চন্দ্রাণী পর্ব-২৭+২৮

0
505

#চন্দ্রাণী (২৭)
আকাশে মেঘের আনাগোনা। টগর উঠানে নেমে এলো। রাত প্রায় দশটা বাজে।মন কেমন আনচান করছে হুট করে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আশেপাশে তাকালো টগর। মন বলছে অন্ধকার থেকে কেউ তাকে দেখছে।
কিন্তু কে!
তবে কি যার অপেক্ষায় ছিলো টগর সে এসেছে!
বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে টগর ঘরে ফিরে এলো।
ঘরে গিয়ে তৈরি হয়ে নিলো টগর। ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি লেগে আছে তার।

চন্দ্র বাড়ি থেকে বেরিয়েছে খানিকক্ষণ আগে। তাকে যেভাবেই হোক টগরের বাড়িতে যেতে হবে। টগরকে সাবধান করতে হবে। টগরের থেকে ছবির রহস্য জানতে হবে।না হলে চন্দ্র শান্তি পাবে না।
মন থেকে ভয়-ডর সব উধাও হয়ে গেলো চন্দ্রর।এতো রাতে একটা ছেলের কাছে যাচ্ছে ভেবে একটুও ভয় লাগছে না তার।
জীবন তাকে নিয়ে যেই খেলা খেলতে শুরু করেছে তার কাছে এসব কিছুই না।

চন্দ্র বোরকা পরে বের হয়েছে যাতে কেউ না চিনতে পারে তাকে।
আব্বাকে দেখেছে ঘরে নেই।আব্বা না থাকায় চন্দ্রর জন্য বের হতে অসুবিধা হয় নি।টগরের ফোনটা যদি অন থাকতো তাহলে আর এতো রাতে চন্দ্রকে বের হতে হতো না।

দরজায় ঠকঠক শব্দ হতেই চমকে উঠে টগর। ঘরের সব জানালা খুলে রেখেছে সে।সব রকম আক্রমণের জন্য তৈরি হয়ে অপেক্ষা করছে টগর।
কিন্তু শত্রু এভাবে দরজায় কড়া নাড়বে তা টগর ভাবে নি।

নিজের উত্তেজনা সামলে নিয়ে টগর উঠে গেলো দরজা খুলতে। দরজা খুলতেই দেখে আপাদমস্তক ঢাকা একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে সামনে।
এক মুহূর্তের জন্য টগর ভীষণ চমকালো।
এ-কে তো টগর এক্সপেক্ট করে নি এই মুহূর্তে!

অস্ফুটস্বরে বললো, “আপনি এখানে!এতো রাতে একা আমার বাড়িতে!
কি হয়েছে? ”

চন্দ্র হাঁপাতে হাঁপাতে বললো, “বলছি,আগে একটু জিরিয়ি নিই।এক গ্লাস পানি!”

টগর দ্রুত পানি এনে দিলো চন্দ্রকে।ঢকঢক করে সবটা পানি পান করলো চন্দ্র।মেইন রাস্তা থেকে টগরের বাড়ি একটু ভেতরের দিকে। বাড়ির রাস্তায় নামতেই চন্দ্রর কেমন ভয় ভয় লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো আশেপাশে কে আছে যেনো।

টগর নরম সুরে বললো, “ভয় পেয়েছেন না-কি?আপনি তো যথেষ্ট সাহসী মেয়ে,এভাবে ভয় তো আপনার পাওয়ার কথা না। ”

চন্দ্র চমকে বললো, “আপনি কিভাবে জানলেন?”

টগর হেসে বললো, “যেই মেয়ে রাতের অন্ধকারে আমার আর নিয়াজের পিছু নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে ডকুমেন্টারি করতে পারে, একটা টপ চ্যানেলের ক্রাইম রিপোর্টার হতে পারে। সে ভয় পাবে এটা আমি বিশ্বাস করবো?”

চন্দ্র ভয়াবহভাবে চমকালো এবার।ইতস্তত করে বললো, “আপনি কিভাবে জানলেন? ”

টগর হাসতে লাগলো। হাসতে হাসতে বললো, “আপনি যে একজন শখের মিতিন মাসী সেটা আমি সন্দেহ করেছি যেদিন ইন্সপেক্টর নির্ঝরের সাথে আপনি আমার বাড়িতে এসেছেন।তারপর যেদিন টিভিতে একটা ডকুমেন্টারি প্রচার হলো সেদিন আমার সর্বপ্রথম সন্দেহ হলো আপনাকে।আর সেই সন্দেহ দৃঢ় বিশ্বাসে রূপ নিলো তারপরই।আপনি যখন আমার বাসায় ক্যামেরা ফিট করে রেখেছিলেন।”

চন্দ্র ভীষণ বিব্রত হলো।এতটা সে আশা করে নি। সে যে ক্রাইম রিপোর্টার এটা সে কাউকে জানায় নি। অথচ এই মানুষটা জেনে গেলো!
কিভাবে?

টগর হেসে বললো, “আচ্ছা বলুন, এতো রাতে কি মনে করে? নিশ্চয় সিরিয়াস কিছু হয়েছে! ”

চন্দ্রর ভীষণ অবাক লাগলো। এই মানুষটাকে সে এতো যেমন মাতাল,ছন্নছাড়া,লাগামহীন ভেবেছিলো এখন মনে হচ্ছে এই মানুষটা যথেষ্ট বুদ্ধিমান।
মনে হচ্ছে সব তার ভান।নয়তো কিভাবে জানবে সে চন্দ্রর সম্পর্কে!

নিজেকে সামলে চন্দ্র বললো, “আপনার অনেক বড় বিপদ। আমার মনে হচ্ছে আপনার মৃ//ত্যু ঝুঁকি আছে। ”

টগর হেসে বললো, “আমার বিপদের কথা চিন্তা করে আপনি এতো রাতে ছুটে এসেছেন? ”

চন্দ্র কিছু বললো না। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো, “আপনার কাছে আমার কিছু জানার আছে। ”

টগর বললো, “কি বলুন।”

চন্দ্র ছবিটা বের করলো। তারপর টগরের দিকে বাড়িয়ে দিলো ছবিটা।
এক দৃষ্টিতে টগর ছবিটার দিকে তাকিয়ে রইলো।
তার মাথা ঝিমঝিম করছে।

এই ছবি চন্দ্রর কাছে কিভাবে গেলো!
চন্দ্র কি তাহলে!

হতচকিত হয়ে টগর চন্দ্রর দিকে তাকালো।

চন্দ্র বললো, “এই ছবিতে আপনি কিভাবে এলেন?আমার পাশের এই ছেলেটা কে?আপনি এই ছবিতে কেনো?”

টগর মুচকি হাসলো। তারপর উঠে গিয়ে নিজের এলবাম নিয়ে এলো।
এলবাম খুলে একটা ছবি বের করলো। চন্দ্র অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো সেদিকে।

টগর ম্লানসুরে বললো, “আপনি যাকে আমি ভেবেছেন, তা আমার না আমার বাবার ছবি।আমি দেখতে হুবহু আমার বাবার মতো হয়েছি।”

চন্দ্রর হুঁশ হলো ততক্ষণে। আসলেই তো!এটা তো তার ছোট বেলার ছবি।সেখানে যদি টগর এখনকার বয়সী হয়ে থাকে তাহলে তো এতো বছরে টগরের আরো বয়স্ক হয়ে যাওয়ার কথা।তার বাবার বয়সী হওয়ার কথা।আর আব্বা মা ও তো এই ছবিতে ভীষণ অল্পবয়সী।
এই ব্যাপারটা চন্দ্রর মাথায় এলো না কেনো?

টগরের বের করা ছবিতে চন্দ্র এবার স্পষ্ট টগরের মুখ দেখতে পাচ্ছে। এই একটা ছবিতে টগরের শুধু মুখে রুমাল দেওয়া নেই।

টগর বললো, “আমার মা আমাকে কখনো বলেন নি মেয়েটি আপনি ছিলেন।সবসময় বলতেন খুব ছোট বেলায় আমাকে একটা পরীর সাথে বিয়ে করায়।
তারপর পরীটা উড়ে উড়ে তার পরীর রাজ্যে চলে যায়।ঠিক কেনো পরীটা আমাকে ছেড়ে চলে যায় মা আমাকে তা জানায় নি।এই ছবিটি ছাড়া আমার কাছে আর অন্য কোনো ছবি নেই।আপনার আব্বা মা সহ কোনো ছবি ও নেই।আমি অনেক খুঁজেছি একটা সময় জানতে যে কে সেই মেয়েটা যে আমার বউ।ছোট বেলায় বিয়ে হওয়ার পর কেনো সে হারিয়ে গেলো আমি জানি না।”

চন্দ্রর পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে যেনো।কি শুনছে সে এসব!
আব্বা কেনো এতো কিছু লুকাচ্ছে তার কাছ থেকে?
আব্বার সাথে তাহলে টগরদের সাথে ও ভালো সম্পর্ক ছিলো।অনেক ভালো সম্পর্ক না থাকলে তো ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিতেন না ছোট বেলাতেই।
তাহলে কি এমন হয়েছিলো যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়!

টগর মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে চন্দ্রর দিকে। চন্দ্রর ইচ্ছে করছে পাখি হয়ে উড়ে যেতে এখান থেকে। লজ্জায় টগরের দিকে তাকাতে পারছে না চন্দ্র।
আচমকা সাঁই করে একটা গুলি ছুটে এলো তীরের বেগে। চোখের পলকে টগর চন্দ্রকে নিয়ে ডিগবাজি দিয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলো। গুলি এসে দেয়ালে লাগলো।

চলবে…..
রাজিয়া রহমান

#চন্দ্রাণী (২৮)
বাহিরে ভীষণ হৈচৈ শোনা যাচ্ছে। অনেক মানুষের চিৎকার, হৈহল্লা ভেসে আসছে।চন্দ্র টগরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।তার এই ছোট্ট জীবনে এতটা ভয় সে পায় নি এর আগে।ঝুঁকি সে অনেক বারই নিয়েছে।কিন্তু কখনো এভাবে ভয় পায় নি।টগর চন্দ্রকে উঠিয়ে দাঁড় করিয়ে বললো, “আপনার কোথাও লাগে নি তো?”

চন্দ্রর দমবন্ধ অনুভূতি হচ্ছিলো। টগর শক্ত করে চন্দ্রর হাত ধরে বললো, “একবার আপনাকে হারিয়েছি।এবার যখন ফিরে পেয়েছি তারপর আর হারাতে দিবো না।এই শূন্য সংসার আপনি ফিরে এলেই পরিপূর্ণ হবে। আমার এই অন্ধকার ঘরে আপনিই হবেন আলোকবর্তিকা।”

চন্দ্র কিছুই বুঝতে পারছে না। সবকিছু তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। দরজায় করাঘাত শুনে টগর চন্দ্রর হাত ধরে দরজা খুলতে গেলো। নির্ঝর বললো, “স্যার,ও পালিয়েছে। একজন মহিলা ছিলো মনে হয়, তার ওড়নার কিছুটা… ”
নির্ঝর কথা শেষ করতে পারলো না। চন্দ্রকে টগরের সাথে দেখে হুট করে চমকে উঠলো।

চন্দ্র বুঝতে পারছে না সে আর কতো অবাক হবে!
তাহলে ইন্সপেক্টর ও জানতো টগর যে সি আই ডি অফিসার?
অথচ এমন ভাবে অভিনয় করে গিয়েছে যেনো একে অন্যের শত্রু তারা!

টগর মুচকি হেসে বললো, “আপনার ভাবী,অবাক হচ্ছেন না-কি?”

নির্ঝর হেসে বললো, “উনি যে ভাবী হবে তা আমি অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলাম কিন্তু এতো শীঘ্রই ভাবী হবেন তা ধারণা করতে পারি নি।শুভ কাজটা সারলেন কবে?আমার রাস্তা তাহলে ক্লিয়ার করে দিলেন?”

চন্দ্রর মাথায় কারো কোনো কথা ঢুকছে না।তার চোখ নির্ঝরের হাতে থাকা ওড়নার অংশে নিবদ্ধ হয়ে আছে।

প্রদীপের নিচে কি অন্ধকার তাহলে!

কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চন্দ্র বের হয়ে এলো। হনহনিয়ে বাড়ির দিকে যেতে লাগলো। পিছনে টগর ও এলো চন্দ্রর পিছু পিছু।
একবারের জন্য ও চন্দ্র পেছনে তাকালো না।তালুকদার বাড়ির সামনে আসতেই টগর থেমে গেলো।কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে টগর বাড়ি ফিরে গেলো।

নির্ঝর বসে আছে সোফায়। টগর ফিরতেই নির্ঝর বললো, “স্যার…”

টগর বললো, “আপনি এখন আসুন অফিসার।আমার একটু ভাবনা চিন্তা করার সময় লাগবে।আগামীকাল কথা হবে।”

নির্ঝর আর টগরকে বিরক্ত না করে চলে গেলো সেখান থেকে। টগর বিছানায় হেলান দিয়ে বসলো। মাথা ব্যথা করছে তার।সব ব্যথা চাপিয়ে সবচেয়ে ভাবাচ্ছে চন্দ্রর ব্যাপারটা। চন্দ্র!
তার চন্দ্র?
এই সেই চন্দ্র যে কি-না তার বউ?
কখনো কি টগর ভেবেছিলো তাকে আবারও ফিরে পাবে?
ভাবে নি!
টগর ভেবেছিলো সে সারাজীবন তার কল্পনা হয়েই থেকে যাবে।মনে কতো আকাঙ্ক্ষা ছিলো টগরের একটা বার তাকে দেখার।একটা বার জানার যে কে ছিলো সে-ই মেয়ে!
অথচ জানতে পারে নি টগর সে কি-না তার সামনেই ছিলো।
আজ সব কেমন স্বপ্নের মতো লাগছে।টগর চন্দ্রর ভাবনা ভাবতে গিয়ে সব ভুলে গেলো। তার মাথার উপর কি বিপদ তাও টগর ভুলে গেলো।

