গল্প:-একতরফা_ভালোবাসা পর্ব:-(০৬)
লেখা_ AL_Mohammad_Sourav
!!
মনে হচ্ছে তুমি আমাকে জোর করে বিয়ে করবে এমন ভাবে কথা বাত্রা বলতেছো! আমি তো তেমাকে বলছি আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা! তাও এতদিন পর এসে আমাকে জোর করছো কেনো?(আমি)
সোনালী:- যদি মনে করো জোর করতেছি তাহলে তাই! তোমাকে এবার বিয়ে করতেই হবে! আমি আর কোনো কথা শুনতে চাইনা।
আমি:- তোমার কি বিয়ে ছারা আর কোনো কথা নেই? সাড়াক্ষন কি মাথায় বিয়ে ঘুর পাক খায় নাকি?
সোনালী:- তোমার সমস্যা কি বলো তো তোমার পেছনে অনেক মেয়ে ঘুরে তার জন্য দেমাক দেখাও! তুমি জানো আমার পেছনে কত ছেলের লাইন লেগে থাকে?
আমি:- বুঝেছি তোমার মাথায় গন্ডগুল আছে! তুমি থাকো আমি গেলাম।
সোনালী:- আমার মাথা তো একদম ঠিক আছে! মনে হচ্ছে তোমার মাথায় গন্ডগুল আছে! আচ্ছা তুমি তো মেয়েদের মন খুব সহজে জয় করতে পারো তাহলে মিমের মনটা জয় করতে পারলেনা কেনো?
আমি:- তোমাকে কে বলছে মিম আমাকে ভালোববাসেনা! মিম আমাকে ভালোবাসে তবে ওর আব্বুর সম্মানের দিকে তাকিয়ে কিছু বলেনি।
সোনালী:- তাহলে তুমি ঐদিন আসার সময় মিম তোমাকে আটকালোনা কেনো?
আমি:- কারন মিম জানে আমি কাছে থাকলে ও অন্য কাওকে বিয়ে করতে পারবেনা তাই।
সোনালী:- তুমি তাহলে ঐদিন মিমকে আসার সময় থাপ্পরটা দিলে কেনো?
আমি:- এখন আবার হঠাত এই কথা বলতেছো কেনো?
সোনালী:- হঠাত মনে হলো তাই বললাম। এখন এত কিছু বুঝিনা চলো আমার সাথে কাজি অফিসে যাবে আজকেই বিয়ে হবে। তখনি আপু বলে,,
আপু:- সৌরভ এই মেয়েটা কেরে কখন ধরে আবল তাবল বলে যাচ্ছে?
আমি:- মিমের মামাত বোন লাগে ওর নাম সোনালী মিমের বাড়িতে পরিচয় হয়ছে।
আপু:- এই মেয়ে তোমার সাহোস দেখে বাছিনা আমার ভাইকে বিয়ে করতে চাও! তোমার মামাত বোনের জন্য আমার ভাইটা কত কষ্ট করেছে আবার তুমি এসেছো নতুন করে কষ্ট দিতে? আমরা এখন সৌরভকে বিয়ে করাবোনা দেখি তুমি কি করতে পারো।
সোনালী:- বিয়ে করাতে হবে আর তানা হলে আমি জোর করে করিয়ে দিব।
আমি:- তুমি কি শুরু করে দিলে বলতো? এখন তুমি যাও আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা! আর তোমাকে বউ হিসাবে মেনে নিতে পারবোনা।
সোনালী:- মানে আমি কেনো বিয়ে করতে যাবো তোমাকে?
আমি:- একটু আগেই তো আমাকে বিয়ে করতে চাইছো এখন আবার না করতেছো?
সোনালী:- হ্যা বলছে তবে,,
আমি:- তাহলে তুমি এখন না করো কেনো? এই আপু চল ওর মাথায় গন্ডগুল আছে আমরা চলে যাই এই বলে আমি আর আপু চলে আসতেছি যখনি সিঁড়ি দিয়ে নিছে নামতেছি তখনি দেখি রাসেল উপরে উঠতেছে! আমি ব্যাগটা মুখের সামনে দিয়ে চলে আসছতেছি তখনি একজনের সাথে ধাক্কা খেয়েছি না তাকিয়ে স্যরি বলে চলে এসেছি সোজা শুরুমে। আর আপু চলে গেছে ওর বাসায়। হঠাত করে আবার মিমের কথা মনে পরে গেলো সোনালী ঠিকই বলছে মিমকে আমি পটাতে পারিনি। এই কথা গুলা ভাবতেছি তখনি চেয়ে দেখি সোনালী আসতেছে আমাদের শুরুমের দিকে। এই মেয়েটাকে মন চাচ্ছে কানের নিছে দিয়ে বিয়ের ভূতটা মাথা থেকে নামিয়ে দেই। তখনি আমি গিয়ে পেছনে লুকিয়ে পরছি, এমনি আব্বু বলে,,
আব্বু:- কিরে সামনে কাস্টমার আর তুই পেছনে লুকিয়ে আছিস কেনো?
আমি:- কাস্টমার দেখে কি হয়ছে তুমি কথা বলো আমার পেট ব্যাথা করতেছে।
আব্বু:- দেখছিসনা আমি একজনের সাথে কথা বলতেছি! তাড়াতাড়ি করে সামনে এসে কথা বল।
আমি:- হ্যা আসতেছি বলে মাথাটা নিছের দিকে তাকিয়ে এসেছি সামনে তারপর বলতেছি এই তোমার সমস্যা কি আমার পিছু নিয়েছো কেনো কানের নিছে দুই একটা পরলে গিয়ে বুঝবে কত ধানে কত চল। তখনি আমার গালে ঠাস করে পরেছে একটা থাপ্পর চেয়ে দেখি একটা লম্বা মহিলা।
তুই কি দিবিরে আমি নিজেই তোকে দিয়ে দিয়েছি আমার মেয়ের সাথে টাংকী মারতে চাস! আজকের পর যদি আমার মেয়ের দিকে তাকাস তাহলে খবর করে ছেরে দিবো আমি হলাম একজন মহিলা সমিতির সভাপতি আরও কিছু বলে চলে গেলো। তখনি,,
আব্বু:- যাক একদম ঠিক কাজ করেছে শুধু মেয়ে দেখলে লাইন মারতে চাস এইটার জন্য তুই নিজেই দায়।
আমি:- আচ্ছা আমি এখুনি আম্মুকে বলে দেবে ফোন করে তুমি আমাকে অন্য মহিলা দিয়ে মার খায়েছো?
আব্বু:- এই আমি কখন তোকে মার খাইয়েছি।
আমি:- আমি তো ঐখানে লুকিয়ে ছিলাম তখনি তুমি আমিকে ঢেকে এনে থাপ্পরটা খাইয়েছো? তখনি দেখি আবার ঐ মহিলাটা আসতেছে সাথে একটা সুন্দর দেখতে মেয়ে আছে। আমি সোজা শুরুমের একদম পেছনে গিয়ে লুকিয়ে পরেছি। তখনি মহিলাটা এসে আব্বুর কাছে ক্ষমা চাইতেছে বলতেছে ভুলে আমি আপনার কর্মচারীর গায়ে হাত উঠিয়ে ফেলছি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
আব্বু:- ঠিক আছে আর ঐটা আমার ছেলে কর্মচারী নই। তখনি আমি বের হয়ে এসেছি সামনে তারপর ওনি আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলতেছে বাবা আমার ভুল হয়ে গেছে।
আমি:- ভুল হয়ে গেছে মানে? না যেনে শুনে একজনের গায়ে হাত উঠিয়ে দিবেন? এখন আমি আপনার নামে মান হানির মামলা করবো।
মহিলা:- দেখ বাবা যেইটা হয়ে গেছে সেইটা নিয়ে জ্বামেলা করার কি দরকার! আমার মেয়ে ঠিক করে বলতে পারেনি তাই ভুলে তোমার সাথে ঝগড়াটা হয়ে গেছে! আর আমি তো তোমার মায়ের মত তাইনা এই নাও আমার বাসার ঠিকানা যদি সময় পাও তাহলে এসো একদিন।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে মায়ের মত বলে ছেড়ে দিলাম। আচ্ছা আন্টি একটা কথা বলবো?
মহিলা:- হ্যা বাবা বল?
আমি:- আপনাকে দেখে মনে হচ্ছেনা এইটা আপনার মেয়ে। আপনি ভালো করে মান্জা দিলে এখনো বয়স ২২ মনে হবে। তারপর আরো কিছু পাম টাম দিয়ে ভাব লাগিয়ে নিলাম এর পর ওনারা চলে গেলো।
আব্বু:- তোর জন্য আমার ব্যাবসা লাঠে উঠবে?
আমি:- উঠলে উঠবে আর দেখছো আমার কত পাওয়ার! আচ্ছা দুই হাজার টাকা নিয়ে গেলাম ক্যাশ থেকে এইটা হঠাত খরচ বাবদ লিখে রেখো। এই কথা বলে শুরুম থেকে বেরিয়ে আসছি একটু আন মনা হয়ে হাটতেছি আর একজনের সাথে ধাক্কা লেগে ওনার হাতের ব্যাগটা পরে গেছে। আমি ব্যাগটা নিছ থেকে উঠিয়ে ওনার হাতে দিবো তাকিয়ে দেখি রাসেল। হাতে ব্যাগটা দিয়ে চলে আসতেছি তখনি,,
রাসেল:- সৌরভ দ্বাড়াও কিছু কথা আছে।
আমি:- এখন কোনো কথা শুনতে পারবোনা! আমার কাজ আছে বলে চলে আসলাম এসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতেছি তখনি আম্মুর ফোন রিসিব করতেই।
আম্মু:- সৌরভ তুই তাড়াতাড়ি করে বাসায় আয় আজ তোকে নিয়ে আমি এক যায়গায় যাবো।
আমি:- হ্যা আসতেছি, বলে কিছুক্ষন পর বাসায় গেলাম। গিয়ে দেখি আম্মু রেডি হয়ে আছে আমাকে দেখেই বলে,,
আম্মু:- সৌরভ এত দেরি করলি কেনো এখন তাড়াতাড়ি চল আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আমি:- এখন কোথায় যাবে এতা তাড়া হুরা করে?
আম্মু:- বিয়ে বাড়িতে আর আমি একা যেতে পারবোনা যা গাড়িটা বের করে নে।
আমি:- কার বিয়ে আর কোথায় যাবে বিয়ে খেতে?
আম্মু:- আমার বান্ধবীর মেয়ের বিয়ে আর বলছে তোকে সাথে করে নিয়ে যেতে।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে সাটটা চেন্জ করে আসি! তারপর গিয়ে সাটটা চেন্জ করে এসে গাড়িটা বের করে আম্মুকে সাথে করে নিয়ে ওনার বান্ধীর বাসায় গেলাম। বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখছে আমি গাড়িটা পার্কিং করে ভীতরে ঢুকছি! বাহা বরটা অনেক সুন্দর তো তারপর আম্মু এসে আমাকে ওনার বান্ধবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। আম্মু যেখানে যায় আমার হাত ধরে সাথে সাথে নিয়ে যাই। আমার যা খারাপ লাগছে ইচ্ছে করছে পালিয়ে যাই একটু পর দেখি বিয়ের কনে নিছে নামতেছে বাহা যেমন বর তেমন বউ খুব সুন্দর মানিয়েছে।
আম্মু:- ইসস যদি আগে জানতাম এমন একটা মেয়ে আছে তাহলে আমি তোকে দিয়ে বিয়ে করিয়ে নিয়ে যেতাম।
আমি:- যাক এখন তো ওর বিয়ে হয়ে গেছে সুতুরাং অন্য মেয়ে দেখো তখনি আম্মু আমার দিকে তাকাতে ছিলো আর আমি ঘুরে চলে যেতে ছিলাম তখনি এক ধাক্কা খেয়ে বসেছি। নিছের দিকে তাকিয়ে সরি বলে যখনি চলে আসতে ছিলাম তখনি দেখি আমার সাটের বুতামের সাথে একটা চেইন লেগে আছে আমি অবাক হয়ে গেলাম তারপর নিজেকে ছারিয়ে নিতে চেষ্টা করতেছি তখনি একটা মেয়েটা আমার কান ধরে বলতেছে এখানে এসেও মেয়ে পটাতে শুরু করে দিয়েছো! তাকিয়ে তো পুরাই অবাক আরে তুমি এখানে কি করে? চলবে,,,,