#গোলকধাঁধা
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব -৯
পরদিন সিরাতদের বাড়ি থেকেই প্রত্যয় ভার্সিটিতে চলে গেলো। এরপর চেলাপালা, ছাত্র-ছাত্রীদের সকলকে ডেকে বললো আজ থেকে হট্টগোল, মারধর এগুলো ভার্সিটি এরিয়াতে বন্ধ। তবে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য একটুও অনুতপ্ত না ও। কেননা প্রত্যয়ের মতে ও কোনো ভুল করেনি। উল্টো যারা ভুল করেছে তাদের শাস্তি দিয়েছে৷ তবে একেবারেই যে ওর প্রভাব কমে যাবে তা নয়, অকাজ করলে অবশ্যই তাকে শাসন করা হবে। কিন্তু যেটাই হোক, শিক্ষার্থীরা বেশ অবাক হলেও স্বস্তি পেলো, দুশ্চিন্তামুক্ত হলো। এত নাটকীয়কতা করেও যে এসব করা থেকে বিরত থাকেনি, তার হঠাৎ আজ কি হলো! তবে সবকিছু ছাপিয়ে অনেকেরই প্রশংসায় ভরিয়ে দিলো
প্রত্যয়কে। ব্যাপারগুলো উপভোগ করলো ও।
এতদিন সকলের চোখে কেমন আতঙ্ক লেগে থাকতো ওকে দেখলেই, কিন্তু আজ সেটা নেই। সবার দৃষ্টিতেই কেমন নমনীয়তা মিশে আছে। অন্তু আর মুহিব বন্ধুর ওপর মজাও করলো কিছুক্ষণ! প্রত্যয় বিনিময়ে মুচকি হাসলো। ওর মনের মধ্যে শুধুমাত্র সিরাতের মুখটাই উঁকি দিচ্ছে! মেয়েটার প্রতি দিনদিন কেমন ভালো
লাগা অনুভব করছে সে, ওর কথাগুলো ফেলতে পারছে না। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চিন্তার জগৎ থেকে
বেরিয়ে সে বয়রাকে ডেকে বললো গরম এক কাপ
চা দিতে। চা’য়ে চুমুক বসাতে বসাতে সে আবারও হারিয়ে গেলো ভাবনার জগতে!
রাহী ফোন করে সিরাতকে বলল,
‘তোর জামাই’য়ের কি হইসে বল তো? এত বদলাই গেসে হঠাৎ! কাহিনী কি?’
সিরাত ঘুমিয়ে ছিলো। ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো।
মস্তিষ্ক ফাঁকা। প্রত্যয়ের ব্যাপারে কথা শুনে কান খাড়া করে জিজ্ঞেস করলো,
‘কি হয়েছে? আবার কি করেছে?’
‘কেন তুই জানিস না?’
সিরাতের মেজাজ খারাপ হলো,
‘দেখ, ভনিতা না করে বল আবার কি করেছে?
আমাকে মনে হয় কোনোদিন আর শান্তি দেবে না এই লোক। জীবন শেষ আমার…’
ওপাশ থেকে রাহী হেসে বলল,
‘ধুর! তোর জামাই আই মিন দুলাভাই তো বিরাট কান্ড করসে। সব্বাইরে ডাইকা বইলা দিসে এই প্রাঙ্গণে হট্টগোল, মারধর করবেন না। তবে ভুল করলে অবশ্যই বড় ভাই হিসেবে শাসন করবেন।’
সিরাত অবাক হলো,
‘বলিস কী!’
‘এটাই তো ঘটেছে।’
‘আমার বিশ্বাস হয় না।’
‘ডিয়ার! এটাই তো হয়েছে। আমার কি মনে হয় জানিস?
‘কি?’
রাহী মজা করে বলল,
‘তুই কালকে ব্যথা পেলি না! সেজন্যই বোধহয়
ওনার খারাপ লেগেছে। শত হলেও বউ বলে কথা!
মনে হয় তোরে মনে মনে পছন্দ করে।’
সিরাত ধমক দিয়ে বলল,
‘মজা পেলাম।’
রাহী বলল,
‘এখন তো এসবই বলবা! তুমি নিজেও যে ফিদা
সেটাও বোঝা যায়।’
সিরাত থতমত খেয়ে বলল,
‘মানে? কেমনে বোঝা যায়?’
‘এমনে এমনেই। তোমার হাবভাবেই বোঝা যায়। এতদিন হইসে বিয়ের, আমরা বুঝি না ভাবছো? কি দিয়ে দুলাভাইকে বশ করলা বলো তো?’
‘ছি ছি। ফোন রাখ।’
রাহী হাসতে হাসতে বলল,
‘হ হ। এখন গর্তে মুখ লুকাই বইসা থাকো।
আমরা কচি খুকি না। জামাইর নামে আন্দোলন
কইরা এখন তার প্রেমে কেমনে হাবুডুবু খাও, সবই স্বচক্ষে দেখা যায়।’
সিরাত ফোন কেটে দিলো। অজানা কারণেই লজ্জায় আচ্ছন্ন হলো মন। সত্যিই কি ওর মুখ দেখে বোঝা যায় নাকি? এমন সময় মিনারার ডাক শোনা গেলো দরজা থেকে। নাস্তা করতে ডাকছেন। সিরাত কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থেকে নাস্তা করার জন্য ওঠলো। সারাটা
দিন একপ্রকার ঘোরে ঘোরেই কেটে গেলো। ভাবেনি প্রত্যয় সত্যিকার অর্থেই নিজের কথা রাখবে। এতদিন এতকিছু করেও যার এসব কাজ বন্ধ করা গেলো না, সেখানে সিরাতের ঘৃণিত চাহনি নিতে না পেরে প্রত্যয় চৌধুরী তার অত্যাচার বন্ধ করে দেবে। এটা ওর কাছে প্রচন্ড বিস্ময়ের ব্যাপার হয়ে রইলো! তবে মনে
মনে খুশি হলো, স্বস্তি পেলো।
প্রত্যয় রাতে এলো ওদের বাড়ি । মিনারা মেয়ে জামাইয়ের জন্য নিজের হাতে নানা পদের খাবার তৈরি করলেন। খাবার খেতে খেতে শিমুল সাহেবের সাথে বসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করলো কিছুক্ষণ। সিরাত আশেপাশে ঘুরঘুর করছে, কিন্তু কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না। অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়া শেষে ক্লান্ত হয়ে রুমে এলো প্রত্যয়। সিরাত পানির গ্লাস এগিয়ে দিলে তা ঢকঢক করে খেলো। নিজের কথা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানালো। ওর সব কাজ সিরাত উৎফুল্ল মনে করে দিলো। প্রত্যয় বসে বসে শুধু দেখছে। মাঝেমধ্যে বিরক্তও হচ্ছে সিরাতের কান্ড দেখে। এত ঢঙের কি আছে সেটাই বুঝতে পারছে না! একপর্যায়ে ধমক দিয়ে বলল,
‘এত আদিক্ষেতার কারণ নেই। আহ্লাদীপনা বন্ধ করো। বাড়ি ফিরলে না কেন? আমি তো সকালেই বলে গেছিলাম!’
সিরাত অবাক হয়ে বলল,
‘ওমা! এতদিন পর বাড়ি এসে দু’দিনও থাকবো না? তা হয় নাকি? তাছাড়া আপনিও জামাই আদর পাননি। সময়টা উপভোগ করুন।’
‘তুমি জানো না আমার নিজের বিছানা ছাড়া ঘুম
হয় না?’
সিরাত ব্যস্ত গলায় বলল,
‘জানি। কিন্তু সবসময়, সব পরিস্থিতিতে তো আপনার বিছানা আপনার সঙ্গী হবে না। তাই যে সঙ্গী হবে তার ভালো-মন্দেও এবার একটু গুরুত্ব দিন।’
প্রত্যয় ভ্রু উঁচিয়ে তাকালো। মুচকি হেসে এক টানে কাছে এনে নিজের নাক ঘষলো ওর গলায়।
অস্ফুটস্বরে বলল,
‘দিচ্ছি বলেই তো এখানে এসেছি।’
সিরাত ভড়কে গেলো। ইতস্তত করে বলল,
‘কীভাবে?’
‘বিছানা-সঙ্গী কোনোটা ছাড়াই ঘুম আসে না।
সেজন্যই তো হাত-পা ব্যথা নিয়েও পড়ে আছি
এখানে। নাও, পা-গুলো মালিশ করে দাও।’
বলে ঠাস করে ছেড়ে দিলো ওকে। সিরাত মেঝেতে পড়ে গেলো। আচমকা এমন কান্ডে রাগ হলো ওর।
ওঠে কাপড় ঝাড়তে ঝাড়তে বলল,
‘ভেবেছিলাম ভালো হয়ে গেছেন…’
প্রত্যয় ভ্রু উঁচিয়ে হাসলো,
‘ভালো হলে কি হতো?’
‘ছাই হতো।’
প্রত্যয় গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
‘কাল কিন্তু সকালেই বেরুবো, তোমায় বাড়ি দিয়ে
আমি কাজে যাবো।’
‘আপনার কাজ মানে কতগুলো উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলেপেলে দু’পাশে নিয়ে দাপিয়ে বেড়া। যত্তসব…!’
সিরাত রাগে গজগজ করতে করতে ঘর থেকে
বেরিয়ে গেলো। প্রত্যয় বিছানায় শুয়ে হাসতে
লাগলো। মেয়েটাকে রাগাতে ওর বড্ড শান্তি লাগে। চোখ রাঙিয়ে তাকালে ইচ্ছে করে চোখের পাতায়
চুমু খেতে। সিরাত ঘরে ফিরলো বেশ কিছুক্ষণ পর।
গোমড়া মুখ করে কিছু না বলে বিছানায় অন্যদিকে
মুখ করে শুয়ে পড়লো। প্রত্যয় পেছন থেকে ভ্রু
কুঁচকে তাকিয়ে রইলো। কিছুক্ষণ পর সিরাত নিজের উদরে ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেলো। তৎক্ষনাৎ শিরদাঁড়া বেয়ে শিহরণ বয়ে গেলো। গলা শুকিয়ে এলো।
মিনমিন করে বলল,
‘অসভ্য!’
প্রত্যয় ওর গালে চুমু খেয়ে নাক ঘষতে
ঘষতে ফিসফিস করে বলল,
‘সভ্য হতে চাই…’
সিরাত স্তম্ভিত! শরীর কাঁপছে ওর। মস্তিষ্কে জেঁকে বসলো নানান কিছু। প্রত্যয় বিবশ চোখে চেয়ে রইলো। মনের মধ্যে কেমন এক ঝড় উল্টেপাল্টে দিতে লাগলো। সবকিছু ভীষণ অচেনা, তবুও যেন মনোমুগ্ধকর! এই শান্ত বাতাস,
এই রজনী, এই মুহূর্ত সবকিছুই যেন ভালো-লাগার উদ্বেগ বহন করে। দোটানা মনে ঠাঁই না দিয়ে এক
নতুন অনুভূতির সাথে যেন পরিচিত হলো দু’জনেই!
ভাবে নি, এই অনুভূতি ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে
সৃষ্টি করে দেবে ভালোবাসা!
_______________________________
শীত শেষে আরেক হেমন্তের শুরু। হলদেটে একটা ভাব মিশে থাকে প্রকৃতিতে। নীলাভ আকাশের বুকে ওড়ে চলা সাদাটে মেঘ মন ভালো করে দেয়। গাছপালা বাতাসে দোলে অন্যরকম সৌন্দর্য তৈরি করে চারপাশে। সিরাত জানালার গ্রিল ধরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় আছে তার মনে জায়গা দখল করা গুন্ডা’টির। জানে সে এত দ্রুত বাড়ি ফিরবে না, তবুও সে অপেক্ষমাণ! যে মানুষটাকে না দেখে থাকা যায় না, যার দূরে যাওয়া ব্যাকুল করে দেয় হৃদপিন্ড, যার চিন্তায় সর্বক্ষণ বিভোর হয়ে থাকে মস্তিষ্ক, যে না থাকলে চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার লাগে, বিষন্নতায় ছটফট করে মন! সেই মানুষটির জন্য সিরাত অনুভব করে ভালোবাসা। যেটা শুরু হয় তিক্ততা দিয়ে, সেটা একসময় ভালোলাগা হয়ে রুপ নেয় ভালোবাসায়। কখনো ভাবে নি এই মানুষটার প্রতি ওর এমন
অনুভূতি জাগ্রত হবে। এইযে এতকিছু করলো, এত
এত কাহিনী! সব জেনেও ওর মনটা প্রত্যয়ের মাঝেই কেমন করে আটকে গেছে। সেদিনের পর তো আরও!
স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্কে বাঁধা পড়লে শত্রু ও যে কাছের মানুষ হতে পারে ও কল্পনা করেনি কখনো!
তবে ইদানীং ওর অভিমান হয় মানুষটার ওপর। সামনে নির্বাচন, তাতে প্রচন্ড ব্যস্ত সে। রাতে এত দেরি করে বাড়ি ফেরায় ইচ্ছে হয় কটু কথা শোনাতে। কিন্তু সেই সুযোগ আর হয় না। প্রত্যয় ফিরতে ফিরতে সিরাত ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়। সকালে ওঠে যা একটু চোখের সামনে পায় তখন আর মন খুলে কিছু বলা
যায় না, নাস্তা করা, কাজ গোছানো, ভার্সিটি বা বাইরে যাওয়ার তাড়া থাকে। প্রত্যয়ের এমন অবহেলা সিরাত মনে জমিয়ে রাখে। যাওয়ার সময় লোকটা যখন কপালে বা গালে চুমু খেয়ে যায় তখন সেও কামড় বসায় ওর হাতে! তাতেও লোকটার কোনো হেলদোল নেই, হাসি-ঠাট্টা করে ওকে আধপাগল তকমা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সেজন্য সিরাত সারাদিন মুখ
গোমড়া করে থাকে।
রাতের রান্না হচ্ছে। সিরাত তরকারিতে মশলা
দিচ্ছিলো, নুনের বদলে চিনির কৌটা ওর হাতে। মুশফিকা চৌধুরী সন্দেহী দৃষ্টিতে ওকে দেখে। শ্বাশুড়িকে ওমনভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে থতমত খেলো ও।
‘কি দিচ্ছো খেয়াল আছে? তরকারিতে আমরা লবণ খাই, চিনি না।’
সিরাত জিভ কাটলো। কৌটা রেখে লবণের পাত্র বের করতে করতে বলল,
‘খেয়াল ছিলো না।’
কটাক্ষ করলেন মুশফিকা চৌধুরী,
‘থাকবে কি করে? নিজেকে নিয়ে ভেবেই তো কুল পাও না। স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কথা ভাবতে যাবে কেন?’
সিরাত বিস্মিত হয়ে বলল,
‘এসব কি বলছেন মা? আমি শুধু নিজের কথা ভাবি আপনার তাই মনে হয়? এতোটা স্বার্থপরও নই।’
মুশফিকা চৌধুরী তীক্ষ্ণ স্বরে বললেন,
‘এসব জানি না বাপু। তবে আমাদের কথা যদি এতোই ভাবো তাহলে নাতিপুতির মুখ তো এখনো দেখালে না! বিয়ের তো কম দিন হয়নি। আমার ছেলেটা সারাদিন বাইরে বাইরে পড়ে থাকে, বাড়িতে একটা বাচ্চা এলে তবেই তো ওর মনটা টিকবে এখানে। এসবও কি আমাদের বলে দিতে হবে?’
সিরাত অপ্রস্তুত হলো,
‘এখনি বাচ্চা মানে..’
মুশফিকা চৌধুরী বললেন,
‘বিয়ে হয়েছে কত মাস?’
‘ইয়ে মানে… নয় মাস!’
মুশফিকা নির্লিপ্ত কন্ঠে বললেন,
‘এট কি কম? এখনই প্ল্যানিং করার সময়। আজ
এলে বলবে আমার ছেলেকে। খবরদার আমি বলেছি এটা বলবে না। সেঁকেলে ভাবনা বলে উড়িয়ে দেবে। কি? মনে থাকবে?’
সিরাত আড়ষ্ট কন্ঠে বলল,
‘জি জি।’
‘দেখা যাবে। মনের মতো ছেলের বউ পাইনি,
অন্তত নাতিনাতনি তো দাও!’
এসব বলতে বলতে তিনি বেরিয়ে গেলেন। সিরাত জানে কেন মুশফিকা চৌধুরী ওর সাথে এমন করেন। তার বোনের মেয়ে লিয়ানা বেশ ঘরোয়া, চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে। দেখতেও আগুন সুন্দরী। বংশ, প্রতিপত্তি কম নেই। বাবার আদরের রাজকন্যা। তাই প্রত্যয়ের সাথে বিয়ে দেবে বলে ভেবে রেখেছিলো দু’বোন মিলে। কিন্তু সেই ইচ্ছে পূরণ না হওয়ায় মাঝেমধ্যেই আবোলতাবোল অনেককিছু বলে ফেলেন
সিরাতকে। সেজন্য ও এসবে এতো মাথা ঘামায় না।
সোহা একটু বড় হয়েছে। এ বাড়ি এলেই মুশফিকা চৌধুরীর কাছে থাকে বেশিরভাগ সময়। তিনিও বেশ আদর করেন ওকে। প্রত্যয়কে সোহা বাবাই বলে
ডাকে, তাতে কেমন স্নেহবোধ জেগে ওঠে ওর, সময় দেয় ওকে। মাঝেমধ্যে মিটিং, মিছিলও ক্যান্সেল করেছে প্রত্যয়। একজন বাবার মতোই সে মাঝেমধ্যে সোহার আবদার পূরণ করে ও। সেখান থেকেই
হয়তো মুশফিকা চৌধুরীর মনে নাতিপুতির ভাবনাটা এসেছে। কিন্তু এখন শ্বাশুড়ি যে সুযোগ পেয়ে অপমানের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছে চাপিয়ে দিয়ে
গেলেন সেটা ভালোই বুঝলো সিরাত। নাতিপুতি
চাইলে ছেলেকে গিয়ে বলুক, ওর কাছে কি! জীবনেও প্রত্যয়কে এসব বলতে পারবে না সিরাত।
’
চলবে…