গল্প:- একতরফা_ভালোবাসা পার্ট ১
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
তুমি বিয়ে করে সূখের সংসার করবে আর আমি দেবদাস হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবো তা হবেনা! আমিও বিয়ে করে নেবো তোমার চাচাত মামাত ফুপাত যেই বোনকে পাই মানে যেই রাজি হবে তাকেই।
তুমি বিয়ে করবে কি করবেনা এইটা তোমার সূম্পর্ন ব্যাক্তিগত ব্যাপার! তবে আমি তোমাকে আগেও বলছি এখনো বলি আমি তোমাকে ভালোবাসিনা। সুতুরাং তুমি আমাকে ডিসট্রাব না করলে খুশি হবো।
ঠিক আছে ডিসট্রাব করবোনা তবে তোমার চাচাত বোনের নাম্বারটা একটু দিয়ে দাও!
কি বললে তুমি?( চোখ গুলো বড় বড় করে বলছে মিম)
কিছুনা মানে মোবাইল নাম্বার অন্য কিছু তো চাইনি!
মিম:- তোমাকে আমি আমার চাচাত বোনের নাম্বার দিবো? আমার কি মাথা খারাপ হয়ছে নাকি?
আমি:- মাথা খারাপ হবে কেনো?
মিম:- এমনিতেই তুমি আমাকে অনেক জ্বালাতন করেছো আর এখন আমার চাচাত বোনকে জ্বালাতে চাচ্ছো?
আমি:- আরে না জ্বালাবোনা শুধু আদর আর ভালোবাসবো।
মিম:- সৌরভ আজকের পর যদি তুমি আমাকে আর ডিসট্রাব করো তাহলে মনে করবো তুমি আমাকে কোনোদিন ভালোবাসোনি। ভালো থেকো আর নিজের খেয়াল রেখো বাই (বলে মিম চলে যেতে লাগলো) তখনি!
আমি:- মিম একটা কথা বলবো?
মিম:- আবার কি কথা?
আমি:- তোমার বিয়ের আর কতদিন বাকি আছে?
মিম:- ১৫ দিন হবে মনে হয়।
আমি:- যার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক হয়ছে সেই ছেলে কি করে?
মিম:- নিজের ব্যবসা আছে আর আব্বু আম্মুর পছন্দ হয়ছে এইটা সবচেয়ে বড় সম্মানের আমার জন্য।
আমি:- তোমার বাবা মা যদি আমাকে পছন্দ করে তাহলে আমাকে বিয়ে করবে?
মিম:- তা কি করে পছন্দ করবে তার আগেই তো রাসেলকে পছন্দ করে নিয়েছে।
আমি:- যদি পছন্দ করে তাহলে তুমি বিয়ে করবে তো?
মিম:- বুঝতে পারছি তুমি কি বলতে চাচ্ছো তবে তুমি আর আমার পিছু পিছু না আসলে আমি অনেক খুশি হবো।
আমি:- আরে অচেনা একটা শহর অচেনা যায়গায় আমি কোথায় যাবো?
মিম:- আমি কি করে বলবো আর তোমাকে আমি না করছি আমার সাথে না আসতে। কিন্তু তুমি কোনো কথা না শুনে বেহায়ার মত আমার পিছু পিছু চলে আসছো। তোমার যায়গায় আমি হলেনা অন্য একটা মেয়ের সাথে চুটিয়ে প্রেম করতাম তারপর বিয়ে করে অনেক সূখে শান্তিতে সংসার করতাম।
আমি:- ঠিক আছে করবো তার আগে তোমার বিয়েটা খেয়ে নেই আর তুমি তো বলছো আমি চুটিয়ে প্রেম করতে যখন তোমার বিয়েতে অনেক মেয়ে আসবে তাদের মাঝে কাওকে পটিয়ে নিয়েয়ে চুটিয়ে প্রেম করবো।
মিম:- তার মানে তুমি আমার সাথে যেতে চাও আমাদের বাড়িতে?
আমি:- হ্যা!
মিম:- নিতে পারি একটা শর্তে যদি তুমি রাজি থাকো!
আমি:- হ্যা রাজি আছি বলো কি শর্ত?
মিম:- কাওকে ভুলেও বলবেনা যে তুমি আমাকে ভালোবাসো।
আমি:- ঠিক আছে রাজি আছি চলো তারপর আমরা দুজনে রাস্তায় হাঠতেছি আমি মিমের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাটতেছি মিম দেখতে মাশাল্লাহ ঠোটের নিছে তিলটা আল্লাহ হয়তো ওর জন্য আলাদা ভাবে লাগিয়ে দিয়েছে এমন মেয়েকে আমি হাত ছারা করবো তা কি করে হয়? তবে আমার হাতে এখনও ১৫ দিন সময় ওর জন্য সব করতে পারবো আমি।
মিমি:- কি ব্যাপার সৌরভ চুপ চাপ হয়ে গেলে যে হঠাত!
আমি:- তুমি কত সুন্দর তোমাকে দেখতে আমার খুব ভালো লাগে আচ্ছা আমাকে ভালোবাসবে? একদম রানি করে রাখবো। তখনি আমার সাটের কলার টেনে ধরে বলে!
মিম:- তুমি কি বললে?
আমি:- কি বলছি রানি করে রাখবো এইটা কি ভুল বলছি?
মিম:- তোমার কোনোদিন কি একটু সম্মান বোদ বলতে কিছু হবেনা? তোমাকে আমি কত অপমান করি তাও তুমি আমার পিছু পরে থাকো। আমি যদি তোমার যায়গায় হতাম তাহলে কবে লাথি মেরে ফেলে চলে যেতাম।
আমি:- আমিও তোমাকে ফেলে চলে যাবো তবে তোমার বিয়ের পর। এখন কলারটা ছারো সবাই তাকিয়ে আছে রাস্তার সব লোক জন। সবাই মনে করবে তুমি আমি ঝগড়া করতেছি। তখনি একজন মহিলা এসে বলে!
মহিলা:- বাবা তোমরা নতুন বিয়ে করেছো তাইনা? এমন একটু আটু রাগ ঝগড়া করবেই নতুন নতুন।
আমি:- হ্যা আন্টি মাত্র ৪ দিন হয়ছে আমাদের বিয়ের বয়স তখনি মিম আমার মুখ চেপে ধরে বলছে।
মিম:- না না তেমন কিছুনা আমরা তো একটু কাছে এসে কথা বলছি।
মহিলা:- বা কি সুন্দর তুমি তোমার সাথে একদম সুন্দর মানিয়েছে তোমার বউটাকে যেমন রাজপুত্র তেমন রাজকন্যা। তা বাবা তোমরা যাবে কোথায়?
আমি:- নুর আঙ্কেলের বাড়ি।
মহিলা:- ও ঐ বাড়িতে তো আমিও যাবো ঠিক আছে চলো আমিও তোমাদের সাথে যাবো। তখনি মিম আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়েছে আমি ভয়ে একদম চুপসে গেছি।
মিম:- থাক আপনি চলে যান আমরা একটু কাজ সেরে যাবো।
মহিলা:- কি কাজ করবে আমিও তোমাদের সাথে যাবো।
মিম:- আপনার যেতে হবেনা আপনি আপনার কাজে যান।
আমি:- আন্টি আপনি যান আমরা পরে আসতেছি! তারপর একটু কানের কাছে গিয়ে বলছি আসলে ও যদি রাগ করেনা তাহলে যেইটা মন চাই ঐটা করে বসে। এমনকি আপনাকে কাদাঁয় ফেলে দিতে পারে তখনি।
মহিলা:- থাক তাহলে আমি গেলাম তোমরা আসো?
মিম:- হ্যা যান গিয়ে উদ্দার করেন। তখনি এই তুমি মহিলাকে কানের কাছে গিয়ে কি বলছো?
আমি:- কিছুনা তো।
মিম:- মিথ্যা কথা বলবেনা বলে দিলাম কি বলছো তারা তারি বলো?
আমি:- বলছি তুমি রেগে গেলে ওনাকে কাঁদায় ফেলে দিবে। আর তখনি মিম হি হি হি হাসতে হাসতে আমাকে জড়িয়ে ধরছে আমি তো পুরাই অবাক মিম আমাকে জড়িয়ে ধরছে কেনো? মিম তো সব সময় বলে আমাকে ভালোবাসেনা! তাহলে আমাকে জড়িয়ে ধরলো কেনো?অনেক গুলা প্রশ্ন নিজেকে করে বসলাম তবে আমার ভালোই লাগছে মিম যে আমাকে জড়িয়ে ধরছে। যখন আমিও জড়িয়ে ধরতে যাবো ঠিক তখনি আমাকে ছেরে দিয়ে মুখটা লজ্জা লাল করে ফেলছে কোনো কথা না বলে সোজা হাটা দিয়েছে আমিও পিছু হাটতেছি। তখনি আমি মিমকে বলি আচ্ছা মিম তোমার কি কোন বোন নেই? ইয়ে মানে আমার শালি বা জেঠাস।
মিম:- কি বললে তুমি তোমার শালি বা জেঠাস?
আমি:- আরে এত রাগ করছো কেন?
মিম:- তোমার কি লজ্জা বলতে কিছু নেই সৌরভ?
আমি:- আছে তো তবে সেই গুলা ঢেকে রাখছি তোমাকে দেখাতে পারবোনা।
মিম:- তুমি কবে বড় হবে সৌরভ?
আমি:- আমি ছোট আছিলাম কবে?
মিম:- তোমার সাথে কথা বলাটা আমার সবচেয়ে বড় ভুলটা হয়ছে কেনো জানি তোমার সাথে আমার দেখাটা হয়ছে?
আমি:- আল্লাহ চাই তোমার সাথে আমার বিয়ে হোক।
মিম:- আবারও মনে করিয়ে দেই আমার বিয়ের বাকি মাত্র ১৫ দিন। তাহলে তোমার সাথে আমার বিয়ে হবে কিভাবে?
আমি:- হবে হবে আল্লাহ চাইলে আটকাবে কে?
মিম:- তোমাকে একটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম আসলে রাসেলকে আমি আগেই থেকে ভালোবাসি। আর রাসেল আমার জন্য একদম পার্ফেক্ট।
আমি:- ঠিক আছে এখন তোমার বিয়েটা শান্তিতে খেতে দিবে নাকি এখানেও বাঁধা দিবে?
মিম:- সৌরভ এসে গেছি আমাদের বাড়িতে ঐ দেখো নুর ভবন মানে আমাদের বাড়ি।
আমি:- বাব্বা তোমরা তো অনেক বড় লোক আগে বলোনি কেনো তাহলে আমার চার পাঁচটা বন্ধু নিয়ে আসতাম।
মিম:- তোমাকে সামলাতে আমার কষ্ট হচ্ছে আবার আরও কত গুলা নিয়ে আসতে। আচ্ছা সৌরভ আমাকে একটা কথা দিবে?
আমি:- শুধু চলে যেতে পারবোনা এছাড়া তুমি যা বলবে তাই শুনবো কিন্তু তুমি তো একবার একটা শর্ত দিয়েছো এখন আবার কি কথা রাখতে বলবে?
মিম:- আমি যা যা বলবো তুমি শুধু হ্যা না বলে যদি তোমাকে আব্বু কিছু জিজ্ঞেসা করলে কথাটা মনে থাকবে?
আমি:- ঠিক আছে তবে মিথ্যা কথা বলতে পারবোনা যেইটা সত্যি ঐটাই বলবো আর তখনি মিম আমার গলা টিপে ধরতে চাইছিলো এমন সময় আমি বলি আরে মিম তোমার বাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখো কারা আসছে তোমাকে নিতে।
মিম:- কোথায় কারা আসছে, বলে তাকিয়ে হা হয়ে গেলো। না হলেও ১০০ জনের বেশি আসছে মিমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মনে হচ্ছে ওরা জয়েন পরিবার সবাই মিমকে নানান ধরেন প্রশ্ন করছে এত দেরি করলো কেনো ইত্যাদি এইসব কিছু মনে হচ্ছে কোনো মিছিল যাচ্ছে যখনি বাড়ির দরজার সামনে এসেছে ঠিক তখনি একজন বলে!
দ্বাঁড়াও মিম তুমি এত দেরি করে আসলে কেনো?
মিম:- আব্বু পরিক্ষা শেষ হতে দেরি হয়ছে তাই একটু দেরি হয়ে গেছে কথা গুলা একদম ভয়ে ভয়ে বলছে মিম। মনে হচ্ছে এখুনি মিমের ফাঁসি হয়ে যাবে আর সবাই চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে মনে হচ্ছে এলাকার পাঁখি গুলাও এই লোকটাকে ভয় পায়। তার মানে এইটা হলো মিমের বাবা মিমকে পরে পটাবো আগে শ্বশুড় পটাতে হবে।
আঙ্কেল:- ঠিক আছে তুমি এখন ভিতরে যাও তারপর সবাই মিমকে নিয়ে ভিতরে যাচ্ছে তখনি বলি,,,
আমি:- মিম আমি কোথায় যাবো? তখনি সবাই আমার দিকে তাকাচ্ছে তখনি!
আঙ্কেল:- মিম এই ছেলেটা কে?
মিম:- আমার পরিচিত আসলে আমার বিয়ের কথা শুনে আমার সাথে এসেছে ওর নাম আল মোহাম্মদ সৌরভ, সৌরভ ঢাকা থাকে গ্রামের বিয়ে দেখেনি কোন সময় তাই আমার সাথে বিয়ে দেখতে এসেছে।
আঙ্কেল:- শুধু দেখতে এসেছে?
আমি:- হ্যা তবে খেতে ও এসেছি তখনি সবাই হাসি হা হা হা, হি হি হি,।
আঙ্কেল:- কে আছিস ওকে গেস্ট রুমে নিয়ে যা।
আমি:- না থাক আঙ্কেল আমি থাকবোনা চলে যায় যদি ১৫ দিন থাকি তাহলে খালি হাতে যেতে পারবোনা।
আঙ্কেল:- খালি হাতে যেতে পারবেনা কেনো?
আমি:- আম্মু বলছে যেখানেই যাবি যদি ১০ দিনের বেশি কোথাও থাকিস তাহলে আমার জন্য কিছু নিয়ে আসবি যেইটা আমি দেখলে তোর উপর রাগ করতে পারবোনা। যদি আমাকে কিছু নিয়ে যেতে দেন তাহলে আমি এই ১৫ দিন এখানে থাকবো।
আঙ্কেল:- ঠিক আছে তোমার যেইটা ভালো লাগে সেইটা নিয়ে যেয়ো।
আমি:- ঠিক আছে সময় হলে আপনার কাছে চাইবো তখনি দেখি মিম আমার দিকে চোখ গুলো বড় বড় করে চেয়ে আছে। তখনি একটা মেয়ে এসে আমাকে বলে
হায় আমি রিতা চলেন আপনাকে গেস্ট রুমে নিয়ে যায়।
আমি:- আল মোহাম্মদ সৌরভ ছোট করে সৌরভ বলতে পারেন তবে আপনি আমাকে তুমি করে বলবেন কেমন?
রিতা:- ঠিক আছে চলো রুমে যাওয়া যাক?
আমি:- হ্যা চলো তারপর আমাকে একটা রুমে নিয়ে এসেছে রুমটা অনেক বড় দেখতেও অনেক সুন্দর। আচ্ছা রিতা তুমি থাকো কোথায়?
রিতা:- এর পাশের রুমটা মিম আপুর আর এর পরেরটা আমার।
আমা:- মিম তোমার আপন বোন হয়?
রিতা:- না মিম আপুর কোন ভাই বোন নেই মিম আপু একা, তবে আমি মিম আপুর আপন চাচাত বোন।
আমি:- ওত তরি তোমাকে তো খুঁজতেছি আচ্ছা তোমার নাম্বারটা দাও তো?
রিতা:- মানে?
আমি:- তোমার মোবাইল নাম্বারটা দাও।
রিতা:- কিন্তু কেনো?
আমি:- আমার যদি কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় তাহলে তোমাকে ফোন করে চেয়ে নেবো! আসলে এখানে মিম ছারা আমি কাওবে চিনিনা আর মিম হচ্ছে এখন বিয়ের কনে ওকে কি যখন তখন ফোন করে ডিসট্রাব করাটা ঠিক হবে? আর তাছারা সবাই কি ভাববে বলো দেখি আরও কিছু পাম টাম দিয়ে নাম্বারটা চাইলাম।
রিতা:- ঠিক আছে তাহলে মোবাইলে উঠিয়ে রাখেন ০১৮৫৭৫৫ তখনি মিম এসে বলে!
মিম:- রিতা তুই কাকে নাম্বার দিতেছিস?
রিতা:- সৌরভকে।
মিম:- ওর তোর নাম্বার কেনো নিতেছে জানিস?
রিতা:- হ্যা ওর কিছু দরকার হলে আমার কাছ থেকে চেয়ে নিবে।
মিম:- দুর বোকা ওর কোন কিছুর প্রয়োজন হলে ও নিজেই গিয়ে নিয়ে নিবে। তোর নাম্বার নিতেছে তোকে পটিয়ে তোর সাথে প্রেম করবে বলে।
রিতা:- তাহলে তো নাম্বার দেওয়ার কোনো প্রশ্ন আসেনা তবে আপু ছেলেটা কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর এমন ছেলেকে হাত ছারা করাটা কি ঠিক হবে?
মিম:- কি বললি তুই? চল এখুনি আমি চাচি মাকে সব বলে দিবো বলে মিম রিতার হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে যেতেছে তখনি মিম আর রিতা দুজনে পেছনে তাকিয়েছে দুই ভাবে আর আমি সাথে সাথে এক চোখ টিপ মারছি আর তখনি মিম আর রিতা দুজনে হাসি দিয়ে চলে গেলো। To be continue,,,
!!
গল্প:- একতরফা_ভালোবাসা
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
প্রতিটা পর্ব পাবেন ঠিক রাত ৮টার পর আর পরর্বতি পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে।