#চন্দ্ররঙা_প্রেম_২
#পর্বঃ২৩
#আর্শিয়া_সেহের
হঠাৎ গুলির আওয়াজে থমকে গেলো মাহমুদ বাড়িতে অবস্থান করা প্রত্যেকেই। বিথীর চিৎকারও কানে এসেছে সবার। তবুও অনড় হয়ে পড়ে আছে সবাই। জায়গা থেকে নড়ার শক্তি টুকু যেন অবশিষ্ট নেই। রুমঝুমই সবার আগে ছুট লাগালো পুনমের ঘরের দিকে। বাচ্চারা সবাই এক সাইডে জড়ো হয়ে আছে।
তনিম তাড়াহুড়ো করে সবার উদ্দেশ্যে বললো,
-“আপনারা বসে না থেকে জলদি উপরে যান।”
তনিমের কথায় সম্বিত ফিরলো সবার। প্রান্ত আর শান আগে আগে ছুটলো। তিহান পেছনে আসছে। তার স্পষ্ট মনে আছে অ্যামিলিয়া এদিকেই গিয়েছিলো।
তনিম শান্তর দিকে তাকিয়ে ইশারা করলো রুশানকে নিয়ে যেতে।শান্ত কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না। রুশান উপরের দিকে তাকিয়ে আছে। পলক পড়ছে না। শান্ত রুশানের কাঁধে হাত রেখে বললো,
-“ঐ ঘরে পুনম আপুও আছে।”
কথাটি রুশানের কানে ঢোকার সাথে সাথেই দাঁড়িয়ে পড়লো রুশান। জোড় পায়ে উপরে উঠছে আর মনে মনে দোয়া করছে যেন পুনমের কিছু না হয়।
রুশান চলে যেতেই তনিম শান্তকে নিয়ে ধপধপ পা ফেলে বাড়ির বাইরে চলে এলো।
গুলির শব্দে রাব্বি নিজেকেই গালি দিলো কতগুলো। এখন সবাই উপরে আসবে এটাও বুঝলো। খাটে পড়ে থাকা পুনমের দিকে রাগী চোখে তাকালো একবার। ইচ্ছে করছে বাকি চারটা গুলি এই মেয়ের শরীরে পুঁতে দিতে। কিন্তু রায়হান ভাইয়ের অর্ডার আছে এই মেয়ের গায়ে যেন একটু আঁচও না লাগে। সবার ধপধপ পায়ের আওয়াজ কানে আসতেই রাব্বি বেলকনি বেয়ে নেমে গেলো নিচে।
তনিম আগেই আন্দাজ করেছিলো এমন কিছু হবে। এজন্যই সে শান্তকে নিয়ে আগে থেকেই নিচে দাঁড়িয়ে ছিলো। রাব্বি এমনিতেও প্রচুর নার্ভাস ছিলো। আশেপাশে খেয়াল না করেই এগোচ্ছিলো সে। পেছন থেকে হঠাৎ মাথায় ভারি কিছুর আঘাত লাগায় টাল সামলাতে পারলো না। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো ।
রুমঝুম দূর থেকেই দেখলো অ্যামিলিয়ার অর্ধেক শরীর দরজার বাইরে আর বাকি অর্ধেক ভেতরে। একহাতে মাথা চেপে ধরে মেঝেতে পড়ে কাতরাচ্ছে। রুমঝুমের সাথে সাথেই প্রান্ত আর শানও চলে এলো। শান অ্যাম্বুলেন্স কল করতে করতেই উপরে এসেছে। দরজার সামনে যেতেই রুমঝুম দেখলো বিথী অ্যামিলিয়ার পায়ের উপর উপুড় হয়ে আছে।
মেঘা আর শিরীনও হাঁপাতে হাঁপাতে চলে এসেছে উপরে। মেঘা দ্রুত এসে অ্যামিলিয়ার মাথায় নিজের শাড়ির আঁচল চেপে ধরলো। রুমঝুম বিথীকে চিৎ করে ফেললো। এখনো শ্বাস চলছে বিথীর। ঠোঁট দুটো নড়ছে ধীর গতিতে। রুমঝুম বিথীর মুখের কাছে কান পাতলো। ফিসফিস শব্দ করে বিথী বলছে,
-“তোমার আর আমার একরকম সাজা হলো না রুমঝুম। আমার মেয়েটাকে সাজিয়ে রেখো। আম…”
এরপরের কথা আর বুঝতে পারলো না রুমঝুম। দু’হাতে মুখ চেপে দূরে সরে গেলো। প্রান্ত দরজার বাইরে ধপ করে বসে পড়েছে। শান দেয়ালে হেলে দাঁড়িয়ে আছে। চোখের সামনে বেস্ট ফ্রেন্ডের ক্ষত বিক্ষত দেহ পড়ে আছে। ভাগ্যিস সিন্থিয়া নেই এখানে। ও থাকলে হয়তো সব ওলোটপালোট করে দিতো।
শিরীন বিছানার উপর পুনমের বাঁধা হাত পা খুলে দিলো। মুখে পানির ঝাপটা মারতেই পিটপিট করে চোখ খুললো। কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ আসছে। পুনম মাথা তুলে দেখলো রুমঝুম নিজের চুল খামচে ধরে কাঁদছে। মেঝেতে পড়ে আছে বিথী। তিহান এসে অ্যামিলিয়ার পাশে বসলো। অ্যামিলিয়া দুচোখ বেয়ে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। তিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“ও আমাকে সেভ করতে গিয়ে নিজে দুইটা গুলি হজম করলো। ও আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিজে সরার সময় পেলো না। এগুলোর জন্য আমি দায়ী।”
তিহান বিথীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। কোনো এক মন্ত্র বলে তিহান অ্যামিলিয়াকে রেখে বিথীর কাছে গিয়ে বসলো। মেয়েটা নিস্তেজ হয় পড়ে আছে মেঝেতে। তিহান কাঁপা কাঁপা হাতে বিথীকে ছুঁয়ে দিলো। ওর মনে পড়ছে অতীতে বিথীর করা পাগলামিগুলো। কোনো মেয়েদের সাথে কথা বললেই রেগে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকা মেয়েটা ওকে স্ত্রীর সাথে দেখে মুখে হাঁসি টেনেছে। সবসময় আশেপাশে বা পেছনে থাকা মেয়েটা ওকে এড়িয়ে চলেছে। ওর সাথে বেশিক্ষণ থাকার নানা উপায় খোঁজা মেয়েটাও আজ ওর সাথে যেন এক সেকেন্ড থাকতে না হয় সেই সুযোগ খোঁজে।
তিহানের মনে পড়লো শানদের বাড়ি থেকে বিথীর চলে যাওয়ার সেই দিনটার কথা। আজও কি শানদের বাড়ি থেকেই চলে যাবে বিথী?
তিহান উদ্ভ্রান্তের মতো বিথীকে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলো। বাচ্চাদের মতো কেঁদে বললো,
-“তোকে আমি প্রেমিকা হিসেবে ভালোবাসিনি সত্যি কিন্তু বান্ধবী হিসেবে খুব ভালোবাসি রে বিথু। আমাদেরকে ছেড়ে যাস না।”
প্রান্ত শানের পায়ের কাছে বসে আছে। তিহানের কান্না শুনে প্রান্তও শব্দ করে কেঁদে উঠলো। শানের পা জড়িয়ে ধরে বললো,
-“বিথী কে ধর শান। ওকে যেতে দিস না। প্লিজ ওকে ধরে রাখ।”
শিরীন দৌড়ে প্রান্তর কাছে এসে বসলো। প্রান্তকে টেনে শানের পা থেকে ছাড়িয়ে নিলো। প্রান্ত শিরীনের দিকে একবার তাকিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো।
বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ আসতেই শান নড়ে উঠলো। মেঘা তিহানের পেছনে গিয়ে বললো,
-“ওকে হসপিটালে নিতে হবে তিহান ভাইয়া।”
মেঘার কথা কানে যেতেই তিহান বিথীকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিলো। অ্যামিলিয়া এখনো বিথীর দিকে তাকিয়ে কাঁদছে। পুনম রুমঝুমকে ধরে বসে আছে। তার নিজেরও খুব দূর্বল লাগছে। কিছুতেই মনে করতে পারছে না একটু আগে কি হয়েছিলো। রুমঝুম চিৎকার করে কাঁদছে। তিহানের বিথীকে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বললো,
-“ফিরে এসো বিথী আপু। আমরা একরকম সাজবো। আমি অপেক্ষায় থাকবো।”
অ্যামিলিয়াকে বিথী যখন দরজার দিকে ধাক্কা মেরেছিলো তখন দরজার সাথে আঘাত লেগে অ্যামিলিয়ার কপাল কেটে যায়। প্রথমবারের গুলি বিথীর পিঠে লাগে এবং দ্বিতীয়বার অ্যামিলিয়ার দিকে পিস্তল তাক করলে বিথী দ্বিতীয়বার অ্যামিলিয়াকে ধাক্কা মারে। দ্বিতীয় গুলিটি বিথীর কিডনি বরাবর আঘাত করে।
সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় প্রত্যেকের চোখ পড়লো রুশানের দিকে। মাঝ সিঁড়িতে বসে আছে রুশান। শরীরের ভারটা সিঁড়িতেই ছেড়ে দিয়েছে যেন। এত সাহসী ছেলেটাও দুকদম এগোতে পারছে না আপনজনের খারাপ কিছু হয়ে গেলো কি না ভেবে। শান নিচে নামতে নামতে বললো,
-“উপরে তোমার আপু রয়েছে। ওকে দেখো। বাকিরা ঠিক আছে।”
রুশান কথাটা শুনলো কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না। তিহান যখন ওর সামনে থেকে নামলো বিথীর রক্তমাখা বাম হাতটা নিচে দুলছিলো। রুশানের চোখের সামনে থেকেই চলে গেলো হাতটা। রুশান চোখ বন্ধ করে ফেললো। একটু আগেই তনিমের নাম্বার থেকে একটা এসএমএস এসেছিলো। রুশান এখন সেখানেই যাবে। অনেক হিসেব চুকাতে হবে।
ড্রয়িং রুমে জড়ো হয়ে আছে বাড়ির মুরব্বি আর বাচ্চারা। তিহানের কোলে বিথীকে দেখে শাফিয়া আক্তার কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইমতিয়াজ মাহমুদ তাকে বাঁধা দিলেন। শানের দিকে তাকিয়ে বললেন,
-“দ্রুত ওদের নিয়ে হসপিটালে যাও। পুলিশি ঝামেলা রাফিনকে বলে মিটিয়ে নিবো আমি।”
শান আর বাক্য ব্যয় না করে বিথী আর অ্যামিলিয়াকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তুললো।
…
-” আপনাদের পেশেন্ট আরো দশ-পনেরো মিনিট আগেই মারা গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য জীবনযুদ্ধে বেশিক্ষণ টিকতে পারনি।”
তিহান হসপিটালের দেয়াল ঘেঁষে বসে পড়লো। শান নিজেকে অনেক কষ্টে সামলিয়ে ডাক্তারদের সাথে কথা বলছে। তার চোখেও পানি টলটল করছে। মেঘা কি করবে বুঝতে পারছে না। অ্যামিলিয়ার মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।
মিনিট দশেকের মধ্যেই হাসপাতালে উপস্থিত হলো প্রান্ত, শিরীন, রুমঝুম, ইমতিয়াজ মাহমুদ, মেহেদী আর সিন্থিয়া। রুমঝুমের কোলে বিন্দু। মা মা করে কাঁদছে মেয়েটা।
সিন্থিয়া সরাসরি এসে দাঁড়ালো তিহানের সামনে। তিহানের অ্যাশ কালারের পাঞ্জাবিটা রক্তে মাখামাখি হয়ে আছে। সিন্থিয়া এদিক ওদিক তাকিয়ে করুন কন্ঠে বললো,
-“বিথু কই রে তিহান? ওকে দেখছি না কেন?”
তিহান মাথা তুলে তাকালো। এই মেয়েটাকে কি করে বলবে বিথী আর নেই? শান ডাক্তারের সাথে কথা বলে বেরিয়ে এলো। সিন্থযিয়াকে এখানে দেখে ঘাবড়ে গেলো শান। এই মেয়ে বিথীর মৃত্যুর খবর জানলে ওকে সামলানো যাবে না।
শান ধীর পায়ে এসে সিন্থিয়ার পেছনে দাঁড়ালো। যথাসম্ভব নিজেকে সামলে রেখে বললো,
-“তুই কখন এলি সিন্থু?”
সিন্থিয়া শানের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“বিথী কই? ওকে দেখবো আমি।”
শান আমতা আমতা করে বললো,
-“ওর সাথে এখন দেখা করা যাবে না। তুই বাড়িতে যা। কাল দেখা করিস।
মেহেদী ভাইয়া, সিন্থিয়াকে নিয়ে যান। সকালে নিয়ে আসবেন আবার।”
মেহেদী হয়তো শানের কথার মানে বুঝতে পারলো। সিন্থিয়া বিথীকে কতটা ভালোবাসে এ ব্যাপারে সেও অবগত। মেহেদী দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে সিন্থিয়াকে ধরে বললো,
-“সকালে নিয়ে আসবো তোমাকে। তখন দেখো বিথীকে। এখন চলো। মাহিম, সিনিম কান্নাকাটি করবে।”
-“কিন্তু দূর থেকে একটু…”
-“আহা কোনো কিন্তু না। সকালেই দেখবা। চলো এখন।”
-“লাশের অভিভাবক হিসেবে কে আছে এখানে ? যে কোনো একজনকে স্যার ভেতরে ডেকেছেন।”
লাশ কথাটা কানে যেতেই সিন্থিয়া পেছনে তাকালো। শানও তার দিকেই চেয়ে আছে। ভেবেছিলো সিন্থিয়া শুনবে না, কিন্তু শুনে ফেললো। নার্স মেয়েটি শানের পেছনেই দাঁড়িয়ে আছে। সিন্থিয়া মেহেদীকে ঠেলে দৌড়ে গেলো শানের কাছে। রুমঝুম বিন্দুকে কোলে রাখা অবস্থায় বসে পড়লো করিডোরে। প্রান্ত কোনো ধরনের রিঅ্যাক্ট করছে না। শিরীন শক্ত করে ধরে রেখেছে প্রান্তকে।
ইমতিয়াজ মাহমুদ শানকে পাশ কাটিয়ে নার্স মেয়েটিকে বললো,
-“আমি লাশের অভিভাবক। ”
নার্স ইমতিয়াজ মাহমুদকে নিয়ে ভেতরে চলে গেলো।
সিন্থিয়া শানের কলার ধরে বললো,
-“কার লাশের কথা বললো? কে মারা গেছে? মিথ্যে বলিস না শান? আমাদের বিথী কই? আমি যাবো ওর কাছে।”
শান একটা আঙ্গুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিলো । সিন্থিয়া শানের কলার ছেড়ে হাঁটা ধরলো সেই রুমের দিকে।
অ্যামিলিয়া বেরিয়ে এলো কেবিন থেকে। করিডোরে বসে থাকা প্রত্যেকটি ব্যাক্তির মুখ বলে দিচ্ছে এখানে কি হয়েছে। তার চোখ পড়লো বিন্দুকে কোলে নিয়ে বসে থাকা রুমঝুমের দিকে। ধীর পায়ে অ্যামিলিয়া হেঁটে গেলো বিন্দুর কাছে। রুমঝুমের কোল থেকে বিন্দুকে নিজের কোলে নিয়ে বললো,
-“তোমার মাম্মাকে দেওয়া কথা আমি রাখবো সোনা। আমি তোমার মা হবো। তোমার নিজের মা।”
…
-“অন্ধকার একটা ঘরের মধ্যে ভ্যাপসা গন্ধ নাকে এসে বিঁধছে রায়হানের। মাথাটাও ঝিমঝিম করছে। বুঝতে পারছে একটা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় পড়ে আছে সে। জায়গাটিতে আলোর পরিমান খুবই কম। রায়হান হালকা নড়েচড়ে উঠে বসলো। আবছা আলোতে তার পাশে পড়ে থাকা রাশেদ আর রাব্বিকেও দেখতে পেলো। হঠাৎ এমন পরিবেশে নিজেদেরকে আবিষ্কার করে বেশ ঘাবড়ে গেলো রায়হান। এখানে কিভাবে এলো কিছুই মনে করতে পারছে না।
রায়হান হুড়মুড় করে উঠে দাড়ালো। এখন মধ্যরাত সেটা বুঝতে পারলো। পেছন থেকে মানুষের কথার শব্দ আসতেই ঘুরে তাকালো রায়হান। রক্ত লাল চোখে দেয়াল ঘেঁষে বসে আছে রুশান। তার পাশে তনিমও আছে। হাতে থাকা ফোনে বেজে চলেছে একটি নিউজ।
“গভীর রাতে গার্ডে থাকা তিনজন পুলিশকে আহত করে পালিয়ে গেছে রাশেদ ও রায়হান নামক দু’জন সন্ত্রাসী।”
নিউজ শুনেই রায়হানের ঘাম ছুটে গেলো। রাগে তেড়ে এলো রুশানের দিকে। তনিম ছুটে গিয়ে একটা লাথি মেরে দিলো রায়হানকে। রায়হান দাড়াম করে পড়ে গেলো ফ্লোরে। শরীর দূর্বল থাকায় দ্বিতীয় বার উঠে আসার শক্তি পেলো না। কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
-“আমরা তো পালাইনি। এসব মিথ্যা খবর। তোরাই আমাদেরকে এনেছিস তাই না? ছাড়বো না তোদের।”
রুশান রহস্যময় হাঁসি হাসলো। ফিসফিস করে বললো,
-” ছাড়ার জন্য আগে বেঁচে থাকতে হবে তো।। আর এটা মিথ্যা খবর কিন্তু সকালে যে খবরটা বের হবে সেটা হবে টাটকা সত্যি একটা খবর।
‘নিষ্ঠুরতম যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু হয়েছে পালিয়ে যাওয়া দুই সন্ত্রাসী রায়হান ও রাশেদের। খোঁজ মেলেনি তাদের চাচাতো ভাই রাব্বির। ধারনা করা হচ্ছে , রাব্বিই তাদেরকে খুন করে পালিয়ে গেছে।’
ব্রেকিং নিউজটা আগে থেকেই শুনিয়ে দিলাম তোকে।”
চলবে………