গল্প:- বাল্য কালের বউ পর্ব:-(১৪:-১৫:-১৬)
লেখা:- Shohrab AL Islam
।
হারাম জাদা এক সাথে দুই মেয়েকে বাইকের পেছনে উঠায়ছিস আর এখন বলতেছিস তুই কিছুই জানিস না। তোর জন্য এই মেয়েটির বাবা আমাকে থানায় নিয়ে দ্বাড় করিয়েছে। আর তুই তাও মেয়েটার সাথে কথা বলিস আবার বাইকের পেছনে উঠায়ছিস। (আব্বু)
আমি:- আব্বু তসিবা একা রাস্তায় চলা ফেরা করতে পারেনা। তাই তো আমি ওকে ওর বাড়ীতে পোছায় দিতে যেতে ছিলাম।
আব্বু:- তোর জন্য অনেক অপমান সহ্য করেছি ফের যদি নীলার বাবার কাছে অপমান হতে হয়। তাহলে কিন্তু তোকে আমি সোজা বাড়ী থেকে বের করে দিব। তখনি তসিবা ওর চোখের পানি মুছে বলে,,,
তসিবা:- সোহরাব জেঠু তোমাকে বাড়ী থেকে বের করে দিলে তুমি আমার সাথে আমাদের বাড়ীতে থাকবে। চলো আজ থেকে তুমি আমাদের বাড়ীতে থাকবে।
আব্বু:- তোমাদের বাড়ীতে থাকবে কেন আর আমি ওকে জোর করে হলে নীলার সাথে বিয়ে দিয়ে দিব। এই সোহরাব তুই নীলাকে নিয়ে যা।
তসিবা:- জেঠু আমি যদি আপনার নিজের মেয়ে হতাম তাহলে আমাকে মাজ রাস্তায় একা রেখে চলে যেতে পারতেন। তসিবার এমন কথা শুনে আব্বু একটু নরম হয়ছে।
আব্বু:- দেখ মা আমি চাইনা তোমার বাবা আবার আমাদের অপমান করুক। এই সি এন জি এদিকে আয়, আব্বু তসিবাকে সি এন জিতে উঠিয়ে দিয়েছে।
তসিবা:- সোহরাব আমিও বলতেছি তুমি আমাকে যতটা কষ্ট দিতেছো একদিন তার প্রতিটা কষ্টের প্রতিদান তোমাকে দিতে হবে।
আমি:- আর তুমি যে আমাকে কষ্ট দিয়েছো তখন তোমার মনে ছিলোনা। যাও বাড়ীতে গিয়ে আব্বুর কথা মত কাজ করো। তসিবা কান্না করে দিয়েছে আমি মন খারাপ করে নীলাকে নিয়ে সোজা চলে আসলাম। নীলা নামো তোমার বাড়ীতে চলে এসেছি।
নীলা:- আজকে আর বাড়ীতে যাবোনা চলো তোমার সাথে তোমাদের বাড়ীতে যাবো।
আমি:- না তুমি আমাদের বাড়ীতে ঘন ঘন যাতায়ত করবে না। আমার একদম পছন্দ হয়না এসব।
নীলা:- আচ্ছা সোহরাব তুমি আমাকে ভালোবাসো তো নাকি আমার সাথে অভিনয় করতেছো?
আমি:- দেখো নীলা বাল্য কাল থেকে আমি তসিবাকে আমার বউ মেনে আসছি। এত সহঝে ঐ যায়গা তোমাকে বসাতে একটু সময় তো লাগবেই তাইনা?
নীলা:- যত টাইম লাগে নাও যদি আমার সাথে কোন চিট করো তাহলে এর পরিনাম ভালো হবে না। তুমি যদি মনে করো তুমি আমাকে কষ্ট দিবে তাহলে ভূল ভাবছো। আমি ঐ সকল মেয়েদের মত নই যারা কষ্ট পেয়ে চুপ থাকবে। সোজা তোমাকে খুন করে নিজেই খুন হয়ে যাবো।
আমি:- আরে তুমি কি বলছো আসলে একটু সময় দাও সব ঠিক হয়ে যাবে।
নীলা:- ঠিক হলে তো ভালোই আর যদি কোন ভূল তবে কপালে খারাপি আছে। যাক তুমি যেহেতু পছন্দ করোনা এখন তোমাদের বাড়ীতে যাই। তাই বিয়ের আগে তেমন একটা যাবোনা। যখন বিয়ে হবে তখন তোমাকে শুধু পিকচার দেখাবো। এই নাও উম্মা বলে নীলা আমাকে কিস করে দিয়েছে। আমি বাইকটা নিয়ে বাড়ীতে এসেছি। মনটা খুব খারাপ লাগছে তসিবার জন্য। আমার সামনে তসিবা কান্না করেছে আমি ওর চোখের পানি মুছে দিতে পারিনি। বসে বসে রুমে নিজের মনকে অনেক বকা দিতেছি।
আম্মু:- কিরে বিকালে রুমে ঢুকেছিস এখন রাত ৯টা বাজতে চলছে খাওয়া দাওয়াও কিছু করিস নি। কি হয়ছে তোর তুইকি তসিবাকে ভূলতে পারবি না?
আমি:- আম্মু মনে হয়না আমি তসিবাকে ভূলতে পারবো। আম্মু তোমার পায়ে পরি তুমি আব্বুকে বুঝিয়ে বলোনা। তখনি আব্বু এসে হাজির হয়েছে,,,
আব্বু:- সোহরাব তোকে আমি আবারও বলি যেইটা হবার নই সেইটা নিয়ে কেন পরে আছিস। ভূলে যা ঐ নিমু হারামির মেয়েকে। যত তারা তারি ভূলতে পারবি ঠিক তত তারা তারি নীলাকে আপন করে নিতে পারবি। এখন থেকে তুই নীলার সাথে বেশি বেশি সময় কাটাবি।
আমি:- নীলাকে আমার ভালো লাগেনা তখনি আব্বু এসে আমাকে এক থাপ্পর দিয়ে বলে,,,
আব্বু:- নীলার আব্বু একজন নামি দামি লোক ওনার মেয়েকে তোর সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়ছে এইটা তোর জীবেনর বড় পাওয়া। আর নীলা মেয়ে হিসাবে অনেক ভালো মেয়ে। আমি চাই তুই নীলাকে বিয়ে করে নে।
আম্মু:- আপনি যান আমি সোহরাবকে বুঝাচ্ছি। আব্বু চলে গেছে আম্মু আমাকে কিছু উপদেশ দিয়ে চলে গেছে। সবাই বলে নীলাকে বিয়ে করতে। কিন্তু নীলার জেদ অনেক যা আমার সাথে একদম যাবেনা। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি তসিবাকে চাই। মনটা খারাপ করে বসে আছি। এমনি মোবাইলটা বেজে উঠেছে হাতে নিয়ে দেখি চাচির নাম্বার রিসিব করতেই,,
চাচি:- বাবা সোহরাব তুমি আমার মেয়েটাকে বাচাও। তসিবা আজ সারা দিন কিছু খায়নি। মেয়েটা নিজের উপর অনেক অত্যাচার করতেছে। ওর আব্বু আজকে বাসায় নেই আমার খুব ভয় করছে যতি তসিবা নিজের কোন ক্ষতি করে ফেলে।
আমি:- চাচি তসিবাকে আমি একটু দেখে রাখেন আমি এখুনি আসতেছি। ফোনটা কেটে রেডি হয়ে দরজাটা ভীতর দিয়ে লক করে জানালা খুলে বেরিয়ে এসেছি। যদি আব্বু জানতে পারে তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে। বাইকটা বাড়ী থেকে ধাক্কা দিতে দিতে অনেক দূর এনে চালু করেছি। এক ঘন্টার রাস্তা ৩০ মিনিটে পোছায়ছি। যেহেতু চাচা বাড়ীতে নেই সেহেতু বাড়ীর সামনে দিয়ে ভীতরে ঢুকছি। কলিং বেল বাজাতেই চাচি এসে দরজা খুলে দিয়েছে।
চাচি:- সোহরাব তুমি এত রাতে এসেছো কেন? আর তোমার চাচা এসে গেছে তুমি চলে যাও।
আমি:- চাচা কখন আসছে?
চাচি:- এই তো কিছুক্ষন হয়ছে। তসিবাকে বুঝাচ্ছে তুমি চলে যাও।
আমি:- ঠিক আছে মনটা খারাপ করে চলে আসতেছি। না এখন যেহেতু এসেছি তসিবাকে না দেখে যাবোনা। বাইকটা লুকিয়ে পেছন দিয়ে একটা গাছ আছে ঐটা দিয়ে বেয়ে তসিবার রুমের দিকে গেছি। চেয়ে দেখি তসিবা শুয়ে আছে আর দরজা লাগানো জানালা দিয়ে ঠক ঠক করেছি কিন্তু তসিবার কোন খবর নেই। রাত ১টা বাজে আমি গাছে লটকে আছি। মনটা খারাপ করে নেমে যেতেছি ঠিক তখনি কেও দরজাটা খুলে ভীতরে ঢুকেছে। চেয়ে দেখি চাচি আমি একটু সাহোস করে আবার কন্ক করেছি। চাচি আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছে।
চাচি:- সোহরাব তুমি যাওনি এখনো?
আমি:- প্লিজ জানালাটা একটু খুলেন তসিবাকে দেখে চলে যাবো।
চাচি:- ঠিক আছে, চাচি জানালা খুলে দিয়েছে আমি ভীতরে ঢুকেছি। তসিবার দিকে তাকিয়ে দেখি তসিবা ওর হাত কেটে ফেলছে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যাবদানে নিজের কি অবস্থা করছে। চাচি সোহরাব যা করবে তারা তারি করো কারন তোমার চাচা একটু পর পর তসিবার রুমে আসতেছে।
আমি:- হ্যা করতেছি আমি তসিবার পাশে বসেছি ওর হাতটা ধরেছি চাচি একটু দরজার সামনে চলে গেছে। আমি তসিবার গালে কিস করেছি ঘুমের মাঝে বউ আমার একদম বাচ্ছা বাচ্ছা মনে হচ্ছে। ঐ দিকে চাচি বার বার বলছে তারা তারি বের হতে। আমি তসিবার কপালে একটু আদর করে দিয়ে যখনি উঠে বের হতে যাবে তখনি দেখা তসিবা আমার হাত ধরে রাখছে। আমি ছারাতে যাবো তখনি শুয়া থেকে উঠে বলে,,,
তসিবা:- তুমি কি ভাবছো চোরের মত এসে আমাকে কিস করে চলে যাবে আর আমি কিছু করবো না। এখুনি আমি তোমার একটা ব্যাবস্থা করতেছি। আজকে তোমার আমি বারোটা বাজাবো। তসিবার কথা শুনে আমার ভয়ে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আর তখনি তসিবা,,,,
।
পর্ব:–(১৫)
।
ঘুমের মাঝে আমাকে চুমা দিয়ে তুমি চলে যাবে। আর আমি কিছুই বলবো না? আজকে তোমাকে আমি কঠিন শাস্তি দেব। আমার কথা না শুনলে তার পরিনাম আজ ভয়াবহ হবে। (তসিবা)
আমি:- প্লিজ তসিবা আমাকে যেতে দাও। চাচা জানতে পারলে অনেক জামেলা করবে।
তসিবা:- আমিও চাই আব্বু জামেলা করুক। ঐ তুই নীলাকে তোর বাইকের পেছনে বসালি কেন? আব্বু আব্বু বলে তসিবা চাচাকে ডাকতে শুরু করেছে আর তখনি আমি সোজা তসিবার ঠোটে কিস করে বসেছি। তসিবা একদম চুপ হয়ে গেছে আর চাচা এসে দরজার সামনে হাজির হয়ে গেছে।
চাচি:- আরে আপনি কোথায় যাচ্ছেন তসিবা ঘুমাচ্ছে।
চাচা:- তাহলে আমাকে আব্বু বলে ডাক দিয়েছে কে?
চাচি:- কোথায় ডাকছে তসিবা তো ঘুমাচ্ছে। তখনি তসিবা আমাকে ফিস ফিস করে বলে,,
তসিবা:- এখন আব্বুকে সব বলে দেয় তুমি আমাকে ঘুমের মাঝে কিস করেছো। তাহলে বুঝতে পারবে কেমন মজা। আর নীলাকে বাইকের পেছনে উঠানোর মজা।
আমি:- তুমি বলতে হবে না আমি নিজেই বলতেছি বলে আমি চাচা বলেছি তসিবা আমাকে ঠোটে কিস করে বসেছে। আর ঐ দিকে চাচি চাচাকে ম্যানেজ করতেছে,,
চাচি:- অনেক রাত হয়ছে চলেন রুমে যাই। তসিবাকে একটু ঘুমাতে দেন।
চাচা:- হ্যা যাচ্ছি তবে যেহেতু এসেছি একটু তসিবাকে দেখে যাই। তখনি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়েছে।
আমি:- আরে তুমি কি করছো এত গরমে কম্বল গায়ের উপর দিতেছো কেন?
তসিবা:- কোন উপায় নেই আব্বু এখুনি রুমে আসবে। আর যদি তোমাকে দেখে তাহলে লঙ্কা কান্ড করে বসবে। দেখি তুমি কম্বলের নিচে যাও আমি তোমাকে কুল বালিশের মত জড়িয়ে ধরে রাখবো।
আমি:- হ্যা যায়তেছি এই গরমে কম্বলের নিচে যায়তে হবে। মাথাটা নিচে নিয়েছি আর তসিবা একটা পা আমার উপর দিয়ে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে। আমার এত ভালো লাগছে যা বলে বুঝাতে পারবোনা এত গরম করছে তাও মনে চাইছে তসিবার সারা জীবন কুল বালিশ হয়ে থাকি। এমনি চাচা আর চাচি রুমে ঢুকেছে,,
চাচি:- বলেছি মেয়েটা ঘুমিয়েছে তাও ডিসট্রাব করতে চলে আসছেন।
চাচা:- এই গরমে কম্বল গায়ের উপর কেন? ওর গায়ের উপর থেকে কম্বলটা সরিয়ে দাও। আবার কুল বালিশ জড়িয়ে ধরে রাখছে।
চাচি:- ওর কাছে ঠান্ডা লাগছে হয়ত তাই দিয়ে রাখছে।
আর তসিবা কুল বালিশ ছারা ঘুমাতে পারে নাকি?
চাচা:- ঐ ছেলেটার জন্য আজ আমার মেয়ের এই অবস্থা ওকে যদি কাছে পায় তাহলে ওর বাপের নাম বুলাই দিব। আর হারামীর বাচ্ছা আবার প্লান করে আমার মেয়েটাকে বিয়ে করেছে।
চাচি:- এইসব কথা পরে বলিয়েন এখন রাত ২টা বাজতে চলছে। তসিবাকে অনেক কষ্টে ঘুম পারিয়েছি। যদি সঝাগ হয়ে যায়। তাহলে আবার সমস্যা হবে।
চাচা:- হ্যা তা একদম ঠিক বলেছো চলো আমরা রুমে যাই। চাচা আর চাচি রুম থেকে বেরিয়ে গেছে। ওনারা বাহির দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়ে গেছে।
আমি:- তসিবা ওরা গেছে ফিস ফিস করে বলছি।
তসিবা:- না তুমি শুয়ে থাকো। তখনি আমি তসিবার গলার মাঝে কিস করে দিয়েছি। কি করছো তুমি কিস করছো কেন?
আমি:- তোমাকে আপন করে পেতে ইচ্ছে করছে। একটু আদর করি তোমাকে। বলে তসিবাকে আরো কিছু কিস করেছি।
তসিবা:- করাচ্ছি আদর তোমাকে বলে কম্বল সরিয়ে আমাকে ছেরে দিয়েছে। উঠো বলছি তানা হলে আব্বুক। এবার ডেকে আনবো আর সত্যি সত্যি তোমাকে ধরিয়ে দেব।
আমি:- হ্যা উঠতেছি বলে শুয়া থেকে উঠেছি।
তসিবা:- যাও নীলাকে গিয়ে আদর করো কেমন।
আমি:- নীলাকে আদর করলে তুমি খুশি হবে। ঠিক আছে তাহলে নীলাকে আদর করবো। তখনি তসিবা আমাকে খাঠের উপর ফেলে দিয়েছে ধাক্কা দিয়ে। বুকের উপর বসে নিজের মত করে আমার গালে গলাই কিস করতেছে ঠিক তখনি দরজাটা খুলে চাচি ভীতরে এসেছে। আমাদের এই অবস্থা দেখে চাচি একটু লজ্জা পেয়েছে।
তসিবা:- আম্মু আসলে সোহরাবকে আমি মারতে ছিলাম।
চাচি:- কোনটা মার আর কোনটা মার না তা বুঝার বয়স আমার হয়ছে। এখন খাবার খেয়ে নে তানা হলে শরীর আবার খারাপ করবে। সোহরাব আমি গেলাম দরজাটা তুমি লাগিয়ে দিও। আর হ্যা আজকে রাতটা তসিবার সাথে থেকে যাও। এতে দুজনের জন্য ভালো হবে।
তসিবা:- আম্মু তুমিও না।
চাচি:- হয়ছে আর বলতে হবে না। আসলে আমিও চাই তোরা দুজন দুজনকে সারা জীবন আকরে ধরে বেচে থাকতে। আমারও খুব ইচ্ছে হয় আমরা সবাই একিই বাড়ীতে বস বাস করি।
আমি:- চাচি আপনি কোন চিন্তা করবেন না আমি সব ঠিক করে দিব।
চাচি:- হ্যা তা আমি বুঝতে পারতেছি তবে তোমার আব্বু আর চাচাকে এক করা এত সহঝ হবে না। আচ্ছা তুমি চলে যেও কেমন। কারন তসিবার আব্বু সকালে ঘুম থেকে উঠে তসিবাকে দেখতে আমবে।
তসিবা:- আমি খাবো না এখন। আম্মু তুমি খারাব গুলা নিয়ে যাও।
আমি:- চাচি মা আপনি আমার কাছে দেন আমি তসিবাকে খাবার খায়িয়ে দিয়ে চলে যাবো।
চাচি:- ঠিক আছে, খাবার গুলা আমার হাতে দিয়ে চাচি চলে গেছে। আমি তসিবার হাতে খাবারের প্লেটটা রেখে দরজাটা লাগিয়ে দিয়েছি।
আমি:- খাবারের প্লেট রেখে তসিবাকে নিয়ে দুজনে বাথরুমে গেলাম। তসিবাকে হাত মুখ দুইয়ে দিলাম! হঠাত করে তসিবার পিটের তিলটার দিকে নজর গেছে। বাহা অনেক সুন্দর লাগছে আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
তসিবা:- কি দেখছো এমন ভাবে তাকিয়ে রইছো যে?
আমি:- কিছুনা চলো, বলে তসিবার হাত ধরে রুমে নিয়ে এসেছি। তসিবাকে বসিয়ে আমি ওকে খায়িয়ে দিতেছি। তসিবার আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
তসিবা:- সরি সোহরাব তোমাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আমি:- সরি তো আমার বলা উচিত তোমাকে আমি কত কষ্ট দিয়েছি।
তসিবা:- দাও তোমাকে আমি নিজের হাতে খায়িয়ে দেয়।
আমি:- না আমার খিদে নেই। তাও তসিবা আমাকে জোর করে খায়িয়ে দিতেছে। আমিও তসিবাকে খায়িয়ে দিতেছি। আমরা দুজন দুজনকে খায়িয়ে দিয়েছি। এই মূহুর্তের কথা আমি সারা জীবন মনে রাখবো। খাবার শেয়ে দুজনে হাত মুক দুইয়ে রুমে চলে আসলাম।
তসিবা রাত ৩টা বাজে তুমি ঘুমাও আমি চলে যাই। আগামী কাল কলেজে দেখা হবে।
তসিবা:- না আজকে সারা রাত আমি আর তুমি গল্প করবো। তুমি আমাকে শাড়ী পরিয়ে দিবে।
আমি:- এখন শাড়ী পরে কি করবে?
তসিবা:- দাওনা শাড়ী পরিয়ে।
আমি:- না থাক আগামী কাল পরিয়ে দিব। এখন তুমি ঘুমাও আমি যাই।
তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে শাড়ী পড়াতে হবে না। তুমি আমার পাশে শুয়ে থাকো সকালে চলে যেও। এত রাতে তোমাকে আমি যেতে দিব না।
আমি:- তোমার আব্বু জানতে পারলে পরে সমস্যা হবে।
তসিবা:- যদি থাকতে রাজি না হও তাহলে এখুনি আব্বুকে ডেকে এনে তোমাকে ধরিয়ে দিব।
আমি:- বুঝতে পারছি ব্ল্যাকমেইল করতেছো।
তসিবা:- মনে করো তাই, এত কথা না বলে চলো ঘুমাবে।
তসিবা আমার হাত ধরে খাঠের উপর এনে বসিয়েছে। তসিবার হাব ভাব আমার কাছে ঠিক লাগছেনা মনে হচ্ছে আজকে কিছু একটা হয়ে যাবে।
আমি:- দেখি ছারো বলে তসিবার কাছ থেকে দূরে চলে গেছি। খাঠের মাঝে কম্বল আর কুল বালিশ দিয়েছি। তসিবা এই বর্ডার এদিকে যদি না আসো তাহলে আমি থাকতে রাজি আছি।
তমিবা:- তা বলতে পারবো না, তবে আমার ইচ্ছে করছে তোমাকে কাছে পেতে।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি যাই।
তসিবা:- আরে মেরি জানে মান কোথায় যাও তুমি। আচ্ছা ঠিক আছে পরে বুঝবে কি হাত ছারা করেছো। যাও তুমি ঐ দিকে শুয়ে থাকো।
আমি:- ঠিক আছে, তসিবা এক দিকে আর আমি অন্য দিকে শুয়ে রয়েছি মাঝে কম্বল আর কুল বালিশ। যখনি আমার ঘুম ঘুম ভাব আসছে তখনি তসিবা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। তসিবা ভাবছে আমি ঘুমিয়ে গেছি। আমিও ঘুমের বান করে শুয়ে আছি। আল্লাহ যানে সকালে আমার কপালে কি আছে। তখনি তসিবা বলতেছে,,
তসিবা:- বোকা কোথাকার যেখানে আমার সোনা লক্ষী বর। আম্মু ঠিকই বলে তুমি আমার জন্য পার্ফেক্ট আমি তোমাকে ছারা বাজবো না। তসিবার বক বক শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। সকালে ঘুম ভাঙছে কোন কিছুর শব্দে। চোখ খুলে দেখি তসিবা খাঠের উপর নেই আর দরজায় দাঁড়িয়ে চাচা তসিবা বলে ডাকতেছে। যখনি আমি উঠতে যাবো তখনি চেয়ে দেখি আমার হাতে হাত করা লাগানো। তা আবার খাটের সাথে আটকানো। কাম সারছে এই কাজ কে করেছে,,,
।
পর্ব:–(১৬)
।
রাতে আমাকে কত ভালোবাসা দেখিয়েছে! আর এখন সকালে হাত করা লাগিয়ে দিয়েছে! এই জন্যই তো তসিবা রাতে আমার সাথে এত ভালোবাসা দেখিয়েছে। আমি এখন কি করি আর তসিবা কোথায় গেল? এমনি মহা রানী এসেছে একদম গোসল করে বের হয়ছে। বাহা তসিবাকে তো ধারুন লাগছে। আমি তসিবাকে ইশারা দিয়ে হাতের হাত করা দেখালাম। তসিবা কাছে এসে ফিস ফিস করে বলে,,,
তসিবা:- আমি যা করতে বলবো তা করতে রাজি হও তাহলে হাতের হাত করা খুলে দিব।
আমি:- তোমার আব্বু দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। যদি তোমাকে আর আমাকে দেখে তাহলে কি হবে?
তসিবা:- আমার তো কিছুই হবে না। যা হবে তোমার, কারন আমি আব্বুকে বলবো তুমি রাতে জোর করে আমার রুমে ঢুকেছো। আর তার জন্য হাতে হাত করা লাগিয়ে দিয়েছি।
আমি:- বুঝতে পারছি তুমি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করবে। আচ্ছা বলো কি করতে হবে?
তসিবা:- আমাকে আজকেই তোমার সাথে নিয়ে যেতে হবে। আমি তোমার সাথে তোমার বাড়ীতে যাবো। আর যদি না নাও তাহলে আমি আব্বুকে মিথ্যা বলবো।
আমি:- আমাদের বাড়ীতে আব্বু আমাকে মেরে ফেলবে। আর নীলাকে কি বলবো?
তসিবা:- আবার নীলা তবেরে তোকে আমি নিজেই মেরে ফেলবো। তখনি,,,
চাচা:- তসিবা কি হলো দরজাটা খুল তোর শরীর কেমন আছে?
তসিবা:- আব্বু এখন ভালো আছি আমি ফ্রেস হচ্ছি।
চাচা:- আচ্ছা ঠিক আছে, তুই ফ্রেস হয়ে নিচে আয় তোর সাথে আমার জুরুলি কিছু কথা আছে।
তসিবা:- ঠিক আছে আব্বু।
আমি:- তোমার সাথে কি এমন জুরুলি কথা বলবে?
তসিবা:- জানিনা নিচে গেলে বুঝতে পারবো। এখন বল তুমি আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাবে।
আমি:- নিয়ে তো যেতে হবেই আজ নয়ত কাল। তাহলে আজকেই নিয়ে যাই যা হবার হবে কপালে।
তসিবা:- ইয়ে হইনা বাত উম্মা উম্মা উম্মা আমাকে তসিবা অনেক আদর করে দিয়েছে। আমি এখন থেকে এক রাতের জন্য তোমাকে ছারা থাকতে পারবো না। এখন থেকে তুমি হবে আমার কুল বালিশ।
আমি:- তা তো বুঝতে পারছি। আচ্ছা এখন আমার হাতের হাত করাটা খুলে দাও।
তসিবা:- হ্যা খুলে দিতেছি, তসিবা আমার হাত করা খুলে দিয়েছে। যাও তুমি ফ্রেস হয়ে নাও আমি নিচে গিয়ে দেখি আব্বু কি বলে?
আমি:- উম্মা যাও আমি ফ্রেস হয়তেছি। তসিবা চলে গেছে আমি ফ্রেস হতে চলে গেলাম। কিছুক্ষন পর ফ্রেস হয়ে বের হয়ছি। তসিবাকে আজকে শাড়ী পরতে বলবো। তসিবাকে শাড়ী পরলে দারুন লাগে। বসে বসে কিছুক্ষন চিন্তায় মগন্য ছিলাম। হঠাত মগন্য থেকে ফিরে এলাম তসিবার কথায়।
তসিবা:- আব্বু আমার বিয়ে ঠিক করেছে রাজের সাথে।
আমি:- রাজের সাথে মানে?
তসিবা:- হ্যা আব্বু এখন আমাকে বলছে নিচে। আগামী কাল রাজ আর আমার Engagement হবে।
আমি:- তা কি করে সম্বব হয়। তুমি নিশ্চয় চাচাকে রাজের কথা বলছো?
তসিবা:- আরে বোকা আমি বলতে যাবো কেন? আব্বুকে রাজের বাবা ফোন করে বলছে আমি আর রাজ দুজন দুজনকে ভালোবাসি। রাজ নাকি ওর আব্বুকে এই কথা বলছে। এখন কি হবে?
আমি:- তোমার যা মন চাই তাই করো আমি গেলাম।
তসিবা:- আমিও তোমার সাথে যাবো প্লিজ আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও।
আমি:- তুমি আবার পরে পল্টি মারবে না তো তোমার আব্বুর কথায়?
তসিবা:- এই প্রান তাকতে নই। তোমাকে ছারা আর কোন কিছু চাইনা।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে চলো তোমাকে আজকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে যাবো আমার বাড়ীতে।
তসিবা:- তাহলে তুমি আমাকে আজ এই শাড়ীটা পরিয়ে দাও।
আমি:- আরে এই শাড়ীটা তো আমি কিনে আনছিলাম। তোমাকে দিব বলে কিন্তু তুমি পেলে কোথায় এই শাড়ীটা?
তসিবা:- আমি বুঝতে পারছি তাই তো তুমি চলে যাবার আগেই শাড়ীটা আমি ব্যাগ থেকে বের করে রাখছি।
আমি:- ঠিক আছে দাও, তসিবাকে শাড়ীটা পরাচ্ছি। আমি দেখিয়ে দিতেছি আর ও পরতেছে।
তসিবা:- এবার কচিটা তুমি করে দাও। আমি কচি করে দিয়ে ওর হাতে দিয়েছি। কিন্তু তসিবা বলছে আমি পরিয়ে দিতাম। কচিটা যখনি পরিয়ে দিব তখনি তসিবার নাভির দিকে নজর গেছে। তা দেখে আমার প্রান যায়। তখনি তসিবা বলে কি দেখছো এমন করে?
আমি:- বাহা তোমার পেট অনেক সুন্দর। না না কিছুই না নাও কচি তসিবাকে শাড়ীটা পরিয়ে দিলাম। মাথাটা আচরিয়ে চুল গুলা ছেরে রাখলাম। বাহা তসিবা তোমাকে তো একদম পরী লাগছে।
তসিবা:- আসলে তেমন কিছুনা তোমার চোখ সুন্দর তো তাই এমন লাগছে। দাও আমার পিটের তিলটা একটু ছুয়ে দাও তো।
আমি:- তিল ছুয়ে দিতে হবে কেন?
তসিবা:- আমি জানি তুমি আমার তিলটা ধরতে চাও। নাও এবার ধরে নিজের ইচ্ছাটা পুরুনন করো।
আমি:- ঠিক তানা একটু আদর করে দেয়। তসিবার পিটের তিলটায় একটু আলতু করে কিস করে দিলাম। তসিবার সারা শরীরে মনে হয় কম্পন বয়ে গেলো। তসিবা ঘুরে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। এত শক্ত করে ধরেছে আমিও তসিবাকে জড়িয়ে ধরেছি।
তসিবা:- সোহরাব আমি তোমাকে ছারা বাজ বোনা চলো এখুনি আমরা দূরে কোথাও চলে যাই যেখানে জেঠু আর আব্বু কেও থাকবে না।
আমি:- হ্যা তাই করলে ভালো হবে। ঠিক আছে তুমি ব্যাগ নিয়ে দরজা দিয়ে বের হও আমি জানালা দিয়ে গাছ বেয়ে নিচে তোমার গেইটের সামনে দ্বাড়াচ্ছি।
তসিবা:- হ্যা তাই হবে বলে আমি তসিবাকে ছেরেছি ঠিক তখনি চাচি রুমে এসেছে,,
চাচি:- সোহরাব আমি তোমাদের সব কথা শুনেছি। তবে তুমি একটা কাজ করতে পারবে?
আমি:- হ্যা বলেন কি কাজ করতে হবে?
চাচি:- যদি তসিবাকে জীবনে আপন করে পেতে চাও তাহলে একটা কাজ করতে হবে। আর সেই কাজটা যদিও সহজ হবে না। কিন্তু যদি পারো তাহলে তোমার চাচা আর আব্বু ওরা কিছুই করতে পারবে না। আর তোমাদের বাল্য কালের বিয়ের কাবিনের কাগজে কিছু কথাও লিখে গেছে তোমার দাদা। আর সেই কাবিনের কাগজ গুলা আছে এক জনের কাছে সেই কাগজ গুলা আনতে পারবে?
আমি:- হ্যা পারবো কিন্তু কার কাছে আব্বুর নাকি চাচার কাছে। তখনি চাচি এমন এক জনের কথা বলছে তা শুনে আমি দাঁড়িয়ে থেকে সোজা বসে গেছি। চাচি তা কি করে সম্বব ওনি জীবনেও রাজি হবে না?
চাচি:- তাহলে তোমরা যেখানে যাও তোমাদের বাপ চাচা তোমাদের এক হতে দিবে না। কারন ওনারা তোমাদের চাইতে নিজেদের আত্ববোদ আর নিচের জেদ বজায় রাখবে তাও তোমাদের এক হতে দিবে না।
আমি:- তাহলে এখন কি করবো? যে কোন একটা উপায় বের করে দেন না চাচি আম্মা।
চাচি:- হ্যা একটা উপায় আছে তাহলে শোন ভালো করে।
To be continue,,,
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???