গল্প :বেয়াদ্দপ পোলা !!!
< <রহস্য>>
Writer : Tannoy(পিচ্ছি ফাজিল)
কলেজ এর বারান্দাই বসে বসে তিটা ফ্রান্স
মিল্লা গান গাইতেছি,
না মানে আমি গাইতেছি বাঁকি দুইটা শুনতেছে।
(বন্দে মায়া লাগাইচে, পিরিতি শিখাইছে দেওয়ানা বানাইছে)
কইতে যা দেরি কে যানি কলার ধরছে।
– ওই কোন হালাই কলার ধরছে রে,
একবার ঘুতে দে নাক ফাটাই দিমু।
হায় হায় কারে কী বইলা ফালাইছি
আমাগো কলেজের পিনসিপাল এর
মাইয়া নিধি।
যেমন রাগি, তেমন সুন্দর আবার তেমনি
জেদি।
– ওই কী কইতেছিলি, আর একবার বল।
– কই কিছু কই না তো, আমি ভয়ে চুপসে
গেছি, পিনসিপাল ও এই মেয়েরে ভয় পায়,
আর আমি তো আম জনতা । হি হি
-তন্নয় তোর সাথে আমার কথা আছে।
– হুমমমমম, চল কী কথা।
ও হ্যা আমি আর নিধি একই সাথে পড়ি।
আর আগে থেকেই ভাল ফেরেন্ড, তবু কেমন
ভয় লাগে।
এই তো জনমানব শূন্য স্থানে চলে আসছি এখন
বল।
– আচ্ছা তুই এমন আমাকে দেখে ভয় করিস
কেন।
– হায় হায় কী বলে মেয়ে, তোর জন্য ২০ টা ছাত্র
এর কপালে এই কলেজ সুট করে নাই।
আমার নামে যদি কমপিলেন করিস
তাইলে আমি কই যামু।
সেই ভয়ে। হি হি।
– ওই ফাজলেমি বাদ দে তো, এখন কই যাবি।
– কোথাও না সোজা বাসাই।
– ও তা হলে নদীর পারে যাবি।
– ওয়াও, আমার কোন কিছুতে মানা আছে নাকি
যেখানে বললি যখন বলবি চইলা যামু।
কিন্তুু।
– আবার কিন্তুু কী।
– আমারে খাওন দিতে হইব, খাওন ছারা
আমার হইব না।
– ওকে ওকে যা যা খাইতে পারবি সব
খাওয়ামু।
– আচ্ছা আজকে হঠাৎ তোর মন এমন কেনরে
হুমমমমম। ‘বফ’ ছ্যাকা দিছে বুঝি।
– ওই হারামি কোনদিন আমি কোন পোলারে পাত্তা দিছি হুমমমমম।
– না দিস নাই তা ঠিক, কিন্তুু আপনার এমন
মন খারাপ থাকলে যে আকাশ ফেঁটে বৃষ্টি
আসবে গোওওওও।
একটু সুইটুস হাঁসি দেন।
– হি হি হি হইছে চল এখন।
– মনে মনে ভাবছি মাইয়া গো মন বড়ই বিচিত্র
আগে কেমন দাঙ্গাল ছিল, আজ কত কিউট।
দোস্ত একটা আইসক্রিম খামু টাকা দে।
– এই নে ধর। (নিধী)
– ও মা গো ১০০০ টাকার নোট, আমি আমার
জন্মে মাত্র দুইটা দেখছি তবু এইটা ২য় তম।
না থাক খামু না।
– ওই যা বলছি, আর আমার জন্য ও একটা আনিস।
– হুমমমমম, মাম্মা আজকে সব থেকে
হাই কোয়ালিটি দেখে দুইটা আইক্রিম দেন।
আইসক্রিম নিয়ে আসলাম।
এই নে ধর।
– তন্নয় আজকে অনেক দূরে কোথাও নিয়ে
যাবি যেখানে কোন মানুষ নেই সেখানে।
– হায় হায় কী হল আজকে মেয়েটার, আচ্ছা নিয়া যামু কিন্তুু রাত লাগলে ওখান থেকে আসা যাবে না, রাতে থাকা লাগতে পারে,
তোর খাটাস বাপ যদি কিছু কয় তাইলে,
– বাবার চিন্তা করিস না, আমি বাবাকে বলে
দিব।
– না ম্যাডাম হইব না এখনই করেন।
– আচ্ছা থাম করছি, হ্যালো বাবা আজকে আমি
এক আন্টির বাসাই থাকব।
হইছে এইবার শান্তি।
– হুমমমমম অনেক, শহর থেকে প্রায় ২০ কি.মি দূরে একটা সুন্দর গ্রামে ওরে নিয়ে গেলাম,
আসলেই গ্রামটা অনেক সুন্দর একটা নদী আছে, নদীর পারে কাশ ফুল আছে অনেক।
যে কারো মন নিমিশেষ ভালা হইয়া যাইব।
– ওয়াও কত্ত কিউট যায়গা ঠিক তোর মতো
(নিধী) ।
– ওই একটা…….. দিমু।
– বল বল কী দিবি।
– হি হি কিছু না, ৮৫ টাকা দে ফাটাফাটি একটা
জিনিস খাওয়ামু।
– হুমমমমম ধর।
– ওয়াও ১০০ টাকার ধরেই অনি কেমন।
এখন চল নিয়া আসি নদীর ধারে বসে বসে খামু।
– ওই ছি. এইটা কই আনলি, কেমন বাড়ি,
– ও ম্যাডাম এইটা আপনার বাবা মতো এসি লাগানো বাড়ি না বুঝলেন,
এই খানে শুয়ে শুয়ে নিশ্চিন্তে চাঁদ দেখা যায়।
দাঁড়া আনছি,
– ওই কী আনবি নাম বল না।
– আগে আনি তারপর দেখিস।
ও দাদু, ও দাদু কই গেলা।
– কেরে কে ডাকে।
– দাদু আমি তন্নয়।
ওহহহহহ কতদিন পর আসলিরে ভিতরে আয়।
– যামুনা ১০০ টাকার ফাটাফাটি কয়টা নিয়া আস তারাতারি।
– হুমমমমম এই নে ধর।
ধরো এই নাও টাকা।
– এইটা কেরে, আগে তো দেখিনাই,
– এইটা পরী বুচ্ছ, উঁড়ে যাওয়ার সময় আমারে
দেইখা নেমে আসছে, আর আমি তোমার জিনিস খাওয়াইতে নিয়ে আসছি। হি হি
এই খানে
কেন নিয়ে আসছস, রাতে যায়গাটা ভাল না তুই তো জানিস।
– দূর তুমি টেনসন কইর না আমি তো আছি নাকি।
– আচ্ছা ভাল করে থাকিস।
হুমমমমম, হুমমমমম গেলাম।
– কোন সমস্যা হলে আমার এই খানে আসিস।
আচ্ছা যাও তো যাও।
নিধীরে নিয়া চলে আসলাম নদীর ধারে বসে
পড়লাম।
– নিধী বেগম এইবার চোখ বন্ধ করেন,
– কেন।
– আরে করো না পিলিজ।
– হুমমমমম, করলাম।
– টাংটানাং চোখ খোলেন এবার,
– ওই কী এই গুলা।
– হি হি সন্দেস , আমার অনেক ভাল লাগে।
– ছি. কেমন দেখতে।
– ওই দেখতে যেমনই হোক একদম খাঁটি দুধে
তৈরি পিওর জিনিস ম্যাডান।
এই খানে ছারা আর পাবা না।
– না তুই খা আমি খামু না,
– পিলিজ রে ধর এইটুকু একবার খেয়ে দেখ।
– না খাব না।
– ওকে না খা, আমিই খামু।
হেব্বি জিনিস মিস করলিরে।
– আহা কী স্বাদ, আহা পরাণডা ভইরা
গেল।
– আচ্ছা একটু দে।
– হুমমমমম ধর।
– ওয়াও এত্ত মজা।
– হ্যা ম্যাডাম এত্তই মজা।
আমার হাত থেকে গপ করে
নিয়ে সব খেতে লাগল।
আর আমি তো তার সেই মিষ্টি মুখ খানা দেখছি।
-তন্নয় সব খেয়ে ফেলছি আরো খামু।
– ওকে চল আরো নিয়ে আসি।
দুাদু ও দাদু আরো সন্দেস দাও।
-কত টাকার দিব বল।
– ১০০ টাকারই দাও।
– না না দাদু ৫০০ টাকার দাও অনেক মজা
খাইতে।(নিধী)
– কীরে মেয়ে না রাক্ষসী তুই হুমমমমম।
– ওই আমি খামু তোর কী?
– হুমমমমম খা আমার আবার কী।
– মা তোমার নাম কী? (দাদু)
– আদরের দুলালী দাদু বড়লেকের মাইয়া, আমার আর তোমার মতো ফকির না।
– ওই হারামি চুপ করবি, আমার নাম নিধী
দাদু।
– খুব ভাল নাম মা।
– ওই আমি তোমার নিয়মিত কাষ্টমার ছিলাম,
আমারে তো জীবনে এমন বল নাই।
– তুই কী আর এমনি এমনি কাষ্টমার ছিলি,
চুরি করে ও তো খাইতি।
– ওই পড়ে টাকা দিতাম না হুমমমম।
– দাদু তার মানে তন্নয় চোর। (নিধী)
– নারে মা পোলাডা খুব ভাল।
হইচে হইচে গেলাম এখন।
– আবার নদীর পাড়ে গেলাম, বসে বসে না দুষ্টুমি
করছি।
নিধী চল তোরে সব ঘুরে দেখাই,
– তন্নয় ওই গুলো কী?
– ওই গুলা কচুরি ফুল।
– আমি নিব।
– এহহহ কইলেই হইল, কত্ত সাপ থাকে
জানিস।
– ওকে দাঁড়া আব্বুরে ফোন করছি।
– না না দাঁড়া, ওহুঁরে গেলাম,
এই নে ধর।
– হি হি থাংকু।
– ওই তো জাহিদ, চল নৌকাই বেড়াব।
– জাহিদ কেমন আছিস।
– হুমমমমম, ভালরে তুই চলে যাবার পড় সব
বদলে গেছে। আর কেউ তেমন নৌকাই
চড়ে না, পেঁটে ভাত ও জুটে না।
খুব মায়া লাগল।
– নৌকা কই রাখছিস।
– ওই তো ঘাঁটে বাঁধা আছে, আচ্ছা আমরা নিয়ে গেলাম কেমন।
– হুমমমমম সাবধানে যাস, নদীতে অনেক স্রোত।
– হুমমমম, আচ্ছা।
– নৌকাতে বসে আছি আমি আর নিধি।
হঠাৎ নিধী, বলল তন্নয় এই খানের সবাইকে কেমনে তোমারে চিনে, আর তুমি
কেমনে চিনো।
– হি হি, আরে পাগলি পাশের গ্রামে আমার নানুর বাসা। আগে সব খানে ঘুরতাম তাই চিনি।
নানু, নানি মারা যাবার পড় আর আসা হয়নি।
– ও আচ্ছা।
– হায় হায় মেলা দূরে চলে আসছি তো,
নিধী কিছু মনে না করলে একট কথা বলি।
– হুমমমমম বলো।
– আমাকে ২ টা হাজার টাকা দিবা, জাহিদ
কে দিব, ওদের পরিবারটা অনেক গরীব।
আমি পড়ে দিয়ে দিব তোমাকে।
– আরে গাধা এইটা আবার দিতে হবে,
-চলে আসলাম দেখি জাহিদ বসেই আছে।
নিধী জাহিদ কে টাকা দিল ওরে ব্যাস ৫ হাজার
দিছি।
জাহিদে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, আমি জানি
এটা সুখের কান্না।
– আপা আপনারে আমার জীবনটা দিলে ও এর
রিন শোধ হবে না আপা।
আপনার জীবন অনেক সুখের হোক, বলে পায়ে পড়তে লাগল,
– আরে আরে কী করছ।
-জাহিদ থাকরে আবার অনেক দূরে যেতে হবে
সন্ধা হয়ে আসল।
বলে চলে আসছিলাম।
– তন্নয়, আমি নতুন করে আরো একবার তোমাকে চিনলাম, আজকে অনেক কিছু শিখলাম, এসি রুমে, এসি গাড়িতে কোন সুখ
নেই। সব ভালবাসা সুখ সব এই প্রকৃতির মধ্যেই।
– হি হি, চলো এবার, অনেক অন্ধকার চার দিকে।
কেমনে যাব সেটাই ভাবছি।
চারিদিকে ঝি ঝি পোকার ডাক, মাঝে
মাঝে শিয়াল মামা ডেকে চলেছে।
– নিধি তোমার ভয় করছে, আমি আছি না
কিচ্ছু হবে না।
নিধী আমার ডান হাতটা চেপে ধরল।
– দেখলাম আমাদের সুন্দর প্রকৃতিটা ও
রাতের বেলা কত্ত ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।
আস্থে করে হুমমমমম জবাব দিল নিধী।
হঠাৎ কিছু দূরা ৫, ৭ জনের আসার শব্দ পেলাম,
এবার নিধী ভয়ে আমার এক সাইট জরাই ধরছে।
নিধীকে বললাম ভয় পেও না আমি আছি।
চলো ওই ঝোপের পাশে।
– মনে মনে যা ভাবলাম তাই হলো, আর ওরা
যদি এই রকম একটা মেয়ে কে দেখে, নিধীর সাথে আমার প্রাণটা ও যাবে।
– ঝোপের আরালে চুপ করে বসে আছি,
নিধী ভয়ে আমাকে জরাই ধরছে, ওদের কথা শুনতে পেলাম, মনে হল আমাদের
একদম কাছে।
নিধীর কানে কানে বললাম ভয় পেও না।
ওরা এই খানে অস্ত্র পাচার করে।
ছোট বেলাই নানুর সাথে ও একবার
এমন বিপদে পড়ছিলাম।
ওরা দেখতে পেলে নিস্তার নেই।
আওয়াজটা আরো কাছে মনে হল।
গলাটা কেমন চেনা চেনা লাগছে সজল এর
গলার মতো।
সজল আমার ছোটবেলার বন্ধু ছিল।
এক মনে বলছে দাঁড়াব, আবার এক মনে বলছে
না বসেই থাকি।
হঠাৎ বলে উঠলাম সজল নাকিরে।
– হঠাৎ সব শব্দ বন্ধ।
একজন লাইট মারল,
পরে বুঝলাম কতটা ভূল করছি।
ওদের মধ্যে একজন বলল
– কেরে তুই।
– ভাই আমরা বিপদে পড়েছি।
– সুন্দরী মেয়ে নিয়ে এত রাতে জঙ্গলে বিপদ
তাই না।
– সত্যি ভাই বিপদে পড়ছি, নিধি কেঁপে চলেছে।
– ওই সজল ভাই এর নাম কেমনে জানলি,
– ও আমার বন্ধু হয় ছোটবেলার।
– সজল ভাইয়ের নাম বলা জন্য এখন ও বেঁচে
আছিস। নাম বল ভাই এর লগে আগে কথা বলি।
যদি না চিনে এই খানেই শেষ করে দিমু।
– আমার নাম তন্নয়, বলেন নয়া মোল্লার নাতি।
– ভাই, তন্নয় নামের একজনরে ধরছি, সাথে একটা মেয়ে ও আছে, বলে নাকি আপনারে চিনে। কী নিয়ে যামু। ঠিক আছে।
– ওই চল আমাগো সাথে।
– হুমমমমম চলেন।
– একটা জঙ্গলের মধ্যে বাড়িতে গেলাম,
গিয়ে দেখি এই সজল সেই সজল না, একটা
ডাকাতের মতো লোক।
– নিধীর হাত শক্ত করে ধরলাম, ভাবলাম আজকেই হয়তো শেষ।
– ওই এমন দুইটা ফুলটুসিরে ধরে আনছস ক্যান।
– ভাই এই দুইডারে জঙ্গলে পাইছি।
– কীরে নয়া মোল্লার নাতি, তোর নানু একবার আমারে থাপ্পড় দিছিল এখন তোরে দিয়া শেই শোধ নিমু।
– কী জ্বালা সালার নানু চর দেওয়ার ও লোক পায় নাই।
– ওই আমার দা টা দে ,
– নিধী ওর কাছে হাত জোর করে কাঁদতে
লাগল।
– আমার মাথা সব সময় ঠান্ডা, আমি জানি এই সব গুলা মাথা মোটা,
নিজে মরলে মরমু নিধীরে বাঁচানো লগব।
আমার একটু পিছনেই মেইন সুইজ ছিল,
দিলাম অফ করে।
আর নিধীর হাত ধরে দিলাম দৌড়।
একবার সন্দেস দাদুর বাড়িতে গিয়ে তার ঘরে।
দুই জনেই হাঁফাইতেছি।
দাদু বলল কীরে কী হইছে।
– আগে দরাজা বন্ধ কর, জানে বাঁইচা গেছি।
– আমি জানি তুই থাকতে মাইয়াটার কিছু হবে না ভালবাসিস নাকি হুমমমমম।
– দূর দাদু বাদ দাও তো রাতটা।
কোন মতে পার কররাম সকালে সোজা একদম
কলেজে।
– কালকের সব কিছুর প্রেমে পড়ে গেছি তন্নয়,
ওই কালকে মারা যাইতা বুচ্ছ,
কপালের জোরে বাঁচছি,
– না আবার নিয়া যাইবা।
– মাফ চাই, জীবডা হারাতে লাগছিলাম।
– আমি কিন্তুু কিছু একটা পাইছি।
– কী পাইছ।
– একটা ভালবাসার মতো কিউট পোলা।
– তাই কখন, ওদের মধ্যে কাউরে ধরে অানছ নাকি, হি হি হি।
– দূর না।
– তা হলে কই।
বলার সাথে সাথে নিধী জরাই ধরছে,
আর বলছে এই তো, তোমাকে
অনেক ভালবাসি তন্নয় অনেক,
বলার জন্য নিরিবিলি স্থানে গেছিলাম,
তার পড়ে তো আবার নতুন করে প্রেমে পড়ে
গেছি।
হি হি পাগলি আমি ও তো সেই কবেই
তোমার প্রেমে ডুবে জল খাচ্ছি আর সাঁতার
কাঁটছি।
– ওই আগে বলিস নাই ক্যান।
– যদির তোমার বাবারে বলে দিতে।
– হুমমমমম দাঁড়াও এখনি বাবাকে বলছি।
– না না পিলিজ বলো না, আমার দোষটা তো বলো।
– আরো আগে ভালবাস বলনি কেন।
– আরে বাবা এখন তো বলছি মাফ করে দাও।
– হুমমমমম, করতে পারি, জরাই ধরে পাপ্পি দাও।
হি হি হি সেটা আর বলতে পাগলি।।।
উমমমমমমমমময়য়য়য়য়য়াাাা।
>>সমাপ্ত < < >>The End<<