গল্প:- ফুলশয্যা
পর্ব_ ০৯
#লেখিকা:- অনামিকা ইসলাম।
আবির অনেকক্ষণ মায়ার হাসোজ্জল মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল। নীলিমাও আবিরের মুখের দিকে তাকিয়ে চুপটি করে দাঁড়িয়ে ছিল। অনেকক্ষণ পর__
আবির:- আমি কি সকালে নাকি এখন’ই চলে যাব???
চোখ সরিয়ে নেয় নীলিমা।
আবিরের প্রশ্নোত্তরে বলে_
” এত রাত্রে কোথায় যাবেন?আপনি থাকেন। তারপর কালকে বরং চলে যাবেন।”
আবির একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দাঁড়ানো থেকে নীলিমার দিকে এগিয়ে গেল। তারপর__
” আমরা কোনো ভুল করছি না তো?”
নীলিমা:-……
আবির:- আরেকটু ভেবে দেখা যায় না???
নীলিমা:-……..
আবির:- আমি কি কোনো ভুল করছি? কিংবা আমার কোনো কথা বা কাজে কর্মে কোনো প্রকার কষ্ট পেয়েছ???
নীলিমা:-……..
আবির:- নীলিমা! কোনো কারনে কি তুমি আমার উপর রেগে কিংবা আমায় ভুল বুঝে আছ???
নীলিমা:-……
আবির:- নীলিমা! কথা বলো…..
,
নীলিমা:- মাথা’টা প্রচন্ড ব্যথা করতেছে। আমি একটু রেস্ট নিতে চাই। প্লিজ আমায় বিরক্ত করবেন না…..
,
আবির:- ঠিক আছে। তুমি তাহলে ঘুমাও…..
আবির সরে গিয়ে নীলিমা’কে জায়গা করে দেয়। নীলিমা শুয়ে পরে।
অল্পকিছুক্ষণের ভিতর নিদ্রাদেবী নীলিমার চোখে এসে ভর করে। নীলিমা তলিয়ে যায় ঘুমের জগতে।
আবির নীলিমার পাশে গিয়ে বসল। বেশকিছুক্ষণ নীলিমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল আবির। তারপর_
আবির জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। একবার জানালার পাশে তো আরেকবার বিছানায়, একবার বাইরে তো আরেকবার চেয়ারে। এভাবেই কাটল আবিরের সারা’টা রাত। ভোরে নামাজ পরার জন্য মসজিদে যায় আবির। যাওয়ার আগে নীলিমা’কে ডাক দিয়ে বলে যায় নামাজ পরার জন্য। নীলিমা ঘুম থেকে উঠে ওজু করে নামাজ পরে নেয়। আবির তখনও আসছে না।
নীলিমা কুরআন তেলওয়াতে বসে। তেলাওয়াত শেষ করে মায়ের সাথে রান্নাঘরে রান্নার কাজে হেল্প করতে যায় নীলিমা। রান্নার ফাঁক দিয়ে নীলিমার মা নীলিমার হাতে কিছু শীতের পিঠা ধরিয়ে দিয়ে বলে_
” যাহ! জামাইরে নিয়া বসে খা। আবার তো আজকে চলে যাবি। কবে আসবি ঠিক নাই…”
নীলিমা:- মা! আমি আজকে যাচ্ছি না…..
মা:- মানে? যাবি না মানে???
নীলিমা:- যাব না, মানে যাব না….
আর তাছাড়া মা আমার তো হসপিটাল আছে।
মা:- হসপিটালের জন্য অনেকে আছে। তুই জামাইয়ের সাথে যাবি।
নীলিমা:- মা! আমার হসপিটাল আছে তো….আছে কিছু দায়িত্ব। আমি সেগুলো পালনে আর অবহেলা করতে চাই না।
মা:- তোর সংসারও আছে। সংসারের প্রতিও কিন্তু একটা দায়িত্ব আছে। সেটা কিভাবে অবহেলা করবি…? তাই বলছি তুই যাবি। আর হসপিটালের জন্য তুই একা না অসংখ্য মানুষ আছে।
,
নীলিমা:- মাাাাাাাাাাাাাাাা…..
মা:- কোনো কথা নয়।
যাহ। দিয়ে আয় পিঠাগুলো……
,
নীলিমা:- কারে দিব পিঠা???
মা:- কারে দিবি মানে? জামাইরে দিবি।
নীলিমা:- কেউ তো রুমে নেই….
মা:- কোথায় গেছে?
নীলিমা:- নামাজ থেকে আসে নি।
মা:- এখনো আসেনি?
নামাজ তো সেই কখন শেষ হয়ে গেছে…..
নীলিমা:- সেটা’ই তো…..
মা:- লিমা কোথায়? ওকে পাঠা তাড়াতাড়ি…..
অচেনা,অজানা জায়গা। না জানি পথ ভুলে কোথায় চলে গেছে…..
নীলিমা:- মা! আমি যায়…..???
মা:- না…
তোর যাওয়া দরকার নেই। আমি লিমা’কে ডাকছি….
লিমাকে ডাকতে’ই লিমা এসে হাজির হলো। নীলিমার মা লিমাকে দায়িত্ব দিল আবিরকে খুঁজে আনার জন্য। আর নীলিমার হাতে পিঠার প্লেট ধরিয়ে দিয়ে বলল__
” এই ধর! পিঠাগুলো খেয়ে পানি খেয়ে নে…”
নীলিমা:- মা! আমি খাবো না।আমি এগুলো খায় না…(…….)…..
মা:- বাব্বাহ! আমার মেয়ে মর্ডান হতে হতে তো আর হতে পারে না। এখন মায়ের হাতের খাবার খেতেও অরুচি…..
নীলিমা:- মাাাাাাাাাা….???
,
আচ্ছা দাও….
আমি খাচ্ছি।সব খেয়ে সাবাড় করে নিব।
নীলিমা ওর মায়ের হাত থেকে পিঠার প্লেট নিয়ে একটার পর একটা পিঠা খেতেই থাকে তো খেতেই থাকে।
নীলিমার মা সেটা দেখে হাসছে….
খাওয়া শেষ করে নীলিমা ওর মায়ের দিকে তাকালো।
তারপর প্লেট’টা উপুড় করে বলল,
” নেই! কিচ্ছু নেই… ”
মা:- আরো খাইবি???☺☺
নীলিমা:- নাহ! নাহ!
পরে আবার তোমার আদরের জামাইয়ের ভাগে কম পরবে…..???
মা:- সেটা আমার কেমন কথা…???
নীলিমা:- কিছু না…
তুমি যাও তো এখান থেকে।
আমি রান্না করব…….
মা:- এই নে কর।
,
নীলিমার মা রান্নাঘর থেকে চলে যাচ্ছিল, হঠাৎ করে আবার ফিরে আসল নীলিমার কাছে।
ওনার ফোনটা নীলিমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল__
” জামাইয়েট নাম্বারে কল দিয়ে দে তো একটা। দেখি জামাই কই আছে…?”
নীলিমা মায়ের থেকে ফোন’টা নিয়ে আবিরের নাম্বার’টা ডায়াল করে দিল। পর পর দু’বার রিং হওয়ার পরও আবির কল রিসিভ করেনি। নীলিমার মা এবার নীলিমার হাতে ফোন’টা দিয়ে বলল__
” লিমার নাম্বারে কল ঢুকা”
কথা’টা বলতে বলতে’ই লিমা কল করে। নীলিমা ওর মায়ের কাছে ফোন’টা দিয়ে দেয়। ওর মা ফোন রিসিভ করলে ওপাশ থেকে লিমা যা বলে_
” মা! দুলাভাই ইটের সাথে হোঁচট খেয়ে পায়ে প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছে। তাই বাড়ি আসতে পারছিল না। নদীর পাড়ে বসে ছিল। আমি ওনাকে নিয়ে হসপিটালে আছি। ওখানকার হসপিটালে নেইনি যদি আপু জেনে গিয়ে কষ্ট পায় তাই। মা! তুমি আপুকে এসব কিছু বলো না। আমরা আসছি।তবে একটু দেরী হবে।আর তাছাড়া শিউলির বাবার মারাত্মক এক্সিডেন্ট হয়ছে।ওনাকে এই হসপিটালে’ই আনা হয়ছে। ওনার খবর শুনেই পরে আসব।”
নীলিমা কথাগুলো একনিঃশ্বাসে বলল। নীলিমার মা ততক্ষণে নীলিমার থেকে দুরে সরে গেছে। লিমার কথার প্রতি উত্তরে শুধু এটুকু’ই বলল_
” আচ্ছা, মা! কি হয় না হয় জানাবি তুই…”
লিমা-
ঠিক আছে বলে কল রেখে দিল।
কথা শেষ করে লিমা আবিরের দিকে তাকালো।
” আপনার জন্য এই প্রথম মায়ের সাথে একটা “বিগ মিথ্যা” কথা বললাম। এখন বলেন আপনার কেইস’টা কি? আর বাড়িতে গাড়ি রেখে’ই এভাবে পালিয়ে চলে যাচ্ছিলেন কেন?”
আবির:- আসলে লিমা আমি….(…)….
লিমা:- একমিনিট ভাইয়া….
আমি একটা কথা বলতে চাই….
আবির:- জি, বলো…..
লিমা:- যদিও আমায় আপনি ছোট্ট বোনের মত আদর-স্নেহ করেন কিন্তু এই মুহূর্তে আমাকে আপনার বন্ধু ভাবতে হবে। এমন বন্ধু যার সাথে মনের সব কথা নির্দ্বিধায় বলে ফেলা যায়। I mean best friend ভেবে মনের না বলা কথাগুলো আমায় বলতে হবে। পারবেন???
আবির:- কি আর হবে বললে?
যা হবার তো হয়ে’ই গেছে…….
লিমা:- কি হবে বা কি হয়ে গেছে সেটা না হয় পরে’ই ভাবেন। এই মুহূর্তে আপনি আমার কৌতূহলী মনের কৌতূহল মেটাতে সাহায্য করেন। বাকি’টা আমি দেখব….
লিমার কথা শুনে আবির ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলা শুরু করল বিয়ের পর থেকে একে একে ঘটে আসা সব ঘটনা। আবির কালকের রাত্রের ঘটনা পর্যন্ত বলে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে।”
লিমা ড্যাবড্যাব করে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে।
” দুলাভাই এত কিছু হয়ে গেল অথচ আমরা জানলাম না?”??
আবির:- ভেবেছিলাম যা হয়েছে সবটা মিটিয়ে নিব। আমার নীলিকে বলব, নীলি! যা হয়েছে সব ভুলে গিয়ে চলো নতুন করে জীবন শুরু করি। আর তাই এর জন্য সবরকম প্ল্যানও করেছিলাম। কিন্তু ও যে এভাবে আমার প্ল্যানে জল ঢেলে দিবে বুঝতে পারিনি।
লিমা:- দুলাভাই!
ভালোবাসতে কোনো দিন-ক্ষণ লাগে না। লাগে না কোনো উপলক্ষ্য। আপনি ব্যাটা বোকা। না হলে এমন আহম্মকের মত কাজ করতেন না।
ও যায় করুক।
আপনি কেন সেসব নিরবে মেনে নিলেন? কেন ওকে ঠাস করে থাপ্পর মেরে কাছে টেনে নেননি?
একটা জিনিস আমি বুঝতেছি না! লেখাপড়া কি মানুষ করে না???
তার জন্য কেউ সংসারকর্ম বাদ দিয়ে দেয়? হায় আল্লাহ!
এই লেখাপড়ার জন্য আপনি ওকে এভাবে এতটা বছর আলাদা রুমে রাখলেন?
ভাইয়া!
আপনি কি মানুষ না এলিয়েন গো???
এইভাবে বিয়ে করেও বউ ছাড়া থাকলেন কি করে???
দুলাভাই!
আপনাকে তো আমি ভিষণ রসিক মনের মানুষ ভাবতাম।
ভাবতাম ভালো’ই হয়েছে।
আমার গম্ভীর, বেরসিক আপুর কপালে একটা রসিক বর জুটেছে। কিন্তু আপনি তো দেখছি আপুর যে উপরের লেবেলের….☺☺☺☺
যেই মেয়ে লজ্জার জন্য ঠিকমত বাড়ির কারো সামনে বসেই খেত না,মেহমান এলে রুম থেকে বের হতো না, ছেলেদের সামনে হাটতে গিয়ে হাটুতে হাটু আঘাত খেত, মাটির দিকে তাকিয়ে কথা বলত সেই মেয়ে আপনাকে কিস করেছে।??
ভাইয়া এ যে অন্ধ ব্যক্তির মহাকাশ জয় করার মত,
এত বড় জয় অর্জন করছে কোথায় আপনি ওকে পুরস্কার দিবেন তা না করে সোফায় গিয়ে ঘুমিয়ে পরলেন?
আপনার তো দেখছি কোনো ফিলিংস’ই নেই……??
আপনি জানেন ও কত কতটা লাজুক???
,
আর আপনি কিনা সেই লাজুক মেয়ের মুখ থেকে’ই ভালোবাসি কথাটা শুনতে চাচ্ছেন???
ভাইয়া এ যে কখনো পসিবল নয়।
ভাইয়া!
একটা কথা মনে রাখবেন-
” মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না”….
ওরা সবকিছু লুকিয়ে রাখার, সহ্য করার আর নিরবে মেনে নেওয়ার অসম্ভব এক ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
আর তাই__
” ভালোবাসি কথাটা আপনার’ই বলার দরকার ছিল…”
আবির:- ওরা তাহলে কোন জিনিস’টা পারে না???
আবির মুখ খুলল এতক্ষণে।
লিমা আবিরের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে বলল_
” ওরা সব পারে কিন্তু পারে না অন্য কারো কাছে নিজের ভালোবাসা ভাগ করে নিতে।”
আবির:- Really???
লিমা:- হুম….
আবির:- তাহলে তো এটা প্লাস পয়েন্ট…..
লিমা:- কিসের প্লাস পয়েন্ট???
আবির:- এই যে ওকে কাছে টেনে নেওয়ার…..!!!!
লিমা:- দেশ ছেড়ে পালানোর উদ্ভট ভাবনা তাহলে মাথা থেকে দুর হয়েছে???
আবির:- হুম….
আমার ভালোবাসা আমি জয় করে নিব।
লিমা:- এই না হলে আমার দুলাভাই।
সাবাশ! দুলাভাই। সাবাশ!
আমি আছি আপনার সাথে।
ঠিক তখনি পাশ থেকে লিমার বান্ধবী আশা বলে উঠল__
” আমিও আছি দুলাভাইয়ার সাথে..”
লিমা:- হুম! আমরা আছি আপনার সাথে….
আবির:- ♥♥♥♥
আশা:- তা দুলাভাইকে নিয়ে কি দাঁড়িয়েই থাকবি নাকি বাসায় যাবি???
লিমা:- ওহ, হ্যাঁ!
চলেন দুলাভাই। আর আশা!
তুইও চল। বাসায় শীতকালের হরেক রকমের পিঠা বানাইছে মা।
খেতে পারবি….
আবির:- হুম, আশা!
তুমিও চলো আমাদের সাথে।
লিমা আর আশা আবিরকে নিয়ে বাসায় আসল সকাল ১১টা নাগাদ।
বাসায় আসার পরের কথা বলছি__
নীলিমা হসপিটালে গিয়েছিলল রোগী দেখার জন্য। আবির এসেছে কথা’টা শুনে দৌঁড়ে আসল বাড়িতে।আবিরকে দেখে মনে হচ্ছে আকাশের চাঁদ’কে হাতে পেয়েছে। দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বড় করে নিঃশ্বাস ফেলল নীলিমা। চোখ খুলতে’ই দেখে সামনে ছোট বোন লিমা দাঁড়িয়ে। লিমা ভ্রু নাচিয়ে নীলিমাকে জিজ্ঞেস করছে__
” কি! ব্যাপার কি? আজকাল ভাইয়াকে দেখছি চোখে হারাস…”
নীলিমা:- মানে????
লিমা:- লুকিয়ে-চুরিয়ে ভাইয়াকে ফলো করিস। ব্যাপার কি???
নীলিমা মুখ ভেংচি দিয়ে বলল__
” হু! আমার বয়েই গেছে!”
লিমা মনে মনে__
” জানি গো জানি আপু। আমি সব জানি…”
নীলিমা রুমে গিয়ে দেখে আবির আর আশা একসাথে বসে পিঠা খাচ্ছে।
নীলিমা:- আশা! কখন এলে???
আশা:- এইতো আপু মাত্র’ই।
তোমাকে রেখে খেয়ে ফেলতেছি আমরা….
নীলিমা:- সমস্যা নাই, খাও….
আমাদের রেখে খাওয়া???
দুলাভাই মানুষটা তো ভালো না….
লিমার আরো দুইটা ক্লাসমেট+বান্ধবী চলে এলো।
এরা সবাই একসাথে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সবাই একসাথে কোচিং ও করে ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য। ওরা সবাই ঢাকায় থেকে পড়বে বলে প্ল্যান করেছে। আর সেটা একসাথে ম্যাচে । নিজেরা রান্না করে খাবে। লিমার প্ল্যান অনুযায়ী যা বুঝা যায় তা হলো__
” রিমা ওদের সাথে যখন ভার্সিটিতে পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হবে, তখন বাধ্য হয়েই নীলিমা ঢাকায় যাবে। কারণ__
নীলিমা ওর ওর প্রাণের চেয়েও বেশী ভালোবাসে। আর সেই বোন ম্যাচে থেকে পড়াশুনা করবে।এটা ও চাইবে না নিশ্চয়। আর ঠিক তখন’ই সুযোগ হবে ওদের মিলিয়ে দেওয়ার।”
সবাই মিলে একসাথে পিঠা খেয়ে আড্ডা দিচ্ছে আবিরের সাথে।
নীলিমা দুরে বসে আবিরকে আড়চোখে দেখছে।
আবির সেটা লক্ষ্য করে যখনি তাকাই নীলিমা তখনি চোখ ফিরিয়ে নেয়। পর পর তিনবার চোখে চোখ পরার পর আবির বলেই ফেলল__
“লিমা!
তোমার বোনের কি কোনো সমস্যা আছে চোখে???”
আশা:- কেন ভাইয়া???
আবির:- না মানে তোমাদের আপু বার বার এদিকে তাকাচ্ছে মনে হচ্ছে।কিন্তু ধরতে পারতেছি না। তাকালে দেখি ও অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। তাই বললাম ওর চোখে কোনো সমস্যা আছে নাকি….
,
লিমা:- সমস্যা মানে ভাইয়া???
লিজা:- কি বুঝাতে চাচ্ছেন দুলাভাই? সমস্যা মানে কি???
,
আবির:- I mean ট্যাঁরা….
,
লিমা:- কি??????
,
আবির:- জি…???
সবাই:- ?????
নীলিমা:- ?????
চলবে….