গল্প:- বাল্য কালের বউ পর্ব:-(৯:-১০:-১১)
লিখা:- Shohrab AL Islam
।
তুমি আমাকে ডির্ভোস দিতে হবেনা আগামী কাল তোমাকে আমি ডির্ভোস দিয়ে দিব। অনেক হয়ছে আমি আর তোমাকে জ্বালাবোনা সকালে ওঠে আমি এই বাড়ী ছেরে চলে যাবো। (আমি)
তসিবা:- আমার কাছে একজন ভালো ডির্ভোস স্প্যাশালিষ্টের নাম্বার আছে। চলো এখুনি আমরা দুজুনে ফোন করে আলাপ করি।
আমি:- তোমার পরিচিত কারো কাছে যাবোনা আমি আমার পরিচিত লোক দিয়ে ডির্ভোস দিব তোমাকে। এখন তুমি যাও আমি আজকে বাহিরে ঘুমাবো।
তসিবা:- বাহিরে ঘুমাবে যদি ঠান্ডা লাগলে তাহলে আমাকে দোষারুপ করতে পারবেনা।
আমি:- তোমাকে কেন দোষারুপ করবো, আর তুমি যাও এখন চোখের সামনে থেকে।
তসিবা:- ঠিক আছে গেলাম, আর একটা লাষ্ট কথা বলবো?
আমি:- থাক বলতে হবেনা, সকালে ওঠে তোমার মুখ দেখার আগে আমি চলে যাবো।
তসিবা:- ঠিক আছে মন থাকলে হলো এবার আমি গেলাম, যদি শরীল খারাপ করে তখন বুঝতে পারবে।
আমি:- যখন হবে তখন বুঝবো এখন তুমি যাও এক দমক দিয়ে বলছি তসিব রুমে গিয়ে দরজট বন্ধ করে লাইট অফ করে শুয়ে পরেছে। আমি বাহিরে এসে ছাদে গিয়ে সোজা চাঁদ দেখে দেখে ঘুমিয়ে গেছি কখন ঠিক মনে নেয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠে নিচে এসে দেখি তসিবা রুমে নেয়, আমি রুমে ঢুকে সোজা ফ্রেস হতে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে এসে আমার সব কিছু গুচিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়েছি।
তসিবা:- কি করছো তুমি?
আমি:- আমার সব কিছু ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম। আজকে কলেজে যাবার নাম করে এই বাড়ী ছেরে চলে যাবো।
তসিবা:- তাহলে ডির্ভোস দিবে কখন?
আমি:- তোমার চিন্তা করতে হবেনা আমি দিয়ে দিব, এখন সরো আমি বের হবো।
তসিবা:- তোমার সাথে আমার আর কোন দিন দেখা না হোক এইটা আমি চাইবো। তবে তোমাকে আজকে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে যেই কথাটা রাতে বলতে চাচ্ছিলাম।
আমি:- আমার শোনার কোন দরকার নেয়। আমি আজকে আমার বাবা মার কাছে চলে যাবো।
তসিবা:- তোমার দরকার নেয় তবে আমি বলে দেয়, আমার ছোট থাকতে বিয়ে হয়ছে। যদি ওরা এক্সিডেন্ট মারা না যেত তাহলে আজকে তোমাদের কারুর সাথে আমার দেখা হতনা।
আমি:- (তসিবা তাহলে ওর বাল্য কালের বিয়ের কথাটা ভূলেনি, না আমি এখন পরিচয় দিবনা। আগে সব কিছু যেনে নেয়।) ওরা মারা গেছে মানে কারা মারা গেছে?
তসিবা:- আমার জেঠুর পরিবারের সবাই, আর আমার যার সাথে বিয়ে হয়েছে সোহরাব।
আমি:- তুমি দেখছো ওদের লাস?
তসিবা:- না আমি দেখিনি আব্বু বলছে ওরা সবাই মারা গেছে।
আমি:- ও এই কথা ঠিক আছে, তুমি থাকো আমি কলেজে গেলাম।
তসিবা:- আমাকে আজকে কলেজে নিয়ে যাবে।
আমি:- ঠিক আছে তারা তারি করে রেডি হয়ে নাও।
তসিবা:- পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে নিতেছি। তসিবা ফ্রেস হতে চলে গেলো আর আমি রুমে বসে অপেক্ষা করতেছি, তসিবা একদম ফ্রেস হয়ে এসেছে।
আমি:- তুমি আজ রেহেঙা পরেছো কেন?
তসিবা:- পরে বলতেছি তুমি একটু কষ্ট করে আমার পেছনের হুকটা লাগিয়ে দাও।
আমি:- পারবোনা তোমার পিটের তিলটা দেখলে ধরতে ইচ্ছে করে।
তসিবা:- ঠিক আছে ধর এখন তারা তারি করে হুকটা লাগিয়ে দাও।
আমি:- না থাক ধরবোনা, তসিবার রেহেঙার হুক লাগিয়ে দিয়েছি। আমি বসে আছি আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে চুল গুলা এদিক সেদিক নিতেছে। তসিবার বেজা চুল দেখে এদিকে আমার অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
তসিবা:- কিছু বলবে?
আমি:- না, তুমি তারা তারি রেডি হও, আমার দেরি হচ্ছে কিন্তু।
তসিবা:- রেহেঙা পরলে ভালো লাগে আমার, তবে শাড়িতে আমাকে খুব সুন্দর লাগে।
আমি:- এখন আবার শাড়ি পরতে বলোনা কিন্তু।
তসিবা:- তোমাকে বললেও তুমি এখন আমাকে পরিয়ে দিবেনা। তানা হলে আজকে শাড়ি পরতাম।
আমি:- অনেক কথা হয়ছে এখন চলো, তসিবা ব্যাগ নিয়েছে আর আমিও আমার সব কিছু নিয়ে নিয়েছি। নিচে এসেছি আমাকে চাচি দেখে বলে,,
চাচি:- আল তুমি আজকে এই ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছো কেন?
আমি:- কলেজে অনেক বই নিতে বলছে তাই।
চাচা:- আল এসো নাস্তা করবে।
আমি:- হ্যা আসতেছি, আমি গিয়ে বসেছি আমার পাশে তসিবা বসেছে আমি ওঠে অন্য চেয়ারে যেতে লাগলাম। তসিবা আমার হাত ধরে বলে,,
তসিবা:- এখানে বসো কোথায় যেতে হবেনা।
চাচা:- আল কাল রাতে ক্লাবে নাকি জ্বামেলা হয়ছে, আমি সব কিছু শোনেছি। আসলে সোহেল আর ওর বাপ এত বড় চিটিং তা আমি বুঝতে পারিনি।
আমি:- আজকাল আপন মানুষকে পর করে দেয় আর পর মানুষকে আপন করে নেয়। যার কারনে আজকালের মানুষ বেশি বিপদে পরে।
চাচা:- তুমি এই কথাটা বলছো কেন?
আমি:- এমনিতেই, আচ্ছা আঙ্কেল তসিবার নাকি ছোট থাকতে বিয়ে হয়ছে।
চাচা:- তুমি এই কথা জানলে কি করে?
তসিবা:- আব্বু আমি বলছি ওকে।
চাচা:- একদম ছোট থাকতে তবে ঐটা কোন বিয়ে নাকি, আর ওরা এখন বেচে নেয়। সবাই গাড়ী এক্সিডিন্টে মারা গেছে।
আমি:- ( ছিঃ চাচা আপনি এমন নিজের জেদ বজায় রাখতে গিয়ে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলছেন।) ও আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমি কলেজে যাই।
তসিবা:- আমিও যাই কেমন আব্বু।
চাচা:- ঠিক আছে সাবধানে যাস, আর আল রাতে তোমার সাথে কিছু কথা বলবো। আর তুমি কলেজের ফাকে ফাকে আমার অফিসে একটু সময় দিও কেমন।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে চেষ্টা করবো। ওনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাহিরে এসেছি। তসিবা তুমি কলেজে যাও আমি রিক্সা ঠিক করে দেয়।
তসিবা:- আজকে বাইকে যাবেনা?
আমি:- না কারন আমি তোমার বাবার বাইক নিয়ে কি করবো। আমি তো আর তোমাদের বাড়ীতে আসবো না।
তসিবা:- ঠিক আছে তুমি বাইক নিয়ে যাও, পরে কাওকে দিয়ে পাঠিয়ে দিও। এমনিতে আজকে দেরি হয়ে গেছে।
আমি:- ঠিক আছে তুমি যেহেতু এত করে বলছো সেহেতু আজকের মত লাস্ট বার তোমাকে লিভ দেয়। বাইকটা বের করে আমি বসেছি তসিবা আজকে নিজে থেকে আমাকে পেছেন থেকে সামনে হাত দিয়ে ধরেছে। আমি বাইক চালাচ্ছি তসিবা পেছনে বসে আছে।
তসিবা:- আজকে তোমার বাইক কোন সমস্যা করে না কেন?
আমি:- মানে কি সমস্যা?
তসিবা:- গত কাল তো বাইকে একটু পর পর ব্রেক লাগিয়েছো আজকে তো কোন ব্রেক মারতেছো না।
আমি:- মন চাইনা তাই, এখন কথা কম বলে চুপ করে বসো আমার কানের বারোটা বাজাচ্ছো কেন?
তসিবা:- আমি বুঝতে পারছি তুমি কেন এমন করছো ঠিক আছে, আমিও দেখে নেব কি করে তুমি আমাকে ডির্ভোস দাও।
আমি:- কলেজের সামনে এসে গেছি এখন তুমি নামো।
তসিবা:- কলেজের ভীতরে নাও আমি আজকে কলেজের ভীতরে গিয়ে নামবো।
আমি:- পারবোনা তুমি নামো এখানে বলে তসিবাকে নামিয়ে দিয়েছি। আমি বাইক নিয়ে কলেজের ভীতরে ঢুকেছি, বাইক রেখে সোজা ক্লাসে চলে গেলাম। একটা ক্লাস করে বাহিরে এসে দেখি তসিবা একা একা বসে আছে। আমাকে দেখেই তসিবা আমার দিকে এগিয়ে এসেছে।
তসিবা:- আমার খারাপ লাগছে একটু বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে আসবে।
আমি:- পারবোনা তুমি একা চলে যাও, আমি এখন বাসায় চলে যাবো, আর কিছু দিনের মধ্যে তোমার ডির্ভোস পেপার পেয়ে যাবে।
তসিবা:- ঠিক আছে, ধন্যবাদ তোমাকে ভালো থেকো।
আমি:- ধন্যবাদ তোমাকেও তুমিও ভালো থেকো আর নিজের যত্ন নিও। তসিবার দিকে তাকিয়ে দেখি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তসিবার চোখে পানি টল মল করছে। তাহলে ভালো থেকো বাই বলে সোজা বাইক নিয়ে বেরিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। তসিবা মনে হয় আমাকে ভালোবেসে ফেলছে, কিন্তু ওকে এই কষ্টটা দেওয়ার দরকার। রাস্তায় জেমে বসে আছি অনেক্ষন পর জেম ছুটেছে, মনটা খারাপ করে বাইক চালিয়ে বাসায় এসেছি। বাইক বাহিরে রেখে ভীতরে ঢুকেছি তখনি চেয়ে দেখি তসিবা আব্বু আর আম্মুর সাথে বসে হাসা হাসি করতেছে।
আব্বু:- আচ্ছা তুমি যা বলছো সব সত্যি কথা তোমাকে আমার ছেলে বিয়ে করেছে।
তসিবা:- আপনার মাথা ছুয়ে বলছি আমার সাথে আপনার ছেলের সোহরাবের বুয়ে হয়ছে। তখনি আমাকে দেখে তসিবা কাছে এসে বলে, হাই জানে মান তুমি আমাকে আগে বলোনি কেন তুমি সেই আমার।
আমি:- (তসিবাকে থামিয়ে দিয়ে বলছি) আরে আপনি কে কেন এমন করতেছেন?
