গল্প : আমার আর বিয়ে করা হল না !!!
Writer : Tannoy(পিচ্ছি ফাজিল)
আমার দৈনন্দিন কাজ হল, গার্লস কলেজের
সামনে নাফিজ মামার টং দোকানে বসে থাকা,
আর সুন্দর সুন্দর মেয়ে দেখা।
আর তাদের হাতে নিয়মিত চর থাপ্পড় খাওয়া,
আসলে আমার কোন কাজ নাই তো তাই বর্তমানে আমার এইটাই কাজ।
আজকে সেই নীল শার্টটা পড়ে আসছি,
যেটা পড়ে মেঘারে প্রপোজ করছিলাম
আর সে একটু হাঁসছিল, কিন্তুু দুঃখের
কপাল তিন দিন বাদে তার বিয়া হইয়া
গেছিল।
কিন্তুু শার্টটা মোটামুটি লাকি।
ওই তো নীলা বের হইতেছে,
– হাই নীলা কেমন আছ।
– ভাল, আপনি।
– হুমমমমম, তোমাদের নিয়মিত চরে ভালই আছি,
– কীইইই, বললেন।
– নেহি কিছু না, যেটা বলতে আসছিলাম বলি।
– হুমমমমম বলেন।
– হি হি নীলা I LOVE ঠাসসসসসস, ইউ টা ও বলতে দিল না।
এই মেয়ের বিয়া হইলে দুই দিন ও ভাত
জুটব না।
হেঁটে হেঁটে বাসাই আসছিলাস,
সামনে দেখি একটা ওয়াও সুন্দরি দাঁড়াই আছে
যাক ওইটাতে ট্রাই মারি।
– হ্যালো,,,,,, ভাল আছেন।
– হুমমমমম, কিন্তুু আপনি কে।
– আমি তন্নয় আপনার নাম।
– আমি জেরিন।
– ওয়াও নাইচ নেম বলা শেষ, একটা পোলা
আইসা বলল বেবি কী কর, কে এই ছেলে।
– জানি না, ওই খাঁড়া মেয়ে দেখলেই ঝুকঝুকানি।
– তন্নয় পালা এই খানে থাকাটা বেশি রিক্সি হয়ে যাইব, বলেই আমি হাওয়া।
না আজকের দিনটা ভাল না বাসাই যাই।
বাসাই গিয়ে পা টান টান করে শুয়ে আছি,
আহা কিতা সুন্দর জায়গা চারিদিকে কত
পানি, ও সুমদ্র সৈকত আইসা গেছি নীলা
দৌড়ে এসে ফটাস করে কিস করে চলে গেল।
আর আমি ধপ……. উহুহুহুহু কী ব্যাথা
খাটের নিচে পড়ে গেছি।
তাই তো বলি সমুদ্র সৈকত গেলাম কখন।
হঠাৎ আন্টির আগমন কীরে এই খানে পইরা
আছিস ক্যান।
– না মানে আন্টি একটু আগে কক্সবাজার ছিলাম একটা মাইয়া আমারে কিসসসস কইরা এই হানে ফালাই দিয়া চলে গেল।
– বদমাইশি বাদ দিয়ে খেতে আয়।
– হুমমমমম যাচ্ছি প্রতিদিনের মতো খেয়ে আবার রওনা দিলাম টং দোকানে।
ওরে ব্যাস রিয়া দেকতে এত্ত সুন্দর হইল কবে।
আজকে রিয়াকে প্রপোজ করব ভাবলাম,
কিন্তুু নেহি।
গরিবের কপালে সুখ সয় না।
ওই একটা পোলার হাত ধইরা চলে গেল।
কিউট পোলাগো কপালে বোধ হয়
মাইয়া জোটে না।
যাক আজকে আর থাকমু না চলে আসলাম বাসাই বসে বসে রুবিক্স কিউব মিলাইততেছি।
হঠাৎ আন্টির আগমন।
তন্নয় কালকে মেয়ে দেখতে যাব আর পছন্দ
হলে আংটি ও পড়িয়ে দিয়ে আসব।
আমি তো খুশিতে গদগদ হয়ে গেছি।
না এক খানা ডান্স না দিলে হয় না।
(তো কান্টি বিগ ব্যান্ড দি পুরা লল্ডন ঘুমাক দা)
নেহি তন্নয় আবেগ কন্ট্রোল করো বাপ,
হ্যা সব জরিনা সকিনারে বলে আসি যে
তাদের তন্নয় আজকে থেইকা বিদাই।
আর আসমু না আমার ও বিয়া হয়ে যাইব কালকে। হি হি হি।।
আমি জীবনে এত ঠান্ডাই কোনদিন সকালে ঘুম থেকে উঠিনাই।
আজকে কেমন একটা মনের মনবল বেশি
বেশি লাগছে আহা বিয়া করমু কীইইই লজ্জা
করতেছে।
না লজ্জা করলে চলব না।
উহুহুহু কী ঠান্ডা পানি, নেহি ঠান্ডাকে জয়
না করলে কেমনে বিয়া হইব।।
গোসল সেরে কাঁপতে কাঁপতে ঘরে আসতে
গিয়ে দেখি মামা মামি ও হাজির সবাইকে
সালাম দিয়ে ভিতরে গেরাম।
– সেই রকম হিরো হিরো গেটাপ নিয়ে বের হলাম।
আন্টি হলো তোমার। শুভ কাজে
দেরি করতে নেই।
এইতোরে বাবা হয়ে গেছে দাঁড়া একটু।
– নেহি আন্টি আমার আর তর সইছে না
তারাতারি নাও।
– হুমমমমম চল।
সবাই মিলে গাড়ি করে রওনা দিলাম।
এহহহহহ বাড়ি পৌছে গেছি।
আহাা কত্ত বিসাল বাড়ি, সব আমার
হইব।
– ভিতরে সবাই গেলাম, ওদের বাড়ির লোকেরা
আমাদের বসতে দিল, ওহহহহ কী লজ্জা লাগছে।
একটু পড়ে বউকে অনা হল,
আহা কী মধুর মতো চেহারা।।।
নিধি মা সবাইরে সালাম দাও।
ওহহহহহ কী মিষ্টি গলা।
– আন্টির কানে কানে বললাম আমি রাজি।
– তুই রাজি মানে।
-বারে আমার বিয়া আমি রাজি।
– ওই গাধা একবার ও বলছি তোর জন্য মেয়ে দেখতে আসছি।
তোর রাসের ভাইয়ের জন্য দেখতে আসছি।
ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার তাই তো বলি আমার দিকে কারো নজর নাই ক্যান।
থাক তোমরা গেলাম আমি।
– ওই কই যাস।
– আমার একটা জরুরি কাজ আছে।
দূর আমার আর বিয়া করা হইল না।।
জরিনা, সকিনা তোরা কই
তোদের তন্নয় আবার তোদের
বুকে ফিরে যাইতেছে।।
তোগো কাছ থেইকা কেউ মোরে আলাদা
করতে পারব সমনা।।
এই আমি যাচ্ছি ।।।।।।
>>সমাপ্ত< < >>The End<<
golpo ta khub funny chhhilo….. ????