গল্প:-একতরফা_ভালোবাসা পর্ব:-(০৫)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
মিম আমার কোলে শুয়ে আছে কোনো সাড়া শব্দ নেই তখনি মিমের বাবা, মা, আর বাকি সবাই এসেছে! মিমকে আমার কোলে দেখে আঙ্কেল জিজ্ঞেসা করতেছে মিমের কি হলো আর তুমি এত জুড়েড়ে ডাক দিলে কেনো?
আমি:- আঙ্কেল আমি কিছু বুঝতে পারতেছিনা হঠাত করে মিম অজ্ঞান হয়ে গেছে কোনো কথা বলতেছেনা।
আঙ্কেল:- কোথায় দেখি তারপর ওনি মিমকে দেখে বলে তারা তারি করে মিমকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে! চলো এখুনি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
আমি:- হ্যা এখুনি বলে মিমকে আমি কোলে তুলে নিলাম! তারপর গাড়িতে করে ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। মিমকে বড্ড বেশি মিস করতেছি তখন যদি মিমের সাথে আমি ঠিক করে কথা বলতাম তাহলে হয়তো মিম অজ্ঞান হয়ে যেতনা। কিছুক্ষন পর ডাক্তার বলে,,,
ডাক্তার:- ভয়ের কোন কারন নেই আসলে কিছু দিন একটু বেশি চিন্তা করছে হয় তো তাই হঠাত করে অজ্ঞান হয়ে গেছে।
আঙ্কেল:- তাহলে কি আমরা মিমকে এখন বাসায় নিয়ে যেতে পারবো?
ডাক্তার:- হ্যা নিয়ে যেতে পারবেন তবে ওকে একটু রেস্টে থাকতে দিবেন আর ওর যেইটা ভালো লাগে ঐটাই করতে দিবেন।
আঙ্কেল:- ঠিক আছে ধন্যবাদ আপনাকে আর সৌরভ তুমি মিমকে নিয়ে এসো আমি বাড়িতে ফোন করে বলে দেয় মিম সুস্থ আছে।
আমি:- ঠিক আছে তারপর আমি রুমে গিয়ে দেখি মিম বসে আছে কি ব্যাপার মহারানি আমাকে ছেরে একাই যেতে চাই ছিলেন?
মিম:- মানে কোথায় যেতে ছিলাম?
আমি:- উপরে।
মিম:- আমি মরে গেলে তোমার জন্য ভালোই হবে তুমি সোনালীর সাথে বিয়ে করে সূখের সংসার করতে পারবে।
আমি:- তুমি বেছে থাকলে কি কেও মানা করবে নাকি, এখন চলেন আঙ্কেল গাড়িতে বসে আছে আমাকে বলছে আপনাকে নিয়ে যেতে বলে হাতটা বাড়িয়েছি।
মিম:- থাক আমি নিজেই হেটে যেতে পারবো। বলে মিম চলে আসতেছে তখনি,,
আমি:- মিম বলে গিয়ে সোজা কোলে তুলে নেই।
মিম:- তোমার সাহোস দেখে বাছিনা আমাকে তুমি কোলে তুলেছো যদি আব্বু দেখে তাহলে তোমাকে আজ বাড়ি থেকে বের করে দিবে।
আমি:- দেখি আমার হুব শ্বশুড় কি করে মিমকে কোলে নিয়ে বের হয়ে আসতেছি আর হাসপালের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে! মিমও এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে আমি মিমের দিকে তাকালাম ইচ্ছে করছে ওর তিলটা একটু আলতু করে ছুয়ে দেয়।
মিম:- এই তোমার কিন্তু মতলব আমার কাছে ঠিক লাগছেনা। আমি ঠিক বুঝতে পারতেছি তুমি কি করতে চাচ্ছো।
আমি:- এই তুমি মনে মনে কথা বললে বুঝতে পারো নাকি?
মিম:- হ্যা বুঝতে পারি তোমার ইচ্ছে করছে আমাকে কিস করতে তাইনা?
আমি:- আরে তুমি দেখি সব কিছু বুঝতে পারো, তাহলে আমি কিসটা করে ফেলি, বলে মিমকে কিস করে দিলাম ওর ঠোটে তখনি দেখি একটা পিচ্চি মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসতাছে আর মিম আমার কান জালা ফালা করতেছে আমার বারোটা বাজাচ্ছে বকা জকা করে।
তখনি বলি এই মিম তোমার আর আমার এমন একটা কিউট মেয়ে হবে তাইনা।
মিম:- আমি মরে যাবো তাও তোমাকে কোনোদিন ভালোবাসবোনা।
আমি:- এখন নামো বের হলে তোমার আব্বু দেখবে আর ওনি যদি দেখে আমি তোমাকে কোলে নিয়ে রাখছি তাহলে আমার বারটো বাজাবে।
মিম:- আমি নামবোনা দেখি তোমার কত সাহোস।
আমি:- ঠিক আছে আমি নামিয়ে দিতেছি বলে মিমকে নামিয়ে সোজা হাটা দিয়েছি। আর মিম আমাকে ডর পোকা ভিতুর ডিম এসব বলে বলে আমার পিছু পিছু এসেছে গাড়ির সামনে।
আঙ্কেল:- মিম তুই এখন ঠিক আছিস তো?
মিম:- হ্যা ঠিক আছি।
আমি:- তাহলে আমরা এখন বাড়িতে যাই।
আঙ্কেল:- হ্যা ঠিক আছে চলো তারপর আমি গাড়িটা চালাচ্ছি তখনি আঙ্কেল বলে রাসেল ফোন করেছে অনেক বার রাসেল অনেক চিন্তা করেছে তোর জন্য যদি ওর কাজ না থাক তো তাহলে আজ চলে আসতো কিন্তু আমি বলছি তুই এখন অনেকটা ঠিক আছিস। আর বিয়ের তো মাত্র দুই দিন বাকি তাই বলছি একে বারে বিয়ের দিন আসতে।
মিম:- ঠিক আছে মনটা একদম খারাপ করে কথা বলছে মনে হলো।
আমি:- আঙ্কেল একটা কথা জিজ্ঞেসা করবো।
আঙ্কেল:- হ্যা সৌরভ বলো তুমি কি বলবে?
আমি:- আপনি কাওকে কখনো ভালোবাসছেন বিয়ে আগে।
আঙ্কেল:- না এসব ভালোবাসা টাসা আমাদের সময় ছিলোনা তবে একটা মেয়েকে আমার খুব ভালো লাগতো কিন্তু কোনোদিন কথা বলার সাহোস হয়নি তার কিছু দিন পর মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়।
আমি:- আপনি একবার বলে দেখতেন।
আঙ্কেল:- ঐসময় আব্বু যা বলতো তাই করতে হতো।
আমি:- তারমানে আপনি আপনার আব্বুর পচলিত নিয়ম মেনে চলেন। নিজের শিদ্দান্ত অন্যের উপর চাপিয়ে দেন।
আঙ্কেল:- তুমি কি বলতে চাইছো?
আমি:- কিছুনা শুধু বলতে চাইছি আপনি যখন মিমের বিয়ে ঠিক করেছেন মিমকে কি জিজ্ঞেসা তখনি,,
মিম:- সৌরভ তুমি একটু থামো আমার মাথা ব্যাথা করতেছে। এত কথা তুমি বলতে পারো তুমি এখন আগের চাইতে বাছাল হয়ে গেছো।
আমি:- আরে আমি তো,,
মিম:- থাক এখন আর রিপিট করোনা আমার ভালো লাগছেনা।
আঙ্কেল:- সৌরভ ঠিক আছে তাহলে এখন চুপ থাকো।
আমি:- ঠিক আছে, তারপর চুপ করে গাড়িটা চালাচ্ছি আর মিমকে দেখতেছি, মিম যত বার লোকিং গ্লাসে তাকাই ততবার আমি মিমকে চোখ টিপ দিয়ে দেয়। কিছুক্ষন পর বাড়িতে এসেছি, গাড়িটা থামিয়েছি, আমি আগেই নামছি যখনি মিম নামতে গেছে তখনি পরে যেতে ছিলো তখনি আমি ধরে ফেলি।
আঙ্কেল:- মিম তুই ঠিক আছিস মা।
মিম:- হ্যা ঠিক আছি।
আমি:- দাও আমি তোমাকে হাত দিয়ে ধরে নিয়ে যাই।
মিম:- থাক আমি যেতে পারবো।
আমি:- ঠিক আছে বলে মিমকে কোলে তুলে নিলাম মিমের আব্বুর সামনে মিম অবাক হয়ে আছে আঙ্কেল আমার দিকে তাকিয়ে আছে তবে রাগি চোখে নই একটু অবাক দৃষ্টিতে।
মিম:- তুমি আমাকে কোলে তুললে কেনো?
আমি:- তুমি বার বার পরে যাবে এইটা আর যাই হোক আমার ভালো লাগবেনা, বলে মিমকে কোলে করে নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকতেছি। আর বাড়ির সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর আমি মিমকে ওর রুমে নিয়ে গিয়ে শুয়ে দিয়েছি তারপর এক এক করে সবাই রুমে এসেছে। সবাই মিমকে দেখে চলে গেছে তারপর মামুনি মিমের জন্য দুধ নিয়ে এসেছে তখন আমি বাহিরে চলে যেতে ছিলাম। এমনি মামুনি আমার হাতে দুধের গ্লাসটা ধরিয়ে বলে,,
মামুনি:- সৌরভ তুমি একটু মিমকে দুধটা খাইয়ে দাওনা বাবা আমার একটু কাজ আছে তোমার আঙ্কেলকে খাবার দিতে হবে।
আমি:- হ্যা দেন তারপর আমি মিমকে দুধটা খাইয়ে দিতে গেছি তখনি,,
মিম:- দাও আমি নিজেই খাবো।
আমি:- মামুনি বলছে আমি তোমাকে খাইয়ে দিতে সুতুরাং আমি তোমাকে খাইয়ে দিবো।
মিম:- তাহলে আমি খাবোনা।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি মামুনিকে গিয়ে বলি তুমি দুধ খাবেনা কথাট বলে যেতেছি তখনি মিম আমার হাতটা ধরে বলে,,
মিম:- ঠিক আছে।
আমি:- তাহলে উঠে বসো, এরপর মিমকে দুধটা খাইয়ে দিতেছি মিম আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর মিমকে দুধটা খাইয়ে দিয়ে চেয়ে দেখি মিমের ঠোটের উপর সর পরে আছে আমি হাত দিয়ে সরটা পরিষ্কার করে দিয়েছি মিম আমার দিকে তাকিয়ে আছে, তারপর আমি চলে আসতেছি এমন সময় মিম বলে,,,
মিম:- সৌরভ তোমাকে আমি ভালোবাসতে পারি একটা শর্তে।
আমি:- হ্যা বলো কি তোমার শর্ত।
মিম:- আমাকে সবার সামনে কিস করতে পারবে?
আমি:- বুঝতে পারছি তুমি বলতে চাচ্ছো আমাকে বাড়ি থেকে বের করতে চাচ্ছো তাইনা। ঠিক আছে ট্রাই করবো।
মিম:- তবে সবাই বুঝতে পারে যাতে তুমি আমাকে ভালোবেসে কিস করেছো।
আমি:- সবাই বুঝবে কিনা জানিনা তবে একজন ঠিকই বুঝবে, তার আগে এখন তোমার কপালে একটা কিস করতে হবে বলে সোজা কিস করে দৌরে বের হয়ে চলে এসেছি তখনি এক ধাক্কা, সাথে সাথে নিছে পরে গেছি চেয়ে দেখি সোনালী।
সোনালী:- সৌরভ তোমার কি মেয়েদের সাথে ধাক্কা খেতে মন চাই, আর নিজের চোখ গুলো কোথায় রাখো।
আমি:- কোথায় আবার আমার কাছেই, তবে জানো সোনালী তোমাকে দেখলে ইচ্ছে করে তোমার সাথে ধাক্কা খায়।
সোনালী:- হয়ছে এখন আমাকে টেনে তুলো।
আমি:- হ্যা হাত দাও, যখনি সোনালীকে টেনে তুলতেছি তখনি দেখি মিম সামনে দাড়িয়ে আছে আমি ভয়ে চোখ গুলো বন্ধ করে নিয়েছি। অনেক্ষন ধরে চোখ বুঝে আছি কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছিনা তাই চোখ খুলে দেখি কেও সামনে নেই। যাক বাবা এবারের মত বাচা গেলো যাই রুমে গিয়ে দেখি কি অবস্তা রুমটার। তারপর রুমে গেলাম গিয়ে দেখি রুমটা ঠিকই আছে তারপর ফ্রেশ হয়ে সোজা রাতের খাবার খেতে টেবিলে গেছি দেখি সবাই বসে আছে শুধু দুইটা চেয়ার খালি পরে আছে। আমি মামুনিকে জিজ্ঞেসা করছি এই চেয়ারের লোকটা কোথায়?
মামুনি:- তুমি মিমের কথা বলছো?
আমি:- হ্যা মিম কোথায়?
মামুনি:- মিম ওর রুমে আছে ওর ভালো লাগছেনা নাকি?
আমি:- আঙ্কেল ডাক্তার আপনাকে কি বলছিলো মনে আছে?
আঙ্কেল:- কি বলছিলো?
আমি:- মিম একটা কিছু নিয়ে চিন্তা করতেছে, যার কারনে হঠাত করে অজ্ঞান হয়ে গেছে এখন যদি মিম রুমে একা একা থাকে তাহলে তো মিম আবার চিন্তা করবে।
আঙ্কেল:- হ্যা ঠিক কথা বলছো মিমের আম্মু তুমি মিমকে ঢেকে নিয়ে এসো।
আমি:- না আঙ্কেল ঢেকে আনলে তো সমস্যা সমাধান হবেনা, মিম তো এখানে আসতে চাইছেনা, তাই মিমের যেইটা ভালো লাগে ঐটা করতে হবে।
আঙ্কেল:- হ্যা তাহলে কি করা যায়।
আমি:- যদি কিছু মনে নি করেন তাহলে মিমরের খাবার ওর রুমে পাঠিয়ে দেন।
আঙ্কেল:- হ্যা তা ঠিক বলছো এক কাজ করতো মিমের খাবারটা রুমে পাঠিয়ে দাও।
মামুনি:- হ্যা আমি নিয়ে যাচ্ছি।
আমি:- আরে মামুনি আমি থাকতে আপনি কেনো যাবেন দেন আমার কাছে আমি মিমের খাবারটা দিয়ে আসি। আমার তো কোনো কাজ নেই এখানে আর আপনার তো অনেক কাজ তাইনা।
আঙ্কেল:- তুমি নিয়ে যাবে?
আমি:- হ্যা আঙ্কেল আমি নিয়ে যাই অবশ্য যদি আপনার কোনো সমস্যা না থাকে তখনি,, মামুনি বলে
মামুনি:- কোনো সমস্যা হবেনা বাবা তুমি নিয়ে যাও।
আমি:- ঠিক আছে, তারপর মিমের খাবারটা নিয়ে ওর রুমে গেলাম গিয়ে দেখি মিম বসে আছে আমাকে দেখেই বলে,,
মিম:- তুমি আবার এখানে এসেছো?
আমি:- তোমাকে জ্বালাতে আমার খুব ভালো লাগে নাও এখন খাবারটা খেয়ে নাও।
মিম:- আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা।
আমি:- যদি আমি তোমাকে খাইয়ে দেই তাহলে খাবে?
মিম:- তাহলে কিছুটা খেতে পারি।
আমি:- ঠিক আছে নাও হা করো, তখনি মিম হা করছে আমি মিমকে খাইয়ে দিতেছি এক এক করে সব গুলা খাইয়ে দিলাম। তারপর লাস্টে যখন খাইয়ে দিয়ে হাতটা বের করতে যাবো তখনি আমার আঙ্গোলে কামর দিয়ে দিয়েছে। আর আমি চিৎকার দিয়ে উঠেছি, আরে মিম তুমি এইটা কি করলে কামর দিলে কেনো?
মিম:- এর পর কাওকে যখন খাইয়ে দিবে তখন আমার কথা যাতে তোমার মনে পরে।
আমি:- আচ্ছা মিম আমি কি এতটাই খারাপ যে আমাকে ভালোবাসতে পারলেনা।
মিম:- আমি তোমাকে যেই শর্তটা দিয়েছি সেইটা যদি পূরুন করতে পারো তাহলে ভেবে দেখবো তোমার হাতে আর মাত্র দুইদিন সময় আছে।
আমি:- ঠিক আছে এখন আমি যাই তারপর আমি রুম থেকে বেরিয়ে সোজা আমার রুমে চলে আসলাম, এসে সোজা খাঠের এক ঘুম, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়িটা সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছে একদম বিয়ের সাজে সাজিয়ে নিয়েছে, তখনি বুকের ভিতরটা একটা কেমন জানি করে উঠলো। আমি দাড়িয়ে আছি তখনি সোনালী এসেছে সাথে আরো কিছু মেয়ে নিয়ে।
সোনালী:- সৌরভ চলো আজকে আমাকে তুমি শাড়ি পরিয়ে দিবে।
আমি:- ঠিক আছে, তারপর গিয়ে সোনালীকে শাড়ি পরিয়ে দিয়ে চলে আসবো তখনি অনেক গুলা মেয়ে শাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে আর বলতেছে আমাদের সবাইকে ওর মত করে শাড়ি পরিয়ে দিতে হবে। তারপর এক এক করে সবাইকে সাড়ি পরিয়ে দিতে দিতে বিকাল হয়ে গেছে, তখনি একটা পিচ্ছি মেয়ে এসে বলছে বাহিরে নাছ হচ্ছে সবাইকে যেতে বলছে। তারপর সবাই দৌরে চলে গেলো আমি পিছু পিছু গেলাম, গিয়ে দেখি আঙ্কেল আর মামুনি নাছতেছে আর সবাই হাত তালি দিতেছে, ওনাদের নাছ শেষ হবার পর সোনালী এসে বলছে,,
সোনালী:- সৌরভ চলো আমরা দুজনে নাছ করবো?
আমি:- না থাক তুমি যাও আমার ভালো লাগছেনা তখনি সোনালী আমাকে হাত ধরো টেনে নিয়ে গেছে, তারপর আমি সোনালী রিতা সহ সবাই নাছতেছি এমন সময় মিমও এসেছে আমাদের সাথে আর আমি তখনি মিমকে টান মেরে কাছে নিয়ে এক কিস করে বসি সাথে সাথে সবাই চুপ চাপ হয়ে গেছে এমন কি মিউজিকও অফ হয়ে গেছে, তখনি মিম আমাকে এক থাপ্পর দিয়ে বলে তুই আমাকে কিস করলি কেনো? তখনি আঙ্কেল এসে বলে,,,
আঙ্কেল:- আরে মিম তুই সৌরভকে থাপ্পর দিতে গেলি কেনো ও অনেক খুশি হয়ছে তাই তো তোকে কিস করছে ঠিকনা সৌরভ?
আমি:- হ্যা ঠিকই বলছেন আঙ্কেল।
আঙ্কেল:- সবাই এইটা কিছু মনে করিয়েন না সৌরভ অনেক খুশি হলে যাকে কাছে পায় তাকে কিস করে, এখন মিমকে নিয়ে সবাই গায়ে হলুদ দিয়ে দাও, তখন সবাই মিমকে নিয়ে গায়ে হলুদ দিতে নিয়ে গেছে। আঙ্কেল আমাকে বলে সৌরভ তুমিও গিয়ে মিমকে হলুদ দিয়ে এসো।
আমি:- হ্যা যেতেছি, বলে মিমের কাছে এসেছি তখনি একজন বলছে এই নুর তোর মেয়েকে কই বার বিয়ে দিবি? আমি তাকিয়ে তো পুরাই অবাক আরে ওনি এখানে আসছে কেনো? যাই তারা তারি করে গিয়ে ব্যাগটা নিয়ে কেটে পরি তানা হলে আজকে আমার কপালে খারাপি আছে তখনি ওনি বলে,,,
একবার তো মিমের বিয়ে হয়ছে এখন আবার কার সাথে মিমের বিয়ে দিবি? এখন আবার কি নতুন করে কারো সাথে বিয়ে দিবি, আর এই মেয়ে তোমার এত সুন্দর একটা বর থাকতে তুমি আবার বিয়ে করতে যাচ্ছো কেনো?
আঙ্কেল:- এই আপনি কি বলছেন এইসব মিমের বিয়ে হয়ছে মানে মিমের বিয়ে তো আগামীকাল হবে রাসেলের সাথে।
আরে দূর রাখ আগামীকাল বিয়ে তোর মেয়ের বরটা কি সুন্দর রাজপুত্র এমন একটা বর রেখে আবার নতুন করে বিয়ে দিবি ছি ছি ছি। আর এই মেয়ে তুমি কিছু বলছোনা কেনো তোমার বরটা কোথায়, নাকি তুমি নিজেই এমন সুন্দর বরটাকে তারিয়ে দিয়েছো?
মিম:- আরে আপনি কি বলছেন আমার বর মানে কি যাতা বলছেন আমার তো বিয়ে হয়নি।
বুঝতে পারছি তুমি ছেলেটাকে তারিয়ে দিয়েছো মাত্র ২০ দিন হয়েছে তোমাদের বিয়ের মেয়াদ আর এখুনি ছেরে দিয়ে আরেক জনকে বিয়ে করার জন্য রেডি হয়ে গেছো?
আঙ্কেল:- এই আপনার সমস্যা কি একটু খুলে বলেন তো, আর মিমের বিয়ে হয়ছে যে তার কোন প্রমান আছে কি?
প্রমান দিয়ে কি করবে তার চাইতে আগে নিজের মেয়েকে জিজ্ঞেসা করে দেখো রাস্তায় আমার সাথে একটা ছেলে তোর মেয়েকে বউ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, আর বলছে ৪দিন হয়ছে ওদের বিয়ের বয়স।
আঙ্কেল:- আপনার কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে? তখনি আমি এক পা দু পা করে পেছনের দিকে যেতেছি, যখনি ঘুরে রুমের দিকে যেতেছি এমন সময় ঐ লোকটা বলে,,
ঐতো আপনার মেয়ের জামাই ঐ ছেলেটাই রাস্তায় মিমের স্বামি বলে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আমার দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলে। (এতক্ষন যে লোকটার কথা বলছি ওনি হচ্ছে সেই ভদ্র মহিলা যার সাথে প্রথম দিন আমাদের রাস্তায় দেখা হয়ে ছিলো) তখন তো নিজেকে বাচানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে ছিলাম এখন কি করবো বুঝতে পারছি আজকে আমার এই বাড়িতে শেষ দিন। সৌরভ তুমি এদিকে এসো।
আমি:- হ্যা আসতেছি, তারপর ওনার কাছে গেলাম।
আঙ্কেল:- জাহানারা আপা যা বলছে তা কি ঠিক? তার মানে এই মহিলাটা এই বাড়ির আত্বীয়। তখনি কি হলো সৌরভ বল তুমি কি আপার সাথে মিমকে তোমার বউ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছো? আর তোমরা কি বিয়ে করেছো? কি হলো সৌরভ চুপ করে আছো কেনো?
আমি:- আঙ্কেল ঠিক তানা আসলে আমি দুষ্টমি করে বলছি।
জাহানারা:- মিথ্যা কথা বলবেনা বলে দিলাম মাঝ রাস্তায় মিম তোমাকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরেছে, আর তুমিও। যদি স্বামি স্ত্রী না হও তাহলে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরেছো কেনো?
আঙ্কেল:- কি বলছেন আপা আপনি?
জাহানারা:- হ্যা আমি ঠিক বলছি আমাকে মিম ঠিক করে চিন্তে পারেনি আমি মিমকে দেখে চিনে নিয়ে ছিলাম আমি ওদের সাথে আসতে চাই ছিলাম কিন্তু ওরা আমাকে সাথে আনেনি। তারপর আমার জুরুরি কাজ পরে যাওয়াতে বাড়িতে চলে যেতে হয় আর আজকে এসে দেখি এই অবস্তা।
আঙ্কেল:- মিম আমি তোকে কত বিশ্বাস করতাম আর তুই আমার বিশ্বাসের এই প্রতিদান দিলি? বলে মিমকে থাপ্পর দিতে ছিলো তখনি আমি ওনার হাত ধরে ফেলি।
আমি:- আঙ্কেল মিমের কোন দোষ নেই সব দোষ আমার আমি মিমকে ভালোবাসি মিম আমাকে ভালোবাসেনা, ওতো আমাকে এখানে আনতে চাইনি আমি জোর করে ওর সাথে এসেছি, যা শাস্তি দিবেন আমাকে দেন। মিমকে কিছু বলিয়েন না।
আঙ্কেল:- হ্যা সব দোষ তোর আসলে আমার প্রথম দিনে বুঝা দরকার ছিলো একটা ছেলে আরেকটা মেয়ের বন্ধুত্তের জন্য এত দূর চলে আসতে পারেনা। বলে আমাকে একটা থাপ্পর দিয়েছে।
জাহানারা:- নুর তুই সোনার টুকরা ছেলেটাকে কেনো মারতেছিস, এক কাজ কর ওদের বিয়ে দিয়ে দে।
আঙ্কেল:- আপনার মাথা ঠিক আছে তো রাত পোহালে রাসেল আসবে বর সেজে মিমকে বিয়ে করতে আর এখন আমি ওদের বিয়ে দিয়ে দেয়। বলে আঙ্কেল আমার কালার ধরে টেনে সোজা বাড়ির বাহিরের গেইটে নিয়ে এসেছে।
আমি:- আঙ্কেল একবার আমার কথাটা একটু বুঝতে চেষ্টা করুন।
আঙ্কেল:- এই আমি তোর কি কথা বুজবো রে? আমার বাড়িতে থেকে আমার বুকের মাঝে চাকু মারতে তোর একটুও বুক কেপে উঠেনি।
আমি:- আমি যখন মিমকে ভালোবেসেছি তখন তো আপনাদের বাড়িতে আসিনি, আমি তো মিমকে সেই কলেজ থেকে ভালোবাসি।
আঙ্কেল:- কি এত দিনের সম্পর্ক অথচ আজ আমি জানতে পারলাম, আর মিম তুই এমন একটা কাজ করতে পারলি।
মিম:- আব্বু আমি তো সৌরভকে ভালোবাসিনা ও আমার সাথে এক প্রকার জোর করে এখানে এসেছে।
আঙ্কেল:- কেও কারো সাথে জোর করে কিছু করতে পারেনা, তুইও ওকে ভালোবাসতি।
আমি:- না আঙ্কেল এইটা একদম মিথ্যা কথা মিম আমাকে কখনো ভালোবাসেনি, ও সব সময় আমাকে ঘৃনা করে আসছে।
আঙ্কেল:- আমি আর কোন কথা বলতে চাইনা এখন তুই আমার সামনে থেকে চলে যা তানা হলে আমি তোকে খুন করে ফেলবো।
আমি:- ঠিক আছে চলে যেতেছি, তবে একটা কথা দয়া করে মিমকে কিছু বলিয়েন না, আসলে আমি ভাবছিলাম যখন আমি মিমকে ভালোবাসবো তখন মিমও আমাকে ভালোবাসতে শুরু করে দিবে একদিন কিন্তু আজ বুঝতে পারলাম ভালোবাসলে হয়না তার জন্য সেই যোগ্যতা থাকা দরকার হয়। আচ্ছা আমি তাহলে আসি আর শেষ বারের মত একটি বার আপনাকে সালাম করতে দিবেন। বলে আঙ্কেলের পা ছুইতে যাবো তখনি ওনি এখান থেকে হেটে চলে গেলো। আমি মিমের দিকে তাকিয়ে চলে আসতেছি তখনি পেছন থেকে কেও আমার হাত ধরছে তাকিয়ে দেখি মিম।
মিম:- কি বলে ছিলাম না তোমাকে আমি কোনো দিনও ভালোবাসবোনা আর একটা কথা শুনে যাও যদি জীবনে আর কোনোদিন আমার সামনেও আসবেনা।
আমি:- ঠিক আছে তুমি ভালো থেকো তবে যাওয়ার আগে তোমাকে কিছু দিতে চাই তোমার বিয়ের গিফিট হিসাবে।
মিম:- তুমি কিছু দিলে আমি নেবো কেনো? তখনি দেখি সোনালী একটা ব্যাগ নিয়ে এদেকি আসতেছে।
সোনালী:- তোমার ব্যাগটা সৌরভ আর চলো আমি তোমার সাথে যাবো।
আমি:- তুমি কোথায় যাবে?
সোনালী:- আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আমি:- কি বলছো তুমি?
সোনালী:- প্লিজ সৌরভ আমি তোমাকে ছারা থাকতে পারবোনা, তুমি আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও।
আমি:- না সোনালী তা হয়না আমি তোমাকে নিতে পারবোনা কারন আমার মন প্রান জোরে একজনি আছে আর সে হচ্ছে মিম। আর মিম বলছে ওর সামনে যেনো না আসি। যদি আমি তোমাকে বিয়ে করি তাহলে ওর সামনে আমাকে একদিন না একদিন পরতে হবে তাই আমি চাইনা মিম আর কোনো কষ্ট পাক আমার জন্য। তখনি সোনালী আমাকে জড়িয়ে ধরছে মিমের সামনে মিম তাকিয়ে আছে আমার দিকে মনে হচ্ছে মিম অনেক কিছু বলতেছে কিন্তু কোনো কিছু প্রকাশ করছেনা।
সোনালী:- না সৌরভ তুমি এমনটা করোনা আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
আমি:- প্লিজ সোনালী তুমি বুঝতে চেষ্টা করো, তারপর সোনালীকে বুঝালাম অনেক কষ্টে, এর পর এক এক করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রিতার কাছে এসেছি যখন তখনি রিতা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়। এর পর রিতার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মিমের সামনে এসেছি।
মিম:- ঠিক আছে তাহলে বাই আজকের পর আর কোনো দিন দেখা হচ্ছেনা তাহলে সৌরভ।
আমি:- এইটা তুমি ঠিক বলছো তবে তোমাকে আমি এমন একটা জিনিস দেবো তোমার সাড়া জীবন মনে থাকবে বলে মিমকে এক থাপ্পর দিয়ে বলি এইটা তোমাকে ফ্রিয়ে দিলাম আমাকে যত গুলা থাপ্পর দিয়েছো তার বদলে। আর সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
মিম:- তুমি আমাকে থাপ্পর দিতে পারলে সৌরভ?
আমি:- স্যরি যদি এইটা না দিতাম তাহলে আমি বেচে থাকতে পারতাম না, তাই এইটা দিয়েছি যাতে করে তোমাকে আমি ঘৃনা করতে পারি। ভালো থেকো আর নতুন জীবনে সূখে থেকো তবে একটা কথা আমার মত তোমাকে এই পৃথীতে কেও ভালোবাসবেনা যদি তোমাকে কেও মন প্রান দিয়ে ভালোবাসে তাহলে সেইটা এক মাত্র এই আমি, অনেক যালাতন করেছি যদি পারো তাহলে ক্ষমা করে দিও। বলে ব্যাগটা নিয়ে হাটা দিয়েছি মিম আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি চলে আসছি বাস স্ট্যান্ড এসে বাসের টিকেট কাটবো পকেটে হাত দিয়ে দেখি মানি ব্যাগটা নেই। তখনি মনে পরেছে ব্যাগটা মিমের রুমে রয়ে গেছে, তারপর হাতের মোবাইলটা বিক্রি করে দিয়ে বাসের টিকেট কেটে সোজা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলাম আর চোখের সামনে মিমের চেহারাটা বেসে উঠছে বার বার, এভাবে কতক্ষন যাওয়ার পর কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক বলতে পারবোনা, যখন ঘুম ভাঙছে চেয়ে দেখি আমি ঢাকা চলে আসছি। তারপর বাস থেকে নেমে সোজা বাসায় গেলাম গিয়ে দরজায় নক করতেই আম্মু এসে দরজাটা খুলে দিয়েছে,,
আম্মু:- কিরে তুই এতদিন পর কোথায় থেকে আসলি?
আমি:- বন্ধুর বাড়ি থেকে, আর কিছু না বলে সোজা রুমে গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিলাম, আম্মু পিছু পিছু এসেছে বক বক করতে করতে আমি কোন উত্তর না দিয়ে চলে এসেছি, মনটা খারাপ করে রুমের সব লাইট অফ করে শুয়ে পরলাম, বিকালে আম্মুর বকা বকিতে উঠেছি, তারপর আম্মুকে আর আব্বুকে সব কিছু খুলে বলছি,, সব কিছু শুনে আব্বু বলে,,
আব্বু:- তাহলে এক কাজ কর তুই এখন একটা বিয়ে করে নে?
আমি:- আম্মু তুমি আব্বুকে কিছু বলবে নাকি বাড়ি ছেরে চলে যাবো?
আম্মু:- এখন তুই কি করতি চাস?
আমি:- আব্বুকে বলো আমাকে ওনার সাথে শুরুমে নিয়ে যেতে।
আব্বু:- তোমাকে শুরুমে নিয়ে আমার শুরুমের বারোটা বাজাবো নাকি? তুমি যেই মেয়ে দেখবে তার নাম্বার রেখে সব কিছু ফ্রিতে দিয়ে দিবে।
আম্মু:- কাল থেকে সৌরভকে তোমার সাথে নিয়ে যাবে?
আব্বু:- ঠিক আছে কি করবো আমার ভাগ্যটা খারাপ, এক কাজ করো সব কিছু গুচিয়ে রেখো এক বছর পর আমারা সবাই ফকির হয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাবো।
আমি:- ঠিক আছে দেখা যাবে আমি এক বছরে নিজেকে কতটা পরিবর্তন করি আর নিজেও একটা শুরুম দেব। এই কথা বলে বেড়িয়ে এসেছি, কিছুদিন মনটা খারাপ খারাপ ভাবে গেছে, দেখতে দেখতে অনেক দিন চলে গেছে এখন আর আগের সিম গুলো ব্যাবহার করিনা, আজ প্রাই পাঁচ(৫) মাস হয়ে গেলো এখন মিমের কথা একদম কমই মনে পরে কাজ আর বাড়ি এভাবে চলছে দিন গুলো। আমি শুরুমে বসে আছি আপু এসে বলে,,
আপু:- সৌরভ চল আমি কিছু কিনা কাটা করবো?
আমি:- ঠিক আছে কিন্তু তোর বরটা কোথায় ওকে নিয়ে আসতি?
আপু:- ওর হাতে অনেক কাজ, এখন তারারা তারি চল।
আমি:- হ্যা চল, তারপর আপুর সাথে মার্কেটে গেলাম, গিয়ে আপুর শপিং গুলো করে বের হয়ে আসতেছি তখনি একজন আমার হাত ধরে বলে আরে সৌরভ কেমন আছো তাকিয়ে দেখি সোনালী। আমি বলছি হ্যা ভালো আছি তুমি কেমন আছো?
সোনালী:- হ্যা আমি ভালো আছি, যাক অনেক দিন পর তোমাকে খুঁজে পেয়েছি এখন আর ছারতেছিনা এবার তোমাকে বিয়ে করতেই হবে। চলবে,,,