চাঁদের_আলোয়_জোছনা_ভাঙ্গে পর্ব ২৮

0
2445

চাঁদের_আলোয়_জোছনা_ভাঙ্গে পর্ব ২৮
লেখা আশিকা জামান

অনন্যা একটা নতুন তোয়ালে বের করে দিয়েছে। তবুও অঙ্কন, অনন্যার ব্যাবহৃত তোয়ালে দিয়েই হাত মুখ মুছে নিল। কিছুক্ষণ নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিল। শ্যাম্পু, বড়ি ওয়াশ সাথে অনন্যার শরীরের মিষ্টি সুগন্ধ মিলে এক অন্যরকম আবহ সৃষ্টি হয়েছে। শরীর মন আদিম মাদকতায় ছুয়ে যাচ্ছে। তবে গোটা ব্যাপারটাই অনন্যার অগোচরে ঘটল।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



” অঙ্কন, তুমি আবার তোয়ালে হাতে নিয়ে ঘুমিয়ে যাও নি তো!” অনন্যা প্রশ্নটা করে অবাক চোখে তাকিয়ে রইল। অঙ্কনের হাতে ধরা তোয়ালেটা তার! তবে সে, এই বিষয়ে কিছু জিজ্ঞসা করে, কোন বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করতে চাইছে না।

” না মানে, রাখবো কোথায়!”

” আপাতত আমার হাতে দাও।
অনন্যা হাত বাড়াতে বাড়াতে বলল,
” আচ্ছা, তুমি ব্রেকফাস্টে কি খাও। আসলে আমি কনফিউজড!

” যা খাওয়াবে তাই খাবো!” বাঁ চোখ টিপে অঙ্কন বলল।

” ভালো খুবই বাধ্য ছেলে।” অনন্যা বিড়বিড় করতে করতে ঘর ছেড়ে বের হয়। পেছনে আসে অঙ্কন।

অনন্যার সুক্ষ্ম ইশারায় বাধ্য বালকের মত পেছন পেছন ঠিক ডাইনিং এর চেয়ারে বসে পড়ে।
প্লেটে রুটি তুলে দিতে দিতে অনন্যা বলল,
” এখানে যা আছে সব খেতে হবে কিন্তু! ”

অঙ্কন আতঙ্কগ্রস্ত চোখে টেবিলের উপর একপলক তাকায়। স্যান্ডউইচ, ডাবল ডিমের অমলেটে, রুটি, সবজি, চিকেন কারী, মিক্সড ফ্রূট স্যালাড, সাথে একগ্লাস দুধ!
” অনন্যা এই খাবারে তো আমার কিছুই হবে না। পারলে আর কিছু নিয়া আসো।”

” এতে তোমার হবে না!”
অনন্যা প্রশ্নবিদ্ধ চোখে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠল।

অঙ্কন হাত টেনে ধরে বলল,
” তোমার মাথা না সত্যিই গেছে। আরে বস তো।”

অনন্যা পাপেটের মত বসে পড়ল। খাওয়ার সময় এটা ওটা একটু এগিয়ে দিল চুপচাপ। অঙ্কন ও দ্রুত খাওয়া শেষ করে উঠে পড়ল।

” আমার মনে হয় তোমার আন্টিকে ফোন করা উচিৎ। তুমি চাইলে আমার ফোন থেকে কথা বলতে পারো।”

” আমি এখন তোমার সাথে আছি এই ব্যাপারটা কেউ জানুক। এটা আমি চাচ্ছি না।”

অনন্যা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, ” চলো ছাদে যাই।”
” এখন না৷ আমার মাথা ব্যাথা করছে। আই থিংক আমার একটু রেস্ট নেয়া উচিৎ।”

” তুমি চাইলে আমার বেডরুমে আসতে পারো। কারণ গেস্ট রুমটা কি অবস্থায় আছে আমি জানিনা। আর নীলুফা কাজ করছে।”

” হ্যাঁ, শিউর।”
অঙ্কন সরাসরি অনন্যার বেডরুমে ঢুকে যায়। পুরো খাট জুড়ে টেডি বেয়ার, মিকি মাউস, ডোরেমন, টিংকার বেল আর কিসব হাবীজাবী পুতুল দিয়ে ভরা। এতবড় মেয়ের বাচ্চামিতে তার ভারী হাসি পেল। মুখ ফসকে বলে ফেলল,
” অনন্যা, বিয়ের পর তোমার এই পুতুলগুলোর কি হবে এটা ভেবে আমার খুব দুঃখ হচ্ছে।”

লজ্জামিশ্রিত হাসি যখন শত চেষ্টাতেও আটকাতে পারল না তখন ফিঁক করে হেসে বলল,
” তোমার অত দুঃখ পেতে হবে না। আমি যেখানে থাকব ওরাও সেখানে থাকবে বুঝেছো! তাছাড়া আমার ঘুমই আসবে না। অনেক দিনের অভ্যাস তো।”
” আমার আবার এগুলোতে এলার্জি! আচ্ছা তুমি কি ধরেই নিয়েছো যে বিয়ের পর টেডি বেয়ার নিয়ে ঘুমোবে!
এই শোন অভ্যাস টা এবার বদলাও।” অঙ্কন বিছানার এক কোণে বসতে বসতে বলল।

অঙ্কনের এই হঠাৎ বদলে যাওয়া মুখটা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করে কোন সদুত্তর অনন্যার কাছে মিললো না। তার কাছে অঙ্কন মানে এক রহস্য মানব! যার রহস্য ভেদ করতে হলে হয়তো এ জন্মেও সম্ভব নয়। একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস পিছলে পড়ল।

” কি হলো! ওভাবে তাকিয়ে কি ভাবছো।”

” তেমন কিছু না।”

” কি ভাবছো বলো! এক্ষুনি শুনতে চাই।” অঙ্কন হঠাৎ অসহিষ্ণু গলায় বলল।

” না মানে ভাবছি! আমার এই অতি নগন্য স্বভাব তোমার ব্যাক্তিজীবনে কি প্রভাব পড়বে সেটাই তো বুঝলাম না!”

” মানে কি! তুমি কি খুকি! এইসব পুতুল ঠুতুল দিয়ে বিছানা ভরে ফেললে আমি আর বাচ্চারা কোথায় শোবো।”

কথাটা শোনামাত্র অনন্যার মেরুদণ্ড বেয়ে যেন ঠান্ডা স্রোতের হাওয়া বয়ে গেল। অভিমানের দৃড়তার কাছে ভালোবাসা কখনো কখনো পরাজিত হয়।
” যাকে ভালোবাস না তাকে বিয়ে করতে চাওয়াটা কি কোন সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ!”

অঙ্কনের মাথা ঝিম ঝিম করতে লাগল। এতটা বেখেয়ালি হয়তো না হলেও পারতো। প্রসঙ্গ ঘুরানোর জন্য অঙ্কন বলল,
” চলো ছাদে যাই।”

অনন্যে বুঝে যায় তার সামনে বসা রহস্য মানবটা প্রসঙ্গ ঘুরাতে চাচ্ছে।
” তোমার না মাথা ব্যাথা করছিলো।”

” হ্যাঁ করছিলো কিন্তু এখন করছে না।”
অঙ্কন আচমকাই হাত টেনে ধরে ছাদের দিকে পা বাড়ায়।
এই প্রথম অনন্যাদের বাসার ছাদে এসে অঙ্কন অভিভূত হয়ে যায়। ছাদ বাগানে কি নেই মোটামুটি সবই আছে। বাহারি ফুল সাথে দেশীজ ফলজ বৃক্ষ। এক পাশে মানিপ্ল্যান্ট, অ্যাভোকাডো, ড্রাগন আর নাম না জানা বিদেশি গাছ যাদের নাম অঙ্কন জানে না। সবচেয়ে মুগ্ধকর বিষয় হলো ছাদের ঠিক মাঝখানে গোলচত্বরে প্রস্ফুটিত নীল পদ্ম।
এক কিনারে মানানসই যুগল দোলনা। অঙ্কন সেদিকে তাকিয়ে বলল,
” চলো, দোলনায় বসি।”

অনন্যা নির্বিকারভাবে দোলনায় বসে গেল যেন এই মুহুর্তে সে এই অফারটার জন্যই অপেক্ষা করেছিল।

” অনন্যা এই এত সুন্দর বাগান দেখে তো আমি মুগ্ধ। নাহ্ তুমি তো বেশ কাজের।” অঙ্কন দোলনায় বসতে বসতে বলল।

অনন্যা ম্লান হাসলো। আকাশে তখন ঘুটঘুটে অন্ধকার। মেঘ ডাকছে। বৃষ্টি নামার প্রাক্কাল। দমকা হাওয়ায় শরীর কাটা দিচ্ছে। অনন্যা শীতার্তের মত কেঁপে উঠল।

” কি ব্যাপার তুমি অমন কাপঁছো কেন।”
অঙ্কন অনন্যার দিকে সরে এসে গা ঘেঁষে বসে পড়ে। অনন্যা ইতস্তত করে সরে বসতে চায়, কিন্তু অঙ্কন কাধ জড়িয়ে ধরে। অনন্যার থুতনি তখন বুকের বাঁ পাশে। এলোমেলো হাওয়া তার কাজ বাড়িয়ে দিল। তবে কিছুমাত্র বিরক্ত না হয়ে অঙ্কন কপালে পড়ে থাকা অবিণ্যস্ত চুলগুলো সরাতে সানন্দে রাজি হয়ে গেল।

” আমার কোট তোমার কাছে। স্যারি আজকে আর কিছু গায়ে জড়িয়ে দিতে পারছি না।”

” যাওয়ার সময় নিয়ে যেও।” সপ্রতিভ চোখে চেয়ে অনন্যা বলল।

” তোমার কাছে থাক। না নিলে কোন ক্ষতি হবে না বরং এই রগচটা, কর্কশ, অসভ্য, ইতর শ্রেণীর ছেলেকে বেশি করে মনে পড়বে তোমার।”

” তাহলে তুমি চাও যে তোমাকে আমার মনে পড়ুক।”

” হ্যাঁ হ্যাঁ খুব চাই। চাইব না কেন?”

অনন্যা অসহিষ্ণু গলায় বলল,
” অঙ্কন আমি তোমার ভেতর টা পড়তে পারি না। তুমি এত দূর্ভেদ্য কেন?”

” জোর করে পড়তে যেও না ভাষা হারিয়ে যাবে।”
অঙ্কন নির্বিকারভাবে বলল।

অনন্যা অঙ্কনের দুই চিবুক শক্ত হাতে ধরে নিজের দিকে ঘোরাতে ঘোরাতে ছলছল চোখে বলল,
” তুমি চাইছ টা কি? ক্লিয়ার করে বলো। এভাবে আর কতদিন ধোয়াশার মধ্যে রাখবে। অঙ্কন প্লিজ আমি আর পারছি না।”

” স্যারি!”

” কেন?”

” কালরাতে আমি তোমার সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেছি। আমি আমার লাইফে প্রথমবারের মত কাউকে চড় মেরেছি। কেন এতটা অনাধিকার চর্চা করলাম জানি না। আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত, যদি পারো ক্ষমা করে দিও।”

অনন্যা হতাশ ভঙ্গিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো।
” তুমি ইচ্ছে করে বারবার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিচ্ছো আমি জানি।”
অঙ্কন চমকে উঠে। অনন্যা ফের নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলল,
“আচ্ছা তুমি কি বুঝ নাই, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কার দোষ কার গুণ এই প্রসঙ্গে আমি যাচ্ছি না। শুধু বলব তুমি কাজটা করার সাহস পেয়েছ কারণ তুমি আমাকে ভালোবাসো ! যা তুমি নিজেও জানো কিন্তু স্বীকার করছ না।”

অঙ্কন পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না। বারবার দূর্বল হয়ে পড়ছে। মনের বিরুদ্ধে সমস্ত শক্তি দিয়ে একরকম জোর খাটিয়ে উঠে দাঁড়ায়। অনন্যাও উঠে দাঁড়িয়ে অঙ্কনের শার্ট খাঁমচে ধরে আটকায়। ঠিক তখনি অসাড় নিস্তেজ পা দুটো মাটি খামচে দাঁড়িয়ে থাকে। নিষ্পলকভাবে কিছুক্ষণ এক জোড়া ছলছল চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
” তুমি ইউ এস এ যাচ্ছো কবে।”

বিরক্তির চরম সীমায় পৌছে গিয়ে কপাল কুঁচকে অনন্যা বলল,
” যত দ্রুত সম্ভব। এই মাসের মধ্যেই রেজাল্ট হয়ে যাবে তারপর দেখা যাক।
আমি চলে গেলে তোমার খুব সুবিধা হয় তাই না!”

অনন্যা নিচের ঠোঁটে দাত কামড়ে ধরে কান্না আটকায়। অঙ্কন বিষন্ন চোখে তাকিয়ে বলল,
” ঠিক তা নয়। আমি জানি তুমি অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট! তোমার হায়ার স্টাডিজের জন্য বিদেশে যাওয়াটাই বেটার অপশন। তাছাড়া তুমি তো নিজেই সেটা চাইতে এখন আবার আমার সুবিধা অসুবিধের প্রসঙ্গ কেন আসছে সেটাই তো বুঝলাম না।”

” তুমি সত্যিই বুঝতে পারছ না? নাকি চাইছ না! অঙ্কন তোমার সাথে আমি না চাইতেও জড়িয়ে গেছি। এখান থেকে ফিরে আসা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ আমি তোমাকে..”

অঙ্কন তড়িৎ গতিতে অনন্যার ঠোঁট চেপে ধরে। থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বলল,
” বলো না! প্লিজ বলো না। আমি জানি তুমি কি বলবে। তাই চাইনা তুমি এই কথাটা আমাকে এখন বলো! অনন্যা ট্রাই টু বি আন্ডারস্ট্যান্ড, এটা উপযুক্ত সময় নয়! আমি চাইনা আজকের এই নিয়ন্ত্রণহীন আবেগের জন্য একদিন তুমি কষ্ট পাও। আমি পারব না বিশ্বাস কর পারব না।”

অনন্যার ঠোঁটের উপর থেকে আলগোছ হাত সরে যায়। অনন্যা ঝাঁঝাল গলায় বলল,
” তাহলে কি চাইছ তুমি? প্লিজ খোলাখুলি ভাবে বলবে। এবং এক্ষুনি বলবে।”

” আমি চাইনা এই বিয়েটা তুমি করো। এটা উপযুক্ত সময় নয় একটু বুঝতে চেষ্টা করো। আর হ্যাঁ তুমি নিজে এই বিয়েতে না করে দেবে এবং সেটা আজকেই। যদিও কাজটা আমার পক্ষ থেকেই করার কথা ছিলো কিন্তু আমি সেটা পারব না। জানো তো ঋনের বোঝাটা এতোটাই ভারী যে আমি বলতেও পারছি না।
অনন্যা, কখনো কখনো আবেগ দিয়ে নয় মস্তিষ্ক দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তোমাকেও তাই করতে হবে।”

অনন্যার চোখে তখন বাধঁভাঙ্গা জোয়ার। গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে অঙ্কনকে সরিয়ে অনন্যা উঠে আসে। অঙ্কন পেছন থেকে আবার হাত চেপে ধরে।
” অনন্যা আমার কথা কিন্তু শেষ হয় নি।”

” নিকুচি করেছি তোমার কথার। আমার শোনার কোন প্রয়োজন নেই। হাত ছাড়ো অঙ্কন!”
নিজেকে ছাড়ানোর জন্য অনন্যা আবার পাগলামিতে মেতে উঠে।

অঙ্কন অনন্যার দুই চিবুক শক্ত হাতে ধরে বলল,
” অনন্যা, আমার চোখের দিকে তাকাও। ভালোবাসা দেখতে পেয়েছো? ভালোবাসা চোখের মনিতে থাকে।”
অনন্যার হাত জোর করে নিজের বুকের বাঁ পাশে ঠেকিয়ে বলল,
” এখানে থাকে! দেখাতো যায় না। অনুভব করতে হয়। অনুভব করতে পারছো! এরপরও কি মুখে বলতে হবে।”
হাত আবার অনন্যার ইচ্ছের বিরুদ্ধে মাথায় ছুঁইয়ে দিয়ে বললো,
” মস্তিষ্ক বারবার একটি কথাই বলছে’ ভালোবাসি খুউব ভালোবাসি অনন্যা। শুনতে পাচ্ছো।”
অনন্যা অঙ্কনের বুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলল,
” আমি শুনতে চাই না। চলে যাও।”
অঙ্কন আবার এক পা এগিয়ে আসে। অনন্যা আবার ঝাঁঝালো গলায় বলল,
” চলে যাও বলছি। নয়তো আমি কি করব আমি নিজেও জানি না। যাও এক্ষুণি যাও।”
” ঠিক আছে। যাচ্ছি। তাহলে কথা দাও আমি যা বললাম তুমি তাই করবে।” অঙ্কন হাত ছুঁতে আসে। অনন্যা পিছিয়ে যায়।

” তুমি আমাকে ছোঁয়ার চেষ্টাও করবে না। প্লিজ আমাকে একটু একা থাকতে দাও। প্লিজ।”
অঙ্কন নিঃশব্দে চলে যায়।
চলবে…

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে