গল্প:-♥ফুলশয্যা♥ পর্ব:- ০৮

0
4441

গল্প:-♥ফুলশয্যা♥
পর্ব:- ০৮
লেখা- অনামিকা ইসলাম।

নীলিমা:- এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন??????
আবির:- ???
নীলিমা:- শুনেন!!!
আমি গরীব হতে পারি কিন্তু অভদ্র নয়। ✌✌
শুধু কিস করেছি, বেশী কিছু করিনি।হুহ্……..???

কথা’টা বলে নীলিমা আবিরের বিপরীতমুখী হয়ে শুয়ে পরে।আবির তখনও হতভম্বের মত বসে নীলিমার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল।

আবির বসা থেকে উঠে সোফায় গিয়ে গা এলিয়ে দিল।
আবির চোখ বন্ধ করতে পারছে না,
বার বার তার মনে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে নীলিমার করা সেই কিস’টা….

পরদিন সকালবেলা_
ইমন মণি চলে যাবে। রওয়ানা দেওয়ার আগে মণি আসছে আবিরের সাথে কথা বলতে। এসে দেখে নীলিমা বিছানা গুচাচ্ছে আর আবির সোফায় অঘোরে ঘুমুচ্ছে। তাই দেখে মণি নীলিমা’কে বলছে__
” কিরে! ওনি এভাবে সোফায় ঘুমুচ্ছে কেন?”
নীলিমা:- সেটা ওনাকে’ই জিজ্ঞেস কর….
মণি:- ওনাকে জিজ্ঞেস না করেও আমি হলফ করে বলে দিতে পারি তুই নিশ্চয় ওনাকে কিছু বলেছিস!
নীলিমা:- আরে বইন!
আমি কিচ্ছু বলিনি…..ওনি অনর্থক ওখানে শুইছে।
মণি:- সত্যি বলছিস? কিছু বলিসনি?
নীলিমা:- আমি কি তোকে….(……)…..??!

ঠিক তখন’ই আবির জেগে উঠে।নীলিমার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বলে_
” ও ঠিক’ই বলেছে মণি!
ও কিছু বলে নি। তবে……(….)…..???????

মণি:- তবে? তবে কি ভাইয়া???
আবির:- করেছে……
নীলিমা:- ???
মণি:- বলেন কি????
বজ্জাত মেয়েটা কি করেছে ভাইয়া??????

আবির ইশারা করে নীলিমাকে দেখায়। নীলিমা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আঙুল মুচড়াচ্ছে।

মণি:- কিরে?!!!
তোর আবার কি হলো???
,
নীলিমা হকচকিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে বলে__
” কি হয়ছে?”
,
মণি:- সেটাতো আমি তোকে জিজ্ঞেস করছি। এভাবে মাথা নিচু করে আঙুল বাকাচ্ছিস কেন? আঙুল কি ভেঙে ফেলবি???
,
নীলিমা নিঃশব্দে রুম থেকে বাহির হয়ে যায়। নীলিমা রুমের বাহিরে চলে গেলে মণি আবিরকে জিজ্ঞেস করে এর(নীলিমার) আবার কি হলো ভাইয়া???
,
আবির রাত্রের ঘটনা পুরো’টা খুলে বলে মণিকে। মণির সাথে এতক্ষণে ইমনও এসে যোগ দিয়েছে। সবটা শুনে দু’জন তো রীতিমত “থ”…
ওদের একটাই কথা নীলিমা এটা করেছে?!!!???
ওরা যেন কথাটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না।
,
যায় হোক।
অবিশ্বাস করারও কারণ নেই। কারণ কথাটা স্বয়ং আবির বলেছে ওদের। আবির কখনো মিথ্যে বলবে না ওদের সাথে সেটা ওরা খুব ভালো করে’ই জানে।
,
সকালের খাওয়া-দাওয়া শেষে আবির-নীলিমা’কে বলে ইমন-মণি রওয়ানা দেয় বাসার উদ্দেশ্যে। যাওয়ার আগে নীলিমাকে বলে যায়_
” কে কি বলেছে সেসব ভুলে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে….”

দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে আবিরের পরিবারও রওয়ানা হয়ে যায় দেশের বাড়ির উদ্দেশ্যে। যাওয়ার আগে সবাই আবির’কে বলে যায় নীলিমার যত্ন নিতে। ও যাতে কোনো প্রকার কাজ করতে না পারে সে খেয়াল রাখতে…..

ওরা সবাই চলে গেছে।
বাসা’টা কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগছে।মন খারাপ করে নীলিমা ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আসে। আবির সব রুমে খুঁজে নিচে এসে নীলিমাকে পেল। পাশে গিয়ে বসল…….

আবির:- মন খারাপ???
নীলিমা:- হুম….
আবির:- তুমি এই সময়টাইও মন খারাপ করে রাখবে? শুনোনি দুলাভাই কি বলছে??????
নীলিমা:- কি???
আবির:- মন খারাপ নয়, হাসিখুশি থাকতে হবে এ সময়। তাহলে’ই তোমার ভেতর যে বেড়ে উঠতেছে ওর…..(……)…..?!!!!
,
আবির সম্পূর্ণ কথা বলতে পারেনি।তার আগেই নীলিমা বলে উঠে__
” ফাইজলামি করেন, তাই না?”
,
আবির:- সেকি?!!!
আমি ফাজলামি করলাম কোথায়?
,
নীলিমা:- এখন কি মজা নিচ্ছেন এসব বলে???
,
আবির:- মজা???
সেটা কিভাবে নেয়???
,
নীলিমা:- ???
,
আবির:- কি হলো????
,
,
,
,
নীলিমা সোফা থেকে উঠে রুমে চলে যায়।

রাতের খাবার খাওয়ার পর__
আবির রুমে এসে ল্যাপটপে খেলা দেখছে, আর নীলিমা?!!!
ড্রয়িংরুমের সোফায় গালে হাত দিয়ে চুপটি করে বসে আছে।
অনেকক্ষণ হয়ে গেল নীলিমা এখনো আসছে না দেখে ল্যাপটপ অফ করে আবির নিচে আসে দেখার জন্য নীলিমা কি করছে???
এসে দেখে নীলিমা গালে হাত দিয়ে বসে গভীর ভাবনায় মগ্ন।
আবির গিয়ে নীলিমার পাশে বসে।

প্রায় আধঘন্টার মত হয়ে গেছে।
নীলিমা তখনও আপন মনে ভেবে’ই চলেছে।আবির নীলিমার হাতের উপর হাত রাখে। নীলিমা চমকে তাকালো ডান পাশে।
একবার আবির তো, আরেকবার হাতের দিকে তাকাচ্ছে নীলিমা।

আবির:- রুমে চলো….

নীলিমা আবিরের হাতের মুঠো থেকে ওর হাতটা ছাড়িয়ে নিল। তারপর__
” আপনি যান, আমি আসছি…”

আবির:- রাগ করেছ?
নীলিমা:- রাগ করার কি আছে???
আবির:- তাহলে এভাবে মন খারাপ করে বসে আছ কেন???
নীলিমা:- মন খারাপ নয়, ভাবছি….
আবির:- কি???
নীলিমা:- বাড়ির কথা। হসপিটালের কথা…..
আবির:- খুব মনে পরছে? আমরা কি কাল একবার ঘুরে আসব নরসিংদী থেকে???
নীলিমা:-……….
আবির:- ঠিক আছে। কাল রেডি হয়ে থেকো। আমরা সকাল সকাল’ই রওয়ানা দিব।
নীলিমা:-…….
আবির:- এখন রুমে চলো….

আবির এবং নীলিমা দু’জনেই সিড়ি বেয়ে একসাথে উপরে উঠলেও নীলিমা আবিরের রুমে যায়নি। নীলিমা ঐ রুমে চলে যায় যে রুমে ও সবসময় থাকত।
এদিকে আবির?!!!
পিছনে ফিরে দেখে নীলিমা নেই।
ছুটে যায় নীলিমার রুমে।
গিয়ে দেখে নীলিমা ঘুমানোর জন্য বিছানা পরিষ্কার করছে….

আবির:- তুমি এ রুমে???
নীলিমা:- আজকে এ রুমে’ই ঘুমাব।
আবির:- তাহলে আমিও কি এই রুমে’ই ঘুমাবো???
নীলিমা:- না…..
আবির:- আচ্ছা, তাহলে ঘুমাও তুমি।আমি যাচ্ছি….

আবির রুমের বাহির হয়ে যায়।
নীলিমা ঠাস করে রুমের দরজা লাগিয়ে দেয়। আবির কিছু’টা মন খারাপ করে ওর রুমে গিয়ে শুয়ে পরে। রাতে অসংখ্য বার আবির নীলিমার রুমের দরজার সামনে এসে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গিয়েছে। আবির নীলিমা’কে স্যরি বলতে চান। বন্ধুদের করা দুর্ব্যবহারের জন্য আজ আবির সত্যি’ই বড় বেশী লজ্জিত নীলিমার কাছে। আবির নীলিমার কাছে একটা বারের জন্য ক্ষমা চাইতে চান, বলতে চান_
” ভালোবাসি আমার মায়াপরীটাকে….বড্ড বেশী ভালোবাসি। আমার জন্য মায়াপরী’টার মনে একটু জায়গা হবে???”

আগামীকাল ১৩ই ডিসেম্বর….
আবির-নীলিমার বিবাহবার্ষিকী। আবির এবারের বিবাহবার্ষিকী’টা একটু অন্য রকম ভাবে উৎযাপন করতে চেয়েছিল। এই যেমন_
যেসব বন্ধুদের সাথে আবির সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছিল, তারা শেষ একবার নীলিমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ চেয়েছিল। আবির ভেবেছিল__
আগামীকাল ওদের দাওয়াত দিবে।
কিন্তু ওর প্রাণপাখি নীলিমার মনটাও ভিষণ খারাপ। তাই আবির নীলিমাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাবে বেড়াতে। সেখানে’ই খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে আবির নীলিমাকে মনের কথা বলতে চাই….

পরদিন ভোরে আবির নীলিমাকে নিয়ে রওয়ানা দেয় নরসিংদীর উদ্দেশ্যে।সকাল ৯টারদিকে আবির নরসিংদী’তে এসে পৌঁছালো….

এখানে এসে আবির লক্ষ্য করল নীলিমা সবসময় কেমন যেন স্তম্ভ হয়ে থাকে। মনে হচ্ছে কোনো নিদারুণ যন্ত্রণা ওর ভিতরটা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। এতদিন পর বাবা-মা, নিজ এলাকা, খেলার সাথী, বন্ধ-বান্ধবীদের পেয়েও নীলিমার মুখে হাসি নেই। আবিরের ব্যাপার’টা কেমন যেন ভালো লাগছে না। আবির মনে মনে ভাবছে_
” আচ্ছা কি হয়েছে ওর…”

সেদিন রাত্রে খাওয়ার পর আবির যখন রুমে আসে এর ক্ষাণিকবাদে’ই নীলিমা রুমে আসে।
এসে একটা কথাও বলে নি।
চুপচাপ বিছানা গুছিয়ে বালিশ পেতে দিয়ে নীলিমা চলে যাচ্ছে।
আবির পেছন থেকে নীলিমার হাতটি ধরে।

আবির:- কোথায় যাচ্ছ???
নীলিমা:- ঘুমাবো…
আবির:- ঘুমাবে তো বাইরে কি???
নীলিমার:- লিমার সাথে ঘুমাবো, ও বলছে থাকার জন্য।
আবির:- লিমা একা ঘুমাতে পারবে।
নীলিমা:- ও ভয় পায় ঝড় বৃষ্টিতে একা একা ঘুমাতে। তাই আমায় ওর সাথে থাকতে হবে। যাচ্ছি….

আবির নীলিমা’কে একটানে ওর বুকের সাথে মিশিয়ে বলে_
” ঝড়-বৃষ্টি হলে লিমার জন্য মা আছে, আর আমি???
আমার জন্য কে আছে???!!!”

নীলিমা:- কেউ দেখবে তো। ছাড়েন প্লিজ…
আবির:- দেখুক। আমি আমার বউকে ধরেছি, অন্য কাউকে তো নয়…..
নীলিমা:- প্লিজ ছাড়েন….

আবির নীলিমাকে ছেড়ে রুমের বাহিরে গিয়ে লিমাকে কি যেন বলে আসে। দুষ্টু লিমা মুচকি হেসে দরজা’টা বন্ধ করে একা একা’ই শুয়ে পরে….

আবির:- ব্যস, হয়ে গেল।
নীলিমা:- কি???
আবির:- লিমা রুমের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরেছে। তুমি এখানেই থাকবে।
নীলিমা:- বললেই হলো! আমি গিয়ে ওকে ডাকছি….
আবির:- কাজ হবে না।
গিট্টু একখান দিয়া আসছি….??
নীলিমা:- কি?!!!
কি বলছেন আপনি ওকে??
আবির:- শালি দুলাভাইয়ের ব্যপার।সেটা তোমাকে বলব কেন???

নীলিমা দৌঁড়ে যায় লিমার রুমের সামনে।ডাক দেয় লিমাকে। লিমা কিছুতে’ই দরজা খুলছে না। শেষমেষ অতিষ্ট হয়ে মুখ খুলে লিমা।
” আপু প্লিজ তোদের মাঝে আমায় টানিস না। কাবাবের হাড্ডি হওয়ার ইচ্ছে আমার নেই… ”

নীলিমা রেগেমেগে রুমে যায়। রুমে গিয়ে ঠাস করে দরজা দিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে। আবির গিয়ে পাশে বসে।
নীলিমা বলে ডাক বার কয়েক ডাক দেওয়ার পর নীলিমা সাড়া দিল। বিছানায় উঠে বসল কি হয়েছে???

আবির নীলিমার হাতে একটা লাল টুকটুকে শাড়ি দিয়ে বলে__
” একটু পরবে এটা? খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে…”

নীলিমা হাত দিয়ে শাড়ি’টা নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয় দুরে। তারপর_
” এসবও কেউ পরে? যত্তসব….”
আবির:- নীলিমা তুমি…(…)….???
নীলিমা:- হ্যাঁ, ফেলে দিলাম। আমার ভালো লাগেনি তাই ফেলে দিলাম।
,
আবির:- আচ্ছা, ঠিক আছে ব্যাপার না। একটু এদিকে আসবে?
,
নীলিমা:- কেন?
আবির:- আসো’ই না….

নীলিমা এগিয়ে আসলে আবির নীলিমার পায়ের কাপড় উঠাতে থাকে।

নীলিমা অপ্রস্তুত হয়ে বলে উঠে_
” কি করছেন? কি করছেন?”

আবির কোনো কথা না বলে নীলিমার পায়ে নূপুর পরিয়ে দিল।

আবির:- কেমন হয়েছে?

মুহূর্তেই নীলিমা আবিরের কাছ থেকে ক্ষাণিকটা দূরে সরে যায়।
খুলে ফেলে নূপুর। পূর্বের ন্যায় সেগুলোকেও খুলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
,
আবির:- আমি জানি তুমি কেন এভাবে রেগে আছ? আজ সব রাগ-অভিমানের শেষ হবে। আজ আমাদদের…. (……)…….
নীলিমা:- চুপ করেন। একদম চুপ।
অনেক বলছেন।
এবার আমায় বলতে দেন।
আমি কিছু বলতে চাই…..
,
আজ আপনার আমার বিবাহ বার্ষিকী,তাই না?
আর তাই কর্তব্যের খাতিরে এগুলো আমায় দিতে, আসছেন নাহ???
লাগবে না আপনার এগুলো…..

আবির:- নীলিমা
প্লিজ শান্ত হও….আমায় একটু বলতে দাও। আমি তোমায় বলতে চাই কিছু….
নীলিমা:- আপনার কোনো কথায় আমি শুনতে চাই না। আজকে আমি বলব, আপনি শুনবেন….
আবির:- বলো….
নীলিমা:- আজ তো আমাদের বিবাহবার্ষিকী,তাই না?
আবির:- হুম….
নীলিমা:- আমি যদি কিছু চাই দিবেন আমায়???
আবির:- কেন দিব না?
অবশ্যই দিব। কি চাও তুমি বলো???
নীলিমা:- আগে প্রমিজ করে বলেন যে দিবেন….
আবির:- এই প্রমিজ করলাম… তুমি যা চাও আমি তাই দিব….
নীলিমা:-……
আবির:- কি হলো? বলো কি চাও??? আমি আমার প্রাণপাখিটার সব আবদার শুনতে রাজি আছি…
,
,
,
,
,
নীলিমা:- মু….ক…তি….
আবির:- কি?!!! কি চাও তুমি???
নীলিমা:- আমি মুক্তি চাই।
আপনার থেকে মুক্তি চাই। আমি একটু প্রাণখুলে নিঃশ্বাস নিতে চাই।
দিবেন আমায় একটু মুক্তি….???
,
আবির নীলিমার কথা শুনে স্তম্ভ হয়ে যায়। নীলিমা যে এমন কিছু চাইবে সেটা বুঝতে পারেনি আবির।
,
নীলিমা:- কি হলো? বলেন না দিবেন আমায় মুক্তি???
,
আবির:- তুমি মুক্তি চাও নীলিমা????
,
নীলিমা:- হুম। মুক্তি চাই।
সব বন্ধন থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।
,
আবির:- এটা ছাড়া অন্য কিছু চাওয়া যায় না???
নীলিমা:- নাহ। আমার আর কিছু চাই না। আমি শুধু মুক্তি চাই….
আবির:- নীলিমা!
তুমি চাইলে আমি সব, সব দিতে পারব। কিন্তু এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয় নীলিমা। এটা চেয়ো না আমার কাছে….
আবির:- আপনি আমায় প্রমিজ করেছেন আমি যা চাইব দিবেন। এখন না দিলে কি হবে বুঝতেই তো পারছেন….
আবির:- নীলিমা প্লিজ এমন করো না।
নীলিমা:- তাহলে আমায় মুক্তি দেন।
আবির:- আমি পারব না….
নীলিমা:- আমি তাহলে তিলেতিলে নিজেকে কষ্ট দিব। ভোর হওয়ার আগে এ বাড়ি, ঘর সব, সবকিছু ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাব কিংবা ফ্যানের ঝুলে আত্মহত্যা করব….
,
আবির নীলিমাকে ঠাস করে চড় মেরে দুরে ফেলে দেয়।
,
নীলিমা চোখে জল নিয়ে গালে
হাত দিয়ে বসা থেকে উঠে। রাগের বশবর্তী হয়ে মারলেও আবিরের এখন নিজের প্রতি খুব রাগ হচ্ছে। নীলিমা আবিরের দিকেই এগিয়ে আসছে।
,
আবির কিছু বলতে যাবে তার আগে’ই নীলিমা হঠাৎ করে আবিরের পা ধরে বসে পরে।
,
আবির:- এই, এই!কি করছ?!!!উঠো….
নীলিমা:- আপনি আমায় মারেন, কাটেন, যা খুশি করতে পারেন। তবুও প্লিজ আমায় মুক্তি দেন…..
আমায় মুক্তি দেন,
মুক্তি দেন…..
আবির:- উঠো বলছি নীলিমা….
নীলিমা:- না, আগে আমায় মুক্তি দিবেন সেটা বলেন….

আবির ওর চোখের জল ছেড়ে দেয়। তারপর__
” বেশ! উঠো….
তুমি মুক্তি চাও তাই না???
তাই হবে….”

নীলিমা হাসোজ্জ্বল মুখে চোখের জল মুছতে মুছতে বসা থেকে উঠে।

আবির নীলিমার হাসোজ্জল মুখের দিকে তাকিয়ে আছে…..

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে