গল্প:-নব_দম্পতি পর্ব:-(১৩)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
বাড়ির ভিতরে ঢুকে আমি চারদিকে চোখ ভুলিয়ে দেখতেছি। অনেক বড় বড় করে আমার ছবি দেওয়ালে টানিয়ে রাখছে। আমি কিছু জিজ্ঞেস করবো তখনি মহিলা বলে!
মহিলা:- সৌরভ তুমি তো কফি খেতে পছন্দ করো তাইনা? তুমি একটু বসো আমি কফি বানিয়ে আনতেছি।
আমি:- আচ্ছা আপনি কে? আমাকে চিনেন কি করে? আমার পছন্দ যানেন কি করে? আমি তসিবার জন্য এখানে এসেছি তসিবা কোথায়? (এক সাথে অনেক গুলি প্রশ্ন করে বসেছি)
মহিলা:- কথা আস্তে বলো! আর তোমার কোন প্রশ্নের উত্তর আগে চাই বলো?
আমি:- শুধু তসিবা কোথায় সেইটা বলেন আমার আর কোনো কিছু জানার দরকার নেই।
মহিলা:- তুমি বসো আমি কফি নিয়ে আসতেছি।
আমি:- আমার কিছু লাগবেনা প্লিজ আপনি বলেন তসিবা কোথায়?
মহিলা:- তসিবা আছে তবে একটু কাজে বেড় হয়ছে। তুমি বসো আমি কফি নিয়ে আসি।
আমি:- আপনি তসিবার কি হন? তখনি একজন বলে। (ওনি আমার মা হয়) আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি তসিবা। তবে তসিবা কপালে বেন্ডিজ করা।
তসিবা:- আপনি এখানে এসেছেন কি করে? আপনাকে এই বাড়ির ঠিকানা কে দিয়েছে।
তসিবার মা:- আমি দিয়েছি! তখনি চেয়ে দেখি আমার আব্বা ভিতরে ঢুকে আর বলছে।
আব্বা:- মা তসিবা এই ঔষধ গুলি নিয়মিত খেতে বলছে। (আব্বা আমাকে দেখে চমকে গেছে) সৌরভ তুই এখানে?
আমি:- আপনি এখানে কেনো?
তসিবা:- আব্বা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।
আমি:- তসিবা তুমি আমাকে না জানিয়ে চলে এসেছো কেনো? আর তোমার কপালে বেন্ডিজ কেনো?
তসিবা:- আমার কপালে বেন্ডিজ সেইটা থাকবে। তবে আপনার মা আর ভাবি দুজনে মিলে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আর বলছে আমি যেনো কোনো দিন আপনার সাথে যোগাযোগ না করি।
আমি:- তাই বলে তুমি আমাকে না বলে চলে আসবে?
তসিবা:- আপনাকে বলতে যাবো কেনো আপনি তো আমার সাথে কথা বলতে চাননা। আপনাকে কি একটা থাপ্পড় দিয়েছি তার জন্য আপনি আমাকে থাপ্পড় দিয়েছেন। আজকে আপনার মা আমাকে বেড় করে দিয়েছে এতে আমার লাভ হয়ছে আমি আমার মাকে পেয়েছি। আব্বা আমাকে এখানে এনে আমার মায়ের সাথে দেখা করিয়ে দিয়েছে।
আব্বা:- সৌরভ শুন তসিবার বাবা মায়ের যোহাযোগ আছে কিন্তু তসিবা জানতে পারেনি। তসিবার বাবা মা আমার বন্ধু ছিলো আমরা এক সাথে পড়া শুনা করেছি। যখন তসিবার বিয়ের সময় হলো তখন আমরা তিন জন মিরে সিদ্যান্ত নেই তোর সাথে তসিবার বিয়ে দিবো।
আমি:- যদি ওনারা ভালোবেসে বিয়ে করে থাকে তাহলে আলাদা হলো কেনো?
তসিবার মা:- সৌরভ আমি বলছি সেইটা আমার শ্বাশুমার লোভের জন্য। তবে তসিবার বাবার সাথে আমার ছোট ছোট ঝগড়া এক সময় বড় হয়ে দ্বাড়ায়। আমাদের বিশ্বাসের যায়গা সন্দেহ তৈরি হয়ে যায় তখনি আমি চলে আসি এখানে।
আমি:- কিন্তু আপনি আমার ছবি পেয়েছেন কোথায়?
আব্বা:- আমি দিয়েছি তোর আর তসিবার বিয়ের ছবি। সৌরভ তুই কি তসিবাকে ভালোবাসিস?
