#গল্পপোকা_ছোটগল্প_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০২০
গল্প : দূরত্ব
জনরাঃ জীবনমুখী গল্প
লেখাঃ মালিহা তাবাসসুম
একই চেহারা, একই রকম করে কথা বলা কয়দিন আর ভালো লাগে? যেন মুখস্ত করিয়ে দিয়েছে কেউ সেটাই আওড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত!
নাহ, ভালো লাগছে না। মুখের উপর কিছু বলতেও পারছি না, দূরত্ব তাই ক্রমশ বাড়ছে৷
আমরা পাশাপাশি থেকেও দূরত্ব হাজার মাইল। এ দূরত্ব ঘুচবে না যে সে আমি জানি। তাই এখন আর এই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি না। একটা সময় মন ভাঙত। ও কেন আমার নিষেধ সত্ত্বেও আমাকে লুকিয়ে সিগারেট খেল এরকম তুচ্ছ কারণেও মন খারাপ হতো ভীষণ। আজকাল এসবে কিছু আসে যায় না। রাত করে ঘরে ফিরলেও কিছু জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে না।
যাক যেখানে খুশি, আমার কি তাতে! আমি মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমি মনে করি, মানুষকে স্পেস দেওয়া উচিত।
এখনো যে নিয়ম করে প্রতিদিন ভাত রাঁধছি, একান্ত বাধ্যগত স্ত্রীর মতো ভাত বেড়ে দিচ্ছি এই-ই ঢের।
একটা সময় ইচ্ছে হতো দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে। অনেক দূরে, যেখানে আমার পরিচিত কেউ নেই। দেখা হলেই কেউ বলে বসবে না, বিয়ের পর দেখি অনেক শুকিয়ে গেছ, কালো হয়ে গেছ এরকম হাজারো কথা।
আমি ওসব শুনি, মাঝে মধ্যে ইচ্ছে হলে জবাব দেই। কথা বলতে ইচ্ছে না করলে চুপ থাকি। আজকাল বেশিরভাগ সময়ই আমি চুপ থাকি।
কাউকে কিছু বলতে ইচ্ছে করে না, কারো কাছ থেকে কিছু শুনতে ইচ্ছে করে না৷ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করি।
অনেক সময় চিন্তা করে করে ক্লান্ত হয়ে যাই। তখন ঘুম পায় খুব। ঘুমালে আবার দুঃস্বপ্ন দেখি। তাই আর ঘুমাতে ইচ্ছে করে না। জ্বলতে থাকা চোখ নিয়ে আমি জেগে থাকি।
কখনো চা নিয়ে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াই। পরিচিত বেলকনি, বেশ ভালই লাগে এখানে এসে আকাশ দেখতে।
আহা! নীল থাকলে বেশ হতো এখন। চা খেতে খেতে গল্প করা যেত। আর ও যেসব অ-কবিতা নাম দিয়ে ছাইপাঁশ লিখে সেসব শোনা যেত আগ্রহ নিয়ে৷ ওর চোখে থাকত বিশ্বজয়ের হাসি। ওর ছেলেমানুষী খুশি আমি সমস্ত হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারতাম!
এই অসাধারণ ছেলেটার সাথে আর কখনো দেখা হবে না আমি এটা ভাবতে পারি না। আমাদের আবার দেখা হবে! আমি তখন অসুস্থ, মৃত্যুশয্যায়। নীল ছুটে এসে বলবে, তুই শালা এখনি মরে যাচ্ছিস কেন রে? তোর দুই চারটা নাতিপুতি হওয়ার আগেই মরে যাবি!
না, না। নীল তখন আর আমার সামনে মৃত্যুর কথা বলবে না। বরাবরের মতো ওর সস্তা সব কৌতুক বলে আমাকে হাসানোর চেষ্টা করবে৷ আমি তখন আর বিরক্ত হবো না। মনে মনে বলব, নীল তুই ভালো থাকিস।
হয়তো শুধু ওই একটা সময়ই থাকবে যখন আমার বাবা আমার কাছে আসার জন্য নীলকে বকবে না।
এসব যখন ভাবছি তখন চুলায় কিছু পুড়ে যাচ্ছে এমন গন্ধ পেলাম। চা বানানোর পর চুলা বন্ধ করেছি কি না মনে নেই। করিনি মনে হয়। আজকাল আমার কিছুই মনে থাকছে না। একটু আগে কি করেছি সেটাই ভুলে যাই৷ অনেকক্ষণ বসে বসে চিন্তা করার পর মনে পড়ে।
মাঝে মাঝে নীলকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে। ও এখন কি করছে তা আন্দাজ করার চেষ্টা করি। ও হয়তো রাস্তায় হাঁটছে, হয়তো টিউশনিতে যাচ্ছে৷ নতুন বাসায় আসার পর নীলকে বড্ড বেশি মনে পড়ে। ঝিগাতলার এই বাসাটায় মাত্র দুইটা প্রাণী থাকি, আমি আর শুভ৷ শুভকে আমার পছন্দও না, অপছন্দও না। ও ওর মতো নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আমি আমার মতো থাকি। বিয়ের পরপরই যখন ওদের বাসায় উঠলাম, তখন বাসাভর্তি মানুষ। সবার সাথেই হাসিমুখে কথা বলতে হচ্ছে। আমি একটা ১৮০ ডিগ্রী হাসি ঝুলিয়ে ঘুরতাম যেন আমার জীবনে কোনো দুঃখ ছিলোই না কখনো। মানিয়ে নাও, মেনে নাও – এ নীতিতে বিশ্বাসী হতে চেয়েছিলাম। পেরেছিলামও হয়তো বা। নইলে মা কেন এতো স্বস্তি নিয়ে ঘুরত তখন!
আমার ঈশ্বর জানে আমি কি পেরেছিলাম। একটা দিনে কি ঘটল না ঘটল সব ভুলে যেতাম। পরের দিনে আবার আগের দিনের নাটকের মহড়া চলত৷ মা যদি ডানদিক দেখিয়ে বলত, এটা বাম দিক। আমি তাই-ই মেনে নিতাম। আমার সরলা নির্মলা মা তার একান্ত বাধ্যগত মেয়েকে দেখে কি খুশিটাই না হতেন তখন!
এমন সব নির্লিপ্ত দিনগুলো বদলে গেল এক সকালে। যখন বুঝতে পারলাম, আমার ভেতর আরেকটা দেহের অস্তিত্ব আছে! সন্দেহ হচ্ছিল কয়েকদিন থেকেই, সেদিন নিশ্চিত হয়েছিলাম।
খবরটা শুভকে জানানোর ইচ্ছে হলো না। একটা নতুন অতিথি আসছে, আমার উচিত তাকে আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমি কিছুই করলাম না। চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম। একবার মনে হলো একে নিয়ে নতুন শুরুর কথা ভাবব এবার থেকে। ছোট ছোট চোখে তাকিয়ে থাকবে একটা শিশু! ভাবনাটা স্থায়ী হলো না। ঘুম পেল ভীষণ। ঘুম ভাঙল কলিংবেলের শব্দে। উঠে দেখি রাত সাড়ে দশটা বাজে! এতোক্ষণ কিভাবে গেল বুঝলাম না৷ দরজা খুলে দেখি শুভ এসেছে। ওকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছে। আগেও দেখাত হয়তো, আমি খেয়াল করিনি৷ জিজ্ঞেস করলাম, খেয়ে এসেছ?
মাথা নাড়ল শুভ, হ্যাঁ। আমার আর রান্না করতে হবে না এটা ভেবে রিলাক্স লাগছে৷
আমি আবার গিয়ে শুয়ে পড়লাম বিছানায়। আমার ভেতর যে সত্ত্বার অস্তিত্ব প্রকাশ পেল আজ, তাই নিয়ে ভাবতে ভাবতে আবার ঘুম চলে এল। সকাল থেকে আবার সেই একই গৎবাঁধা দিন।
পরিবর্তনটা এলো ধীরে। শুকনো পাতায় পা রেখে কেউ সন্তর্পণে হাঁটতে থাকলে হঠাৎ করেই যেমন বোঝার উপায় নেই আসলেই মানুষ হাঁটছে নাকি হাওয়া দিচ্ছে, এমন করেই সব একটু একটু করে বদলে যাচ্ছিল। আমি নিজের যত্ন নিতে শুরু করি। পুষ্টিকর খাবার খাই, একটু আধটু ব্যায়ামও করি, রাত এগারোটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। না, শুভ এসব ধরতে পারেনি। সে আগের চেয়েও দেরি করে ফিরতে লাগল। উড়ো খবর পাই, শিমু নামে এক মেয়ের সাথে নাকি তার মন দেওয়া-নেওয়া চলছিল৷ আমার মন খারাপ হয় না৷ ঘুম পায় ভীষণ। সেই অনাগত অতিথির কথা ভাবতে ভাবতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
এভাবে বেশ কয়েক মাস কেটে যায়। আমার মধ্যে এখন আরেকটা সত্ত্বার স্পষ্ট চিহ্ন৷ শুভ একদিন দেখতে পেয়ে ভীষণ অবাক হয়। ওর ভ্রু কি কুঞ্চিত হলো! জিজ্ঞেস করল, কবে হলো?
আমি লজ্জায় জবাব দিতে পারি না। যেখানে আমাদের দুজনের উপস্থিতিতে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার হলো, সেখানে এমন প্রশ্নের জবাব কি হতে পারে তাই ভেবে পেলাম না আমি। নিজেকে সামলে নিয়ে শুভই বলল, এখানে বাসার কাজ করতে তোমার অসুবিধা হবে। মায়ের কাছে যেতে চাও নাকি?
প্রশ্ন করার মতো করে বলা হলেও আসলে প্রশ্ন ছিল না, সে চায় যাতে আমি আর ওখানে না থাকি। ওর মনোভাব বুঝতে পেরে আমি বলি, হ্যাঁ, কয়েক দিনের মধ্যেই যাব।
পরদিন শুভ অফিসে চলে গেলে আমি ব্যাগ গুছিয়ে ফেলি। শাড়ি গয়নার প্রতি কখনোই আগ্রহ জাগে নি। তাই বাড়তি জিনিসপত্র আমার নেই। বাসায় পরার জামাকাপড় আর কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস এই তো। অনেক দিন পর বাড়ি যাচ্ছি৷ মনে একটা হালকা অনুভূতি হচ্ছে। সুখ কি এই?? শুনেছি বিবাহিত মেয়েরা বাবার বাড়িতে নাইওর থাকতে যায়৷ নাইওর আসে যারা তারা খুব সুখী সুখী অনুভব নিয়ে ঘুরে বেড়ায়৷ আমার তেমন কিছু অনুভব হচ্ছে কি না বুঝতেছি না। তবে এই যাওয়াই যে শেষ যাওয়া হতে যাচ্ছে সেটা বেশ ভালই বুঝতে পারছিলাম৷ শুভর জন্য ‘ভুলো না আমায়’ জাতীয় কোনো চিরকুট রেখে যেতে ইচ্ছে করছে। সবসময় একটা গা ছাড়া ভাবে থাকা ছেলেটার জন্য আমার কেন যেন ভীষণ মায়া লাগছিল। চলে যাচ্ছি বলেই হয়তো। ওর সাথে থাকলে এই অনুভূতিটা হত না। একই দূরত্ব বজায় রেখে পাশাপাশি চলে যাওয়া রেললাইনের জন্য পাশের লাইনটির হয়তো কখনো মায়া লাগে না।
ঝিগাতলা থেকে বাসাবো আসতে আমার খুব বেশি সময় লাগল না। মিডলাইন বাসে করে একবারেই চলে এলাম৷ শুক্রবার ছুটির দিন। তাই জ্যাম নেই রাস্তায়। বাসায় ঢুকতেই আমার দুই বোন অনু আর রূপা দৌড়ে চলে এল। ইস! কতোদিন পর ওদের সাথে দেখা হল। অনু-রূপা দুজনে জমজ বোন৷ পড়ে ক্লাস নাইনে৷ দুজনেই ভীষণ সুন্দরী। ওদের সাথে সাথে মাও চলে এল। বোনদের আর মাকে দেখে খুব খুশি লাগছিল আমার। অনেক দিন পর মনে হচ্ছে, আমি বেশ সুখী। ক’দিন বেশ খাওয়া দাওয়া চলল। সবাই নতুন অতিথির আগমন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। মা আগে থেকেই কাথা সেলাই শুরু করেছিল৷ অনু-রূপা দুজনে বাবুর নাম ঠিক করতে ব্যস্ত৷ আমি আর কি! খাই, দাই, ঘুমাই। বাবুটাকে নিয়ে মাঝে মাঝে স্বপ্নও দেখি। একদিন দেখলাম, ছোট ছোট হাত-পা নিয়ে আমার বুকের ওপর একটা বাচ্চা
ঘুমাচ্ছে। আমি বেশ আলতো করে ওকে জড়িয়ে ধরে আছি। ঘুম ভাঙার পরেও অনেকক্ষণ এই ঘোরালো অনুভূতিটা রইলো।
এমন সুখের সময় বেশিদিন স্থায়ী হলো না। হুট করে একদিন এক লোক ফোন দিয়ে বলল, সে শুভর উকিল। শুভ নাকি আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়। এই দিনটা যে আসবে, আমি আগে থেকেই জানতাম। মনে মনে বহুদিন এর জন্য তৈরি হয়েছি। কিন্ত আজ হঠাৎ বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো ঘটনা বলে মনে হল এটা। একবার ইচ্ছে হল কান্নাকাটি আহাজারি করে শুভকে বলি, ‘ওগো,তোমার একটুও দয়া মায়া নেই? ক’দিন পর যে আসছে তার জন্য হলেও তুমি আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারলে না?’
শুভকে এখন এসব বলতে যাওয়া বৃথা৷ সে এখন নতুন প্রেমিকার স্বপ্নে বিভোর। সব ঝামেলা চুকিয়ে ফেলে নতুন শুরু করতে চায়।
বাহ! নতুন শুরু! নতুন শুরু কে না চায়? ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা।’ পুরনো সব গ্লানি মুছে ফেলে আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে যাচ্ছ শুভ তুমি। তোমার জন্য শুভকামনা!
খবরটা এখুনি মাকে জানাতে ইচ্ছে হল না। হাসিখুশি দিন কাটছে কাটুক। কিন্তু দুই সপ্তাহ না পার হতেই মা একদিন জিজ্ঞেস করল, ‘কিরে! শুভ আসে না কেন?’ আমি বলি, ওর অফিসে অনেক কাজ আছে।
মা আমার কথায় ভরসা পান কি না বুঝি না। তবে মাস পেরিয়ে যেতেও শুভ না এলে মা কিছুটা সন্দেহ নিয়ে বলল, ঝগড়া করে এসেছিস শুভর সাথে? আমি বলি, ওই একটু কথা কাটাকাটি।
মা পাল্টা প্রশ্ন করে বসে, একটু কথা কাটাকাটিতে এক মাস না এসে কিভাবে আছে? আমার মনে কিন্ত কু-ডাক ডাকতেছে৷
আমি মাকে সান্ত্বনা নেই, এতো টেনশন করো না তো। ওর বাচ্চার জন্য ওর ঠিকই মায়া লাগবে। তখন দৌড়ে চলে আসবে৷
মা বলে, কেন তোর জন্য মায়া নেই?
তাড়াহুড়ো করে জবাব দেই, হ্যাঁ, হ্যাঁ, থাকবে না কেন? তুমি আর এসব নিয়ে বেশি টেনশন করে নিজের প্রেশারটা বাড়িয়ে ফেলো না তো। এখন চায়ের পানি বসাও। চা খাই দুজনে।
মা চলে যায়। আমি পড়ে থাকি দীর্ঘ অনিশ্চয়তাকে সাথে নিয়ে।
এর মাঝে একদিন নীল এলো আমাকে দেখতে। বাবা মা কেউ খুশি হলো না যদিও। তবে কেউ কিছু বলল না। এসেই ওর স্বভাবসুলভ হাসিঠাট্টা শুরু করল। অনু-রূপা তো নীলকে পেয়ে মহা খুশি। ওদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে নীল চলে গেল। শুনেছি নীল এখন একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করে।
দুইদিন পর আবার এলো। সাথে একগাদা বাচ্চাদের খেলনা। এসব ঠিক হচ্ছে না।আমি কেন কারো দয়ার উপর নির্ভর করে থাকব? নীলকে খুব কঠিন করে বলে দিলাম, তুই এক্ষণ এই মূহুর্তে বাসা থেকে বের হয়ে যা৷ আর কোনোদিন আসবি না।
ওর আহত চোখ দেখে মায়া লাগলেও কিছু করার নেই। অবশ্য নীল চলে যেতেই আমার মন খারাপ হয়ে গেল।
এরপর অনেক শীত বসন্ত কেটে গেছে৷ রুনি এলো জীবনে। আমি এখন একটা কলেজের টীচার৷ নীল প্রথম প্রথম খুব খোঁজ নিত আমাদের৷ আমার কঠোর মনোভাব দেখে আর সামনে এগোয়নি। এখন নীলের রুনির মতোই একটা মেয়ে আছে। রুনির স্কুলেই পড়ে৷ রুনিকে আনতে গিয়ে দেখাও হয়েছে কয়েকদিন৷ সেদিন স্কুলের প্যারেন্টস মিটিং এর পর নীলকে দেখলাম মেয়েকে কোলে নিয়ে যাচ্ছে৷ মনে হলো রুনিরও হয়তো বাবার কোলে উঠতে ইচ্ছে করে। লক্ষী মেয়েটা সে কথা কখনো বলে না আমাকে। এসব ভাবতে ভাবতেই রুনি দৌড়ে চলে এল। আমাকে বলল, ‘মা, আজকে আমাকে দুইটা আইসক্রিম কিনে দিবা। দুই হাতে দুইটা আইসক্রিম নিয়ে খেতে খেতে যাব।’