গল্প:- বাল্য_কালের_বউ পর্ব:-(৫:-৬)
লিখা:- Shohrab AL Islam
।
তসিবা গিয়ে যদি আমার শ্বশুর, মানে তসিবার আব্বুকে সব কিছু বলে দেয়। তাহলে ওনি আমাকে নিরঘাত এই বাড়ী থেকে বের করে দিবে। যেইভাবে হোক তসিবাকে আটকাতে হবে বলে দৌরে তসিবার কাছে গিয়ে তসিবাকে বলতেছি এবারের মত ক্ষমা করা যায়না?(আমি)
তসিবা:- না যায়না আমি তোমাকে আজকে এই বাড়ী থেকে বের করে দিব আমাকে জড়িয়ে ধরার সাহোস হলো কি করে তোমার?
আমি:- তুমি পরে যেতে ছিলে তাই তো তোমাকে ধরেছি।
তসিবা:- পরলে পরতাম তাতে তোমার কি?
আমি:- তোমার আব্বু পরে বলত আমি থাকতে তুমি পরেছো কি করে?
তমিবা:- জীবনেও আব্বু এমন কথা বলত না, এখন তুমি আমার রাস্তার সামনে থেকে যাও। তানা হলে আমি চিৎকার দিব কিন্তু তখন তোমার খবর করে ছারবে আব্বু।
আমি:- ঠিক আছে দাও, আমিও এই মোবালে যা আছে তা সবাইকে দেখিয়ে দিব।
তসিবা:- তুমি এখনো এইগুলা রাখছো তবেরে দেখাচ্ছি তোমাকে, বলে আমাকে মারতে এসেছে আমি দৌরে চলে এসেছি। তসিবা আমার পিছু পিছু ছুটে আসতেছে আর আমি সামনে সামনে দৌরাচ্ছি। কিছুক্ষন দৌরে আমি রুমে চলে এসেছি তসিবা দৌরে আমার রুমে চলে এসেছে। ভালোই লাগছে তসিবার সাথে দুষ্টমি করতে।
আমি:- আমাকে মারার এত শখ কেন তোমার?
তসিবা:- তুমি মাইরের কাজ করেছো তো মাইর খেতে হবে তাইনা?
আমি:- তোমাকে কি আমি ইচ্ছে করে জড়িয়ে ধরেছি নাকি! তুমি পরে যেতে ছিলে তাই আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরেছি।
তসিবা:- আমি তোমাকে বলছি আমাকে ধরতে?
আমি:- বলতে হবে কেন, আমি দেখছি তুমি পরে যেতেছো তাই আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরেছি।
তসিবা:- তাই তো তোমাকে আজকে বাড়ী থেকে বের করার ব্যাবস্থা করতেছি।
আমি:- হ্যা করো আমিও নেট ছেরে দিব কিন্ত?
তসিবা:- ছারাচ্ছি তোমাকে নেটে, বলে দৌরে এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে খাঠের উপর ফেলে আমার বুকের উপর বসে গল টিপে ধরছে।
আমি:- আরে কি করছো আমি মরে যাব ছারো বলছি।
তসিবা:- আজকে তোমাকে মেরে ফেলবো।
আমি:- যদি মরে যায় তাহলে পুলিশ তোমাকে থানায় নিয়ে যাবে। এখন ছারো বলছি তানা হলে কিন্তু তুমি থানায় যাবে। তসিবা আমার কোন কথা না শোনে আমার গলা টিপে ধরে রাখছে এদিকে আমার প্রান যায় যায় অবস্থা। তসিবাকে অনেক কষ্টে ছারিয়ে নিয়ে আমি কাঁশতে লাগলাম আমার এই অবস্থা দেখে তসিবা ভয় পেয়ে গেছে।
তসিবা:- এই তোমার কি হয়ছে এমন করতেছো কেন? এই বলে তসিবা তারা হুরা করে ওঠতে গিয়ে আমার বুকের উপর শুয়ে পরেছে। আমার সব কিছু নিমেশে ভালো হয়ে গেছে মনে হচ্ছে আমার কিছু হয়নি।
আমি:- এই ওঠেন আমার কেমন কেমন করতেছে।
তসিবা:- কেন কেমন কেমন কা করে?
