গল্প:-একতরফা_ভালোবাসা (পর্ব:-০২)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
রিতা আর মিম হাঁসি দুজনে দিলো কেনো? ডাল মে কুচ কালা হে! তখনি দেখি একজন মাজ বয়সি মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাঁসি দিয়ে চোখ টিপ মারছে। আরে ওনি আমাকে চোখ টিপ দেয় কেনো?চেয়ে দেখি মহিলাটা আমার রুমের দিকে আসতেছে! কামসারছে তারা তারি করে গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে নিজেকে একটা জাটকা দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
কিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে এসে খাটের উপর শুয়ে পরেছি আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই! ঘুম ভাঙছে কারো দরজায় নক করার শব্দে গিয়ে দরজাটা খুলে দেখি রিতা।
রিতা:- ভাইয়া আপনাকে জেঠিমা ডাকতেছে।
আমি:- জেঠিমা কে আর কেনো?
রিতা:- খাবার খেতেন আর মিম আপুর আম্মুকে আমরা জেঠিমা বলে ডাকি।
আমি:- তাই বলো! আচ্ছা রিতা তুমি কাওকে লাভ টাব করোনা?
রিতা:- মানে?
আমি:- মানে কোনো ছেলেকে ভালোবাসোনা?
রিতা:- না তবে একটা ছেলে আমাকে অনেক ভালোবাসে তবে আমি ভালোবাসিনা।
আমি:- কেনো তোমার কি ছেলেটা পছন্দ হয়না?
রিতা:- ঠিক তানা! আমাদের পরিবার থেকে মেয়েদের যেখানে বিয়ে দিবে সেখানে বিয়ে করতে হবে আর জেঠু তো এই প্রেমটেম একদম সহ্য করতে পারেনা।
আমি:- বুঝতে পারছি! ঠিক আছে চলো এখন দেখে আসি আমার শ্বাশুমা কেমন মানুষ।
রিতা:- তোমার শ্বাশুমা কে?
আমি:- (না মিমের আম্মুর কথা বলা যাবেনা মনে মনে ভাবতেছি কি বলবো। তখনি মিমম আবার জিজ্ঞেস করছে)
রিতা:- কি হলো সৌরভ বলো তোমার শ্বাশুড়ি মা কে?
আমি:- তোমার আম্মু হবে আমার শ্বাশুড়ি যদি তুমি আমাকে বিয়ে করো।
রিতা:- তবেরে তোমাকে আমি মেরে ফেলবো।
আমি:- থাক তাহলে তুমি বিধবা হয়ে যাবে তারা তারি চলো তারপর খাবার টেবিলের সামনে গিয়ে তো পুরাই অবাক হয়ে গেলাম। আরে এত বড় হল রুমের মত টেবিলে মাত্র একজন লোক বসে খাচ্ছে! আর একজন পরিবেশন করছে বাকিরা সবাই বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। তখনি আমি রিতাকে জিজ্ঞেস করেছি ব্যাপারটা কি?
রিতা:- আসলে জেঠু খেতে বসলে আর জেঠুমা খাবার পরিবেশন করে তখন কেও খাবার টেবিলের সামনে যায়না! আর যখন খাবার শেষ হয় তখন ওনি ডাক দেন সবাইকে তখন সবাই এক সাথে হাজির হতে হয়। যদি কেও সময় মত উপস্থিথ না থাকে তাহলে ঐদিন আর খাবার খেতে দেয়না। তবে জেঠু অনেক ভালো মানুষ আমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসে।
আমি:- বুঝতে পারছি,এখানে কর্তা গিরি করতেছে করাচ্ছি কর্তা গিরি! বলে তখনি টেবিলের সামনে চলে গিয়ে সোজা চেয়ারে বসে বলতেছি মামুনি আমার খুব খিদে লাগছে আমাকে কাছু খেতে দেন সেই সকালে কিছু খেয়েছি আর এখন রাত হয়ে গেছে কিছু খাইনি। তখনি,,,
আঙ্কেল:- তোমার এত বড় সাহোস আমি খেতেছি দেখেও তুমি খেতে এসেছো? তোমাকে কি এই বাড়ির নিময় কানুন কেও কিছু বলেনি? তখনি মিমকে ডাকতে লাগলো এক ডাকে হাজির।
মিম:- জি আব্বু বলেন?
আঙ্কেল:- তুই ওকে এই বাড়িতে নিয়ে আসার সময় এই বাড়ির নিয়ম টিয়ম বলিসনি? মিম একদম ভয়ে চোপসে গেছে মনে হচ্ছে কেদে দিবে।
আমি:- আঙ্কেল মিম আমাকে সব কিছু বলছে কিন্তু কি করবো বলেন আমার তো অনেক খিদে পাইছে! আর খিদে লাগলে আমি একদম সহ্য করতে পারিনা আর তাছাড়া এখানে তো যায়গা খালি পরে আছে।
আঙ্কেল:- পরে আছে তো কি হয়ছে আমি এই বাড়ির বড় কর্তা এই বাড়িতে আমার পরে সবাই খাবে এইটাই এই বাড়ির নিয়ম।
আমি:- তার মানে আপনি একা থাকতে পছন্দ করেন তাহলে জয়েন পরিবার করে রাখছেন কেনো? সবাইকে আলাদা করে দেন।
আঙ্কেল:- তোমার এত বড় সাহোস আমার মুখে মুখে তর্ক করো এখুনি তুমি এই বাড়ি ছেরে চলে যাবে বেয়াদপ ছেলে কোথাকার।
আমি:- ঠিক আছে চলে যাবো তবে এখন অনেক খিদে লাগছে এখনকার মত খেয়ে যাই! বলে অল্প কয়টা ভাত মুখে দিয়ে চলে আসতেছি তখনি,,,
আঙ্কেল:- দ্বাঁড়াও তুমি না বলছো খেয়ে যাবে তাহলে খেয়ে যাচ্ছোনা কেনো? বসো তুমি আমার সাথে বসে খাবে।
আমি:- না থাক একা একা খেতে আমার একদম ভালো লাগেনা! আম্মু বলে একা একা খেলে খাবার খেয়ে নাকি তৃপ্তি আসেনা। তাই আমি আপু আম্মু আব্বু সবাই এক সাথে বসে খাবার খায়।
আঙ্কেল:- কিন্তু এখানে তুমি ওনাদের সবাইকে পাবে কোথায়?
আমি:- সবাই আছে তো?
মিম:- সৌরভ তুমি ওনাদেরও নিয়ে এসেছো নাকি?
আমি:- আরেনা মিম তবে আমার সামনে তো দাঁড়িয়ে আছে সবাই।
মিম:- মানে?
আমি:- অপেক্ষা করো দেখাচ্ছি বলে সবাইকে গিয়ে ঢেকে নিয়ে এসেছি আর বলতেছি মামুনি আপনিও বসে পরেন আর আপনারা সবাই বসে পরেন। এবার মনে হচ্ছে আমি আমার পরিবারের সাতেই খেতে বসেছি তবে একটা কথা আঙ্কেল আপনি যদি অনুমতি দেন তাহলে বলবো?
আঙ্কেল:- আবার কি কথা?
আমি:- থাক বলবোনা?
আঙ্কেল:- এখুনি বলছো বলবে আর এখুনি বলছো বলবেনা কি কথা সেইটা বলতে বলছি।
আমি:- আব্বু বলছে কেও যদি ধমক দিয়ে কিছু বলতে বলে তাহলে যেনো কিছু না বলি। তখনি সবাই আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
আঙ্কেল:- ঠিক আছে ভদ্রতার সাথেই বলছি বলো তুমি কি বলতে চাও?
আমি:- মিমের বিয়ে আর মাত্র ১৪ দিন বাকি যদি মিমের হুব জামাইকে আপনাদের এখানে এখুনি নিয়ে আসতেন তাহলে এই বাড়ির নিয়ম কানুন কিছু যেনে যেতো আর এতেই আপনাদের সুবাধা হতো। আর তাছারা মিমও রাসেলকে ভাল করে বুঝতে পারতো।
আঙ্কেল:- কথাটা তুমি মন্ধ বলোনি ঠিক আছে তাহলে কালকেই আমি রাসেলকে বলবো আমাদের বাড়িতে চলে আসতে।
আমি:- ধন্যবাদ আঙ্কেল তবে আপনার সমন্ধে যতটা জানতে পেরেছি আপনি তার চাইতেও ভালো! আপনাকে একবার সালাম করতে ইচ্ছে করছে যদি আমি আপনাকে সালাম না করি তাহলে আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে এই কথা বলে সোজা গিয়ে পা ছুয়ে সালাম করলাম।
আঙ্কেল:- বেচে থাকো বাবা।
আমি:- তাহলে মামুনির কাছ থেকেও দুয়া নিয়ে নেই এরপর মামুনির পা ছুয়ে সালাম করলাম। আরে মামুনির পরিচয়টা হলো ওনি মিমের মা।
মামুনি:- এত দিন কোথায় ছিলে তুমি? আমার দুইটা গালে হাত দিয়ে কথাটা বলে ওনি চোখের পানি ছেরে দিয়েছে।
আমি:- কোথায় আবার আমাদের বাড়িতে বলে ওনার চোখের পানিটা মুছে দিয়ে বলি আঙ্কেল আমি তো এই পরিবারের রিতা মিম আপনি আর মামুনিকে ছারা কাওকে চিনিনা! যদি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে বলতেন মিমকে তাহলে ভালো হতো।
আঙ্কেল:- মিম তুমি সৌরভকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে।
মিম:- ঠিক আছে আব্বু।
আমি:- থাক আমি এখুনি সবার সাথে পরিচয় হয়ে নেই বলে এক এক করে সবার সাথে পরিচয় হয়ে নিলাম। তারপর খাবার শেষ করে আমি আমার রুমে চলে আসতেছি তখনি মিম আমাকে ডাকতেছে।
মিম:- সৌরভ তুমি রাসেলকে এখানে আসতে বলছো কেনো?
আমি:- যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর।
মিম:- আমি জানি তুমি নিজের লাব ছারা একটা পা বারাওনা। আর তুমি আমার জন্য রাসেলকে আসতে বলছো?
আমি:- হ্যা তোমার জন্য রাসেলকে আসতে বলছি। তখনি মিম আমার কাছে এসে আমার সাটের কালার টেনে ধরে বলতেছে।
মিম:- সত্যি করে বলো আবার নতুন কি প্লান বের করেছো?
আমি:- আন্টি একটু শোনবেন তখনি মিম আমাকে ছেরে দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখে কেও নেই। আর তখনি আমাকে আবার ধরতে চাইছিলো আমি সাথে সাথেই দৌরে রুমে এসে দরজাটা আটকিয়ে দেয়। যাক বাবা এবারের মত বাচা গেলো বলে খাটের উপর শুয়ে পরলাম। তখনি দেখি মোবাইলটা বেজে উঠছে হাতে নিয়ে দেখি মিম ফোন করছে রিসিব করিনি! আবার দিয়েছে এবারও রিসিব করিনি। যখন আবার দিয়েছে তখন রিসিব করেছি।
মিম:- এই তুমি ফোন কেটে দিতেছো কেনো? আগেতো আমার ফোন পাওয়ার জন্য মোবাইল হাতে নিয়ে বসে থাকতে?
আমি:- কিসের জন্য ফোন করেছো সেইটা বলো এখন আমার জানু ফোন করবে।
মিম:- তোমার জানু মানে?
আমি:- আচ্ছা মিম আমার জানু ফোন করছে বলে কেটে দিয়েছি আসলে কেও ফোন করেনি মিমকে রাগানোর জন্য এইটা করেছি! আর সাথে সাথে রবি অফিসে ফোন করেছি। একমিনিট পর ফোনটা একটা মেয়ে কাস্টমার রিসিব করছে নাম বলছে ঝিলমিল তাবস্সুম। তারপর এই মেয়ের সাথে নানান কথা বলা শুরু করে দিয়েছি শুধু একটার পর একটা প্রশ্ন করে যাচ্ছি। আর মিম ঐদিক দিয়ে আমাকে ফোন করতেছে একের এক আর উয়েটিং পাচ্ছে আমাকে রাত ১২টার সময় কথা শেষ করেছি মেয়েটার সাথে বিভন্ন সমস্যা নিয়ে ফাও পেচাল করেছি প্রাই ৩০ মিনিট। তারপর মোবাইলটা অফ করে শুয়ে পরেছি কিছু বলতে পারবোনা! একদম সকালে দেখি কেও দরজায় নক করতেছে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে দরজাটা খুলতেই কেও একজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে খাটের উপর ফেলে বুকের বসে উপর বসে আমার মুখ চেপে ধরেছে তখনি বুঝতে পারছি এইটা মিম।
মিম:- রাতে তুকে আমি কতবার ফোন করেছি আর তুই কার সাথে এত কথা বলছিলি?
আমি:- ওম ওম তখনি হাতটা সরিয়ে নিয়েছে। যার সাথেই কথা বলিনা কেন তাতে তোমার কি?
মিম:- আমার কোন সমস্যা নেই সমস্যা হচ্ছে তুই বেশি পুন্ডিত গিরি করিস সেইটার।
আমি:- তুমি আমাকে তুই করে বলতেছো কেনো?
মিম:- কি বলে ডাকবো?
আমি:- ওগো শোনছো একটু এই দিকে আসবে এভাবে ডাকবে।
মিম:- তোমাকে ডাকাচ্ছি ওগো শোনছো বলে আমার গলা টিপে ধরছে।
আমি:- আরে কি করছো মরে যাবো তো আর নামো আমার কেমন কেমন লাগছে মনে হচ্ছে আমার বউ আমার বুকের উপর বসে আছে। তখনি মিম আমার বুকের উপর থেকে নেমে চলে যেতে ছিলো আর আমি গিয়ে মিমের হাতটা ধরেছি।
মিম:- কি করছো হাত ধরছো কেনো ছারো বলছি?
আমি:- যদি না ছারি তাহলে কি করবে তখনি চেয়ে দেখি মিমের আব্বু দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওনি দেখছে আমি মিমের হাতটা ধরে রাখছি।
চলবে,,,