কানিজ ডাইনিং টেবিলের সামনে এলো।ভাইজান বসে আছেন গম্ভীর হয়ে। কানিজ বললো, “ভাইজান,আমি চলে যাবো।”
কাদের খাঁন নরম সুরে বললো, “আজকের দিনটা থেকে গেলে হয় না?
আজকেও ও কি তোর পুরনো রাগ ধরে বসে থাকতে ইচ্ছে করছে? ”

কানিজ বললো, “আমি শপথ করেছি ভাইজান। যে জাহান্নামে তোমরা আমাকে ফেলেছো সেই জাহান্নামে আমি আজীবন জ্বলে পুড়ে মরবো তবুও তোমাদের কাছে এসে থাকবো না।তোমাদের অহংকার যেমন তোমাদের কাছে সবার আগে আমার শপথ ও আমার কাছে।”

কাদের খাঁন একটা হতাশার নিশ্বাস ফেললো। সরকারি চাকরিজীবী জামাই পেয়ে খোঁজ খবর না নিয়ে কানিজকে বিয়ে দিয়েছিলো।
বিয়ের পর আস্তে আস্তে জানতে পারে মানুষ নামের পিশাচের কাছে বোনকে দিয়েছে।
পান থেকে চুন খসলেই কানিজের গায়ে হাত তুলতো ওরা।কতো বার গিয়েছিলেন কানিজকে ফিরিয়ে আনতে ওদের বাড়ি থেকে, পারেন নি।কানিজ প্রতিজ্ঞা করেছিলো মরে গেলে ওই বাড়িতে মরবে তবুও আর বাবার বাড়ি আসবে না।
তারপর?
একে একে তিনটা কন্যা সন্তানের জন্ম দিলো কানিজ। আর কানিজের শাশুড়ী কন্যা সন্তান হওয়ার অপরাধে তিনটা মেয়েকেই দত্তক দিয়ে দেয়।এরপর একটা ছেলে জন্ম নেয়,কিন্তু কানিজকে ছেলের কাছে যেতে দেয় নি ওরা।জন্মের ২ মাস পর ছেলেটাও মারা যায়।
শেষে আরেকটি মেয়ে জন্ম নিলে কানিজ মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়।স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে মেয়ে নিয়ে আলাদা থাকে।
বাবা মারা যাবার পর বাবার একটু সম্পদ ও কানিজ নেয় নি।কাদের খাঁন বুঝতে পারেন নি এভাবে বোন অভিমান করবে।বুঝতে পারলে কোনো দিন বোনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে দিতেন না।
কতো বার বোনকে বুঝিয়েছেন ওদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য, কিছুতেই রাজি হয় নি।উল্টো বাবা ভাইয়ের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। নিজেকে নিজে শাস্তি দিয়েই চলেছে কানিজ।একটা মাত্র বোনের মেয়ে তাকে কখনো এই বাড়িতে আনে নি কানিজ।
কাদের খাঁন হিসেব করে দেখলো তার জীবনে সব আসলে ব্যর্থতা, অপ্রাপ্তি দিয়ে ভরপুর।

চন্দ্র বাড়িতে ফিরে দেখে রেহানা ঘরের সামনে সিড়িতে বসে আছে। মেয়েকে দেখে ছুটে এলেন মেয়ের কাছে।তারপর অস্থির হয়ে বললেন,”কই ছিলি তুই?কোথায় গিয়েছিলি আমাকে না বলে? আমাকে একবার বলে গেলি না কেনো তুই? এতো রাতে বোরকা পরে কোথা থেকে এলি?”

চন্দ্র জবাব না দিয়ে বললো, “শর্মী কই মা?”

রেহানা এক নজর মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, “শর্মী কই মানে?ও তো ওর রুমে মনে হয়। আমি দেখি নি তো ওকে।কেনো কি হয়েছে? ”

চন্দ্র বললো, “আমাকে শর্মীর কাছে যেতে হবে মা।”

চন্দ্র ছুটে শর্মীর কাছে গেলো।শর্মীর রুমের দরজা ভেজানো।চন্দ্র দরজা খুলে দেখে শর্মী রুমে নেই।চন্দ্র শর্মীকে খুঁজলো এদিক ওদিক। রেহানা ধড়ফড়িয়ে উঠে বললো, “কি হইছে রে মা?এরকম করতেছস কেনো তুই?শর্মী কই গেলো?তোর আব্বা ও তো ঘরে নাই।”

চন্দ্র কিছু বললো না। এই ওড়নাটা শর্মীর ওড়না। চন্দ্র এবার ঢাকা থেকে আসার সময় শর্মীর আর ওর জন্য একই রকম জামা এনেছিলো।শর্মীর গায়ে আজকে এই জামা দেখেছে চন্দ্র।

চলবে……
রাজিয়া রহমান

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে