গল্প:- খেলার পুতুল পর্ব :-(০৩)
লেখা_মোহাম্মদ_সৌরভ
!!
পর পুরুষের ব্যাড রুমে ঢুকতে আপনার লজ্জা করেনি? আরে আমার তো মনে নেয় আপনার তো লজ্জা সরম বলতে কিছুই নেয়। যদি থাকতো তাহলে আমাকে বিয়ে করার জন্য উঠে পরে লাগতেন না।
সিমরান:- পর পুরুষের ব্যাড রুম হলো কি করে সৌরভ? আপনার কি মনে নেয় গত কাল রাতে আমাদের আংটি বদল হয়ছে?
আমি:- এত তারা তারি আমি ভূলে যাবো আপনি ভাবলে কি করে? এখন আপনি আমার রুম থেকে যান।
সিমরান:- রুমটা এখন থেকে আমারো আর আমি হলাম আপনার হুব বউ।
আমি:- হুব বউ না ছায়, আপনি নিজেকে বউ বলে সিকার করে অন্য বউদের অসম্মান করবেন না প্লিজ।
সিমরান:- এত বড় কথা ঠিক আছে আমিও দেখবো। আজকে আপনার অবস্থা যদি আমি খেলার পুতুলের মত না করি তাহলে আমার নাম সিমরান নয়।
আমি:- হ্যা আপনি কি পারবেন তা আমি ভালো করে জানি। দেখি এখন আপনি আমার রুম থেকে যান তা না হলে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো বলে দিলাম।
সিমরান:- আপনি নিজেকে অনেক কিছু মনে করেন তাইনা?
আমি:- এই কথাটা যদি আমি আপনাকে বলি? আচ্ছা বাদ দেন একটা অনুরুদ করি আপনাকে রাখবেন?
সিমরান:- হ্যা করেন যদি পারি তাহলে রাখার চেষ্টা করবো।
আমি:- আমার আব্বুর সাথে আপনার মায়ের বিয়েটে ভেঙ্গে দিন। যদি ওনাদের বিয়েটা আটকাতে পারেন তাহলে আমি আপনার সব কথা শুনবো।
সিমরান:- ওদের বিয়ে তো আমি দিবো আর আপনিও আমার সব কথা শুনবেন। আপনি কি ভাবছেন আপনাকে এত তারা তারি আমি ছেড়ে দিবো?
আমি:- আচ্ছা আপনার নিজের প্রতি ঘৃনা আসে না?
সিমরান:- যদি মধ্যবিত্ত হতাম তাহলে আসতো এখন আমি ধনি আর আমার কাছে অনেক টাকা সম্পত্তি আছে। আমি গরিবও না যে ইজ্জতের বয় থাকবে মানুষ কি বলবে সেই বিষয়ে চিন্তা করবো। এত কথা না বলে এখন আপনি ফ্রেস হতে যান আজকে আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।
আমি:- আপনার সাথে আমি ঘুরতে যাবো তা কি করে হয়?
সিমরান:- কেনো আমি বাঘ নাকী যে আপনাকে খেয়ে ফেলবো?
আমি:- আমি ছেলে হয়ে মান সম্মান নিয়ে চিন্তা করি আর আপনি মেয়ে হয়েও করেন না?
সিমরান:- এত কথা বলেন কেনো শুনি? এখন তারা তারি রেডি হয়ে যান আজকে আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো। আমি খাবার টেবিলে আপনার জন্য অপেক্ষা করতেছি।
আমি:- আপনার সাথে আজকে ঘুরতে যেতে পারবো না।
সিমরান:- কেনো?
আমি:- আমার আপুর সাথে ঘুরতে যাবো। আজকে আপু আর সাহেদ ভাইয়া দুজনে ঘুরতে যাবে।
সিমরান:- তো আপনি ওনাদের সাথে যাবেন কেনো?
আমি:- আপু বলছে তাই।
সিমরান:- আপনার যেতে হবে না, আর কোনো ওজুহাত আমি শুনতে চাইনা। যান তারা তারি রেডি হয়ে আসেন বলছি। সিমরান বাহিরে চলে গেছে আমি ফ্রেস হতে চলে গেছি। কিছুক্ষণ পর ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলের কাছে গিয়ে দেখি আপুর সাথে সিমরান গল্প করতেছে। আমাকে দেখে আপু বলে,,,,,,
আপু:- ভাই তোর হুব বউ সিমরান অনেক ভালো আর দেখতে কি সুন্দর।
আমি:- সুন্দর না ছায়, আপু তুই তো জানিস না আসলে সিমরান হচ্ছে তখনি আব্বু আমাকে থামিয়ে বলে,,,
আব্বু:- সৌরভ আমার কথা গুলা কি ভূলে গেছিস নাকী?
আপু:- কি কথা বলছেন আব্বু সৌরভকে?
আব্বু:- ঐ অফিসের কিছু কাজের কথা।
আপু:- সৌরভ তুইও না, কবে যে তোর সব মনে থাকবে কে যানে। শুনো সিমরান আমি তো চলে যাবো তুমি আমার ভাইটাকে অনেক যত্নে রাখবে আমাকে কথা দাও।
সিমরান:- চেস্টা করবো কথা দিলাম।
আপু:- আমি খাবার নিয়ে আসি কেমন তোরা বস। আপু চলে গেছে আমি আব্বুকে বলি,,,,
আমি:- আব্বু আপনি কি সিমরানের আম্মুকে বিয়ে করবেন?
আব্বু:- এক কথা কত বার বলবো তোমাকে? আমি বিয়ে করলে তোমার বিয়েটা হবে।
আমি:- তাহলে আমার সাথে সিমরানের বিয়েটা ভেঙ্গে দেন। আমি চাইনা মানুষ আঙ্গুল তুলে আমার দিকে কথা বলুক। আপনাদের কাছে খারাপ না লাগতে পারে। কিন্তু আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে। আমি আজকে আপুর সাথে কথা বলবো সব কিছু আপুকে বলে দিবো।
আব্বু:- তোর আপুকে না হয় সব কিছু বলে বুঝিয়ে নিবি। কিন্তু তোর মৃত মায়ের কাছে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করবি কি করে?
আমি:- সেইটাও রক্ষা হবে। আগে তো আপুকে সব কিছু খুলে বলি।
আব্বু:- দিন দিন তোর সাহোস অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আজকে তোর একটা বিহিদ করে ছাড়বো।
আমি:- আপনি কি করবেন তা আমার জানা আছে। আপু এই আপু শুন তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আপু্:- কিরে ভাই এমন করে ডাকছিস কেনো?
আমি:- আপু তুই জানিস আব্বু যে বিয়ে করতে যাচ্ছে?
আপু:- কি বলিস সৌরভ কেনো তুই আব্বুর সাথে এমন করিস?
আমি:- আমি কি করেছি বিশ্বাস না হলে সিমরানকে জিগেস করে দেখ। আর কাকে বিয়ে করবে জানিস?
আপু:- কাকে বিয়ে করবে?
আমি:- সিমরানের আম্মুকে।
আপু:- কিন্তু সিমরানের সাথে তো তোর বিয়ে হবে। তাহলে সিমরানের মায়ের সাথে আব্বুর বিয়ে মানে কি বলছিস তুই।
আব্বু:- মা শেলি তুই বিশ্বাস করিস ওর কথা? আসলে ও চাচ্ছে সিমরানকে বিয়ে না করতে তাই এমন কথা বলছে।
আপু:- সৌরভ তুই আমার সাথে মিথ্যা বলতে পারলি?
আমি:- আগে তো আমার সবটা কথা শুনবি নাকী?
আপু:- কি কথা শুনি?
আমি:- তাহলে শুন আমি আপুকে সব কিছু খুলে বলছি। আপু সব কিছু শুনে আমাকে বলে,,,,
আপু:- ভাই চল আর এই বাড়ীতে থাকবো না, ছিঃ সিমরান তুমিও ওদের সাথে হাত মিলিয়েছো? আমি তোমাকে কতটা ভালো মনে করেছি আর তুমিও।
সিমরান:- আপু আগে আমার কথাটা তো শুনবেন?
আব্বু:- সিমরান তুমি চুপ থাকো, শেলি যদি তোমরা দুই ভাই বোন বাড়ী ছেড়ে চলে যাও। তাহলে কিন্তু আমি সাহেদের আব্বুকে বলে দিবো তোমার বিয়েতে আমি থাকবো না। আর তোমাকে আর তোমার ভাইকে বাড়ী থেকে বেড় করে দিয়েছি।
আপু:- আমার কোনো সমস্যা নেয়। সৌরভ চল আজকে এই বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যাবো। আমি আর আপু বেড়িয়ে আসবো তখনি সাহেদ ভাই আমাদের দরজার সামনে।
সাহেদ:- আরে শেলি তুমি সরি আমার আসতে দেরিয়ে গেছে।
আব্বু:- সাহেদ ভীতরে আসো তোমার সাথে কিছু কথা আছে। আসলে শেলি,,,, তখনি আমি আব্বুকে থামিয়ে দিয়েছি।
আমি:- আব্বু আপনি যা বলবেন তাই হবে আমি আপুর সাথে ঘুরতে যাবো না। আমি সিমরানকে সাথে নিয়ে ঘুরতে যাবো।
সিমরান:- আঙ্কেল তাহলে আমরা ঘুরতে যাই। (সিমরান আমাকে নিয়ে চলে এসেছে) তোমাকে এত সহজে মুক্তি দিবো তুমি ভাবলে কি করে?
আমি:- ঠিক আছে মুক্তি দিতে হবে না। আপুদের বিয়েটা হয়ে গেলে তোমাকে আমার বিয়ে করতে কোনো আপত্তি থাকবে না। সিমরান গাড়ী চালাচ্ছে আমি পাশে বসে আছি। অনেকক্ষণ সিমরান আমাকে নিয়ে ঘুরেছে।
সিমরান:- তোমার আপুর বিয়ে আজকে দিবো তাহলে তুমি আমাকে আজকে বিয়ে করবে?
আমি:- মানে আজকে দিবে কি করে?
সিমরান:- রাজি আছো কি না বলো?
আমি:- হ্যা রাজি। সাথে সাথে সিমরান সবাইকে ফোন করেছে আর সবাইকে বলছে কাজি অফিসে আসতে। সিমরান গাড়ীটা নিয়ো কাজী অফিসে এসেছে। আমি কাজী অফিসে এসে দেখি সবাই আছে। কাজীকে সব কিছু বলে রাখছে আমি আর সিমরান যাবার পরে,,,
আব্বা:- কাজী সাহেব তিনটা বিয়ের কাজ শুরু করেন। আমি আব্বুর কথা শুনে সবাই আব্বার দিকে তাকিয়ে আছে।
To be continue
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ???