চলো না হারিয়ে যাই পর্ব-০৬

0
705

চলো_না_হারিয়ে_যাই [৬] ❤️
লেখকঃ জয়ন্ত_কুমার_জয়

লা’শটার কথা মনে হতেই তীব্র একটা গন্ধ নাকে ভেসে এলো।মিষ্টি আতঙ্ক সামলাতে না পেরে সাহস করে পিছু তাকালো।পেছন ফিরতেই লাল টকটকে একটা চোখ মিষ্টি দেখতে পেলো।সেই চোখে কয়লার একটা টুকরাতে ধকধক করে আগুন জ্বলছে।সেই ধকধক করে পু’ড়তে থাকা চোখ থেকে কালো ধোঁয়া বেড় হচ্ছে!

এমন একটা দৃশ্য দেখে মিষ্টি প্রচন্ড একটা চিৎকার দিয়ে গলির রাস্তায় ধপ করে পড়ে গেলো। ছায়া ধীরে ধীরে মিষ্টির শরীর ঝুঁকে মিষ্টিকে পরখ করে নিচ্ছে…

___________

রাতে খাবার টেবিলে মুখ কালো করে বসে আছে বিষণ্ণর বাবা।তার ঠিক সামনেই বিষণ্ণর মা বসে বসে ঘুমে হাই তুলছেন।হাই তোলা দেখে বিষণ্ণর বাবা রেগেমেগে বললেন

” এতোবড় হা মেলে হাই দিচ্ছো কেন?গ”লার ভিতরের অর্ধেকটা দেখা যায় ”

এমন কথা শুনে বিষণ্ণর মা মুখ ভোতা করে বললো ” তো কি করবো?তোমার মতো প্যাচার মুখ করে বসে থাকবো?”

” তর্ক করছো কেন? আমি রেগে আছি বুঝতেছো না? ”

বিষণ্ণর মা আবারো হাই তুলে বললেন ” যত অকাজে তোমার রাগ”

বিষণ্ণর বাবা চরম হতভম্ব হয়ে বললেন ” ছেলের জন্য শখ করে মাছ কিনে আনতাম,আর এখন শুনতেছি ও বাইরে গেছে।এখানে রাগ করাটা অকাজের? ”

” আর কতবার বলবো মিষ্টির মা ফোন করেছিলো, ওখানে গেছে ”

” আবার মিষ্টি!এই মেয়েটা ওর সিনিয়র,ওর সাথে কিসের এতো কিসের বন্ধুত্ব?আর এতো রাতে কেন ওর বাবা ডেকেছে? ”

” মিষ্টি বাড়িতে নেই।ওর নাকি ফোনটাও বন্ধ।বিষণ্ণকে বলতেই ও ছুটে গেলো ওকে খুঁজতে ”

” বাহ্,আর তুমি খুঁজতে যেতে দিলে?ওই মেয়ে কোথায় বিষণ্ণ কেমনে জানবে?এতো রাতে আমার ছোট্ট ছেলেটাকে একা যেতে দিলে?”

” বারণ করছিলাম,শুনেনি।আর ও বাইরে থেকে পড়াশোনা করছে,রাতের শহরে চলাচল ও ভালোই পারে।তোমার মতো না ”

বিষণ্ণর বাবা রেগে সামনে রাখা মাছের বাটিটা ফেলে দিলেন।এমন ভাবে ফেলে দিলেন যেন নিচে পড়ে ভেঙ্গে না যায়।বাটি ফেলে বিষণ্ণর বাবা বুঝতে পারলো সে বিশাল বড় অন্যায় করে ফেলেছে।শুধু শুধু রেগে আছি এটা দেখানোর জন্য এতো কষ্টের রান্না ফেলে দেওয়া ঠিক হয়নি।বিষণ্ণর বাবা আর কিছু না বলে ঘরে চলে এলেন।

বিছানার পাশে পায়চারি করতে করতে তার ম্যানেজারকে ফোন দিয়ে বললেন

” আপনাকে যে বিষণ্ণকে খুঁজতে বললাম,ওকে খুঁজে পেয়েছেন? ”

” জি পেয়েছি।ওর মেসের কাছেই দেখা পাইছি।ও এখন পাগলের মতো মিষ্টি নামের একটা মেয়েকে খুঁজছে ”

” ফোনটা বিষণ্ণকে দাও ”

খানিক্ষন বাদে ম্যানেজার বললো ” স্যার কথা বলতে রাজি হচ্ছে না।বললো,আরেকবার ফোন দিলে আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলবে ”

” আচ্ছা ঠিক আছে,আপনি ওর সাথে থাকুন।ওকে নজরে রাখুন ”

” জি স্যার,আপনি একদম ভাববেন না।রাখি স্যার,বিষণ্ণ একটা রিক্সায় উঠতেছে ”

ফোন রেখে ম্যানেজার দৌড়ো বিষণ্ণর কাছে গিয়ে বললো ” কোথায় যাচ্ছো? ”

” মিষ্টির বাড়িতে ”

” রিক্সা কেন? আমার সাথে গাড়ি আছে ”

এটা শুনে বিষণ্ন দ্রুত রিক্সা থেকে নেমে বললো ” কোথায় গাড়ি?”

” গলির মোড়ে ”

কথা শেষ না হতেই বিষণ্ণ গলির মোড়ের দিকে প্রবল গতিতে দৌড়াতে লাগলো।ওর দৌড় দেখলে মনে হবে কুকুরের দল ওরে কা”মড়ে দিতে পিছে লাগছে।পেছন পেছন ম্যানেজার ও দৌড়াচ্ছেন।

মিষ্টির বাড়ির সামনে গাড়ি থামলো।বিষণ্ণ মিষ্টির বাড়িতে ঢুকলো।মেইন গেট খোলাই ছিলো।বাড়িতে ঢুকেই বিষণ্ণ পাগলের মতো চেঁচিয়ে বললো ” আন্টি…..আন্টি….কই তুমি, আন্টি ”

সিঁড়ির উপর থেকে মিষ্টির মা এগিয়ে এসে বিষণ্ণকে ইশারায় চেচামেচি বন্ধ করতে বললো।বিষণ্ণ কয়েক সেকেন্ডে সিঁড়ি বেয়ে মিষ্টির মায়ের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।মিষ্টির মা বললো

” মিষ্টি ঘরে ঘুমাচ্ছে,ওর শরীর খারাপ ”

মিষ্টি ঘরে আছে, কথাটা শুনে বিষণ্নর বু’ক থেকে যেন বড় একটা পাথর সরে গেলো।বিষণ্ন বড় বড় শ্বাস ফেলে বললো ” আমি মিষ্টিকে দেখে আসি ”

” কথা বলিস না,ডাক্তার বলছে ওকে না ডাকতে ”

” আচ্ছা ”

একথা বলে বিষণ্ণ মিষ্টির ঘরে গেলো।গিয়ে দেখলো মিষ্টি বিছানার মাঝখানে শুয়ে আছে।বিষণ্ণ খুব সাবধানে মিষ্টির পাশে বসলো,আলতো ভাবে মিষ্টির কপালে হাত রাখলো।বিষণ্ণর চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা জল টপটপ করে মিষ্টির কপালে পড়লো এবং সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টির চোখ আর ঠো’ট খানিকটা কেঁপে উঠলো।মিষ্টির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না শুনে বিষণ্নর টেনশনে মাথা খারাপের মতো অবস্থা হয়েছিলো।মনে হাজারটা খারাপ চিন্তা হয়েছিলো,একা একটা মেয়ে রাতে বাইরে,যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এমন অবস্থায় টেনশন হওয়াটা স্বাভাবিক।

হঠাৎ একটা পুরুষালি কন্ঠ ভেসে এলো ” চিন্তা করবেন না মিষ্টির কিছু হয়নি।ডাক্তার দেখিয়েছি আমি ”

বিষন্ন চমকে আশেপাশে তাকালো।দেখলো সোফায় একটা ছেলে বসে আছে।ফর্সা,কপালের অর্ধেক অব্ধি চুলে ঢাকা,দেখতে বেশ সুপুরুষ।বিষণ্ণ লক্ষ্যই করেছি ঘরে অন্যকেউ আছে।বিষণ্ণ ছেলেটিকে এক দেখাতেই চিনতে পারলো।ছেলেটির বাসা মিষ্টির বাড়ি থেকে কয়েকটা বিল্ডিং পরেই।কলেজ যাওয়ার সময় মাঝেমধ্যে তাকে দেখা যায় ফরমাল ড্রেস পড়ে অফিসে যাচ্ছে।কিন্তু ছেলেটা এখানে কি করছে?

বিষণ্ণ জিগ্যেস করলো ” আপনি! ”

ছেলেটি কিছু বলার আগেই মিষ্টির মা হাতে এলটা প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঘরে ঢুকলেন।টেবিলে কাগজটা রেখে বিষণ্ণকে বললেন ” তুই ছিলি কোথায়?মিষ্টি মনে হয় তোর সাথেই দেখা করতে গেছিলো ”

” হ্যা,কিন্তু ওর কি হইছে? অসুস্থ হলো কিভাবে?”

” আর বলিস না,সর্বনাশ হয়ে যেতে পারতো।ও একটা গলির কাছে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে গেছিলো।সি টাইফুন গলিতে তোর মেস? ”

” হ্যা ”

” তাহলে তো তোর সাথে দেখা করতেই গেছিলো। তুই মেসে ছিলি না? ”

” না, আমি বাড়িতে ছিলাম।ওকে খুঁজে পেলে কিভাবে? ”

” ড্রাইভার আমায় ফোন করে বললো মিষ্টি একটা গলিতে গেছে অনেক্ক্ষণ হলো,এখনও আসছে না। শুনে তো আমি ড্রাইভারকে রাগ হলাম যে কেন একা ছাড়লো।ড্রাইভার বললো মিষ্টি নাকি সাথে যেতে বারন করছে।কেমন বেকুব ড্রাইভার পুষতেছি বল! ”

” তারপর? ”

“এটা শুনেই তোকে ফোন দিলাম,জায়ানকেও ফোন দিলাম।শেষে জায়ান গিয়ে ড্রাইভারকে নিয়ে গলিতে খুঁজে ওকে নিয়ে এলো।কি সর্বনাশটা হতে পারতো বল তো? আমার তো ভাবলেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ”

বিষণ্ণ একপলক জায়ানের দিকে তাকালো।ছেলেটাকে তার কেমন যেন লাগছে।জায়ান বললো

” আন্টি,চআমি এখন যাই,মিষ্টির ঘুম ভাঙ্গলে আমায় জানায়েন। কাল অফিস আছে ”

” তোমায় এতো রাতে ডিস্টার্ব করলাম ”

” আরে আন্টি কি যে বলেন না।আপনাদের আমি নিজের মনে করি।কাল অফিস যাওয়ার পথে মিষ্টিকে দেখে যাবো।কোনো প্রয়োজন হলে বলবেন।আজ আসি,”

এটা বলে জায়ান চলে গেলো।মিষ্টির মা জায়ানের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলেন।এতে বিষণ্ণ বিরক্ত হয়ে বললো

” এমনে তাকায়া কি দেখো? মেয়ে বিদায় দিচ্ছো নাকি? ”

” এমন একটা ছেলের সাথে মেয়ের বিদায় দিতে পারলেও শান্তি ”

কথাটা যেন বিষণ্ণর মাথা ফুটো করে ওপায় দিয়ে বেড় হলো।বিষণ্ণ মুখ গম্ভীর করে বললো ” মানে? কি বলো তুমি ”

” ছেলেটা কত ভদ্র তাই না রে? ”

বিষণ্ণ মুখ ভেতা করে চুপ করে রইলো।মিষ্টির মা বললো ” প্রাইভেট একটা ভার্সিটির লেকচারার। ব্যবহার অত্যন্ত নিপুণ ”

মিষ্টির মায়ের মুখে এমন কথা শুনে বিষণ্ণর প্রচন্ড রাগ লাগছে।আন্টি কোনোভাবে কি মিষ্টির সাথে এই ছেলের বিয়ের বিষয়ে কিছু ভাবছে নাকি? এমনটা হলে ওই ছেলেরে শুধু এলাকা না,কিকরে শহর ছাড়াতে হয় বিষণ্ণর ভালো করেই জানা আছে।মিষ্টির মা বললো

” এই বিষণ্ণ ”

” হু ”

” ছেলেটার পাশে মিষ্টিকে মানাবে বলতো? ”

বিষন্ন প্যাচার মতো মুখ করে বললো ” ছেলেটার পাশে মিষ্টি কেন দাঁড়াবে বরং মিষ্টির পাশে ওই ছেলেটাকে ইদুরের মতো লাগবে। গণেশের পায়ে ইদুরের মতো ”

” কি যে বলিস তুই।ছেলেটা কত নম্র! ”

” হুদাই এসব বলবা না তো।মিষ্টির পাশে ওকে মানাবে না।আচ্ছা আঙ্কেল কই? ওনারে জানাইছো? ”

” ,তারপর বলেও দিছি ওকে পাওয়া গেছে ”

” আঙ্কেল আসছে? ”

” দশটার দিক আসে।ও উপন্যাস নিয়ে ব্যস্ত।এই বয়সে নাকি উপন্যাস লিখবে।তুই কি থাকবি? গেস্ট রুম খুলে দিই? ”

” থাকবো না,মিষ্টির ঘুম ভাঙ্গলে একটু কথা বলে চলে যাবো ”

” কখন ভাঙ্গবে সে আশায় বসে থাকবি?”

” আমার সমস্যা হবে না ”

” আচ্ছা,আমি তাহলে ঘরে গেলাম।ওর ঘুম ভাঙ্গলে আমায় ডাকিস ”

” আচ্ছা ”

আন্টি চলে গেলো।বিষণ্ণ মুগ্ধ দৃষ্টিতে আন্টিকে দেখছে।আন্টিকে বিষণ্ণর ভিষন কাছের একজন মনে হয়।উনিও বিষণ্ণকে নিজের ছেলের মতোই দেখেন,বিশ্বাস করেন।বিশ্বাস না করলে একা একটা মেয়ের রুমে নির্দিধায় রেখে যান? আন্টির এমন বিশ্বাস দেখে বিষণ্ণর মাঝে মাঝে বড্ড অসহায় বোধ হয়।

মিষ্টির ঘুম ভাঙ্গলো এগারোটায়।এরমধ্যে মিষ্টির বাবা এসে মেয়েকে দেখে গেছেন।তিনি বেলকনিতে বসে গল্প লিখছেন।ঘুম ভাঙ্গতেই বিষণ্ণ মিষ্টিকে ধরে বিছানায় আধশোয়া করে শুইয়ে দিলো।মিষ্টি চোখ মেলে বিষণ্ণকে দেখে আচমকা জরিয়ে ধরে চেঁচিয়ে বললো

” ছায়া…একটা ছায়া…..লাল চোখ….চোখে আগুন…. ”

এসব বলতে বলতে মিষ্টি ভয়ে বিষণ্ণকে আরো জোরে জরিয়ে ধরলো।বিষণ্ণর পিঠে মিষ্টির ন’খ বসে গেছে।বিষণ্ণ মিষ্টিকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও লাভ হচ্ছে না।মিষ্টি বারবার শুধু ছায়ার কথা বলছে।ইতোমধ্যে মিষ্টির বাবা,মা ঘরে এলেন।মিষ্টি বাবাকে দেখে জরিয়ে ধরলো।জরিয়ে ধরে একই কথা বারবার বলছে,ছায়া…ছায়া!

মিনিট পনেরো পর মিষ্টি কিছুটা স্বাভাবিক হলো।বিষণ্ণ ওর কপালে হাত রেখে দেখলো কপাল জ্বরে পুরে যাচ্ছে।শরীর কাঁপছে থরথর করে।

মিষ্টি এক হাতে বাবার হাত অন্য হাতে বিষণ্ণর হাত চেপে ধরে বসে আছে।বিষণ্ণ বললো

” মিষ্টি আপু!তোমার এখনো ভয় করছে? আমি আছি আঙ্কেল আন্টি সবাই এখানে আছে।কিসের ভয়? কিচ্ছু হয়নি, এই যে দেখো ”

মিষ্টি হিক পেরে কান্না করছে।কিছুক্ষণ পর কান্নার বেগ একটু কমলো।মিষ্টি কান্নামিশ্রিত স্বরে বললো

” একটা ছায়া আমায় দেখছিলো ”

বিষণ্ণ মিষ্টির হাতে হাত রেখে বললো ” এখন এসব বলতে হবে না।তুমি রেস্ট নাও।কিচ্ছু হয়নি।তুমি ভুল দেখছো।কোনো ছায়া ছিলো না,ওইটা ড্রাইভার নইলে জায়ান ভাই ছিলো।অন্ধকারে তুমি ছায়া দেখছো।এখন তুমি ঘুমানোর চেষ্টা করো তো,চোখ বন্ধ করো ”

মিষ্টি বাচ্চা মেয়ের মতো সাথে সাথেই চোখ বন্ধ করলো।কিন্তু বিষণ্ণর হাত ছাড়লো না।মিষ্টির মা চেষ্টা করলো বিষণ্ণর হাত ছাড়িয়ে নিতে,কিন্তু পারলো না।মিষ্টির আতঙ্ক এখনো কাটে নি।বিষণ্ণ বললো ” আন্টি ও হাত ধরে থাক,আমি খাটের পায়ায় হেলান দিয়ে বসে থাকবো সমস্যা নাই।হাত ধরে থাকলে ওর ভয়টা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে “।সারারাত বিষণ্ণ নির্ঘুম অবস্থাতে বসে রইলো।

ভয়ের ব্যাপারটা যে এতোটা গভীরে পৌঁছাবে কেউ আশা করেনি।তিনদিন ধরে মিষ্টি একদম চুপচাপ হয়ে গেছে।তেমন কথা বলে না।সবসময় শুধু বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকে।এরমধ্যে তিন চারজন পীর ফকির এসে গলায় হাতে তাবিজ বেঁধে দিয়েছেন।মিষ্টির এই অবস্থা দেখে যতটা না মিষ্টির বাবা মা ভেঙ্গে পড়েছে তার থেকে বেশি ভেঙ্গে পড়েছে বিষণ্ণ।সে সারাদিন সারারাত মিষ্টির একটা হাত ধরে বসে থাকে।চোখে সবসময় অশ্রু।বিষণ্ণর বাবা মা এসে বিষণ্ণকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো।বিষণ্ণ কিছুতেই যায়নি। মিষ্টির এই অবস্থার জন্য বিষণ্ণ নিজেকে দায়ি করছে।বিষণ্ণর মনে হচ্ছে তারজন্যই মিষ্টি এখন ভয়ঙ্কর এক জগতে বাস করছে।

মিষ্টিকে দুইজন সাইক্রিয়েটিস্টি দেখানো হলো।তারা মিষ্টির অবস্থা দেখে একটাই বললেন,কিছুটা সময় দিন।মানসিক ভাবে সে প্রচন্ড দূর্বল।

ওনারা আরেকটা কথাও বলেছেন।সেটা শোনার পর থেকে বিষণ্ণর মাথায় আগুন দগদগ করে জ্বলছে।সে শুধু অপেক্ষা করছে মিষ্টির সুস্থ হওয়ার জন্য।সাইক্রিয়েটিস্টি বলছে ” মিষ্টির মস্তিষ্কে ভয় বিষয়টা গভীর ভাবে ঢুকে গেছে।সাথে হয়তে অন্য কোনো ঘটনাও সেরাতে তার সাথে ঘটে গেছে,হতে পারে সেটা শা”রিরীক কোনোকিছু।যার জন্য ও নিজে নিজেই সুস্থ হওয়ার চেষ্টাটাও করছে না।

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে