গল্প:- বাল্য কালের বউ পর্ব:-(৭:-৮)

0
3361
গল্প:- বাল্য কালের বউ পর্ব:-(৭:-৮) লিখা:-Shohrab AL Islam । বিয়ে করেছি আলাদা রুমে থাকার জন্য নাকি, আজ আমাদের বাসর রাত সুতুরাং আজকে আমি আর তুমি দুজুনে সারা রাত রোমান্স করবো। আমাদের আগামীর দিন গুলি কি করে কাটাবো সেই বিষয় নিয়ে আলাপ করবো। আর তানা করে তুমি বলছো আমি অন্য রুমে গিয়ে থাকতাম। তসিবাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে এই কথা গুলা আমি ওকে বলতেছি। (আমি) তসিবা:- আমাকে ছারো বলছি তানা হলে কিন্তু ভালো হবেনা। আমি:- তুমি কি করতে পারবে তা আমি ভালো করে জানি। এখন চুপ করে থাকো আমি তোমাকে একটু আদর করি বলে তসিবার কপালে একটা চুমু খেয়েছি। তসিবা:- জোর করে তুমি সব কিছু করতে চাচ্ছো তাহলে তুমি আমাকে,, তখনি আমি তসিবাকে ছেরে দিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে গেছি। আমি:- ছিঃ তোমার মন মানশিকথা এতটা নিছ তা আমি ভাবতেও পারিনি। তসিবা:- আমার মন মানশিকথা তোমার চাইতে অনেক ভালো। তুমি তো বেহায়া তোমার লাজ লজ্জা বলতে কিছু নেয়। তোমাকে না করলেও তুমি শোনতে চাওনা। আমি:- ঠিক আছে আজ থেকে আমি তোমাকে কোনদিন ধরবোনা তুমি চাইলেও টাচ্ করবোনা। তসিবা:- ঠিক আছে কথাটা মনে থাকে যেন। আমি:- হ্যা থাকবে, এখন একটা কথা বলবো? তসিবা:- হ্যা বলো কি কথা? আমি:- তোমার শাড়িটা খুলবে? তসিবা:- কি বললে তুমি বলে আমাকে থাপ্পর দিতে চাইছে আমি তসিবার হাতটা ধরে বলছি,, আমি:- আরে ময়না পাঁখী রাগ করছো কেন শুধু এই শাড়িটা খুলে আমার এই লাল শাড়িটা পরবে। তসিবা:- আমি শাড়ি পড়তে পারিনা আর তোমার দেওয়া কোন কিছুই আমি পরবোনা। আমি:- সমস্যা নেয় আমি শাড়ি পরাতে পারি যদি তুমি নিজে না পরো তাহলে আমি তোমাকে পরিয়ে দিব। তসিবা:- আমি এখন চেচাবো যদি তুমি বেশি বেশি করো। আমি:- চেচালে ভালোই হবে বলবে বর বউ বাসর জমে ওঠেছে। তসিবা:- তোমাকে আমি বর বলে মেনে নিবনা কোন দিন। আমি:- তা পরে দেখা যাবে এখন আসো তোমাকে শাড়ি পরা শিখাবো। তসিবার আগের শাড়িটা খুলে আমি আমার দেওয়া লাল শাড়িটা পরিয়ে দিতেছি তসিবা চুপ করে দাড়িয়ে আছে। তসিবা:- তুমি বলবে আমি ঐ রকম ভাবে পরবো ভূলেও আমার শরীলে টাচ্ করবেনা বলে দিলাম। আমি:- ঠিক আছে দিবনা, আমি বলতেছি তসিবা ঐ রকম ভাবে শাড়িটা পরেছে, যখন কচির কাছে এসেছে। তসিবা:- শাড়িটার কচি করে দাও আমার হাতে। আমি:- ঠিক আছে দিতেছি, শাড়িটা কচি করি একদম তসিবার কাছে চলে এসেছি আমি তসিবার পেটের দিকে তাকিয়ে আছি। তসিবা:- কি দেখছো এমন করে এর আগে কোন মেয়ের পেট দেখোনি? আমি:- না দেখিনি তবে তোমার পেট অনেক সুন্দর একটু ধরতে ইচ্ছে করছে। তসিবা:- এই ভূলেও ধরবেনা বলে দিলাম। দাও কচিটা আমার হাতে দাও। আমি:- ঠিক আছে ধরতেছিনা তবে তুমি পরে চাইলেও আমি ধরবোনা বলে দিলাম। তসিবা:- আমি কোনদিন চাইবোনা তোমাকে দিয়ে আমার পেট ধরাতে। এখন এত কথা না বলে তুমি রুম থেকে বের হও। আমি:- বলছিনা তোমাকে ছারা একটা রাত কোথাও থাকবোনা এখন তোমাকে একটু দেখি। তসিবাকে ধরে আয়নার কাছে নিয়ে গেছি। তসিবা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আমি পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। বাহা তসিবা তোমাকে খোব সুন্দর লাগছে, মনে হচ্ছে আঁকাশ থেকে লাল পরি নেমে এসেছে। তসিবা:- পাম দিলেও কোন কাজ হবেনা আমি যেইটা বলছি সেইটা তারা তারি করো। আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে, এখন আমি ঘুমাবো। আমি:- ঠিক আছে আমি খাঠের উপর শুয়ে পরি আর তুমি নিচে শুয়ে পরো যেহেতু তুমি আমার সাথে থাকতে চাওনা এক খাঠে। তসিবা:- আমার বাড়ী আমার রুম আমার সব কিছু আর আমি নিচে ঘুমাবো? আমি:- ঠিক আছে আমি তাহলে খাঠের ঐ পাশে শুয়ে থাকি তুমি এই পাশে শুয়ে পরো। আমাকে তুমি বিশ্বাষ করতে পারো আমি এমন কোন কাজ করবোনা যেইটা তুমি কষ্ট পাও। তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে আমি তোমাকে বিশ্বাষ করলাম। তবে যদি বিশ্বাষের অমর্যাদা করো তাহলে আমি তোমাকে কোন দিন ক্ষমা করবো না। আমি:- ঠিক আছে, আমি খাঠের এক পাশে শুয়ে আছি আর তসিবা অন্য পাশে, তবে মাঝ খানে একটা বড় কুল বালিশ দিয়ে রাখছে। তসিবা:- আচ্ছা সোহেলকে পুলিশ ধরে নিয়েছে কেন? আমি:- জানিনা তবে সকালে তোমার আব্বুর কাছ থেকে যেনে নিও কেমন। তসিবা:- আমি সোহেলকে অনেক ভালোবাসি ওকে এখন আমি কি বলবো? আমি:- যখন সামনে আসবে তখন বলিও এখন চিন্তা করে ঘুম নষ্ট করার কোন মানে হইনা। তসিবা:- আচ্ছা তুমি তো রিয়াকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে বিয়ে করেছো কেন? আমি:- কখন বলছি আমি রিয়াকে ভালোবাসি? তসিবা:- রিয়া আমাকে বলে গেছে তুমি ছাদে রিয়াকে আই লাভ ইউ বলেছো এখন মিথ্যা কথা বলতেছো তুমি? আমি:- আরে দুর রিয়া বেশি বুঝে আমি রিয়াকে আই লাভ ইউ বলিনি আমি তো বলছি তোমা,, তখনি কথাটা বন্ধ করে অন্য কথা বলে ফেলছি। আরে আমি এমনিতে ছাদে আই লাভ ইউ বলতেছি তখনি রিয়া এসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরছে। তসিবা:- তোমার জন্য আমি সবার কাছে ছোট হলাম রিয়াকে এখন আমি কি বলবো? আমি:- তোমার কিছু বলতে হবেনা আমি বলবো এখন ঘুমায় আমার অনেক ঘুম পাইছে, আর শোন তুমি ভূলে করেও এদিকে আসবেনা যদি আসো তাহলে কিন্তু আমি চুমু খাবো। তসিবা:- আমার কোন কাজ নেয় আমি তোমার চুমু খেতে তোমার কাছে যাবো, যদি তুমি ভূল করে এদিকে আসো তাহলে গেচাং করে দিব। আমি:- কি করে দিবে? তসিবা:- যখন করবো তখন বুঝবে এখন ঘুমাও। আমি:- ঠিক আছে, দুর বাসর রাতটা এভাবে মাটি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি, এই কথা গুলা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেয়। মাঝ রাতে হঠাত করে ঘুম ভাঙছে চেয়ে দেখি আমি তসিবার দিকে এসে তসিবাকে জড়িয়ে ধরে রাখছি। কাম সারছে তসিবা যদি দেখি আমি তসিবাকে জড়িয়ে ধরে রাখছি। তাহলে গেচাং করে দিবে, এক কাজ করি তসিবাকে আমার দিকে নিয়ে আসি তাহলে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে পারবো। যেই কথা সেই কাজ তসিবাকে বুকের সাথে জড়িয়ে আমার দিকে নিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি। কপালে একটু আলতু করে চুমু খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম, তসিবা একটু সরেছে আমি জড়িয়ে ধরে ঘুমায়ছি। সকালে ঘুম ভাঙছে আমি চেয়ে দেখি তসিবা ঘুমিয়ে আছে, আমি ইচ্ছে করে ওর ঠোটে কিস করেছি। তখনি তসিবা সজাগ হয়ে গেছে, তসিবা তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তসিবা:- তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছো কেন? আমি:- রাতে তো আমি বলছি তুমি যদি আমার দিকে আসো তাহলে তোমাকে জড়িয়ে ধরবো আর চুমু খাবো। তসিবা:- আমি তোমার সাইটে আসলাম কি করে আর তুমি আমাকে কিস করেছো? আমি:- হ্যা করেছি তো কপালে আর ঠোটে। তসিবা:- তবেরে তোমাকে আমি এখন গেচাং করে দিব। আমি:- যদি তোমার সাইটে যাইতাম তাহলে গেচাং করতে। এখন ওঠি আমি অনেক দিন ধরে কলেজে যাইনা এখন কলেজে যাবো। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি ওঠে ফ্রেস হতে চলে গেলাম। কিছুক্ষন পর ফ্রেস হয়ে রুমে এসে দেখি তসিবা রুমে নেয়। আমি রেডি হয়ে নিচে গেছি চাচি আমাকে ডাক দিয়ে বলে,, চাচি:- আল তুমি এসো নাস্তা করে যাও। আমি:- আন্টি আমি এখন নাস্তা করবোনা কলেজে গিয়ে কিছু খেয়ে নেব। চাচি:- এখন থেকে তুমি আমাকে আম্মাজান বলে ডাকবে। আমি:- ঠিক আছে তাহলে চাচি আম্মা বলে ডাকবো কেমন। তসিবা:- আম্মু তুমি ওকে এত বাও কেন দিতেছো বলো, আচ্ছা আমি একটা কথা বলতে চাচ্ছি আব্বুকে। চাচা:- হ্যা বল মা কি বলবি? তসিবা:- আমি আজ থেকে আবার কলেজে যাবো আমার বাসায় থাকতে বরিং লাগে তাই। চাচা:- ঠিক আছে যাস তুকে আল প্রতিদিন সাথে করে নিয়ে যাবে আর নিয়ে আসবে। কি বাবা তুমি পারবে তো তসিবাকে সাথে করে নিয়ে যেতে। আমি:- কিন্তু তসিবার কলেজ আর আমার কলেজ তো এক না? চাচি:- তুমি যেই কলেজে পড় তসিবা সেই কলেজে পড়ে। আমি ঐ দিন তসিবাকে কলেজে দিতে গিয়ে তো তোমার সাথে দেখা হয়েছে। আমি:- তাহলে ঠিক আছে, তসিবা চলো আমি তোমাকে সাথে নিয়ে যায়। তসিবা:- তোমার সাথে আমি যেতে পারি তবে তুমি কলেজে গিয়ে কাওকে বলতে পারবেনা আমি তোমার বউ। আমি:- ঠিক আছে বলবোনা। তসিবা:- তাহলে আমি রাজি আছি। চাচা:- আমার একটা বাইক আছে, আল তুমি এখন থেকে ঐটা নিয়ে কলেজে যাবে কেমন। আমি:- ঠিক আছে, তাহলে তো আমার জন্য ভালোই হবে। তসিবাকে সাথে করে বাহিরে এসে বাইক বের করে আমি বসেছি তসিবা আমার পেছনে বসে আছে, আমি ইচ্ছে করে একটু পর পর ব্রেক মারি। আর তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে। তসিবা:- জীবনে প্রথম মনে হচ্ছে মেয়ে মানুষ নিয়ে বাইক চালাচ্ছো? আমি:- হ্যা একদম সত্যি কথা বলছো। তসিবা:- বাইক থামাও আমি নামবো। আমি:- ঠিক আছে, বাইক থামিয়ে তসিবাকে নামিয়ে দিয়েছে। তসিবা চলে গেছে আমি বাইক চালাবো এমন সময় কেও একজন আমার পেছন থেকে কালার টেনে ধরে বলে আমার সাথে এত বড় চিটিং করেতে পারলি? আমি তাকিয়ে শুধু অবাক হয়নি রিতিমত ভয়ে হাত পা কাপা শুরু করা দিয়েছে। । পর্ব:-(৮) । আমি তোর বাপ আমার সাথে চিটিং করতে তোর একটুও কষ্ট হলোনা? আর তুই আমার সাথে এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারলি? তুই আমাকে বলছিস পিকনিকে যাবি আর এখানে মেয়ে নিয়ে বাইকের পেছনে বসিয়ে খালি ব্রেক মারতেছিস? আব্বু এক সাথে অনেক গুলা প্রশ্ন আমাকে করেছে। আমি:- আরে এক এক করে বলেন। এক সাথে এত উত্তর দিব কি করে? আব্বু:- আগে বল আমার সাথে চিটিং বাজী কেন করেছিস? আমি:- আপনার সাথে কি চিটিং করেছি? আব্বু:- তুই তো পিকনিকে যাসনি তাহলে আমাকে কেন বলছিস পিকনিকে যাবি? আমি:- কে বলছে আপনাকে আমি পিকনিকে যাইনি? আব্বু:- তুই যাদের সাথে পিকনিকে যাবি বলছিলি তারা আমাকে বলছে। হারামজাদা সত্যি করে বল ঐ মেয়েটা কে তোর সাথে ওর কিসের সম্পর্ক? আমি:- আমার বান্ধবী রাস্তায় দেখা হয়ছে বলছে কলেজ পর্যন্ত ওকে লিভ দিতে। আব্বু:- এত দিন তুই কোথায় ছিলি বল? আমি:- বুন্ধুর বাসায় ওর বোনের বিয়ে ছিলো তো তাই ওদের বাসায় ছিলাম। আব্বু:- অনেক হয়ছে তোর ফাকি ঝুকি। এখন তুই আমার সাথে চল তোর জন্য আমি মেয়ে পছন্দ করে রাখছি। আর এই মেয়েকে তোর বিয়ে করতে হবে। আমি:- আজকে বিয়ে করতে পারবোনা এই কিছু দিনের মধ্যে আমার পরিক্ষা। এখন আমাকে কলেজে যেতে হবে। আব্বু আপনাকে ডাকছে তখনি আব্বু আমার কালার ছেরে পেছনে দিকে তাকিয়েছে। আমি এদিকে বাইক নিয়ে সোজা টান আব্বু পেছন থেকে আমার গুস্টি ওদ্দার করছে। কলেজে ঢুকে বাইকটা রেখে এক দূরে ক্লাসে ঢুকে গেছি। রিফাত:- কিরে শালা বিয়ে করেছিস ভাবির সাথে দেখা করাবি কবে? আমি:- শালা চুপ থাক এখন। আগে বল তোরা আমার আব্বুকে কি বলেছিস রে? রিফাত:- কিছুনা তোর আব্বু আমাদের সবার বাড়ীতে ফোন করে আমাদের আব্বু আম্মুকে জিগেস করেছে। আর ওনারা সবাই সত্যিটা বলে দিয়েছে। আমি:- এখন অনেক সমস্যা হবে এক দিকে তসিবা আর ওর বাবা, অন্য দিকে আব্বু আমার অবস্থা এখন খারাপ করে দিবে। রিফাত:- তুই এক কাজ কর তসিবাকে সব কিছু বুঝিয়ে বল। তারপর তসিবাকে নিয়ে তোদের বাড়ীতে ওঠে পর এর পর বাকীটা আমরা ম্যানেজ করে দিব। আমি:- শালা তসিবা আমাকে স্বামী বলে মেনে নেয়নি। এখন ওকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে গেলে সমস্যা আরো বারবে। আচ্ছা দেখি কি করা যায় এখন ক্লাসটা করি পরে চিন্তা করবো। স্যারের লেকচার শোনে সময় কাটালাম। ক্লাস শেষে বাহিরে এসে দেখি তসসিবা তার কিছু বান্ধবীর সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। আমি ইচ্ছে করে কাছে গেছি দেখি রিয়া আমার দিকে ছোটে আসতেছে এসে আমার হাত ধরে বলে,,, রিয়া:- হাই জানে মান তুমি এখানে আমার জন্য এসেছো? আমি:- রিয়া তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে তুমি আমার সাথে আসো। রিয়া:- ঠিক আছে চলো, আমি রিয়াকে সব কিছু খুলে বলছি তসিবার আর আমার ব্যপারে। রিয়া সব কিছু শোনে আমাকে বলে। আজ থেকে তোমার বাল্য কালের বউ তোমাকে ভালোবাসবে। তসিবা অনেক লাকী তোমার মত ছেলেকে জীবন সাথী হিসাবে পেয়েছে। আমি:- ধন্যবাদ তোমাকে, তবে তুমি এখন তসিবাকে কিছু বলোনা প্লিজ। রিয়া:- ঠিক আছে। আমি:- চলো এখন যাই, তসিবা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। রিয়াকে সাথে নিয়ে তসিবার সামনে আসলাম। তসিবা:- রিয়া সব কিছু ঠিক আছে তো? রিয়া:- হ্যা সব কিছু ঠিক আছে তাহলে আমি এখন যাই আমার কাজ আছে। তোর সাথে। তসিবা:- ঠিক আছে, এক এক করে ওর সব বান্ধবীরা চলে গেছে। আমি:- তসিবা চলো বাসায় যাই, তসিবা কোনন কথা না বলে সোজা আমার বাইকের পেছনে এসে বসেছে। আমি তো পুরাই অবাক হঠাত করে তসিবার কি হলো। আসার টাইমে রাস্তায় কোন ব্রেক মারিনি, তসিবা কিছু বলেনি সোজা বাসায় চলে এসেছে। আমি বাইক রেখে ভীতরে ঢুকতেই দেখি সোহেল আর চাচা বসে কথা বলছে আর তসিবা দাঁড়িয়ে আছে। সোহেল:- আঙ্কেল আমার কোন দোষ নেয় আমাকে পুলিশ শুধু শুধু ধরে নিয়ে গেছে। আমি যখন বর সেজে আসতেছি তখন দুইজন পুলিশ কোন কথা বলেনি সোজা গাড়ীটা থামিয়ে আমাকে গাড়ীতে ওঠি নিয়ে গেছে। তসিবা:- তাহলে তুমি এই কথাটা আমাকে ফোন করে বলতে। আমি তাহলে ওর মত একটা ছেলেকে বিয়ে কররতাম না। সোহেল:- ওরা আমার মোবাইল নিয়ে নিয়েছে, আর আমাকে চোখ বেদে রাখছে আজকে সকালে এমনিতে ছেরে দিয়েছে। চাচা:- কিন্তু তোমার সাথে ওদের কিসের শুত্রুতা। সোহেল:- আমি জানিনা, তবে আমার মনে হচ্ছে এই সব কিছুর পেছনে আলের হাত আছে। তসিবাকে বিয়ে করার জন্য আমাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়েছে। চাচা:- না তা কি করে হয় আমি তো আলের সাথে সাথে সারা দিন ছিলাম। তসিবা:- আব্বু আমার মনে হয় সোহেল ঠিক কথা বলছে। এই সব কিছুর পেছনে ওর হাত আছে। আমি:- ছিঃ ছিঃ তসিবা তুমি আমাকে এতটা অবিশ্বাষ করতে পারলে? তসিবা:- তোমাকে বিশ্বাষ করার মত তো কোন কাজ করোনি। আমি:- আঙ্কেল বিয়ের আগের দিন থেকে শুরু করে বিয়ের দিন পর্যন্ত আপনি আমার সাথে ছিলেন। আমি কি করে এমন জগন্য কাজ করবো বলেন। চাচা:- হ্যা আল একদম সত্য কথা বলছে ও এই কাজ করেনি। আমি:- কোথায় আপনাকে আমি বিয়ে করে আঙ্কেলের সম্মান বাচিয়েছি। আর আপনি আমাকে দোষারুপ করছেন। তসিবা:- সোহেল আমি যদি ওকে ডির্ভোস দেয় তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে? সোহেল:- হ্যা অবশ্যয় করবো। তসিবা:- আগামীকাল তুকে আমি ডির্ভোস দিয়ে দিব। আমার আব্বুর সম্মান বাচাতে হবেনা তোর। আমি:- তুমি চাইলে আমি ডির্ভোস দিব তা কি করে ভাবলে? সোহেল:- এই ছোট লোকের বাচ্ছা তুই দিবিনা মানে তোর কাছ থেকে জোর করে ডির্ভোস নিয়ে নিব। আমি:- তাই বুঝি ঠিক আছে বাকিটা পরে দেখা যাবে। আঙ্কেল আমি রুমে গেলাম আমার ক্লান্ত লাগছে। তসিবা আমার দিকে চেয়ে আছে আমি সোজা রুমে চলে এসেছি। এসে ফ্রেস হতে চলে গেলাম, কিছুক্ষন পর ফ্রেস হয়ে রুমে ঢুকে দেখি তসিবা কাপর চেন্জ করছে আমাকে দেখেই বলে,, তসিবা:- তুমি কানা নাকি চোখে দেখতে পাওনা আমি কাপড় চেন্জ করতেছি আর তুমি ঢুকে পরেছো? আমি:- তুমি বাথরুমে গিয়ে চেন্জ কররতে পারোনা। রুমে কাপড় চেন্জ করতেছো কেন? তসিবা:- আমার তারা আছে নিচে সাগর বসে আছে ওর সাথে বের হবো। আমি:- এখনো ডির্ভোস হইনি তুমি এখন কোথাও যাবেনা। তসিবা:- তোমার কথা আমি শোনতে যাবো কেন, তোমাকে তো আমি বর বলে মানিনা। আমি:- তুমি মানলো কি আর না মানলে কি আমি বলছি এখন কোথাও যেতে পারবেনা বাছ কোথাও যেতে দিবনা। তসিবাকে হাত ধরে টান মেরে বুকের মাঝে নিয়ে এসেছি। তসিবা:- কি হচ্ছেটা কি ছারো বলছি, তানা হলে আমি চেচাবো কিন্তু? আমি:- পারলে চেচাও দেখি। তসিবা:- আব্বু বলে ডাক দিয়েছে আর আমি সোজা ওর ঠোটে কিস করে বসেছি, তসিবা একদম চুপ হয়ে গেছে সাথে আমিও। কিছুক্ষন পর বাড়ীর সবাই চলে এসে দেখে আমি তসিবাকে জড়িয়ে ধরে রাখছি। চাচাকে দেখে আমি তসিবাকে ছেরে দিয়েছি। চাচা:- কিরে মা এত জোরে চিৎকার দিলি কেন? সোহেল:- আঙ্কেল মনে হয় ও তসিবাকে কিছু করেছে। তিশা:- ভাইয়া তোমার ঠোট লাল কেন, তুমি কি ঠোটে লিপিষ্টিক দিয়েছো? তখনি চাচা চাচি চলে গেছে। আমি:- কোথায় লিপিষ্টিক এইটা কেও একজন কিছু খাওয়াতে চাইছে তো তাই লেগেছে। তসিবা:- আমি তোমাকে দেখে নিব তোমার সাহোস দিন দির বেরে যাচ্ছে। আমি:- ঠিক আছে দেখে নিও এখন চলো তোমাকে নিয়ে আমি ঘুরতে যাবো। তসিবা:- আমি তোমার সাথে কোথাও যাবোনা, সোহেল চলো আজকে আমরা নাইট ক্লাবে যাবো। সোহেল:- হ্যা চলো। আমি:- তোমাকে যেতে দিলে তো যাবে, সোহেল তুই যা আমার বউ কোথায় যাবে না যাবে এইটা আমি দেখবো। সোহেলকে বিদায় করে দিয়ে তসিবার সাথে আমার কিছু কথা কাটা কাটি হয়ছে। আমি নিচে বসে আছি দেখবো আজকে তসিবা বের হয় কিরে। কিছুক্ষন বসে রুমে গেছি গিয়ে দেখি তসিবা মন খারাপ করে বসে আছে। তসিবা:- আমি তো তোমাকে ভালোবাসিনা তাহলে তোমার সাথে বাকী জীবনটা কাটাবো কি করে? আমি:- ভালোবাসতে বাসতে একদিন ভালোবাসা হয়ে যাবে, চলো আমরা বাহির থেকে ঘুরে আসি। তসিবা:- আমার ভালো লাগছেনা, আচ্ছা তুমি এমন কনে জোর করে ভালোবাসতে চাও, জড়িয়ে ধরতে চাও, আদর করতে চাও, আজ থেকে আমিও তোমাকে ভালোবাসবো তুমি একটু বসো বলে তসিবা দরজার সামনে গিয়ে দরজাটা টান মেরে লাগিয়ে বাহির দিয়ে লক করে দিয়েছে। আমি:- তসিবা তুমি দরজা আটকিয়েছো কেন? তসিবা:- আমি তোমাকে ভালোবাসবো আমার কোন কাজ নেয়। আমি যেইটা বলি সেইটা করি এখন আমি ক্লাবে যাবো এই তালা মেরে দিলাম। আমি:- তসিবা সোহেল ছেলেটা ভালোনা তুমি একা যেয়োনা প্লিজ। তসিবা আমার কোন কথা না শোনে একা চলে গেছে। এদিকে আমি সবাইকে ডাক দিয়ে এনেছি। চাচি:- বাবা তসিবা চাবি নিয়ে গেছে এখন এই লকটা ভাঙতে হবে তাছারা কোন উপায় নেয়। আমি:- সবাই অনেক চেষ্টা করেছে কোন কাজ হয়নি। আমি বন্ধ রুমে বসে আছি মনটা একদম খারাপ আজকে তসিবার কি হয় বসে বসে এই চিন্তা করতেছি। কিছুক্ষন ধরে চুপ করে বসে আছি তখনি মোবাইলটা বেজে ওঠেছে রিসিব করতেই একটা মেয়ে বলে,, তুমি তারা তারি করে মর্ডান নাইট ক্লাবে চলে আসো তসিবার অনেক সমস্যা হবে যদি তুমি দেরি করো। আমি:- আরে আপনি কে এমন কি হয়ছে, আর কোন কিছু বলেনি ফোনটা কেটে দিয়েছে। আমি দরজার লকটা ভেঙে ফেলছি ভীতর দিক থেকে। বাইকটা নিয়ে তারা তারি করে মর্ডান নাইট ক্লাবে গেলাম। ভীতরে ঢুকে দেখি তসিবা সোহেল আরো কিছু ওদের বুন্ধু বান্ধবী হাসা হাসি করতেছে। আমাকে দেখে বলে,,, তসিবা:- সোহেল প্লান কাজ করেছে এবার তুমি যা করার করো এই ছোট লোকের বাচ্ছার সাথে। আমি:- তসিবা তুমি ওদের সাথে প্লান করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো, আরে আমি তো ভাবছি তোমার না কিছু হয়ে যায়। তাই আমি দরজার লক ভেঙে পাগলের মত তোমার জন্য ছুটে এসেছি। আর তুমি যদি বলতে তাহলে আমি হাসতে হাসতে নিজের জীবনটা দিয়ে দিতাম। তসিবা:- সত্যি তুমি নিজের জীবন দিতে পারবে? আমি:- তোমার জন্য সব করতে পারি, তখনি একটা মেয়ে এসে সোহেলকে বলে,, মেয়ে:- জানে মান তুমি আবার এই মেয়েটাকে কবে পটালে ওর কাছে বুঝি আমার থেকে বেশি টাকা আছে? তসিবা:- কি বলছেন আপনি আমার কাছে টাকা আছে মানে? মেয়ে:- এর আগে এই সোহেল অনেক গুলো মেয়েকে প্রেমের ফান্দে ফেলেছে। তখনি সোহেল মেয়েটাকে চুপ থাকতে বলে। মেয়েটার সাথে আরেকটা ছেলে এসেছে ও বলতেছে সোহেল মালটা কিন্তু হেব্বি তোর পরে কিন্তু আমার সিরিয়াল। সোহেল:- চুপ থাকবি নাকি? ছেলে:- এর আগে তো আমরা কত পাস পাস খেলছি তাহলে এই মেয়েটার বেলা কেন নয়। তসিবা:- ছিঃ সোহেল তুমি এতটা নিছ আমি জীবনেও কল্পনা করিনি। সোহেল:- সব কিছু যেনে গেছ যেহেতু সেহেতু এখন তো যেতে দিবনা। তখনি তসিবা দৌরে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে বলে তসিবা:- আল প্লিজ আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। আমি:- এত গুলা ছেলের সাথে আমি তোমার জন্য মারা মারি করতে পারবোনা, তোমাকে আমি না করেছিনা এখানে না আসতে, তসিবা পুলিশ এসেছে তারা তারি পালাও বলে তসিবার হাত ধরে গেইটের দিকে দৌর দিয়েছি আর বাকীরা এদিক সেদিক দৌরা দৌরি লাগছে। তসিবাকে নিয়ে বাহিরে এসে বাইক নিয়ে সোজা বাসায় চলে এসেছি। তসিবা সারা রাস্তা কোন কথা বলেনি রুমে এসে ফ্রেস হয়ে রুমে এসে বালিশ আর চাদর নিয়ে বেরিয়ে এসেছি তসিবা তাকিয়ে আছে। তসিবা:- কি হলো তুমি চাদর আর বালিশ নিয়ে বাহিরে যেতেছো কেন? আমি:- তোমার সাথে আর আমি এক রুমে থাকবোনা আগামী কাল তোমাকে আমি ডির্ভোস দিব। To be continue,,,,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে