চন্দ্রকিরণ পর্ব-১২

0
666

#চন্দ্রকিরণ
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:১২

জাহানের অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে। র*ক্ত পরিবর্তন করা শেষ। ইব্রাহিম খানের শ*ত্রুর অভাব নেই। একমাত্র মেয়ে উনার জীবন। পুলিশ কেস হয়েছে। তদন্ত চলছে। হাসপাতালের বাইরে এই নিয়ে আলোচনার মধ্যে আলেয়া মুখ খুঁললো,

> আমি সকালে দেখেছি বিলকিস কিছু একটা নিয়ে ভেতরে আসলো। আমার তখনই সন্দেহ হয়েছিল ওই মেয়েটার মধ্যে কিছু ঝামেলা আছে। আমার কথা কেউ শুনলোনা। জাহান নিজেও জানে।

আলেয়া নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পরলোনা ফুপিয়ে উঠলো। জাহানের সঙ্গে ওর আত্মার সম্পর্ক। ছোট থেকে বড় হওয়া। কতবার ঝগড়া হয়েছে। চুলোলুচি হয়েছে কিন্তু ভাব করতে সময় লাগেনি। জাহানের মন পবিত্র। মেয়েটা ভালোবেসে আগলে রাখতে জানে বিধায় কাছের মানুষগুলো ওকে এতোটা ভালোবাসে। আলেয়ার কথা শুনে ইব্রাহিম খানের চোখ লাল হয়ে উঠলো। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করলেন বাড়িতে। কিন্তু ভেজাল যা হবার হয়ে গেছে। বিলকিস নিখোঁজ। তাকে বাইরে যেতে কেউ দেখেনি আবার বাড়ির ভেতরেও নেই। ইব্রাহিম খান হুঙ্কার ছাড়লেন ওর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। পুলিশ বুঝতে পারলো কাজের মেয়েকে ধরলে সব সন্ধান পাওয়া যাবে। উনারা চলে গেলেন। আরিয়ান জাহানের হাত ধরে বসে আছে। যতবার চাইছে দূরে যেতে ততবার কিভাবে জানি কাছে চলে আসছে। ফিরোজকে দেখতে এসে যখন সিঁড়িতে জাহানকে ঢুলতে দেখেছিলো
তখন শরীরে প্রাণ ছাড়া হবার জোগাড়। এই মেয়ে বিপদ নিয়ে ঘুরে। ভয় নেই সামান্য পরিমাণ। এরকম হলে আরিয়ান হার্ট এ্যাটাক করে মরবে। বউয়ের পিছু গার্ডের মতো ঘুরতে হবে। কথাটা ভেবেই ও আনমনে জাহানের হাতের আঙুলে কয়েকটা চুমু বসিয়ে দিলো। পরক্ষণেই ভাবলো মেয়েটা জেগে থাকলে কি লজ্জা পেতো? মনে হয়না। যে মেয়ে নিজ থেকে বরকে চুমু অফার করে তার হয়তো লজ্জা টজ্জার ভয় নেই। কথাটা আনমনে বলেই ও হেসে ফেললো। ঠিক তখনই জাহানের জ্ঞান ফিরলো। বিড়বিড় করে বলল,

> আমার ঘুমের সুযোগ নিচ্ছেন? বর সাহেব প্রথম চুমু টাতো বরবাদ করে দিলেন?

আরিয়ান ভড়কে গেলো। মেয়ে সত্যি সাংঘাতিক। কোন সময়ে কি বলতে হয় জানে না। আরিয়ান চটপট হাত ছেড়ে দিয়ে বলল,

> আপনি এখন ঠিক আছেন? শরীর কেমন লাগছে? একটু সাবধানে থাকবেন না? টেনশনে মা*রা যাচ্ছি। খুব মজা লাগে সবাইকে এমন দৌড়ের উপরে রাখতে?

জাহান ফিসফিস করে বলল,

> একটু এগিয়ে আসুন। কানটা আমার মুখের কাছে নামিয়ে আনুন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলার আছে।

আরিয়ান ভ্রু কুচকে তাকালো। মাথা নিচু করে আনতেই জাহান পূণরায় বলল,

> আমি জানতাম আমার খাবারে বি*ষ মেশানো হয়েছে। কে করেছে সেটাও জানি। আমি চাইছিলাম এমনটা হোক। আমি মরতাম না। হাতে সময় ছিল।

আরিয়ানের হাতের মুঠো শক্ত হয়ে উঠলো। চোখ লাল হলো মূহুর্ত্তের মধ্যেই। এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে। এতগুলো মানুষের ভালোবাসার কোনো দাম নেই। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

> ফাজলামি পাইছেন? বেয়াদব মেয়ে। থাপ্পড় চিনেন? একটু সুস্থ হয়ে উঠুন তারপর হচ্ছে।

আরিয়ান ধুমধাম পা ফেলে বেরিয়ে গেলো কেবিন থেকে। জাহান হতবাক এই ছেলের রাগ দেখে। অসুস্থ মানুষের সঙ্গে এভাবে কথা বলা কি উচিত? মানবতার চরম অবক্ষয়।জানা ছিল কিন্তু মানতে পারলোনা। খানিকটা চিৎকার করে বলল,

> আমি অসুস্থ? আপনি যে ভুলভাল টেক্সট দিয়েছেন সেই বিষয়ে কি কিছু বলেছি আমি? রাগ আমারও আছে।

জাহান কথা শেষ করতে পারলোনা ইব্রাহিম খান ভেতরে আসলেন। লতিফা বানুর পেসার বেড়েছে তাকে পাশের কেবিনে রাখা হয়েছে। মেয়ের অবস্থা শুনে উনি জ্ঞান হারিয়েছিলেন। ইব্রাহিম খান মেয়ের কপালে চুমু দিয়ে বললেন,

> তুমি সুস্থ হলেই ওখানে পাঠিয়ে দিব। এখানে থাকলে আমি টেনশনে ম*রেই যাব। আমার মায়ের উপরে বদ নজর পড়েছে। আমি কতবার বললাম এসবে জড়িয়ে পড়োনা আমার কথা শুনলে না। তোমার মায়ের অবস্থা জানো? পাশের রুমে ভর্তি করেছি। এমনে চললে কিভাবে হবে আম্মা? আমার বয়স হচ্ছে। একটুতো বুঝবে? হার্ট নিতে পারছে না।

জাহান বাবার হাতটা ধরে অস্থির হয়ে উঠলো,

> আমি আম্মার কাছে যাব। আম্মাকে কেন বলেছ আমার কথা? আমি ঠিক আছি। তুমি এখুনি আম্মাকে এখানে আনার ব্যবস্থা করো। সবাই আমাকে রেখে চলে যাবার এতো তাড়া কেন বলবে? মা বোনের উপরে আমার দায়িত্ব আছে আব্বাজান। উনাদের আমি ফিরিয়ে আনতে পারবো না ঠিক কিন্তু অপরাধীর শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করতে পারবো। তুমি আমাকে সাহায্য করবে বলেছিলে মনে নেই?

> মনে আছে আম্মা কিন্তু এভাবে কেন? তোমার কিছু হলে আমরা বাঁচতাম বলো? কষ্ট হয়না?

জাহান ঠোঁট উল্টে বলল,
> আব্বাজান এমন আর হবে না। আপনি শান্ত হোন। সবাই আমাকে ফেলে চলে যাবার ধান্দা করছে। অথচ নিজের প্রিয়জনের জন্য তোমার জাহান সব পারবে।

ইব্রাহিম খান মেয়ের কপালে অধর ছুয়ে বলল,
> ঘুমাও। আমি বাইরে আছি। তোমার আম্মা ঘুমিয়ে আছে। উঠলে তোমার কাছে আসবে। ডাক্তার মানা করেছে ডাকতে।

জাহান মাথা নাড়িয়ে সাড়া দিলো। আরিয়ান রেগে চলে গেছে আর ফিরে আসেনি। জাহান চোখ খুলে রাখতে পারছে না। হয়তো ঘুমের ইনজেকশনের প্রভাবে। কয়েক মূহুর্ত্তের মধ্যেই ঘুমের দেশে তলিয়ে গেলো।
************
বর্ষাকালের মেঘে ঢাকা আকাশ। ফিসফিস করে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। জাহান হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছে। শরীর পুরোপুরি ঠিক হয়নি । তবে ভালো দিক হচ্ছে বিছানায় শুয়ে বসে বিশ্রামের জন্য পায়ের ক্ষতটা ঠিক হয়েছে।

শুক্রবারের দিন। সেইযে আরিয়ান রাগ দেখিয়ে গিয়েছিল আর ওকে দেখতে আসতেনি। আসেনি বললে ভুল হবে। বাইরে থেকে খোঁজ নিয়েছে। হাসপাতাল থেকে আসার দিন যাবতীয় ঝামেলা সবটা সামলেছে কিন্তু জাহানের সম্মুখে আসেনি। এই ছেলের এতো রাগ কোথা থেকে আসে কে জানে। জাহান ড্রয়িং রুমের সোফায় আয়েশ করে টিভি দেখছিলো এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো। আলেয়া গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে মৃদু কণ্ঠে চিৎকার করে উঠলো। জাহান সেদিকে চেয়ে অবাক হলো। ফিরোজ হাত পায়ে ক্ষতচিহ্ন নিয়ে হাজির। মুখে ঘুসির চিহ্ন ফুটে আছে। ঠোঁটের খোনা থেকে র*ক্ত গড়িয়ে পড়ছে। গায়ে অর্ধ ছেড়া সার্ট আর ধুলোবালিতে মাখামাখি প্যান্ট। কি ভয়ংকর দৃশ্য। ছেলেটা হেলতে দুলতে এসে ধপ করে জাহানের পাশে বসে পড়লো। জোর করে দাঁত বের করে হেসে বলল,

> কেমন আছো? ভাই থাকতে বোনের সঙ্গে বারবার অন্যায় হচ্ছে অথচ কিছুই করতে পারছি না। কতটা অপদার্থ ভাবো?

জাহানের বিস্ময় কাটছে না। ও ভয়ে ভয়ে বলল,

> ভাইজান আপনার এই অবস্থা কেন? আল্লাহ কার সঙ্গে ঝামেলা করেছেন?

জাহানকে উত্তেজিত দেখে ফিরোজ হাসলো। বোনেরা তো এমনিই হয়। ভাইদের জন্য সব সময় মন পোড়ে।

> মারা*মারি করেছি। আমি যতটা মার খেয়েছি তার অধিক ফিরিয়ে দিয়েছি কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে অন্য। আমি বউ নিতে এসেছি। বউ না দিলে ডাক্তার দেখাবোনা, ভাত খাব না। সেদিন বলেছিলাম শুক্রবারে বউ নিতে আসবো তোমার বাবা রাজি হয়ে এখন পাল্টি খাচ্ছেন। আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গুড়িয়ে গেছে। একদিন বউ ছাড়া থাকার মতো অবস্থা আমার নেই। এই যে মারা*মারি করে আহত হয়েছি বউ সেবা যত্ন দিয়ে সুস্থ করে তুলবে। এটা আমার অনেক দিনের সখ। কাজি সাহেব উকিল বাবা বাইরে রাস্তায় বৃষ্টির মধ্যে ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে আছে। অনুমতি পেলেই ওরা ভেতরে আসবে। উকিল নিয়ে চিন্তা নেই। আমি মসজিদের সিসি ক্যামেরা দেখে তবেই আসলে নামাজি লোককে ধরে এনেছি। টানা একচল্লিশ দিন তো ছাড় ভদ্রলোক কয়েক বছরে নামাজ বন্ধ করেনি। বুঝলে বিয়ে নিয়ে আমি কোনো রিস্ক নিতে চাইছি না। আল্লাহ রহমত না পেয়ে যদি তোমার বোনের মন আমার উপর থেকে উঠে যায়? না না ওসব হচ্ছে না।

ফিরোজ এক টানা কথা বলতে গিয়ে হাপিয়ে উঠেছে। বেচারা কাঁটা ঠোঁট নাড়িয়ে কথা বলতে পারছে না তবুও শুনছে না। হাতের আঙুল থেকে র*ক্ত ঝরছে। জাহান ওর কথা শুনে হতভম্ভ। ভাবলো মা*র খেয়ে কি ফিরোজ ভাইজানের মাথা খারাপ হয়ে গেলো।? জাহান কিছু বলতে চাইলো তার আগেই আলেয়া হুঙ্কার ছাড়লো,

> আপনি ডাক্তার না দেখালে, ভাত না খেলে আমাদের কি? ফুপা মানা করেছে মানে আপনার সঙ্গে আপার বিয়েটা হচ্ছে না। নিরু আপা ডাক্তারি পড়ছে আপনার মতো পাতি নেতার সঙ্গে কি হিসেবে সুখী থাকবে শুনি? চৌধুরী বাড়ির হাবলা বাদর।

> তোমার আপাকে সুখী রাখার মতো যথেষ্ট ভালোবাসা আমার বুকের মধ্যে মজুত আছে। যাইহোক আলেয়া তুমি কি সব সময় ঝগড়ার মুডে থাকো? বাদ দাও না আজকের মতো। বুঝতেই তো পারছো শুভ কাজ করতে এসেছি। তুমি অশুভ কথাবার্তা বলে যাত্রা নষ্ট করছো। আমি তোমার বরের মতো কেবলা না যখন তখন রাগ উঠে যায়।

ফিরোজের কথা শুনে আলেয়া তেতে উঠলো। মেজাজ গেলো বিগড়ে। চিৎকার চেচামেচি করে নিহারিকাকে ডেকে বলল,

> আপা কোথায় তুমি? তুমি এই বেয়া*দব লোকটাকে কিছুতেই বিয়ে করবা না। চৌধুরী বাড়ির হুতুম পেঁচা। ওই বাড়ির সবগুলো এক।

জাহান মহা বিরক্ত। এই আলেয়ার লাগাম ছাড়া কথাবার্তা এখুনি থামানো উচিত,
> আলেয়া তুই থাক। ভাইজান বলুনতো মাথা সত্যি ঠিক আছে? কি বলছেন এসব? আব্বাজান ওই বাড়িতে আপাকে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। তাছাড়া এতো তাড়াহুড়ো কিসের? এক বছর পর আপার পড়াশোনা শেষ হলে তখন অনুষ্ঠান করবেন বলেছে।

ফিরোজ থমকে গেলো। এক বছর বউ ছাড়া থাকতে হবে, পাগল নাকি? ও ছটফট করে বলল,

> আঙ্কেল কোথায়? এক বছর কেন আমি এক সেকেন্ড পযর্ন্ত লেট করতে রাজি না। বউ ছাড়া এই বাড়ি ছেড়ে আমি নড়ছি না। নিরু কথায়? এই নিরু তুমি কোথায়?

জাহান ঢোক গিলে এদিন ওদিক চেয়ে নিজেকে প্রস্তুত করলো। তখনই ইব্রাহিম খান স্ত্রী বোন আর আরুকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন। আলেয়া ওদের কিছু বলার আগেই বলল,

> ফুপা ফিরোজ ভাইজান বায়না ধরেছে বউ না দিলে ডাক্তার দেখাবেনা। ভাতও খাবেনা। বাইরে কাজি আর উকিল কে রেখে এসেছে।

ইব্রাহিম খান বেশ অবাক হলেন ফিরোজের পাগলামি দেখে। ওর বাইরে বেশ সুনাম আছে। তাছাড়া বুদ্ধিমান ছেলে হিসেবে রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। আর এই ছেলে বউয়ের জন্য পাগলামি করছে মানা যায়? উনি হেসে উঠে বললেন,
> তোমার বউ তুমি নিয়ে যাবে এতে আমার কি? কিন্তু ওই বাড়িতে গিয়ে আমার মেয়েটা যদি দুঃখ পাই তখন? তুমি এসেছো আমি ফিরিয়ে দিচ্ছি না। কাগজে কলমে বিয়ে যখন হয়েছে তখন ধর্মীয় রীতি মেনেও হবে। তবে বউ নিয়ে তুমি চৌধুরী বাড়িতে উঠতে পারবে না। এক বছর ও এই বাড়িতেই থাকবে। তুমি যখন ইচ্ছে আসতে পারো ওকে নিয়ে যেতে পারো তবে একেবারের জন্য না।

ইব্রাহিম খানের প্রস্তাবে ফিরোজ মাথা নাড়ালো। বিষয়টা খারাপ না। বরং ভালো। পকেট থেকে ফোন বের করে কাজী সাহেবকে ফোন করতেই উনি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসলো। নীরুকে সাজানো গোছানো হলোনা। বাড়িতে পরা সাধারণ থ্রিপিচ পরেই কবুল বললো। ফিরোজের অবস্থা আরও বাজে। ইব্রাহিম খান কতবার বললেন ফ্রেস হয়ে নতুন কাপড় পরতে কিন্তু ও পাত্তা দিলোনা। একবারে কবুল বলে তবে নীরুকে বলল,
> বউ আমার, এবার স্বামীর প্রতি কর্তব্য পালন করো। গায়ে প্রচুর ব্যথা। ওষুধ লাগিয়ে দাও।

নীরু লজ্জা পাচ্ছে কিন্তু লোকটার এমন অবস্থায় চুপ থাকতে পারলোনা। তাড়াতাড়ি ঔষধ নিয়ে ছুটলো।
**********
বন্ধ কক্ষে বিলকিসের সামনে বসে আছে জাহান। মেয়েটা এতো বছরের বিশ্বাস ভরসা সবটা কেমন গুড়িয়ে দিয়েছে। কার কথায় এহেন কাজটা করল ওর বিবেকে একটুও বাঁধলোনা? জাহান মৃদু কণ্ঠে বলল,

> বিলু সত্যিইটা বলো নয়তো কিন্তু আমার হাত উঠে যাবে। ওই ছেলেটা কে ছিল? ও কিসের ওষুধ তোমার হাতে দিয়েছিল? সত্যি বলো ক্ষমা করবো।
বিলকিস চোখের পানি মুছে বলল,
> আপা ওরে আমি চিনি না বিশ্বাস করেন। রাস্তায় দেখা হলো তখন কি জানি ওষুধ দিয়ে বলল ওটা তোমাকে দিতে।
জাহান মুখ খোলার আগেই ওর ফোনে একটা ভিডিও আসলো। সেদিনের সেই ছেলেটা যার মুখ দেখে ও চমকে উঠলো।।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে