গল্প:- নব_দম্পতি পর্ব:-(১৬)

0
1120

গল্প:- নব_দম্পতি পর্ব:-(১৬)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
তসিবার ব্যাপারে আব্বা কি কথা বলবে তা ভাবতে ভাবতে অফিসে এসেছি। অফিসের কাজ গুলি করতেছি তখনি আব্বা ফোন করেছে। রিসিব করেছি তখনি আব্বা বলে!

আব্বা:- সৌরভ আজকে দুপুরে লাঞ্চ আমার সাথে করিস তোর সাথে আমার জুরুরী কিছু কথা আছে।

আমি:- ঠিক আছে! কিন্তু তসিবার ব্যাপারে কি বলবেন বলছিলেন তা কি এখন ফোনে বলা যাবে?

আব্বা:- নাহ ফোনে এত কিছু বলা ঠিক হবেনা! দুপুরে লাঞ্চের সময় তসিবার ব্যাপারে কথা বলবো। আচ্ছা এখন রাখি দুপুরে দেখা হবে।

আমি:- ঠিক আছে! আব্বার সাথে কথা বলে আর চিন্তায় পরে গেলাম! তসিবার ব্যাপারে তো আমি আস্তে আস্তে সব যেনেছি! এমন কি হতে পারে? দূর লাঞ্চের সময় হতে মাত্র তো দুই ঘন্টা বাকি তখনি জানা যাবে। কাজ করতেছি এর মাঝে তসিবা ফোন করেছে। আমি ফোন কেটে বেক করেছি তসিবা ফোনটা রিসিব করে বলে।

তসিবা:- আচ্ছা সোনা বর আমরা কি আজকে এক সাথে কোনো রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করতে পারি?

আমি:- হ্যা কেনো নয়!

তসিবা:- তাহলে আমি রেডি হয়ে নেই আর একটা সি এন জি করে আপনার অফিসের সামনে চলে আসি!

আমি:- তুমি আসতে পারবে তো নাকী আমি গাড়ি পাঠাবো? তখনি মনে পরে গেলো আরে দুপুরবেলা তো আব্বার সাথে লাঞ্চ করার কথা। যদি তসিবা আসে তাহলে সব গন্ডগোল হয়ে যাবে। তসিবাকে বলি যে রাতে ডিনার করবো কোনো রেস্টুরেন্টে এখন জুরুরী কাজে অফিসের বাহিরে যেতে হবে। যেই কথা সেই কাজ তসিবা শুনো এখন তো আমার একটু মার্কেটে যেতে হবে অফিসের কাজে। আমরা ডাক্তারের কাছে রিপুট আনতে যাবো তখন একদম ডিনার করে ফিরবো কেমন বোকা বউ।

তসিবা:- ভালো কথা বলছেন! আচ্ছা তাহলে আমরা আজকে রাতে ডিনার বাহিরে করবো। এখন আমি এতক্ষন কথা বলে আমার আদর কোথায়?

আমি:- উম্মা উম্মা উম্মা এবার রাখো।

তসিবা:- উম্মা উম্মা উম্মা উম্মে, আমি সবসময় আপনার থেকে বেশি আদর আর ভালোবাসবো। এখন কাজ করেন রাখলাম কেমন উম্মা।

আমি:- ঠিক আছে! ফোন কেটে দিলাম! কিছু কাজ করে দুইটার দিকে আব্বাকে মেসেজ করেছি কোন রেস্টুরেন্টে আসবো। আব্বা মেসেজ করে রেস্টুরেন্টের নাম বলে দিয়েছে। আমি লাঞ্চ বাহিরে করবো বলে কিছুটা ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে পরেছি। আর মাত্র কিছুক্ষনের মধ্যে সব চিন্তা শেষ হবে। তসিবার যা হোক আমি ওকে নিয়ে সংসার করবো। বিয়ে তো একটাই করেছি আর করার কোনো ইচ্ছে নেই। বিশ মিনিটের মধ্য বাইক নিয়ে চলে এসেছি রেস্টুরেন্টের সামনে আব্বা দাঁড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে আব্বাকে সাথে নিয়ে ভিতরে গেছি। একদম কর্নারের একটা টেবিলে দুজনে বসেছি। আব্বা খাবারের অডার করেছে।

