গল্প:-♥ফুলশয্যা♥ পর্ব:- ০৭

0
4277

গল্প:-♥ফুলশয্যা♥
পর্ব:- ০৭
লেখা- অনামিকা ইসলাম।

আবিরের এমন হু,হু করে হেসে উঠা,টিপ্পনীকাটা মেনে নিতে পারছে না নীলিমা। আর তাই রুম থেকে কিছু না বলেই বের হয়ে যাচ্ছিল।ঠিক তখনি__
আবির:- কোথায় যাচ্ছ?
নীলিমা:- মণির কাছে….
আবির:- শুবে না???
নীলিমা:- শুইব…
আবির:- তো? মণির কাছে কি???
নীলিমা:- আমি মণির সাথে শুইব….
আবির:- আর ইমন???
নীলিমা:- আপনার সাথে….ইমন ভাইয়া শুইবে আপনার সাথে।
আবির:- কিন্তু…..
নীলিমা:- আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে ওর সাথে ঘুমাতে। একান্তে কিছুটা সময় কাটাতে…
আবির:- ওহ,আচ্ছা।তাহলে যাও….
নীলিমা:- হুম…..

নীলিমা হনহনিয়ে আবিরের রুম থেকে বেরিয়ে ওর রুমে চলে যায়।
মণি-ইমন তখন একজন আরেকজনের কাছে যাচ্ছিল। ঠিক সে সময়টাতে রুমে আচমকা নীলিমা প্রবেশ করে কোনোরকম নক ছাড়া’ই। ইমন-মণি ভিষণ রকম অপ্রস্তুত ছিল। নীলিমাকে দেখে দু’জনেই দু’জনকে সামলে নিয়ে আমতাআমতা করে বলে__
” নীলি…মাাাা….”
নীলিমা চোখ দুটো বন্ধ করে বলে__
” আমি স্যরি…”
Extremely sorry….
মণি:- কিছু বলবি???
নীলিমা:- না, না।
কিচ্ছু বলব না। আমি দেখতে আসছিলাম কয়টা বাজে….???
আমি যায়, তোরা ঘুমা….

কথাগুলো বলে নীলিমা একরকম লাফিয়ে রুম থেকে বের হলো। ইমন-মণি একে-অপরের দিকে তাকিয়ে বলল হা, হা লজ্জা পাইছে….

এদিকে আবির?!!!
দরজা খুলে শুয়ে আছে।
অপেক্ষায় আছে কখন ইমন আসবে।
কিন্তু ইমন আর আসছে না।
এদিকে ঘুমে আবিরের চোখ দুটো লেগে আসে। আবির ঘুমিয়ে পরে এই ভেবে যে ইমন এসে না হয় দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরবে।

হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় আবিরের। আবির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে বাইরে মুসলধারে বৃষ্টি পরছে।ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখে ১২টা বাজে। আবির মনে মনে ভাবছে__
“মাত্র ১২টা বাজে?”
আচ্ছা, ইমন আসে নি কেন এখনো?
ওরা কি তাহলে বৃষ্টির দিন পেয়ে গল্পে মেতে উঠেছে???
আমি কি যাব ঐখানে????
যায় দেখেই আসি।
দেখি গিয়ে ওরা কি করে???
আবির নীলিমার রুমের দিকে পা বাড়ায়। নীলিমার রুমের কাছে গিয়ে আবির থমকে দাঁড়ায়। দরজাটা যে বন্ধ আর লাইটও অফ করা…..
আবির আস্তে আস্তে দরজায় নক করে মণিকে ডাকে।
মণি-ইমন কেহ’ই এখনো ঘুমায়নি।
তাই প্রথম ডাকেই ইমন সারা দিয়ে বলল__
” কিছু বলবেন ভাইয়া?”
আবির:- ইমন না আমার সাথে শুইবে? তো ও কখন আসবে? রাত যে অনেক হলো….
ইমন:- আবির ভাই! আমি আপনার সাথে শুইব সেটা কে বলেছে আপনাকে?
আবির:- কেন? নীলিমা…
আর নীলিমা’তো বলছে মণির সাথে সে ঘুমোবে।কেন সে আসেনি???

মণি বিছানা থেকে উঠে গিয়ে দরজাটা খুলে। তারপর__
” কি বলছেন ভাইয়া? ও আমার সাথে শুইবে বলে এ রুমে এসেছিল?”
আবির:- তাই তো বলল। ও কোথায়?
মণি:- ভাইয়া ও তো ঘন্টাখানেক আগেই চলে গেছে…..
আবির:- চলে গেছে মানে? ও এ রুমে নেই????
মণি:- না ভাইয়া! ও চলে গেছে….
আবির:- কি বলছ তুমি এসব?
ও তো রুমেও যায়নি….
মণি:- ভাইয়া অন্য রুমে দেখবেন প্লিজ???অন্য কোথাও ঘুমিয়েছে কি না???
আবির:- হতে পারে সেখানেই ঘুমোচ্ছে। ঠিক আছে তোমরা ঘুমাও।
গুড নাইট….

আবির এ রুম ও রুম করে পুরো বাড়ি খুঁজে হয়রান।তবুও নীলিমাকে খুঁজে পাচ্ছে না কোথাও???
সবশেষে আবির ছাদে গেল। যদিও জানে নীলিমা এমন বৃষ্টির সময় ছাদে থাকবে না, কারন বৃষ্টির একফোঁটা ওর শরীরে পরলেই হাঁচি শুরু হয়। এ এক ভয়ংকর অসুখ।
হাঁচি থেকে শ্বাসকষ্ট। বিয়ের প্রথম বর্ষায় শখ করে আবির নীলিমাকে জোর করে নিয়ে বর্ষাস্নাত বিকেলে বৃষ্টিতে নেমেছিল।
তারপর নীলিমার কি জ্বর….
হাঁচি, শ্বাসকষ্ট..!!!!
আবির তো ভয় পেয়ে গিয়েছিল সেদিন নীলিমার ভয়ংকর এমন অসুখ দেখে। সেই থেকে নীলিমাকে নিয়ে আর কখনো বৃষ্টিতে ভিঁজার ইচ্ছে পোষন করেনি আবির। যদিও বিয়ের আগে আবির ঠিক করেই রেখেছিল বর্ষাস্নাত বিকেল বেলায় আবির ওর বউকে নিয়ে রাজপথে বৃষ্টিতে হেঁটে বেড়াবে কখনো বা বর্ষামুখর সন্ধ্যা কিংবা রাত্রিবেলায় বউকে নিয়ে ছাদে বৃষ্টিবিলাস করবে।আবিরের মনের আশা মনেই রইল।
পূরণ আর হলো না….

আবির জানে নীলিমা ছাদে থাকবে না তারপরও একনজর দেখার জন্য ছাদে গেল। ছাদের ছোট্ট ঘর থেকে ছাদে উঁকি দিয়েই আবিরের চোখ ছানাভরা হয়ে যায়।
নীলিমা এই বৃষ্টিতে ছাদের কর্ণারে চুপটি করে বসে আছে। আবির দৌঁড়ে নীলিমার কাছে গেল……

আবির:- তুমি এখানে?
এইভাবে বসে আছ আর তোমাকে পুরো বাড়ি খুঁজে আমি হয়রান হয়ে গেছি। এখানে এসেছ কেন????

নীলিমা আবিরের দিকে একনজর তাকিয়ে আবারো আগের ভঙ্গিতে হাটুতে ভর দিয়ে আছে।
মনে হচ্ছে যেন কিছুই হয়নি।

আবির:- কি হলো? কথা কানে যাচ্ছে না? এভাবে বৃষ্টিতে ভিঁজতে কে বলেছে তোমায়???
নীলিমা:-……..
আবির:- কথার উত্তর তো দাও…..
নীলিমা:-…….

আবির আর পারছে না।
অনেক হয়েছে বলে আবির একটানে নীলিমার হাত ধরে নীলিমাকে বসা থেকে দাঁড় করিয়ে দেয়। নীলিমার ঠোঁটজোড়া শীতে নীল হয়ে গেছে। আর নীলিমাও ভিঁজে রীতিমত কাঁপছে। আবিরও এতক্ষণে ভিঁজে একাকার…..
আবির নীলিমার হাত ধরে আছে, আর নীলিমা নিচের দিকে তাকিয়ে কাঁপছে….

আবির:- চলো….
নীলিমা:- না……
আবির:- চলো…….
নীলিমা:- না……..
আবির:- চলো……….
নীলিমা:- না, না, না……..

আবির আর একটা কথাও বলেনি।
সোজা নীলিমাকে কোলে উঠিয়ে নেয়। নীলিমা “থ” হয়ে গেছে।স্তম্ভিত হয়ে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে।আবিরও কিছুক্ষণ নীলিমার দিকে তাকিয়ে ছিল, তারপর ওর দিকে তাকিয়েই সিড়ির প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করতে থাকে। আবির নীলিমাকে নিয়ে সোজা বাথরুমে চলে যায়।বাথরুমে গিয়ে নীলিমাকে দাঁড় করিয়ে__
” তুমি এখানে দাঁড়াও। আমি আসছি।”

নীলিমা ছোট্ট বাচ্চাদের মত আবিরের কথামত চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে। ক্ষাণিকবাদে’ই আবির ফিরে আসে হাতে একটা শাড়ি নিয়ে…..
নীলিমা:- আমি শাঁড়ি পরতে পারি না।পরলেও সামলাতে পারি না।
আবির:- তোমায় সামলাতে হবে না।
আমি আছি না? আমি’ই সামলিয়ে দিব। তুমি শুধু কোনোরকম ভেঁজা জামা চেঞ্জ করে শাঁড়িটা প্যাচিয়ে রুমে আসো….
নীলিমা:- তারপর???
আবির:- এত কথা বলো না তো…
তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করো।
নীলিমা:- আচ্ছা….
আবির:- হুম করো।।।।।
নীলিমা:-……. (চুপ)
আবির:- এভাবে স্ট্যাচুর মত দাঁড়িয়ে আছ কেন???
নীলিমা:- আপনি একটু বাইরে…(…..)….???????
আবির:- Oh,sorry….??
আসলে মনে’ই ছিল না……???
নীলিমা:- ???
আবির:- ????

আবির বাথরুম থেকে বেরিয়ে রুমে চলে যায়।রুমে গিয়ে পরনের কাপড়-চোপড় চেঞ্জ করে নেয়।

একটু পর নীলিমা বাথরুম থেকে আসে। আবির নীলিমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নেয়।তারপর কোনোরকম হাসি আটকিয়ে বলে__
” এই তাহলে তোমার অবস্থা?”☺☺
নীলিমা:- আমি তো বলছি আমি পরতে পারি না। আপনি’ই তো বললেন শাঁড়ি প্যাচিয়ে রুমে আসতে।
আবির:- বলছি….
তাই বলে সত্যি সত্যি তুমি…???????????

নীলিমা:- ????
আবির:- ??????
নীলিমা:- ????????
আবির:- হয়ছে,হয়ছে।এদিকে আসো……

নীলিমা:- কেন???
আবির:- শাঁড়ি পরিয়ে দেয়।
নীলিমা:- না, লাগবে না….
আবির:- পরে যাবে তো;
নীলিমা:- পরব না।ঠিক সামলে নিব।
আবির:- ভালো।
নীলিমা:- হুম।
আবির:- ঘুমাবে না????
নীলিমা:- হুম।
আবির:- শুয়ে পরো তাহলে।
নীলিমা:- দরজা দিবেন না???
আবির:- নাহ…..
নীলিমা:- মিশিয়ে আসি???
আবির:- দরকার নাই…..
নীলিমা:- আচ্ছা….
আবির:- কি আচ্ছা???
নীলিমা:- দরকার নাই।
আবির:- হুম।দরকার নাই।ঘুমাও….
নীলিমা:- একটু জায়গা দেন….
আবির:- হুম, যাও…(সরে গিয়ে জায়গা দিয়ে)
নীলিমা:- গুড নাইট….
আবির:- নাইট…..
নীলিমা:- এটা কোনো ওয়িশ হলো?
আবির:- দুঃখী মানুষের আবার ওয়িশ…..এটুকু যে মুখ থেকে আসল। তুমি বলে এটুকু বললাম।যা মুড খারাপ অন্য কেউ হলে তো কথায় বলতাম না।
নীলিমা:- Mood off? Why?
আবির:- জানি না….
নীলিমা:- Oh….
আবির:- ঘুমাও……
নীলিমা:- আচ্ছা……….

ঘন্টাখানেক পর_
“নীলিমা…..”
ঐ নীলিমা…….?!!!
নীলিমা….

আবির নীলিমাকে ডেকেই চলছে।
নীলিমা ঘুমের ঘোরেই বলছে__
” হুম?”
আবির:- চলো না….
নীলিমা:- কোথায়???
আবির:- সুখের দেশে।
নীলিমা:- সেটা আবার কোথায়? আর কিভাবে যাব???
আবির:- খুব কাছে….
যেতে হয় সুখের নায়ে চড়ে….
নীলিমা:- সুখের না’য় কোথায় পাব???
আবির:- বুকে আসো…..

আবিরের কথা শুনে নীলিমা রীতিমত লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে বসে। ঘুম যেন একলাফেই নীলিমার চোখ থেকে পালিয়ে গেছে।
নীলিমা আবিরের দিকে তাকায়।
আবির তখনও বিড়বিড় করে কথাগুলো বলেই চলছে। নীলিমা আবিরকে আস্তে করে ডাক দেয়। আবির বিছানায় উঠে বসে। ঘুমন্ত চোখ নিয়ে নীলিমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে?
নীলিমা ভ্রু কুঁচকে বলে সেটা তো আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করব। কি হচ্ছে এসব???
আবির চোখ বড় বড় করে বলে__
” কি হচ্ছে?”
নীলিমা:- আপনি বাজে বকছিলেন ঘুমের ঘোরে।
আবির:- তো..???
নীলিমা:- কেন বলছেন ওসব?
আবির:- আশ্চর্য! আমি কি বলছি আমি নিজেই তো জানি না। আর আমি কি ইচ্ছে করে বলি নাকি? ঘুমের ঘোরে বলে ফেলি….
নীলিমা:- আর বলবেন না কখনো….
আবির:- নীলিমা!
ঘুমের ঘোরে কথা বলাটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস। আমি তো চাই না বলতে, মুখ দিয়ে এসে যায়। মানুষ ঘুমিয়ে নিরবে স্বপ্ন দেখে, আর আমি সবাইকে জানান দিয়ে স্বপ্ন দেখি।
আমার মত খোলা মনের অধিকারী আর কয়জন আছে বলো????????
নীলিমা:- ভালো…..

নীলিমা বিছানা থেকে উঠে গিয়ে টিভি ছাড়ে। আবির নীলিমার পিছুপিছু সোফায় গিয়ে বসে। নীলিমা টিভি অন করে একের পর এক চ্যানেল পাল্টেই যাচ্ছে।

আবির:- টিভিতে এত রাত্রে বাজে জিনিস ছাড়া আর কিচ্ছু পাবে না।আমার ল্যাপটপে একটা মজার মুভি আছে।দেখবে???

নীলিমা শুধু একবার আবিরের দিকে ফিরে তাকালো। আবির বসা থেকে উঠে ল্যাপটপ’টা আনে। নীলিমার পাশে বসে। আবির ল্যাপটপ ওপেন করে নীলিমার দিকে ফিরিয়ে দেয়।

নীলিমা:- আমি ইংলিশ মুভি দেখি না….
আবির:- দেখো’ই না, মজা পাবে…

আবির-নীলিমা একসাথে বসে
মুভি দেখছে। নীলিমার কাছে ভালো’ই লাগছে মুভি’টা। ভিষণ হাসির একটা মুভি….
নীলিমা মুভি দেখছে আবির নীলিমা’কে দেখছে।ওর মায়ামাখা হাসিমুখটা দেখছে। হঠাৎ করে’ই নীলিমা চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে। আবির হকচকিয়ে উঠে।
দু’চোখ বন্ধ করে নীলিমা ঘনঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আবির যেন কিছু’ই বুঝতে পারছে না। নীলিমার হাটু থেকে ল্যাপটপ’টা নিয়ে আবির ল্যাপটপের দিকে তাকালো। ল্যাপটপটা নিয়ে আবির সেটার স্ক্রিনে তাকালো। স্ক্রিনে তাকিয়ে আবির ওর জিহ্বায় কামড়ে মুচকি হেসে মনে মনে বলে উঠে_
” ওহ্! এই কাহিনী তাহলে?”

সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকাবৃন্দ__
নীলিমা ঠিক তখন’ই চোখ বোজে যখন মুভির হিরো তার হিরোইনকে অকস্মাৎ জাপটে ধরে লিপকিস করা শুরু করে। চোখ বোজার পরও বার বার ওর মনের ক্যানভাসে ভাসছিল ঐ দৃশ্যটা। কেন জানি, ভিতরের মুহূর্তেই অস্থিরতা শুরু হলো। আর তাই নীলিমা চোখ বোজেও ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে।

আবির:- কি হলো?!!!???
নীলিমা:- আমি ঘুমাবো।

নীলিমা সোফা থেকে দৌঁড়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে।
আবিরও মুচকি হেসে নীলিমার পাশে গিয়ে শুয়ে পরল। নীলিমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে চোখ দুটো বন্ধ করে আবির। এদিকে নীলিমা?!!!
ওপাশ থেকে আবিরের দিকে ফিরে। আবিরের ঠোঁটের খুব কাছে হাত নিয়ে গিয়ে হাতটা পিছিয়ে আনে নীলিমা। কিছুক্ষণ পর একটা ছোট্ট হাসি দিয়ে আবিরের ঠোঁটের দিকে নীলিমা ওর ঠোঁটজোরা নিয়ে যায়। ঠোঁটগুলো বিকৃত করে নীলিমা যে’ই না আবিরের ঠোঁটে ঠোঁট লাগাতে যাবে, ওমনি আবির চোখ মেলে তাকাই। নীলিমাকে ওভাবে দেখে আবির চোখ বড় বড় করে নীলিমার দিকে তাকালো।নীলিমা ইয়ে মানে বলে লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে বসে।

আবিরও শুয়া থেকে উঠে বসে নীলিমাকে বলে__
” কি করছিলে?”
নীলিমা ভয়ে অন্য দিকে ফিরে তাকাই।
আবির আবারো জিজ্ঞেস করে কি হলো? কি করছিলে???
নীলিমা ওদিকে মুখ করে’ই বলে কিছু না….
আবির আবারো বলে__
” সত্যি করে বলো মতলব কি?”
নীলিমা কোনো কথা না বলে চুপ করে বসে আছে ওদিকে তাকিয়ে।

আবির:- এই দেখো! আমি কথা বলছি আর ওনি অন্যদিকে ঘুরে বসে আছে।??
এদিকে তাকাও বলছি….??

নীলিমা ভয়ে ভয়ে আবিরের দিকের তাকাই।
আবির:- সত্যি করে বলো তো কি করতে চাইছিলে???
নীলিমা:- ফুঁ।
ফুঁ দিচ্ছিলাম। আপনার চোখের পাতায় মাছি এসে বসেছিল, যদি আপনার ঘুম ভেঙে যায় তাই ফুঁ দিয়ে মাছি তাড়াচ্ছিলাম।
আবির:- মিথ্যে কথা বলো কেন?
তুমি ফুঁ নয়,চোঁ করছিলে। আমি স্পষ্ট দেখেছি তোমার ঠোঁট এরকম বাকা হয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছিল। কি???
এবারো মিথ্যে বলবে??????
এবার তো অন্তত সত্যিটা বলে দাও। বলো যে তোমার মতল….(….)…..???

আবির সম্পূর্ণ কথা বলতে পারেনি।
তার আগেই নীলিমা ওর ঠোঁট দ্বারা আবিরের মুখটা বন্ধ করে দেয়। নীলিমা আবিরের ঠোঁট….(………)….???

মিনিট দু’য়েক পর নীলিমা ছেড়ে দেয় আবিরকে।
নীলিমা:- এবার হলো? এই করতে চাইছিলাম আমি আপনাকে…..

আবির হতভম্ব হয়ে নীলিমার দিকে তাকিয়ে আছে।

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে