গল্প:- নব_দম্পতি পর্ব:-(০৬)

0
1072

গল্প:- নব_দম্পতি পর্ব:-(০৬)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
সৌরভ তুমি তো চেয়েছিলে আমাদের বিয়েটা হয়ে যাক! এখন তোমার মনের আশা পুরুণ হবে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের বিয়েটা হচ্ছে। মাত্র তো তিন মাস দেখতে দেখতে চলে যাবে বাকী দিন গুলি। কি হলো তুমি কোনো কথা বলছনা কেনো?(রিপা)

আমি:- তুমি তো সব বলতেছো আমি শুনতেছি। আচ্ছা রিপা তুমি বসো আমি একটু ফ্রেশ হয়ে আসি! আমার অনেকটা ক্লান্ত লাগছে।

রিপা:- ঠিক আছে চলো আমি তোমার সাথে যাবো আর তোমার রুমটা দেখে নিবো এই সুযোগে।(কাম সারছে রিপাকে রুমে নিয়ে গেলে তো সব ঘুমোড় ফাশ হয়ে যাবে যেই করে হক রিপাকে রুমে যাওয়া থেকে আটকাতে হবে)

আমি:- তুমি রুমে গিয়ে করবে? তুমি বরং আম্মুর সাথে বসে গল্প করো আমি এখুনি ফ্রেশ হয়ে চলে আসবো।

রিপা:- নাহ আমি তোমার রুমে যাবো চলোনা চলো প্লিজ।

আমি:- বলছি তো রুমে যেতে হবেনা (দমক দিয়ে কথাটা বলছি রিপা আমার হাতটা ছেড়ে দিয়েছে! কিছুটা ভয় পাইছে মনে হচ্ছে।)

আম্মু:- সৌরভ কি হয়ছে রিপাকে এত জুড়ে দমক দিলি কেনো?

আমি:- সরি রিপা আসলে রুমটা গুচানো না তাই বলছি কি আজ নয় আরেকদিন তুমি আসলে নিয়ে যাবো।

রিপা:- অগুচালো থাকলে তো ভালো আমি গুচিয়ে দিবো! চলো সৌরভ আমার অনেক দিনের ইচ্ছে তোমার রুমটা দেখবো। বলে রিপা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতেছে উপরে। (আমি মনে মনে আল্লাহকে ডাকছি ঠিক তখনি আব্বু এসেছে বাড়ীতে আর আমাকে বলে,,,)

আব্বু:- সৌরভ তুই আজকে চলে এসেছিস তোর তো আগামীকাল আসার কথা ছিলো? ঐ তুই আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দে বলছি?

আমি:- রিপা হাতটা ছাড়ো আব্বু দেখছে ওনি অনেক রাগি মানুষ। তখনি রিপা আমার হাতটা ছেড়ে দিয়েছে। আব্বা তসিবা তো চলে আসছে তাই আমি থাকিনাই আমিও চলে এসেছি।

আব্বা:- ঐ তোর সাথে এই মেয়েটা কেরে তসিবা কোথায়?

আমি:- তসিবা তো রুমে গেছে ওর নাম রিপা। তখনি রিপা গিয়ে আব্বাকে পা ছুয়ে সালাম করছে।

আব্বা:- আরে তুমি কে আর আমাকে কেনো সালাম করছো?

রিপা:- আমি সৌরভের হুব স্ত্রী তবে আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসি। আমাকে দুআ করেন যাতে করে আমি আপনার ছেলের সাথে সুন্দর ভাবে সংসার করতে পারি।

আব্বা:- তোমাকে এই বাড়ীতে ঢুকতে কে দিয়েছে? (তখনি রিপার বাবা মা আর রিপা কিছুটা থমকে গেছে। আর ঠিক তখনি আম্মা বলে,,,)

আম্মা:- কি হয়ছে এত কথা বলছো কেনো? রিপাকে আমি বউ হিসাবে মেনে নিতেছি রিপার পরীক্ষার পর সৌরভের সাথে বিয়ে দিবো। তুমি অফিস থেকে এসেছো এখন ক্লান্ত আছো রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।

রিপার বাবা:- আচ্ছা বিয়ান সাহেবা আমরা তাহলে আজকের মত যাই সামনে সাপ্তাহ শুক্রবারে রিপার আর সৌরভের Engagement এর রিং বদল করা হবে কেমন!

আম্মা:- যা ভালো মনে করেন এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মা রিপা তোমার যখন ইচ্ছে হবে তখন সৌরভের কাছে চলে আসবে কেমন।

রিপা:- ঠিক আছে আম্মাজান বলে আম্মাকে রিপা সালাম করে দিয়েছে। আম্মা রিপাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে আর কপালে চুমু দিয়ে আদর করে দিয়েছে। সৌরভ তাহলে আজকে যাই আগামীকাল আবার আসবো কেমন?

আমি:- বাড়ীতে আসতে হবেনা তুমি ফোন করো আমি নিজেই তোমার কাছে চলে আসবো। রিপা অনেক খুশি হয়েছে ওরা বেরিয়ে গেছে আমি রুমে এসেছি দেখি তসিবা কান্না করতেছে। আমি গিয়ে ওর পাশে বসেছি ওর দিকে হাতটা বাড়িয়েও আর বাড়াইনি।

তসিবা:- আজকাল আমাকে স্পর্শ করতেও কি মানা করছে নাকী আপনার গ্রালফ্রেন্ড রিপা।

আমি:- ঠিক তানা আমি বুঝতে পারছি তোমার মনে এখন কি ভয়ে যাচ্ছে কিন্তু কি করবো বলো রিপাকে তো আমি তোমার আগে থেকে ভালোবাসি।

তসিবা:- থাক আর কোনো ওজুহাত দেখাতে হবেনা! বুঝেছি আমার জীবনটা আমাকে সাজাতে হবে কারো উপর নির্বর করাটা আমার বোকামি হচ্ছে। সমস্যা নেই যদি আমার সৎ মা আমাকে মেয়ে হিসাবে নাও মানে তাও আপনার কাছে থাকবোনা। আপনি চিন্তা করবেন না আমি চলে যাবো আপনাদের বিয়ের আগেই।

আমি:- তোমার যা ভালো মনে হয় করো। কিন্তু কোথায় যাবে শুনি?

তসিবা:- পৃথিবীটা অনেক বড় কোথাও না কোথাও আমার মত একটা অসহায় মেয়ের যায়গা হয়ে যাবে। আর যদি কোথায় যায়গা নাও হয় তাও আপনাদের মাঝে কাবাব মে হাড্ডি হতে আসবোনা। আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা আমি তো বোবা আর বোবারা কোনো কিছু বলতে পারেনা।

আমি:- আচ্ছা আমি তো কথা দিয়েছি তোমার মা তোমাকে মেয়ে হিসাবে মেনে নিবে! এখন কান্না থামাও আর তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হয়না।

তসিবা:- থাক আর মিথ্যা মায়া দেখাতে হবেনা! এমনিতেই আমার জন্য অনেক করেছেন আর কিছু করতে হবেনা। তসিবা কথাটা বলে রুম থেকে বেড়িয়ে গেছে। আমি কাপড় চেইন্জ করে রুমে থেকে বের হয়ে নিছে গেছি। সবাই বসে গল্প করতেছে আর তসিবা টিভি দেখছে।

আমি:- আম্মা আমার রাতে ফিরতে একটু দেরি হবে। কিছু জুরুরী কাজ আছে শেষ করে ফিরবো।

আম্মা:- ঠিক আছে! (তখনি তসিবা উঠে দাঁড়িয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে। মনে হচ্ছে কিছু বলবে কিন্তু সবাই তো জানে তসিবা কথা বলতে পারেনা তাই এখন কথাও বলতেছেনা)

আমি:- তসিবা তুমি কি বলবে? তখনি তসিবা মাথা নাড়িয়ে না সূচক বলছে আমি রাগ করে চলে এসেছি। আমি বাহিরে এসে বাইকটা নিয়ে বেরুলাম আজ মনটা খুব খারাপ লাগছে। অফিসে ঢুকেছি সবাই আমাকে দেখে অভাক আমি সবাই সাথে হাই হ্যালো করে নিজের ডেক্সটপে বসেছি। কাজ করতেছি আর মোবাইলটা বার বার দেখতেছি নাহ তসিবা তো ফোন করছেনা তখনি মনে হলো আরে আম্মা তো তসিবার মোবাইলটা ভেঙে ফেলছে। কাজ গুলি শেষ করেছি রাত দশটা বাজে। অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা শোরুমে গিয়ে তসিবার জন্য একটা মোবাইল কিনে নিয়েছি। তসিবাকে একটা সারপ্রাইজ দিবো রাত এগারোটার দিকে বাড়ীতে গেছি কলিং বেল বাজাতেই তসিবা এসে দরজাটা খুলে দিয়েছে। আমি মোবাইলটা বের করতে যাবো তখনি আম্মা বলে,,,

আম্মা:- সৌরভ এসেছিস নাকী রে?

আমি:- হ্যা আম্মা এসেছি ভিতরে ঢুকেছি দেখি আম্মা সুফায় বসে আছে।

আম্মা:- তসিবা তুমি রুমে যাও আমি সৌরভকে খাবারটা বেরে দিতেছি! আর শুনো আগামীকাল সকাল থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বে। আর ফজরের সময় আমাকে নামাযের জন্য দরজায় নক করবে কেমন? (তসিবা মাথাটা নাড়িয়ে হ্যা বলেছে তসিবা মনটা খারাপ করে চলে গেছে)

আমি:- তসিবা তুমি খাবার খেয়েছো? (তখনি আম্মা বলে)

আম্মা:- সেই কখন খেয়েছে। এখন কার মেয়েরা স্বামীর জন্য অপেক্ষা করবে? ওরা তো চিন্তা করে নিজেরটাই। (তসিবার দিকে চেয়ে দেখি তসিবার মুখ সুকিয়ে আছে)

আমি:- তসিবা তুমি খাবারটা বেরে দাও আম্মা আপনি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দিন দিন আপনার শরীর একদম খারাপ হয়ে যাচ্ছে। (আম্মার কানের কাছে গিয়ে বলি! তসিবাকে একটু কষ্ট দিতে দেন এত আরাম করতে কেনো বলছেন তাহলে তো এই বাড়ী থেকে যেতে চাইবেনা?)

আম্মা:- হ্যা কথাটা তো মন্দ বলিসনি। তসিবা তুমি সৌরভকে খাবার বেরে দাও আর খাবার শেষ হলে সব কিছু গুচিয়ে পরিস্কার করে রেখে দিবে। (তসিবা মাথাটা নাড়িয়েছে আম্মা একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেছে। যখনি দেখছি আম্মা চলে গেছে তখনি আমি বলি।

আমি:- তসিবা বসো খাবার খাবে। (তসিবা ইশারা করছে খাবেনা) এখানে এখন কেও নেই মুখে বলতে পারো। তুমি খেতে বসবে নাকী আমি উঠে যাবো? যখনি আমি খাবার টেবিল থেকে উঠে যেতে ছিলাম তখনি তসিবা বলে,,,)

তসিবা:- বসেন প্লিজ আমি খেতে বসতেছি।

আমি:- হ্যা বসো! তসিবা বসেছে আমি দেখি তসিবা ওর বা হাতটা লুকিয়ে রাখছে পানি খাওয়ার জন্য ডান হাতটা ব্যাবহার করছে। তসিবা তোমার বায়ে হাতে কি হয়ছে?

তসিবা:- কিছুনা!

আমি:- দেখি কিন্তু তসিবা দেখাচ্ছেনা আমি জোর করে দেখছি চেয়ে দেখি হাতের আঙুল কাটা। কেমনে হয়ছে?

তসিবা:- ঐ তেমন কিছুনা তরকারী কুটা কাটি করতে গিয়ে। বাড়ীর কাজের মেয়ের এইটা তো কমন ব্যাপার তাইনা।

আমি:- দাও আমি তোমাকে খায়িয়ে দিতেছি! তসিবা বাধা দিয়েছে কিন্তু আমি জোর করে ওকে খায়িয়ে দিয়েছি। দুজনের খাবার শেষ হয়ছে! তসিবা তুমি বসো আমি সব পরিস্কার করতেছি এক এক করে সব পরিস্কার করেছি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সব পরিস্কার করে দিয়েছি তসিবা চলো এবার রুমে যাই অনেক ঘুম পাচ্ছে।

তসিবা:- আপনি আম্মাকে কেনো পাঠিয়ে দিয়েছেন আমি বুঝতে পারছি।

আমি:- কি বুঝতে পারছো?

তসিবা:- ঐ আমি খায়নি তাই আমাকে খায়িয়ে দিবেন বলে। আচ্ছা আপনি বুঝলেন কি করে আমি যে খাবার খায়নি?

আমি:- তোমার মুখের দিকে তাকালে বলে দিতে পারি! আচ্ছা এখন রুমে চলো?

তসিবা:- আমাকে কুলে তুলে রুমে নিয়ে যাবেন আমার না অনেক ইচ্ছা ছিলো আমার বর রোজ আমাকে কুলে উঠাবে!

আমি:- এখন এত গুলা কাজ করেছি আবার তোমাকে কুলে নিবো?

তসিবা:- প্লিজ!

আমি:- ঠিক আছে আসো! তসিবা ওনেক খুশি হয়েছে আমি তসিবাকে কুলে নিতেই তসিবা আমার গালে চুমু দিয়েছে। তসিবা সত্যি তুমি অনেক ভালো আর তোমার মত বউ যে ছেলে পাবে সে অনেক ভাগ্যবান হবে।

তসিবা:- তাহলে আমাকে সারা জীবন আপনার কাছে রেখে দেন! আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসবো অনেক সূখে রাখবো।

আমি:- কিন্তু তুি রিপার মত আমাকে সূখ দিতে পারবেনা! রুমে এসেছি তুমি নামো তসিবাকে নামিয়ে দিয়েছে আমি গিয়ে মলম আর তসিবার ঔষধ নিয়ে এসেছি। তসিবা মন খারাপ করে বসে আছে আমি ওর পাশে বসেছি।

তসিবা:- দেন এই গুলি আমি নিজেই করতে পারবো।

আমি:- কথা কম বলে হাতটা দাও বেন্ডিজ করে দিবো। হাতের আঙুলটা ডেটল দিয়ে ভালো বাবে দুইয়ে বেন্ডিজ করে দিয়েছি। নাও এবার ঘুরে বসো আর নাও ঔষধ গুলি খাও আমি মলম লাগিয়ে দিতেছি। বাহ তসিবা তোমার পিটের দাগ গুলি অনেকটা কম দেখা যাচ্ছে ডক্টরটা অনেক ভালো তাইনা?

তসিবা:- ডক্টরের বাহানা করে লাভ নেই পিট দেখা শেষ হয়ছে নাকী আরো দেখবেন সেইটা বলেন?

আমি:- তোমার পিট দেখবো কেনো আমি তো মলম লাগিয়ে দিতেছি। নাও মলম লাগানো শেষ আমি ঘুমায় বলে শুয়েছি তখনি তসিবা আমার বুকের উপর শুয়েছে। আজকে কিছুই বলিনি তসিবা নিজেই বক বক করছে আর আমি কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙছে তসিবাকে ডেকে তুলে দিয়েছি।

তসিবা:- উম্মা উম্মা আমাকে একটু আদর করে দেননা।

আমি:- বেশি আদর করলে নামায পড়তে পারবোনা আর সকালে তো আম্মুর বকা শুনতে হবে তখনি তসিবা লাফ মেরে উঠে বসে গেছে। আমি ফ্রেশ হয়ে মসজিদে নামায পড়তে চলে গেছি। নামায পড়ে কিছুটা ঠন্ডা হাওয়া লাগিয়ে নিলাম গায়ের মধ্যে আমি ভাইয়া আব্বু সবাই নামায পড়েছি। বাড়ীতে এসে দেখি ভাবি আর তসিবা নাস্তা তৈরি করছে আমরা যার যার রুমে চলে গেছি। আমি রুমে এসে ডেসিন টেবিলের উপরে তসিবার জন্য আনা মোবাইলটা রেখেছি। রুমে বসে আছি তখনি রিপা ফোন করেছে রিসিব করতেই বলে।

রিপা:- হাই জানু কেমন আছো?

আমি:- ভালো! তুমি কেমন আছে?

রিপা:- ভালো! আজকে বিকালে দেখা করতে পারবে?

আমি:- কখন?

রিপা:- বিকাল পাঁচটার দিকে?

আমি:- ঠিক আছে! ফোনটা রেখে দিয়েছে আমি পেছনে ঘুরে দেখি তসিবা এসেছে রুমে।

তসিবা:- নাস্তা করতে আম্মা ডাকছে?

আমি:- হ্যা আসছি আর তোমার ডেসিন টেবিলের এই অবস্থা কেনো পরিস্কার করে রাখতে পারোনা?

তসিবা:- কেনো ডেসিন টেবিলের উপরে তো কোনো কিছুই নেই তখনি চেয়ে দেখে একটা মোবাইলের বাক্স। মোবাইলের বাক্সটা কে রাখছে?

আমি:- কি করে বলবো কে রাখছে? এসব রাখার জন্য ময়লার ঝুড়ি আছে ঐখানে ফেলবে। আমি নিচে গেলাম তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তসিবা আমি বেরুলাম বলে বেরিয়ে এসেছি। সবাই নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা করছে আমি বসেছি।

আব্বা:- সৌরভ তসিবা কোথায়?

আমি:- রুমে আছে!

ভাইয়া:- ঐ তো তসিবা আসতেছে।

আব্বা:- তসিবা এসো নাস্তা করে নিবে। তখনি তসিবা এসে আমার পাশে বসেছে। তসিবা আমাকে একটা কাগজ দিয়ে ইশারা করছে আব্বার হাতে দিতাম।

আমি:- কাগজটা আব্বাকে দিতাম? তসিবা মাথা নাড়িয়ে বলছে হ্যা। (আমি কাগজের লিখাটা পড়ে তো মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে মোবাইল দিয়েছি আমি আর ধন্যবাদ দেয় আব্বাকে?) আমি তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি তসিবা মুচকি মুচকি হাসতেছে।

আব্বা:- মা তসিবা ধন্যবাদ কেনো? (তখনি তসিবা মোবাইলটা বের করে আব্বাকে দেখিয়ে লিখে দিয়েছে)

তসিবা:- আমাকে এত সুন্দর একটা মোবাইল গিফট করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আব্বা:- ও তাই বলো! আমি রাগ করে উঠে গেছি দূর কোথায় আমি মোবাইল গিফট করেছি আর আব্বাকে ধন্যবাদ দিতেছে।

আম্মা:- তুমি আমার জন্য কোনো কিছু কিনতে গেলে তোমার টাকা থাকেনা আর বউমার জন্য এত দামী মোবাইল কিনে এনেছো?

আমি:- আম্মা সব সময় ঝগড়া করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। নাস্তা করতে দিবেনা শান্তিতে আমি বের হচ্ছি।

আম্মা:- নাস্তা করে যা!

আমি:- খিদা নেই বলে চলে আসতেছি তখনি তসিবা আমার হাত ধরে বসিয়ে দিয়েছে আমি বসেছি। সবার নাস্তা শেষ হয়ছে তখনি কলিং বেলের আওয়াজ করেছে। ভাবি গিয়ে দরজা খুলে দিয়েছে তখনি চেয়ে দেখি রিপা এসেছে। আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি তখনি রিপা আমার দিকে এগিয়ে আসতেছে। যখনি রিপা আমাকে জড়িয়ে ধরবে ঠিক তখনি তসিবা এমন এক কান্ড করেছে তা দেখে আমরা সবাই অভাক হয়ে তাকিয়ে আছি তসিবার দিকে! To be continue,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে