গল্প:-লাভ_ইউ পর্ব:-(০২)
লেখা_AL Mohammad Sourav
!!
বাসর ঘরে বউকে দুধের গ্লাস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি বাসর ঘর থেকে বেড়িয়ে আসতে ছিলাম তখনি পেছন থেকে আমার ক্লার টেনে ধরেছে! তখনি বুঝতে পারছি আমার কপালে শনির দশা আছে! মীমকে এমন ভাবে দেখে আমি বুঝেছি আজকে আর বাসর হবে না!
মীম:- বলেছি না আমাকে বিয়ে না করতে তাও করেছো কেনো? এবার বিষ খান কেমন!
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
আমি:- ঠিক আছে ক্লার ছাড়ুন মীম ক্লার ছেড়ে দিছে! আমি মীমের দিকে তাকালাম! দুধের গ্লাসটা এগিয়ে দিছে আমার দিকে! আমি কোনো কথা না বলে হাত থেকে গ্লাসটা নিলাম! আচ্ছা কিছু কথা বলি এরপর খেয়ে নিবো কেমন!
মীম:- হ্যা বলেন মৃত্যুর আগে মানুষের কিছু ইচ্ছে পুরুন করতে হয়! আপনার যেহেতু কিছু কথা বলতে ইচ্ছে হয়ছে তাহলে বলেন!
আমি:- আচ্ছা আমি মরে গেলে আপনার কি লাভ হবে?
মীম:- আমার লাভ হবে কারণ আমি রাসেলকে আপন করে পাবো।
আমি:- যদি আমি রাসেলের কাছে আপনাকে যে দেয়।
মীম:- যদি যেতে দিবে তাহলে বিয়ে করেছো কেনো?
আমি:- বাবা আর ভাইয়ার জন্য! আমাকে বিশ্বাস করেন আপনার কোনো ক্ষতি করবো না! আপনি যদি চান তাহলে আমাকে ডির্ভোস দিয়ে চলে যেতে পারবেন আমি চোখ বুঝে সাইন করে দিবো!
মীম:- তাহলে আমাদের ডির্ভোসের জন্য দৌরা দরি করে করবে?
আমি:- আমি সব করবো আপনি কোনো চিন্তা করবেন না!
মীম:- পাক্কা তো?
আমি:- হ্যা পাক্কা! তখন আমি দুধের গ্লাসটা নিচে রেখে দিয়েছি। মীম বসে বসে ভাবছে তখনি আমি বলি! আচ্ছা আপনার বিয়ে হয়ে গেছে যেনেও কি রাসেল আপনাকে বিয়ে করতে চাইবে পরে?
মীম:- আমার যদি দশটা বিয়ে হয় তাও রাসেল আমাকে বিয়ে করতে চাইবে! কারণ রাসেল জানে তার মীম কোনো ছেলেকে পাত্তা দিবে না! আর কাছে তো দুরের কথা! তাও তোমাকে দেখাচ্ছি বলে মোবাইলটা বের করে ফোন করেছে! রিং হতেই রিসিভ করেছে!
রাসেল:- জানু বলদটা কি মরে গেছে নাকী এখনো ছটফট করছে?
মীম:- নাহ বাবু এখনো মরেনি তবে বলদের সাথে আমার একটা চুক্তি হয়েছে! বলছে আমাকে ডির্ভোস দিবে এক মাসের মধ্যে!
রাসেল:- যাক তাহলে ওকে মেরে আর তুমি অপারাধী হতে যেয়োনা!
মীম:- জানু কি করছো তুমি?
রাসেল:- এই তো শুয়ে শুয়ে তোমার ছবি গুলি দেখছি!
আমি:- আচ্ছা তাহলে আপনি কথা বলেন আমি ঘুমায় কেমন। আমি খাঠের উপর শুয়ে পড়েছি তখনি মীম ফোনটা কেটে দিয়ে আমার কাছে এসে বলে!
মীম:- ঐ তুমি খাঠের উপর শুইতে যাচ্ছো কেনো? তুমি এই রুমে থাকতে পারবে না যাও এখুনি বেড়িয়ে যাবে!
আমি:- দেখুন আপনি যা বলছেন তা সম্ভব না কারণ আমি বাহিরে থাকলে বাড়ির সবাই বুঝে যাবে আর তখন আমাদের আরো ঝামেলা হবে! তার চাইতে বরং আমাকে আপনার বিশ্বাস করাটা বেটার হবে! আমি কথা দিতেছি আপনাকে ভুল করেও স্পর্শ তো দুরের কথা কখনো শরীর দিকে তাকাবো না!
মীম:- কথা গুলি মনে থাকবে তো?
আমি:- হ্যা মনে থাকবে! আমি শুয়ে পড়েছি মীম পাশে শুয়ে পড়েছে! আমি কোনো কিছু না ভেবে অন্য দিকে মুখ করে শুয়ে রইলাম আর কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই! সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বেলা ১০ টা বাজে! আমি উঠে ফ্রেশ হতে যাচ্ছি তখনি মীমের দিকে চোখ পড়েছে! মীমকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে আমি কিছুটা তাকিয়ে চলে গেলাম ওয়াশ রুমে! ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি মীম বসে আছে! শুভ সকাল মেম!
মীম:- শুভ সকাল! আমি আজকে একটু বেরুবো রাসেলের সাথে দেখা করতে হবে আমার!
আমি:- ঠিক আছে! আমি রুমে বসে মোবাইলে গেইম খেলা করছি আর মীম ফ্রেশ হতে গেছে! অনেক্ষন পর মীম ফ্রেশ হয়ে বের হয়েছে! তখনি ভাবি এসেছে!
ভাবি:- সৌরভ এসো খাবার খাবে!
আমি:- হ্যা আসছি! ভাবি মীমকে সাথে নিয়ে গেছে আমি কিছুটা পর গেলাম! মা মীমের সাথে কথা বলছে মীমের চেহারাটা কেমন কালো করে রাখছে!
মা:- বড় বউ সব কাজ ছোট বউকে বুঝিয়ে দিবে! এখন থেকে তোমরা দুজনে সংসার সামলিয়ে নিবে! আর হ্যা এর মানে এই না যে আমার অনুমিত ছাড়া কেউ বাড়ির বাহিরে যেতে পারবে না! যদি কোথাও যাও তাহলে তাদের স্বামীকে তো সাথে নিবেই দরকার হলে আমিও যাবো কিন্তু একা কোথাও যাওয়া যাবে না!
ভাবি:- মা আমি তো আপনার সব কিছু মানি আর মীমও মেনে চলবে তাইনা মীম?
মীম আমার দিকে তাকিয়ে আছে! আমি চোখ মেরেছি তখন মীম বলে! ঠিক আছে আমিও মেনে চলার চেষ্টা করবো!
বাবা:- শুনো বউ মা যদিও তোমার বাবার সাথে আমার সম্পর্ক খারাপ ছিলো! কিন্তু তোমার সাথে আমার সম্পর্ক থাকবে বাপ মেয়ের মত তোমার যদি কোনো সমস্যা হয় সবার আগে আমাকে জানাবে কেমন?
মীম:- ঠিক আছে!
আমি:- আচ্ছ নাস্তা খানা তো শেষ হয়ছে এখন আমরা একটু বেরুবো!
মা:- আমরা মানে বুঝলাম না কথাটা। বাড়ির সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাবি নাকী?
আমি:- নাহ আমি আর মীম! আমার কিছু কাজ আছে আর মীমের নাকী কলেজে কি কাজ আছে!
মা:- মীমের কলেজে কাজ আছে মানে? আমি তো বলেছি বিয়ের পর মীমকে আর পড়া লেখা করাবো না! আর মীমের বাবা আমার শর্তে রাজি হয়ছে বলেই আমি বিয়েটা করিয়েছি! মীম তুমি পড়া লেখা করার কোনো দরকার নেই! এখন থেকে সংসারের দিকে মনোযোগী হও!
মীম:- কিন্তু আমি তো বলছি পড়া লেখা করবো আর তাছাড়া আমাকে তো কেউ বলেনি পড়া লেখা অফ করতে হবে বিয়ের পরে! যদি জানতাম তাহলে আমিও বিয়েটা করতাম না!
বাবা:- আচ্ছা তুমি কি পড়া শুনা করতে চাও?
মীম:- জ্বি!
বাবা:- ঠিক আছে করো! তবে তোমার কিছু শর্ত মেনে কলেজে যেতে পারবে!
মীম:- কি শর্ত?
মা:- শর্ত গুলি আমি বলছি! তুমি কলেজে যাবে আর সেখানে গিয়ে কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে পারবে না! আর তোমার সাথে রোজ আমিও কলেজে যাবো।
মীম:- আপনি যাবেন মানে?
আমি:- মা আমার মীমর উপর ভরসা আছে তোমরা শুধু শুধু চিন্তা করছো! আমি কথা দিতেছি মীম এমন কোনো কাজ করবে না যাতে করে আমাদের বাড়ির সম্মানে আঘাত আনবে! আমি মীমকে চোখে চোখে রাখবো ঠিক আছে!
মা:- সৌরভ তকে আমি অনেক বিশ্বাস করি আর সেই বিশ্বাসের উপর ভরসা করে মীমকে কলেজে যাবার অনুমতি দিলাম! আমি কিন্তু মীমর উপর নজর দারি রাখবো যদি আমার কাছে কেউ খারাপ কিছু বলে তাহলে কিন্তু দুজনের শাস্তি হবে!
আমি:- ঠিক আছে আমি রাজি আছি! মীম খাবার শেষ করে এসো আমি বাহিরে আছি! মীম আমার দিকে তাকিয়েছে কিছু না বলে বাহিরে এসেছি! কিছুক্ষণ পর মীম এসেছে আমি বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি!
মীম:- বাইকে যেতে পারি সারা রাস্তায় একটাও ব্রেক মারবে না!
আমি:- আমার ঠেকা লাগছে ব্রেক মারতে! এসো মীমকে ধমক দিয়ে বলেছি! মীম দাঁড়িয়ে আছে তখনি মা এসেছে আর মাকে দেখে মীম তাড়াতাড়ি এসে বসেছে! আমি বাইক চালাচ্ছি মীম বসে আছে!
মীম:- সামনে ডানে মুরে যাবেন ঐ খানে গিয়ে সামনে বায়ে চাপিয়ে রাখবেন কেমন?
আমি:- ঠিক আছে! মীম যেখানে বলছে সেখানে গিয়ে রাখলাম! মীম বাইক থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে তখনি দেখি অনেক হ্যান্ডসাম একটা ছেলে এদিকে এগিয়ে আসছে!
মীম:- তুমি এখানে দ্বাড়াও আমি আসছি!
আমি:- ঠিক আছে! মীম সামনে এগিয়ে যাচ্ছে আমি দাঁড়িয়ে আছি তখনি খেয়াল করেছি সি এন জি একটা এসে আমার বাইকের ঠিক পেছনে দাড়িয়েছে! আমি চেয়ে দেখি সি এন জি থেকে মা নেমে আসছে! To be continue,,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/