তসিবা:- কি বলছো তুমি আমার সাথে তোমার দু দুইবার বিয়ে হয়ছে। তুমি কি ভাবছো আমি কিছু জানতে পারবোনা রিয়া আমাকে সব কিছু বলে দিয়েছে। আমি এখুনি আব্বুকে ফোন করেছি, আজকে তোমার খবর আছে। তসিবা আমার কানের কাছে এসে বলছে।
আমি:- তুমি এমনটা করোনা তাহলে তোমার আমার দু জনের কপালে খারাপি আছে।
তসিবা:- তাহলে আমি যা বলবো তুমি তা তা করবে রাজি থাকলে আমাকে বলো। (রাজি হলে আমাকে দিয়ে যা খুশি তাই করাবে, আর রাজি না হলে নিরঘাত কপালে শনির দশে আছে। এখন কি করব?)
।
পর্ব:- (১০)
।
বিয়ে করার সময় বিয়ে করতে পারছো এখন নিজের বউকে তোমার বাবা মার সামনে অসিকার করছো? বলতেছো আমাকে তুমি চিননা? আমাকে তোমার বাবা মার সামনে তোমার বউ বলে পরিচয় করিয়ে দিতে লজ্জা হচ্চে? (তসিবা)
আমি:- এক সাথে এত প্রশ্ন করতেছো কেন! কোনটা রেখে কোনটার উত্তর দিব তা বলবে?
তসিবা:- এখন কথা কম বলে আমাকে তোমার বাবা মার সাথে তোমার বউ বলে পরিচয় করিয়ে দাও।
আমি:- যদি না দেয় তাহলে কি করবে?
তসিবা:- বেশি কিছু করবোনা আব্বুকে এখানে ফোন করে আনবো, আর বলবো তুমি আর তোমার পরিবার মিলে আমাকে চিটিং করে বিয়ে করেছে।
আমি:- তোমাকে কোন চিটিং করে বিয়ে করিনি, মিথ্যা কথা তুমি একটু বেশি বলছো।
তসিবা:- তোমার বুন্ধু রিফাত আমাকে সব কিছু বলে দিয়েছে।
আমি:- রিফাত তোমাকে কি বলছে?
তসিবা:- তোমার প্লানের কথা, আর তুমি যে সোহেলকে বিয়ের দিন তোমার বুন্ধুদের ভুয়া পুলিশ বানিয়ে সোহেলকে রাস্তায় আটকিয়ে রাখছো তার সব কিছু।
আমি:- তোমাকে রিফাত সব কিছু বলে দিয়েছে, শালাকে কালকে কলেজে গিয়ে সায়েম্তা করবো। ওর সাহোস হয় কিরে আমি না করেছি তাও বলে দিয়েছে।
তসিবা:- অনেক হয়ছে এখন তোমার বাবা মার সাথে আমাকে তোমার বউ বলে পরিচয় করিয়ে দাও। নাকি আমি নিজেই বলবো জেঠু আমি আপনার ভাতিজি তসিবা, যার সাথে আমার ছেলের বাল্য কালের বউ বিয়ে হয় ছিলো।
আমি:- দিতেছি তুমি কোন কথা বলবেনা প্লিজ। আব্বু জানতে পারলে আমাকে মেরে ফেলবে।
তসিবা:- ঠিক আছে, তাহলে আমাকে তোমার বউ বলে পরিচয় করিয়ে দাও।
আমি:- আগে যদি জানতাম এত জামেলা হবে তাহলে নতুন করে আর তোমার সাথে সম্পর্কে জড়াতাম না।
আব্বু:- কিরে সোহরাব আর কতক্ষন ফিস ফিস করে কথা বলবি? আমাদের এবার আসল কাহিনিটা কি একটু বল?
আমি:- আব্বু ওর নাম তসিবা আমরা দুজনে স্বামি স্ত্রী।
আব্বু:- কি বলছিস তোরা দুজনে স্বামি স্ত্রী আর বিয়ে করেছিস কবে?
আমি:- পিকনিকে যেতে ছিলাম তখন আমরা রাস্তায় এক বিয়ে বাড়ী দেখছি। সেখানে বিনা দাওয়াতে খেতে গিয়ে দেখি ওর বিয়ে যে ছেলের সাথে ঠিক করেছে সেই ছেলে আসেনি। আমার কাছে খারাপ লাগছে তাই আমি বিয়ে করে নিয়েছি।
তসিবা:- তবেরে হারামজাদা দেখাচ্ছি তুকে বলে আব্বু এসেছে আমাকে মারতে। আর তখনি আমি আব্বুর পায়ের উপর হাপুর দিয়ে পরে গেছি।
আমি:- আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দেন, আমি ভূল করেছি। তবে আপনার জন্য ভালোই হয়ছে আপনার শত্রুর মেয়েকে তো আর আমি বিয়ে করেনি।
আব্বু:- হ্যা ঠিক কথা বলছিস। ওঠ এই প্রথম তুই আমার মনের মত একটা কাজ করেছিস। আচ্ছা মা তোমার বাড়ী কোথায়, আর বাবা কি করে?
তসিবা:- আমার আব্বু ব্যবসা করে, আর আমরা ঢাকা,,,
আমি:- তখনি আমি তসিবাকে থামিয়ে দিয়ে বলছি ওর আব্বু মাছের ব্যবসা করে ওরা চট্রগ্রাম থাকে।
আব্বু:- চট্টগ্রাম থাকলে ঢাকা বিয়ে করতে এসেছে কেন?
আমি:- ওদের বিয়েটা ঢাকায় হবে আর ছেলের বাড়ী ঢাকাতে ছিলো।
আব্বু:- আচ্ছা মা তোমার আব্বুর নাম কি?
আমি:- গানি মাঝি, তখনি তসিবা আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছে, মনে হচ্ছে আমাকে খেয়ে ফেলবে।
আব্বু:- তুকে আমি জিগেস করছি?
আমি:- তসিবা এখানে নতুন এসেছে তো তাই একটু নার্ভাস ফিল করতেছে।
তসিবা:- হ্যা শ্বশুড় জি আমার একটু নার্ভাস লাগছে।
আম্মু:- এখন থেকে তুমি আমার মেয়ের মত থাকবে, আমাদের বাবা মা বলে ডাকবে কেমন।
তসিবা:- ঠিক আছে।
আব্বু:- সোহরাব তুই বউ মাকে রুমে নিয়ে যা।
আমি:- ঠিক আছে, তসিবাকে রুমে নিয়ে গেছি। তখনি ধাক্কা দিয়ে আমাকে খাঠের উপর ফেলে আমার বুকের উপর বসে গলা টিপে ধরে বলে,,
তসিবা:- এই তুমি আমার আব্বুকে এমন ভাবে ছোট করে বললে কেন, আর আমার আব্বুর নাম গনি মাঝি তবেরে তোমাকে আমি মেরে ফেলবো।
আমি:- তানা হলে দুজনকে বাড়ী থেকে লাথি মেরে বের করে দিত। দেখি সরো এখন আমি ফ্রেস হবো।
তসিবা:- কোমাকে আদর করতে ইচ্ছে করছে বলে তসিবা আমাকে আদর করতে লাগলো।
আমি:- এই কি করছো ছারো বলছি বলে তসিবাকে ছারিয়ে নিলাম। দুই দিন পর তোমার সাথে আমার ডির্ভোস হবে। আমাকে ভুল করেও টাচ্ করবেনা বলে দিলাম।
তসিবা:- বললে হলো সোনা চাঁন, আরে বাহ তোমার রুমটা তো অনেক সুন্দর, আচ্ছা আমি ফ্রেস হবো।
আমি:- ঐ বাথরুম যাও গিয়ে ফ্রেস হয়ে নাও।
তসিবা:- আমি তো কোন কাপড় আনি নাই তাহলে ফ্রেস হয়ে পরবো কি?
আমি:- তুমি ফ্রেস হতে যাও আমি আম্মুর শাড়ী নিয়ে আসতেছি।
তসিবা:- উম্মা এই না হলে আমার বর।
আমি:- এই শোন তুমি আমাকে টাচ্ করবেনা আর কিস টিস ভূলেও করবেনা বলে দিলাম। আর শোন তুমি আব্বুকে ভূল করেও বলবেনা তুমি জাহিদ আঙ্কেল মেয়ে।
তসিবা:- যদি আমার কথা না শোন তাহলে বলে দিব সব কিছু।
আমি:- আগেই বুঝতে পারছি তুমি এমনটা করবে, প্লিজ তুমি এমন কিছুই করোনা।
তসিবা:- ঠিক আছে বলবোনা, এখন আমি ফ্রেস হতে যাবো আমার কাপড়ের ব্যাবস্থা করো।
আমি:- হ্যা যাচ্ছি, রুম থেকে বেড়িয়ে আম্মুর রুমে গেছি।
আম্মু:- কিরে হঠাত করে আজ আমাদের রুমে আসলি কেন?
আমি:- তসিবা ভূল করে ওর ব্যাগটা বাসে ফেলে আসছে, ওর সব কাপড় ব্যাগে ছিলো।
আম্মু:- বুঝতে পারছি, কিন্তু আমার শাড়ি ও পরবে।
আমি:- হ্যা পরবে একটু স্ট্যালিশ শাড়ি দেখে দাও।
আম্মু:- দিব কিন্তু মাইর, নে এই শাড়িটা আমি পরিনাই, এইটা তসিবাকে অনেক সুন্দর লাগবে।
আমি:- হ্যা একদম পরি লাগবে, আম্মুর কাছ থেকে শাড়িটা নিয়ে রুমে এসে দেখি তসিবা বাথরুমে ফ্রেস হচ্ছে। তসিবা তোমার রেহেঙার উপড়ের অংশটা বিজাইওনা।
তসিবা:- স্ক্যাট এর কথা বলছো?
আমি:- জানিনা হবে হয়ত।
তসিবা:- সব বিজাই ফেলছি, এখন শাড়ি, ব্লাওজ, আর পেটিকুট দাও।
আমি:- বোকা কোথাকার আম্মুর ব্লাওজ, পেটিকুট তোমার পরনে লাগবে।
তসিবা:- তাহলে এখন কি করবো?
আমি:- দ্বাড়াও দেখছি কি করা যায়, তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি এখুনি আসতেছি। তারা তারি করে ছাদে ওঠেছি, আমাদের পাশের বাড়ীর ছাদটা আমাদের সাথে এডজাস্ট করা। ঐ বাড়ীতে কিছু দিন আগে নতুন বিয়ে হয়ছে, বউটা তসিবার মত হেঙলা। ছাদে ওঠে দেখি ব্লাওজ, পেটিকুট, রৌদ দিয়ে রাখছে। চুপি চুপি গিয়ে ব্লাওজ, পেটিকুট নিয়ে সোজা রুমে চলে এসেছি। তসিবা দরজা খুলো নাও তোমার কাপড়।
তসিবা:- আমার জন্য এত কষ্ট করেছো তার বিনিময়ে আজকে অনেক কিছু পাবে।
আমি:- কিছুই লাগবেনা আগামীকাল সকালে আমার সাথে উকিলের কাছে যাবে।
তসিবা:- ঠিক আছে আমিও জেঠুকে সব বলে দিব। এই কথা বলে তসিবা ব্লাওজ আর পেটিকুট পরে বাহিরে এসেছে। তোমার তো দোকান দেখতে অনেক শখ মনে আছে আমার দোকানের কথা।
আমি:- এই তুমি এমন ভাবে বের হয়ছো কেন?
তসিবা:- আমি শাড়ি পরতে পারি নাকি, আমাকে শাড়িটা পরিয়ে দাও।
আমি:- ঠিক আছে আমি বলতেছি তুমি পরো।
তসিবা:- পরতে পারবোনা আমাকে পরিয়ে দাও।
আমি:- ঠিক আছে এইটা লাস্ট, আমি তসিবাকে শাড়ি পরিয়ে দিতেছি, তসিবা অনেক সুন্দর যা কোন কিছু দিয়ে বর্ণনা করা আমার পক্ষে সম্বব নয়। নাও কচিটা নিজে গেথে নাও।
তসিবা:- তুমি গেথে দাও।
আমি:- হ্যা দিতেছি, কচিটা গেথে দিতেছি, তখন আমার ইচ্ছে করছে ওর পেটে একটা কিস করি। কিন্তু করিনি কারন কিস করলে তসিবা আমাকে পেয়ে যাবে।
তসিবা:- কি দেখছো এতক্ষন ধরে?
আমি:- তোমার পেট আর নাভিটা অনেক সুন্দর।
তসিবা:- আদর করতে মন চাচ্ছে তোমার তাইনা?
আমি:- জিনা এই নাও তোমার শাড়ি পরানো হয়ে গেছে। এখন নিচে চলো আম্মু আমাদের জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছে। তসিবাকে একদম সাজিয়ে পরির মত করে নিচে নিয়ে নামছি। আব্বু আম্মু তসিবার দিকে তাকিয়ে আছে, তসিবা আর আমি পাশা পাশি বসে খাবার খেতেছি। তখনি,,
ভাবি আপনার ছেলে আমাদের ছাদের উপড় থেকে আমার নতুন বউমার ব্লাওজ আর পেটিকুট নিয়ে এসেছে।(আন্টি)
আম্মু:- কিরে তুই এই গুলা কি সত্যি আনছিস।
আমি:- হ্যা আনছি, তসিবার জন্য, আন্টি প্লিজ কিছু মনে করবেন না আমাদের বাড়ীতে নতুন মেহমান আসছে ওর সব কাপড় বাসে ফেলে চলে আসছে। আমি আগামী কাল আপনার বাসায় পাঠিয়ে দিব।
আন্টি:- ঠিক আছে, তবে তুমি আমাকে বলতে আমি নতুন তাপড় দিতাম।
আমি:- তা আর দরকার হবেনা, আন্টি চলে গেছে তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। খানা শেষ করে আমি ওঠে যাচ্ছি তখনি,,
আব্বু:- সোহরাব আজকে তোর দেলোয়ার আঙ্কেলের বাসায় পার্টি আছে। আমাদের সবার দাওয়াত আছে, এই নে টাকা তুই বউমাকে সাথে করে গিয়ে ওর যা যা লাগে সব কিনে নিয়ে আয়।
আমি:- ঠিক আছে, তসিবাকে সাথে করে মার্কেটে গেছি। তসিবার সব কিছু কিনে দিয়েছি, মার্কেটে শেষ করে সোজা বাসায় এসে। আমি নিজে রেডি হয়ে তসিবাকে রেডি করিয়ে আব্বু আম্মুর সাথে দেলোয়ার আঙ্কেলের বাসার উদ্দেশে রওনা দিলাম।
আব্বু:- সোহরাব আমি বলিকি তোদের বিয়ে উপলক্ষে একটা পার্ঠি দিব আগামীকাল কি বলিস তুই। আমার আগেই তসিবা বলে,,
তসিবা:- বাহা তাহলে তো ধারুন হবে।
আব্বু:- ঠিক আছে তাহলে বউমা তুমি তোমার পরিবারের সবাইকে দাওয়াত করে দাও। ওরা যেন আগামী কাল আমাদের বাড়ীতে চলে আসে।
তসিবা:- হ্যা আমি এখুনি করে দিতেছি।
আমি:- এখন নামো পরে ফোন করো আমরা এসে গেছি। আব্বু আর আম্মু আগে চলে গেছে, আমি আর তসিবা এক সাথে ভীতরে ঢুকছি।
তসিবা:- আমার হাত ধরে ভীতরে ঢুকবে আমার খুব ইচ্ছে করতেছে।
আমি:- ঠিক আছে আসো, তসিবা আমার হাত জড়িয়ে ধরে ভীতরে ঢুকছি, ভীতরে ঢুকে আমি আর তসিবা দাড়িয়ে আছি। তখনি তসিবার আব্বু এসে বলে,,
চাচা:- তসিবা তুই এখানে আর আল তুমিও এখানে! কিন্তু তোমাদের তো আমি এখানে আসতে বলিনি। তাহলে তোমরা এখানে আসলে কি করে?
আমি:- মানে হয়ছে কি আঙ্কেল, তখনি আব্বু এসে বলে
আব্বু:- এই সোহরাব বউমাকে নিয়ে এদিকে আই, তোদের সাথে দেলোয়ারের পরিচয় করিয়ে দেয়। তখনি চেয়ে দেখে চাচাকে আমাদের সাথে কথা বলতে। এই তুই এখানে আমার ছেলে আর ছেলের বউয়ের সাথে দাড়িয়ে আছিস কেন?
চাচা:- এই কে তোর ছেলে আর ছেলের বউ?
আব্বু:- তুই যাদের সাথে দাঁড়িয়ে আছিস ওরাই।
চাচা:- আল ওনি যা বলছে তা সত্যি কথা বলছে?
তসিবা:- আব্বু আপনি আমার কথাটা শোনেন প্লিজ।
চাচা:- যা বলছি তার উত্তর দাও আল।
আব্বু:- সোহরাব তুকে কি বলবে ও আমার ছেলে।
চাচা:- বেইমান ছেলে তুই আমার বিশ্বাসের ঘরে আগাত করেছিস এতে তোর কপালে অনেক দুঃখ আছে
আমি:- চাচা আমার কথাটা একটু শোনেন প্লিজ।
চাচা:- ভূল করেও কোন দিন আমাকে চাচা ডাকবিনা তাহলে কপালে খারাপি আছে।
আমি:- তসিবা তুমি চলো আমার সাথে আমরা আর এক মুহূূর্ত এখানে থাকবোনা। তসিবার হাত ধরে তসিবাকে আমার দিকে টান দিয়েছি। তখনি চাচা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে বলে,,
চাচা:- এই ভুল আর দ্বিতীয় বার করিস না। চল তসিবা এই নিমো হারামের ছেলের সাথে তুকে যেতে হবে না।
আব্বু:- নিমো হারামি তুই আর তোর মত নিমো হারামির মেয়ের সাথে আমার ছেলেকে কোন দিনও থাকতে দিবনা। তখনি আব্বু আমার হাত ধরে বলে চল সোহরাব তুকে আমি আবার সুন্দর দেখে মেয়ের সাথে বিয়ে দিব।
চাচা:- তসিবার হাত ধরে বলে চল তসিবা তুকে আমি অনেক ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দিব। আমি আর তসিবা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি। আর আব্বু আমাকে এক দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আর তসিবাকে চাচা অন্য দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি তসিবার সাথে আমার শেষ দেখা। আজকের পর আর দেখা হবেনা তসিবার সাথে তখনি তসিব দৌরে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে।
তসিবা:- আমি তোমাকে ছারা বাজবোনা প্লিজ সোহরাব কিছু একটা করো।
আব্বু:- সোহরাব ছার বলছি বলে আমার হাত ধরেছে আর ঐ দিকে তসিবার আব্বু তসিবার হাত ধরে টেনে আলাদা করে নিয়ে যাচ্ছে।
।
পর্ব:-(১১)
।
আব্বু আমাকে একদিকে টানছে আর আমার শ্বশুড় তসিবাকে অন্য দিকে টেনে নিয়ে যেতেছে। যদি আজকে আমাদের দুজনকে আলাদা করে নেয় তাহলে আর কোন দিন আমাদের এক হওয়ার কোন সম্বব হবেনা। যেই করে হোক আমি তসিবাকে সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। আব্বু এমন ভাবে আমাকে টানছেন কেন ছারেন বলছি (আমি)
আব্বু:- ওর মত নিমো হারামির মেয়ের সাথে আমি তোর সংসার করতে দিবনা।
চাচা:- ঐ আমাকে নিমো হারামি বলবিনা নিমো হারামি তুই। তোর জন্য আজ আমি বাড়ী ছারা আমার বাবার পরিচয় দিতে পারিনা।
আব্বু:- তুই নিমো হারামি তোর জন্য আব্বা এত তারা তারি মারা গেছে।
চাচা:- তুই আমাকে সব সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিস। আমাকে শুধু একটা বাড়ী দিয়েছিস। তোর ছেলের সাথে আমার মেয়ের চিটিং করে বিয়ে দিয়েছিস আব্বুকে দিয়ে। যাতে করে আমার সব সম্পত্তি তোর ছেলের নামে করে দেয়।
আব্বু:- মিথ্যা কথা তুই আব্বাকে দিয়ে এই কাজ করেছিস। আমার ছেলের সাথে তুই চিটিং করে বিয়ে দিয়েছিস। আবার এখন যখন বড় হয়েছে এখনো তুই বিয়ে দিয়েছিস।
চাচা:- তুই চিটিং করে তোর ছেলেকে আমাদের বাড়ীতে পাঠিয়েছিস। তোর মত চিটিং বাজ লোক আমি কমই দেখছি।
আব্বু:- তোর কু কর্ম ডাকতে গিয়ে আমি সমাজের মানুষের কাছে ছোট হয়েছি। তুই তো কাজের মেয়ে,,তখনি চাচা এসে আব্বুকে এক থাপ্পর দিয়ে বসেছে। আমি নিজের রাগ না রাখতে পেরে চাচাকে ধাক্কা দিয়েছি। আর তসিবা এসে আমাকে ঠাসস করে থাপ্পর দিয়ে বসেছে। আমি তসিবার দিকে হাত ওঠাবো তখনি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে কান্না করে দিয়েছে।
তসিবা:- তুমি আমার আব্বুকে ধাক্কা দিয়েছো সে তোমার শ্বশুর আর সবচেয়ে বর কথা তোমার চাচা লাগে।
আমি:- আমার আব্বুকে তোমার আব্বু থাপ্পর দিলো ঐটা তোমার চোখে পরেনি। আমি তোমার আব্বুকে ধাক্কা দিয়েছি তার জন্য তুমি আমাকে থাপ্পর দিয়েছো?
অনেক হয়ছে আর নয় তোমাকে আমার জীবনে রাখতে চাইনা।
তসিবা:- আমিও তোমার সাথে কোন সম্পর্ক রাখতে চাইনা আগামী কাল তোমার সাথে আমি ডির্ভোস দিয়ে দিব।
আব্বু:- হ্যা আমার ছেলে তোমাকে আগামী কাল ডির্ভোস দিয়ে দিবে।
চাচা:- তোর ছেলেকে আমার মেয়েও ডির্ভোস দিবে। চল তসিবা আজকের পর আর কোন দিন তুই আমার মেয়ের দিকে তাকাবি না। যদি তাকাস তাহলে তোর চোখ তুলে দিবে।
আব্বু:- তোর মেয়ে যদি আর আমার ছেলের দিকে হাত বারায় তাহলে তোর কপালে খারাপি আছে। চল সোহরাব আব্বু আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে এসেছে। আমি তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি তসিবা আমার দিকে একবারও তাকাইনি। বুকের ভীতরটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে।
আম্মু:- সোহরাব মন খারাপ করিস না দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। আর আমি তুকে আগেই বলছি অন্য একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিতে।
আমি:- আম্মু তসিবা আমাকে থাপ্পরটা দিতে পারলো?
আম্মু:- আসলে তসিবা ওর বাবার কষ্টটা সহ্য করতে পারেনি। মন খারাপ করিস না আগামী কাল তুই তোর নানুর বাড়ীতে চট্রগ্রাম চলে যাস। ঐ খানে গেলে তোর ভালো লাগবে। এখন বাড়ীতে চল, আমরা বাড়ীতে আসতেছি গাড়ী করে। যাবার সময় তসিবা আমার পাশের ছিটে বসে ছিলো। আর এখন আমি একা একা বসে আছি। ঘন্টা খানেক পর বাড়ীতে আসলাম।
আব্বু:- সোহরাব তুই যেনে শোনে আমার সাথে এমন মিথ্যা কথা বলতে পারলি?
আমি:- আব্বু বাল্য কাল থেকে তসিবাকে বউ বলে মেনে এসেছি। আজকে কি করে অন্য একটা মেয়েকে নিজের বউ বলে মেনে নিব বলেন।
আব্বু:- আমি চাই তুমি আর কোন দিন ঐ নিমো হারামির মেয়ের নাম মুখে আনবে না।
আমি:- ঠিক আছে আমি রুমে যাই, মনটা খারাপ করে রুমে গেছি গিয়ে দেখি তসিবার জন্য নতুন সব কাপড় আর কসমেটিক্স গুলা। এই গুলা দেখে তসিবার কথা মনে পরে গেলো। সব গুলা সুন্দর করে রুমে সাজিয়ে খাঠের উপর শুয়ে পরেছি। মোবাইলটা হাতে নিয়ে তসিবার নাম্বারে ফোন করেছি। রিং হয়ে যাচ্ছে কেও রিসিব করেনি। চার পাঁচ বার ফোন করার পর রিসিব করেছে। আমি হ্যালো বলতেই,,
তসিবা:- সোহরাব তুমি আমাকে আর কোন দিন ফোন করবেনা যদি ফোন করো তাহলে তোমার নামে আমি থানায় মামলা করবো।
আমি:- তসিবা প্লিজ তুমি আমার কথাটা শোন প্লিজ তসিবা।
তসিবা:- কি কথা শোনবো তোর, আচ্ছা তোর লজ্জা সরম বলতে কিছু নেয়। আগামী কাল তোর সাথে আমার দেখা হবে কোর্টে।
আমি:- তার মানে তুমি আমাকে ডির্ভোস দিবে?
তসিবা:- হ্যা তুকে ডির্ভোস দিব।
আমি:- ঠিক আছে তুকে আমিও ডির্ভোস দিব, আর শোন আগামী কিছু দিনের মধ্যে তোর সামনে নতুন বউ নিয়ে ঘুরতে যাবো কলেজে তুই দেখিস। তসিবাকে আরো কিছু বলে মোবাইলটা এক আছার দিয়েছি। মোবাইল ভেঙে ঘুরা ঘুরা হয়ে গেছে। ভাঙার শব্দ শোনে আম্মু দৌরে রুমে এসেছে,,
আম্মু:- কিরে মোবাইলটা ভাঙলি কেন?
আমি:- এমনিতে আম্মু তুমি প্লিজ একন যাও, আম্মুকে রুম থেকে বের করে দিয়েছি। আমি খাঠের উপর শুয়ে শুয়ে তসিবার সাথে দুষ্টমি করার স্মৃতি গুলো মনে করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে দেখি দুজুন পুলিশ।
পুলিশ:- আপনাদের সবাইকে আমার সাথে থানায় যেতে হবে।
আব্বু:- আমাদের অপরাধ কি?
পুলিশ:- থানায় গেলে জানতে পারবেন।
আব্বু:- ঠিক আছে চলেন, আমি মন খারাপ করে আব্বু আম্মুর সাথে থানায় গেছি। ভীতরে ঢুকে দেখি চাচা চাচি আর তিশা। তবে তসিবাকে কোথাও দেখতেছিনা।
আমি:- স্যার আমাদের কেন এনে নিয়ে এসেছেন? তখনি তসিবা পেছন থেকে বলে ওঠে,,
তসিবা:- আমি তোমার কাছ থেকে ডির্ভোস চাই তাই তোমাদের সবাইকে এখানে আনা হয়ছে।
আমি:- তুমি আমাকে বললে হত আমি এসে তোমাকে ডির্ভোস দিয়ে যেতাম। আমার বাবা মাকে থানায় নিয়ে এসেছো কেন?
তসিবা:- কারন আমাদের কত পাওয়ার তা তুকে আর তোর পরিবারকে দেখাবার জন্য।
পুলিশ:- দেখুন আপনারা যে কাজে এখানে এসেছেন সেই কাজ করে চলে যান। অযথা এত কথা বলে থানার মূল্য বান সময় নষ্ট করবেন না।
আমি:- হ্যা বলেন কি করতে হবে?
পুলিশ:- দেখুন মিস্টার সোহরাব এখানে ডির্ভোসের এপলিগেশন কাগজ আছে আপনি আর তসিবা দুজন সাইন করলে আজ থেকে ২০(বিশ) দিন পর আপনাদের লিগেল ভাবে ডির্ভোস হয়ে যাবেন। আর আপনাদের দুজনের বাড়ীতে ডির্ভোস পেপার আমরা পাঠিয়ে দিব।
আমি:- ঠিক আছে বলেন কোথায় সাইন করতে হবে।
আব্বু:- আচ্ছা স্যার এই কাগজে কি কি লিখা আছে একটু পড়ে আমাদের শোনান।
পুলিস:- ঠিক আছে তাহলে শোনেন, মিস্টার সোহরাব অনেক বাজে ছেলে, ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়েদের সাথে পরকিয়া করে। রাতে মদ খেয়ে বাসায় এসে বউয়ের উপর অনেক অত্যাচার করে। ইত্যাদি আরো অনেক খারাপ খারাপ কথা এখানে লিখা আছে।
আব্বু:- আমার ছেলে তো সিগেরেট জীবনে হাতে নিয়ে দেখিনি, তাহলে সে মদ খায় কি করে?
আমি:- আব্বু থাক আর কিছু বলার দরকার নেয়। স্যার বলেন কোথায় সাইন করতে হবে। আমি কাগজটা নিয়ে আগে সাইন করেছি। আমার দিকে তসিবা তাকিয়ে ছিলো এক দৃষ্টিতে আমি কিছু বলিনি। আমার পরে তসিবা সাইন করে দিয়েছে। আমি আব্বু আম্মুকে নিয়ে থানা থেকে বেরিয়ে চলে আসতেছি,,
তিশা:- ভাইয়া তুমি আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসবে তানা হলে আব্বুকে বলে দিব তোমার সেই ছবিটার কথা।
আমি:- ঠিক আছে নিয়ে আসবো, তিশাকে ছারিয়ে টেনে নিয়ে গেছে তসিবা। আব্বু আম্মুকে নিয়ে আমি সোজা বাড়ীতে চলে এসেছি। রুমে ঢুকে তসিবার সব গুলা জিনিস একটা লকারে ঢুকিয়ে রাখছি। সারা দিন বাড়ীতে কাটিয়ে বিকালে বুন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে রাত ১০ টার দিকে বাসায় আসলাম। রাতে খাবার খেয়ে রুমে গিয়ে বসেছি,,
আম্মু:- সোহরাব তুই কিছু দিনের জন্য নানুর বাড়ী থেকে ঘুরে আয়।
আমি:- না আম্মু এখন কলেজে যেতে হবে প্রতিদিন। আচ্ছা তুমি এখন যাও আমি ঠিক হয়ে যাবো। আম্মু চলে গেছে আমি শুয়ে শুয়ে কিছু প্লান করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে কখন বলতে পারবোনা। সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে আমার নিজের বাইকটা নিয়ে কলেজের দিকে রওনা দিলাম। মাঝ রাস্তায় যাবার পরে একজন মেয়ে দাড়িয়ে আছে। কাছে যেতেই দেখি নিলা আমাদের পাশের বাসার।
নিলা:- এই সোহরাব আমাকে একটু কলেজে নামিয়ে দিবে?
আমি:- ঠিক আছে আসো, নিলা বাইকে ওঠে আমাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে বসেছে। আর ঐ দিকে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নিলাকে নিয়ে একদম কলেজের ভীতরে ঢুকেছি। বাইকটা থামিয়ে নিলাকে নামিয়ে পেছনে তাকিয়ে চেয়ে দেখি তসিবা তখনি আমার কাছে এসে আমার কালার টেনে ধরে বলে,,,
তসিবা:- এই তোর সাথে আমার এখনো ডির্ভোস হয়নি সুতুরাং তুই অন্য কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকিবিনা। আর কোন মেয়েকে বাইকের পেছনে ওঠাবিনা। যদি ওঠাস তাহলে তুকে খুন করে ফেলবো। আমি তসিবার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ওর মাথায় কোন গন্ডগোল নেই তো?
To be continue,,,,,
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.