চশমাওয়ালা_ছেলেটি
_পর্ব_২
Written by Avantika Anha
নাহিদ আনহার দিকে তাকিয়ে আছে । কেন যে সে নিজেও জানে না । কেন জানি মায়ার জালে সে তাকিয়ে আছে ।
.
হঠাৎ কে জানি ধাক্কা দিলো নাহিদ কে ।
নাহিদ : ও জাহিদ তুই
জাহিদ : কি দেখিস ভাবি পছন্দ হলো নাকি
নাহিদ : হুম
জাহিদ : কিইইইইই ?
নাহিদ : না কি বলিস আমি কেনো পছন্দ করবো চল চল ওদিক যাই
জাহিদ : (ভাবছে ডাল মে কুচ কালা হ্যা )
আচ্ছা চল ।
.
ঘুরা শেষে রাতে…..
নাহিদ চোখ বন্ধ করে মেয়ে টার কথা ভাবছে ” কি মায়া আছে তার মাঝে বারবার কেন ভাবছি তার কথা । তবে কি আমি ওর মায়ায় জড়াচ্ছি । নাহ এটা কেন হবে ? না এটা হতে পারে না (কেন হতে পারে না পরে জানবেন )
.
তারপরের দিন
খাবার টেবিলে……
জাহিদ : তুই আজ আমার কলেজে চল বন্ধুদের সাথে পরিচয় করাবো তোর ।
নাহিদ : আচ্ছা
.
.
কলেজে……
আমি আর শাম্মি আজও গল্প করতে করতে আসতেছিলো
এখন সাবধানেই চলি আমি । হিহি বারবার ভাঙ্গুম নাকি মানুষের জিনিস ।
.
শাম্মি : তুই দ্বারা আমি একটু রিয়ার সাথে কথা বলে আসতেছি ।
.
আমি : যা
.
শাম্মি গেলো আর আমি ওর অপেক্ষা করছিলাম । সামনে দেখলাম ফুলের গাছে ফুল ফুটছে একটু উপরে কিন্তু ভালো লাগছে । খুব নিতে ইচ্ছে করছিল ।
ভাবলাম পারবো ছিঁড়তে । যেই ভাবা সেই কাজ । ভাগ্যিস সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যাস্ত আর এদিকে ওতো আসে না ।
.
.
নাহিদ দেখলো একটা মেয়ে ফুল ছিঁড়ার চেষ্টা করছে ।
নাহিদ ওদিকে গিয়ে…
নাহিদ : এই যে মিস কি করেন
.
(আমি হঠাৎ ডাক সামলাতে না পেয়ে পড়ে গেলাম । পড়লাম তো পড়লাম কার উপর জানি পড়লাম । কারো উপর পড়ছি তো পড়ছি দেখলাম কি জানি ভাঙ্গে ফেলছি )
আমি দেখলাম ওই যে ভুত ছেলেটা ।
আমি : আপনি
নাহিদ : ( হায় আল্লাহ আবার চশমা ভাঙ্গে ফেলছে এই মেয়ে )
জ্বী
আমি : আবার সরি এইবার আমার দোষ নাই আপনার দোষ । আপনি ডাক দিলেন কেনো দেখলেন তো পড়ে গেলাম । আপনারো ক্ষতি হলো আমারো । ফুলটাও পেলাম না দুরর থাকেন আপনি আমি হাত ধুয়ে নিবো বাই
.
আমি চলে যাওয়ার পর….
.
নাহিদ : বাহ রে আমি কি করলাম খালি তো জিজ্ঞেস করতে গেছিলাম । থাক যাই হোক চশমা আবার ভাঙ্গে গেছে ভাগ্যিস চোখে বেশি প্রব্লেম নাই । নইলে চশমা ছাড়া দেখতেই পাইতাম না হাহা ।
.
আমি হাত ধুতে যাচ্ছি দেখি শাম্মি , রিয়া আর একটা ছেলে ।
আমি ওদিক গিয়ে দেখি ওই ছেলে ।
আমি শকড : আপনি না ওখানে ছিলেন এখানে কেমনে ?
জাহিদ : কি বলেন আমি তো এখানেই আছি
আমি : কেমনে সম্ভব ?
শাম্মি : হুম রে ও তো এখানেই আছে গল্প করছে আমাদের সাথে
আমি : কিন্তু
শাম্মি : কিন্তু তিন্তু না নে পরিচিতো হ ইনি আমাদের ১ বছর সিনিয়র কিন্তু রিয়ার ফ্রেন্ড সেই অনুপাতে আমাদেরও ফ্রেন্ড
আমি : ওকে
.
আমাদের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ হলো। অনেক গল্পও করলাম । কিন্তু আমি একটা জিনিস নিয়ে ভাবছি । জাহিদ যদি ওখানেই ছিলো তাইলে কি ওইটা ওর ভুত ছিল ।
আল্লাহ গো কি হইতাছে আমার সাথে ।
.
অপরদিকে নাহিদ ভাবছে এলোকেশির কথা , ” নাহিদ কিছুদিন আগে মাঠে এক মেয়েকে দেখে ভিড়ের মাঝে সে শুধুই মেয়েটার চুল দেখতে পেয়েছিলো । সেই সাথে মেয়েটার কাজল কালো চোখ শাড়ি পড়া ছিল মেয়েটা । মুখ না দেখার কারণ মেয়েটা আড়ালে ছিলো আর গান গাচ্ছিলো । ভয়েসও শুনেছিলো নাহিদ কিন্তু খুঁজে পায় নি পড়ে । তারপর থেকে নাহিদের ভাবনায় সেই এলোকেশির স্বপ্ন ।
.
পরেরদিন….
ছুটির দিন হওয়ায় গিটার হাতে নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলাম সকাল ৫:৩০ এ । এই সময় মানুষ কম থাকে তাই মাঠে গিয়ে গান করি আমি । আজ সবাই আসবে শাম্মি আর অন্যান্য বন্ধুরা ।
.
.
সবাই আসার পর…
সবাই গান করছিলো সাথে আমিও এমন সময় জাহিদ বললো তোমরা থাকো আমার একটা কাজ আছে ।
.
.
আমরা বললাম ওকে
কিছুক্ষণ পর নাহিদ গেলো । ও রোজ ই যায় সেখানে সকালে হাঁটার অভ্যাস ।
আমি দেখলাম নাহিদ কে । কিন্তু আমি তাকে জাহিদ ই ভাবলাম । কারণ আমি তো জানি না যে জাহিদের যমজ ভাই আছে ।
.
আমি : কি রে কাজ হলো
নাহিদ : আমাকে বলছেন ?
আমি : এখানে কি ভুত আছে ?
অবশ্য হতেও পারে মাঝে মাঝে তো আমি তোর ভুত কে দেখি হিহি
নাহিদ : কি বলছেন?
আমি : চল এবার তোর গান করার পালা
নাহিদ : মানে
আমি : ওই তোরা দেখ জাহিদ গান করতে চায় না
নাহিদ : ( এরা আমাকে জাহিদ ভাবছে কিন্তু আমি তো নাহিদ । এদের বলতে হবে)
শুনুন
আমরা কেউ শুনলাম না ।
.
বাধ্য হয়েই নাহিদ গান করলো কিন্তু ও সেই গানটাই গাইলো যা এলোকেশির মুখে শুনেছিলো ।
.
“তুমি আমার ঘুম তবু তোমায় নিয়ে ভাবতে পারি না ।
তুমি আমার সুখ তবু তোমাত নিয়ে ঘর বাঁধি না”
.
.
আমি : বাহ তুই আমার প্রিয় গানটা গাইছিস থেংক ইউ
নাহিদ : ওয়েলকাম কিন্তু
আমি : কোনো কিন্তু না আচ্ছা চল সবাই বাড়ি যাই আমি যাবো এখন ।
.
সবাই চলে গেলো । কেউ শুনলো না নাহিদ যে বলতে চাইলো যে সে জাহিদ না ।
.
চলবে……..