য তুমি তার সাথে রুঢ় আচরণ করতে পারো না। আর তুমিতো সবার সামনে সিনক্রিয়েট করেছো। আরমান ট্রাই টু বি আন্ডারস্ট্যান্ড, অরিত্রর নতুন ছবিটা বেশ চ্যলেঞ্জিং একটা মুভি এটার বেশ কিছু শট অ্যামাজনে ধারণ করা হবে। এছাড়া মরুভূমিতেও কিছু শট আছে আমি যতটুকু জানি। তো এসবের জন্য অঙ্কন তোমার থেকে বেশি ক্যাপেবল হতে পারে এটা ভাবাটা অরিত্রর অন্যায় নয়। তাছাড়া আরমান তুমিতো নায়িকাদের সাথে ঢলাঢলি মার্কা ছবিতেই বেশি কমফোর্ট ফিল করো হুট করে এরকম একটা অ্যাডভেঞ্চার টাইপ ছবির জন্য এত উতলা কেন
হলে? নাকি শুধু অঙ্কনকে তোমার পরিবর্তে নেয়া হচ্ছে এটাই একমাত্র জ্বলনির কারণ।”
” সুনীল দা সবসময় আপনারা আমার দোষটাই খুঁজে বেড়ান অঙ্কনের কোন দোষইতো আপনাদের চোখে পড়ে না। অঙ্কনের আর কি দোষ বলুন সবাই যদি ওকে এতটাই প্যাম্পার করেনতো ওর একগুঁয়ে জেদতো থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক। ”
” আরমান আমি তোমাকে লাস্টবারের মতো বলছি নিজেকে শুধরাও অন্যের পেছনে লেগে নিজের ক্রিয়েটিভিটিটি নষ্ট করোনা। এভাবে চলতে থাকলে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে তোমার নাম নিশ্চিহ্ন হতে বেশী দিন লাগবে না। আমি তোমাকে নাম্বার ওয়ান হিসেবে দেখতে চাই তারজন্য তোমাকে ঠিক ঠিক কি কি করা উচিৎ আর কি কি বর্জন করা উচিৎ আশা করি এই বোধটুকু তোমার আছে। উঠছি আমার একটু তাড়া আছে।”
সুনীল রয় হনহন করে উঠে চলে গেলেন। আরমান বিড়বিড় অঙ্কনের পিন্ডি চটকাতে চটকাতে উঠতে চাইছিলো।
” আরে, আরমান ভাই! ”
আরমান চমকে উঠে পেছনে তাকায়। চেলসিয়া! সুপার হট হিরোইন নবাগত চেলসিয়া৷ সম্পর্কে আরমানের দূরসম্পর্কের এক বোন হয়। তবে চেলসিয়াকে দেখে এবার আরেকদফা মন খারাপ হচ্ছে। শুরুতেই অঙ্কনের নায়িকা হয়েই বড় পর্দায় আসতে হলো। আরমান কি মরে গেছিলো। অবশ্য পূর্বে আরমানও একে বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয়নি। তবে কি সুনীল দার সূত্রমতে কেবলমাত্র অঙ্কনের নায়িকা বলেই এত জ্বলুনি উঠছে। কে জানে বাপু!
আরমান চমকে উঠতে ভাণ ধরে বললো,
” আরে চেরি যে। হুয়াট্স আপ।”
” মোটামুটি! মুড অফ। থাক বাদ দিন। আচ্ছা আমার এই চেরি নামটা কি এখন বাদ দেয়া যায়না।”
” মুড অফ কিন্তু কেন? এটাকেতো বাদ দেয়া যায়না। আর তুমি অসম্ভব সুন্দর একটা মেয়ে যাস্ট লাইক চেরি ফল। ট্রাস্ট মি এখনো তুমি কিন্তু সেই ছোটবেলার মতই কিউট । ”
চেলসিয়া মৃদু হেসে বললো,
” আমার সত্যিই মুড অফ ছিলো তবে এখন ভালো লাগছে।”
” আচ্ছা, বসো তোমার ডিনার হয়েছে? না হলে আমরা একসাথে ডিনার করতে পারি।”
” আর হলো কোথায়। অঙ্কনইতো ভুলে গেলো। বড্ড ভুলোমনে।” চেলসিয়া বসতে বসতে বললো।
” চেরী তোমার কি আজকে অঙ্কনের সাথে ডিনার করার কথা ছিলো? ”
আরমানের ভ্রুকুচকে চেলসিয়ার দিকে তাকায়।
” হ্যাঁ। ”
” ওকেই অঙ্কন নেই তাতে কি আমিতো আছি। তুমিতো আমার সম্পর্কে বোন হও, তো ভাই বোনের ব্যাপারটাই আলাদা হবে স্পেশাল হবে কি বলো!”
চেলসিয়া মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানায়।
আরমানের চোখেমুখে ক্রুর হাসি খেলে যায়। চেরির সাথে সম্পর্কটা বড় খোলামেলা রাখা দরকার। আর যাই হোক ওর মোটিভ বুঝতে পারলেই ৮০% খেল খতম। বাকিটা ম্যানেজ করে নেয়া যাবে।
চলবে…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/