আব্বা:- সৌরভ শুন যে কারনে তোকে নিয়ে আজকে লাঞ্চ করা। কারনটা হলো তসিবার ব্যাপারে আর সেইটা সবচেয়ে মারাত্মকভাবে সমস্যা করবে।

আমি:- আব্বা আপনি বলেন আমি তসিবার সব সমস্যা মেনে সংসার করবো। আমি তসিবাকে আর কান্না করতে দিবোনা।

আব্বা:- তোর উপর আমার ভরসা আছে আমি তার জন্য তসিবার সাথে তোর বিয়েটা করিয়েছি। কথাটা হলো তসিবার নামে যে পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা আছে আসলে সেই টাকাটা এক প্রকার জ্বালিয়াতি করে তসিবার সৎমা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নিয়েছে।

আমি:- কি বলছেন কিন্তু কি করে? আর সেইটা তো তসিবার অনুমতি ছাড়া আর ওর বিশ বছরের আগে ব্যাংক দিবেনা।

আব্বা:- ব্যাংকিং কিছু নিয়ম আছে আর সবটা আমি জানিনা তবে তসিবার আব্বু যা বলছে সেইটা তোকে বলি। তসিবার বিয়ে আগে কিছুদিন তসিবার সৎ মা তসিবার সাথে ভালো ব্যাবহার করছে। তখনি তসিবাকে বুঝিয়ে বাঝিয়ে কিছু সাইন নিয়েছে।

আমি:- তসিবার আব্বা বাধা দেয়নি কেনো আর তসিবা না পরে সাইন করেছে কেনো?

আব্বা:- তসিবার সৎ মা তসিবাকে এতটাই আদর আর মহাব্বত করতে আরম্ভ করছে তখন তসিবা নিজের মায়ের মত বিশ্বাস করেছে। তখনি সাইন গুলি করেছে আর তসিবার আব্বাকে বলছে যদি বারা বারি করে তাহলে তসিবার বিয়ে হতে দিবেনা তাই তসিবার আব্বা চুপচাপ ছিলো। আচ্ছা সৌরভ তসিবার যে টাকা নেই এখন কি তসিবার প্রতি আগের মত ব্যাবহার করবি?

আমি:- আব্বা আপনি কি যে বলেন তসিবার টাকা আছে কি নাই সেইটা আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি বলছি তো তসিবাকে আর কোনো সময় কষ্ট পেতে দিবোনা। কিন্তু সমস্যা হয়ছে আম্মাকে নিয়ে এখন আম্মা যদি যানে তসিবার নামে কোনো টাকা জমা নেই তাহলে তো তসিবার সাথে কো রকম আচরন করবে আপনি চিন্তা করতে পারছেন?

আব্বা:- হ্যা আমি এখন ভয় পাচ্ছি তোর মাকে নিয়ে। তোর এখন তসিবাকে যে আদর আর যত্ন করছে এসব কি করে বেড় করবে তা চিন্তা করতে আমার ভয় পাচ্ছে।

আমি:- আচ্ছা আব্বা একটা কাজ করলে কেমন হবে!

আব্বা:- কি কাজ? (এর মাঝে খাবার সব টেবিলে চলে এসেছে)

আমি:- আমার কাছে সব মিলিয়ে লাখ তিনেক হবে এইটা টাকাটা যদি তসিবার আব্বার মাধ্যমে আম্মাকে দেয়। তাহলে তো আম্মা আর তসিবার প্রতি খারাপ আচরন করবেনা?

আব্বা:- আইডিয়াটা মন্দ নয় তবে তিন লাখে সন্তুষ্টি হবেনা মিনিমাম পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। আমার কাছে দুই লাখ টাকার মত আছে কিন্তু তোর আম্মা যানে টাকাটার ব্যাপারে।

আমি:- তাহলে এক কাজ করি আমার বাইকটা বিক্রি করে দিবো এইটা বিক্রি করলে এক লাখের মত পাবো বাকী এক লাখ টাকা অফিস থেকে অগ্রিম নেই।

আব্বা:- বাইক বিক্রি করলে তোর মা টাকার কথা জিগেস করবে তখন কি করবি?

আমি:- আম্মাকে বলবো বাইক চুরি হয়ে গেছে আরো কিছু মিথ্যা বানিয়ে বলে দিবো।

আব্বা:- ঠিক আছে! এখন খাবার খেয়ে নে।

আমি:- ঠিক আছে! বাপ বেটা মিলে খাবার খেলাম। খাবারের বিলটা আমি দিয়েছি খানা শেষে আব্বা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আমি অবাক হয়েছি। আব্বাকে ছেড়ে আমি বাইক নিয়ে চলে এসেছি। অফিসে এসে আবার কাজ করেছি আজকে আর বসকে কিছু বলিনি আগে দেখি বন্ধুদের কাছে পায় কিনা? কাজ শেষ করে মাগরিবের নামায পড়ে সন্ধার দিকে অফিস থেকে বেড়িয়ে পড়লাম। বাড়িতে এসে দেখি তসিবা আম্মা ভাবি টিভি দেখছে আর হাসতেছে। তসিবা তুমি রেডি আছো?

তসিবা:- হ্যা রেডি এখুনি বেড় হবেন?

আমি:- তুমি বসো আমি রুমে গিয়ে কাপড়টা চেন্জ করে আসছি।

তসিবা:- ঠিক আছে! তাড়াতাড়ি আসবেন।

আমি:- আচ্ছা! রুমে গিয়ে দশ মিনেটের মধ্যে রেডি হয়ে নিলাম। নিচে এসেছি আম্মাকে বলে তসিবাকে নিয়ে বেড়িয়ে পরেছি। তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে।

তসিবা:- বাইকে বসে আপনার সাথে ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

আমি:- তাই!

তসিবা:- হ্যা তাই! (তসিবার সাথে কথা বলতে বলতে হাসপাতে এসেছি কিছুক্ষনের মধ্যে রিপুট গুলি নিয়ে নিলাম। তসিবা আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখছে।)

আমি:- তসিবা সব কিছু নরমাল আসছে মনে হয় তুমি মা হতে পারবে।

তসিবা:- আপনার কথা যেনো সত্যি হয়। তবে যতক্ষণ ডাক্তারের মুখ থেকে না শুনবো ততক্ষণ শান্তি পাবোনা।

আমি:- ঠিক আছে চলো ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম। তসিবার রিপুট গুলি ডাক্তারের হাতে দিলাম। রিপুট গুলি দেখে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে।

ডাক্তার:- আপনার মা হতে কোনো বাধা নেই আপনি মা হতে পারবেন। আগে কোথায় চেকাপ করিয়েছেন?

আমি:- আসলে এই প্রথম চেকাপ করালাম ছোট বেলা ওর একটা অপারেশন হয়ছে তখন এক ডাক্তার বলছে ও নাকী মা হতে পারবেনা এইটা নিয়ে এত চিন্তায় ছিলো।

ডাক্তার:- আপনাদের বিয়ের বয়স কতদিন?

আমি:- সাত মাস দশদিন।

ডাক্তার:- আপনার বউয়ের কোনো সমস্যা নেই তাহলে এতদিন সন্তান হয়নি কেনো? (ডাক্তারের এমন প্রশ্নে আমি কিছুটা লজ্জা পায়ছি) লজ্জা পায়লে তো হবেনা আপনারো চেকাপ করা দরকার তানা হলে সন্তান হচ্ছেনা কেনো?

তসিবা:- আসলে আমরা এখনো কোনো রকম সন্তান নেওয়ার প্লানিং করিনি! মাত্র এক মাস হলো আমরা প্লানিং শুরু করেছি।

ডাক্তার:- বুঝতে পারছি! যেহেতু কোনো সমস্যা নেই সেহেতু কোনো প্রকার মেডিসিন দিলাম না। যদি কোনো রকম সমস্যা হয় অবশ্যই যোগাযোগ করবেন কেমন?

আমি:- হ্যা নিশ্চয়ই এখন তাহলে আমরা আসি। আমি উঠেছি তসিবা সাথে উঠেছে তসিবাকে একটু অন্য রকম খুশি লাগছে। তসিবার এই খুশিটা সত্যি বলে বুঝাতে পারবোনা। আমাকে জড়িয়ে ধরে হাসপাতাল থেকে বেড়িয়েছি। তসিবাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম।

তসিবা:- আজকে আমার পছন্দে আপনাকে খেতে হবে।

আমি:- তাহলে তো আমি আজ লাকী আমার বোকা বউটা কিছুটা চালাক হয়েছে।

তসিবা:- সব আপনার জন্য ধন্যবাদ আমার জীবনটাকে এতটা সুন্দর করে দেওয়ার জন্য। তসিবা উয়েটারকে মেনু কার্ড দেখে অডার করেছে কিছুক্ষণ পর যখন খাবার গুলি নিয়ে এলো তখন তো আমি পুরাই অবাক হয়ে গেলাম। কোনো মেয়ে মাত্র দুইবার রেস্টুরেন্টে এসে এমন ভাবে খাবার অডার করতে পারবেনা।

আমি:- তসিবা তুমি তো মাত্র আমার সাথে এখানে এসেছো তাহলে এই খাবার গুলি অডার করলে কি করে?

তসিবা:- মেনু কার্ডে সব লিখা আছে আমি দাগ দিয়ে দিয়েছি বাছ। কেনো খাবার গুলি ভালো হয়নি?

আমি:- হ্যা অনেক ভালো হয়ছে! আচ্ছা খাও তসিবা আমি মিলে ডিনার করেছি! দুজনে অনেক দুষ্টমি করে খাবার খেলাম। খাবার শেষে বিলটা দিয়ে দুজনে বেড়িয়ে এসেছি। আমি বাইকে বসেছি তখনি তসিবা বলে।

তসিবা:- এই যে একটু ঐদিকে তাকিয়ে দেখেন তো ঐটা রিপা না।

আমি:- কোন দিকে তখন তাকিয়ে দেখি রিপা।

তসিবা:- মনে হয় ছেলেটা রিপাকে ডিসট্রাব করছে। চলুন আমরা গিয়ে রিপাকে বাচায়।

আমি:- আরে ছেলেটা রিপার লাবার তুমি এসো।

তসিবা:- আচরনে মনে হচ্ছেনা। চলুন আমরা সামনে গিয়ে দেখি বলে তসিবা ঐ দিকে হাটা দিয়েছে আমি এগিয়ে গেছি তসিবার পিছু। কাছে গিয়ে দেখি সত্যি রিপাকে চেলাটা জোর করছে গাড়িতে উঠাতে কিন্তু রিপা উঠছেনা আমা তাকিয়ে দেখি গাড়ির ভিতরে আরো কিছু ছেলে আছে। তখন রিপা আমাকে দেখে দৌরে আমার কাছে চলে এসেছে।

রিপা:- সৌরভ প্লিজ আমাকে বাচাও। ও আমাকে জোর করে বলে কান্না করে দিয়েছে। তসিবা রিপার চোখের পানো মুছে দিতে লাগলো। তখন ছেলেটা গাড়িতে উঠে গেলো আর গাড়িটা চলে গেছে।

আমি:- কিন্তু রিপা ও তো তোমার লাভার। তোমার সাথে এমটা করতে চায়ছে কেনো?

রিপা:- আমার কাছে টাকা চায়ছে পঞ্চাশ হাজার আমি দিতে মানা করেছি। তাই ওর বন্ধুদের সাথে মিলে আমার সাথে খারাপ কিছু করে ভিডিও করতে চায়ছে। আর সেই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে টাকা নিবে প্রতি মাসেসে মাসে।

তসিবা:- কিন্তু তুমি জানলে কি করে?

রিপা:- ওর আগের এক্স গ্রালফ্রেন্ড বলছে একটু আগে আমাকে ফোন করে। সৌরভ তসিবা তোমাদের অনেক ধন্যবাদ আমাকে একটু বাড়িতে পৌছে দিবে?

তসিবা:- হ্যা চলো! আমি বাইক চালাচ্ছি তসিবা আমার পেছনে এর পেছনে রিপা। আমাদের দুজনের মাথায় হ্যামলেটে আছে কিন্তু রিপার মাথায় নেই। আর তাছাড়া বাইকে তিনজন দেখলে মামারা তো পেয়ে যাবে। যেইটা ভাবছি সেইটা হয়ছে তবে এই মামাটা কিছুটা ভালো কিছুটা বুঝাতে ছেড়ে দিয়েছে। কিছুক্ষনের মধ্যে রিপার বাসার সামনে এসেছি।

আমি:- রিপা তোমার বাসায় চলে এসেছি তুমি এবার নামো।

রিপা:- তসিবা তুমি অনেক ভাগ্যবান সৌরভের মত একটা ছেলেকে বর হিসাবে পেয়েছো। সৌরভ তসিবাকে কষ্ট দিওনা তসিবা তোমাকে খুব ভালোবাসে। আচ্ছা তোমার ভালো থেকো আর সৌরভ আমাকে ক্ষমা করে দিও কেমন?

আমি:- হ্যা কবে ক্ষমা করে দিয়েছি তুমি ভালো থেকো আমরা গেলাম। তসিবা এসো তসিবা বাইকে বসেছে আমাকে জড়িয়ে ধরে। রিপা তাকিয়ে আছে আমরা চলে এসেছি।

তসিবা:- এখন থেকে অফিসে যাওয়ার সময় কপালে কালো টিপ লাগিয়ে দিবো কেমন।

আমি:- কেনো?

তসিবা:- যাতে আমার বরটার দিকে কারো নজর না লাগে।

আমি:- বোকা বউ কারো নজর লাগবেনা কারন তোমার আমার জুটি এইটা সারাজীবনের।

তসিবা:- তা ঠিক বলছেন।

আমি:- তসিবা চলে এসেছি তুমি গিয়ে কলিং বেল বাজাও আমি আসছি!

তসিবা:- নাহ দুজনে এক সাথে যাবো।

আমি:- ঠিক আছে তুমি দ্বাড়াও আমি বাইকটা রেখে আসছি। তসিবা নেমে দাঁড়িয়েছে আমি বাইকটা পার্কিং করতে গেলাম। দেখি একটা নতুন গাড়ি বাড়িতে কে এসেছে মনে হয় ভাবির বাপের বাড়ি থেকে ওনার বাবা মা এসেছে। আমি বাইক রেখে এসে তসিবাকে সাথে নিয়ে কলিং বেল চাপ দিয়েছি।

তসিবা:- সবাইকেকে বলবো আমি মা হতে পারবো?

আমি:- হ্যা বলো? তখনি ভাবি এসে দরজাটা খুলে দিয়েছে। আমি আর তসিবা দুজনে ভিতরে ঢুকেছি চেয়ে দেখি আম্মা অনেক রেগে আছে। আর আব্বার সাথে খুব রাগা রাগি করছে আমি আব্বার দিকে তাকিয়েছি আব্বা বুঝাচ্ছে আম্মা টাকার ব্যাপারটা যেনে গেছে তখনি একজন বলে।

তসিবা তোমার সূখের সংসার কেমন চলছে? আমি তাকিয়ে দেখি তসিবার সৎ মা ঠিক তখনি! To be continue,,,
!!
কিছু কথা:- প্লিজ আপনারা যারা আমার গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা সবাই নিচে লিংক দেওয়া পেইজে লাইক ফলো করে পাশে থাকেন প্লিজ। https://www.facebook.com/AL_Mohammad_Sourav-106204954079722/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে