গল্প:-বাল্য কালের বউ পার্ট ০১

0
5683
গল্প:-বাল্য কালের বউ পার্ট ০১ লিখা:- Shohrab AL Islam তসিবার সাথে আমার বিয়ে হইছে সেই ছোট থাকতে আমার বয়স তখন ছয়(৬) আর তসিবার বয়স আমার থেকে এক বছরের ছোট পাঁচ (৫) বছর। তবে তসিবা কিন্তু সম্পর্কে আমার আপন চাচাত বোন যদিও বিয়েটা আমাদের দুই পরিবারে ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে হয়ছে তবে সবার আনন্দে নয় বিয়েটা দিয়েছে আমার দাদা কারন আমার আব্বু আর চাচা দুজন দুই গ্রহের মানুষ। আব্বু চাচাকে দেখতে পারেনা আর চাচা আব্বুকে দেখতে পারেনা তাই দাদা আমার আর তসিবার ছোট থাকতে বিয়ে দিয়েছে যাতে করে ওদের সম্পর্ক খারাপ থাকলেও আমাদের দুজনের কারনে যেন টিকে থাকে ওদের ভাইদের সম্পর্ক। কিন্তু কাবিন নামাই দাদা একটা কথা একটু আলাদা করে লিখে গেছে সেই কথাটা কি লিখে গেছে তা আমি জানিনা সেইটা আব্বু আর চাচা ভালোই যানে। দাদা মারা গেছে আমাদের বিয়ের তিন (৩)বছর পরে তখন চাচা আমাদের কাছ থেকে তসিবাকে সাথে নিয়ে একটু দুরে চলে গেছে ওনার পরিবার সহ। আমার দাদার দুইটা বাড়ী ঢাকায় আর ওনার দুই ছেলে যেহেতু তাই দাদা মারা যাবার পর চাচা অন্য বাড়ীতে ওঠে গেছে তসিবাকে সাথে নিয়ে। তসিবার সাথে আমার দেখা হইনা আট (৮) বছর যাবাত কারন আমি চিনিনা আমার চাচার বাড়ী তাই যেতেও পারিনা। রুমে শুয়ে শুয়ে তসিবার আর আমার বাল্য কালের বউ ছবিটা দেখতেছি কত কিউট ছিলো আমার বউটা এখন মনে হয় আরো সুন্দর হয়ছে তখনি,, আম্মু:- খালি এই ছবিটা দেখে যেতেই হবে কোন দিন আর খুঁজে পাবেনা। তোর দাদা বেচে থাকলে সম্বভ হত কিন্তু ওনি মারা গেছে এখন তা আর সম্বব হবেনা আর তাছারা তসিবারা কোথায় আছে তুই জানিস না। এখন তোর চাচা আর তোর আব্বু এই বিয়ে কোন দিন মেনে নিবেনা তাই সময় থাকতে ভালো একটা মেয়ে দেখে প্রেম করে বিয়ে করে নে তাহলে ভালো হবে। আমি:- এত বছর ধরে তসিবাকে ভালোবাসি আর এত সহজে ভূলে যাবো তা কি করে হয়? আম্মু:- তাহলে সাড়া জীবন এই ছবিটা নিয়ে থাকতে হবে আর তসিবার দেখা কোন দিন পাবিনা। আমি:- আম্মু তুমি বলোনা তসিবারা ঢাকা কোথায় থাকে আমি গিয়ে তসিবাকে নিয়ে আসবো প্লিজ আম্মু তোমার পায়ে পরি তুমি একবার বলো। আম্মু:- তোর কি মনে হয় তুই যাবি আর তোর চাচা তসিবাকে তোর হাতে তুলে দিবে! আর তোর আব্বু যদি জানতে পারে তাহলে আমাকে এই বাড়ী থেকে বের করে দিবে। আমি:- তাহলে আমি আর অন্য মেয়েকে বিয়ে করছিনা তোমার নাতি নাতনির মুখ দেখা লাগবেনা। তখনি আব্বু এসে বলে,,, আব্বু:- কে নাতি নাতনির মুখ দেখতে পারবেনা শুনি? আমি:- পাশের বাড়ীর চাচার ছেলের বউয়ের নাকি কোন সন্তান হবেনা তাই আম্মুকে ওনা নাকি বলছে আমার জীবনে নাতি নাতনির মুখ দেখতে পারবোনা। আব্বু:- কেনো ওনার সাথে তো আমার বিকালে দেখা হয়ছে ওনি তো আমাকে বলছে ওনার ছেলের বউয়ের সন্তান হয়ছে। আমি:- ওনার নয় অন্য বাড়ীর, আম্মু আমার খিদা লাগছে আমাকে খেতে দাও। আব্বুর কথা শোনলে মনে হয় আমাকে জন্ম দিয়ে একে বারে আমার জীবনটা কিনে নিয়েছে। খানা খেয়ে মনটা খারাপ করে রুমে এসে পরেছি, কবে যে আমার ময়না পাঁখিকে দেখতে পারবো আল্লাহ যানে। তসিবার ছবিটা বুকের উপর নিয়ে ঘুমিয়ে পরেছি। একটু ছোট করে পরিচয়টা দিয়ে নেয় আমি সোহরাব আল ইসলাম অনার্সে ২য় বর্ষে পরি আর বাবা নিজের ব্যবসা করে আম্মু বাসায় থাকে আমি তাদের এক মাত্র ছেলে। তসিবার সাথে আমার বাল্য কালে বিয়ে হয়ছে এইটা সবাই বুঝতে পারছেন। এখন ঘুমায় বাকি কথা ঘুম থেকে ওঠে বলবো। সকালে ঘুম থেকে ওঠে কলেজে যাবো এমন সময়। আব্বু:- সোহরাব দেখ তো এখান থেকে কোন মেয়েটা তোর পছন্দ হয়। আমি:- সামনে তো কোন মেয়ে নেয় তাহলে বলবো কি করে? আব্বু:- গাধা সামনে নয় এই ছবি গুলা দেখে বল। আমি:- আপনি আবার বিয়ে করবেন আম্মু দেখে যাও তোমার সতিন আনার জন্য ব্যাবস্থা করতেছে। আব্বু:- হারামজাদা আমার জন্য নয় তোর জন্য তুই এখান থেকে একটা মেয়ে পছন্দ করে আমাকে বলবি আমি তোর বিয়ে দিব। আমি:- আমার তো বিয়ে হয়ে আছে তাহলে বিয়ে করবো কেনো? আমার বউ আছে আমি তসিবাকে ছারা আর কাওকে বিয়ে করবোনা এক নিশ্বাষে বলে ফেলছি। আব্বু আমার কথা শুনে আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে। আব্বু:- ঐ মেয়েকে আমি তোর বউ হিসাবে মানিনা এই বিয়ে কোন বিয়ে নাকি! আর তোর জন্য কি ওর মেয়েকে এখনো বসিয়ে রাখছে নাকি ঐ মেয়েকে আমি এই বাড়ীতে জীবনেও মেনে নিব না। যদি তুই রাস্তা থেকে ফকিন্নির মেয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসিস তাহলে আমি মেনে নিব কিন্তু ঐ মেয়েকে মেনে নিব না। আমি:- তাহলে আমি অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করবোনা আর ওর সাথে আমার তো ডির্ভোস হইনি তাহলে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবো কি করে? আব্বু:- আরে দুর এই বিয়েটা কেও মনে রাখেনি আর ডির্ভোস হওয়ার দরকার কি? এক কাজ কর এখানের মেয়ে গুলি অনেক ভালো আছে যে কোন একটা মেয়ে পছন্দ করে আমাকে জানিয়ে দিবি আজ রাতের মধ্যে। আমি:- বিয়ে করলে আমি পরে করবো, এখন আমার বিয়ে করতে ইচ্ছে করছেনা, বলে ছবি গুলা না দেখে চলে আসতেছি। আর আব্বু চেচা মিচি করতেছে আমি শুনেও না শুনার বান করে চলে আসছি। কলেজের সামনে গেছি তখনি দেখি অনেক গুলা লোক এক সাথে জরো হয়ে আছে। কাছে গেছি তাকিয়ে দেখি একজন মাঝ বয়সি মহিলা এক্সিডেন্ট করে পরে আছে। কেও ধরতেছেনা আমি গিয়ে ওনাকে ধরে মাথাটা তুলে আমি পুরাই অবাক হয়ে গেছি। আরে ওনি তো আমার চাচিমা মানে আমার শ্বাশুমা। তারা তারি করে ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। ডাক্তারকে বলে ওনার ট্রিটমেট ব্যাবস্থা করেছি ডাক্তার দেখে বলে,, ডাক্তার:- ওনার তো এক্সিডিন্ট হয়নি কিছুক্ষনের মধ্যে জ্ঞান ফিরবে তখন বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন। আমি:- কি হয়ছে ওনার কোন সমস্যা হবেনা না তো? ডাক্তার:- একটু পেশায় কমে গেছিলো তাই অজ্ঞান হয়ে গেছে আমি ঔষুধ দিয়েছি ঠিক হয়ে যাবে। আমি:- ঠিক আছে ডাক্তার চলে গেছে আমি চাচির পাশে বসে আছি, কিছুক্ষন পর চাচির জ্ঞান ফিরে এসেছে চাচি আমাকে দেখে বলে,, চাচি:- আমি কোথায় আর তুমি কে? আমি:- (চাচিকে আমার পরিচয় দেওয়া যাবেনা কারন চাচি তাহলে আমার সাথে কথা বলবেনা) আমার নাম আল ইসলাম আপনি এখন হাসপাতালে আছেন। চাচি:- বুঝতে পারছি আমি মাথা ঘুরে পরে গেছিলাম রাস্তায়। আমার একটা কাজ করবে? আমি:- হ্যা বলেন কি কাজ? চাচি:- আমাকে একটু বাসায় দিয়ে আসবে? আমি:- ( আরে এতদিন ধরে আমি আপনাদের বাড়ী খুঁজতে ছিলাম আর আপনি নিজেই নিতে চাচ্ছেন) হ্যা নিশ্চয় চলেন আমি আপনাকে বাসায় দিয়ে আসি। হাসপাতালের বিলটা দিয়েছে চাচি আমি দাঁড়িয়ে দেখলাম। চাচিকে সাথে করে যেতেছি,,, চাচি:- আচ্ছা তুমি কি করো আর কোথায় থাকো? আমি:- পড়াশোনা করি থাকি একটা ব্যাচেলর রুমে গ্রামে আমাদের বাড়ী আছে। চাচি:- কোথায় তোমাদের গ্রামের বাড়ী? আমি:- এই তো,,,,,, কুমিল্লা। চাচি:- বাড়ীতে কে কে আছে? আমি:- বাবা মা। চাচি:- তুমি তাদের এক মাত্র ছেলে ভালো আচ্ছা আমার বাসা এসে গেছি চলো ভীতরে যাবে। আমি:- ঠিক আছে চলেন, চাচির সাথে বাসার ভীতরে ঢুকতেছি আর বুকের ভীতরে ভয় ভয় কাজ করতেছে তবে তসিবাকে দেখার জন্য চোখ দুইটা এদিক সেদিক ঘুরতেছে। বাসার ভীতরে ঢুকে দেখি বাসাটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখছে। চাচি:- তুমি এখানে বসো আমি ফ্রেস হয়ে আসতেছি। আমি:- ঠিক আছে আমি নিচে সুফায় বসে আছি তখনি কেও আমার চোখ ধরে বলে,, বলেন তো আমি কে? আমি:- (কন্ট শোনে মনে হচ্ছে ছোট বাচ্ছা মেয়ে হবে তাও আপনি করে বলতেছি ইচ্ছে করে) কি করে বলবো আপনি কে চোখ গুলো তো আপনি ধরে রাখছেন। অনুমান করে বলেন। আমি:- (না আনতাজি নাম বলা যাবেনা কারন যদি তসিবার নাম বলি তাহলে এখানে সব শেষ হয়ে যাবে।) আপনাদের বাড়ীতে এই প্রথম এসেছি আমি বলতে পারবোনা। তখনি আমার চোখ ছেরে দিয়ে নিজের চোখ গুলা বন্ধ করে বলতেছে,, দুলাভাই আপনি আমাকে ভূলে গেছেন গতকাল রাতে আপনার সাথে আমরা বসে ডিনার করেছি। আর এখুনি আমাকে ভূলে গেছেন। আচ্ছা কেমন আছেন আর এত তারা তারি চলে আসলেন? আমি:- আগে চোখ গুলা খুলেন তারপর আমাকে দুলাভাই বলেন। মেয়েটা চোখ খুলে তাকিয়ে কিছুটা লজ্জা পাইছে। মেয়ে:- সরি আমি বুঝতে পারিনি আমার বড় আপুর বিয়ে ঠিক হয়ছে ২০ দিন পর আপুর বিয়ে। পেছনটা দেখতে ঠিক আপনার মত তাই দুলাভাই বলছি। আমি:- ঠিক আছে সমস্যা নেয় বলে সিঁড়িতে তাকিয়ে দেখি অন্য একটা মেয়ে নামতেছে, আমার মনে হচ্ছে এইটা তসিবা হবে বাহা অনেক সুন্দর হয়ছে আমার বাল্য কালের বউ। মেয়ে:- আপু আমি এই ভাইয়াকে দুলাভাই মনে করে চোখ টিপে ধরেছি। আর এই যে মিষ্টার ওনি হচ্ছে আমার বড় আপু নাম তসিবা দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর তাইনা। আমি:- হ্যা অনেক সুন্দর তোমার আপুর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে? মেয়ে:- হ্যা হয়ে গেছে সামনে মাসে ২০ তারিখে আপুর বিয়ে। তসিবা:- এই পাকনা বুড়ি অচেনা একটা ছেলেকে বাসার সব কিছু বলতেছিস কেন? আর আপনি কে এখানে কার কাছে এসেছেন কোথায় থেকে যে এই সব আসে আল্লাহ যানে। বের হোন বলছি তানা হলে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিব। চাচি:- তসিবা কি হচ্ছে এই সব তুমি দেখি তোমার বাবার মত ব্যাবহার করতে শিখে গেছো? তসিবা:- আম্মু তুমি আনছো এই লোকটাকে দেখতে কেমন লাগে ছিঃ কি দুর গন্ধ। (চাচিকে রাস্তা থেকে হাসপাতালে নিতে গিয়ে আমার সাটটা ময়লা হয়ে গেছে আর একটু ঘামের গন্ধ করছে তাই তসিবা এমন করতেছে।) চাচি:- ওর জন্য আজকে আমি বাড়ী ফিরে আসতে পারছি, চাচি সব কিছু তসিবাকে খুলে বলছে সব কিছু শোনে তসিবা এমন এক কথা বলবে তা আমি কল্পনাও করতে পারতেছিনা। এতটা পরিবর্তন তসিবার মাঝে হলো কি করে এই ভাবতেছি তখনি,,, । চলবে,,,,, । পর্ব:-(০২) । বাল্য কালের বউ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে অথচ আমি তসিবাকে বউ বলে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিতে পারতেছিনা। ইচ্ছে করছে সব কিছু বলে দেয়। তখনি ঠাসসস করে একটা থাপ্পর দিয়ে বলে তোর সাহোস হয় কি করে আমার বাসায় এসে আমার মেয়ের মুখে মুখে তর্ক করিস ছোট লোকের বাচ্ছা কোথাকার। এখানে তোকে কে নিয়ে আসছে (চাচা) (চাচা ঠিক আগের মত আছে কিছুটা পরিবর্তন হইনি।) চাচি:- আসলে ওর কোন দোষ নেয় আমি রাস্তায় মাথা ঘুরে পরে গেছিলাম ছেলেটা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আমি ওকে সাথে করে বাসায় নিয়ে এসেছি প্লিজ আপনি ওকে কিছু বলিয়েন না। আমি:- আম্মু একটা কথা বলে উপকার করবি তার বিনময়ে অনেক লাঞ্চিত হতে হবে। কিন্তু এই ভয়ে কোন সময় কাওকে উপকার না করে চলে যেতে নেয়। চাচি:- বাবা তুমি কিছু মনে করোনা। আমি:- ঠিক আছে আমি তাহলে আসি আর আপনাদের বলি এতটা গরিব মানুষকে ঘৃনা করা ঠিক নয়। চাচা:- দাড়াও আসলে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি আমার মেয়ের চেহারা কালো থাকলে আমার কাছে ভালো লাগেনা। আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি আসি কেমন। চাচি:- বাবা একটু দাড়াও তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে বলে চাচি চাচাকে একটু দুরে ডাক দিয়ে নিয়ে কিছু কথা বলে এসে আমাকে বলতেছে,,, চাচা:- আমি তোমার ব্যপারে সব কথা শুনেছি, আচ্ছা তুমি আমাদের বাড়ীতে থেকে পড়া শোনা করতে পারবে শুধু আমার ছোট মেয়ে তিশাকে পড়াবে। আমি:- ( যেহেতু সুযোগ একটা পেয়েছি দেখি কাজে লাগাতে পারি কি না) হ্যা পারবো তবে আমার একটা কথা আছে। চাচা:- হ্যা বলো কি কথা? আমি:- আমি কিন্তু রোজ কলেজে যেতে হবে আর আমাকে কেও গরিব ছোট লোক বলতে পারবেনা। চাচা:- হা হা হা ঠিক আছে যেয়ো আর তোমাকে কেও কিছু বলবেনা। আমি:- ঠিক আছে তাহলে আগামীকাল আমি আমার সব কিছু নিয়ে চলে আসবো আজকে যাই কেমন। যাক তাহলে বউকে এখন কাছ থেকে দেখতে পারবো। তবে আব্বু আম্মুকে ম্যানেজ করবো কি করে। যাই বাসায় যাই তারপর একটা উপাই বের হবে রাস্তায় চিন্তা করতে করতে একটা উপাই বের করে নিয়েছি। বাসায় এসে আব্বুর পায়ে পরে গেছি। আব্বু:- কিরে কি হয়ছে? আমি:- আমার সব বুন্ধুরা মিলে এক মাসের জন্য পিকনিকে যেতে চাইছি চট্রগ্রাম আপনি আমাকে অনুমতি দেন আমি এসে আপনার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবো। আরো কিছু চাপা মেরে আব্বুকে রাজি করালাম। আব্বু:- ঠিক আছে তাহলে কাল সকালে আমি তুকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে আসবো। আমি:- না না আপনাকে কষ্ট করে যেতে হবেনা আমি নিজেই চলে যেতে পারবো, আব্বুকে কিছুক্ষন বুঝিয়ে নিলাম। অবশেষে আব্বু রাজি হইছে। রাতটা কোন রকম ছট ফট করে কাটিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা করে রওনা দিলাম বাল্য কালের বউ এর কাছে। আজ থেকে আমার নতুন মিশন শুরু যেই করে হোক তসিবাকে আমার জীবনে পেতে হবে। প্রায় দুই ঘন্টা পর বাল্য কালের বউ এর বাড়ীতে এসেছি। চাচি:- বাবা তুমি এসেছো? আমি:- হ্যা এসেছি আচ্ছা আমি আপনাকে আন্টি বলে ডাকলে আপনার কোন সমস্যা হবে? চাচি:- না কোন সমস্যা নেয়, এই তিশা তোর এই ভাইয়াকে তোর আপুর পাশের রুমে যেই গেস্ট রুম আছে সেখানে নিয়ে যা। তিশা:- আচ্ছা ঠিক আছে ভাইয়া আসুন আমার সাথে বলে তিশা আমাকে হাত ধরে নিয়ে যেতেছে। আমি:- তিশা তোমার আপুর রুম কোনটা? তিশা:- এইটা আপুর আর এইটা আপনার রুম। আমি:- ঠিক আছে তুমি এখন যাও, তিশা চলে গেছে আমি রুমে গিয়ে ব্যাগটা রেখে তসিবার রুমে ঢুকে গেছি। গিয়ে দেখি তসিবা রুমে নেয় বাথরুম থেকে দরজায় হাত বারিয়ে বলতেছে,, তসিবা:- বুড়ি রুমে এসেছিস তাহলে আমার তোয়াইল্লাটা দে, (আমি দাড়িয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখি খাঠের উপর তোয়াইল্লা রাখা।) কাছে গিয়ে তোয়াইল্লা দিব তখনি তসিবা দরজাটা খুলে বলে এতক্ষন লাগে তোয়াইল্লা দিতে? চেয়ে দেখে আমাকে আর সাথে সাথে এক চিৎকার দিবে এমন সময় আমি কাছে গিয়ে তসিবার মুখ চেপে ধরে বলছি। আমি:- মেম আপনার পায়ে পরি আমার ভূল হয়ে গেছে আমি ভাবলাম এই রুমে আমাকে থাকতে বলছে। আমি কিছু দেখেনি এই চোখ বন্ধ করে নিব এখুনি। প্লিজ মেম আপনার কাছে অনুরুদ কাওকে কিছু বলিয়েন না কেমন। তসিবা মাথা দিয়ে ইসারা করেছে কাওকে বলবেনা। তারপর হাতটা মুখ থেকে সরিয়ে নিয়েছি। তসিবা:- তোমার সাহোস হলো কি করে আমার রুমে ঢোকার এখুনি আমি সব কিছু আব্বুকে বলে দিব। আমি:- তসিবা ইসমাইল প্লিজ বলে কিছু ছবি তুলে নিলাম, যাও এখন কাওকে বলো তাহলে তুমি যে দোকান খুলে রাখছো তা সবাইকে দেখিয়ে দিব। তখনি তসিবা নিজের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেয়েছে। তসিবা:- হায় হায় আমি খেয়াল করিনি এতক্ষন ধরে ছিঃ ছিঃ আপনি এখনি বের হোন বলছি তানা হলে ভালো হবেনা কিন্তু। আমি:- যা দেখার দেখে ফেলছি তবে তোমার দোকান অনেক সুন্দর বলে দৌর দিয়ে বেড়িয়ে এসেছি তসিবা আমার উপর খেপেছে। যাক বাল্য কালের বউ তসিবা অনেক সুন্দর এই ছবি গুলা দিয়ে কিছুটা কাজ হবে। আমি ফ্রেস হয়ে নিচে নামতেছি তসিবা এসে বলতেছে,, তসিবা:- হাই কেমন আছো তোমার নাম কি? আমি:- ডাল মে কুচ কালা হে, এত ভাব নিতে হবেনা আসল কারনটা কি বলেন? তসিবা:- আমি কিন্তু আপনার ছোট হবো আমি আপনাকে তুমি বলতেছি আর আমাকে আপনি করে বলতেছেন। আমি:- আমি গরিব ছোট লোক তাই আপনাকে আপনি করে বলছি। তসিবা:- আমরা দুজনে বুন্ধ ওকে এখন থেকে তুমি করে বলবে। আমি:- না থাক আমার বান্ধবীর কোন দরকার নেয়। বলে চলে এসেছি তসিবা রাগে চোখ লাল করে আমার পিছু পিছু নামছে। তিশা:- আপু দুলাভাই এসেছে ঐ তো এখানে বসে আছে। তসিবা:- সোহেল এসেছে চলো ওর সাথে দেখা করি। তসিবা তিশাকে সাথে নিয়ে গেছে আমি পিছু পিছু গেলাম গিয়ে দেখি সোহেল চাচা চাচির সাথে বসে গল্প করতেছে তসিবা কাছে যাবার পর তসিবাকে রেখে চাচা চাচি চলে গেছে। সোহেল:- তসিবা আমি ভাবছিলাম লং ড্রাইবে যাবো তুমি কি বলো? তসিবা:- হ্যা আমি ফ্রি আছি চলো যাই, তখনি আমি কাছে গিয়ে বলি,,, আমি:- হাই সোহেল আমি আল ইসলাম, তিশার টিচার। সোহেল:- তা আমি কি করবো, তসিবা চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি:- আঙ্কেলকে বলে যাও তসিবা তানা হলে আঙ্কেল তোমার জন্য চিন্তা করবে বলে আমি নিজেই ঢেকে আনছি আঙ্কেল সব কিছু শুনে বলে,, আঙ্কেল:- সোহেল আজকে নয় তোমরা আগামী কাল যেয়ো কেমন আজকে আমার একটা বন্ধুর বাসায় রাতে পার্টি আছে রাতে, সাথে তোমাকেও নিতে বলছে। সোহেল:- ঠিক আছে তাহলে এখন আমি বাসায় যাই রাতে আসবো কেমন। আমি:- হ্যা হ্যা তা একদম ঠিক আছে সোহেল আমার দিকে তাকিয়ে চলে গেছে আমি তিশার সাথে বসে দুষ্টুমি করে আজকের সময়টা পার করে দিয়েছি, সন্ধায় আমি রুমে শুয়ে আম্মুর সাথে কথা বলতেছি। তিশা:- ভাইয়া আপনাকে আব্বু বলছে আমাদের সাথে যেতে আপনাকে রেডি হয়ে নিচে আসতে বলছে। আমি:- ঠিক আছে, যাক তাহলে আজকে তসিবাকে মজা দেখাবো যাই আমি গিয়ে একটু ফ্রেস হয়ে নেয়। কিছুক্ষন ধরে নিজেকে ভালো করে মান্জা দিয়ে নিলাম যখন নিচে এসেছি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে, সবাই রেডি হয়ে আঙ্কেলের বন্ধুর বাসায় গেলাম, সাথে সোহেল ছিলো। তিশা:- ভাইয়া তুমি আমার হাত ধরে রাখবে আমি অনেক সুন্দর তো আমাকে যদি কেও চোখ মারে তাহলে আমি তোমাকে বলবো তখন তুমি সবাইকে ডিশুম ডিশুম দিবে। আমি:- হ্যা তুমি তোমার আপুর থেকেও সুন্দর তোমাকে তো চোখ মারবেই, তখনি তসিবা আমার দিকে চোখ লাল করে তাকিয়েছে। আমি আর ওর দিকে তাকাইনি অন্য দিকে তাকিয়ে অনুষ্টানে গেলাম একজন ভদ্র লোক এসে চাচার সাথে কথা বলছে ওনি সবাইকে আমাকে তিশার টিচার বলে পরিচয় করিয়ে দিছে। সোহেল:- আচ্ছা মিস্টার আল আপনার গ্রালফ্রেন্ড নেয়। আমি:- না নেই এই সবে আমি বিশ্বাসি নয়, তিশা চলো আমরা ঐ দিকে যাই তোমার দিকে কু নজর দিতেছে তুমি দেখনা। তখনি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি চলে এসেছি কিছুক্ষন পর তসিবা তার কিছু বান্ধবী নিয়ে এসেছে সাথে সোহেল এসেছে। তসিবা:- নেন আপনার জন্য আমরা সবাই মিলে সরবত নিয়ে এসেছি আপনি এখানে বসে বসে আমার ছোট বোনকে কু নজর থেকে রক্ষা করতেছেন। আমি:- থাক আমার লাগবেনা আপনি একা খান আমি সরবত খায়না। তসিবা:- বুঝতে পারছি সবাই নে সরবত তানা হলে স্যার মাইন্ড করবে, তখন সবাই সরবত নিয়েছে তবে একটা গ্লাস অন্য রকম এইটা কেও ধরতেছেনা। নেন এইটা আপনার জন্য তখনি চাচা এসে বলে,, চাচা:- তসিবা তোরা আয় আমি একটু কাজ পরেছে চলে যেতেছি। আমি:- আঙ্কেল আমি আসবো আপনার সাথে? চাচা:- তুমি যাবে আমার সাথে তাহলে আসো? তখনি সোহেল বলে,, সোহেল:- আঙ্কেল আমি আসি আপনার সাথে? চাচা:- ঠিক আছে তুমি এসো চাচা সেহেলকে সাথে করে চলে গেছে। তসিবা:- কি হলো তুমি খাও এইটা এতক্ষনে আমি গ্লাস চেন্জ করে ফেলছি তসিবার সাথে। আমি:- একবার তুমি আরেক বার আপনি মাথা ঠিক আছে তো, খাচ্ছি বলে এক চুমুকে সবটা খেয়ে ফেলছি, এখন আপনার পালা। তখন তসিবা খুব খুশি হয়ে এক চুমিকে খেয়ে ফেলছে। তার কিছুক্ষন পরে শুরু হয়ছে তসিবার দুষ্টুমি। তিশা:- ভাইয়া তুমি কিছু করো তানা হলে বাসায় গেলে আব্বু সবার বারোটা বাজাবে। আমি:- ঠিক আছে আমি তসিবাকে দেখতেছি হঠাত করে ও পরে যেতে ছিলো আমি ধরে ফেলছি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখছে তিশা আমাদের সাথে আছে, তসিবার দুষ্টুমি বেরে গেছে আর আবল তাবল বলতেছে। চাচি:- বাবা তুমি একটু তসিবাকে সাথে করে বাসায় নাও আমি তিশাকে সাথে করে আসতেছি। আমি:- ঠিক আছে, এই সুযোগটা আমি খুঁজতে ছিলাম চাচি চলে গেছে আমি তসিবাকে নিয়ে বাসায় যেতেছি তসিবা চেয়েছে আমাকে এই ড্রিংক্স করাতে শেষ মেশ নিজে করেছে। অনেক কষ্টে তসিবাকে বাসায় নিয়ে এসেছি যখনি ভীতরে ঢোকতে যাবো তখনি তসিবা পরে যেতেছে আর আমি ধরেছি কিন্তু হাতটা তসিবার পেটে লাগছে আর সাথে সাথে একটা থাপ্পর দিয়েছে। মনে হয় কিছুটা নেশা কেটেছে তসিবার তখনি হঠাত করে অজ্ঞান হয়ে গেছে। আমি তসিবাকে কোলে নিয়ে বাসায় এসেছি। তিশা:- আপুর কি হয়ছে? আমি:- কিছুনা একটু ঘুমিয়ে পরছে তোমার আব্বু বাসায় আছে? তখনি চাচি বলে,, চাচি:- না আজকে বাসায় আসবেনা একটু কাজ পরে গেছে তুমি তসিবাকে একটু ওর রুমে শুয়ে দিয়ো কেমন। আমি:- ঠিক আছে, তসিবাকে কোলে করে ওর রুমে এসে ওকে শুয়ে যেতে লাগলাম তখনি তসিবা আমার হাত ধরে রাখছে। আর বলতেছে,, তসিবা:- আমাকে রেখে তুমি কোথায় যাচ্ছো আমার পাশে শুয়ে থাকে বলে টান মেরে আমার হাত নিয়ে ওর পেটের মধ্যে ধরে রাখছে। এমন ভাবে ধরে রাখছে ছারাতে পেরছিনা আবার ভয় করতেছে যদি চিৎকার দেয়। তাই তসিবার পাশে শুয়ে পরেছি আল্লাহ যানে সকালে আমার কি হয়। তসিবাকে খোব সুন্দর লাগছে আমি ওর কপালে একটা কিস করে ওর পাশে শুয়ে পরেছি সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। । চলবে,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে