গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০৪)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
আমি বুঝতে পাড়িনা মীম শ্যালোর কথা শুনলে এমন করে কেনো? আর মীম তো আমাকে লাভ করেনা? মীম তো কত বার বলছে রাসেলকে ভালোবাসে। তাহলে মীম শ্যালোর নাম শুনলে চেহারাটা কালো করে চলে যাই কেনো? এই কথা গুলো ভাবতেছি তখনি মহারানি হাজির।
মীম: এই যে তুমি এখনো এখানে কি করছো? নাস্তা খাবে নাকি সারাদিন উপশ থাকবে?
আমি: খাবো তো তুমি যাও আমি নিছে আসছি।
মীম: নিছে গিয়ে কি করবে?
আমি: নাস্তা খাবো।
মীম: নাস্তা কোথায় পাবে?
আমি: কেনো তুমি নিজে বানিয়ে নিজে সব সামাল দিয়েছো?
মীম: আমি নাস্তা বানায়নি আর আমি কোন কিছু রান্না করতে পারিনা।
আমি: যাক বাবা বাচা গেলো।
মীম: বাচলে কেনো?
আমি: কারন তুমি আমায় হাজবেন্ট হিসাবে মাননা। রাসেলের যে কি হবে আল্লাহ মালুম।
মীম: এই একদম ভালো হবেনা কিন্তু একেবারে খুন করে ফেলবো।
আমি: এই তুমি কথায় কথায় খুন করবে বল কেনো জীবনে একটা মশা মারনি মনে হয় আমি নিছে গিয়ে হোটেল থেকে নাস্তা কিনে আনি। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে বাসায় নাস্তা বানানো যাবেনা।
মীম: কাওকে খুন করি আর না করি তবে তোমাকে ঠিকই খুন করবো। আর শুন কষ্ট করে নাস্তা বাসায় আনতে হবেনা আমরা একটা রেস্টুরেন্ট গিয়ে নাস্তা করবো।
আমি: আচ্ছা যাও তাহলে আমি অফিসে গিয়ে কিছু খেয়ে নেবো।
মীম: অফিসে কেনো আমি কি তাহলে একা যাবো?
আমি: কেনো রাসেল আছেনা।
মীম: জ্বি না আমি তোমার সাথে বেরহবো আর আজ তোমাকে অফিসে যেতে হবেনা সন্ধায় আম্মু আব্বু আসবে তাই আমরা দুজনে আজ সারাদিন ঘুরবো আর আনন্দ করব। (আমি মীমের কোনো কথা বুঝতে পারতেছিনা। তবে কি মীম আমায় ভালোবেসে ফেলছে নাকি অভিনয় করতেছে? কিন্তু এখানে তো কেও নাই) এই সৌরভ তারা তারি রেডিহও।
আমি: ওকে অফিসের বস্ কে একটা কল করে ছুটি নিয়ে নিলাম। মীম নেবিব্লু চুরিদার পড়ছে যা লাগছে এমনিতে অনেক সুন্দর নতুন করে তিলটার কথা আর কি বলবো।
মীম: তুমি আজ নেবিব্লু সাটটা পড়বে তোমাকে ঐ সাটটা অনেকটা সুন্দর লাগে আজ কিন্তু বাইকে যাবোনা গাড়ি করে যাবো।
আমি: গাড়ি কে চালাবে।
মীম: আম্মু বলছে তুমি নাকি ড্রাইব করতে পারো?
আমি: আচ্ছা চলো গাড়ি করে যাবো আমরা। তারপর দুজনে গাড়িতে বসলাম। আমি মীমকে দেখে যাচ্ছি আর মীম আমাকে অবশেষে একটা রেস্টুরেন্ট সামনে মীম গাড়িটা থামাতে বললো। আমি থামালাম তারপর গাড়ি থেকে নামলাম তখনি।
মীম: ধন্যবাদ আমাকে এখানে পৌছে দেওয়ার জন্য। এবার তুমি আসতে পারো? ( আমি পুরাই শক ওর কথা শুনে)
আমি: কি বললে আমি কোথায় যাবো? আমি তো তোমার সাথে আসছি।
মীম: আসছো তো কি হয়ছে? আর এখানে রাসেল আছে আমি আজ সারাদিন ওর সাথে সময় কাটাবো।
আমি: তাহলে আমাকে আনার কি দরকার ছিলো?
মীম: আমি ড্রাইব করেত পারিনা বলে তোমাকে সাথে আনছি। আর তোমার সাথে এই নাটকটা করতে হলো। ওকে বাই আমি যাই, আর তুমি সারাদিন একা একা ঘুরতে থাকো একটা হাসি দিয়ে হি হি হি।
আমি: একা একা ঘুরবো কেনো আমার শ্যালো আছেনা নাও ধরো।
মীম: কি এই গুলো?
আমি: তোমার মেডিসিন মনে করে খাবে কিন্তু তা না হলে আবার জ্বর আসতে পারে ডাক্তার বলছে এই বলে আমি গাড়িতে উঠে বসলাম। আর মীম রেস্টুরেন্ট ভীতরে গেলো আমি শ্যালকে একটা কল করে বলাম হাতিরঝিলে চলে আসতে। আজ সারাদিন একসাতে ঘুরবো। আমি দাড়িয়ে আছি গাড়িটার পাশে একটু পর শ্যালো আসছে একটা সাদা চুরিদার পরে। চুল গুলো ছারা আমি তাকিয়ে দেখছি চোখ সরাতে পারতেছনা। শ্যালো কাছে আসতে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমি অবাক হয়ে বললাম কি হলো জড়িয়ে ধরলে হঠাত।
শ্যালো: তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে মেয়েরা যেবাবে তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে কুনজর লাগছে তাই জড়িয়ে ধরে কুনজর গুলোকে দুর করে দিলাম।(ওর কথাশুনে আমি হাসতেছি) হাসার কি হলো? চলো আজ আমরা বুসন্ধরা সিনেপ্লেক্স মুভি দেখবো।
আমি: তার আগে কিছু খাবো আর মুভি দেখবো পড়ে।
শ্যালো: ওকে চলো আজ শ্যালোকে নিয়া সারাদিন অনেক সময় কাটালাম আর মুভি দেখলাম শ্যালো আজ অনেক খুশি। তারপর শ্যালকে বাসার সামনে নামিয়ে দিলাম। আর কাল দেখা করবো বলে আসতেছি তখনি আমাকে জড়িয়ে ধরে উম্মমা, উম্মমা,উম্মমা, মানে তিনটা কিস করলো। দু গালে দুইটা আর কপালে একটা।
আমি: আজ তিনটা করলে কেনো?
শ্যালো: আমার সব আবদার আর সারাটা দিন আমার সাথে কাটানোর জন্য। ওকে বাই এই বলে শ্যালো বাড়ীর ভীতরে চলে গেলো। আর আমি আমার বাসায় মানে শ্বশুর বাড়ীতে চলে আসলাম। তখন রাত ৯টা ৩০ বাজে এসে দেখি আন্টিরা চলে আসছে মানে শ্বাশুরিরা। আমি শ্বশুরের সাথে একটু মতবিনিময় করে নিলাম। আর ওনার কাছ থেকে বিদায় নিয়া রুমে গেলাম। দেখি মীম রুমে নাই কি হলো মীম এখনো আসেনি নাকি? কিন্তু ওতো এত দেরি করার মেয়ে নয়। যাই আগে আমি ফ্রেস হয়ে নেই। তারপর মীমের খবর নেবো আমি ফ্রেশ হলাম তাও মীম আসেনি তখনি কাজের মেয়েটা চা নিয়া রুমে আসছে। ভাইয়া আপুকে খুচ্ছেন? হ্যা, না, কোথায় তোর আপু? ছাদে আছে, এই বলে ও চলে গেছ। আমি ছাদে গেলাম মীমকে খুজতে, দেখি ও ব্যাঞ্চে বসে অাছে।
আমি: কি ব্যাপার এখানে বসে আছো কেনো এমনিতে তোমার শরীর ভালোনা? আবার শীতে এখানে বসে আছো চলো নিছে যাবে।
মীম: তুমি যাও আমার ভালো লাগছে না।
আমি: কি হয়ছে মন খারাপ আর কখন বাসায় আসছো?
মীম: তোমাকে কয়ফত দেবো কেনো তুমি আমার কে হও? আর যাও আমাকে একটু একা থাকতে দাও। আমার ভালো লাগছেনা বলছিত কেনো বিরক্ত করছো?
আমি: রাসেলের সাথে কিছু হয়ছে?
মীম: না কিছু হয়নি তুমি এবার যাবে নাকি।
আমি: তোমাকে এই শীতে একা রেখে আমি কোথাও যাবোনা। এই বলে মীমের হাত ধরে বললাম চলো রুমে যাবে? আর তখনি ঠাস মানে আমাকে একটা থাপ্পড় মারলো। আর আমি আমার গালে হাতদিয়ে ধরে দাড়িয়ে রইলাম। আর মীম এবার হয়ছে? বলে চলে গেল আমি তাকিয়ে রইলাম মীম চলে গেলো। হঠাত ঠোটে ব্যাথা অনুবব করলাম হাত দিয়ে দেখি রক্ত পড়ছে। বুঝতে পারলাম মীম যে থাপ্পড়টা দিছে তার জন্যা ঠোট কেটে রক্ত পড়ছে। তখনি কাজের মেয়েটা বলে ভাইয়া খাবার খাওয়ার জন্য খালাম্মা ডাকছে। তুই যা আর আন্টিকে বলিস। আমি এক বন্ধুর বাসায় গেছিলাম ঐ খান থেকে খাইয়া আসছি। এখন আর খাবোনা আর খিদা লাগলে পড়ে খাবো। ঠিক আছে ভাইয়া এই বলে কাজের মেয়েটা চলেগেলো।হঠাত মোবাইলটা বেজে উঠলো হাতে নিয়া দেখি শ্যালোর নাম্বার। হ্যালো কেমন আছো শ্যালো?
শ্যালো: ভালো তুমি কেমন আছো?
আমি: ভালো কি করছো?
শ্যালো: কিছুনা কল করছি একটা কথা বলবো বলে
আমি: বলো কি কথা ?
শ্যালো: আমি কাল নানুর বাড়ীতে যাবো আম্মুর সাথে নানুর শরীর খারাপ আসতে দু তিন দিন সময় লাগবে।
আমি: ঠিক আছে কাল কখোন যাবে?
শ্যালো: বিকালে যাবো।
আমি: আচ্ছা মোবাইল সাথে নিও। আর পৌছানোর পর একটা কল করবে মনে করে।
শ্যালো: ওকে (উম্মমা) কিস করে রেখে দিলো। আমি ছাদের উপর ব্যাঞ্চে বসে আছি আর হাত দিয়ে গাল ডলতেছি গালে হাতের দাগ বসেগেছে। এইটা নিয়া কারো সামনে যাওয়া যাবেনা। একটু বসি তারপর যাবো রুমে। এই ভাবতেছি আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নাই সকালে ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙলো। চোখ মেলে দেখি আমার গায়ের উপর কম্বল মাথায় বালিশ। আমি তো পুরাই অবাক, এইগুলো কে দিলো রাতে অবশ্য কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে ছিলাম গালে। কিন্ত ঘুমে বিবোর থাকার কারনে ঠিক মনে করতে পারছিনা কে ছিলো। আরে ঠোটের ব্যাথাটা এখন আর নাই। ঠোটে এইসব কি দেখি তো। আরে এইতো মলম জাতীয় কিছু হবে। এর মানে রাতে আমার কাছে কেও একজন এসেছিলো কিন্তু কে হবে? যাক আগে নামাযটা পড়ে আসি। আমি ফজরের নামায পড়তে মসজিদে গেলাম। তারপর নামায পড়ে রাস্তায় একটু হাটলাম। সকালের পরিবেশটা উপবোক করে বাসায় আসছি দেখি বাসার কেও এখনো ঘুম হতে উঠেনি। আমি রুমে গেছি দেখি মীম ঘুমাছে আসতে করে বাথরুমে চলে গেলিম ফ্রেসহতে। কিছুক্ষন পর ফ্রেসহয়ে বাথরুম থেকে বের হলাম দেখি মীম ঘুমিয়ে আছ। কি বেপার মীম আজ এখনো ঘুমিয়ে আছে কেন? ডাকবো নাকি,,,,না থাক মীম হয়তো অনেক রাত পর্যন্ত রাসেল সাথে কথা বলছে। তাই হয়তো ঘুমিয়ে আছে। আমি রেডি হয়ে নিছে নামবো তখনি।
মীম: এই তুমি কোথায় যাচ্ছো?
আমি: অফিসে আর তুমি না ঘুমিয়ে ছিলে?
মীম: ঘুমের বান করে শুয়ে ছিলাম আর দেখছি তুমি আমায় ডাকো কিনা? কিন্ত তুমি তো আমায় ডাকোনি,, কিন্তু কেনো?
আমি: তুমি তো ঘুমাচ্ছো তাই ডাক দিলামনা?
মীম: আমি জানি কেনো তুমি ডাকোনি কাল রাতে আমি তোমাকে থাপ্পড় দিয়ে ছিলাম। তাই তুমি রাগ করছো আমার সাথে?
আমি: না রাগ করিনি আর আমি রাগ করবো কার সাথে তুমি আমার কে তোমার সাথে রাগ করবো?
মীম: জানি তুমি আমার কেওনা। আসলে কাল রাতে আমার মনটা একদম ভালো ছিলনা। তাই রাগের মাথায় তোমাকে থাপ্পড় মেরে দিয়েছি তার জন্য সরি।
আমি: হ্যা বুঝতে পেরেছি। আসলে আমার বুঝার উচিত ছিলো। আচ্ছা কাল কি রাসেলের সাথে কিছু হয়ছে,,?
মীম: রাসেল যেনে গেছে তোমার আমার বিয়ের কথা। তাই আমার সাথে অনেক ঝগড়া হয়ছিলো কাল রেস্টুরেন্ট।
আমি: তার জন্য কাল সকালে তোমাকে যেতে বলছে রাসেল?
মীম: হ্যা তবে রাতে সব বুঝিয়ে বলছি। এখন সে সবকিছু মেনে নিছে। তবে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।
আমি: কি কাজ?
মীম: আমি বলছি তুমি শ্যালোকে লাভ করো। আজ তুমি আর শ্যালো আমার সাথে রাসেলের সামনে গিয়ে সব বলবে।
আমি: বলতে পারি আমার একটা শর্ত আছে?
মীম: কি শর্ত বলো?
আমি: আগে ওয়দা দাও?
মীম: ওয়াদা দিলাম তুমি যা চাইবে তাই পাইবে আমার শুধু রাসেলকে চাই এবার বলো কি শর্ত?
আমি: না থাক সময় হলে চাইবো এখন তুমি তারাতারি রাসেলকে কল করো। কারন শ্যালো আজ বিকালে ওর নানুর বাড়ীতে যাবে আসতে তিনদিন সময় লাগতে পারে।
মীম: ঠিক আছে দিতেছি তুমি শ্যালোকে কল করে ঐ রেস্টুরেন্ট চলে আসতে বলো আমি রাসেলকে আসতে বলছি।
আমি শ্যালোকে কল করে আসতে বলছি। আর শ্যালো রাজি হয়ছে আর রাসেল আসতেছে যাক আজ সব জামেলা শেষ হবে। আমি আর মীম তারাতারি করে বের হলাম বাসা থেকে তখনি
শ্বাশুরি: এই মীম তুরা এত তারাহুরা করে কোথায় জাস নাস্তা করে যা।
মীম: না আম্মু আমরা আজ নাস্তা বাহিরে করবো এই বলে চলে আসছি
আমি: মীম বাইকে যাবো আমি তুমি কিভাবে যাবে?
মীম: কেনো তোমার সাথে বাইকে করে।
আমি: আমি ঐ খান থেকে অফিসে যাবো তুমি বাসায় আসবে কিভাবে?
মীম: রাসেলকে বলবো নামিয়ে দিতে আমি কলেজ যাবো ঐ খান থেকে।
আমি: নাও হ্যামল্টেটা পড়ে বসো বাইকে।
মীম: তুমি আমাকে হ্যামল্টেটা পড়িয়ে বাইকে বসাও কেনো?
আমি: তুমি বুজবেনা বসো এখন দেরিহয়ে যাবে মীম বাইকে বসছে। আচ্ছা মীম তুমি কাল রাতে ছাদে গেছিলে? আমার গায়ে কম্বল মাথায় বালিশ ঠোটে ঔষধ দিয়েছো?
মীম: না আমার এত সময় নেই।
আমি: তাহলে শ্যালো আসছিলো মনে হয়ে। আমার ঘুম ভেঙ্গে যাবে তাই ডাকেনি,,(রাগাবার জন্য বলছি)
মীম: কি বলছো শ্যালো আসছিলও।
আমি: হ্যা
মীম: আমি দিয়ে আসছি এই সবকিছু বুঝলে হাদারাম? যখন দেখি রাত ১টা বাজে তুমি রুমে আসোনি তখন আমার খুব খারাপ লাগছিলো। আর ছাদে গিয়ে দেখি তুমি ঘুমে বিবোর তাই ডাক না দিয়ে এই গুলো করে চলে আসছি।
আমি: তাহলে তোমার আমার জন্য খারাপ লাগে। ভালো এবার নামো আমরা চলে আসছি। তখনি দেখি রাসেল আর শ্যালো দাড়িয়ে আছে। আমাদের দেখছে যে আমরা বাইকে করে আসছি। এর পর আমরা ওদের সাথে হায় হ্যালো করে রেস্টুরেন্ট ভীতরে ঢুকলাম।
তারপর আমি যে শ্যালোকে লাভ করি এইটা রাসেলকে বললাম আর শ্যালো রাসেলকে বলছে। তাতে রাসেল একটু চুপ থাকার পর রাজি হলো। আমরা কিছু খাওয়া দাওয়া করলাম,,আজ বিলটা আমি দিলাম।
আমি: চলো যাওয়া যাক
মীম: হ্যা চলো রাসেল তুমি আমাকে একটু কলেজে ড্রপ করে দিবে?
রাসেল: না মীম আমার হাতে একদম সময় নেই। আব্বুর সাথে দেখা করতে হবে। তুমি একটা রিক্সসা করে চলে যাও না প্লিজ।
মীম: ওকে।
আমি: শ্যালো চলো তোমাকে আমি বাসায় ড্রপ করে দেয়।
শ্যালো: না লাগবেনা, আমি গাড়ি নিয়া আসছি। আমি একা যাবো তুমি অফিসে চলে যাও?
আমি: ওকে চলো আমরা সবাই বাহিরে চলে আসছি। শ্যালো ওর গাড়তে উঠে বসছে আর রাসেল তার গাড়িটা নিয়া চলে গেলো। আমি আমার বাইকে বসলাম মীম দাড়িয়ে আছে রিক্সসার জন্য। রাসেল আর শ্যালো গাড়ি নিয়া চলে গেলো আমি চলে আসলাম পেছনে তাকিয়ে দেখি মীম দাড়িয়ে আছে। আমি আবার ফিরে গেলাম মীমের কাছে তখনি
মীম: সৌরভ তুমি যাওনি
আমি: না চলো তোমাকে কলেজ ছেরে দেবো।
মীম: তোমার তো দেরি হবে।
আমি: হলে হবে চলো কথা না বলে আর তুমি সারাদিন দাড়িয়ে থাকলে রিক্সসা পাবেনা।
মীম: তুমি কিভাবে জানলে?
আমি: আমি জানবোনা তো কে জানবে?এখন বসো মীম বাইকে বসছে হ্যামল্টেটা ওকে দিয়ে দিলাম।
মীম: শ্যালোর ভাগ্যটা অনেক ভালো তোমার মত একটা ছেলেকে জীবন সাথি পাইবে।
আমি: কে বলছে আমি একটা হাদারাম গ্রামের ছেলে কথা গুলি ঠিকমত গুচিয়ে বলতে পারিনা। আর দেখতে এতটা হ্যান্ডসাম না তাহলে শ্যালো ভাগ্যবান হবে কেনো?
মীম: এত কিছু জানিনা। এখন থামাও নামবো?
আমি: এখানে কেনো? কলেজের গেইট তো আরো সামনে।
মীম: পরে বলবো এখন যাই।
আমি: শুন মীম তোমার আমার ডির্ভোসের জন্য একটা এপ্লিকেশন করতে হবে। কাল করবো তুমি আমার সাথে যাবে মনে থাকে যেনো?
মীম: কেনো এত তারাতারি কি দরকার?
আমি: দরকার আছে শ্যালো আমাকে ৯ মাসের সময় দিছে। আর তার মাঝে প্রায় তিন মাস চলে গেছে। তাই তারাতারি এপ্লাই করে রাখতে হবে। তাই মনে করে কাল আমার সাথে যাবে। আমি চলে যাইতেছি, মীম আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এক দৃষ্টিতে আমি পেছনে তাকিয়ে দেখছি তাও আমি চলে আসলাম অফিসে কাজ করছি মোবাইলটা বেজে উটলো দেখি মীম কল করছে। রিসিব করতেই
মীম: সৌরভ তুমি তারাতারি কলেজ চলে আসো।
আমি: কেনো এখন আমার হাতে অনেক কাজ আছে। আসতে পারবোনা। কথা গুলো বলতে পারলাম না কল কেটে গেলো। কি হলো মীম কলটা কেটে দিলো কেনো?
দুর কিছু ভালো লাগছেনা। অফিসের বস্ কে বলে বের হলাম মীমের কলেজের উদ্দেশ্যে। জেমে পরে আছি মীমকে কল করছি অনেক বার কিন্ত মোবাইল অফ টেনশন বেরে গেছে। মীম তো কখনো এমন করেনা যাক ৪০মিনিট পড়ে কলেজের সামনে আসলাম। দেখে তো অামি অবাক, আর অনেক রাগ হচ্ছে। মীম আমাকে দেখে ওর বান্ধবীদের সাথে হাসা হাসি করছে। ওর বান্ধবীরা বলছে কিরে তোর হাজবেন্ট দেখি চলে আসছে। কিন্ত তোর বয়ফ্রেন্ড তো এখনো আসছেনা অামি কাছে গেলাম তখনি।
মীম: এই তোরা চুপ করবি।
আমি: কি হলো মীম তুমি আমাকে কলেজ আসতে বলছো কেনো? আর তোমার মোবাইল কয় এইটা বন্ধ কেনো কি হলো কথা বলছোনা কেনো?
বান্দবী একটা ভাইয়া রাগ করছেন কেনো? মীম আমাদের বলছে আপনাদের ব্যাপারে সবকিছু। তখন আমরাই মীমকে বলছি আপনাকে আর রাসেলকে একটা কল করতে। আর মোবাইলটা আমরা বন্ধ করে রেখিছে এই দেখুন। এখন আমরা বুঝতে পারছি মীমকে কে বেশি ভালোবাসে। কিরে মীম তোর লাভার কয় যাকে তুই এত লাভ করিস। এই মীম নে তো রাসেলকে আরেকটা কল করে দেখত কোথায় আছে?
মীম: না থাক দিতে হবে না। ও আসবেনা চেহেরাটা কালো করে। আসলে ও আমাকে আগের মত ভালোবাসেনা।
আমি: হয় তো কোন কাজে আছে তাই আসতে পারেনি।
বান্ধবী : ভাইয়া আপনি কোন কথা বলবেন না। মীম তুই একটা কল করে নে, বান্ধবীরা জোর করাতে মীম রাসেলকে কল করছে রাসেল কল রিসিব করছে।
মীম: কোথায় তুমি তোমাকে না বললাম কলেজে আসতে আসলে না তো? (রাসেল কি বললো জানিনা তবে মীম আচ্ছা বলে কল কেটে দিলো,,)
বান্ধবী : কিরে কয় আছে?
মীম: বাসায় ঘুমাচ্ছে,,আর আসতে পারবেনা এখন।
আমি: আসলে আমি কিন্তু মীমকে ভালোবাসিনা। আমি শ্যালো নামের একটা মেয়েকে লাভ করি। আচ্ছা মীম তুমি বাসায় চলে যাও। আমি অফিসে যাবো হাতে একটু কাজ আছে তখনি মীমের বান্ধবী বলে
বান্ধবী: আমাদের কি বোকা পাইছেন আমরা কিছু বুঝিনা এই চল আমরা যা বুঝাার বুঝে গেছি এই বলে চলে গেলো সবাই,,,
মীম: আমি একা যাবো কিভাবে? তুমি আমাকে বাসায় দিয়ে আসো?
আমি: পারবোনা তুমি যাও আর তখনি মীম আমার পেছনে বাইকে বসে পরছে।
মীম: এবার তুমি যেখানে যাবে আমি তোমার সাথে যাবো।
আমি: তুমি তো আমাকে তোমার হাজবেন্ট মাননা। তারপর ও আমার উপর এমন জোর খাটাও কেনো?
মীম: যতদিন তোমার আমার ডির্ভোস না হচ্ছে। ততদিন একটু জোর খাটাতে হবে। আর কাল যদি এপ্লিকেশন করি তাহলো তো ৪ মাসের মধ্যে আমাদের ডির্ভোস হয়ে যাবে।
আমি: হ্যা হবে তখন আমি বাচবো আর ফ্লোরে ঘুমাতে হবেনা। শ্যালোর সাথে এক খাটে আর তখন কোল বালিশের প্রয়োজন হবেনা।
মীম: কোল বালিশের প্রয়োজন পরবেনা কেন?
আমি: এত কিছু বুঝিয়ে বলতে পরবোনা। আর তুমি বাচ্ছা নাকি সবকিছু বুঝিয়ে বলতে হবে।
মীম: ও বুঝিছি কেনো দরকার হবেনা।
আমি: ভালো করছো এবার নামো বাসায় এসেগেছি।নেমে চলে যেতে লাগলো মীম এই আমার হ্যামল্টেটা দিয়া যাও?
মীম: কেনো তুমি বাসায় আসবানা?
আমি: না অফিসে যেতে হবে আর আজ নাও আসতে পারি বাসায়। অফিসে অনেক কাজ এইগুলো আজকের মধ্যে শেষ করতে হবে। আর তুমি আন্টিকে বলে দিয়ও। এই বলে অফিসে চলে আসলাম, কাজ করছি কখন রাত ১১টা বেজে গেছে বলতে পারিনাই। মোবাইলটা বাজতেছে হাতে নিয়া দেখি শ্যালোর নাম্বার।
আমি: হ্যালো কেমন আছো।
শ্যালো: ভালো আমি নানুর বাসায় আসছি এখন রাখি পরে কথা হবে। রাখি উম্ম্মা কিস করে রেখে দিলো। শ্যালো সত্যি আমাকে অনেক লাভ করে ওকে কোন দিন কষ্ট দিতে পারবোনা আমি। রাত ১২টা বাজে হাতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তখনি মীমের নাম্বার থেকে কল আসলো।
আমি: হ্যালো বলেন মহারানি কল করছেন কেনো? এইকথা বলাতে কল কেটে দিলো। যাক ভালোই হয়ছে কেটে দিছে আবার কে কল করলো এবার দেখি মীম কল করছে। কি হয়ছে সমস্যা কি তোমার?
মীম: তুমি বাসায় আসবে কখন?
আমি: আসবোনা বলছি না তোমাকে?
মীম: থাকবে কোথায়?
অামি: অফিসে আর এত জেরা করছো কেনো আমি যেখানে থাকিনা কেনো তাতে তোমার কি?
মীম: আমার কিছুনা তবে আমার একা থাকতে ভয় করছে। তার জন্য তোমাকে কল করেছি।
আমি: কেনো তোমার বয়ফ্রেন্ড কয় রাসেলকে কল করো?
মীম: করছি ও ঘুমিয়ে আছে হয়ত তাই কল রিসিব করেনা? আচ্ছা তুমি ডিনার করছো?
আমি: হ্যা করছি,, এখন ফোন রাখো হাতে অনেক কাজ। এই বলে কল কেটে দিলাম। দুর ভালো লাগছেনা বাসায় যাই মীম সত্যি একা অনেকটা ভয় পাই। এর আগের বার জ্বর চলে আসছিলো। এই বলে অফিস থেকে বেরহয়ে গেলাম। বাসায় আসছি রাত ১টা বাজে কলিং বেল টিপদিতে মীম দরজা খুলে দিলো।
মীম: তুমি না বলছো আসবেনা এখন আসলে কেনো?
আমি: তুমি তো বলছ তুমি একা রুমে ভয় পাও তাই চলে আসলাম।
মীম: হ্যা চলো আগে ডিনার করবে।
আমি: ডিনার করে আসছি চলো রুমে যাই?
মীম: আজ আমি রান্না করছি তোমার জন্য। প্লিজ চলো আর আমি কিছু খায়নি তোমার সাথে খাবো বলে।
আমি: কি তুমি এখনো খাওনি? আর আমি যদি না আসতাম তাহলে কি তুমি না খেয়ে থাকতে?
মীম: জি না আমি এখন খাইতাম এই চলো অামরা দুজনে খানার টেবিলে গিয়ে বসলাম নাও তুমি আগে শুরু করো।
আমি: তুমি বসো
মীম: তুমি খাওনা আমি পরে খাচ্ছি।
আমি: মুখে দিলাম (ওরে বাবারে কে খাবে এই খাবার লবন নাই আর তরকারি কি জাল মনে মনে বললাম) তাও খাচ্ছি কারন আমার জন্য রান্না করছে এত কষ্ট করে।
মীম: রান্না কেমন হয়ছে
আমি: অনেক ভাল
মীম: সত্যি তাহলে আমি খেয়ে দেখি।
আমি: না আমার অনেক খিদে পাইছে। আমি একা খাবো তুমি ফ্রিজ থেকে অন্য তরকারি গরম করে নিয়া খাও।
মীম: না আমি নিজে রান্না করছি আমি খাবোনা দাও। এই বলে মীম মুখে দিয়ে আ আ করা শুরু করছে।
আমি: পানি খাও তারা তারি করে পানি দিলাম আর ফ্রিজ থেকে মিষ্টি এনে দিলাম একটু পর।
মীম: তুমি এত জ্বালটা খেলে কিভাবে? আর লবন দেওয়া হয়নি।
আমি: তুমি বলছো না আমার জন্য রান্না করছো তাই। চলো অনেক খানা খেলাম এবার রুমে যাই। চলো দুজনে রুমে আসলাম ফ্রেস হয়ে শুয়ার জন্য বালিশ আর চাদর নেবো তখনি।
মীম: কোথায় যাও?
আমি: ভয় নেই বাহিরে যাবোনা। শুধু ফ্লোরে যাচ্ছি
মীম: ও আমি ভাবলাম তুমি বাহিরে যাবে।
আমি: না এখন ঘুমাও সকালে উঠে উকিলের কাছে যেতে হবে।
মীম: কেন?
আমি: ভুলে গেলে কাল এপ্লিকেশন করতে হবে ডির্ভোসের জন্য?
মীম: তুমি যাও আমি যাবোনা এই বলে শুয়ে পরলো
আমি: কেন যাবেনা?
মীম: এখন ঘুমাও সকালে দেখা যাবে কি হবে।
To be continue,,,
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???