আমি:- আব্বা আমি অনেক ভালোবাসি তসিবাকে।
তসিবা:- আমি এখন আপনাকে ভালোবাসিনা।
আমি:- ঠিক আছে ভালোবাসতে হবেনা কুল বালিশ হলে হবে।
তসিবার মা:- সৌরভ তুমি তসিবাকে এখন নিয়ে যেয়োনা। তোমার মায়ের মনে এখন অনেক টাকার লোভ আছে আগে সেইটা শেষ করো।
আমি:- ঐটা আমি বুঝবো আগে তসিবাকে নিয়ে যাবো।
আব্বা:- সৌরভ আগে তোর আম্মাকে একটু ভয় দেখা তারপর তসিবাকে নিয়ে যাস।
তসিবা:- অনেকদিন পর আমার মাকে পেয়েছি আমি মায়ের কাছে থাকি।
আমি:- ঠিক আছে আমিও থাকবো। তসিবা আমি মিলে অনেক গল্প করেছি ওর মায়ের সাথে। দুই দিন ভালোই গেছে তসিবা আমাকে অনেক ভালোবাসে আর আমিও আমাদের মাঝে এখন আর ঝগড়া হয়না। তসিবা আমাদের দুইটা ছেলে মেয়ে হবে প্রথম মেয়ে এর পর ছেলে কেমন? (তসিবা চেহারাটা কালো করে নিয়েছে)
তসিবা:- আমাকে কখনো ছেড়ে যাবেন না তো?
আমি:- কোনো দিন না বলে তসিবাকে জড়িয়ে ধরেছি। তসিবা আমি খুব ভালো করে সময় কাটাচ্ছি আজ তসিবাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে যাবো। কিন্তু আম্মা কি রিয়াক্ট করে সেইটা দেখার বিষয়। তসিবাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেরুলাম। ঘন্টা দুইয়েক পর বাড়িতে এসেছি।
তসিবা:- আমার খুব ভয় করছে! আপনার মা ভাবি যদি আমাকে আবার অত্যাচার করে?
আমি:- দূর বোকা আমি আছি তো। কলিং বেল চাপ দিয়েছি তসিবা আমার পেছনে লুকিয়ে গেছে। আম্মা এসে দরজাটা খুলে দিয়েছে আমাকে দেখে অনেক খুশি হয়েছে।
আম্মা:- সৌরভ ঠিক টাইমে এসেছিস।
আমি:- কেনো?
আম্মা:- আয় ভিতরে আয় আম্মা আমার হাত ধরে ভিতরে আনবে তখনি তসিবাকে দেখছে। সৌরভ তুই তসিবাকে কেনো নিয়ে এসেছিস?
আমি:- আমার বউ আমি আনবো সেইটা আপনাকে বলতে যাবো কেনো?
আম্মা:- তসিবাকে ছাড় তোকে দেখার জন্য রিপার বাবা মা দুজনে এসেছে। আয় আমার সাথে বলে রিপার বাবা মায়ের কাছে নিয়ে গেছে। কাছে গিয়ে দেখি রিপা এসেছে।
রিপা:- হাই সৌরভ কেমন আছো বলে আমাকে জড়িয়ে ধরতে চায়ছে কিন্তু আমি তসিবাকে সামনে নিয়ে এসেছি।
রিপা মা:- বেয়ান আপনার বোনের মেয়ে এখনো যায়নি?
আমি:- ওর নাম তসিবা আমার বিবাহিত বউ। আপনার মেয়ে রিপাকে তো আমি বলে দিয়েছি তাও এখানে কেনো এসেছেন?
রিপার বাবা:- কি বলছে বেয়ান কথা কি সত্যি?
আমি:- সব সত্যি আর এখুনি এই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাবেন। যদি না যান তাহলে ঘার ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিবো। আপনার মেয়ে একটা লোভি আগে ওকে ঠিক করেন।
আম্মা:- সৌরভ তুই কি বলছিস?
আমি:- আম্মা আমি ঠিকই বলছি! হয় তসিবাকে এই বাড়ির বউ হিসাবে মেনে নিবেন না হয় আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো। এবার বলেন আপনি কোনটা করবেন?
আম্মা:- তসিবাকে বউ হিসাবে মেনে নিলে কি হবে তসিবা তো কোনো দিন মা হতে পারবেনা।
আমি:- কি যাতা বলছেন আপনি ছিঃ কেনো তসিবার নামে এমন কথা বলছেন?
আম্মা:- আমাকে কিছু বলার আগে তসিবাকে জিজ্ঞেস কর আমি সত্যি নাকী মিথ্যা বলছি।
আমি:- তসিবা আম্মা কি বলছে? তসিবা চুপ করে আছে কোনো উত্তর দিচ্ছেনা! কি হলো আম্মা যা বলছে তা কি ঠিক বলছে? তখনি তসিবা কান্না করে দিয়েছে আর আমার হাতটা ছেড়ে দিয়েছে। আচ্ছা আম্মা আপনাকে কে বলছে তখনি আম্মা এমন একটা মমানুষের নাম বলছে শুনে আমি তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি।To be continue,,,,
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???
https://www.facebook.com/shohrab.ampp