#ঘেউলের_সংসার
৪র্থ এবং শেষ পর্ব
তারা দুজন মেতে আছে পৈশাচিক কাণ্ডে। আমি ধীরে ধীরে সেই ঘর থেকে বের হয়ে নিজের ঘরে চলে এলাম। বাইরে থেকে বাবা আর মায়ের উল্লাসের শব্দ কানে ভেসে আসছে। জুঁইয়ের করুণ পরিণতির কথা ভাবতেই আমার কান্না পেতে লাগলো। তখনই সেই অদৃশ্য নারী কন্ঠস্বরটা উদয় হলো আমার পেছন থেকে আবার, ‘ভয় নেই খোকা, দুঃখ করো না। সাহস রাখো। ভয়ানক সেই রাত এসে হাজির হয়েছে তোমার জীবনে। বাঁচা-মরার রাত। এটাকে মোকাবেলা করতে হবে তোমাকেই।’
আমি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললাম, ‘আমার যে কী ভয় লাগছিল! আমি ভেবেছিলাম তুমি আর ফিরে আসবে না!’
‘এটা কী হয় খোকা! এতগুলো বছর ধরে অতৃপ্ত থেকে অপেক্ষা করে গেছি এই রাতটার। আজ রাতেই উপযুক্ত সময় তোমার বাবা-মা রুপি শয়তান ঘেউল দুটোকে চিরদিনের জন্য ধ্বংস করে দেয়ার। এরপর তোমাকে আর কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তুমিই হবে তোমার নিয়ন্ত্রক!’
আমি গলা সামান্য খাটো করে জিজ্ঞেস করলাম, ‘
তুমি যে বলেছিলে আমি কথা বলতে পারি এটা জানলেই তারা আমাকে খুন করে ফেলবে! কিন্তু কেন করবে ওরা এটা? আমার সাহায্য ছাড়া ওরা ঘেউলের জগতে ফিরে যেতে পারবে না! তবে তারা আমাকে হত্যা করবে কেন?
‘এটা ঠিক খোকা! মানুষের আহ্বানে তারা এই জগতে এসেছিল। এবং মানুষের যে কিনা অর্ধেক মানুষ এবং অর্ধেক ঘেউল তার মাধ্যমেই এই জগৎ থেকে বিদায় নিতে পারবে তারা। কিন্তু তাদেরকে তাদের জগতে ফিরে যেতে তোমার মুখ থেকে উচ্চারিত মন্ত্রই যথেষ্ট নয়। এর জন্য দরকার তাদের নিজের সন্তান অর্থাৎ তোমার রক্ত! হ্যা, ওরাও এই রাতটার জন্যই অপেক্ষা করছিল। এখন শেষ বারের মতো কোনো একটা মানব সন্তানের মাংস আর রক্ত খাচ্ছে। তোমার রক্ত বা মাংস তারা খেতে পারবে না এর জন্য। মেয়েটাকে খাওয়া শেষে তোমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে উচ্চারণ করাবে সেই বিতাড়িত করার মন্ত্র। যা তাদের দুজনের কাছে সংরক্ষণ করা আছে। তারপর তোমাকে সেই মোমবাতি গুলোর মাঝে রেখে হত্যা করবে। তোমার রক্তের স্পর্শই এই জগৎ থেকে তাদের মুক্তি দেবে। এই জগৎ থেকে বিলীন হয়ে যাবে তোমরা তিনজনে। তবে তুমি যদি তাদের কথামতো মন্ত্রগুলো উচ্চারণ না করো তাহলে তোমাকে ওরা কিছুই করতে পারবে না। হয়তো কিছুটা বেশি অত্যাচার করবে তোমার উপর। তুমি যতক্ষণ পর্যন্ত মন্ত্র উচ্চারণ না করছো তোমার জীবন তাদের কাছে মূল্যবান। তুমি বেঁচে থাকবে।
‘কিন্তু তাতে কী লাভ? হয়তো আমি বেঁচে থাকবো কিন্তু আমার বাবা-মা অর্থ্যাৎ দুজন ঘেউল তারাও তো এই জগতে আটকে থাকবে, তারা আটকে থাকলে তাদের ক্ষুধার তাড়নায় মারা যাবে আরও শত শত মানুষ। আমার আরও অনেক আগেই ওদের জানানো উচিত ছিল আমি কথা বলতে পারি। তাহলে এতদিনে ওরা থাকতো অন্য জগতে। হয়তো আমি মারা যেতাম। কিন্তু বেঁচে যেত অনেক নিরপরাধ মানুষ!’ বললাম আমি বিনয়ের সাথে।
‘বাহ, খোকা! এই দুজন পিশাচের মাঝে থেকেও তোমার বয়সের তুলনায় তোমার মনুষ্যত্ববোধ সুন্দর বিস্তীত। কিন্তু ভেবে দেখ এত সহজেই এদেরকে মুক্তি পেতে দেবে তুমি? এরা এই জগতে অন্যায় ভাবে প্রবেশ করে কত নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে ক্ষুধার তাড়নায়! জুঁই এবং অন্য কাজের মেয়েগুলোর কথা ভাবো। বাইরে থেকেও প্রায়ই মানুষকে বোকা বানিয়ে সন্ধ্যার পর এই বাড়িতে নিয়ে আসতো তারা। তুমি তখন ঘরে বন্ধি থাকতে। মনে পড়ে বাইরে থেকে ভেসে আসা তোমার বাবা-মায়ের পৈশাচিক হাসির কথা! হাড় চিবানোর শব্দ। ওরা যদি আমার শরীর আর তোমার বাবার শরীর দখল করে না নিত তবে আজ আমি আর একজন তোমার মতোই বিনয়ী, মানবিক চিন্তাশীল পুরুষ হতো তোমার বাবা-মা। এর আগেও কত নিষ্পাপ মানুষকে হত্যা করে এই পর্যন্ত টিকে আছে তারা।
সব কিছু থেকে বঞ্চিত করেছে তারা তোমাকে। আমাদের শরীর দখল করে তারা করে গেছে পৈশাচিক সব কাজ। তোমার কী মনে পড়ে না তোমার সঙ্গে কী নিষ্ঠুর ব্যবহার করে গেছে তারা! তোমার বাবা-মা যতটা না ওই ঘেউল দুটো তার চেয়ে বেশি আমি! আমি তোমাকে ভালোবাসি খোকা। তুমি কেন তোমার এত সুন্দর জীবনটাকেশয়তান ঘেউল দুটোর জন্য উৎসর্গ করবে!’
দীর্ঘশ্বাস ফেললাম আমি। এবং বুঝতে পারলাম বাবা আর মায়ের প্রতি কতটা রেগে রয়েছি আমি। আমার সঙ্গে করা বাবার সমস্ত নিষ্ঠুরতা গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো। জুঁই সহ, সেই মেয়েটার খণ্ডিত লাশ, বীভৎসতা সব! এই অদৃশ্য নারী কণ্ঠস্বরের প্রতি কেন আমার এত টান, বিশ্বাস আর ভালোবাসা তাও অনুমান করতে পারছি। সেই আমার প্রকৃত মা। আমার একমাত্র শুভাকাঙ্খী এই জগতে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী করতে হবে তাহলে আমার এখন? এই বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোনো পথ নেই! আর বের হলেও এই দুজনকে আমি ধ্বংস করবো কী করে! আমি বেঁচে গেলেও তারা যে তাদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করবে না! আর এই বাড়ির বাইরে যেতে যে তুমিই আমাকে নিষেধ করেছিলে, কারণ এই বাড়ির বাইরে তুমি আমার সাথে যেতে পারবে না!’
‘পরিস্থিতি এখন বদলে গেছে খোকা। তোমার জন্য এই ঘরের চাইতে বাইরের জগৎটাই বেশি নিরাপদ। আজ রাতে তুমি ধ্বংস করবে তোমার মা-বাবা রুপি এই দুজন ঘেউলকে। নিশ্চিন্ন করে দেবে ঘেউল এবং মানুষ দুই দুনিয়া থেকে তাদের! এরপরেই তো তোমার মুক্তি!’
‘কিন্তু তা কিভাবে সম্ভব?’ বিস্মিত হলাম আমি।
‘শোনো তাহলে।’
অদৃশ্য নারী কণ্ঠস্বরটা এমন কিছু কথা বলল আমাকে শিউরে উঠলাম আমি। এটা কী আধো সম্ভব! আমি কী সময় মতো কাজটা করতে পারবো! কাজটা করতে পারলে তবেই পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়ে যাবে এই দুটি অপশক্তি এবং আমিও বেঁচে থাকবো। কাজটা করতে না পারলেও আফসোস করার কিছু থাকবে না নিজের জন্য। হয়তো আমি মারা যাব তবে আমার মৃত্যুর সাথে এই পৃথিবী থেকে উধাও হয়ে যাবে দুজন অভিশপ্ত পিশাচও তাদের জগতে। বন্ধ হবে নিরপরাধ মানুষ হত্যা। কিন্তু খারাপ লাগবে শুধু অদৃশ্য এই নারীটির জন্য। যে কিনা মৃত্যুর পর দীর্ঘ দিন আমার সঙ্গে থেকে গেছে আমাকে বাঁচানোর জন্য। আমার প্রকৃত মা। তার প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়ে যাবে। ঘেউল গুলোও পাবে না তাদের কর্মের শাস্তি। না কাজটা ঠিক ভাবে করতেই হবে আমাকে। হঠাৎ অদৃশ্য কণ্ঠস্বরটার অস্তিত্ব উধাও হয়ে গেল ঘরটা থেকে।
তখনই দরজার সামনে উপস্থিতি টের পেলাম দুজনের। বাবা আর মা এসে দাঁড়িয়েছেন। রক্তে গোসল হয়ে গেছে দুজনেই। আমার সামনে এসে একটা কাগজ আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। এরপর হাটুগেড়ে বসে পড়লো দুজনেই আমার সামনে। মাথা নত করে একসঙ্গে দুজনে বলে উঠল, ‘আশীর্বাদ করুণ প্রভু! দীর্ঘদিন এই জঘন্য মানুষের দুনিয়ায় পার করেছি আমরা। জন্ম দিয়েছি আপনাকে। বিতাড়িত করুন আমাদের এই জগৎ থেকে এই অপবিত্র রাতে। চলুন আমাদের সাথে ওই ঘরে। উচ্চারণ করুন সেই মন্ত্র!’ এই বলেই তারা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে শব্দ করে হাসতে লাগলো। উন্মাদ হয়ে গেছে যেন দুজনে। আমার শরীর গুলিয়ে উঠছে। নিজেকে শান্ত রাখতে পারছি না উত্তেজনায়। অদ্ভুত কাগজটা মেলে ধরলাম চোখের সামনে। এক অদ্ভুত ভাষায় কিছু একটা লেখা রয়েছে ওটায়। কিন্তু লেখাটা আমি পড়তে পারছি এবং আশ্চর্য্য লেখাটায় কী বলা হয়েছে তাও আমি বুঝতে পারছি। এ যেন আমার খুব চেনা কোনো একটা ভাষা। পরিকল্পনা মতো তারা যা বলবে তাই করতে হবে আমাকে।
ধীরে ধীরে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে বাবা আর মায়ের ঘরে গিয়ে হাজির হলাম। তারাও এসেছে আমার পিছু পিছু। জুঁইয়ের শরীরের অবশিষ্ট হাড়গোড় আর রক্তে ভিজে আছে পুরো ঘর। গা গুলিয়ে বমি আসতে চাইলো আমার। কথামতো মোমবাতি গুলোর মাঝখানে বসে পড়লাম। মা আমার সামনে আর বাবা পেছনে বসলেন। দুজনের চোখ-মুখই আনন্দে আর উত্তেজনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আবার কেমন একটা বিষাদও ভর করলো ওদের মুখে। আমিও কাঁপছি। ঠোঁট যেন আঠার মতো লেগে আছে। সেই প্রতীক্ষিত সময় এসে গেছে। অদৃশ্য নারী কণ্ঠস্বরের পরিকল্পনাটা মনে করতে লাগলাম।
মানুষের পক্ষে ঘেউলকে হত্যা করা অসম্ভব। একটা ঘেউলকে হত্যা করতে পারে কেবল আরেকটা ঘেউল। দুজন মানুষের শরীর দখল করলেও মানুষের রক্ত আর মাংস ভক্ষণের মাধ্যমে আমার সামনে পেছনে বসে থাকা দুজনের শরীরই এখন ঘেউলের শরীরে রূপান্তরিত হয়েছে। তারাই কেবল এখন একে অপরকে হত্যা করতে পারবে। কাজটা ঘটবে কিভাবে, তাইতো! আমার হাতে যে মন্ত্রটি রয়েছে তা যদি উল্টো করে পড়ি এবং স্পর্শ করি আমার সামনে বসে থাকা মায়ের গলা তখন সাথে সাথেই শরীর থেকে ঘেউলটার আত্মা বেরিয়ে যাবে, সেখানে আশ্রয় নেবে মুহূর্তেই অদৃশ্য কণ্ঠস্বরের সেই নারীটি। হ্যা তখন সে নিয়ন্ত্রণ করবে ঘেউলটির শরীর, এরপর হত্যা করবে অপর ঘেউল অর্থাৎ বাবাকে। এরপর নিজেকে। এভাবেই ঘেউলদের সৃষ্ট ফাঁদে জড়িয়ে তারা দুজনই চিরো জীবনের জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে। বেঁচে থাকবো আমি!
বাবা আর মা দুজনেই উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছেন মুহূর্তটির জন্য। আমি কাগজটা তুলে নিয়ে দেরি না করে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে উচ্চারণ করলাম উল্টো মন্ত্রটি। মায়ের চোখদুটো বড় বড় হয়ে গেল। গগনবিদারী চিৎকার বেরিয়ে এলো সেই কণ্ঠ থেকে। বাবার প্রতিক্রিয়া পেছনে ঘুরে দেখার সময় পেলাম না। শুধু ক্রোধে ভরা একটা গোঙানি কানে এলো। সময় দিলাম না তাদের। সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে চেপে ধরলাম মায়ের গলা। নিস্তেজ হয়ে গেল তার শরীর। বাবা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে। স্তব্ধ হয়ে গেছে আমার এই কাজ দেখে। তারা ভাবতেও পারেনি এমনটা ঘটতে পারে। আমি লাফিয়ে ঘরের এক কোণে চলে গেলাম। তার ঠিক পরের মুহূর্তেই মায়ের নিস্তেজ শরীরে প্রাণ ফিরে এলো। কিন্তু তার দৃষ্টিতে আমার দিকে কোনো ক্রোধ নেই। সমস্ত ক্রোধ বর্ষণ করছেন তিনি বাবার দিকে। বুঝলাম কাজ হয়ে গেছে। অদৃশ্য সেই কণ্ঠস্বরের নারীটি ভর করেছে তার ভেতর। আমাকে হত্যার দায়িত্বটা মাকেই দিয়েছিলেন বাবা। মা তার কোমরের কাছ থেকে ধারালো ছুরিটা বের করলেন। বাবা বুঝে উঠার আগেই ছুটে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবার উপরে।
বাবা প্রতিরক্ষা করার সুযোগ পেলেন না নিজের। ছুরিটা তার গলায় গেঁথে গেল। ছুরির এক টানে তার গলনালি ছিড়ে বাইরে বেরিয়ে এলো। ছিটকে বের হতে লাগলো রক্ত। ক্ষোভের সঙ্গেই চিৎকার করলেন মা। এরপর ঘুরলেন আমার দিকে। ভয়ে আমি থরথর করে কাঁপছি। মায়ের রক্ত মাখা মুখে মায়াবী হাসি ফুটে উঠল। ছুরিটা ফেলে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন আমাকে। ফুঁপিয়ে উঠে বললেন, ‘এই দিনটা! এটার জন্য অপেক্ষা করে গেছি কতদিন আমি! অবশেষে! আমার খোকা!’ আমিও শক্ত করে চেপে ধরলাম তাকে। মনে হলো আমার জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষটাকে পেয়ে গেছি আমি। বললাম, ‘মা!’
হঠাৎই আলগা করে দিলেন তিনি আমাকে। কাঁদো কণ্ঠে বললেন, ‘এবার আমার পালা খোকা। যত দ্রুত সম্ভব আমাকে মরতে হবে না হলে নারী ঘেউলটা যাকে তুমি মা ডাকো সে আবার দখল নিতে চাইবে শরীরটা। হ্যা, তোমাকে আগে বলিনি , এই দুটো ঘেউলের সঙ্গে ধ্বংস হয়ে যাব আমিও। কিন্তু তুমি এখন থেকে মুক্ত। এই বাড়ির বাইরে যাবে তুমি। মানুষের জগৎটা যে কত সুন্দর দেখতে পাবে, নিজের উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে চলো। একটা আশ্রয় তুমি পেয়ে যাবে। আর ভুলে থাকার চেষ্টা করো নিজের শৈশবের এসব স্মৃতি।’
এক মুহূর্তে আমার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। কান্নায় ভেঙে পড়লাম। এক মুহূর্তের জন্য মাকে পেয়ে আবার এত দ্রুত হারাতে হবে মানতেই পারছি না। মা শেষবারের মতো আমাকে জড়িয়ে ধরলেন, ‘খোকা তুমি মানুষ এবং ঘেউল দুটোর মিশ্রনে সৃষ্টি। তুমি যেমন মানুষ পুত্র, তেমন ঘেউল পুত্রও। নিজের মানুষ ব্যক্তিত্বকে শক্তিশালী করো, মানবিক হয়ো। কারণ একটা বয়স যখন পার করবে তুমি তোমার ভেতর দুটো স্বত্তার সৃষ্টি হবে। ঘেউলদের পৈশাচিকতা, রক্ত তৃষ্ণা, ক্ষমতা তোমার ভেতর থেকে জেগে উঠবে। ওটাকে কিছুতেই আটকানো যাবে না। ঘেউলের পুত্র করে তুলো না নিজেকে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করো!’
আমি অসহায় ভাবে দাড়িয়ে রইলাম। মা ছুরিটা তুলে নিয়ে নিশ্চিত করলেন নিজের মৃত্যু। তার সেই মৃত্যু চিৎকারে কেঁপে উঠল আমার সমস্ত হৃদয়,মন,শরীর!
.
.
• * * * সমাপ্ত * * *
.
.
লেখা: #Masud_Rana