চাঁদের আলোয় জোছনা ভাঙ্গে পর্ব ২২

0
2655

চাঁদের আলোয় জোছনা ভাঙ্গে পর্ব ২২
লেখা আশিকা জামান

চারপাশে প্রগাঢ় উচ্ছ্বলতা। সেই উচ্ছ্বলতা ভেদ করে অনন্যার বুকের ছলাৎ ছলাৎ শব্দটা কারো কর্ণকুহরে প্রবেশ করলো না। এই অনুভূতিটা কেবল অনন্যার, একান্ত নিজের।

আয়েশা মেয়েকে দুই হাতে ধরে অঙ্কনের পাশে এনে দাঁড় করায়। খুব কাছাকাছি থাকায় অঙ্কনের হৃদপিন্ডের ধুকপুকানির শব্দ শুনতে খুব একটা কষ্ট হচ্ছে না। বরং তার কাছে মনে হচ্ছে এই ধুকপুক শব্দটা বোধ হয় সংক্রামক তাইতো একই সাথে একই সময় তালে তাল মিলিয়ে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াও বেড়ে যাচ্ছে। শরীর হাত পা থরথর করে কাঁপছে। কেবলই মনে হচ্ছে মাথা ঘুরে পড়ে যাবে। কেন এমন লাগছে। অঙ্কনের ও কি এমন লাগছে। প্রশ্নটা মাথায় আসতেই অনন্যা আড়চোখে অঙ্কনের দিকে তাকায়৷

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


নিজের স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতিকে লুকিয়ে যেকোন মুহুর্তে যে কোন মেকি চেহারায় পরিবর্তিত হতে অঙ্কন যেন সিদ্ধাহস্ত। এই অদ্ভুতুড়ে রগচটা স্বভাবের মানুষটা ভেজা বেড়ালের মতো দাঁড়িয়ে আছো। হয়তো ভাজা মাছটাও উল্টিয়ে খেতে জানে না। অনন্যা মনে মনে সিদ্ধান্তে নিয়ে নিয়েছে বিয়ের পর থেকে অঙ্কনের ভাজা মাছটা উল্টিয়ে দেবার দায়িত্বটা কেবল তার। এই যায়গায় বিন্দুমাত্র কম্প্রোমাইজ করা তার পক্ষে কোনদিনও সম্ভব নয়। এমনি এলোমেলো একান্ত আপন কিছু ভাবনায় অনন্যা বুদ হয়ে পড়ে রইলো। চারপাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার কোন তোয়াক্কাই সে করছে না। তবে সে না চাইলেও তার ধ্যান ভঙ্গ করা এখন দুই বোনের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্বেষা আর অনীহা দুই বোন মিলে অনন্যার থুতনি ধরে জোর খাটিয়ে অঙ্কনের দিকে তাকাতে বাধ্য করে। অনন্যা কাপাঁ কাপাঁ চোখে অঙ্কনের দিকে সরাসরি তাকাতে বাধ্য হয়। অঙ্কনের চোখে মুখে তখন দুষ্টুমি হয়তো এটাই তার আসল নয়তো মেকি রুপ। অনন্যা ধরতে পারছে না। তার কাছে এই মুহুর্তটা শ্বাসরুদ্ধকর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারছে না। সিরিয়াস মুহুর্ত ডুবিয়ে দিতে অনন্যার একটা হাসিই যথেষ্ট। স্বভাববশত সে তাই করলো। চারপাশে হাসিটা সংক্রামিত হতে থাকলো। অনন্যা সীমাহিন লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।

” হয়েছে মা আমার আর লজ্জা পেতে হবে না। এবার একটু হাতটা বাড়াও তো। আমার ছেলেকে আর কতো অপেক্ষা করাবে হুহ।”
অনীলার কথায় অনন্যা ফের সামনের দিকে তাকায়। অনীহার হাতে ফুল দিয়ে সাজানো ডালায় গোলাপের পাপড়িগুলোর ঠিক মাঝে একটি বক্স। অঙ্কনের হাতে ধরা একটা ডায়মন্ডের রিং। অনন্যা আশে পাশে তাকায় ভয় লজ্জা আর দ্বিধায়। তার ঠিক পাশে অন্বেষা দাঁড়ানো তার হাতেও একই রকম সজ্জিত আরেকটা ডালা।
” কি হলো অনন্যা হাতটা বাড়াও।”
আহনাফ স্মিতহাস্যে বললেন। বাবার নীবিড় আশ্বাসে অনন্যা হাত বাড়ায় আস্তে আস্তে। আজকের দিনটা তার জন্য সত্যিই চমক। বোবা অনিভূতিগুলো একটু একটু করর প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। অনন্যার দু’চোখ বেয়ে জলের ফোয়ারা নেমে আসছে, আনন্দ, খুশি, ভয়, লজ্জার সম্মিলিত প্রকাশভঙ্গী হিসেবে।

অঙ্কন কম্পমান হাতটা আলগোছে ধরে, অনামিকায় রিং পড়িয়ে দিয়ে, অনন্যার দিকে তাকিয়ে মুখভঙ্গি বুঝার চেষ্টা চালায়। মেয়েটার চোখের কোণে জলের রেখা চিকচিক করছে। এই জলের কারণ খুঁজতে যাওয়া আর নিজেকে চোরাবালিতে হারিয়ে ফেলা তার কাছে সমকক্ষ। বুকের ভেতর কেমন খচখচ করছে, মৃতের ন্যায় ঠান্ডা নিস্তেজ হাত স্পর্শ করে।

” অনন্যা, এবার এই রিংটা অঙ্কনকে পরিয়ে দাও।”
আয়েশা রিংটা বের করে অনন্যার হাতে ধরিয়ে দেয়। অনন্যা এতোক্ষণ নিজের হাতের দিকেই ধ্যানমগ্ন হয়ে তাকিয়ে ছিলো। এবার তার ঘোর কাটে রিংটা ইতস্তত ভঙ্গিতে অঙ্কনের হাতে পরিয়ে দেয়। চারপাশে তখন করতালির উচ্ছ্বাসিত শব্দ।
অন্বেষা একটা নাইফ, অঙ্কন আর অনন্যার হাত একসাথে করে ধরিয়ে দেয়।
রেড ভেলভেটের হার্ট শেপের বিশাল বড় কেকের একখন্ড কেটে অঙ্কন অনন্যাকে খাইয়ে দেয়। অনন্যাও অঙ্কনকে খাইয়ে দেয় লজ্জা ভয় সবকিছুর উর্ধে গিয়ে।

” অঙ্কন ভাই, তোমার নায়িকাদের জন্য কিন্তু এবার আমার দুঃখ হচ্ছে।” তানভীর দাঁত ক্যালাতে ক্যালাতে বললো।

কথাটা শুনামাত্র অনীহা তীর্যকভাবে তাকালো। অঙ্কন স্বভাবগত মেজাজ বজায় রেখে চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,
” খুব বেশি কি দুঃখ পাচ্ছিস? তাহলে এক কাজ করতে পারিস, তোর তো এখন অজস্র সুখের দিন তো সেখান থেকে এক চিলতে সুখ ভাগাভাগি করে আসতে পারিস। ট্রাস্ট মি আমি বিন্দুমাত্র মাইন্ড করবো না।”

” কিন্তু আমি মাইন্ড করবো।
ভাইয়া, তুই না সত্যিই ঘরের শত্রু বিভীষণ!! এমনিতেই তানভীরের নায়িকাদের উপর যে ছুক ছুক স্বভাব তার উপর তুই এই পরামর্শ দিচ্ছিস। ভাবা যায়! আমার সংসারটা শুরুর আগেই ভেঙে যাক তাই চাচ্ছিস তো।” অনীহা খ্যাপাটে গলায় বললো পারলে এখনি কেদেঁ দেয়।

” তোমাদের দেখি কোন ভালো কথাই বলা যায়না। যাই বলি না কেন সবসময় তিন ভাই বোন আমাকে পঁচানোর যেন একদম মুখিয়ে থাকো।” তানভীরের গলায় আবার রাগ ঝরে পড়ছে।

” তানভীর ভাইয়া, আমি কখন আবার তোমাকে পঁচালাম। তোমাকে যদি কেউ পঁচায় তবে তোমার বউ- ই সেটা আমরা নই!”

” হ্যাঁ হ্যাঁ সেটাই অনীহা, আমি খুব মাইন্ড করেছি। আমি নায়িকাদের দিকে তাকিয়ে থাকলেই ছুক ছুক স্বভাব হয়ে গেলো আর তুমি যখন সারাদিন সিরিয়ালের নায়কদের উপর ক্রমাগত ক্রাশ খেয়ে বুদ হয়ে পড়ে থাকো। আর আমাকে তাদের মতো বানোনোর জন্য উঠে পড়ে লাগো ওটাকে কি বলে?”

” ওটাকে বলে পার্ফেক্ট ম্যাচিং। যেমন বউ তার তেমন জামাই এটাইতো স্বাভাবিক। ” অনন্যা প্রশ্নের উত্তরটা দিয়ে দিলো। অন্য সময় হলে হয়তো এদের বাচ্চামিতে অনন্যার মাথা ধরে যেতো। কিন্তু আজ ভালো লাগছে। আজকে তার বড়ই সুখের একটি দিন আজকের দিনটা সমস্ত ভালো ভালো মুহুর্ত দিয়ে ভরে উঠুক এটাই অনন্যার এক মাত্র কাম্য।
সবাই শব্দ করে হেসে উঠলো। এখনি একটা মনোমালিন্য তৈরী হতে যাচ্ছিলো সেটা অনন্যার এই একটি কথায় ঘুচেঁ গেলো। অন্বেষার ভারী ভালো লাগছে এই ভেবে যে তার ভাই যেখানে যাবে ঝামেলাও সাথে নিয়ে যাবে আর অনন্যার আগমন মানে ঝামেলা ভ্যানিশ। জাস্ট লাইক অ্যা গেম।

অনন্যা আড়চোখে অঙ্কনের দিকে বারবার তাকাচ্ছিলো। এই মুহুর্ত থেকে অঙ্কনকে আরো দ্বিগুন ভালো লাগছে। বড্ড আপন আপন লাগছে। কিছু এলোমেলো অসংলগ্ন ভাবনাও জেকে ধরলো। নিজের পাগলামো ভরা ভাবনায় অনন্যার নিজেকে নিজের কাছে অতিমাত্রায় ইমোশনাল লাগছে। তাতে কি অঙ্কনের জন্য ইমোশনাল ফুল হতেও সে রাজি।

” কি গো মাই ডিয়ারিং ভাবি, ওভাবে এক ধ্যানে তাকানো দেখেতো আমার রগচটা ভাই লজ্জা পেয়ে চলে গেলো। তুমিই বা কিসব ভেবে চলেছো। চলো চলো খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করি। সবাই তোমার খুঁজ করছে।”

অন্বেষার ধাক্কা খেয়ে অনন্যা বাস্তবে ফিরে আসে। তারপর তাকে আর কিছু করতে হয়নি অন্বেষাই হাত টেনে নিয়ে অঙ্কনের পাশে এনে বসায়। অনন্যা বড্ড অন্যমনস্ক থাকায় কখন যেন অঙ্কনের জুতোর উপর তার পা দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে ফেলে। অঙ্কন ব্যাথা পেয়ে অনন্যার দিকে বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে বারবার ইশারা করতে থাকে পা সরানোর জন্য। অনন্যা অবুঝের মতো নিজের ঘোরেই ছিলো। অঙ্কন আর ব্যাথা না কুলোতে পেরে বাজখাঁই গলায় বলে উঠলো,
” অনন্যা এখানে পর্যাপ্ত স্পেস থাকা সত্ত্বেও পা’টা কি আমার পায়ের উপরেই রাখতেই হলো। আমি ব্যাথা পাচ্ছি! আর আমি জানি তুমি এটা ইচ্ছে করে করছো। পা টা সরাও প্লিজ ফর গড সেক।”
অনন্যা বিস্মিত, অপমানিত আর সীমাহীন লজ্জিত হয়ে দ্রুত পা সরিয়ে নেয়। অঙ্কনের তখন ব্যাথায় যায় যায় অবস্থা। আর চারপাশে কিনা হাসির রোল। কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ।
” আমি একটু অন্যমনস্ক ছিলাম বুঝতে পারিনি, সরি।”
অন্বেষা, অনীহা, তানভীর ওদের দিকে চোখ টাটিয়ে আছে অনন্যা এটা বুঝতে পারছে। তবুও এই ফর্মাল কথাটা এখন না বললেই নয়।
” ঠিকাছে ঠিকাছে আর সরি হতে হবেনা। নেক্সট বার থেকে একটু বুঝার চেষ্টা করো। যে টাই করোনা কেন মনোযোগটা একটু সেদিকেই দিও। তাহলে অন্তত নিজেকে বিব্রতকর অবস্থাও পড়তে হবে না।”
অঙ্কনের চিবিয়ে চিবিয়ে বলা কথাটা অনন্যার ঠিক হজম হচ্ছে না। ইচ্ছে করছে কয়েক কথা শুনিয়ে দিতে।
” অনন্যা, অঙ্কন ভাইরে দেইখ্যা যে তোর এটিটিউডের মায়রে বাপ হয়া যাবে এতো অবিশ্বাস্য! আমিতো স্বপ্নেও ভাবিনি তুই এইরকম পতিভক্ত স্ত্রী হয়ে যাবি।”
তানভীরে মিটি মিটি হেসে আবার অঙ্কনের দিকে তাকিয়ে বললো,
” হিরো সাহেব, আপনার কপাল মেলা ভালা।”
তানভীরের কথার সুক্ষ্ম খোঁচাটা অনন্যার এবার আর সহ্য হচ্ছেনা। সত্যিইতো অঙ্কনকে এতো প্যাম্পার করার কি আছে! অনন্যা খ্যাকখ্যাক করে গলা পরিষ্কার করে বললো,
” তানভীর লিসেন আমি এখনো কারো বউ না। এংগেইজমেন্ট হলেই বিয়ে হয়ে যায়না৷ আমি ভুল করেছি তাই সরি বলেছি এখানে পতিভক্তির কিছুতো হয়নি৷”

” তানভীর লিসেন আমার এই পতিভক্তি জিনিসটায় না এলার্জি আছে। সারাদিন নমো নমো করে স্বামীর আচল ধরে থাকা বউদের আই ক্যান’ট জাস্ট টলারেট!” অঙ্কন ভয়াবহ রকমের রেগে গেছে।

” কিন্তু ভাইয়া, স্বামীদেরতো আচল নেই। তানভীর স্বামীদের আচল কোনটাকে বলে?” অনীহা মাথা চুলকাতে চুলকাতে একবার অঙ্কন আরেকবার তানভীরের দিকে তাকায়।
অনন্যা হি হি করে হেসে দিলো সাথে অন্বেষাও যোগ দিলো। কেবল তানভীর ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকালো কারণ এই মুহুর্তে এক ভয়ানক কান্ড ঘটতে যাচ্ছে যা সে ভালোভাবেই আঁচ করতে পারছে।

” তানভীর তোর বউকে চুপ করতে বল। আমি কিন্তু এক্ষুণি উঠে গেলাম।”
অঙ্কন রাগে ফুঁস করে উঠে দাঁড়ালো। রাগে তার মাথার তালু জ্বলছে। ইচ্ছে করছে পানির বোতল পুরোটাই মাথায় ঢক ঢক করে ঢালতে।
তার একটু পরেই অঙ্কন লাফিয়ে উঠে মাথায় সত্যিই পানি! বিস্ফোরিত চোখে অনন্যার দিকে তাকায়।
” হে রাগ তুই পানি হয়ে যা
অঙ্কনের মাথার সব রাগ ধুয়ে মুছে যা। ” অনন্যা বিড়বিড় করছে আর অঙ্কনের মাথায় পানি ঢালছে।
চারপাশে তখন হাসির রোল। যেন লাফিং গ্যাস ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অঙ্কন ও কি জানি কি ভেবে সে ও হেসে দিলো।
” মস্করা করো আমার সাথে মস্করা।” অঙ্কন কথাটা বলেই খপ করে হাত থেকে বোতলটা কেড়ে নিয়ে অনন্যার মাথায় নির্বিকারভাবে পানি ঢেলে দিলো।
চারপাশে তখন হাসি আর করতালির শব্দে মুখরিত। অঙ্কন মাথা ঝারা দিতে দিতে অনন্যার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো। অনন্যাও হাসছিলো। সত্যিই আজকে বোধ হয় তার হাসির দিন অঙ্কনের কথায় কান্না দিবসতো আর হলো না। অবশ্য দিনটা এখনো শেষ হয়নি!
চলবে..

রেগুলার পাঠকরা একটু সাড়া দিয়ে যাবেন।
আর একটা কথা এনি গেস নেক্সট পর্বে কি হতে চলেছে??

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে