গল্প:-একতরফা_ভালোবাসা পর্ব:-(০৩)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
মিমের আব্বুর সামনে আমি মিমের হাত ধরে রাখছি এখনও হাতটা আমি ছারিনি! আমি দেখতেছি মিম ভয়ে একদম চুপসে গেছে! আর মিমের আব্বু আমাদের দুই জনকে এমন অবস্থা দেখে চোখ গুলোকে একদম লাল করে ফেলছে! মনে হচ্ছে হাতে যদি এখন একটা বন্ধুক থাকতো তাহলে প্রথমে আমাকে গুলি করে হত্যা করতো। তখনি মিমকে ওর আব্বু বলে!
আঙ্কেল:- মিম তুই এখানে সৌরভের ঘরে এত সকালে কি করছিস? মিম ভয়ে ওর চোখ গুলো বন্ধ করে রাখছে।
মিম:- ইয়ে মানে! তখনি আমি মিমকে থামিয়ে বলি।
আমি:- নাও মিম এখন তোমার হাতটা ছেরে দিয়েছি এখন তুমি আঙ্কেলকে বল! মিম আমার দিকে তাকিয়ে বলে।
মিম:- কি বলবো?
আমি:- যেইটা তুমি বলার জন্য যেতে ছিলে ঐটা বলো।
মিম:- কি বলতে যাচ্ছিলাম?
আঙ্কেল:- মিম আমি কিছু একটা জিজ্ঞেসা করেছি তোমাকে তুমি সেইটার উত্তর দাও আগে।
আমি:- আঙ্কেল আমি আপনার উত্তরটা দিতেছি আসলে আমি সকালে এই বাড়ি ছেরে চলে যেতে ছিলাম তখনি মিম দেখে ফেলে আর আমাকে যেতে দেইনি। কিন্তু আমি কোনো কথা না শুনে যেতে ছিলাম তখনি মিম বলছে আমি এখুনি আব্বুকে গিয়ে বলছি তুমি রাগ করে চলে যেতেছো। আর তখনি আমি মিমের হাতটা ধরে রাখি যেন আপনার কাছে না যায়। আর ঠিক তখনি আপনি এসেছেন এই দরজার সামনে। মিম এইটাই আপনাকে বুঝাতে চাইছে কিন্তু ভয়ে সব গুলিয়ে ফেলতেছে।
আঙ্কেল:- মিম সৌরভ যা বলছে তা সব ঠিক বলছে?
মিম:- আমার দিকে তাকিয়ে তারপর বলছে হ্যা আব্বু সব কিছু ঠিক বলছে।
আঙ্কেল:- আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যদি চলে যেতে ছিলে তাহলে তোমার ব্যাগটা কোথায়?
আমি:-( এইরে হুব শ্বশুড়ের বুদ্ধি আছে তো এখন ব্যাগটা কোথায় রাখছি তখনি চেয়ে দেখি ব্যাগটা খাঠের এক পাশে রাখা আছে আমি হাতে নিয়ে বলি) এই তো ব্যাগটা মিম এখানে রেখে দিয়েছে।
আঙ্কেল:- হ্যা দেখছি তবে তুমি চলে যেতে ছিলে কেনো তোমার তো এখানে মিমের বিয়ের পর যাবার কথা?
আমি:- হ্যা কথা ঠিক এইটাই ছিলো, কিন্তু গত কাল রাতে আপনি তো আমাকে বলছেন আমি যেনো এই বাড়ি ছেরে চলে যায়। তাই সকালে কাওকে না বলে চলে যেতে ছিলাম।
আঙ্কেল:- ঐটাতো আমি তোমাকে রাগের মাথায় বলছি ঠিক আছে তাহলে তুমি মিমের বিয়ের পর যাবে।
আমি:- না আঙ্কেল আমি চলে যাবো এখানে থাকবোনা যদি আবার কোনো ভুল করি তাহলে আপনি আমাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলবেন। তার চাইতে ভালো আমি এখুনি বাড়ি ছেরে চলে যাই।
আঙ্কেল:- ঠিক আছে আর বলবোনা তুমি এই বাড়ির মেহমান আমি চাই তুমি এই বিয়েটার পর যাও।
আমি:- ঠিক আছে বলে আঙ্কেলের কাছে গিয়ে ওনাকে একটা চুমা দিয়ে দিলাম আমার কান্ড দেখে মিম অবাক হয়ে গেছে।
আঙ্কেল:- এইটা কি করলে চুমা দিলে কেনো?
আমি:- প্লিজ আঙ্কেল রাগ করবেন না আমি বেশি খুশি হলে এই ভাবে যাকে কাছে পাই তাকে চুমা দেয়।
আঙ্কেল:- ঠিক আছে তবে এইটা আবার কোনো মেয়ের বা মহিলাম উপর ফেলতে যেওনা এর ফল কিন্তু ভালো হবেনা পরে।
আমি:- ঠিক আছে কথাটা মনে থাকবে।
আঙ্কেল:- মিম তুমি গিয়ে ফ্রেস হয়ে নাও রাসেল আসতেছে দুপুরের মধ্যে চলে আসবে। তাহলে সৌরভ তুমি বিয়ের পর যাচ্ছো এই বাড়ি থেকে! তবে ভালো করে এই বাড়ির নিয়মটা মেনে চলো তাহলে আখেরে তোমার জন্য ভালো হবে নয়তো মিমের বিয়ে পর্যন্ত বার চাইবোনা এই বাড়ি থেকে নগদে বের করে দিবো। কথাটা ভালো করে বুঝে নিও।
আমি:- ঠিক আছে তখন ওনি চলে গেলো।
মিম:- ধন্যবাদ আজ আমাকে আব্বুর বকা শুনা থেকে বাচানোর জন্য।
আমি:- শুধু ধন্যবাদ আমি তো ভাবছি তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে আদর করবে! আর বলবে আমি তোমাকে ভালোবাসি।
মিম:- আমার বয়ে গেছে তোমাকে ভালোবাসতে! রাসেল কত সুন্দর আর কি হ্যান্ডসাম দেখতে! কথা কত কম বলে। আর তুমি সারাক্ষন বক বক করতে থাকো ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মত।
আমি:- কি আমি বক বক করি আর ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছা! দেখাচ্ছি তোমাকে বলে মিমের হাত ধরে একটানে আমার বুকের মাঝে নিয়ে এসেছি।
মিম:- তুমি আমাকে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরেছো তোমার এত বড় সাহস হলো কি করে? বলে এক জাটকায় নিজেকে ছারিয়ে নিয়ে আমাকে ঠাসস করে গালে এক থাপ্পর বসিয়ে দিলো।
আমি:- মিম তুমি আমাকে থাপ্পরটা দিতে পারলে?
মিম:- এই তোর এত বড় সাহোস হলো কি করে আমাকে জড়িয়ে ধরার! তোর মত ছেলেকে আমি আমার সাথে নিয়ে এসেছি এইটাই বেশি করেছি! আর তোর কি আছে যে তোকে আমি ভালোবাসবো? তোর মত ফালতু একটা ছেলেকে ভালোবেসে আমার কি লাব হবে শুনি? আর যদি তুই কোনোদিন আমাকে স্পর্শ করিস তাহলে তোর অবস্থা একে বারে খারাপ করে ছারবো বলে দিলাম।
আমি:- ঠিক আছে তোমাকে আমি আজেক পর আর স্পর্শ করবোনা আর তুমি ঠিকিই বলছো আমার মত ছেলেকে কেনো ভালোবাসবে? কি আছে আমার আমি তো ফালতু তাইনা?
মিম:- যাক তাহলে তুই বুঝতে পারছিস! আর শোন এখানে যত দিন থাকবি ততদিন আমার ব্যাপারে কোনো কথা বলবিনা। আমার জন্য তুকে এত চিন্তা করতে হবেনা! আমার জন্য চিন্তা করার জন্য অনেকে আছে।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে এখন তুমি যাও।
মিম:- হ্যা যাচ্ছি তবে আমার একটা ভুল হয়ছে তুকে এই থাপ্পরটা যদি প্রথম দিনই দিয়ে দিতাম তাহলে আজকে এত জ্বামেলাই পরতে হতোনা আমার।
আমি:- ঠিক আছে কথা দিতেছি আজকের পর তুমি আমার জন্য কোনো জ্বামেলাই পরবেনা। তখন মিম চলে গেছে এরপর আমি ফ্রেশ হতে চলে গেছি! কিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে রুমে বসে আছি তখন রিতার আম্মু রুমে এসে আমাকে বলছে,,,
চাচিমা:- সৌরভ চলো খাবে।
আমি:- আরে চাচিমা আপনি কেনো কষ্ট করে এসেছেন আমি নিজেই যেতাম এখন।
চাচিমা:- একটা কথা বলবো সৌরভ?
আমি:- হ্যা বলেন।
চাচিমা:- তোমার বা গালটা কেমন লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে কেও থাপ্পর দিয়েছে।
আমি:- হ্যা দিয়েছে তো মিম।
চাচিমা:- মানে মিম তোমাকে কেনো থাপ্পর দিবে?
আমি:- আরে রাগ করতেছেন কেনো আগে কথাটা শুনেন! গালে একটা মশা বসে ছিলো তখন মিম মশাটা মারতে গিয়ে থাপ্পরটা একটু জুড়ে পরছে আর বাস গালে দাগ দেখা যাচ্ছে।
চাচিমা:- তুমি মিমকে কিছু বলোনি?
আমি:- হ্যা বলছি তো মশাটা ঠিক করে মারতে পারছো কিনা তখনি চাচিমা হাঁসি হি হি হি! হ্যা চলেন এবার খাবার টেবিলে গিয়ে দেখি কি অবস্থা।
চাচিমা:- আমার খাওয়া হয়ে গেছে তুমি যাও গিয়ে খেয়ে নাও।
আমি:- ঠিক আছে তারপর আমি খাবার টেবিলের সামনে গিয়ে দেখি ফুল রিজাব শুধু একটা চেয়ার খালি আছে! তখন আমি দাড়িয়ে আছি তা মামুনি দেখছে।
মামুনি:- সৌরভ বাবা তুমি এসো এই চেয়ারে বসে পরো।
আমি:- হ্যা আসতেছি যখনি গিয়ে চেয়ারটাই বসতেছি ঠিক তখনি কেও চেয়ারটা টান মেরে সরিয়ে নিয়েছে। আর আমি নিছে পরে যাই কোমড়ে অনেক ব্যাথা পাইছি। তখনি চেয়ে দেখি মিম চেয়ারটা টান মেরে সরিয়ে নিয়েছে আর সবাই আমার পরে যাওয়া দেখে হাসতেছে এমনকি মিম রিতা সহ সবার সাথে মিলে হাসঁতেছে। আমার লজ্জায় চেহারাটা লাল হয়ে গেছে তখনি,,
মামুনি:- এই মিম তুই চেয়ারটা সরালি কেনো?
মিম:- আম্মু ও আমার চেয়ার বসতে ছিলো তাই।
মামুনি:- তাতে কি হয়ছে হ্যা! সৌরভ যে নিছে পরে ব্যাথা পাইছে এইটার কি তোর কোনো খেয়াল আছে নাকি? ওকে টেনে উঠা তখনি মিম হাতটা বারিয়ে দিয়েছে।
আমি:- থাক লাগবেনা আমি নিজেই উঠতে পারবো বলে উঠে পরেছি আচ্ছা মামুনি আমি পরে এসে খেয়ে নেবো।
মামুনি:- কেনো বাবা তুমি এখন বসে খাবে।
আমি:- থাক মামুনি আমি একটু পরে খেয়ে নেবো এক কাজ করিয়েন যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমার খাবারটা একটু রুমে পাঠিয়ে দিয়েন প্লিজ।
মামুনি:- ঠিক আছে রিতাকে দিয়ে পাঠিয়ে দেব।
আমি:- ধন্যবাদ মামুনি বলে চলে আসতেছি একটু খুরিয়ে খুরিয়ে হাটতেছি মিম তাকিয়ে আছে আমার দিকে মনে হচ্ছে এখুনি আমাকে গিলে খাবে। তারপর রুমে এসে একটু মলম লাগিয়ে শুয়ে আছি তখনি দেখি দরজায় কেও নক করতেছে! কে দরজা খুলা আছে আসতে পারেন। তখনি দেখি মিম এক গ্লাস পানি আর একটা প্লেট হাতে করে রুমে ঢুকছে! আমি দেখেও না দেখার বান করে শুয়ে আছি। মিম তুমি আসলে কেন রিতা কোথায়?
মিম:- আমি আসাতে বুঝি তুমি খুশি হওনি?
আমি:- তুমি আসলে কি আর না আসলে কি? এখন তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা তুমি এখন আসতে পারো।
মিম:- ঠিক আছে আমিও দেখবো আর খাবারটা রেখে গেলাম মন চাইলে খেয়ে নিও আর না চাইলে খেওনা। তবে কাল থেকে তোমার আরও কষ্ট হবে কারন আমি সারাক্ষণ রাসেলের সাথে থাকবো দুষ্টমি করবো তুমি এক কাজ করো আজ রাতের আধারে বাড়ি ছেরে পালিয়ে যাও।
আমি:- আমাকে নিয়ে যে এত টুকু ভাবছো তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ! এখন তুমি আসতে পারো তখন মিম চলে গেছে আমি আর খাবারটা খেলামনা শুয়ে ছিলাম আর কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। ঘুম ভাঙছে মানুষের চেচা মিচিতে তারপর দরজাটা খুলে বাহিরে গিয়ে আমি পুরাই অবাক হয়ে গেলাম। এত মানুষ এখানে কি করছে একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি একটা ছেলেকে দেখার জন্য সবাই বির করে আছে। আমি একজন কে জিজ্ঞেসা করতেই বলে ওনি হচ্ছে মিম আপুর হুব বর। তার মানে এই হচ্ছে রাসেল বাহা সত্যিই অনেক সুন্দর মিম যেমনটা বলছে ঠিক তেমনটা দেখতে।
রিতা:- সৌরভ তোমার চেহারাটা কেমন কালো হয়ে গেছে।
আমি:- আমি তো কালোই তাইনা?
রিতা:- কে বলছে তুমি কালো যাক আপুর বরটা কেমন দেখলে?
আমি:- হ্যা ভালোই আচ্ছা রিতা তোমাকে যেই ছেলেটা লাভ করে সেইটা কি দেখতে অনেক সুন্দর।
রিতা:- হ্যা অনেক সুন্দর আচ্ছা চলো তোমার সাথে রাসেল ভাইয়ার আলাপ করিয়ে দেয়।
আমি:- থাক পরে আলাপ করে নেব! এখন আমি একটু গ্রামটা ঘুরে দেখে আসি।
রিতা:- এখন যেওনা বিকালে আমি তোমাকে সবটা গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখাবো।
আমি:- ঠিক আছে, আর তোমার লাভারটাকে দেখে নেবো।
রিতা:- তবেরে দেখাচ্ছি তোমাকে বলে আমার গলা টিপে ধরছে।
আমি:- আরে কি করছো মেরে ফেলবে নাকি? এমন সময় চেয়ে দেখি মিম আমার দিকে আসতেছে সাথে রাসেলকে নিয়ে তা দেখে রিতা আমার গলা ছেরে দিয়েছে।
মিম:- সৌরভ এই হচ্ছে রাসেল আমার হুব স্বামি প্লাস বয়ফ্রেন্ড।
আমি:- হাই আমি সৌরভ বলে হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছি।
রাসেল:- হ্যালো আমি রাসেল আহমেদ। মিম তোমার সম্পর্কে আমাকে সব কিছু ফোনে বলছে তুমি নাকি যেইটা মন চাই ঐটাই করো।
আমি:- মিম আপনাকে ঠিকই বলছে তবে একটা সত্যি কথা বলতে ভুলে গেছে মনে হয়।
রাসেল:- কি সত্যি কথা?
আমি:- হাতের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে বলি এখন বলা যাবেনা সময় হলে বুঝতে পারবেন। আচ্ছা রিতা তাহলে বিকালে আমরা বের হচ্ছি গ্রাম দেখতে কথাটা মনে রেখো বলে চলে এলাম। যখনি রুমে ঢুকতেছি তখনি আঙ্কেল বলে,,,
আঙ্কেল:- সৌরভ তুমি গাড়ি চালাতে পারো?
আমি:- হ্যা আঙ্কেল পারি।
আঙ্কেল:- তাহলে গাড়িটা নিয়ে গিয়ে একটু বাস স্ট্যান্ড থেকে একজন কে নিয়ে আসবে?
আমি:- কিন্তু ওনাকে তো আমি চিনিনা তাহলে আনবো কি করে?
আঙ্কেল:- এই নাম্বারে গিয়ে একটা ফোন করো তাহলে হবে।
আমা:- ঠিক আছে! তারপর গাড়িটা নিয়ে সোজা বাস স্ট্যান্ড চলে আসলাম। এরপর নাম্বারে একটা ফোন করেছি কিন্তু রিসিভ করেনি আবার করেছি এবার রিসিভ করেছে কিন্তু কোনো কথা বলতেছেনা তাই জুড়ে এক আওয়াজ করলাম।
এত জোরে চেচাচ্ছেন কেন আপনাকে আমি দেখতে পারছি গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন আমি আসতেছি। একটা মেয়ে এই কথা গুলা বলছে,, আমি দাড়িয়ে আছি কিছুক্ষন পর একটা মেয়ে আমাকে বলছে,,,
এই ড্রাইবার গাড়ির ভিতরে এই লাকেসটা ঢুকাও।
আমি:- কেরে আমাকে ড্রাইবার বলে! চেয়ে দেখি সুন্দরি একটা মেয়ে একদম মর্ডান। এই আপনি কে আমাকে হুকুম করতেছেন?
মেয়ে:- তোমার নাম সৌরভ তো?
আমি:- হ্যা, কিন্তু আপনি কে?
মেয়ে:- আমি সোনালী আমাকে নেওয়ার জন্য তোমাকে পাঠিয়েছে মামা। এই তোমার নাম্বারে ফোন করেছি দেখো রিং হচ্ছে।
আমি:- হ্যা ঠিকই বলছেন রিং হচ্ছে তবে আমি কিন্তু ড্রাইবার নয়।আমি এসেছি এই বাড়ির মেহমান।
সেনালী:- হ্যা জানি, ইচ্ছে করে ড্রাইবার বলছি ঠিক আছে তাহলে এখন চলো যাওয়া যাক।
আমি:- হ্যা যাওয়া যাক তারপর গাড়িটা আমি চালাচ্ছি সোনালী পাশে বসে আছে দেখতে অনেক সুন্দর তবে মিমর মত এতটানা তবে দেখতে কিন্তু হেব্বি। যাক গাড়ির মাঝে আর কোন কথা হয়নি সোজা বাড়িতে চলে এসেছি, তারপর সোনালীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গাড়িটা রেখে আমি রুমে গিয়ে এক ঘুম দিলাম। ঘুম থেকে উঠে একটু ফ্রেশ হয়ে বসার রুমে গেলাম। গিয়ে দেখি সবাই রাসেলকে নিয়ে আড্ডা মারছে আমি কোনো কথা না বলে বেরিয়ে আসতেছি,, তখনি সোনালীর সাথে এক ধাক্কা।
সোনালী:- ইসস এই তুমি কি চোখে দেখতে পাওনা?
আমি:- স্যরি ঠিক খেয়াল করিনি বলে সৌনালীর মাথা ধরে আবারও আমার মাথার সাথে একটা টুকা দিয়ে নিলাম।
সোনালী:- কি করছো তুমি?
আমি:- একটা টুকা খেলে শিং গজাই তাই আরেকটা খেয়ে নিলাম।
সোনালী:- সৌরভ দেখো তো আমার চোখে কিছু পরছে কিনা আমি তো চোখ খুলতে পারতেছিনা?
আমি:- কোথায় দেখি তো বলে সোনালীর চোখ গুলো দেখে ফু দিয়ে দিতেছি! এমন সময় হঠাত করে মিমের দিকে তাকালাম। চেয়ে দেখি মিম চোখ গুলাকে বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, মনে হচ্ছে একা কাছে পেলে খেয়ে ফেলবে। আমিও মিমকে দেখিয়ে দেখিয়ে সোনালীর চোখে ফু দিয়ে দিতেছি! আর তখনি মিম আমাদের দিকে রেগে মেগে চোখ লাল করে আসতেছে।
চলবে,,,