গল্প : গুন্ডি মেয়ের পিচ্চি জামাই !!!
Writer : Tannoy(পিচ্ছি ফাজিল)
– দোস্ত তুই কই তারাতারি মাঠে
আয় ঐ পারার পোলাপান আমাগো
মারতে আইছে (রাজু)।
– কীইইই কইলি তোরা ওই খানেই
খাঁড়া আমি আইতাছি।
– ওই সালা এবার তোরা যাবি কই
আমাগো বন্দু তন্নয় আইতাছে (রাজু)।
– আরে আইতে ক না ঐ টারে ও
প্যাদানি দিয়া রাইখা যামু।
– বন্দু আইসা গেছস দেখ ওই সালা
মোটা তোরে ও মারতে চাইছে।
– এ কীইইই রে এই পিচ্চি রে আবার কই
থেকে আনছস, যাও বাবু দুদু খাও।
– মাম্মা এবার আমার মাথা হেব্বি
গরম হইয়া গেছে,
ঐ খাঁড়াই আছস ক্যান আমারে উপড়ে তোল
আর দেখাই দে এই হানে কে সব থেইকা
বড়।
ঐ সারা কুত্তা কমেডি বন্ধ কর ওদের
দেকছস, এক একটা পুরো হাতি, হেব্বি
মাইর দিবরে।
– ঐ…. ওরা মাইর দিব আর আমরা
দেকমু নাকি, এই শিক্ষা দিছি
তোদের।
হয় মাইর দিবি না পাড়লে দৌড়
দিবি এই এক কথা কত্ত বার তোগ
বলা লাগব, দৌড় দে…….।
ওরা হাতি হইতে পারে কিন্তুু আমরা ঘোরা।
দৌড় লাগা মাম্মা জোরে দৌড় লাগা।
এক দৌড়ে সোজা আমাগো পারাই
চলে আসছি, এবার কে পায় আমাগো।
– সারা হারামি তোরে ফোন দিছিলাম
যাতে কিছু করিস, আর তুই কিনা
দৌড়ে নিয়া আসলি (রাজু)।
– চুপ কর, আমি ছিলাম বলে বিনা
মাইর এ আসতে পারছস, দেখছস
এক একটারে যা মাইর দিত।
হঠাৎ জাহিদ এসে বলল তন্নয় ভাইয়া
আপনারে নীলা আপু ডাকতেছে।
– দোস্ত এবার তো তুই শেষ (রাজু)।
– চুপ সালা আমি কোন নীলা টিলারে
ভয় পাই না।
ও হ্যা নীলা আপু হইতেছে আমাগো
লিডার, মানে আমাদের
মতো ফাজিল পোলাপান তারে
দেখলে ভয়ে পালাই যাই একমাত্র আমি
ছাড়া।
কীইইই ভাবছেন আমি ভয় পাইনা তাই
না, আরে ভাই এই মাইয়াটার বাসা আর
আমার বাসা পাশাপাশি।
তাই আমার নিজের বাপ মানে
একদম নিজের বাপ তার এই কিউট
পোলাডারে একটু গুন্ডা মাইয়ার
হাতে শাষণ করার জন্য দিছে।
মাত্র দুই মাষ আগে আমি এলাকার মধ্যে
সব থেকে ফাজিল পোলা ছিলাম,
এখন এই মাইয়া আসার পর থেকে
আমার সব পাওয়ার শেষ।
উঠতে বসতে চটকানি দেই,
আসেন প্রথম দিনের কথা কই।
আমাদের বড় ভাই এ রা ও আমার
থেকে একটু কাঁচা।
তো সেই দিন সবাই মিলে সালাম
কাকুর দোকানে বসে আড্ডা দিতেছি।
হঠাৎ করে সামনে দিয়ে হেঁটে যাইতেছে
আকাশ থেকে নেমে আসা একটা
পড়ি।
হাঁসিব ভাই তো দেখেই ফিদা,
আমি ও তারে সোজা প্রপোজ করার
বুদ্ধি শিখাই দিছি।
যেই ভাবা সেই কাজ, হাঁসিব ভাই লাফ
দিয়ে উঠে মেয়েটার সামনে গিয়ে সোজা
প্রপোজ করছে,
মেয়েটা সোজা তার নিচ বরাবর একটা
কিক দিছে।
একটুর জন্য বাবা হওয়া থেকে বঞ্চিত
হয় নাই, একবার ভাবেন
কেমন মেয়ে।
সেই দিনের কথা মনে হইলেরে ভাই
কী আর কইতাম এখন ও
হিসি আটকে যায়।
আর আমার দুই বছরের সিনিয়র
হওয়াই আমার বাপ তার কাছে
পড়তে পাঠান,
আর আমার সকল গুনগান
বলে দিছে।
এমনিতেই একটা গুন্ডা মাইয়া
তার উপরে আবার ভাল ছাত্রী,
তবে আমাকে মনে হয় ভালবাসে
তাই বেশি কিছু বলে না।
দোয়া পড়তে পড়তে রুমে ঢুকলাম
দেখি গুন্ডাটা অন্য দিকে মুখ করে
দাঁড়াই আছে।
আমি রুমে ঢুকতেই আমার কাছে
আসল, আর মারতে
লাগল।
– আরে বাবা মারতেছ ক্যান বলবা তো।
– ঐ হারামি তুই নাকি
পাশের এলাকার পোলাদের সাথে
মারামারি করতে গেছিলি।
– আরে গেছিলাম তো কিন্তুু
তুমিই বলো তোমার শিক্ষা কেমন
ভুলি, কারো সাথে মারামারি করতে
নিষেধ করছ, তাই তো দৌড়
দিয়ে চলে আসছি হি হি হি হি।।
ঠাসসসসসসসসসসসসসস।
– তুই কোনদিন কীইইই ভাল হবি না
হুমমমম।
কত আর বলা লাগবে একটু
পড়ালেখাই মন দে।
– গালে হাত দিয়ে বললাম, আপু একটা কথা
বলব।
– হুমমম তুই না বললে কে বলবে বল।
– তুমি যখন থাপ্পড় দাও না।
তখন না আমার হিসি চাপে হি হি হি।
– কুত্ত হারামি আবার একটা চর খাবি।
– দাঁড়াও একটু হিসি করে আসতেছি।
আহা কীইইই শান্তি।
– হুমমমম, আচ্ছা খাইছিস।
– না…. কেবল তো দৌড়ানি খেয়ে আসলাম।
– জানতাম তো, না খেয়ে খেয়ে এমন হয়েছিস।
কী খাবি বল।
– কলা আর সন্দেস।
– একটা চর দিব ওই গুলো কেউ খায় হুমমম।
– আরে সেই জন্যই তো আমি খাই যাতে
আমার পয়সা দিয়ে তাদের
সংসার চলে হি হি হি ।।
– চুপ চাপ থাকতে পারিস না হুমমম, এমন
লাফাইতেছিস কেন।
– আরে কই লাফাইতেছি, এই যে দেখ
কেমন লক্ষী ছেলের মতো বসে আছি।
– হুমমমম এমন ভাবেই বসে থাকবি, আমি
গরুর মাংস আর ডাল রান্না করছি,
দাঁড়া নিয়ে আসছি এক সাথে খাব।
– হুমমমম , তারাতারি যাও আর তর
সইছে না।
– চুপচাপ থাকবি বললাম।
– হুমমমম, নীলা আপু খাবার নিতে চলে গেল।
আমি একটা গেলাস নিয়ে নাড়াচাড়া
করতে করতে হঠাৎ হাত থেকে নিচে
পড়ে গেল আর ভেঙ্গে গেল।
আপুর বকার ভয়ে তারাতারি তুলতে গিয়ে
আবার হাত কেটে ফেলছি,
অনেক রক্ত বের হচ্ছে।
এর মধ্যে আপু চলে আসছে,
এক হাত দিয়ে কাঁটা জায়গাটা ধরে
হাত নিচে নিয়ে আছি।
– আমি যাওয়ার পর কীসের শব্দ হল।
– হি হি কিছু না এমনি।
– এই নে এবার খা ।
ঐ হাত নিচে দিয়ে আছিস কেন।
খেতে বলছি না হুমমমম।
ঐ তোর কানে কথা যায় না
হাত উপরে উঠা।
যেই হাত উপরে উঠালাম।
– ওই কেমনে হাত কাঁটলি,
অনেক রক্ত বের হচ্ছে তো।
একটা মিনিট কী আমাকে শান্তি
দিবি না,
হায় হায় কেঁদে দিছে ক্যান।
আমার হাত ধরে ডিটল দিচ্ছিল
তখন মনে হচ্ছিল হাত আমার কাটে নাই
নীলা আপুর কাঁটছে।
তার পরে ভাল করে ব্যান্ডেজ করে
দিল।
– আচ্ছা আপু কার হাত কাঁটছে।
– কেন।
– না মনে তুমি যেমনে কাঁদতেছ মনে হচ্ছে
হাত তোমার কাঁটছে।
– চুপ করে বসে থাকতে পারিস না হুমমমম,
আমাকে কষ্ট দিতে তো তোর ভালই লাগে
বুঝি তো আমি।
– আরে বাবা কখন কষ্ট দিলাম।
– তাহলে হাত কেঁটে গেছে বলিস নাই কেন।
– আমি ভাবছিলাম গেলাস ভেঙ্গে ফেলছি
হয়তো অনেক বকা দিবা তাই তারাতারি
তুলতে গিয়ে কেঁটে গেছে হি হি হি।
– চুপ কর কুত্তা।
– একটু খাইয়ে দিবা পিলিজ।
– হুমমমম আমি না খাইয়ে দিলে আবার
কে দিবে।
– হুমমমম তাই তো তুমিই মারবা, তুমিই বকা
দিবা, তুমিই খাইয়ে দিবা আবার তুমিই
ভালবাসবা হি হি হি।
– হইছে এখন হা কর।
– আআআআআআআআআআ।
– ঐ আবার শব্দ করতে হয় বুঝি।
– আচ্ছা আপু আমি মরে গেলে আমারে
তুমি ভুলে যাবে তাই না।
– ঐ আর যদি কোনদিন এমন কথা বলছিস
তাহলে সত্যি সত্যি আমি মরে যাব।
– আরে বাবা মজা করলাম তো।
– এই সব মজা একদম করবি না আর
বলে দিলাম।
– হুমমমম ওকে। তারপরে খেয়ে
দেয়ে তার উড়না দিয়ে মুখ মুছে দিল।
হি হি কেমন গুন্ডি মেয়েটা ও কেমন ভালা
হয়ে গেছে।
তার পরে আপুকে বলে বাসাই চলে আসলাম,
বাড়িতে এসে শুয়ে আছি হঠাৎ আপুর
ফোন।
– তন্নয় হঠাৎ বাবা বলতেছে আজকে রাতে নাকি
আমাকে দেখতে আসবে।
আর পছন্দ হলে রাতেই বিয়ে।
– কথা গুলো শুনে মনে হল
আমি ভিতরে ঝড় উঠে গেল।
– আর হ্যা একদিক দিয়ে ভালই হবে
তোরে আর কেউ বকা দিবে না
নিজের মতো দুষ্টুমি করতে পারবি।
– এবার সত্যি সত্যি কান্না চলে আসছে।
আপু তোমার সাথে আমার কথা আছে
তুমি তোমাদের বাসার ছাঁদে যাও আমি
আসতেছি।
বলেই এক দৌড়ে নীলা আপুদের
বাসার ছাঁদে চলে গেছি।
গিয়ে দেখি আপু দাঁড়িয়ে আছে।
– কীইইই বলবি তারাতারি বল, ওর হয়তো
চলে আসবে।
– এবার কোন ভয় না করেই ডিরেক্ট নীলা
আপুকে জরাই ধরে কান্না করে দিছি।
আপু আজকে তুমি আমাকে যত
খুশি মারতে পার আমি কিছু বলব না
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, যদি
তোমার বিয়ে হয়ে যায় না আমি এই
ছাঁদের উপরে থেকে লাফ দিয়ে মরে
যামু, আপুর ঘাঁড় ভিজে ফেলছি কেঁদে।
আর হ্যা তুমি যদি না ভালবাস
আমার কিছু করার নাই, তবে হ্যা আমার
মতো কেউ ভালবাসতে হয়তে পারবে।
কিন্তুু আমার মতো ক্যালানি কেউ খেতে
পারবে না হুমমমম ।
– ঐ গাধা মেয়েদের মতো কাঁদছিস ক্যান
হুমমমম, তোর মাথাই কোন বুদ্ধি সুদ্ধি
নাই, আমাকে আজকে দেখতে আসলে
বাসাই মানুষ থাকত না
হুমমমম।
বাসাই তো আব্বু আম্মু ও নাই।
তুই আমাকে কেমন
ভালবাসিস তাইতো এমন
মজা করলাম হি হি হি।
– হুমমমম এখন আগে যত গুলা
চর দিছ এখন তত গুলা পাপ্পি দাও।
না হলে কিন্তুু।
– ঐ না হলে কীইইই করবি শুনি।
– না কিছুই না।
– হি হি আমার পিচ্চি জামাই টাকে পাপ্পি দিব না
তাহলে কারে দিব শুনি।
আচ্ছা আপু তোমার কোলে শুয়ে শুয়ে আজকে
তারা দেখব কেমন।
– ঐ আবার আপু কইলি ক্যান।
বলেই ঠাসসসসসসসসসসসস।
– ঐ জামাইরে কেউ এমন চর দেই
হুমমমম।
ওলে বাবা সরি জানু এসো একটা পাপ্পি দেই।
হি হি হি হি।।।।।।
>>সমাপ্ত<<