আমি:- বলতে পারবোনা এখন ওঠেন।
তসিবা:- হ্যা ওঠতেছি যখন নিজে আমাকে জড়িয়ে ধরো তখন তো এমন করোনা। আর এখন আমি ওঠতে গিয়ে পরে গেছি আর সব নতুন বাহানা তৈরি হয়ছে।
আমি:- হ্যা হয়ছে ওঠেন এখন, তসিবা ওঠে গেছে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, কেমন জানি একটা চাওয়া, যা এই কিছু দিনে আজকে প্রথম দেখলাম।
তসিবা:- আজকের মত তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম কারন দুইদিন পর আমার বিয়ে হয়ে যাবে। তাই আর নতুন করে কোন জামেলা করতে চাইনা।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে শুভ রাত্রি বাই এখন যাও তোমার রুমে।
তসিবা:- তোমার গলাই মনে হয়ে আমার নখের আচর লেগেছে, এক কাজ করো তুমি বসো আমি মলম নিয়ে আসতেছি।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে। তসিবা গিয়ে কিছক্ষন পর একটা স্যাবলন আর তুলা মলম হাতে নিয়ে এসেছে।
তসিবা:- এখানে বসো।
আমি:- থাক লাগবেনা এমনিতে ঠিক হয়ে যাবে, তুমি যাও আমারটা আমি নিজেই লাগাতে পারবো।
তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে চলে গেলাম। এই কথা বলে তসিবা সত্যি সত্যি চলে গেছে।
আমি:- হায় হায় এই আমি কি করলাম একটু ট্রাই করে দেখতে ছিলাম, তসিবা আমাকে লাভ করে কিনা কিন্তু সে তো চলে গেছে। তার মানে তসিবা আমাকে লাভ করেনা তসিবা সোহেলকে ভালোবাসে। যাই একটু ড্রেসিং করে আসি তানা হলে পরে ইনফ্যাকশন হতে পারে। নিজে নিজে ড্রেসিং করে নিলাম, রুমে এসে খাঠের শুয়ে এক ঘুম। সকালে ঘুম থেকে ওঠে নিচে নেমে দেখি বাড়ীতে নতুন নতুন সব মেহমান। ওনাদের কাওকে আমি চিনিনা তবে বাড়ীটা একদম সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছে।
চাচি:- তুমি কোথায় ছিলে আমি কখন ধরে খুঝতেছি তোমাকে?
আমি:- আজকে ঘুম থেকে ওঠতে দেরি হয়ে গেছে।
চাচি:- তুমি তসিবাকে কিছু বলছো কাল কিন্তু তসিবার বিয়ে হয়ে যাবে।
আমি:- হ্যা জানি আপনি চিন্তু করিয়েন না আমি দেখতেছি কি করা যায়।
চাচি:- যা করার তারা তারি করো তানা হলে তোমার বাল্য কালের বউ তসিবার বিয়ে অন্য যায়গা হয়ে যাবে।
আমি:- ঠিক আছে, চাচি চলে গেছে আমি তসিবাকে মনে মনে খুঝতেছি। আজকে তসিবাকে যেই করে হোক বলে দিব, আমি সেই সোহরাব আল ইসলাম আমি ওর বর। এদিক সেদিক খুঝে কোথাও তসিবাকে দেখতেছিনা, তসিবা গেল কোথায়?
তিশা:- ভাইয়া আমার চকলেট কোথায়?
আমি:- আরে আমার জানে মান এখুনি এনে দিতেছি চলো আমার সাথে?
তিশা:- আমি এখন লাইন মারবো কোথাও যাবোনা তুমি আমার চকলেট এনে দাও।
আমি:- তুমি লাইন মারবে কার সাথে?
তিশা:- ঐ ছেলেটার সাথে ওর নাম শুভ আমাকে সে চকলেট দিয়েছে।
আমি:- ঠিক আছে এনে দিতেছি, আচ্ছা তোমার বোন তসিবা কোথায়?
তিশা:- আপু ছাদে বসে আছে।
আমি:- উম্মা নাও তোমার চকলেট, তারা তারি করে দৌরে ছাদে গেলাম। গিয়ে দেখি তসিবার সাথে ওর সব বান্ধবীরা আড্ডা মারতেছে।
তসিবা:- তুমি এখানে এসেছো কেন?
আমি:- এমনিতে একটু আঁকাশ দেখতে অনেক দিন ধরে আঁকাশ দেখতে পাইনা তো তাই একটু আঁকাশ দেখতে এসেছি।
তসিবা:- বুঝতে পারছি এখানে আমার অনেক বড় লোক আর সুন্দর বান্ধবীরা এসেছে। যদি কাওকে পটাতে পারো তাহলে তুমি ছোট লোক থেকে বড় লোক হয়ে যাবে তাইনা?
আমি:- মোটেও না আমার বড় লোক হওয়ার কোন ইচ্ছে নেয়। যাক যেই কাজে এসেছি সেই কাজটা এখন করা যাবেনা।
তসিবা:- কেন করা যাবেনা তা আমি ভালো করে বুঝতে পারছি। আমি সবাইকে বলে দিয়েছি তুমি ছোট লোক তাই।
আমি:- তোমার মাথাই যা আসে তাই বলো আমি এখন যাই। আমি নিচে নেমে এসেছি এদিক দিয়ে আগামী কাল তসিবার বিয়ে। এখন তসিবাকে কি করে বলি আমার সব কথা আর শোনে তসিবা যদি আমাকে মেনেনে না নেয়? মনের মাঝে হাজারো প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
চাচা:- আল তোমাকে আমি কখন ধরে খুঝতেছি তুমি একটু আমার একটা কাজ করে দিবে?
আমি:- হ্যা বলেন কি কাজ করতে হবে?
চাচা:- বেশি কিছুনা আমার এই ফাইল গুলা অফিসে দিয়ে আসো?
আমি:- আপনার অফিস আমি তো চিনিনা।
চাচা:- হ্যা আমি জানি তুমি আমার গাড়ীটা নিয়ে যাও ড্রাইবার আছে ও তোমাকে অফিসে নিয়ে যাবে।
আমি:- ঠিক আছে দেন কিছু ফাইল নিয়ে আমি চাচার অফিসে চলে এসেছি। ফাইলটা দিয়ে আমি চলে যেতেছি তখনি একজন বলে,,
স্যার বলছে আপনি আজকে সাড়া দিন আমাদের সাথে থাকতেন কারন স্যার আজকে আসতে পারবে না।
আমি:- কিন্তু ওনি তো আমাকে এই কথা বলেনি তাহলে আমি থাকবো কেন?
নেন স্যার ফোন করেছে কথা বলেন।
আমি:- হ্যা দেন, মোবাইলটা হাতে নিয়ে সালাম দিয়ে হ্যালো বলছি।
চাচা:- বাবা তুমি আজকে ওদের সাথে একটু থাক দেখো ওরা ঠিক মত কাজ গুলা করতেছি কিনা?
আমি:- কিন্তু আমি তো এই কাজ কোন কিছুই বুঝিনা?
চাচা:- তোমার বুঝতে হবেনা তুমি শুধু দেখবে লেবার ঠিক ঠাক মত কাজ করে কিনা। কাজ শেষ করে তারপর বাসায় চলে এসো কেমন।
আমি:- ঠিক আছে, ফোনটা কেটে একটু চিন্তা পরে গেছি চাচা কি বুঝতে পেরেরে গেছে নাকি। দুর কিছু ভালো লাগছেনা কি যে করি?
আপনি আমাদের সাথে আসুন।
আমি:- হ্যা চলেন, কাজ দেখতে দেখতে দুপুর গরিয়ে বিকাল হয়ে গেছে এখনো দেখতেছি আজকের দিনটা চলে গেলে আর থাকবে রাতটা যদি তসিবার দেখা না পাই তাহলে তো কাম সারছে তসিবার বিয়ে হয়ে যাবে। আর আমি আমার আব্বুর পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। দুর কোন কিছু করতে হবে একটা আর কতক্ষন কাজ করবে কে জানে?
আচ্ছা আপনি এখন যেতে পারেন রাত হয়ে গেছে প্রায় ৮টা বাজে।
আমি:- রাত হয়ে গেছে?
হ্যা আপনি বাসায় চলে যান বাকি কাজ আমি দেখে নিব কেমন।
আমি:- ঠিক আছে অফিস থেকে বেরিয়ে চাচার বাসায় আসতে আসতে রাত ১০টা বেজে গেছে।
চাচি:- সাড়া দিন তুমি কোথায় ছিলে?
আমি:- আঙ্কেল ওনার অফিসে পাঠিয়েছে আমি অফিসে ছিলাম সাড়া দিনন।
চাচি:- বুদ্ধ তুমি গেছো কেন আহে তসিবাকে সব কিছু খুলে বল যাও। তখনি
চাচা:- কাকে কি খুলে বলবে শুনি? চাচার কথা শোনে আমি আর চাচি দুজুনে ভয়ে একদম চুপসে গেছি।
আমি:- অফিসে কি কাজ করেছি তা আপনাকে বলতে বলছে চাচি।
চাচা:- তা বলতে হবেনা তবে তুমি আজকে অনেক কাজ করেছো যাও ফ্রেস হয়ে খেতে আসো।
আমি:- ঠিক আছে চাচি মনে হয় হাফ ছেরে বাচছে। আমি রুমে ঢুকতেছি তকনি কেও একজন পেছন থেকে আমার কালার টেনে ধরছে চেয়ে দেখি তসিবা।
তসিবা:- সাড়া দিন তুমি কোথায় ছিলে তোমাকে আমি কত খুঝেছি।
আমি:- ওমা তাই তা কেন খুঝেছো?
তসিবি:- তোমার সাথে আমার কিছু জুরুলি কথা আছে তা এখন শোনবে নাকি ফ্রেস হয়ে শোনবে?
আমি:- এখুনি বলো পরে ফ্রেস হবো তবে তোমার সাথে আমারও কিছু জুরুরী কথা আছে।
তসিবা:- তাহলে তোমার কথাটা আগে বলো তারপর আমার কথাটা বলছি।
আমি:- না তুমি বলো তারপর আমি বলবো কারন তুমি আগে বলছো তুমি বলো?
তসিবা:- ঠিক আছে বলতেছি তবে সব কিছু শোনে তুমি কিন্তু না করতে পারবেনা আগে প্রমিস করো?
আমি:- ঠিক আছে আগে বলনা কি বলবে?
তসিবা:- I LOVE YOU, তসিবার কথা শোনে আমি আঁকাশ থেকে পরছি মনে হচ্ছে মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়ে গেলাম। যখনি আমি I LOVE YOU TWO বলতে যাবো আমাকে থামিয়ে বলে,, আরে বোকা আমি নয় আমার বান্ধবী রিয়া তোমাকে ভালোবেসে ফেলছে। ওরা আমাদের মত বড় লোক রিয়া তার বাবা মার এক মাত্র মেয়ে। তবে তুমি রিয়াকে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকতে হবে যদি রাজি থাকো তাহলে আমাকে আগামী কাল সকালে বলো কেমন।
আমি:- কিন্তু আমি তো তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটা বলছি আস্তে করে।
তসিবা:- তুমি কিছু বলছো আমাকে?
আমি:- হ্যা, না তো ঐ টেনশন হচ্ছে একটু তাই এমন হচ্ছে।
তসিবা:- বুঝতে পারছি আমারও প্রথম এমন হয়ছে। আচ্ছা শুনো রিয়া অনেক ভালো মেয়ে ওকে বিয়ে করলে অনেক সুখে থাকবে। আর তুমি চিন্তা করে দেখ কেমন। সকালে আমাকে যখন জানাবে তখন উত্তরটা যেন হ্যা সূচক হয়। এখন আমি যাই কেমন সকালে বাকি কথা হবে বলে তসিবা চলে গেছে।
চলবে,,,,,
।
পর্ব:-(৬)
।
আমার বউ আমাকে বলে তার বান্ধবীর সাথে প্রেম করতে, তসিবার মাথা খারাপ হয়ে গেলো নাকি নিজের স্বামীকে বলে তার বান্ধবীর সাথে প্রেম করতে। আরে যখন জানতে পারবে আমিই তোমার বাল্য কালের বর তখন বুঝবে, কাকে বলছো বান্ধবীর সাতে প্রেম করতে। দুর তসিবাকে কি করে যে বলি আমি তোমার বাল্য_কালের_বর সুযোগ পাচ্ছিনা। যেই করে হোক কাল সকালে কিছু একটা করতে হবে, কথা গুলি ভাবতে ভাবতে রুমে ঢুকে ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম।
চাচি:- কিছু চিন্তা করেছো নাকি এখনো কোন চিন্তা ভাবনা করোনি?
আমি:- মাথায় কিছু আসতেছেনা কি করবো এক কাজ করলে কেমন হয়। যদি আব্বুকে এখানে নিয়ে আসি তাহলে তো সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।
চাচি:- দুর বোকা তোমার আব্বু জানতে পারলে তোমাকে নিয়ে যাবে আর তসিবার বিয়ে হয়ে যাবে সোহেলের সাথে। তোমার আব্বু আর চাচা এত সহঝে মেনে নিলে তো আমরা সবাই এক সাথে থাকতাম তাইনা।
আমি:- তাহলে এখন কি করবো?
চাচি:- তুমিও চিন্তা করো আমিও চিন্তা করি তবে তুমি তসিবাকে এখন কিছু বলতে পারছো?
আমি:- না পারিনি।
চাচি:- বিয়ের পর বলবে বোকা কোথাকার যাও এখন সামনে থেকে যা করার আমি করবো।
আমি:- ঠিক আছে, খাবার টেবিলে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে সোজা রুমে চলে এসেছি। যদি আগামী কাল তসিবার সোহেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায় তাহলে কি করবো আমি। দুর যা করার সকালে করবো এখন ঘুমায় এই ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমায় গেছে ঠিক মনে নেয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে নিচে নামতেছি,,
তসিবা:- এই তুমি কোথায় যাচ্ছো?
আমি:- নিচে যায়তেছি নাস্তা করতে হবে অনেক খিদা লাগছে।
তসিবা:- রিয়াকে আমি কি বলবো সকালে আমার কাছে ফোন করেছে।
আমি:- কোন রিয়া।
তসিবা:- তোমার মনে নেয় রাতে কি বলছি রিয়া আমার বান্ধবী তোমাকে ভালোবাসে।
আমি:- রিয়াকে আমি তো দেখিনি আগে দেখি তারপর বলবো এখন তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে?
তসিবা:- কি কথা বলো?
আমি:- এখানে বলা যাবেনা তুমি (১) এক ঘন্টা পর ছাদে আসতে পারবে প্লিজ।
তসিবা:- কিছুক্ষন পর আমার গায়ের হলুদের গোসল করাতে নিয়ে যাবে। আমি এখন ছাদে যেতে পারবোনা যা বলার এখানে বলো।
আমি:- প্লিজ আমার এই একটা কথা তুমি শোন প্লিজ তসিবাকে অনেক রিকুয়েষ্ট করার পর রাজি হয়ছে ছাদে যাবে।
তসিবা:- এখন (৯) নয়টা বাজে ঠিক (১০) দশটায় আমি ছাদে যাবো, কারন (১১) এগারটায় আমাকে গোসল করাতে নিয়ে যাবে।
আমি:- ঠিক আছে ধন্যবাদ, তসিবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিচে এসে হাল্কা নাস্তা করে ছাদে চলে এসেছি। ছাদে বসে বসে প্লান করেছি তসিবাকে কি করে মনের সব জমানো কথা গুলা বলবো। সারা ছাদ পাইচালি করতেছি তখনি তসিবা এসেছে ঠিক দশটায় বাজে ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি।
তসিবা:- হ্যা বলো কি বলবে?
আমি:- বলতেছি তবে সব কিছু শোনার পর তুমি আমাকে ভূল বুঝতে পারবেনা কিন্তু।
তসিবা:- ঠিক আছে বলো আগে তারপর ভেবে দেখবো।
আমি:- তাহলে শোন আমি তসিবার দিক থেকে একটু ঘুরে অন্য দিকে তাকিয়ে নিয়েছি। কারন তসিবার দিকে তাকিয়ে কথা গুলা বলতে পারছিনা। বুকের ভীতর ভয়ে থক থক করে শব্দ হচ্ছে। তসিবা আমি সোহরাব আল ইসলাম তুমি আমার সেই বাল কালের বউ তোমার মনে আছে আমি তোমাকে অনেক হাসাতাম ছোট বেলা। তুমি কি আমাদের ছোট বেলার সব কিছু ভূলে গেছো, তোমার কোন কথাই মনে পরেনা। তোমার সাথে দাদা আমার বিয়ে দিয়েছিলো যাতে করে আমাদের পরিবার সারা জীবন এক থাকে। তসিবা তোমার বিয়ে হয়ছে একবার তাহলে আজকে কেন তুমি এই বিয়েটা করতেছো? আমি তোমাকে ভালোবাসি, তাই তো আমার নিজের সব কিছু ছেরে এই বাড়ীতে তোমার জন্য এখানে এসে পরে আছি। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আই লাভ ইউ আমি তোমার জন্য সব করতে পারি। তুমি রাজি হয়ে যাও তারপর সব কিছু আমি দেখে নিব। তখনি কেও একজন আমাকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে বলে,,
আমি জানতাম তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই তো আমি তোমাকে প্রথম দেখাই ভালোবেসে ফেলছি। আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি আই লাভ ইউ টু। নিজেকে ছারিয়ে একটু ঘুরে তাকিয়ে পুরাই অবাক হলাম আরে তুমি এখানে কেন?
হ্যা আমি আর আমাকে তো তুমি ভালোবাসো একটু আগে আই লাভ ইউ বলছো?
আমি:- কিন্তু আমি তো তোমাকে চিনিনা তুমি কে?
তসিবা তোমাকে আমার কথা বলছে আর আমার নামও। আচ্ছা বাদ দাও, আমার নাম রিয়া, এখন চিন্তে পারছো? (রিয়া)
আমি:- তসিবা কোথায়?
রিয়া:- তসিবা তো নিচে আমাকে বলছে তুমি ছাদে আমার জন্য অপেক্ষা করতেছো। আমাকে আই লাভ ইউ বলার জন্য।
আমি:- তসিবা কখন গেছে এখান থেকে? আর তুমি আমার সব কথা শোনতে পারছো?
রিয়া:- প্রায় দশ মিনিট ধরে তসিবা আমাদের সাথে নিচে বসে ছিলো। আর আমি তো এখুনি এসেছি এসে দেখি তুমি আমাকে আই লাভ ইউ বলতেছো। যাক আমি অনেক খুশি হয়ছি তোমাকে আমার জীবন সাথী হিসাবে পাবো।
আমি:- রিয়া তুমি যেইটা ভাবছো আমলে একটা ভুল হচ্ছে তোমার কোথাও, এই কথাটা বলতে যাবো তখনি,,,
তিশা:- ভাইয়া তোমাকে আব্বু ডাকে নিচে যেতে, আসো আমার সাথে বলে তিশা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসছে নিচে। আমাদের পিছু পিছু রিয়া এসেছে। হয়ত তসিবা সব কিছু বলে দিয়েছে আজকে কপালে শনির ধসা আছে।
আমি:- তিশা কোথায় তোমার আব্বু?
তিশা:- এখানে তো ছিলো ঐ তো আব্বু।
আমি:- আঙ্কেল আমাকে ডাকছেন নাকি?
চাচা:- হ্যা তোমাকে সকাল ধরে কোথাও দেখতেছিনা তাই তিশাকে বলছি তোমাকে ডাক দিতে। আর তুমি সব সময় আমার সাথে সাথে থাকবে কেমন।
আমি:- (যাক বাচলাম তসিবা মনে হয় কিছু শোনতে পারেনি) ঠিক আছে, চাচা কি বুঝতে পারছে কিছু নাকি এমনিতে আমাকে ওনার সাথে থাকতে বলছে। দুর আমার মাথায় কোন কাজ করতেছেনা, কিছুক্ষন পরে তসিবার বিয়ে হয়ে যাবে। আমি এখনো তসিবাকে কোন কিছুই বলতে পারলাম না।
চাচা:- তুমি কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেছো মনে হচ্ছে?
আমি:- না তেমন কোন বিষয় নেয় আমার তো ভালোই লাগছে, চাচা যেখানে যায় সেখানে আমাকে সাথে নিয়ে যাই। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে এদিকে তসিবার সাথে আমার আর দেখা হওয়ার কোন চান্জ নেয়। চাচা ফ্রেস হতে চলে গেছে আমি এদিকে কিছু একটা করতে হবে।
রিয়া:- জানে মান তুমি এখানে একা একা বসে আছো কেন?
আমি:- এই তুমি আমাকে জানে মান ডাকবেনা বলে দিলাম।
রিয়া:- তাহলে কি বলে ডাকবো?
আমি:- কোন কিছুই বলে ডাকতে হবেনা, দুর আমি মরি আমার চিন্তা আর ওনি এসেছে জানে মান বলতে। তুমি থাক আমি গেলাম বাহিরে এসে দুইটা বুন্ধুকে ফোন করেছি। ওদের সাথে কথা বলে একটু হাল্কা হলাম, বাড়ীর ভীতরে এসে একটা বড় করে নিশ্বাষ নিলাম।
চাচা:- আল তুমি কোথায় গেছিলে?
আমি:- এই তো একটু বাহিরে গেছিলাম, আচ্ছা আঙ্কেল বর কখন আসবে?
চাচা:- এই তো চলে আসবে কিছুক্ষনের মধ্যে।
আমি:- আচ্ছা তাহলে আমি রুম থেকে আসি বলে চলে এসেছি এদিকে সবাই বরের জন্য অপেক্ষা করতেছে। আমি রেডি হয়ে নিচে এসেছি এখনও বর আসেনি আমি নিচে বসে তিশার সাথে দুষ্টমি করতেছি বিকাল গড়িয়ে সন্ধা হয়ে গেছে এখনো সোহেল আসার কোন খবর নেয়।
চাচা:- আল এখনো সোহেল আসতেছেনা কেন? বলে চাচা বার বার সোহেলের নাম্বারে ফোন করতেছে এদিকে বার বার মোবাইল ব্যস্ত বলছে।
আমি:- আঙ্কেল এক কাজ করেন আপনি সোহেল বাবার নাম্বারে ফোন করেন।
চাচা:- হ্যা একদম ভালো কথা বলছো। চাচা সোহেলের বাবার নাম্বারে ফোন করে মাথা ঘুরে নিচে পরে গেছে। সবাই এসে চাচাকে ধরে অনেক সেবা যত্ন করে সুস্থ করেছে।
চাচি:- আপনার কি হয়ছে আর বর আসতে এত দেরি করতেছে কেন?
চাচা:- সোহেলকে রাস্তা থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এখন সে আসতে পারবেনা।
চাচি:- তাহলে এখন কি করবেন তসিবা শোনতে পারলে অনেক কষ্ট পাবে। আর যদি শোনে মেয়ের বিয়ে ভেঙে গেছে তাহলে এই মেয়েকে কে বিয়ে করবে?
চাচা:- তাহলে এখন কি করবো আর তসিবাকে কি বলবো?
চাচি:- আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে যদি শোনেন তাহলে বলতে পারি।
চাচা:- হ্যা বলো।
চাচি:- আমি বলি কি আমাদের বাড়ীতে যে ছেলেটা থাকে আল ইসলাম। ওর সাথে তসিবার বিয়ে দিয়ে দিন তবে এই কথা তসিবাকে জানাতে হবেনা বিয়ে হয়ে গেলে পরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আর আল ছেলেটা দেখতে শোনতে ভালোই।
চাচা:- জীবনে এই প্রথম তুমি আমাকে একটা ভালো পরামর্শ দিয়েছো ধন্যবাদ তোমাকে, তখনি চাচা আমাকে আলাদা রুমে ডাক দিয়ে নিয়ে গেছে।
আমি:- জি আঙ্কেল বলেন কি বলবেন।
চাচা:- বাবা তুমি আমার মান সম্মান বাচাও আমি চাই তুমি তসিবাকে বিয়ে করো। তুমি শুধু আমার মান সম্মান বাচাও তুমি যা বলবে তাই হবে।
আমি:- (একটু ভাব নেয় তানা হলে সন্দেহ করবে) দেখুন আমি গরিব ছেলে কোন রকম বাবা মা কষ্ট করে আমাকে লিখা পড়া করাচ্ছে এখন যদি আমি বিয়ে করে নেয় তাহলে বউকে খাওয়াবো কি আর নিজের বাবা মাকে কি দিব আর খাওয়াবো?
চাচা:- এই নিয়ে তোমার কোন চিন্তা করতে হবেনা আমি সব কিছু ব্যবস্থা করে দিব।
আমি:- ঠিক আছে আমি রাজি আছি, কিন্তু মেম কি জানে আমার সাথে ওনার বিয়ে হবে।
চাচা:- সে নিয়ে তোমার কোন চিন্তা করতে হবেনা।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি আর কোন চিন্তা করতেছিনা। চাচা অনেক খুশি হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে, তসিবাকে না জানিয়ে আমাদের বিয়েটা হয়ে গেল। চাচা মৌলভীকে বলে দিয়েছে তসিবার সামনে পাত্রের নাম উচ্চারন না করতে। সবার একটু মন খারাপ থাকলেও চাচি অনেক খুশি হয়ছে। তবে রিয়া আমাদের বিয়ের কথা এখনো জানেনি কারন রিয়ার বাবা রিয়াকে ফোন করে নিয়ে গেছে বাসায়। এক এক করে সব মেহমান চলে গেছে, এর মাঝে তসিবা জেনে গেছে বিয়েটা সোহেলের সাথে নয় বিয়েটা হয়ছে আমার সাথে।
তিশা:- ভাইয়া এখন থেকে তোমাকে আমি কি বলে ডাকবো?
আমি:- ভাইয়া বলে ডেকো কেমন?
তিশা:- কিন্তু পাশের বাসার আসিফ তার বোনের বরকে দুলাভাই বলে ডাকে তাহলে আমিও তোমাকে দুলাভাই বলে ডাকবো।
তসিবা:- না তিশা ওকে দুলাভাই বলবিনা আর এই তোর সাহোস হলো কি করেরে আমাকে বিয়ে করার?
আমি:- আরে এতদিন তো আমাকে তুমি করে ডাকতে এখন বিয়ে হয়ছে ব্যবহার একটু ভালো হবে। কিন্তু ব্যবহার আরো খারাপ হয়ে গেছে।
তসিবা:- মাই ফুট তোর সাথে কিসের ব্যবহার করবো রে, তোকে আমি বর বলে মানি নাকি?
চাচা:- তসিবা কি হচ্ছে ওর সাথে এমন ভাবে কথা বলছিস কেন?
আমি:- আব্বাজান আপনি কিছু বলিয়েন না আমি সব কিছু মানিয়ে নেব। তসিবা আসো আমার সাথে আজকে আমাদের বাসর হবে তাইনা?
তসিবা:- খবর দার তুই আমার গায়ে টাচ্ করবিনা যদি করিস তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দিব বলে দিলাম।
আমি:- ঠিক আছে গায়ে টাচ্ করবোনা তাহলে এখন তুমি চেচা মিচি না করে রুমে গিয়ে শুয়ে পরি আমরা। তসিবাকে টেনে রুমে নিয়ে এসেছি রুমে, তবে রুমটা যেমন আছে তেমনি বাসর ঘর যেমন ফুল দিয়ে সাজানো থাকবে তা কিন্তু নয়। সাধারান ঘরের মত আছে ঘরটা।
তসিবা:- আমি তোর সাথে এক রুমে জীবনেও থাকবোনা। তুই তোর রুমে থাকবি আর আমি আমার রুমে ঠিক আছে। এখুনি আমি এই ঘর থেকে বেড়িয়ে যাবো, বলে তসিবা বেড়িয়ে যেতেছে।
আমি:- আরে এত কষ্ট করে বিয়ে করেছি আর তুমি কোথায় যাও বলে তসিবাকে টান মেরে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে সোজা খাঠের উপর পরে গেছি।
To be continue,,,,,
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.