গল্প:-নব_দম্পতি পর্ব:-(১২)ওU
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
তোর স্বামীকে জ্বালানো শেষ হয়ছে নাকী আরো জ্বালাবি? এমনিতেই তোর স্বামী তোকে একটু বেশি ভালোবেসে ফেলছে। অনেক হয়ছে অভিনয় এবার সৌরভকে বলে দে সব কিছু। (তখনি আমি বলি)
আপনি কে আর কাকে ফোন করেছেন? (ঐপাশ থেকে বলছে! এইটা তসিবার মোবাইল আমি তসিবাকে ফোন করেছি আপনি কে?) আমি সৌরভ তসিবার বর।
এইরে সব কিছু গন্ডগোল হয়ে গেছে! আচ্ছা তসিবা কোথায়? তসিবা কি সব বলে দিয়েছে?
আমি:- কি বলবে তসিবা? আর আপনি কে?
আমার নাম তিশা তসিবার একমাত্র বান্ধবী। তসিবা আপনাকে সব বলে দিয়েছে?
আমি:- কি বলবে তসিবা আর আপনার নাম যদি তসিবা হয় তাহলে এখানে সাহেদ নামে আপনার নাম্বার সেইব রাখছে কেনো?
তিশা:- আসলে সাহেদ আমার স্বামী! তসিবা আমার সাথে আপনার ব্যাপারে সব সেয়ার করছে। তখন আমি সাহেদ মিলে তসিবাকে বলছি আপনার সামনে সাহেদের সাথে মিথ্যা ভালোবাসার নাটক করতে। আপনার আর রিপার Engagement এর দিন থেকে সাহেদ তসিবার সাথে অভিনয় শুরু করছে। তসিবা বলছে আপনি নাকী সাহেদের নামটা একদম সহ্য করতে পারতেন না। তসিবা আপনার সামনে ইচ্ছে করে মোবাইল কানে লাগিয়ে শুধু শুধু কথা বলত। তসিবা আপনাকে খুব ভালোবাসে প্লিজ আপনি তসিবাকে বউ হিসাবে মেনে নেন।
আমি:- বউ হিসাবে মেনে নিবো কিন্তু তসিবা এখন কোথায়?
তিশা:- মানে তসিবা তো আপনার কাছে আর আপনাদের বাড়িতে থাকার কথা। আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেনো তসিবা কোথায়?
আমি:- তসিবা এখানে নেই আর তসিবা আপনার স্বামীর সাথে ভাগছে।
তিশা:- কি বলেন আমার স্বামী সাহেদ তো আমার পাশে বসে আছে। আপনার কোখাও ভুল হচ্ছে তসিবা আমাকে ফোন করে বলছে আপনাকে সব বলে দিবে আর আপনার সাখে সংসার করবে।
আমি:- কি বলছেন আপনি? আচ্ছা তসিবা কোথায় যেতে পারে আপনি বলতে পারেন?
তিশা:- আমার জানা মতে তসিবার যাওয়ার মত কোনো যায়গা এই শহরে কোথাও নেই। তবে মনে হয় ওর নিজের বাড়িতে একটু খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে! আর তসিবা যদি আপনার কাছে যাই তাহলে আমাকে জানাবেন প্লিজ। ফোনটা কেটে কিছুটা চিন্তা করতে আরম্ভ করেছি হঠাত মনে পড়েছে এই লিখা গুলি তসিবার হাতের নয়। আমি তাড়া তাড়ি করে নিচে গেলাম দেখি আম্মা ভাবি দুজনে বসে হাসা হাসি করছে আর ভাবি বলছে।
ভাবি:- আম্মা আপনার জবাব নেই সৌরভকে কি সুন্দর মিথ্যা বানিয়ে বলছেন। আর সৌরভ বোকা কত ভালো একটা মেয়ে তসিবা ওকে কি পরিমান কষ্ট দিয়েছে।
আম্মা:- রিপাকে বিয়ে করিয়ে আনতে পারলে অনেক কিছু পাবো। নগদ দুই লক্ষ টাকা সাথে ফ্রিজ আসবাপত্র সহ নানা জিনিস পত্র পাবো।
ভাবি:- তসিবাকে বিয়ে করিয়ে এনে আপনি কিছুই পাননি বরং এত দিন বসে বসে খেয়ে গেছে।
আম্মা:- রিপার বাবাকে আগে সব বলে দিয়েছি। সৌরভের সাথে রিপার বিয়েটা ভালোই ভালোই হলেই সারে। আমার টাকা পেলে আর কিছুই প্রয়োজন হয়না। বড় বউ সৌরভ যাতে এসবের কিছুই জানতে না পারে।
আমি:- জানতে পারবেনা মানে সব যেনে গেছি। ছিঃ আম্মা আপনি এমন ভাবতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে। তসিবার সাথে এমনটা করতে আপনার একটু বিবেকে বাধা দেয়নি?
আম্মা:- না দেয়নি এতিম মেয়েকে বিয়ে করিয়ে এনে আমার কোনো লাভ হয়নি বরং লছ হয়ছে। শুন সৌরভ তসিবাকে ডির্ভোস দিয়ে রিপাকে বিয়ে করে নে এতে আমাদের সবার লাভ হবে।
আমি:- রিপাকে বিয়ে করবো আমি? আম্মা আমি রিপার সব প্লান যেনে গেছি আমি রিপাকে জীবনেও বিয়ে করবোনা। আমি রিপার কাছ থেকে আংটি খুলে নিয়ে এসেছি। এই যে দেখেন রিপার আংটিটা।
আম্মা:- সৌরভ তুই এইটা কি করলি? বড় বউ আমাকে ধরো আমার দুই লক্ষ টাকা আসবাপত্র সহ সব গেছে। (ভাবি আম্মাকে ধরেছে)
আমি:- শুনো আম্মা আমি তসিবাকে খুঁজে বেড় করে আনবো। তসিবা যেখানে থাকুক ওকে খুঁজে বেড় করে তসিবাকে এই বাড়িতে নিয়ে আসবো। এরপর যদি তসিবার সাথে খারাপ আচরন করো তাহলে তোমার সোনার ডিম পাড়া হাঁসটা সারা জীবনের জন্য হারাবে। কারন আমি তসিবাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো দূরে অনকে দূরে।
আম্মা:- সেইটা আমি দেখে নিবো আর তসিবাকে তুই কোথাও খুঁজে পাবিনা।
আমি:- মানে তসিবার সাথে তোমরা কি করেছো?
আম্মা:- আমরা কি করবো তসিবা তো ভাগছে তার নাগরের সাথে। আমি যা বলি তা কর রিপাকে বিয়ে করে নে দেখবি আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমি:- আপনার স্বপ্নটা স্বপ্ন রয়ে যাবে। ভাবি তসিবাকে যদি না পায় তাহলে তোমাদের সবার নামে থানায় মামলা করবো। (ভাবি থানায় মামলার কথা শুনে ভয় পেয়ে গেছে)
ভাবি:- সৌরভ আমি কিছু জানিনা তসিবা যাওয়ার সময় আমাকে বলছে ওর আপন মানুষের কাছে যাচ্ছে।
আমি:- আপন মানুষটা আবার কোথা থেকে এলো?
ভাবি:- আমি জানি প্লিজ তুমি থানায় মামলা করোনা।
আমি:- তসিবাকে না পেলে তোমার নামে ঠিকই মামলা করবো। মনটা খারাপ করে বেড়িয়ে পড়েছি কোথায় খোঁজবো তসিবাকে? তিশার নাম্বারে ফোন করেছি রিং হতেই রিসিব করেছে। আচ্ছা তিশা তসিবার আপন মানুষটা কে?
তিশা:- আমি জানিনা।
আমি:- ঠিক আছে! ফোনটা কাটছি তখনি মোবাইলে একটা মেসেজ এসেছে। সৌরভ তসিবার খোঁজ করতেছো? যদি তসিবাকে পেতে চান তাহলে এখুনি বনানী ১২/০০ বাড়িতে চলে আসেন। তবে তাড়া তাড়ি আসবেন আর একা আসবেন। আমি গাড়িটা নিয়ে ঐ বাড়িতে রওনা দিলাম নাম্বারে বার বার ফোন করতেছি কিন্তু বন্ধ বলছে ঘন্টা দুইয়েক পর বাড়িতে গেলাম। কলিং বেল চাপ দিয়েছি আর বুকের হার্টবিট বেরে যাচ্ছে কিছুক্ষণ পর এসে একজন মহিলা দরজাটা খুলে দিয়েছে। আমাকে দেখে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে।
মহিলা:- সৌরভ ভিতরে এসো আর এতটা চিন্তিত মনে হচ্ছে কেনো? (আমি আরে এই মিহলা আমাকে চিনে কি করে আর আমার নাম জানে কি করে যখনি বাড়ির ভিতরে ঢুকেছি আমি চার দিকে তাকিয়ে তো পুরায় অবাক হয়ে গেছি আমার ছবি দিয়ে এমন সুন্দর করে দেওয়ালে টানিয়ে রাখছে কেনো? To be continue,,,