গল্প:- বাল্য কালের বউ পর্ব:-(১৭:-১৮:-১৯শেষ)
লিখা:- Shohrab AL Islam
।
তসিবার আর তোমার বিয়ের সম্পর্কটা মেনে নিবে! আর কোন বাধা থাকবে না। এমনকি তোমাদের বাপ চাচাও কিছু বলতে পারবে না। সেই ব্যাক্তিটি হচ্ছে তোমাদের ফুপি। আর ওনার কাছে তোমার দাদা তোমাদের বিয়ের কাবিন নামা রেখে গেছে।
আমি:- কিন্তু আব্বু তো বলছে ফুপি মারা গেছে সেই কবে।
তসিবা:- হ্যা আম্মু, আমাকেও আব্বু বলছে আর আপনি তো কোন দিন এই কথা বলেন নি আমাকে?
চাচি:- আসলে তোমাদের বাবা চাচা আর ফুপির মাঝে কোন দিন মিল ছিলো না। তাই তোমাদের দাদা তোদের ছোট বেলা বিয়ে দিয়ে দেয়। আর সেই বিয়ের কাবিনে কিছু কথা লিখে গেছে। আর তোমাদের দাদা মারা যাবার পর অনেক ঝগড়া তৈরি হয়। এর পর সবাই আলাদা হয়ে যায়।
আমি:- কিন্তু ফুপিকে এখন পাবো কোথায়?
চাচি:- ওনি চিটাগাং থাকতো তবে আমি খবর পেয়েছি এখন ওনি ঢাকা গুলশানে থাকে। যদি ওনি তোমাদের সাহায্য করে তাহলে তোমাদের আর কেও আটকাতে পারবে না।
আমি:- কিন্তু এখন ওনাকে পাবো কি করে? আবার আগামী কাল চাচা যদি তসিবার বিয়ের আংটি পড়িয়ে দেয় রাজের সাথে।
চাচি:- না তা পড়াতে পারবে না কারন তোমরা দুজনে আজকেই এই বাড়ী ছেরে চলে যাবে। আমি তোমাদের ফুপির মোবাইল নাম্বার আর ঠিকানা দিয়ে দিব। তোমরা ওনার কাছে চলে যাবে।
তসিবা:- হ্যা আম্মু আমিও চাচ্ছি আজকেই সোহরাবের সাথে ওদের বাড়ীতে চলে যাবো।
চাচি:- সোহরাবদের বাড়ীতে গেলে লঙ্কা কান্ড তৈরি হয়ে যাবে। আমি যেইটা বলি সেইটা করো তাহলে তোমাদের সমস্যা শেষ হবে।
আমি:- হ্যা তাই হবে, চাচি আমাদের ফুপির মোবাইল নাম্বার আর ঠিকানা দিয়েছে। আমি চাচিকে সালাম করে বিদায় নিব তখনি চাচি বলে,,,
চাচি:- সোহরাব আমার প্রানটা তোমার হাতে তুলে দিলাম। যদি বিন্দু পরিমান কষ্ট দাও তাহলে একদম খুন করিয়ে দিব তসিবার আব্বুকে দিয়ে।
আমি:- চাচি তসিবা আমার দ্বাড়া আর এক বিন্দু কষ্ট পাবেনা। তসিবার আপনার যেমন প্রান তেমনি আমার জীবন যাকে ছারা এই সোহরাব অপূর্ণ রয়ে যাবে। আমিও তসিবাকে ছারা বাজবোনা। তখনি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে চাচির সামনে।
চাচি:- তসিবা এখানে তো আমি আছি নাকি?
তসিবা:- আম্মু তুমি একটু চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকো। চাচি লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে ঘুরে তাকিয়েছে আর তখনি তসিবা আমাকে অনেক আদর করেছে। গালে কপালে নাকে একছে এক কিস করতেছে।
আমি:- হয়ছে তো ছারো এবার আমিও তসিবার কপালে কিস করে দিয়েছি। চাচি আমাদের হয়ে গেছে তাহলে এখন বের হয় তসিবাকে নিয়ে?
চাচি:- হ্যা বের হও, আর শোন একটু দ্বাড়াও।
আমি:- জ্বি বলেন? তখনি চাচি তসিবার চোখ থেকে কাজল এনে আমার কানের নিচে লাগিয়ে দিয়েছে। আমার সোনা ছেলের উপর কারো কু নজর যেন না লাগে।
আমি:- তসিবা একটু এদিকে আসো।
তসিবা:- আমি তো তোমার কাছেই। তখন তসিবার চোখ থেকে কাজল এনে ওর পেটে আর পিটের তিলের নিচে লাগিয়ে দিয়েছি। আমার #বাল্য_কালের_বউ এর উপর কারো নজর যেন না লাগে। চাচি আর তসিবা হাসতেছে আমার কান্ড দেখে।
চাচি:- হ্যা হয়ছে এবার যাও তোমরা। আর হ্যা তোমার চাচা অফিসে চলে গেছে তুমি বাড়ীর দরজা দিয়ে বের হতে পারবে।
আমি:- ঠিক আছে, চলো তসিবার হাত ধরে আমি তসিবাকে নিয়ে বের হয়ে আসলাম। চাচিকে একটু কান্না কান্না ভাব দেখতে পেলাম। তসিবাকে বাইকের পেছনে বাসায়ছি। তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। এই প্রথম মনে হচ্ছে আমার বাল্য কালের বউ তসিবা আমাকে অনেক লাভ করে। ওর নিশ্বাষের শব্দ আমার নিশ্বাষের শব্দের সাথে মিশে যাচ্ছে।
তসিবা:- আচ্ছা আমরা ফুপিকে চিনবো কি করে?
আমি:- হ্যা তা তো একদম ঠিক কথা বলছো? তবে বাড়ীর সামনে গিয়ে ফোন করে কথা বলবো তাহলে বুঝতে পারবো কে ফুপি।
তসিবা:- হ্যা একদম সত্য কথা বলছো। আচ্ছা আমাদের বাসর কবে হবে?
আমি:- (কাম সারছে হঠাত বাসরের কথা বলছে কেন? মনে মনে বলছি) তোমার হঠাত করে বাসরের কথা মনে হলো কেন?
তসিবা:- আমার কত দিনের ইচ্ছা তোমার সাথে আমার বাসর হবে। আমি লম্বা একটা ঘুমটা দিয়ে বসে থাকবো। আর তুমি রুমে আসলে আমি খাঠের উপর থেকে নেমে তোমাকে সালাম করবো। আর তুমি আমাকে ধরে ফেলবে। আমি লজ্জা পেয়ে যাবো।
আমি:- হ্যা তারপর কি করবে?
তসিবা:- তারপর আমি খাঠের উপর গিয়ে বসবো তখন তুমি এসে আমার ঘুমটা উঠাবে আর আমাকে দেখবে। আমি চোখ খুলে তোমাকে দু নয়ন ভরে দেখবো। ঠিক এভাবে একটু তাকাও না আমার দিকে।
আমি:- আরে তসিবা কি করছো ছারো এক্সিডেন্ট করবো তো?
তসিবা:- কিছুই হবে না তুমি একটু তাকাও।
আমি:- তসিবা একটু অপেক্ষা করো আমি বাইকটা থামিয়ে তোমার দিকে তাকাচ্ছি তখন তুমি সারা জীবন ভরে তাকিয়ে থেকো।
তসিবা:- না না বাইক থামালে হবে না, আমি এই বাইক চালানো অবস্থায় তোমাকে দেখবো। এদিকে তাকাও বলছি বলে তসিবা আমাকে জোর করে ওর দিকে ফিরিয়ে নিয়েছে।
আমি:- হ্যা হয়ছে এবার ছারো।
তসিবা:- এত ভয় কিসের তোমার আমি তো তোমার সাথেই আছি তাইনা?
আমি:- হ্যা তুমি থাকতে আমার কোন ভয় নেই, ঠিক তখনি পেছন থেকে একটা প্রাইবেট কার এসে আমাদের বাইকটার সামনে এসে হঠাত করে ব্রেক করে আর আমি দেখিনি আর সাথে সাথে ধাক্কা। তসিবা আর আমি নিচে পরে যায়। তেমন ব্যাথা পায়নি কারন বাইকটা আস্তে আস্তে চালাচ্ছিলাম। তবে আমার হাতের কনি আর পায়ে লেগেছে। তবে তসিবার কিছুই হয়নি তসিবা আমার উপরে পড়েছিল তাই।
তসিবা:- কোন শালার বেটারে এমন ভাবে সামনে এসে গাড়ী ব্রেক করছে।
আমি:- তসিবা এভাবে বলোনা মনে হয় কোন সমস্যা হয়ে ছিলো। আর সমস্যা তো আমাদের জন্য আমরা না দেখে বাইক চালাচ্ছিলাম।
তসিবা:- তাও ওনি এমন ভাবে ব্রেক করবে কেন? দেখি শালাকে আজকে উচিত শিক্ষা দিব। বলে তসিবা গাড়ীটার সামনে গেছে। আরে এইটা তো শালা নয় শালী।
আমি:- কি বলছো এসব তোমার মাথা ঠিক আছে তো? তখনি গাড়ী থেকে একটা মেয়ে বেরিয়ে বলে,,,
মেয়ে:- এই একদম ভালো হবেনা বলে দিলাম গালা গালী করলে?
তসিবা:- এই তুই কি করবি শুনি? বেশি বেশি করলে এমন মাইর খাওয়াবো জীবনে বাপের নামে মনে আসবেনা।
মেয়ে:- তুই জানিস আমি কে?
তসিবা:- এই তুই তো ফকিন্নি দেখে বুঝা যাচ্ছে এভাবে কিছু তর্ক বির্তক হতে থাকলো হঠাত তসিবা মেয়েটাকে এক থাপ্পর দিয়ে বসলো। আর মেয়েটাও তসিবাকে থাপ্পর দিতে যাবে আমি টান মেরে তসিবাকে আমার বুকের মাঝে নিয়ে এসেছি। তখনি রাস্তার কিছু পাবলিক আর পুরিশ জরো হয়ে গেছে। আর আমি তসিবাকে নিয়ে বাইকে বসেয়ি সোজা টান।
আমি:- তসিবা তুমি এমনটা করতে গেলে কেন?
তসিবা:- তোমার কিছু হলে আমি ওকে খুন করে ফেলতাম। এখন একটু হাসপাতালে চলো, তোমার ড্রেসিং করাতে হবে।
আমি:- না করাতে হবেনা।
তসিবা:- বললে হল, চলো তসিবা আমাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। ড্রেসিং করিয়ে আবার রওনা দিলাম ফুপির বাসায়। প্রায় ১ ঘন্টা পর গুলশান ফুপির বাড়ীর সামনে এসেছি।
আমি:- তসিবা চলো, আমি গিয়ে কলিং বেল বাজাতেই একজন ভদ্র মহিলাম খুলে দিয়েছে।
মহিলা:- কাকে চাই তখনি আমি মোবাইল বের করে ফোন করেছি আর ওনার হাতেরর মোবাইলটা বেজে উঠছে। ঠিক তখনি আমি আর তসিবা ফুপি বলে পায়ের উপর জাপিয়ে পড়েছি।
আমি:- ফুপি আমি সোহরাব আর ও তসিবা আপনার ভাতিজা আর ভাতিজি।
ফুপি:- মানে?
আমি:- আপনি তারু মিয়ার মেয়ে আপনাদের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লাতে কিন্তু আপনারা বড় হয়ছেন ঢাকা লালবাগ।
ফুপি:- তার মানে তুমি সোহরাব আল ইসলাম, আর তুমি তসিবা ইসলাম। কিন্তু এত বছর পর কি মনে করে?
আমি:- ফুপি আমাদের বিয়েটা আব্বু আর চাচা মেনে নিতেছে না। আপনি একটু সাহায্য করেন আমাদের।
ফুপি:- আমি সাহায্য করবো তোদের তা কি করে হয়। বরং আমিও চাই যাতে তোরা দুজন এক সাথে না থাকতে পারিস।
আমি:- কিন্তু কেন?
ফুপি:- কারন আমি প্রেম করে বিয়ে করেছি আর তোদের বাপ চাচা আমার বিয়েটা মেনে নেই নি। তাই আমিও চাই তোদের বিয়েটা না মেনে নেক।
আমি:- ফুপি প্লিজ আপনার রাগ অভিমান রেখে আমাদের সাহয্য করেন। আমি আপনার পায়ে পরি বলে আমি আর তসিবা আবার ওনার পায়ে পড়ে গেছি। আমাদের এমন আকুতি দেখে ফুপি বলে,,
ফুপি:- আমার একটা শর্ত আছে যদি তোরা মানতে পারিস তাহলে আমি তোদের সাহায্য করবো। তবে শর্তটা পরে বলবো আগে রাজি হতে হবে।
আমি:- নি যেনেই শর্তে রাজি হবো যদি ফুপি বলে তোমাকে ছেরে দিতে তাহলে কি করবে তসিবা?
তসিবা:- আমার মনে হয় ওনি অন্য কিছু বলবে। মানে ওনাকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে যেতে আর ওনার স্বামীকে আব্বু আর জেঠু মেনে নিতে বলতে হবে। চলো আমরা রাজি হয়ে যায়।
আমি:- ঠিক আছে, হ্যা ফুপি আমরা রাজি আছি আপনার শর্তে।
ফুপি:- তোরা কি ভাবছিস আমি বলবো আমাকে যেন তোদের বাপ চাচারা মেনে নেই। আর আমার স্বামীকে জামাই হিসাবে মেনে নেই। তেমন কিছুই না আমার শর্তটা শুনে নে তোরা।
আমি:- হ্যা বলনে, তখনি ফুপি এমন এক শর্ত দিয়েছে আমি শুনে অবাক আরে ওনি বলে কি? ফুপির শর্ত শুনে আমি আর তসিবা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি।
।
পর্ব:–(১৮)
।
আমার শর্ত অনুযায়ী যদি তোমরা থাকতে পারো তাহলে আমি তোমাদের সাহায্য করবো। আর যদি কোন উল্টা পাল্টা কিছু করো তাহলে কিন্তু একদম সারা জীবনের জন্য আলাদা করে দেব। আমার শর্ত হলো তোরা দুজন দুজনকে এক মূহুর্তের জন্য আলাদা হতে পারবি না। (ফুপি)
আমি:- মানে?
ফুপি:- মানে তোরা দুজনে সারা জীবন এক সাথে থাকবি। আর আমার শর্ত হচ্ছে তোমরা তোমাদের বাবা চাচাকে বলবে তোমরা এক সাথে থাকবে। আর আপাদত দুইদিন কোন যোগাযোগ করতে পারবে না।
আমি:- হ্যা তা আমি এক পায়ে রাজি আছি তবে যোগাযোগ করতে পারবোনা কেন?
ফুপি:- আমি যখন বলবো তখন যোগাযোগ করবি কেমন? এখন কিছু দিন তোদের বাপ চাচাকে একটু শাস্তি দিতে হবে।
তসিবা:- না না আমি আব্বুকে কোন কষ্ট দিতে রাজি নই। আব্বু আমাকে অনেক ভালোবাসে।
ফুপি:- যদি এতটা ভালোবাসে তাহলে তোমার ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকতে দেয়না কেন? শোনো তোমরা আমি যা বলবো এখন তাই করতে হবে।
আমি:- হ্যা ফুপি তাই হবে। তসিবা কি বলছো একটু চুপ থাকো দেখিনা ওনি কি করতে চাই। তসিবাকে ফিস ফিস করে বলছি।
ফুপি:- আমার সোনা মনিরা আয় তোরা আমার বুকে আয় বলে ফুপি এসে আমাদের জড়িয়ে ধরেছে। তোরা কি ভাবছিস আমি তোদেরকে আলাদা করে দিব। আমি তোদের বাব চাচার মত নই। আসলে আব্বু বিয়েটা দিয়ে ছিলো আমরা যাতে সবাই এক থাকি।
আমি:- ফুপি একটু বলেন তো কাবিনে দাদা কি লিখে গেছে?
ফুপি:- তোরা বস আমি কাবিনের কাগজটা নিয়ে আসতেছি।
আমি:- ঠিক আছে, ফুপি চলে গেছে আমি তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি। তসিবা একদম পরী পরী লাগছে ওর ঠোট গুলা কিছু একটা বলছে।
তসিবা:- আমার না খুব ভয় হচ্ছে যদি আব্বুকে ফুপি কোন কষ্ট দেয়।
আমি:- দূর পাগলী আমি আছিনা, তখনি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠছে। কাজের বোয়া গিয়ে দরজাটা খুলে দিছে। আমি আর তসিবা আলাদা হয়ে বসে আছি। তখনি একটা মেয়ে আমাদের পাশে এসে বসেছে আমি আর তসিবা মেয়েটাকে দেখে দাঁড়িয়ে গেছি।
মেয়ে:- এই তোরা এখানে কেন? এই তোদের এই বাড়ীতে বসতে কে দিয়েছে?
তসিবা:- এই তুই জানিস এইটা কার বাড়ী এইটা আমার ফুপির বাড়ী।
মেয়ে:- মানে আমার কোন মামাত বোন নেই যা এখান থেকে তানা হলে কিন্তু তোদেরকে চোর বলে থানায় দিয়ে দিব।
আমি:- কি বলছো এইটা তোমার বাড়ী মানে আর ফুপি তোমার মা আর তুমি আমাদের ফুপাত বোন।
মেয়ে:- মানে কি বলছো কে তোমার ফুপি তখনি ফুপি নিচে নেমে এসেছে,,
ফুপি:- আরে লিজা তুই এসেছিস ওরা হচ্ছে তোর মামাত ভাই বোন। আর ওদের কথা বলছি তোকে যাদের বাল্য কালে বিয়ে দিয়েছে তোর নানা।
লিজা:- তার মানে সোহরাব আর তসিবা, আম্মু তুমি ওদের বাড়ী থেকে বের করে দাও। ওরা রাস্তায় আমাকে অপমান করছে।
আমি:- লিজা প্লিজ তুমি কিছু মনে করোনা। আসলে তসিবা আমার কোন কষ্ট দেখলে ঠিক থাকতে পারেনা।
তসিবা:- সরি লিজা আমি বুঝতে পারিনি প্লিজ তুমি কিছু মনে করোনা আসলে আমার অন্যায় হয়ছে। তুমি চাইলে আমাকে একটা থাপ্পর দিতে পারো নাও আমার গাল।
লিজা:- থাক লাগবেনা আমারি ভূল হয়ছে এমন ভাবে গাড়ি ব্রেক করা।
ফুপি:- যাক তাহলে সব কিছু মিঠে গেছে জামেলা। আয় আজকে তোদের বিয়ের কারনটা জানায়।
আমি:- হ্যা বলেন ফুপি!
ফুপি:- আসলে তোদের বিয়েটা হয়ছে আমাদের সবার অমতে। তাই আব্বু তোদের কাবিনে কিছু কথা লিখে গেছে। আমি পড়ি তোরা শোন সেই কথা গুলা। যদি তসিবার আর সোহরাব বড় হয়ে ওদের ঝগড়াও হয়। এমনকি দুজনে আলাদা থাকতে চাই তাহলে ওরা আলাদা হতে পারবেনা। আর যদি ওদের বাবারা ওদের আলাদা করে দেয় তাহলে আমার সব সম্পত্তি আমার মেয়ে নুরজাহানের নামে হয়ে যাবে। সোহরাব আর তসিবা চাইলে ডির্ভোস দিতে পারবেনা। আর ওরা সব সম্পত্তি ভোগ করতে পারবে কিন্তু কেও বিক্রি করতে পারবেনা। বিক্রি করতে পারবে সোহরাব আর তসিবা।
আমি:- তাহলে আব্বু আর চাচা আমাদের আলাদা করতে চাই কেন?
ফুপি:- ওরা মনে করছে তোদের বিয়ের কাবিন আমি আগুন দিয়ে পুরিয়ে ফেলছি। আব্বু মারা যাবার পর শুরু হয় যত সব সমস্যা! আমাকে বলে তোদের কাবিন দিতে আমি রাজি হয়নি। তখন আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করতে থাকে এক প্রকার আমি বাদ্য হয়ে আমি কপি করে রেখে দিয়ে দেয় আর আসলটা ওরা জ্বালিয়ে দেয়। আমাকে আর তোদের ফুপাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় তোদের বাপ চাচরা। আর তসিবার আব্বু তসিবাকে নিয়ে অন্য বাড়ীতে চলে আসে সব সম্পত্তি বিক্রি করে।
আমি:- ফুপি এখন কি করবেন? আর আমরা দুজন তো ডির্ভোসের জন্য এপলিগেশন করেছি।
তসিবা:- এক কাজ করি চলো আমরা থানায় গিয়ে সেই এপলিগেশন বাতিল করে দেয়।
ফুপি:- হ্যা আজকেই সব সমাদান করে দিব। লিজা তুই থাক আর তোর আব্বুকে ফোন করে বলে দে লালবাগ মডেল থানায় চলে যেতে।
আমি:- ঠিক আছে ফুপি তাহলে আমরাও আব্বুকে আর চাচাকে ফোন করে বলি। যা হবে আজকেই হবে।
ফুপি:- ঠিক আছে চলো, ফুপির গাড়ীটা নিয়ে আমরা বের হলাম। আসার সময় আব্বু আর চাচাকে ফোন করে বলে দিয়েছে ফুপি। ওনারা সব শুনে রেগে মেগে আগুন হয়ে গেছে। আমরা লালবাগ থানায় এসেছি ২ ঘন্টা পর। গাড়ী থেকে নেমেছি একজন ভদ্র লোক এসেছে,,
হায় আমি তোমাদের ফুপা।
ফুপি:- হ্যা ওনি তোমাদের ফুপা ও একজন এডবুকেট।
ফুপা:- হ্যা আমি সব ঠিক করে রাখছি এখন তোমরা না করলে হবে। তখনি আব্বু আর চাচা এসে হাজির সাথে নীলা আর রাজ এসেছে,,,
আব্বু:- নুরজাহান তুই আবার এসিছিস সম্পত্তির জন্য।
চাচা:- তোর জীবনে লজ্জা হবেনা তাইনা?
আমি:- থামেন আপনারা আমি আর তসিবা ওনাকে নিয়ে এসেছি। আমি তসিবাকে আর তসিবা আমাকে ভালোবাসে। আর আমরা দুজন স্বামি স্ত্রী আমরা এক সাথে থাকবো। আর দাদার সেই বিয়ে কাবিন এখন আমাদের হাতে। আব্বু আর চাচাকে আমি আর তসিবা দুজনে মিলে অনেক বুঝালাম।
ফুপি:- ভাইজান আমার কোন সম্পত্তি লাগবেনা আপনারা আমাকে আপনাদের বোন বলে মেনে নেন এতে আমি খুশি। সোহরাব আর তসিবা দুজনকে আলাদা করে কি হবে বলেন। ওরা দুজন দুজনকে অনেক লাভ করে প্লিজ আপনারা সব ভূলে ওদেরকে মেনে নিন।
আব্বু:- আমি যদি মেনেনে নেই তাহলে ও কি মেনে নিবে।
চাচা:- হ্যা আমিও মেনে নিলাম আমার মেয়ের সূখের জন্য আমি মেনে নিব। বাবা রাজ আমাকে ক্ষমা করো আমি চাইনা আমার মেয়ে আমাকে সারা জীবন ঘৃনা করুক।
রাজ:- আমি বুঝতে পারছি ঠিক আছে আমি চলে যাই।
আব্বু:- মা নীলা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
নীলা:- আমি কাওকে ক্ষমা করতে পারবো না, আমি যেই জিনিসটা নিজের বলি সেইটা কাওকে পেতে দেয়না দরকার হলে জোর করে আদায় করে নেই।
আমি:- দেখো নীলা তুমি একটু বুঝতে চেষ্টা করো ঠিক তখনি নীলা এক পুলিশের টেবিলের উপর থেকে পিস্তল হাতে নিয়ে সোজা আমাকে গুলি করে দিয়েছে। আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে নিয়েছি। কিন্তু কিছুক্ষন পর মনে হলো গুলিটা আমার লাগেনি চোখ মেলে দেখি তসিবা নিচে পরে আছে রক্তে ওর জামা বিজে যাচ্ছে।
।
পর্ব:–(১৯)–শেষ পার্ট
।
তসিবাকে কুলে নিয়ে সোজা গাড়ীতে এনে বসিয়ে দিলাম। আব্বু চাচা সবাই আমার সাথে আমি গাড়ীটা চালিয়ে পপুলার হাসপাতালে নিয়ে এলাম। তসিবাকে আবার কুলে করে এনে ডাক্তারকে বলে তসিবাকে সাথে সাথে আই সি ইউতে ঢুকিয়ে নিয়েছে। তসিবার শরীরের রক্তের দাগ আমার গায়ে লেগে আছে। আমি দাঁড়িয়ে আছি আম্মু আমার কাছে এসেছে,,
আম্মু:- সোহরাব চিন্তা করিস না তসিবা ঠিক হয়ে যাবে।
আমি:- যদি তসিবার কিছু হয় তাহলে আমি তোমাদের কাওকে ক্ষমা করবো না। তসিবাকে তোমরা বউ হিসাবে মেনে নিলে কি এমন ক্ষতি হত। আর ঐ নীলাকে খুন করে ফেলবো যদি তসিবার কিছু হয়।
ডাক্তার:- দেখুন রুগির গার্জিয়ান কে?
চাচা:- হ্যা আমি বলেন কি করতে হবে?
ডাক্তার:- এখানে একটা সাইন করতে হবে। নেন সাইন করে দেন।
চাচা:- হ্যা দেন। তখনি,,,
আমি:- খবরদার আপনি এখানে সাইন করবেন না আমি সাইন করবো। আজকে আপনাদের জন্য আজ তসিবার এমন পরিস্থিতে আছে। ডক্টর দেন তসিবা আমার স্ত্রী আমি সাইন করবো।
ডাক্তার:- হ্যা যেহেতু আপনি স্বামি আপনি সাইন করে দেন। আর এ নেগেটিভ রক্ত লাগবে আপনারা রক্তের ব্যাবস্থা করেন।
চাচা:- হ্যা করতেছি,, চাচা আর আব্বু রক্তের জন্য অনেক যায়গায় যোগাযোগ করছে।
ডাক্তার:- রক্তের ব্যাবস্থা হয়ছে নাকি? এদিকে রুগির অবস্থা ভালোনা কিন্তু?
আমি:- ডাক্তার আমার রক্ত পরীক্ষা করে দেখবেন।
ডাক্তার:- আপনি আমার সাথে আসেন। তখনি একজন নার্ছ এসে বলে স্যার রক্তের ব্যাবস্থা হয়ছে।
ডাক্তার:- ঠিক আছে তাহলে আর রক্ত লাগবে না।
আমি:- আচ্ছা অপেরেশন সময় কি আমি তসিবার পাশে থাকতে পারবো? প্লিজ ডক্টর আমাকে সাথে রুখুন।
ডাক্তার:- কোন আওয়াজ করতে পারবেন না কিন্তু?
আমি:- হ্যা চলেন, আমি ডাক্তারের সাথে গেছি আই সি ইউর ভীতর তসিবা শুয়ে আছে। তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি কখন যে চোখ দিয়ে পানি পরে গেছে বলতেও পারবো না। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে তসিবার অপেরেশন করাবার পর তসিবার গুলি বের করেছে। তার কিছুক্ষন পর ডাক্তার আমাকে বলছে তসিবার অপেরেশন ঠিক ঠাক মত হয়ছে।
ডাক্তার:- আপনার স্ত্রী এখন সম্পূর্ণ আওট অফ ডেঞ্জার।
আমি:- ধন্যবাদ ডাক্তার, সবাই বেরিয়ে গেল আমি তসিবার সাথে বসে আছি। তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি বাল্য কালের বউটা দেখতে একদম কেমন হয়ে গেছে। তসিবার দুষ্টমি গুলা খুব মনে পড়ছে। ওর দুষ্টমি গুলা ভাবতে ভাবতে ওর পাশে ঘুমিয়ে গেছি কখন ঠিক মনে নেই। হঠাত কারো হাতের স্পর্শে আমার ঘুম ভাঙলো। চেয়ে দেখি তসিবা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেছে।
তসিবা:- তুমি কি ভাবছো আমি তোমাকে রেখে একা চলে যাবো?
আমি:- নীলা আমাকে গুলি করেছে তুমি সেই খানে আসলে কেন?
তসিবা:- তোমাকে ছারা আমি বাচতে পারবো না।
আমি:- যদি তুমি মরে যেতে তাহলে আমার কি হত?
তসিবা:- কি আর হত তুমি নীলাকে বিয়ে করে সূখে সংসার করতে।
আমি:- কি বললে তুমি তবেরে দেখাচ্ছি বলে তসিবার দু হাত ধরে ওর গালে আর কপালে কিস করে দিয়েছি। এমন সময় একটা নার্ছ এসে বলে,,,,
নার্ছ:- মেম আপনার সাথে একটা মেয়ে দেখা করতে চাচ্ছে।
আমি:- কোন মেয়ে?
নার্ছ:- যেই মেয়েটা আপনার স্ত্রীকে রক্ত দিয়েছে সেই মেয়েটা। ওনাকে কি ভীতরে আসতে বলবো?
তসিবা:- ঠিক আছে ভীতরে পাঠিয়ে দেন। নার্ছ গিয়ে মেয়েটিকে পাঠিয়ে দিয়েছে আমি তাকিয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেছি।
আমি:- তুমি এখানে এসেছো কেন? আর তুমি তসিবাকে রক্ত দিয়েছো?
হ্যা আমি তসিবাকে রক্ত দিয়েছি আসলে ভূলটা আমার ছিলো। জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায়না। এইটা আমার বুঝার উচিত ছিলো। আচ্ছা তসিবা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি আর তোমাদের মাঝে কোন দিন আসবো না। (নীলা)
তসিবা:- দ্বাড়াও নীলা তখনি চেয়ে দেখি নীলার হাতে হাত করা লাগানো। সোহরাব আমাকে একটু ধরে বসাও।
আমি:- হ্যা বসাচ্ছি।
তসিবা:- আসলে ভূল তোমার নই। সোহরাব আমাকে ভালোবাসে এইটা আমার জেঠু জানে কিন্তু ওনার রাগ বজায় রাখতে গিয়ে তোমার সাথে এমন হয়ছে।
নীলা:- আসলে আমারও বুঝা উচিত ছিলো। যাক বাদ দাও তসিবা আমার ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।
তসিবা:- সোহরাব তুমি একটু পুলিস আঙ্কেল কে এদিকে আসতে বলো।
আমি:- হ্যা ডাক দিতেছি, আমি গিয়ে পুলিশ অফিসারকে ডেকে আনছি।
তসিবা:- দেখুন স্যার নীলার বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। আপনারা নীলাকে ছেরে দিন। আসলে নীলার কোন দোষ নেই।
পুলিশ:- দেখুন এইটা কেইস ফাইল হয়ে গেছে।
আমি:- তাহলে এই ফাইলটা ছিরে ফেলেন। আমরা তো কোন অভিযোগ করিনি। প্লিজ স্যার আপনার কাছে বিশেষ অনুরুদ আপনি নীলাকে ছেরে দেন। আর আজ তো নীলার জন্য তসিবা বেচে আছে। ও যতি তসিবাকে মারতে চাইতো তাহলে কি রক্ত দিত বলেন?
পুলিশ:- ঠিক আছে তাহলে এখানে একটা সাইন করে দেন।
তসিবা:- ঠিক আছে দেন, তসিবা সাইন করে দিয়েছে। নীলার হাত করা খুলে দিয়েছে। পুলিশ চলে গেছে, নীলা কান্না করে দিয়েছে তসিবার হাত ধরে।
আমি:- নীলা যা হবার হয়ে গেছে তুমি কাওকে বিয়ে করে সূখের সংসার করো কেমন।
নীলা:- হ্যা আমি কালকে আপুর কাছে চলে যাবো লন্ডন।
তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে ভালো থেকো। নীলা চলে গেছে ডাক্তার এসেছে,,
আমি:- তসিবাকে আমরা বাড়ীতে নিতে পারবো কবে?
ডাক্তার:- এক সাপ্তাহ পর।
আমি:- ঠিক আছে তখনি আব্বু চাচা আম্মু চাচি সহ সবাই এসেছে।
চাচা:- মা তসিবা তুই আমাদের ক্ষমা করে দে!
আব্বু:- হ্যা মা তুই আমাদের ক্ষমা করে দে!
তসিবা:- ক্ষমা করতে পারি একটা শর্তে যদি সোহরাব আর আমার বাল্য কালের বিয়েটা মেনে নেন। আর আপনারা সবাই এক সাথে থাকেন।
আব্বু:- এই কথা ঠিক আছে আমি তোমাকে আমার ছেলের বউ হিসাবে মেনে নিলাম।
চাচা:- আমিও সোহরাবকে আমার মেয়ের জামাই হিসাবে মেনে নিলাম। আর আমরা সবাই এক সাথে এক বাড়ীতে থাকবো।
ডাক্তার:- দেখুন আপনারা সবাই বাহিরে যান এখানে মাত্র একজন থাকতে পারবেন।
তসিবা:- সোহরাব তুমি থাকো প্লিজ।
আমি:- হ্যা আমি তো থাকবো। সবাই চলে গেছে আমি আর তসিবা দুজন দুজনের হাত ধরে বসে আছি। তসিবার সাথে এই সাত দিন আমি ছিলাম। ওকে খায়িয়ে দিয়েছি মাথা আচরিয়ে দিয়েছি। হাত মুখ দুয়িয়ে দিয়েছি। আজকে ওর রিলিজ তাই সকালে একজন নার্ছের সাহায্য ওকে গোসল করিয়ে দিয়েছি। লাল কালার রেহেঙা পড়িয়ে দিয়েছি।
তসিবা:- এত সাজাচ্ছো কেন?
আমি:- তুমি বাইকে বসে যেইটা চাইছো সেইটা আজকে আমাদের বাড়ীতে হবে।
তসিবা:- আমাদের বাসর হবে বলে তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে কপালে কিস করতে থাকলো। তসিবার এমন দুষ্টমি দেখে নার্ছ হেসে দিয়েছে।
আমি:- ছারু এখানে নার্ছ আছে, তসিবাকে ছারিয়ে নার্ছকে দুই হাজার টাকা বকশিস দিয়েছি। ওনি নিতে চাইনি তসিবা ওনাকে জোর করে দিয়েছে। ডাক্তারের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছি।
তসিবা:- আমার একটা ইচ্ছা পুরুন করবে। আমাকে কুলে করে নিয়ে যাবে গাড়ী পর্যন্ত।
আমি:- এই কথা তাহলে তো আমার ভালোই হবে বলে তসিবাকে কুলে তুলে নিলাম। আমি তসিবাকে কুলে নিয়ে বের হচ্ছি সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তসিবাকে কুলে করে এনে গাড়ীতে বসিয়ে দিয়েছি। বাড়ীতে ফোন করে বলে দিয়েছি তসিবাকে নিয়ে আসতেছি। তসিবাকে নিয়ে একটি পার্লারে গিয়ে বউ সাজিয়ে নিলাম।
তসিবা:- তুমিও বর সেজে নাও।
আমি:- ঠিক আছে মার্কেটে গিয়ে কিছু কেনা কাটা করে জীন্স পার্লার থেকে বর সেজে নিলাম। তসিবা আমার পাশে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। রাত ৯টার দিকে বাড়ীতে এসেছি। তসিবাকে গাড়ী থেকে কুলে নিয়ে দরজার সামনে এসেছি। আম্মু আমাদের বরণ করে নিয়েছে। তসিবাকে কুলে করে সোজা আমার রুমে নিয়ে এসেছি। রুমে ঢুকে দেখি রুমটা লাল গোলাম রজনী আর বেলি ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখছে।
আম্মু:- আর বের হতে হবে না এই নে তোদের খাবার আমি বাহির দিয়ে লক করে রাখতেছি।
তসিবা:- হ্যা জেঠি মা আপনি তাই করেন।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে তাই করেন আম্মু। আম্মু চলে গেছে আমি তসিবার কপালে আলতু করে চুমো একে দিলাম। আমি তসিবাকে নিজের হাতে খায়িয়ে দিয়েছি। আর তসিবা আমাকে খায়িয়ে দিয়েছে।
তসিবা:- আমাকে তুমি সারা জীবন এনম করে ভালোবাসবে তো?
আমি:- যদি তোমার বয়স ৮০ হয়ে যায় আর তোমার গায়ের চামরা লোজ হয়ে যায়। দাত সব গুলা পরে যায় তাহলে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা এমন একটু কমবে না।
তসিবা:- আমি সত্যি অনেক ভাগ্যবান তোমার মত বর পেয়েছি। আসো তোমাকে আজকে একটা নতুন জিনিস দেখাবো।
আমি:- কি নতুন দেখাবে?
তসিবা:- বোকা কোথাকার এদিকে আয় বলে তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। আমিও তসিবাকে জড়িয়ে ধরে একদম আপন করে নিয়েছি। আমাদের বাসর ঘর মনে রাখার মত হয়েছে। সকালে তসিবা ওর বেজা চুলের পানি দিয়ে আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে।
আমি:- কি করছো?
তসিবা:- উঠো সবাই অপেক্ষা করছে নাস্তা করবে?
আমি:- একটু ঘুমাতে দাও।
তসিবা:- না এখুনি উঠো বলে আমার পেটে চিমটি দিতে ছিলো। তখনি তসিবার হাত ধরে টান মেরে বুকে নিয়ে নিয়েছি। কি হলো ছারু আমি ফ্রেস হয়ে গেছি তুমি উঠে ফ্রেস হয়ে নাও।
আমি:- আমার সাথে আবার ফ্রেস হবে বলে তসিবাকে আদর করে দিলম।
তসিবা:- জেঠু মা আসতেছি তখনি আমার ঠোটে কিস করে বসেছে আমি তসিবাকে ছেরে দিয়েছি। আমাকে ভেঙচি দিয়ে চলে গেছে।
আমি:- দ্বাড়াও দেখাচ্ছি বলে উঠে যটপট করে ফ্রেস হয়ে নিচে গেছি।
আব্বু:- সোহরাব এই নে তোদের হানিমুনের টিকেট তসিবাকে নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে ঘুরে আয়।
তসিবা:- হ্যা তাহলে তো ভালোই হবে।
আমি:- তসিবা আমি রুমে যায়তেছি তুমি এসো।
তসিবা:- না না আমি যাবো না।
আমি:- ঠিক আছে, রুমে এসে তসিবা বরে চিতৎকার দিলাম। তসিবা দৌরে রুমে গেছে তখনি জড়িয়ে ধরেছি।
হানিমুনে যাওয়ার কি দরকার আমরা এখানে হানিমুন করে নেব।
তসিবা:- এখানে কি করে সম্বব?
আমি:- এই ভাবে বলে তসিবাকে কুলে তুলে নিয়েছি এই ভাবে। তসিবা আমাকে কিস করেছে,,,
তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে আমরা দুজনে রোজ হানিমুন করবো রাতে কেন্ডি লাইট ডিনার যাবো বিকালে ঘুরতে যাবো আর রাতে ভালোবাসা।
আমি:- এই তো আমার বাল্য কালের বউ উম্মা।
তসিবা:- এই তুমি কি করছো বলে আমাকে কাতু কুতু দিতে লাগলো আর আমিও তসিবাকে কাতু কাতু দিতে লাগলাম। আমরা দুজনে দুজনকে ছারা কিছু বুঝিনা এক সাথে কলেজে যাই আমাদের ভালোবাসা দেখে অনেকে হিংসা করে। তসিবাকে রোজ নিয়মিত খাবার খায়িয়ে দেয় আর আমাকে তসিবা অনেক ভালোবাসে। তিশা অনেক খুশি কারন আমরা সবাই এক সাথে থাকি ফুপি এখন মাঝে মাঝে আমাদের বেড়ীতে বেরাতে আসে। আমাদের সংসারে আর কোন জামেলা নেই। সবাই অনেক খুশি আর সব চাইতে খুশি হয়ছি আমি আর তসিবা। এভাবে চলছে আমাদের জীবন সংসার আর ভালোবাসা।
।
গল্পটা কেমন হয়ছে সবাই জানাবেন। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগছে। আমার নতুন গল্প আসবে খুব তারা তারি রেডি থাকিয়েন সবাই।
……………………………..সমাপ্তি………………………………..
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.